পরী (পর্ব ০১)

পড়ুন চাঁদনী নূর লামিয়া'র লেখা একটি থ্রিলার গল্প পরী'র প্রথম পর্ব
পরী
পরী

জোহরার কাঁধে কারোর গরম নিশ্বাস পড়ছে! উথাল-পাথাল নিশ্বাসের উপচে পড়াতে ওর কাঁধের উপরে পড়ে থাকা চুলের গোছায় মৃদ্যু ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই নিশ্বাসের সাথে তাল মিলিয়ে ওর শরীরে অদ্ভূত এক শিহরণ বয়ে যাচ্ছে।
জোহরা ওর স্বামী উমর ভেবে দুই চোখ বন্ধ করে অবিরাম সেই নিশ্বাসের উষ্ণতা অনুভব করছে। জোহরার নতুন বিয়ে হয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ উমর হাসনাত ফয়েজের সাথে পারিবারিক ভাবে ওর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। নতুন নতুন বিয়ে হওয়ায় ওরা স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মধ্যকার একান্ত সময়গুলো যত্ন সহকারে উপভোগ করছে। কিন্তু উমর তো বাড়িতে নেই; সে তো এখনো দোকান থেকে ফেরেনি! হঠাৎ করে কথাটা মনে পড়তেই জোহরা চোখ খোলে পিছনে ঘুরে দাঁড়ায়। তারপর আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করে ওর পিছনে কেউই নেই! অথচ জোহরা ওর কাঁধে কারোর গরম নিশ্বাস স্পষ্ট অনুভব করেছে। তাহলে ওদের রুমে ওর এতটা কাছে এতক্ষণ কে দাঁড়িয়ে ছিল? মূহুর্তের মধ্যেই জোহরা ভয়ে শিউরে ওঠে! বাড়িতে তো পুরুষ মানুষ বলতে এখন কেউই নেই। জোহরার শ্বশুর মোঃ মনির হোসেন আর দেবর ইয়াসিন মসজিদে আসরের নামায পড়তে গেছে। ইয়াসিন অনেক ছোট। আর ওর শ্বশুর সুগার এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে বয়সের আগেই অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া তিনি কখনোই তার বড়ো ছেলের রুমে আসেন না। এখন তো তাঁর ছেলে বিবাহিত। কিন্তু উমরের বিয়ের আগেও তিনি অতি দরকার ছাড়া ছেলের রুমে যেতেন না। ছেলেমেয়েরা যখন বড়ো হয়, তাদের ব্যক্তিগত অনেক ব্যাপার থাকে যেগুলো পরিবারের কাছেও প্রকাশ করা যায় না। তাই তাদের রুমে প্রবেশের আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
মনির হোসেনের চার মেয়ে আর দুই ছেলে। তাঁর স্ত্রী বছর কয়েক আগে মারা গেছেন। কোনো রোগ বালাই বা কষ্ট ক্লেশে মারা যাননি তিনি, স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। রাতে স্বামী আর সন্তানদের নিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়ার পরে পুরনো নিয়মে সবার সাথে গল্প করেই ঘুমাতে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু সকালে অন্য দিনের মতো আর ঘুম থেকে জেগে উঠেননি তিনি। রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর মনির হোসেন একা আরও দুই মেয়ের বিয়ে দেন। স্ত্রী থাকাকালীন বড়ো মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। ভাইবোনের মধ্যে উমর চতুর্থ। উমরের ছোট বোন রামীসা এস এস সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর ওর ছোট ভাই ইয়াসিনের বয়স অল্প। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে সে। ইয়াসিনের মা যখন মারা যায় ছেলেটা তখন আরও ছোট ছিল। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মায়ের মৃত্যুতে বড়ো ভাইবোনের চেয়ে সে-ই বেশি কষ্ট পায়। তাই মনির হোসেন ছোট দুই ছেলেমেয়ের কথা ভেবেই বড়ো ছেলেকে জলদি বিয়ে করিয়ে ঘরে ছেলের বউ নিয়ে আসেন। যেন তাঁর ছোট দুই ছেলে মেয়ে বড়ো বোনদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় একা হয়ে না পড়ে। জোহরা অবশ্য তাঁর চিন্তার অবসান ঘটিয়েছে। ছোট দেবর আর ননদের সাথে খুব ভাব হয়ে গেছে ওর। ইয়াসিনও জোহরা বলতে পাগল। তবে, ছোট হওয়া সত্ত্বেও ইয়াসিনের সাথে নিজের পর্দা বজায় রেখে চলে ও। খুব দ্রুত ওদের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে।
জোহরা একমনে ভেবেই চলেছে। কে এসেছিল ওর রুমে? ওর শ্বশুর আর ইয়াসিন তো মসজিদে গেছে। রামীসা ওর রুমে ঘুমাচ্ছে। তবে কি বাড়িতে ওর অজান্তেই কেউ ঢুকে পড়েছে? আর তাছাড়া যেই এসে থাকুক না কেন, চোখের পলকে কি করে এত জলদি চলে যেতে পারে? হঠাৎ করেই কেন জানি ও অস্থিরতা অনুভব করে। আরও একবার ভালো করে পুরো রুমটা খোঁজে দেখে। জানালা আর দরজার পর্দা, ওয়াস-রুম সবখানে খোঁজে কিছু না পেয়ে ওদের রুমের সাথেই লাগোয়া ছোট বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। বারান্দা থেকে কিছুটা দূরেই একটা মেহেদী গাছ। গাছের কয়েকটি ডাল গ্রিলের ফাঁক গলে অনেকটা ভেতরে ঢুকে পড়েছে। উমর ডালগুলো ছেঁটে দিতে চাইলে জোহরা তাকে বাধা দেয়। বলে, গাছেরা হলো মাতৃসম; তাই তাদের অনাদর করা ঠিক না। কারণ গাছের মাধ্যমেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর তাছাড়া বারান্দায় আসলে মেহেদী গাছের কচি সবুজ পাতাগুলো থেকে অন্য রকম একটা গন্ধ পাওয়া যায়, যেটা জোহরার খুব পছন্দের। তাই ও ডালাগুলো কেটে দিতে অনীহা প্রকাশ করে। উমর তার স্ত্রীর ইচ্ছের উপরে আর জোর করে না। থাকুক না ডালগুলো, এতে যদি জোহরা খুশি হয় তবে তার কোনো আপত্তি নেই। বারান্দায় দাঁড়িয়ে জোহরা মেহেদী গাছের গাঢ় সবুজ পাতাগুলোর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। যেন পাতাগুলোর মধ্যে ওর মনের সকল প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে। ও একমনে চেয়ে থাকে পাতাগুলোর দিকে। হঠাৎ করে ওর চোখের সামনে বিয়ের দিনের একটি দৃশ্য ভেসে ওঠে। তিন সপ্তাহ আগে শুক্রবারে ইসলামিক নিয়ম অনুসারে জোহরা আর উমরের বিয়ে হয়। উমর ব্যবসায়ী বাবার ব্যবসায়ী পুত্র,তার আর্থিক অবস্থা ভালো ও স্বচ্ছল হওয়ায় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিয়ের মোহর পরিশোধ করে তবেই জোহরাকে বিয়ে করে সে। এবং সুন্নতি বিয়ের তরিকা অনুযায়ী ওয়ালিমা (বর ও কনে পক্ষের আত্মীয়-স্বজনদের আপ্যায়নে খাবারের আয়োজন করা। যা বরকে বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে করতে হয়। বিয়ের পরের দিন তার বাসায় সম্পন্ন করার ব্যাপারে নির্ধারিত হয়। জোহরার বাবার বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি পাশাপাশি এলাকাতেই। শুক্রবারের জুমার নামাজের ঘন্টাখানিক পরে সকল নিয়মনীতি সম্পন্ন করে ওদের বিয়ের পর নতুন বউ নিয়ে উমর ও তার পরিবার রওনা দেয়। মিনিট কুড়ি পরেই লাল গোলাপ আর রজনীগন্ধা ফুলে সাজানো বর কনের গাড়িটি এসে 'হোসেন ভিলার' সামনে দাঁড়ায়। উমরের সবার বড়ো বোন নাদিরা জোহরার পর্দা অক্ষুণ্ণ রেখে ওকে বাড়িতে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। নাদিরা যখন জোহরাকে ঘরের চৌকাঠের সামনে দাঁড় করিয়ে বিসমিল্লাহ বলে আগে ডান পা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে বলে, তখন জোহরা ওর ডান পা বাড়ানোর সাথে সাথে অন্য একটি পা ঠিক ওর পায়ের পাশে দেখে চমকে ওঠে! তৎক্ষনাৎ ও সেই মানুষটিকে দেখার জন্য পাশে তাকালে কাউকেই দেখতে না পেয়ে বিস্মিত হয়ে যায়! জোহরা ফের নিচে ওর পায়ের দিকে তাকালে সেই পা-টাও আর দেখতে পায়নি। যদিও ঘটনাটা খুব অদ্ভুত ছিল কিন্তু জোহরা সেটাকে ওর মনের ভুল ভেবে পাত্তা দেয়নি। আর অন্য কাউকে এমনকি উমরকেও সেই ব্যাপারে কিছুই বলেনি। কিন্তু এখন হঠাৎ সেই ঘটনাটা মনে পড়তেই জোহরার সারা শরীর ভয়ে শিরশির করে ওঠে। একটা অজানা ভয় ওর মন-মস্তিকে দ্রুত বিস্তার করতে শুরু করে!

"ভাবী, তুমি বারান্দায় একা দাঁড়িয়ে কী ভাবছো?"

রামীসার ডাকে জোহরার চিন্তার ঘোর কাটে। এতক্ষণ যাবত ও একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল সেটা ভাবতেই ওর আবার নতুন করে ভয় হতে থাকে। আর এক মূহুর্তও সেখানে দাঁড়িয়ে না থেকে বড়ো বড়ো করে পা ফেলে ননদের কাছে রুমে চলে আসে। রামীসা এক হাত কোমরে রেখে দাঁড়িয়ে আছে। জোহরা ওকে দেখে মুচকি হেসে বলে,

"ঘুম ভাঙলো কেমন করে?"

"আসরের নামাযের সময় চলে যাচ্ছিল তাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছি।"

রামীসাও মুচকি হেসে জবাব দেয়। জোহরা ওর এক গাল টেনে আদর করে দেয়। রামীসা একহাতে ওর গালে ঘসতে বলে,

"আব্বু আর ইয়াসিন সেই কখন নামায পড়ে চলে এসেছে। এখন তোমার চায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।"

"বাবা মসজিদ থেকে এসে পড়েছেন, তাহলে আমাকে ডাকলেন না কেন?"

"তা আমি কি করে বলবো? তুমিই গিয়ে জেনে নাও না।"

জোহরা রামীসার অন্যগালেও একটা টান দিয়ে ওকে নিয়ে বসার ঘরের দিকে এগিয়ে যায়।
মনির সাহেব বাদামী রঙের সোফায় বসে ক্যালকুলেটরে কিসের যেন হিসেব করছিলেন। কিন্তু ইয়াসিনকে সেখানে দেখা গেল না। হয়তো ওর রুমে চলে গেছে। জোহরা তাকে আর বিরক্ত না করে সোজা রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। রামীসাও বাবাকে কিছু না বলে ওর রুমে চলে যায়। জোহরা ফ্রীজ থেকে বাটিতে রাখা ডালের পেস্ট বের করে। মনির সাহেব বিকেলে চায়ের সাথে পিয়াজু খেতে পছন্দ করেন। বিয়ের মাত্র তিন সপ্তাহেই জোহরা ওর শ্বশুর আর বাকি সবার পছন্দ অপছন্দগুলো অনেকটাই জেনে নিয়েছে। মসলা চায়ের সাথে গরম গরম তেলে ভাজা পিয়াজু দেখেই ওর শ্বশুর কতটা খুশি হবেন সেটা ভাবতেই জোহরার ভালো লাগে। তকদিরের (ভাগ্য) উছিলায় এত ভালো শ্বশুর আর স্বামী পেয়েছে ও। উমরের বড়ো বোনেরাও জোহরাকে খুব পছন্দ করে। ওরা সবাই মিলে ওকে সংসার সামলে নিতে খুব সাহায্য করে।
জোহরা আপন মনে কাজ করে চলেছে। এক চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে অন্য চুলায় কড়াইতে তেল গরম করতে দিয়ে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ধনিয়াপাতা কুঁচি, গুটি কয়েক কালোজিরা, লবন আর সামান্য হলুদের গুড়া দিয়ে ভালো করে ডালের সাথে মাখতে থাকে। ডাল মাখার পরে হাতে নিয়ে আঙুলের ভাঁজে গোল গোল করে একটা একটা করে কড়াইয়ে গরম তেলে ছাড়তে থাকে। চার কি পাঁচটা দেওয়ার পরই কলিংবেল বেজে উঠলে উমর এসেছে বুঝতে পেরে তাড়াহুড়ো করে হাতে থাকা পিয়াজুটা তেলে ছাড়তে গিয়ে ওর ডান হাতটা তেলের অনেকটা কাছে চলে যায়। কিন্তু অন্যমনস্কতার জন্য জোহরা সেটা বুঝতে পারে না। যখনি ওর হাত গরম তেলের মধ্যে পড়বে তার আগেই কোথায় থেকে যেন লম্বা চিকন একটি হাত এসে খপ করে ওর হাতটা ধরে দূরে সরিয়ে দেয়! জোহরা সেই হাতটা দেখলেও সেখানে কোনো মানুষ দেখতে না পেয়ে ভয়ে চিৎকার দিয়ে রান্নাঘরের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। ওর চিৎকারে মনির সাহেব রান্নাঘরের কাছে ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁর ও জোহরার মধ্যকার পর্দা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকায় তিনি ভেতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকেন। ততক্ষণে রামীসা দরজা খুলে দিলে জোহরার চিৎকার শুনে উমর আর ও রান্নাঘরের দিকে ছুটে যায়।
শেষ রাতের দিকে জোহরার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে অনেকটা হালকা অনুভব করে। ঘরে থাকা হলদে আলোর অল্প বিচ্ছুরণে বিছানায় ওর পাশে উমরকে দেখতে না পেয়ে অস্থির হয়ে এদিক সেদিক তাকাতেই খাটের পাশে মেঝের দিকে চোখ পড়তেই উমরকে দেখতে পায়। সে তাহাজ্জুদের নামায পড়ছে। বিয়ের পর থেকে উমরকে কোনোদিন তাহাজ্জুদের নামায কাজা করতে দেখেনি জোহরা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে প্রতিরাতে তাহাজ্জুদের নামাযও আদায় করে সে। কিন্তু জোহরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও তাহাজ্জুদের নামায পড়ে না। তাই জোহরাকেও তাহাজ্জুদের নামায পড়ার দাওয়াত দেয় সে। কিন্তু ওকে রাত্রিকালীন ইবাদতের ব্যাপারে উদাসিন দেখে সে মন খারাপ করে। আর মনে মনে ঠিক করে ধীরে ধীরে জোহরাকেও তাহাজ্জুদের নামাযের প্রতি যত্নশীল করে তোলার চেষ্টা করবে।
জোহরা মুগ্ধ চোখে উমরের নামায পড়া দেখতে থাকে। সুঠাম দেহের অধিকারী উমরের গায়ের রঙ কিছুটা চাপা হলেও, তার ডাগর ডাগর চোখ দুটি আর পুরুষ্ঠ ঠোঁট জোড়ার উপরই মজেছে ও।
জোহরা একদৃষ্টিতে উমরের দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ করে বারান্দার দিকে তাকাতেই কালো একটি ছায়াকে দেখতে পায়। ছায়াটা বারান্দার দরজার পাশে থেকে উমরের দিকে ঝুঁকে আছে! হুট করেই জোহরা বিছানা থেকে নেমে বারান্দার দিকে যেতে থাকলে ওকে দেখা মাত্রই ছায়াটা ছুটে বারান্দার শেষ কোণে চলে যায়। জোহরা গুটি গুটি পায়ে বারান্দার দরজার মুখে দাঁড়িয়ে উমরের নামাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে তাই নিচু গলায় জিজ্ঞেস করে,

"কে ওখানে?"

জোহরার ডাকে ছায়াটা যেন হালকা নড়ে ওঠে। জোহরা পুনরায় বলে,

"কে তুমি সামনে আসো।"

জোহরার আহবানে সাড়া দিয়ে সে-ই ছায়াটা ওর মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। আলো আঁধারের মাঝে জোহরা দেখে, এক জোড়া সোনালী চোখ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছে যেন জলন্ত অগ্নিশিখা! আচমকায় সেই চোখ জোড়ার অধিকারীনি স্বীয় রূপে প্রকট হয়। মখমলের আলখাল্লা পরা অপরূপ সুন্দরী একটি মেয়ে জোহরার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটাকে দেখে জোহরার মনের জমাট ভয় কোথায় যেন গায়েব হয়ে যায়। অবাক চোখে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থেকে বিস্মিত কণ্ঠে বলে উঠে ও,

"পরী!"

পর্ব ০২ →

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন