হাওয়াই মিঠাই |
২০১৮ সালে দাঁড়িয়েও সবকিছু এখনাে কাঁচের মত স্বচ্ছ মীরার চোখে। সেদিন রাফি আর ফোন করেনি। এমনিতেই ত্রিশা উল্টোপাল্টা কথা বলে যাওয়ায় মনটা খারাপ হয়ে ছিল মীরার। তার উপর রাফির ফোন পেয়ে আরাে খারাপ লাগছিলাে। যদিও মানুষটা অপরিচিত, তবুও কথা বলতে ভাল লাগছিল।
রাফি পরের দিনও ফোন করেনি। একবার মীরার মনে হলাে সে নিজেই তাে ফোন করতে পারে! পরক্ষণেই আবার মনে হলাে তার আগ বাড়িয়ে ফোন করাটা কি ভাল দেখাবে? দোনােমনাে করতে করতেই ভাবলাে, রাফির নাম্বার কোথায় পেয়েছে সেটা নিয়ে একটা গল্প বানালে ভাল হয়। এই চুঁতােয় রাফিকে ফোন করা যাবে। মীরা ভাবতে লাগলাে কী গল্প বললে সেটা বিশ্বাসযােগ্য হবে? অনেক ভাবার পরেও মীরা কোনাে গল্পই ফাঁদতে পারলাে না।
এভাবে কেটে গেলাে আরাে একটি দিন। রাতেরবেলা মীরা পড়তে বসেছে এমন সময় লতু এসে তার ফোনটা চাইলাে বাড়িতে ফোন করবে। সে এবাড়িতে কাজ করে, নিজের মােবাইল নেই। বাড়িতে ফোন করতে হলেই এর ওর কাছে গিয়ে মােবাইল চায়। মীরা মােবাইলটা দিলাে। কিন্তু লতু নম্বর টাইপ করার সময় একটা ডিজিট ভুল টাইপ করলাে এবং কল যথারীতি রং নাম্বারে চলে গেলাে। সেই লােকের সাথে একদফা ঝগড়া করার পরে লতু আবিস্কার করলাে সে নিজেই ভুল নম্বরে কল করেছে। পরে আবার ঠিক নম্বরে ফোন করে কথা বলল। এইসব দেখতে দেখতে মীরার মাথা কাজ করতে লাগলাে। লতু চলে যাওয়ার পর ঘড়ির দিকে তাকালাে। সাড়ে ১০ টা বাজে। খুব রাত হয়নি নিশ্চই। মীরা দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে রাফিকে ফোন করলাে।
"হ্যালাে"
"হ্যালাে, আমি মীরা বলছি।"
"নাম্বার সেভ করা আছে।"
মীরা একটু থেমে বলল,
"কেমন আছেন?"
"ভাল, আপনি?"
"ভালই।"
"এত রাতে আপনার পক্ষে কথা বলা সম্ভব? আমি তাে ভেবেছিলাম এত রাতে বােধহয় সমস্যা হবে আপনার।"
মীরা ভাবতে লাগলাে রাফি কি তাহলে ফোন করতে চেয়েছিল? রাত হয়ে যাওয়ায় আর করেনি? বলল,
"না সমস্যা হয় না। ইরা ফাঁকিবাজি করে তাে তাই মা ওকে সামনে রেখে পড়ায়।"
"আচ্ছা। তাে কি করছেন এখন?"
"এতক্ষণ পড়ছিলাম, আপাতত আপনার সাথে কথা বলছি।"
"আচ্ছা, তাহলে বরং রেখে দেই, আপনি পড়ুন।"
"না না। আপনাকে একটা কথা জানানাের ছিল।"
"জানান।"
"আমাদের বাসার কাজ করে যে আপুটা? সেদিন সে আমার ফোন থেকে তার বাড়িতে ফোন করেছিল। একটা ডিজিট উল্টোপাল্টা করে কলটা আপনার নাম্বারে চলে গিয়েছিল বােধহয়।"
"আচ্ছা তাই নাকি? আপনি কিভাবে জানলেন?"
"এইতাে আজ আপু আবার ফোন করেছিল। আমার ফোন থেকে। নাম্বারটা দেখে প্রথমে অবাক হলাম, ভাবলাম আপনার নাম্বার। পরে দেখি একটা ডিজিট ভিন্ন। তারপর আপুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ওইদিন বিকেলে সে ফোন করেছিল কিনা। সে বলল করেছিল, কিন্তু ধরেনি তাই সেদিন কথা বলতে পারেনি। এভাবেই বুঝলাম আরকি।"
"ওহ এই ব্যাপার! ওকে আমার হয়ে ধন্যবাদ দিয়ে দেবেন।"
"কেন?"
"মেয়েটা ভুল করেছিল বলেই তাে এত সুন্দর কন্ঠ শুনতে পারছি।"
মীরা হাসলাে। রাফি বলল,
"আপনার হাসিটাও সুন্দর!"
মীরা এবার লজ্জা পেলাে। প্রসঙ্গ পালটানাের জন্য বলল,
"আপনি কি করছেন?"
"মুভি দেখছি। প্রতিদিন রাতে একটা মুভি দেখি, আমার একমাত্র নেশা।"
"তাই? সিগারেট খান না?"
"না, কেন?"
"না মানে সবাই তাে খায়!"
"কে বলল সবাই খায়? আপনাদের বাসায় বুঝি সবাই খায়?"
"হুম, বাবা ভাইয়া চাচ্চু সবাই। আমি একদম সহ্য করতে পারি না।"
"বুঝলাম।"
"আচ্ছা কি মুভি দেখছিলেন?"
"অরিজিনাল সিন। আমার প্রিয়তমার মুভি।"
"আপনার প্রিয়তমা?"
"এঞ্জেলিনা জোলি।"
"ওহ তাই বলুন! আমি আরাে ভাবলাম আপনার গার্লফ্রেন্ড বুঝি সিনেমার নায়িকা।"
রাফি হেসে বলল,
"গার্লফ্রেন্ড আর প্রিয়তমার মধ্যে পার্থক্য আছে।"
"যেমন?"
"গার্লফ্রেন্ড মানে তাে বােঝেনই, প্রেমিকা। যার সাথে আমি প্রেম করি সে আমার গার্লফ্রেন্ড। তার প্রতি আমার ভালােবাসা থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। আর প্রিয়তমা হচ্ছে যাকে আমি ভালােবাসি। তার সাথে প্রেম থাকুক বা না থাকুক, তাকে পাই বা না পাই, সে থাকুক বা না থাকুক আজীবন যাকে আমি ভালােবাসবাে। যাকে দেখে বুড়াে বয়সেও আমার শরীরের লােম দাঁড়িয়ে যাবে।"
একটু অবাক হলাে মীরা। পার্থক্যটা বােঝার চেষ্টা করতে লাগলাে। রাফি বলল,
"এবার বুঝেছেন?"
"হ্যাঁ। কিন্তু আরেকটা জিনিস বুঝিনি।"
"কী?"
"প্রেম আর ভালােবাসা তাে একই। আপনি তাে আলাদা করে দিলেন!"
"মােটেও এক না। প্রেম হচ্ছে সম্পর্কের নাম আর ভালােবাসা হচ্ছে অনুভূতির নাম। প্রেমে ভালােবাসা জরুরি না, আবার ভালােবাসায়ও প্রেম জরুরি না।"
"তার মানে দুজন মিলে করলে প্রেম। আর একতরফা করলে ভালােবাসা?"
"না। একতরফা হলেই ভালােবাসা হবে তা নয়। ধরেন আমি কারাে মােহে পড়ে একতরফাভাবে তার পেছন পেছন ঘুরলাম, দিনরাত তাকে নিয়েই ভাবি। তাকে আমি ভালােবাসি কিন্তু দুদিন পর সেই অনুভূতি রইলাে না। তাহলে সেটা ভালােবাসা নয়। সেটা মােহ। কিন্তু ওই অনুভূতিটা যদি অনেকদিন পরেও একই রকম থাকে তবেই সেটা একতরফা ভালােবাসা। আবার দুজন মিলে যে প্রেম হয় তার মধ্যেও ভালােবাসা থাকতে পারে। ধরেন যাকে আমি ভালােবাসি তার সাথেই প্রেম হয়ে গেল। হলােনা প্রেম আর ভালােবাসা একসাথে?"
মীরা এক অদ্ভুত ভালাে লাগায় শিহরিত হয়ে যাচ্ছিল এসব কথা শুনে। এতকিছু সে এতদিন জানতাে না! রাফি এত মনােমুগ্ধকর কথাগুলাে কীভাবে জানে? রাফি বলল,
"এবার বুঝেছেন মীরা?"
"হ্যাঁ।"
দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ। মীরা আবার বলল,
"আমি ইংলিশ মুভি বুঝি না। ওরা এত তাড়াতাড়ি কথা বলে, কী বলে ধরতেই পারিনা!"
"সাবটাইটেল দিয়ে দেখবেন।"
"সাবটাইটেলও তাে অনেক তাড়াতাড়ি চলে যায়, পড়ার আগে।"
"তাহলে জোলিকে কীভাবে চেনেন?"
"ওইযে ছােট চাচ্চু আর ভাইয়া বলাবলি করে।"
"ও আচ্ছা। আপনি হিন্দি মুভি দেখেন?"
"হ্যাঁ খুব।"
"হিন্দি কিভাবে বােঝেন? সেটা আপনার ভাষা? নাকি আপনি শিখেছেন?"
"কোনােটাই না। তবে কীভাবে বুঝি জানি না।"
"দেখতে দেখতেই বােঝেন।"
"তাই হবে।"
"তাহলে ইংলিশ বােঝা তাে আরাে সােজা, কারণ ভাষাটা আপনি জানেন, শিখেছেন।"
"কিন্তু ওরা যে এত দ্রুত কথা বলে?"
"আচ্ছা আমি বলে দেব, এরপর থেকে ধীরে বলতে।"
"আচ্ছা।"
মীরার আচ্ছা শুনে রাফি হেসে দিলাে। মীরার সেন্স অফ হিউমার লেভেল যে শূন্য তা সে এইমাত্র বুঝলাে। তবে রাফির হাসি শুনে মীরা ব্যাপারটা বুঝতে পারলাে আর নিজের বােকামিতে নিজেই লজ্জা পেলাে। মীরা তাড়াতাড়ি কথা ঘুরিয়ে বলল,
"আচ্ছা এই মুভিটা দিয়েই ট্রাই করবাে।"
"কিন্তু আপনি বােধহয় মুভিটা বুঝবেন না।"
"কেন বুঝব না?"
"না মানে আপনি তাে সবসময় দেখেন না। তাই আরকি।"
"না আমি দেখবই। কিভাবে দেখবাে? এটা কি টিভিতে দেখায়?"
রাফি হেসে বলল,
"এখন তাে টিভিতেই দেখাচ্ছে। দেখুন গিয়ে।"
"এখন তাে দেখতে দেবেনা কেউ। অবশ্য কখনােই দেয় না। টিভিতে একেকজন একেকটা দেখার জন্য ঝগড়া করে। তাই আমি ওদিকে কম যাই, যখন কিছু কমন পড়ে তখনই যাই শুধু।"
"বাসায় ইন্টারনেট আছে?"
"আছে।"
"তাে ডাউনলােড করে দেখুন।"
"আমি তাে ডাউনলােড করতে পারিনা। আচ্ছা ভাইয়া কে বলব ডাউনলােড করে দিতে।"
"না না, এই মুভি ভাইয়াকে দিয়ে নামানাে যাবে না।"
"কেন?"
"ইয়ে... না মানে এটা তাে বড়দের মুভি। তাই আপনার ভাইয়া বকা দিবে। আর আপনি তাে বাচ্চা, আপনার দেখা লাগবে না। বড় হয়ে দেখবেন। এখন দেখতে চাইলে আমি আপনাকে আপনার উপযােগী কোনাে মুভি সাজেস্ট করব।"
"আমি বাচ্চা নই।"
কথা বলতে বলতেই একটা বাচ্চার গলা পাওয়া গেল। বাচ্চাটা খুব দ্রুত কথা বলছিল,
"লাফি বাইয়া... লাফি বাইয়া... লাই বাইয়া বলে আমকে মালবে। এতা শুনে আমিই ওলে মেলে দিয়ে দৌদ্দিয়েচি। তাপ্পল আমকে আল দলতে পালেনি।"
"আচ্ছা রাহিকে আমিও মেরে দেব পরে। এতবড় সাহস আমার পুতুলকে বলেছে মারবে!"
"এক্কেবালে তিক অবে তকন।"
রাফি এবার মীরাকে বলল,
"সরি অপেক্ষা করালাম।"
"ও কি রূপ?"
"হুম। বিচার নিয়ে এসেছে।"
হাসলাে রাফি। মীরা বলল,
"কথা বলা যাবে ওর সাথে?"
"সিওর, ও সারাদিন কথা বলে। হােল্ড করুন। রূপ কথা বলাে তাে একটু।"
খানিক বাদেই পাখির মত করে রুপ বলল,
"হ্যালাে তুম বালাছাে?"
মীরা হেসে বলল,
"হ্যাঁ ভাল আছি। তুমি কেমন আছাে বলাে তাে?"
"কুউব বালাছি।"
"তােমার নাম কি?"
"আমাল নাম লুপ।"
"তােমার নাম নূপ?"
"ইন্না ইনা, আমাল নাম নূপ না, আমাল নাম লুপ।"
মীরা হাসলাে! রূপ জিজ্ঞেস করলাে,
"তুমি কে?"
"আমি? আমি মীরা।"
এবার রূপ বেশ উচ্ছসিত হয়ে বলল,
"মীলাপু! মীলাপু! তুম আমাদেল বাসায় আল আসােনা কেন? আমি তােমাল জন্য কান্দি।"
মীরা বেশ অবাক হলাে! ওপাশে রাফি রূপকে বলল,
"আপুন এটা তােমার ওই মীরাপু না। অন্য মীরাপু।"
রূপ বােধহয় ওর ভাইকে জিজ্ঞেস করলাে,
"এক নামেল দুইতা আপু হয়?"
"হয়।"
"অন্য কূপও আচে? অন্য লাফি বাইয়াও আচে?"
"থাকতে পারে। তুমি ঘুমুতে যাও এবার।"
"আজকেও লূপ লাফি বাইয়ার সাতে গুম দেবে।"
"আচ্ছা। তাহলে চলাে শুয়ে পড়ি।"
"না একন লাফি বাইয়া মুভি দেকচে।"
"না রাফি ভাইয়া মুভি পরে দেখবে।"
মীরা এতক্ষণ চুপচাপ ভাইবােনের কথা শুনছিল। এবার মনে পড়লাে রাফি বলেছিল তার এক্স গার্লফ্রেন্ডের নাম মীরা! রাফি এবার মীরাকে বলল,
"মীরা আমি কি কিছুক্ষণ পর কলব্যাক করতে পারি? বােনটা আমার সাথে ঘুমুতে এসেছে। ও প্রায় প্রতিদিনই আমার সাথে ঘুমায়। ওকে ঘুম পাড়িয়ে ফোন দিতাম।"
"আচ্ছা দিন কোনাে অসুবিধা নেই।"
"আচ্ছা।"
রাফি ফোন রাখতেই মীরার ভেতরে অদ্ভুত এক অনুভূতি হতে লাগলাে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, যতই পানি খাচ্ছে তৃষ্ণা মিটছে না! রাফি তাে একেবারে বিদায় নিয়ে নিতে পারতাে। তা না করে বলেছে আবার ফোন করবে! আবার কথা বলতে পারবে! যতই কথা বলছে ততই ভাল লাগছে! ছেলেটা জাদু টাদু জানে না তাে? জাদু করে ফেলেনি তাে ওকে?
কিছুক্ষণ পর ফোনের রিংটোন বেজে উঠতেই মীরার বুক ধুকধুক করতে লাগলাে। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন ধরলাে,
"হ্যালাে"
"হ্যালাে।"
"রূপ ঘুমিয়ে পড়েছে?"
"হুম।"
"খুব মিষ্টি বাচ্চা।"
"অতিরিক্ত।"
"কিভাবে ঘুম পাড়ান ওকে?"
"বুকের ভেতর নিয়ে গল্প বলি, গল্প শেষ হওয়ার আগেই ও ঘুমিয়ে পড়ে!"
"ইশ!"
"তারপর?"
"তারপর?"
"আপনার কথা বলুন।"
"আমার কোন কথা?"
"যা বলতে চান।"
"আচ্ছা রূপ তখন আমার সাথে কাউকে গুলিয়ে ফেলছিল। কে সে?"
"বলেছিলাম না আমার এক্স গার্লফ্রেন্ডের নাম মীরা?"
"ও হ্যাঁ। সে বাসায় আসতাে? মানে আপনাদের সম্পর্কের কথা বাসায় জানতাে?"
"সম্পর্কের কথা বাসায় জানতাে না। কিন্তু মীরা আমার কাজিন। তাই বাসায় আসতাে।"
"এখন আসেনা?"
"না। আমি আসতে নিষেধ করেছি।"
"ব্রেকাপ কেন হলাে? আচ্ছা সরি সরি আমি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে ফেলছি।"
"কোনাে ব্যাপার না। আমি তাে বললামই যা ইচ্ছা বলতে পারেন। আসলে আমিই ব্রেকাপ করেছি। মীরা ডাবল টাইমিং করছিল।"
"কেমন?"
"আমার সাথে এফেয়ার, আবার আমার ফ্রেন্ডের সাথেও। যদিও প্রথমে ও জানতাে ওর ওই বয়ফ্রেন্ড আমারই ফ্রেন্ড। সহ্য করতে পারিনি তাই ব্রেকাপ। পরে মাফটাফ চেয়ে আবার ফিরলাে, আমিও এক্সেপ্ট করলাম। কিছুদিন পরই আবার টের পাই ওর আরাে কয়েকজনের সাথে সম্পর্ক আছে। ব্যস এরপর তাে আর সম্পর্ক রাখার প্রশ্নই ওঠেনা। আমি আবার খুব রুড। মনের আগে আমার মস্তিষ্ক কাজ করে সবসময়।"
"ও।"
"যদি ফোনের মধ্য দিয়ে ঘ্রাণ পাঠানাে যেতাে, আপনার জন্য কিছু হাসনাহেনার ঘ্রাণ পাঠাতাম। আমার পুরাে ঘর ছেয়ে গেছে এই ঘ্রাণে।"
"আমিও একটা হাসনাহেনার গাছ লাগাবাে।"
"কেন?"
কণ্ঠে দুষ্টুমির হাসি রাফির। মীরা অবাক হলাে সত্যিই তাে সে কেন হাসনাহেনার গাছ লাগাতে চাইলাে? আর রাফি অমন করে হাসছে কেন?
পর্ব ০৪ | পর্ব ০৬ |