পরী (পর্ব ০২)

পড়ুন চাঁদনী নূর লামিয়া'র লেখা একটি থ্রিলার গল্প পরী'র দ্বিতীয় পর্ব
পরী
পরী

ত তিনদিন ধরে জোহরার প্রচণ্ড জ্বর। জ্বরে প্রায় বেহাল দশা মেয়েটার। থেকে থেকে জ্বর কেবল বেড়েই চলেছে। বাবার কথাতে উমর প্রথমে বাড়িতেই ডাক্তার ডেকে আনে। ডাক্তার জোহরার দুই চোখ ভালো করে দেখে বলেন, এটা সাধারণ জ্বর তাই চিন্তার কিছু নেই। তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে ওর ডানবাহুতে একটা ইঞ্জেকশন পুশ করে ঔষধ লিখে দিয়ে চলে যান। সাথে এও বলেন, এই ঔষধে যদি নিতান্তই জ্বর না কমে তবে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তারপর পুরো একদিনেও জোহরার জ্বর না কমলে মনির সাহেবের তাগাদাতে উমর জোহরাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে জোহরার মাথার পাশে বসে ওর একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছে। জ্বরের ঘোরে মেয়েটা বিড়বিড় করে প্রলাপ বকছে। তিনদিন আগে সেই রাতে উমর নামাজের মধ্যে ধপ করে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনেই ঘাড় ফিরিয়ে জোহরাকে বারান্দার দরজা বরাবর মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে! ওর মাথার চুলগুলো এলেমেলো হয়ে মুখের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। উমর তখন নামাজের শেষ বৈঠকে ছিল। কিন্তু জোহরাকে ঐ অবস্থায় দেখে সাথে সাথে উঠে গিয়ে ওকে পাজকোলে করে এনে বিছানায় শুইয়ে দেয়। সেই থেকে জোহরার তীব্র জ্বর। উমর ভেবে পাচ্ছে না, এটা যদি সাধারণ জ্বর হয় তবে ওর জ্বর কমছে না কেন? আর কোনো ঔষধই বা কেন কাজ করছে না? তবে কি জোহরার এই জ্বর অন্যকিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে! আর সেই রাতে জোহরা বারান্দাতেই বা কী করছিল? ও তো বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। এসব কথা ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ কি চিন্তা করে উমর জোহরাকে রুকইয়াহ করতে শুরু করে। সে সব সময় ওজু করে পবিত্র হয়ে থাকে। তাই রুকইয়াহ করতে তার কোনো সমস্যা হলো না। রুকইয়াহ হলো পবিত্র কুরআনের আয়াতের দ্বারা ইসলামিক সুন্নতি চিকিৎসা। সে জোহরার মাথায় তার ডানহাত রেখে প্রথমেই "আউযুবিল্লাহি মিনাশ-ই ত্বয়ানির- রাজীম" পড়ে বিতারিত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। তারপর "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" পড়ে রুকইয়া শুরু করে। উমর ঘন্টাখানিক সময় ধরে জোহরার কানের কাছে মুখ নিয়ে এক নাগাড়ে আয়াতুল কুরসি, চার ক্বুল (সূরা- ইখলাস, ক্বাফিরুন, ফালাক এবং নাস) এবং দরুদে ইবরাহীম পড়তে থাকে। এবং আশ্চর্য জনক ভাবে জোহরার জ্বরের তীব্রতাও কমতে থাকে (সুবাহান আল্লাহ)। অবশেষে মুয়াজ্জিনের সুমধুর কণ্ঠে যখন মাগরিবের আযান শোনা যেতে থাকে, তখনি তিনদিন পর জোহরার পুরোপুরি জ্ঞান ফিরে! ততক্ষণে ওর শরীর থেকে জ্বরের তাপ সরে গিয়েছে। জোহরা চোখ মেলে প্রথমেই উমরের হাস্যোজ্বল মুখটা দেখতে পায়। সে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেছে। উমর একহাত দিয়ে জোহরার ডান গালে স্পর্শ করে বলে,

"আজ থেকে কখনো বিনা ওজরে নামাজ কাযা করবে না। এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নামাজ ছাড়বে না। জানো তো, কাফের ও মুমিনের মধ্যে পার্থক্যই হলো নামাজ। এখন উঠো, গোসল করে পবিত্র হয়ে মাগরিবের নামাজটা আদায় করে নাও।"

জোহরা নিজের ইবাদত ও আমলের প্রতি মনোযোগী হলেও সাংসারিক কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই ক্লান্তি ও শয়তানের ওয়াস ওয়াসায়(কুমন্ত্রণা) পড়ে নামাজে গাফলতি করে যা উমরের মোটেও পছন্দ নয়। সে জোহরাকে সকল সময় স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নামাজ এবং এরপরে বাকি সব।
উমর এতদিন জোহরাকে নরম সুরে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে অনুরোধ করতো। কিন্তু আজ সে তার স্ত্রীকে কঠিন স্বরে আদেশ করেছে। কারণ নামাজের প্রতি উদাসিতার জন্যই ওর উপরে খারাপ কিছুর আছর পড়েছে। যার একমাত্র ও সুনিশ্চিত চিকিৎসা হচ্ছে নামাজ। তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে স্ত্রীকে কোনো ভাবেই নামাজের প্রতি উদাসীন হতে দিবে না। প্রয়োজনে তার স্বভাবের বিপরীতে গিয়ে স্ত্রীর সাথে কঠিন হতে হলেও সে হবে। কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে জোহরা তার এককথায় বিনাবাক্যে নিয়মিত নামাজ পড়তে রাজী হয়েছে। হয়তো ও স্বামীর অবাধ্য হতে চায় না। কিংবা কে জানে, জোহরাও হয়তো উমরের মতোই অস্বাভাবিক কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরেছে! যদিও তীব্র জ্বরের প্রকোপে জোহরার শরীর প্রচণ্ড দূর্বল হয়ে পড়েছে। তাও স্বামীর আদেশ অমান্য না করে ও গোসল করার জন্য উঠে পড়ে।

পনেরো দিন পর,

জোহরা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ; আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ারও চেষ্টা করে। এবং সেই সাথে প্রতিদিনের মাসনূন আমলগুলো (সকাল-সন্ধ্যার দুআ এবং জিকির, খাবারের আগে ও পরের দোয়া, পানি খাওয়ার দোয়া, পায়খানায় ঢোকার আগে এবং বের হওয়ার দোয়া, গোসলের আগে ওজু করা এবং সর্বক্ষণ পবিত্র হয়ে থাকা) ঠিক ভাবে আদায় করার চেষ্টা করে। তবে উমরের কড়া নির্দেশ, ও যেন ফজরের এবং মাগরিবের ফরজ নামাযের পড়ে চার ক্বুল এবং আয়াতুল কুরসি পড়তে না ভুলে। সবকিছু মনে থাকলেও জোহরার পানি খাওয়ার আগে দোয়া পড়তে এবং পায়খায় যাওয়া আসার আগে দোয়া পড়তে কিছুতেই মনে থাকে না। যদিও উমর ওকে বার বার সর্তক করে দিয়ে বলেছে, পায়খানায় ঢোকার সময় মাথায় কাপড় দিয়ে আগে বাম পা দিয়ে এই দোয়া (আল্লাহুম্মা ইন্নি আওযুবিকা মিনাল খুবূসি ওয়াল খাবাইছ) এবং বের হওয়ার সময় আগে ডান পা দিয়ে বের হতে আর এই দোয়া (গুফরানা'কা আলহামদুলিল্লাহ হিল্লাযী আযহাবা আন্নীল আয-ওয়া আফানী) পড়তে। পানি খাওয়ার আগে বসে (ওয়াছা ক্বহুম রব্বুহুম শরাবান তাহুরা) পড়ে প্রথমে তিন ঢুক পানি পান করতে। কিন্তু জোহরা সবগুলো আমল যত্নের সাথে পালন করলেও প্রায়ই মাঝে মাঝে ও ভুলে যায়। আর সেটা নিয়ে ও মন খারাপ করলেও উমর অবশ্য ওকে উৎসাহ দিয়ে বলে, প্রত্যকের সঙ্গে থাকা শয়তান ক্বারীন জ্বিন (যার কি-না উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের ইবাদতে বাধা দেওয়া এবং নানান রকমের ওয়াস ওয়াসা প্রদান করে মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রিত করা) মানুষকে নানান ভাবে হয়রান করে ইবাদতের প্রতি তার মনকে অনীহায় বিষিয়ে তুলতে চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে যদি উক্ত ব্যক্তি "মহান রবের" কাছে বিতারিত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং "মহান রবের" সাহায্য কামনা করে। তবে "গফুরুর রহিম" অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন। তিনি কখনোই তাঁর বান্দাদেরকে নিরাশ করেন না। আর সেই ব্যক্তিকেও শয়তানের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। উমরের সাহায্যে জোহরা ধীরে ধীরে ইবাদতের প্রতি যত্নশীল হতে থাকে। এবং সেই সাথে সর্বক্ষণ মাথায় কাপড় দিয়ে রাখে। শুধুমাত্র উমর ব্যতীত অন্য কারোর সামনে মাথা উন্মুক্ত করে না।
এই ভাবে ধীরে ধীরে দিন যেতে থাকে আর জোহরা ওর নিজের সংসারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কয়েক দিন যাবত উমর ব্যবসা নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে প্রায়ই অনেক রাত করে বাড়িতে ফিরে। এবং জোহরাকে তার জন্য অপেক্ষা করতে নিষেধ করে ওকে ঘুমিয়ে যেতে বলে। কিন্তু জোহরা তার কথায় পাত্তা না দিয়ে প্রতি রাতে নিয়ম করে তার জন্য অপেক্ষা করে। এবং উমর বাড়িতে আসলে দুজনে একসাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
আজ সকাল থেকেই জোহরা রান্নাঘরে ব্যস্ত সময় পার করছে। আর রামীসাও ওকে রান্নার কাজে সাহায্য করছে। জোহরা ইতিমধ্যে কয়েক রকমের পদ রান্না করে ফেলেছে। এবং আরও কয়েক পদ রান্নার তোড়জোড় করছে। রামীসা ওকে এটা সেটা এগিয়ে দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে বারবার জিজ্ঞেস করছে বাড়িতে কে আসছে? কিন্তু জোহরা ওর প্রশ্নের সোজা জবাব না দিয়ে শুধু বলছে বিশেষ মেহমান আসছে। রামীসা যখন সেই বিশেষ মেহমান কারা জানতে চায়, তখন জোহরা ওকে ধমক দিয়ে কৃত্তিম রাগ দেখিয়ে বলে,

"বিশেষ মেহমান কারা সেটা তুমি তারা আসলেই দেখো।"

এরপরে রামীসা ভাবীকে আর কিছুই জিজ্ঞেস করেনি। গাল ফুলিয়ে মুখ গোমরা করে চুপচাপ জোহরাকে রান্নায় সাহায্য করেছে। জোহরের নামাজের কিছু আগে জোহরার রান্না শেষ হয়। রান্না করতে করতে কখন যে এত সময় পেরিয়ে গেছে সেটা ও টেরই পায়নি। জোহরা অবশ্য রামীসাকে আরও অনেক্ষণ আগেই রান্নাঘর থেকে বের করে দিয়েছিল। আর বলেছিল ও যেন গোসল সেরে ভালো একটা সালোয়ার সুট পরে আজ একটু সাজে। ওর কথার জবাবে রামীসা শুধু অদ্ভূত একটা চাহনি দিয়ে কিছু না বলেই নিজের রুমে চলে যায়। আসলে আজকে রামীসাকে দেখতে পাত্রপক্ষ আসছে। কিন্তু মনির সাহেব আর উমর জোহরাকে এই ব্যাপারে এখনি রামীসাকে কিছু জানাতে নিষেধ করেছেন। কারণ তারা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আগেই রামীসাকে কিছু জানাতে চান না। আর তাছাড়া মনির সাহেব তাঁর বড়ো তিন মেয়ের সাথে আগে এই ব্যাপারে আলোচনা করবেন। তারপর ছেলেমেয়ে সবার মতামত নিয়েই রামীসাকে এই ব্যাপারে জানিয়ে ওর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু জোহরা শ্বশুর আর স্বামীর নিষেধের পরও রামীসাকে সাজতে বলেছে। কারণ ও উমরের কাছে শুনেছে সমন্ধটি খুব ভালো। তাই যতই হোক, ও নিজের ননদের জন্য ভালোটারই আশা করবে। এই জন্যই ও রামীসাকে তৈরী হতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
নামাজ পড়ার জন্য গোসল করতে জোহরা যখন রুমে যায়, তখনি বুঝতে পারে ওর মেয়েলি বিশেষ সময় শুরু হয়েছে। তাই আজ থেকে বাকি তিন চার দিন ও নামাজ পড়তে পারবে না। নামাজ না পড়তে পারার দরুন ওর মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। কারণ এতদিন যাবত নিয়মিত নামায পড়ে নামাযের প্রতি ওর মায়া জন্মে গেছে। আর এটা আল্লাহপাকের তরফ থেকে তাঁর বান্দার প্রতি খাস রহমত।
আরও কিছু সময় মন খারাপ করে বসে থাকার পর গোসল করে ভেজা কাপড়গুলো রোদে শুকানোর জন্য ছাদে দিয়ে আসে জোহরা। কিন্তু ছাদ থেকে আসার পরই ও নিজের আশেপাশে একটি মিষ্টি গন্ধ পেতে থাকে। ক্ষণে ক্ষণে গন্ধটা ওর চারপাশে ঘুরতে থাকে। মনে মনে ভয় পেলেও জোহরা বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথায় পেচানো তোয়ালেটা একটানে খুলে ফেলে ভেজা চুলগুলো পিঠের উপরে ছড়িয়ে দেয়। ও যখন আয়নায় তাকিয়ে তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুলগুলো মুছছিল, তখনি আয়নায় ওর পিছনে অপরূপ সুন্দরী একটি মেয়ের মুখাবয়ব ভেসে ওঠে! জোহরা সাথে সাথে পিছনে ঘুরতে চাইলে এক জোড়া হাত অদৃশ্য থেকে ওর ঘাড়ে শক্ত করে চেপে ধরে রাখে যেন পিছনে ঘুরতে না পারে। এমন আচানক ঘটনায় জোহরা ভয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করে। আয়নায় ভেসে উঠা সেই মেয়ের চোখের দিকে তাকাতেই ভয়ে ওর কলিজার পানি শুকিয়ে যায়। প্রথমে সেই চোখের রঙ সোনালী থাকলেও ধীরে ধীরে তা পালটাতে থাকে এবং এক সময় লাল রঙ ধারণ করে। রক্তিম সেই চোখ জোড়ার দিকে তাকাতেই জোহরা অনুমান করতে পারে আয়নায় দেখা মেয়েটি যেকোনো কারণে ওর উপর প্রচণ্ড ক্ষেপে আছে। এই ভর দুপুরে ছাদে একা একা যাওয়াতেই যে বিপত্তিটা ঘটেছে সেটা ও খুব ভালো করেই বুঝতে পারে। কয়েক সেকেন্ড সেই চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে জোহরা দুই চোখ বন্ধ করে ফেলে। তারপর আয়না দেখার দোয়াটা মনে করতে থাকে। কিন্তু দোয়াটা এই মূহুর্তে কিছুতেই ওর মনে পড়ছে না। ক্ষাণিক পরে ও আবার আয়নার দিকে তাকাতেই দেখে সেই মেয়েটির প্রতিবিম্ব মুছে গিয়ে একটি কালো ভয়ঙ্কর সাপ বিষাক্ত ফণা তুলে ওর সারা শরীরে পেঁচিয়ে আছে! আয়নায় সাপ দেখেই জোহরা ভয় পেয়ে জুড়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। কিন্তু তখনো সাপটা অদৃশ্য না হলে ও জোরে জোরে সূরা ইখলাস এবং আয়তুল কুরসি পড়তে শুরু করে। হঠাৎ করেই পিছন থেকে কে যেন ওর চুলের গোছা মুঠ করে ধরে হেঁচকা টানে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ঠাস ঠাস করে ওর দুই গালে কয়েকটি চড় মারে! এত জোরে চড় খেয়ে জোহরার মাথা ঘুরে ওঠে। দুই চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে। তাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে পড়ে যায়। তারপর ঠোঁটের উপরে তরল আর উষ্ণ কিছুর গড়িয়ে পড়ার অনুভব করে। বুঝতে পারে ওর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এরপর আর কিছুই মনে নেই ওর। জোহরা জ্ঞান হারানোর কয়েক মিনিট পরেই রামীসা ওর রুমে ছুটে আসে। ও নিজের রুম থেকে জোহরার চিৎকার শুনতে পেয়েই সেখানে দৌড়ে আসে। এসেই জোহরাকে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পরে থাকতে দেখে ভাবী বলে চিৎকার করে ওঠে!

← পর্ব ০১পর্ব ০৩ →

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন