চিল্লানোর শব্দ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো কন্ঠের হৈচৈ নিচ থেকে শোনা যাচ্ছে। এদিকে হতবুদ্ধির মতো রুমে পায়চারি করছে মেহনূর। কি করে ছেলেগুলোর সামনে যাবে? কিভাবে সামলাবে এমন উটকো পরিস্থিতি? অসম্ভব বলে মনে হলেও এই মূহুর্তে কিচ্ছু মাথায় আসছেনা ওর। কান জ্বালা-ফালা হয়ে যাচ্ছে শব্দের জন্য। বারবার দরজার দিকে নজর দিচ্ছে মেহনূর। সেই সঙ্গে পা চালিয়ে অনবরত উত্তর টু দক্ষিণ দিকে ক্রমাগত হাঁটছে সে। যদি বুবু এসে সবটা সামলে ফেলে তাহলে আর নিচে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু শব্দের তেজটা বলে দিচ্ছে বুবু এখনো দাদাভাইকে আনতে পারেনি। বাধ্য হয়েই হোক, বা অন্য কোনো কারনে, মেহনূর ঠিকই ঝামেলা মিটানোর জন্য ব্যবস্থা করবে। সাদা পাড়ের গোলাপী আচঁলটা চট করে মাথায় টানলো মেহনূর, নাক পযর্ন্ত আচঁল দিয়ে মুখটা ঢেকে ফেললো। ওমনেই রুম থেকে দ্রুতগতিতে বেরুয় মেহনূর, যেতে-যেতে বারান্দার নিচে দৃষ্টি ফেলে সবটা দেখতে থাকে। আঙিনার ঠিক মাঝখানে লম্বামতো একটা পুরুষ দাড়িয়ে আছে। সুরাইয়াকে পারেনা বেকায়দায় থাপড়াতে আসে। সুরাইয়া মাথা নুয়ে ফুলিয়ে-ফুলিয়ে কাঁদছে, ক্ষণেক্ষণে বজ্রকন্ঠের ধমক শুনে গা কাঁপিয়ে শিউরে উঠছে। বাড়ির সবাই প্রায় উপস্থিত, কিন্তু সামলাতে পারছেনা কেউই। সুরাইয়াকে যেভাবে ধমকাচ্ছে, সেই দৃশ্যটুকু দেখলে ভয়ে গা পযর্ন্ত শিউরে উঠে। এদিকে আর এগুতে পারলো না মেহনূর, পা থামিয়ে দাড়িয়ে গেলো সে। অন্যদিকে আঙিনার এককোণায় তটস্থ অবস্থায় দাড়িয়ে ছিলো সাবা, বারান্দার দিকে দৃষ্টি যেতেই দ্রুত নিচে নামতে ইশারা করলো। মেহনূর সেটা দেখে সঙ্গে-সঙ্গে ভীতু চেহারায় ' না ' বোধকে মাথা নাড়াতে লাগলো। মেহনূরের এমন ভীরুতা দেখে রাগে কটমট করে উঠলো সাবা। এদিকে মাহতিম চিল্লিয়ে যাচ্ছে,
- ঠাসঠাস দুগালে চড় মারলেও সোজা হওয়ার চান্স আছে? কি সমস্যা তোমার হ্যাঁ! কথা বললে কথা কানে যায় না?? বয়স কতো তোমার? মাত্র আঠারো? এখনই এতো ব্লা ব্লা কাহিনি কিভাবে দেখাচ্ছো? ভংচং করে ঢঙ দেখিয়ে যেভাবে বেরাচ্ছো লজ্জা করেনা? তুমি কি জানো আমি তোমার চেয়ে খুব বেশিই বড়? কিজন্যে এমন ফাজলামি করছো?
ঠোঁট উল্টিয়ে কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বাচ্চাদের মতো করে বললো সুরাইয়া,
--আআমি চিচিঠিটা দেখখিনি সসতত্যি...বড় আআপু চিচিঠিটা আপপনাকে দিতে পাঠিয়েছে।ববলেছে আআপনার হাতে চিঠিটি দিয়ে চলে আসতে...
পকেট থেকে হাত বের করে চুলের ব্যাকব্রাশ করলো মাহতিম। চোখেমুখে রাগী ভাবটা তখন তুমুল আকারে থাকলেও সংযত করার চেষ্টায় ছিলো। পান থেকে চুন খসলেই পাশে থাকা মেয়েটিকে ঠাটিয়ে দুটো চড় মারতে ভুল করবেনা এখন।।কোনোভাবেই ভেবে পাচ্ছেনা এই নাছোড়বান্দা অকালপক্ক গাধী কিভাবে সামনে এসে কথা বলার সাহস দেখাচ্ছে! মাহতিমের ইচ্ছে করছে গলা টিপে ফাজিল মেয়েটাকে একেবারে মেরে ফেলতে!কুটিকুটি করে বস্তায় ভরে পদ্মা-যমুনায় ভাসিয়ে দিতে! কিন্তু বিষভরা আফসোস! এটা কষ্মিনকালেও সম্ভব না। তাই মাহতিম নিজের রাগটা সামলানোর জন্য উপরের দিকে মুখ তুলে চোখ বন্ধ করলো। শব্দ করে নিশ্বাস ছাড়তেই কয়েকসেকেন্ডের মধ্যে চোখের পাতা খুললো। কিন্তু একমুহূর্ত যেনো ওভাবেই দৃষ্টি আটকে রইলো ওর, পরক্ষনে চোখদুটো বিষ্ময়ে ভষ্ম হলে সাথে-সাথে কপালে ভাঁজ পরলো। মাহতিম যখন উপরের দিকে মুখ তুলে নিশ্বাস ছাড়ছিলো, তখনই মেহনূর উল্টো ঘুরে নিজেকে আড়াল করছিলো। কিন্তু মেহনূরের পেছনদিকটা ঠিকই দেখতে পাচ্ছিলো মাহতিম। মাহতিম সহসা থমকে গেলে মারজা এই সুযোগে ছেলেকে ইচ্ছেমতো বকতে লাগলো। সুজলা চুপচাপ সুরাইয়াকে সেখান থেকে নিয়ে গেলো। ভাগ্যিস সুরাইয়ার মা বাড়িতে ছিলো না, নাহলে কেমন কেলেঙ্কারি হতো সেটা কেউ জানেনা। এদিকে হান্নান শেখ তড়িঘড়ি করে বাড়িতে ঢুকলে মারজা তৎক্ষণাৎ বাবামশাইয়ের কাছে ছুটে গিয়ে সব খোলাসা করতে ব্যস্ত হলো। শানাজ চুপচাপ নতমুখে সিড়ি ধরে উপরে চলে যাচ্ছিলো। মাহতিমের চুপটি দেখে বন্ধু ও কাজিনরা ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনে নীতির কাছে মূল ব্যাপারটা ঠিকই ধরা পরলো। নীতি একবার ভাইয়ের দিকে তাকালো, আরেকবার তাকালো মেহনূরের দিকে। শানাজ ততক্ষণে বারান্দায় এসে নিচুস্বরে কিছু বলতেই মেহনূর তৎক্ষণাৎ দৌড়ে পালায় রুমের দিকে। কিন্তু পথিমধ্যে মাথা থেকে আচঁল পরে যায় ওর, পেঁচানো খোপা আলগা হয়ে দৌড়ের গতিতে খুলে যায় সেটা। ধাপে-ধাপে চুলের বহর কাধ থেকে পিঠে, পিঠ থেকে কোমরে, কোমর থেকে সোজা হাটুর কাছে আছড়ে পরতেই মেহনূর ডিরেক্ট রুমে ঢুকে। আর দেখতে পেলো না মাহতিম। তখনই সৎবিৎ ফিরে পেয়ে মুখ যেই নিচু করবে, ওমনেই কাজিনদের কৌতুহল দৃষ্টি ওকে অপ্রস্তুত করে দিলো। মাহতিম শূন্য মুখে কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকলে নিজেই নিরবতা ছেদন করে বললো,
- আমার মুখে কি সিনেমা চলছে? তোরা সিনেমা দেখছিস? তাকিয়ে আছিস কেন?
পুরো আটজন স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতেই হুট করে পেট-ফাটা হাসিতে সবগুলো মেতে উঠলো। ওদের হাসি দেখে আহাম্মক হয়ে গেলো মাহতিম। লুটোপুটি খেয়ে হাসাহাসি করছে এখন। কি নিয়ে এমন হাসাহাসির কীর্তি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারলো না ও।নীতির কথায় মাহতিম ক্ষুদ্ধ ভঙ্গিতে চুপচাপ রুমে যেতে বাধ্য হলো। নীতি শুধু এটুকু বলেছিলো, ' ভাইয়া মেহনূরকে ডাকি?'। এটুকু প্রশ্ন শুনেই মাহতিম যেনো দারুন লজ্জা এবং উটকো ইয়ার্কির কারণ হিসেবে অধোমুখে বসে রইলো। সুরাইয়া একটু আগে যে তামাশা করলো, সেটা মনে উঠলেই গা রি-রি করে উঠে ওর। মাহতিম আঙিনায় দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো, তখন কোত্থেকে যেনো সুরাইয়া এসে উদয় হলে মাহতিমের সামনে একটা চিঠি বারিয়ে ধরলো। ওর ঠোঁটের কোণে হাসির ছলকটা দেখা যাচ্ছিলো ঠিকই, কিন্তু মাহতিম তখন এতোটাই আশ্চর্য হয়েছিলো, ফোনের ওপাশে জবাব দিতে একদমই ভুলে গিয়েছিলো। সুরাইয়া কিন্তু থেমে নেই, সে বেহায়ার মতোই হোক বা ন্যাকামির জোরে চিঠিটা সুন্দর করে ধরে দাড়িয়ে আছে। এমন একটা ভাব যেনো প্রেমিকের সামনে ভীষণ লজ্জায় হাবুডুবু খেয়ে মরে যাচ্ছে। মাহতিম আর ডানেবায়ে তাকায় না, এমন কন্ঠে চেচিয়ে উঠে তাতে মারাত্মক ভয় পায় সুরাইয়া। এরপর শুরু হয় কুরুক্ষেত্র এবং মাহতিমের বজ্রকন্ঠ।
বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে মাহতিম এসব ভাবছিলো। কিন্তু দরজার কাছে তিনটা টোকা পরতেই চোখ মেলে দরজার দিকে তাকালো। ওমনেই তড়াক করে বিছানায় উঠে হান্নান শেখকে ভেতরে আসার অনুরোধ করলো। হান্নান শেখের গায়ে সাদা লুঙ্গি ও ঘিয়ে রঙের পান্ঞ্জাবী পরিহিত ছিলো। তিনি দরজার দুই দ্বার রুদ্ধ করে পায়ে-পায়ে বিছানার কাছে এসে বসলেন। মাহতিম সহজাত হাসিতে কিছু বলার জন্য চনমনে ভাব প্রকাশ করলে হান্নান শেখ মৃদ্যু হাসির সুরে বললেন,
- দাদু তুমি কি মাফ চাওয়ার জন্য ঠোঁট নাড়াচ্ছো? তাহলে সেটা করো না। আসলে আমার মেজো নাতনীটা একটু সোজা না, সে সবসময় সীমার বাইরে থাকতেই পছন্দ করে। দোষটা আসলে আমাদের মাহতিম দাদু। তোমার না।
বৃদ্ধ হান্নানের নরম আচরণে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে মাহতিম। বৃদ্ধর পানে তাকিয়ে থেকে অদ্ভুত শ্রদ্ধায় মুগ্ধ হচ্ছিলো সে। নিরবতার জালে ছিদ্র করে মাহতিম শান্ত সুরে বলে,
- দেখুন দাদু, এসব স্ক্রু ঢিলা মেয়েমানুষকে একটু টাইটে রাখবেন। আমি নাহয় আপনার কাছের মানুষ, কিন্তু আমার জায়গায় যদি বাইরের কোনো দুশ্চরিত্র পুরুষ হতো তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা খারাপের দিকে চলে যেতো। আপনিও জানেন, আর আমিও জানি একটা মেয়ের জন্য এমন অসভ্যতামি নিশ্চয়ই শোভা পায় না। তাছাড়া একটা ব্যাপার বুঝিয়ে বলুনতো দাদু, আপনার আরো তিনটে নাতনী আছে, তারাতো এরকম করেনা। শানাজ আমার চেয়ে ভালোই ছোট, তবে ও নীতির সমবয়সী। ওর মধ্যে তো এরকম উগ্রপনা দেখিনি, সাবাও যথেষ্ট অমায়িক আচরণ করেছে। মেহনূর তো ছেলেদের সামনেই আসেনা। তাহলে মেজো নাতনীটা এরকম কেনো?
কথাটুকু শুনে হান্নান শেখ চাপা ক্লেশে দৃষ্টি নিচু করলো। ঠোঁটে উনার হাসি জড়ানো থাকলেও কন্ঠ কেমন নিষ্প্রভ ছিলো। মাহতিম বৃদ্ধর অবস্থা যেনো কিছুটা হলেও বুঝতে পারছিলো, কিন্তু মুখে কিছু বললো না। হান্নান বুকভর্তি নিশ্বাস টেনে সেটা সশব্দে ছেড়ে দিয়ে হালকা গলায় বললো,
- ' অতি আদরে বাদর হয় '- কথাটা শুনেছো?
মাহতিম প্রশ্ন শুনে উত্তরের জন্য ' হ্যাঁ ' বোধকে মাথা নাড়লো। আড়চোখে উত্তরটা জেনে হান্নান এবার স্পষ্ট করে বললো,
- মেজো বউমা একটু বেশিই আহ্লাদী। নিজের মেয়েকে একটু আলাদা বানাতে গিয়ে চরম অসভ্য বানিয়ে ফেলেছে। আমরা যখন ভুল করি, তখন আমরা বকা খাই, আর সুরাইয়া তখন আদর পেতো। তফাৎটা এবার বুঝেছো? যাইহোক আজকের ঘটনা নিয়ে আমি নিজেই খুব লজ্জিত, লজ্জায় মাথাটা এভাবে কাটা যাবে ভাবতেও পারিনি। তা দাদু তুমি এই বুড়োর মিনতিটুকু সম্মান হিসেবে রেখো। দয়াকরে বাইরে এ কথা ভুলেও সাত-কান করো না। নাহলে নাতনীদের বিয়ে দিতে পারবো না।
মাহতিম আশ্বস্ত সুরে হাসি দিয়ে বললো,
- একজনের জন্য দশজনকে শাস্তি দিয়ে তো লাভ নেই দাদু। আমি এখানে মেহমান হিসেবে এসেছি, মেহমান হিসেবেই চলে যাবো। মাঝের ঘটনাটুকু অবশ্যই ভুলে যাবো। আপনি চিন্তামুক্ত থাকুন।
.
সুরাইয়ার সেই ঘটনার পর মাহতিম একটু নিস্তার পেলো। কিন্তু স্বস্তি পেলো না একদম। বারবার মনের মধ্যে অলিখিত কথার মতো কিছু অপ্রকাশিত উত্তেজনা যেনো ঘুরঘুর করছে। চোখের সামনে না চাইতেই কিছু অদ্ভুত দৃশ্য ভেসে উঠছে। দুপুরের পর ঠিক বিকেলের দিকে বাইরে বেরুলো সে। রুমের বাইরে গিয়ে জানতে পারলো মাকে নিয়ে সবাই নাকি কাকে যেনো দেখতে গিয়েছে। বাড়িতে একটা কাক-পক্ষিও নেই বটে। মাহতিম বিরক্ত বোধ করছিলো বলে ট্রাউজারের দুই পকেটে হাত গুজিয়ে হাঁটছিলো। বাড়ির প্রতিটি রুম-সহ সবকিছু দেখার জন্য ছোট্ট প্ল্যান করলো। মানুষহীন বাড়িটা বড্ড খাঁ খাঁ করছে এখন, চারপাশটা সুনশান হয়ে উদাস অবস্থা বিরাজ করছে। সাদা টিশার্ট এবং নেভি ব্লু ট্রাউজার পরে দক্ষিণদিকের সাইডটায় চলে আসলো মাহতিম। সিড়ি দিয়ে উঠতেই শান্ত-নয়নে সবকিছু দেখতে লাগলো। পা চালিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে শূন্য রুমগুলো দেখলো মাহতিম। তখনই সে বুঝতে পারলো এগুলো আসলে মেয়েদের রুম। যেহেতু বাড়িতে কেউ নেই, তাই স্বচ্ছন্দে তাদের রুমে ঢুকে চার দেয়ালের সুক্ষ্ম কারুকাজগুলো দেখছিলো। কিন্তু বিধি যে অন্যকিছুর পরিকল্পনায় মত্ত ছিলো, সেটা কেউ জানতো না। ভাগ্য যে এমন জায়গায় সুতো বেধেঁ দিচ্ছিলো, যেটার জটটা আসলে খুলবেনা। মাহতিম মুগ্ধ দৃষ্টিতে সবকিছু পরোখ করতেই একদম কোণার দিকে দ্বিতীয় রুমটার সামনে চলে আসলো। দরজা তখন খোলা এবং পর্দা দুপাশে চাপানো ছিলো। সে নিশ্চিন্ত মনে ভেতরে পা রাখতেই চোখদুটো আকস্মিকভাবে স্থির হয়ে গেলো। বুকের ভেতর ভয়ংকর যন্ত্রটা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে লাগলো। ধুক-পুক-ধুক-পুক করে দুই কানের নরম পর্দায় বুকের চাবুকাঘাত স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলো। কি হচ্ছিলো নিজের সঙ্গে কিছুই টের পাচ্ছিলো না সে। শুধু চোখদুটো চুম্বকের মতো দৃশ্যপটে সেঁটে গেছে। ফুসফুসের ওমন বেগতিক ভাবে ক্রিয়ার জন্য কিছু বলার সাধ্যও ফুরিয়ে গেছে। মাহতিম যে কখন রুমে এসে দাড়িয়েছে খেয়াল করেনি একজন। সে রুমের ভেতরে সদ্য গোসল সেরে শাড়ি পরার কার্যে লিপ্ত ছিলো। দরজার দিকে পিঠ দেওয়াতে খেয়াল করেনি একদম। আঙ্গুলের ফাঁকে শাড়ির কুচি আবদ্ধ করে মাথা নুয়ে মগ্ন ছিলো। গুছানো কুচিগুলো একত্র করে যেই শাড়ি তুলে পেটের কাছে গুঁজবে একপলকের জন্য আয়নার দিকে তাকায় মেহনূর। সঙ্গে-সঙ্গেই বিস্ফোরণ চাহনিতে স্তব্ধ হয়ে যায় ও। চোয়াল ঝুলিয়ে হা করে তাকালে অজান্তেই হাত ফসকে সাজানো-গুছানো কুচিগুলো পরে যেতে লাগলো।
.
.
.
চলবে............................