বর্ষণের সেই রাতে - পর্ব ৫৩ - সিজন ২ - অনিমা কোতয়াল - ধারাবাহিক গল্প


পুরোনো কথা মনে করতেই অনিমার বুকের মধ্যে কেমন করে উঠল। অতীত এমন একটা শব্দ, যেটা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি, নিজেদের শোধরাতে পারি। কিন্তু সেই অতীতই অাবার মানুষের পিছু ছাড়েনা। মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে যেতে চায়না সে। কখনও রাতের আঁধারের গভীর স্বপ্নে হানা দেয়। কখনও বাস্তবতা হয়ে সামনে এসে। যতই ভোলার চেষ্টা করোনা কেন। অতীত নিজেকে ভুলতে দেয়না। আর্জুর কথা মনে পরলেই অনিমার চাপা এক যন্ত্রণা হয় ভেতরে ভেতরে। কতটা বিষাদময় আর ভয়াবহ ছিল সেই দিনটা? সেইসব দৃশ্য কল্পনা করলেও যে শরীর কেঁপে ওঠে ওর। মাথাও ঝিমঝিম করে উঠছে হালকা। অনিমার চোখে-মুখে এরকম আতঙ্ক দেখে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে আদ্রিয়ান বলল,

" তোমার কষ্ট হলে কিছু বলতে হবেনা।"

অনিমা গ্লাসটা নিয়ে পানিটা শেষ করল। এরপর লম্বা দুটো শ্বাস ফেলে একবার আদ্রিয়ান আরেকবার হাসান কোতয়ালের দিকে তাকাল। তারপর একটা ঢোক গিলে বলল,

" তোমরা আর্জু আপুকে কীকরে চেনো?"

হাসান কোতয়াল অনিমার দিকে একটু এগিয়ে বসে অনিমার মাথায় হাত রাখল। এরপর নরম স্বরে বলল,

" আছে কোন যোগসূত্র। এখন আপাতত আমাদের সত্যিটা বলো। কী হয়েছিল আমি চলে যাওয়ার পর?" 

অনিমা চোখ বন্ধ করে হাত দিয়ে সারামুখের ঘামটা মুছে নিল। এরপর বলতে শুরু করল,

" তুমি আমাকে মামাবাড়িতে রেখে যখন রাজশাহী গেলে। এরপর ও বাড়িতে এমনিতে সব ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ ফোন এলো যে ওখানে তোমার এক্সিডেন্ট হয়েছে আর তুমি মারা গেছ। সেটা শুনে আমার অবস্থা কী হয়েছিল জানো? আমার তো নিজের বলতে তুমিও আছো। মানতেই পারিনি কথাটা। কিন্তু যখন ওরা একটা লাশ নিয়ে এলো, আর তারসাথে থাকা তোমার আইডি কার্ড। পুলিশ যখন নিশ্চিতভাবেই বলল ওটা তুমি। আমার দুনিয়াই থেমে গিয়েছিল। চিৎকার করে কেঁদেছিলাম সেদিন আমি। আমারও মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো আব্বু।"

বলে হাসান কোতয়ালকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। বাবা সবসময় আমাদের ছায়া দিয়ে আগলে রাখে। যতদিন বাবা নামক সেই ছায়া আমাদের মাথার ওপর থাকে ততদিন আমরা বুঝতেই পারিনা এই পৃথিবী কতটা কঠিন। কিন্তু সেই বাবার ছায়া মাথার ওপর থেকে সরে যায়। তখন আমরা বুঝতে পারি আমরা কী হারিয়েছি। সেটা অনিমাও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। অনিমার কান্না দেখে আদ্রিয়ানের ভেতরটা ছটফট করছে। ওর মায়াবিনীর কান্না ওর মোটেও সহ্য হয়না। কিন্তু বাবা-মেয়ের মধ্যে ঢোকা ঠিক হবেনা। তাই চুপচাপ বসে আছে। হাসান কোতয়াল মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলল,

" কাঁদেনা মামনী। আমি চলে এসছি তো। এবার বলো কী হয়েছিল তারপর?"

অনিমা সোজা হয়ে বসে চোখ মুছে নিল। এরপর কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। আদ্রিয়ান আর হাসান কোতয়ালও ওকে সময় দিলো নিজেকে স্বাভাবিক করে নেওয়ার জন্যে। নিজেকে সামলে নিয়ে অনিমা বলতে শুরু করল,

" আমি প্রচণ্ড ভেঙ্গে পরেছিলাম। তখন থেকে মামা-মামী আর অর্ক ভাইয়াদের সাথে ওনাদের বাড়িতেই থাকতে শুরু করি। আমি তখন সবেমাত্র ক্লাস নাইনে ছিলাম। তাই বাবার অফিসটা মামাই দেখতো। কিন্তু..."

আদ্রিয়ান ভ্রু কুচকে বলল,

" কিন্তু কী?"

অনিমা চুপ করে আছে একদম। কারণ ওর মামা-মামি তেমন ভালো ব্যবহার করতো না ওর সাথে। যদিও খুব খারাপ ব্যবহার যে করত ঠিক তাও না। তবে ওর বাড়িতেই ওকে একপ্রকার কাজের লোকের মতই কাজ করতে হতো। অনিমাও চুপচাপ সব করতো। মাঝেমাঝে ওর মামী দু-একটা কটু কথা শোনাতো। আগের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের জন্যে ফোনও ছিলোনা ওর সাথে। তারওপর ও যত বড় হচ্ছিলো অর্ক ওকে কেমনভাবে যেন দেখতো। সেই দৃষ্টির উদ্দেশ্য সেদিন বুঝতে না পারলেও আজ বুঝতে পারে ও। 

" কী হল বল?"

হাসান কোতয়ালের ডাকে হুশ এলো অনিমার। না, ওসব বলে এখন সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি করার কারণ নেই। এখন তো হব ঠিকই আছে। তাহলে ঝামেলা করে লাভ কী?

" এভাবেই কয়েক বছর কেটে গেল। স্কুল-কলেজ, মিলিয়ে সব ভালো চলছিল। একদিন বিকেলবেলা আমি আমার মন ভালো ছিলোনা তাই কলেজ শেষে একাই হাটতে বেড়িয়েছিলাম।"

আসলে সেদিন সকালে কলেজ আসার সময় ওর মামী বকাবকি করেছিল। তাই না খেয়েই বেড়িয়ে পরেছিল আর মনও খারাপ ছিল ওর ভীষণ। অনিমা একটু থেমে বলল,

" ওখান থেকে বেশ নদীর পারে গিয়ে বসে ছিলাম আমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে মনটা ভালো হচ্ছিলো। ওখানে থাকতে থাকতে ঠিক কখন যে সন্ধ্যা হয়ে এলো বুঝতেই পারলামনা।"

আদ্রিয়ান আর হাসান কোতয়াল দু-জনেই বেশ কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অনিমার দিকে। এরপরের ঘটনাতেইতো এই কাহিনীর আসল মোড়। ওনাদের জন্যে সবচেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অনিমা আবার বলতে শুরু করল। আর তারসাথে ভাবতে লাগল সেদিনের কথা।

একটা মেয়ের গোঙানোর আওয়াজ আসছির অনিমার কানে। অনিমা প্রথমে ভয় পেলেও পরে ভেবে দেখল কেউ বিপদে পরেছে নিশ্চয়ই। আর কোন বিপদে পরা ব্যাক্তিকে সাহায্য করা উচিত। ও সেই শব্দ অনুসরণ করে খানিকটা এগোলো। ও যত এগোচ্ছে আওয়াজ ততই বাড়ছে। ও খেয়াল করল আওয়াজ টা একটু দূরে থাকা বড় মেহগনি গাছের ওদিক থেকে আসছে। অনিমা দৌড়ে গেল সেদিকে। গিয়ে দেখল গাছের সাথে হেলান আধশোয়া হয়ে একটা মেয়ে বা হাতের বাহু চেপে ধরে কাতরাচ্ছে। অনিমা দ্রুত বসে মেয়েটাকে ধরে বলল,

" আপু কী হয়েছে তোমার?"

মেয়েটা হাফানো কন্ঠে বলল,

" জ-জল।"

অনিমা দ্রুত ব্যাগ থেকে পানির বোতল বেড় করে মেয়েটাকে খাইয়ে দিয়ে বলল,

" আপু তোমার তো প্রচুর রক্ত পরছে।"

বলে ওর ওড়না খুলে মেয়েটাকে জখম জায়গাটা বেঁধে দিল। মেয়েটা বলল,

" আমাকে প্লিজ এখান থেকে নিয়ে যাও দ্রুত। ও-ওরা চলে এলে আমায় মেরে ফেলবে। প্লিজ তাড়াতাড়ি করো।"

অনিমা ওকে ধরে ওঠার। অনিমার কাঁধের ওপর ভর দিয়ে। হাটছে মেয়েটা। মেইন রোডে গিয়ে প্রথমেই ওরা হাসপাতালে গেল। গুলিটা হাত ছুঁয়ে বেড়িয়ে গেছে তাই আর তেমন কিছু করতে হয়নি। মেয়েটা বেশ ক্লান্ত। বেশ রাতেই অনিমা মেয়েটাকে নিয়ে বাড়িতে এলো। মেয়েটাই রিকুয়েস্ট করেছে ওকে আজ রাতটা কোথাও একটা নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করতে। বাড়ি ফেরার পর ওর মামী এ নিয়ে অনেক ঝামেলা করল কিন্তু অনিমা পাত্তা দেয়নি। শুধু বলেছে ও ওর কলেজের এক সিনিয়র আপু। আজ রাত এখানে থাকবে।
অনিমার রুমে শুয়ে মেয়েটা রেস্ট করছে। অনিমা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল,

" তোমার নাম কী?"

মেয়েটা চোখ খুলে একটু হেসে বলল,

" আর্জু! আর্জু শর্মা।"

অনিমা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

" তুমি ভারতীয়? তারওপর অবাঙালী? তাহলে এতো ভালো বাংলা বলছ কীভাবে?"

" আমার বাবা ইন্ডিয়ান ছিলেন। কিন্তু মা বাঙালি। তাই এতো ভালো বাংলা জানি।"

অনিমা ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। এরপর কিছু একটা ভেবে বলল,

" তুমি এদেশে কী করছ? আর তোমাকে গুলি কে করল? ওরা তোমাকে মারতে চায় কেন? তুমি কী করেছ? আর ঐ ব্যাগে কী আছে? যা তুমি ঐরকম হাতছাড়া করোনি? জাপটে ধরে ছিলে।"

আর্জু কিছুক্ষণ অনিমার দিকে তাকিয়ে থেকে হেসে দিয়ে বলল,

" একদম বাচ্চাদের মত প্রশ্ন করতেই থাকো তুমি। মিষ্ট মেয়ে। তোমার নাম তো অনিমা মানে অনি তাইনা?।"

" হ্যাঁ। কিন্তু তুমি বলোনা আসল ব্যাপারটা!"

আর্জু একটা ছোট্ট শ্বাস ফেলে ঠিক হয়ে বসে বলল,

" আমার পাপা পাঁচ সাল আগেই মারা গেছেন। দু-বছর আগে আমি বাংলাদেশে মা'র কাছে চলে আসি। ও হ্যাঁ। আমার মা পেশায় একজন সিআইডি অফিসার ছিলেন। এখানকার এক আশ্রমের মাদারের সাথে মায়ের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। এখন আমারও বেশ ভালো সম্পর্ক। মায়ের কাজের ব্যাপারে আমি তেমন খোঁজ রাখতাম না। কিন্তু একদিন বেড় হওয়ার আগে মা আমাকে একটা ছোট ব্যাগ দিয়ে যায়। আর বলে এই ব্যাগে যা আছে সেটা আমাকে যত্ন করে রাখতে। উনি যদি না ফেরেন। তাহলে এটা নিয়ে কোন ক্রাইম রিপোর্টারকে দিতে। কিন্তু ভালোভাবে জেনেবুঝে তারপর। আমি অবাক হয়েছিলাম। মা নিজে আইনের লোক হয়ে পুলিশ বা কোন অফিসারকে দিতে না বলে জার্নালিস্ট কে কেন দিতে বললেন। আর দিলে তো মা'ই দিতে পারতেন। আমাকে কেন বললেন? আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটাতে কী আছে। মা বলেছিল এটাতে মিনিস্টার রঞ্জিত চৌধুরী আর কবির শেখ কে শেষ করে দিতে পারে। আর কিছু না বলেই বেড়িয়ে গেছিল মা। কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। ঐদিন একটা অপরেশনে মা মারা যায়।"

বলতে বলতে চোখ ভিজে এলো আর্জুর। অনিমা করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। ওও তো ওর বাবাকে হারিয়েছে। তারসাথে অবাক হল এটা ভেবে যে রঞ্জিত চৌধুরীকে ও সবসময় সৎ নেতা হিসেবেই জেনে আসছে। সত্যি দুনিয়া কত অদ্ভুত! তারচেয়েও অদ্ভুত এই গ্রহে বাস করা মানুষগুলো। কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ বলা মুশকিল। অনিমা আর্জুর কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিল। আর্জু বলল,

" কিন্তু ওরা কোনভাবে জেনে গেছে আমার কাছেই এই ব্যাগটা আছে। আমাকে মারার জন্যে আর ব্যাগটা পাওয়ার জন্যে উঠে পরে লেগেছে ওরা। আমাকে যেকোন মুহূর্তে মেরে ফেলবে ওরা।"

" তুমি ব্যাগটা কোন রিপোর্টারকে দাওনি কেন?"

" অনেক রিপোর্টারই ওদের কেনা। তাই হুটহাট কারো হাতে তুলে দিলেই হবেনা। তুমি শুধু একটা হেল্প করো। আমাকে কাল মাদারের কাছে পৌঁছে দাও। তোমার পোশাক পরে মুখ ঢেকে আমি যাবো। তাহলে আমায় চিনতে পারবেনা ওদের লোক।"

অনিমা মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। পরেরদিন সকালে কথামত অার্জুকে নিরাপদে পৌঁছে দিল মাদারের কাছে। এরপর বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। অনিমা গিয়ে আর্জু আর মাদারের সাথে দেখা করত। আর্জু ঐ অনাথ আশ্রম ছেড়ে বেড়ই হতোনা। এই যাওয়া-আসায় আর্জু আর মাদার দুজনের মধ্যেই বেশ ভালো বন্ডিং তৈরী হয়ে গেছে ওর। মাদার আর্জুর সাথেসাথে অনিমাকেও চোখে হারায়। সেই ছোট্ট ব্যাগে থাকা জিনিসপত্র মাদারের কাছেই আছে সযত্নে। ওরা শুধু অপেক্ষা করছিল তিনজন ওয়েট করছিল একটা উপযুক্ত সময়ের।কিন্তু মাদারকে মাসখানেকের জন্যে বেড় হতে হয়। আর অনিমা বা আর্জু কারো কাছেই ঐ জিনিসগুলো নিরাপদ নয় বলে মাদার সেগুলো সাথে করে নিয়ে যায়।

ঐ একমাসের জন্য অনিমা আর্জুকে নিয়ে আসে ঐ বাড়িতে। এই নিয়ে অনিমার মামী কম ঝামেলা করেন নি। কিন্তু এবারেও অনিমা পাত্তা দেয়নি। বেশ অনেকগুলো দিন পার হয়ে যায়। আর্জু মাঝেমাঝেই বলতো অর্কর ব্যবহার ওর ভালো লাগেনা। কেমন খারাপ নজরে দেখে ওকে। অনিমা প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বোঝে ব্যাপারটা। আর্জুকে বলে একটু দূরত্ব মেনে চলতে। কিন্তু একদিন অর্ক এতোটাই বাড়াবাড়ি-ই করে ফেলে যে আর্জু চড় মেরে বসে। আর এইজন্যই ঐরকম সন্ধ্যাবেলাতেই আর্জুকে ঘর থেকে বেড় করে দেয় অনিমার মামী। নিজের ছেলের দোষটা চোখেই দেখতে পায়না সে। অনিমা যাতে পেছনে যেতে না পারে তাই ওকে আটকে রেখেছিল ঘরে। কিন্তু অনিমা পেছনের দরজা খুলে বেড়িয়ে যায়। কারণ আর্জুর লাইফ কতটা রিস্কে সেটা শুধুমাত্র ও-ই জানতো। ও ছুটে যায় আর্জুর কাছে। আর্জু তখন রাস্তার পাশে ভয়ে গুটিশুটি মেরে বসে আছে। অনিমা ওর পাশে গিয়ে বসতেই। আর্জু অনিমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। এখন কী করবে ওরা সেটাই ভাবছে। আপাতত দুজনের প্রাণই ভয়ংকর বিপদের মুখে আছে। শো শো শব্দে তীব্র বাতাস বইছে। আকাশের গুরুম গুরুম শব্দে যেনো মেঘেদের যুদ্ধের শঙ্খনাদ করছে। সেটা যেন স্পষ্ট বলে দিচ্ছে আজ শুধু আকাশে নয় মাটিতেও ভয়ংকর কিছু হতে চলেছে। শীঘ্রই অনাকাঙ্ক্ষিত কোন অঘটন ঘটতে চলেছে। খুব শীঘ্রই।
.
.
.
চলবে........................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন