আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ০৫ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


বর্ণ  করাতটা ইলেকট্রিক অন করে লোকটির গলায় চেপে ধরে সাথে সাথে লোকটার মাথাটা দুরে ছিটকে পড়ে৷ 

মিহির দূরে দারিয়ে সবটা দেখছে ৷ তার বস যে কেন এমনটা করছে এটা মিহির কিছুতেই বুজতে পারছে না ৷ পুরো সাইকোর মতো বিহেব করছে ৷
মিহির ভয়ে ভয়ে বর্ণের দিকে পানির বোতল নিয়ে এগিয়ে আসতে বর্ণ সেই লোকটির কাটা মাথায় লাথি মারে ৷ এটা দেখে মিহিরের অবস্তা যায় যায়৷ কোন রকম মিহির পানির বোতল টা বর্ণের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে" ব,,বস আপনি তো ওনাকে মেরে ফেললেন তাহলে সেই আসল কালপিট কে কি করে খুজে বের করবেন?"

১৬!!

"গুড কোশ্চেন ৷  মিহির এই লোকটা শুধু মাত্র একটা গুটি মাত্র ৷ যতটুকু বলেছে  এর থেকে বেশি কিছু জানে না ৷ আর আমি বেইমানদের কখনো ক্ষমা করি না ৷" লাস্ট কথাটা বলার সময় বর্ণের কন্ঠ দিয়ে যেন রাগ ঝরে  ঝরে পড়ছে৷ মিহির আর কথা বারায় না৷ 

"" মিহির মুরাদ কে আমার সামনে চাই আগামি এক ঘন্টার মধ্যে...""কথা টা বলে বর্ণ ওয়াশরুমে ঢুকে যায় শরীলে লেগে থাকা রক্ত মুছার জন্য..

এদিকে মিহির  বর্ণের অর্ডার মতো একমিনিট ও লেট না করে মুরাদ কে কল করে....
.
.
.
বর্ণ পুরনো ফাইল গুলো বার বার চেক করছে কিছুতেই সেই ফাইলটা পাচ্ছে না বর্ণ ৷ যে ফাইলে কাব্য গ্রপ এন্ড ইন্ড্রাস্টিজের সব ডিটেইলস ছিলো ৷ বর্ণের ঠিক মনে ছিলো সে তার সির্গরেট আলমারিতে রেখরছিলো তাহলে এখন কোথায়! রাগে মাথা ছিড়ে যাচ্ছে বর্ণের তবুও নিজেকে শান্ত রাখছে ৷ কারন ফাইল টা পাওয়া নিত্যান্তই ভিষন রকম প্রয়োজন৷ বর্ন তার অফিস কেভিনের সাথে এটার্চ সিগরেট রুমের সিগরেট আলমারিতে সব ফাইল গুলো রেখে ছিলো এই ফাইল নেই মানে কেউ একজন আগে সরিয়েছে৷ তবে কে হতে পারে ? ভাবনায় পড়ে যায় বর্ণ ৷ হঠাৎ তখনি কাধে কারো হাতের স্পর্শ পায় বর্ণ ৷ পিছুনে তাকিয়ে মুরাদ কে দেখে বর্ণের চোখ মুখ কুচকিয়ে ফেলে...

"" তুই এখানে কি করিস ""

"" কেন তুই তো আমাকে ডেকে পাঠালি তাহলে এখন কেন এই কথা বলছিস?""

বর্ণ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মুরাদ কে বলে" আমি আমার টিয়াপাখিকে খুজে পেয়েছি মুরাদ""

"" ওয়াট সত্যি ছন্দ না মানে ভাবির খবর পেয়েছিস ৷ কোথায় আছে ভাবি আর কেমন আছে ?""

" টিয়াপাখি অতিতের সব কথা ভূলে গেছে মুরাদ ইভেন আমাকেও ৷ আর সে সুযোগে ও সাব্বির আহাম্মেদ আর তার পরিবার মিলে আমারি অজান্তে আমার-ই টিয়াপাখিকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় ৷ কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মুরাদ সেই বিয়ের রাতে টিয়াপাখি আর তার বরের গাড়ি এক্সিডেন্ট করে ৷ ড্রাইভার আর সেই বর মারা যায় কিন্তু টিয়াপাখি বেঁচে যায়৷ "

"" ওহ মাই গড কি বলছিস কি  ৷ ওমন ব্রাইড ডেয়ারিং স্টুডেন্ট এর শেষে কিনা এই অবস্তা হলো ভাবা যায়? তবে আমি এখনি ডিপার্টমেন্টদের ভাবির বেঁচে থাকার কথা জানাবো না ৷ তাদের রেকর্ডে ভাবি মৃত৷"

"" হ্যা জানানোর কোন প্রয়োজন নেই ৷ আমি চাই আমার টিয়া পাখি আগের  রুপে ফিরে আসুক মুরাদ ৷ অনেক সময় চলে গিয়েছে আমার জীবন থেকে আর না ৷ আমি আমার টিয়াপাখিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবো "" উত্তজিত হয়ে..

" মাথা ঠান্ডা কর বর্ণ ৷ আমাদের এখন মাথা গরম করে কাজ করলে চলবে না ৷ বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে৷ আর এর জন্য ও বাড়ির কারো হেল্প প্রয়োজন ৷ বাট তুই চিন্তা করিস না তোর বেস্টফ্রেন্ড যখন এসে পরেছে তখন তোর আর কোন চিন্তা নেই তবে একটা কথা তোর পিএ মানে মিহির ছেলে টা কিন্তু বড্ড ভালো তবে খুব ভিতু ৷ এটা কে দিয়ে আর যাই হোক তোর আমার কোন কাজে আসবে না তাই ওর বদলে আজ থেকে আমি তোর পিএ ওকে?"

" ডান তবে মিহির কে অন্য কাজে এড করে দে নাহলে বেচারা না খেতে পেয়ে অকালে চলে মারা পড়বে" মুখে হাসি নিয়ে বললো বর্ণ..

""হ্যা ঠিক বলেছিস তুই , বাট আমি ভাবছি কার এতো বড় কলিজার পাঠা হলো যে তোর সাথে পাঙ্গা নেয়৷ এর পিছুনে যে অন্য কারোর হাত আছে এটা তুই ও জানিস আর আমিও জানি ৷ এখন সেই আসল মাথাটাকে খুজে বের করতে হবে আমাদের..""

১৭!!

ছন্দ তার ভাবি কে নিয়ে হসপিটালে এসেছে বিশমিনিটের মতো হলো কিন্তু এখনো সিরিয়াল নাম্বার এলো না ৷ তার মায়ের কিছু একটা কাজ পড়ে যাওয়া বাধ্য হয়ে তাকে একাই তার ভাবি কে নিয়ে আসতে হলো৷ এখন প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছে ছন্দ ৷ এদিকে রুনার চোখে মুখে চিন্তার ছাপ ৷ যতোক্ষন টা সত্যিটা জানতে পারছে ততোক্ষন নিশ্চিত হতে পারছে না রুনা৷ ছন্দ কে ননদ না নিজের ছোট বোন মনে করে আর সেই বোনের কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করবে এটা রুনা কিছুতেই মেনে নিবে না ৷ তাই আজ রুনা তার বন্ধু নায়মা কে কল করে আসতে বলে ৷ ছন্দের যাতে সন্ধেহ না হয় তাই নায়মা আগে রুনার ডক্টরের কেবিনে ওয়েট করছে নায়মা ৷ রুনা চেকয়াপের সময়টা যেন কথা বলতে পারে তার জন্য... 

কিছুক্ষণ পর রুনার সিরিয়াল নাম্বার আসলে রুনা ছন্দ কে বসতে বলে নিজে একাই ডক্টরের কেভিনে ঢুকে যায়৷ 

"" তুই এসে পরেছিস" বলতে বলতে নায়মা রুনা কে জরিয়ে ধরে..

"" হ্যা , ডক্টর আমি ডক্টর নায়মার সাথে আলাদা একটু কথা বলতে চাই""(রুনা)

"" নো প্রব্লেম মিসেস আহাম্মেদ৷ আপনার ওই রুমে গিয়ে কথা বলতে পারেন"(ডক্টর)

"" থ্যাংকস ডক্টর""

"" ওয়েলকাম""

অন্যরুমে মানে যে রুমে পেশেন্টদের চেকয়াপ করা হয়৷ সে রুমে গিয়ে নায়মা বলতে লাগলো" দোস্ত এই মেডিসিন গুলো পেতে আমার ভিষন ঘোল খেতে হয়েছে ৷ এই নে তোর মেডিসিন আর শোন মেডিসিন গুলো খুব সাবধানে পাল্টে দিস আবার শেষ হলে আগের মেডিসিনের সাথে পাল্টে রাখবি  ৷ এভাবে যদি কয়েক টা কোর্স করে মেডিসিন গুলো খাওয়ানো যায় তাহলে সে ব্যাক্তির পুরনো সব কথা মনে পড়ে যাবে৷ ""

"" সত্যি বলছিস?"

"" হান্ড্রেড পার্সেন বাট একটা কোশ্চেন তুই মেডিসিন গুলো কার জন্য নিয়েছিস? কার এমন ক্ষতি করলো আর কে সে যাকে তুই বাচাতে চাইছিস?"

"" সে আমার খুব কাছের একজন মানুষ বলতে পারিস নিজের ছোট বোন মানি"

"" রুনা আই থিং এই বোন তোর কোন ভাবে ননদ নয়তো? কারন তোর তো কোন বোন নেই আর তুই বিয়ের পর একবার আমাকে বলেছিলিস তুই তোর ননদ কে নিজের বোন মনে করিস তাই না?""

নায়মার কথার পরিপ্রেক্ষিতে রুনা শুধু মুচকি হাসি দিলো৷ রুনার মুচকি হাসি দেখে নায়মা বুজতে পারলো ওর ধারনাটাই সঠিক মেয়েটা আর কেউ নয় ওর ননদ..

"" রুনা তুই তোর চেকয়াপ করিয়ে নে ততোক্ষনে আমি তোর ননদ কে একটু দেখে আসি""

"" ওকে যা তবে সাবধান ও যেন কিছু বুজতে না পারে৷""

"" হুম""

রুনা ডক্টরের সাথে কথা বলতে নিলে নায়মা ছন্দ কে দেখার জন্য কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে৷ বাইরে এসে করিডরে দারিয়ে থাকা একটা মেয়ে কে দেখতে পায় নায়মা ৷ 

ছন্দের বিরক্ত লাগছে বিধায় করিডরে কিছুক্ষন হাটা হাটি করে দারিয়ে ব্যাস্ত শহর দেখায় ব্যাস্ত৷ নায়মা যে তার পাশে দারিয়ে ওকে দেখছে এটা ছন্দ টের পায়নি৷ 

৫'৫" ইন্চির কাছাকাছি ছন্দের হাইট ৷ এটা সহজে বুজতে পারলো নায়মা কারন তার হাইট ও সেম ৷ হালকা কোকড়ানো ঘন চুল গুলো কোমড় ছাড়িয়ে গেছে ৷ বাতাসে চুল গুলো উড়ছে৷ ছন্দের গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যাম বর্নের   , মুখে অসম্ভব মায়া ৷  ছন্দের দুচোখ জোড়া সব থেকে সুন্দর যে এবার ছন্দের চোখের দিকে তাকিয়েছে সে তার এই চোখের মায়ায় পড়েছে ৷ চিনক কালো ব্রুজোড়ার বিরক্তি নিয়ে কুচকে আছে ৷ এটা দেখে নায়মার বেশ লাগছে ৷ 

"" ইস আমার যদি কোন ভাই থাকতো তাহলে এই মায়াবতি কে আমার ভাইয়ের বউ করে নিয়ে যেতাম ৷ ধ্যাত বাবা মা আমার জন্মের পর কি করেছিলো কি জানে একটা ভাই বোনের মুখ দেখলাম না ৷ "" নায়মার বির বির করা শুনে পাশ ফিরে তাকাতে নায়মা কে দেখতে পায় ছন্দ...

"  আপনি , আপনি কে ?""(ছন্দ)

"" আমি একজন ডক্টর আপু""(নায়মা)

"" ডক্টর না ছাই আমার তো মনে হয় আপনি একজন পাগল নাহলে এমন ভাবে কেউ বির বির করে কথা বলে"(মনে মনে)

"" ওহ আচ্ছা ""

"" হুম , আচ্ছা আসি তাহলে""

"" হুম "" 

নায়মা মুচকি হেসে ছন্দের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে যায় ৷ হঠাৎ মেয়ে ডক্টরের এমন কাজে ছন্দ অবাক ৷ ছন্দ ধরে নেয় মেয়েটি পাগল নয়তো জানা নেই শোনা নেই হুট করে অন্য মেয়ের মাথা হাত বুলিয়ে দেয় ৷ 

ছন্দের ভাবনার মাঝে রুনা ধির পায়ে এসে হাজির হয়৷ ছন্দ তার ভাবি কে দেখে মুখে হাসি ফুটে ওঠে ৷

"" এসে পরেছো ভাবি ৷ ডক্টর কি বললো পুচকো ঠিক আছে তো?"

"" হুম পুচকো একদম ঠিক আছে ৷ চলো এখন বাড়ি ফিরে যাওয়া যাক""

"" হুম চলো""

রুনা মেডিসিন গুনো নিজের ব্যাগে লুকিয়ে রাখে যাতে কারোর নজরে না পরে ৷ 

বাসায় এসে ছন্দ বাইরের জামা কাপড় ছেড়ে ফ্রেস হয়ে নিয়ে কার্টুন দেখতে বসে ৷ আর রুনা নিজের রুমে বসে রেস্ট নেয় আর ভাবে কখন কি ভাবে মেডিসিন গুলো পাল্টে রাখবে৷

ছন্দ টিভি দেখার সময় ওর ফোনটা বেজে ওঠে ছন্দ ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে বন্যার কল ৷ ছন্দ হাসি মুখে কলটা রিসিব করে৷

১৮!!

" কিহ এটা কি করে সম্ভব মিলন বর্ণ কি করে সব টা জানতে পারে?"(অজানা)

"" আই ডোন্ট নো বস বাট আমরা যে ওর গোডাউনের গার্ড কে টাকা খাইয়ে ভিতরের যে ইনফরমেশন গুলো নিতাম এটা বর্ণ জেনে গেছে ৷"(মিলন)

"" শিট এখন কি হবে ? বর্ণ ঠিক আমাকে খুজে বের করবে বাট তার আগে ওর দূর্বল জায়গায় আমাকে আঘাত করতে হবে মিলন ৷ বর্ণ দূবর্ল হয়ে পড়লে আমাদের উপর এট্যাক করতে পারবে না৷""

"" বস বড় ভাইকে সবটা জানালে হতো না?""(মিলন)

"" নাহ একদম না বড় ভাই গত চার বছর ধরে ইউ কে পড়ে আছে ৷ ওখান থেকে ওখানকার বিজনেস দেখা শুনা করছে আর আমাকে বিডির বিজনেস দেখার ভার দিয়েছে সেখানে আমি এই সামন্য তুচ্ছু বেপার টা বড় ভাই কে জানিয়ে বিরক্ত করার কোন মানে হয় না মিলন..""

"" ওকে বস আপনি যা বলবেন তাই হবে""

"" আমি চাই আগামি কাল বর্ণের জীবনে যেন শেষ দিন হয় ৷ অনেক জ্বালিয়েছে আমার কোম্পানির প্রায় ফিফটি ওয়ান পার্সেন্ট শেয়ার ওর নিজের নামে করে নিয়েছে ৷ আর বাকি কোম্পানি গুলো কিনে নিয়েছে ওকে তো আমি এতো সহজে ছাড়বো না আমি ৷ আমাকে দেউলিয়া করে দিতে চাচ্ছে৷"" 

"" বস দেউলিয়া তো আপনি প্রায় হয়ে গেছেন."" কথাটা বলে চুপ হয়ে যায় মিলন কারন তার কথার মাঝে তার বসের ফোন বেজে ওঠে আর কল টা বড় ভাইয়ের....

"" বস বড় ভাই ফোন করেছে ইউ কে থেকে..."" 

মিলনের কথা শুনে শুকনো ঢোক গিললো ..

"" ফোন টা দে""

কল রিসিব করতে যাবে তখনি কলটা ডিসকানেক্ট হয়ে যায় ৷ সাথে সাথে মিলন আর তার বস সস্থির শ্বাস ফেলে .....

"" মিলন তোকে যা বলেছি তা যেন কালই হয়ে যায় ৷ তারপর আমি ওর সুন্দরী বোনটা আছে না কি যেন নাম..."

"" বন্যা ,আহানা চৌধুরী বন্যা বস""

"" হুম বন্যা এই মেয়েটাকে আমার চাই ""

"" পেয়ে যাবেন বস কাল আপনার বেডে থাকবে এই মেয়েটি"" কথাটা বলে এক কুৎচিত হাসি দিলো মিলন ...
.
.
.
.
রাতে ডিনারে কিয়ারা রুনা কে আগেই খাবার খাইয়ে দেয়৷ কারন প্রেগনেন্সির সময় টাইমলি খাবার খাওয়াটা খুব জরুলি. .. 

কিয়ারা বেগম রুনা কে খাইয়ে দিয়ে ডিনার সার্ব করে দেয় ৷ কিয়ারা বেগমের হাতে হাতে মুন্নি নামের নতুন কাজের মেয়েটি কাজ করে দেয়৷ কিয়ারা বেগম একা সংস্যার সামলে উঠতে না পারায় কাব্য একটা কাজের মেয়ে নিয়ে আসে ৷ মেয়েটির বয়স ১৬-১৭ হবে ভিষন মিষ্টি দেখতে মেয়েটি ৷ কাজ ও ঝটপট করে দিতে পারে ৷ তার জন্য কিয়ারা বেগম ভিষন সন্তষ্ট মুন্নির উপর ৷ কিয়ারা বেগম খাবার সার্ব করে মুন্নিকে প্লেটে তার খাবার টা দিয়ে দেয় ৷ মুন্নি তার প্লেট ভরা ভাত বড় মাছের টুকরো মাংস দেখে অবাক হয়ে যায় ৷ গ্রামে থাকা কালিন কখন এতো বড় মাছের টুকরো চোখে দেখেনি মুন্নি আর মাংস তো দুরে থাক ৷ ভিষন দরিদ্র মুন্নি ছোট ছোট দুটো ভাই বোন আছে মুন্নির আর বিধবা মা ৷ কাজের খোজে শহরে আশা পরিবারের ৷ 

মুন্নি কে চুপ থাকতে দেখে কিয়ারা বেগম ধমক দিয়ে ওঠে" এই মেয়ে কি হলো খাবারের দিকে এভাবে হা করে না তাকিয়ে থেকে ঝটপট খেয়ে শুয়ে পড় কাল আবার সকাল সকাল উঠতে হবে তোকে৷ ""

"" আম্মা রাতের এটো থালা বাসুন ধোয়ন লাগবো না?""(মুন্নি)

"" ওটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না তোকে যা বলেছি তাই কর ""( কিয়ারা বেগম)

"" জে আম্মা.."" মুন্নি খাবারের প্লেট টা নিয়ে রান্না ঘরের মেঝেতে বসে খেতে থাকে ৷ ""

কিয়ারা বেগম  ছন্দ কাব্য আর সাব্বির আহাম্মেদ কে খেতে ডাকতে লাগলো ৷ রুনা যেন সেই সুযোগে ছিলো কখন কাব্য আর বাকিরা খেতে যাবে আর তখনি ও ওর কাজ টা সম্পূর্ন করবে ৷ কাব্য রুম থেকে বের হওয়ার সময় রুনাকে এক ঝলক দেখে নেয় ৷ রুনা ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকে৷ রুনা ঘুম ভেবে কাব্য দরজা ভেজিয়ে নিচে চলে যায়৷ কাব্য যেতে রুনা উঠে বসে কাবার্ড থেকে ব্যাগ টা বের করে মেডিসিন গুলো শাড়ির আচলের তোলায় লুকিয়ে ফেলে ছন্দের রুমে দিকে চলে যায়৷ খুব সাবধানে মেডিসিন গুলো পাল্টে রুনা নিজের রুমে এসে দরজা ভেজিয়ে ব্যাগ কাবার্ডে তুলে রেখে বিছানায় শুয়ে পড়ে ৷ 

১৯!!

ক্লাবে মুরাদ বর্ণ দুজনে বসে ড্রিং করছে ৷ আশেপাশে অনেক গুলো মেয়ে বর্ণ আর মুরাদ কে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ৷ ডিপ ব্লু কালার কোট ওয়াইট শার্ট , কানে ব্লুটুথ , চুল গুলো স্পাইক করা হাতে ব্রান্ডের রিচ ওয়াচ পায়ে শু বর্নের ৷ বর্ণের ব্রাউন কালার চোখ আর চকলেট কালার ঠোট জোড়া মেয়ের যেন বেশি আকৃষ্ট করে আর মুরাদ এ্যাস কালার ব্লেজার তার নিচে ব্লাক শার্ট পরা চোখে সানগ্লাস ৷ মেয়ে গুলো মাঝে মাঝে মুরাদ কে দেখে হাসছে ৷ ক্লবের ভিতর বসে চোখে সানগ্লাস পরে থাকতে দেখে ৷ 

বর্ণ আর মুরাদের ড্রিং করার মাঝে একটা লোক ব্রিফকেস নিয়ে হাজির হয় ৷ লোকটাকে দেখে বর্ণের চোখ মুখের রঙ পাল্টে গেল ৷ এদিকে মুরাদ বিষয় টা বুজতে পেরে বর্ণের হাত চেপে ধরে.......
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।