যদি বলি ভালোবাসি - পর্ব ০৩ - ফাবিয়াহ্ মমো - ধারাবাহিক গল্প



-ঘুরিস না প্লিজ....ওখান থেকে চলে আসলি কেন? কুৎসিত বলেছি দেখে চলে আসলি?
আমি চুপ করে আছি কোনো জবাব দিচ্ছিনা। ভাইয়া আমার পিছন থেকে সরে পাশে এসে রেলিংয়ের উপর বসলেন। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলেন-

-সিনু আই নো তুই আমার যাওয়া নিয়ে রাগ করে আছিস। ট্রায় টু বিলিভ ও সময়ে আমার যাওয়া খুব দরকার ছিলো। 
-আমি কি আপনার কাছ থেকে জানতে চেয়েছি? 
-ওহ্ গড!!এতো রাগ!!
-প্লিজ চলে যান এখান থেকে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা। 

ভাইয়া মুখটা পেচার মতো করে ফেললেন। রেলিং থেকে নেমে সামনে থেকে চলে গেলেন। আমি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে রুমে চলে আসলাম। 

দুপুরে গোসল শেষে চুলে তোয়ালে পেচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলাম। হঠাৎ মেইন দরজা থেকে কলিং বেলের আওয়াজ আসলো। লাগাতার বেল বাজিয়ে যাচ্ছে। আমি তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে দরজা খুলতে গেলাম। আম্মু সম্ভবত রান্নায় ব্যস্ত আর আপু মেবি রুমে। প্রতিবারের মতো আজো আমি দরজা খোলার চাকরি সামলালাম। দরজা খুলে দেখি কেউ নেই। উকি দিয়ে মাথা বের করে আশপাশে তাকালাম কেউই নেই। সিড়ির এখানেও কেউ নেই। কেমন আজব! এতক্ষন বেল বাজিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে আর এখন অদৃশ্য? আমি দরজা লাগাতে যাব দরজার বাইরে ফ্লোরে নজর পড়লো...ওখানে একটা বড় বাক্স রাখা। আমি বাক্স দেখে ওটা নিয়ে ভেতরে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম। সাদা মোড়কে মোড়ানো। উপরে বড়বড় করে লিখা-"Only for the special one, SMomo".  তার মানে এটা আমার জন্য পাঠানো। কিন্তু কে পাঠালো? কোনো কুরিয়ার বয় তো ছিলো না। মুগ্ধ ভাইয়া? কিন্তু উনি তো এভাবে চোরের মতো জিনিস পাঠাবেননা। আমি বক্স নিয়ে রুমে ঢুকতে নিলে আম্মু রান্নাঘর থেকে উকি দিয়ে বলে উঠেন-

-কিরে দরজায় কে ছিলো? তোর হাতে ওটা কি?
-আম্মু পার্সেল দিয়ে গেছে। কে দিয়েছে জানিনা। 
-তাহলে ফেলে দিয়ে আয়...কার না কার পার্সেল তুই খুলবি কেন?
-আরে আমার নাম লিখা..এই দেখো SMomo.
-এইটা তোর সিউর?
-ইয়েস খুলে দেখি আগে। তুমি কাজ করো। 

আমি বক্সটা নিয়ে সোজা রুমে ঢুকে বিছানায় নিয়ে বসলাম। মোড়কটা খুলে দেখি একটা কাগজে এত্তোগুলা নাম্বার লিখা। ঠিক এরকম- 912152252118. একটা কাগজে শুধু এই নাম্বার গুলোই লিখা আর কিচ্ছু নেই। এটা যে ফোন নাম্বার না পুরো নিশ্চিত। কেননা ১২ টা ডিজিটের সিম নাম্বার হয়না। বক্সটা খুলে দেখি ভেতরে একটা শাড়ি রাখা, একটা লকেট চেইন, একটা লেডিস ওয়াচ। শাড়িটার রঙ অদ্ভূত। আলোতে রাখলে কালো, অন্ধকারে রাখলে গাঢ় লাল। কেমন যেন! লকেটটা খুব সুন্দর একদম আনকমন স্টাইলের...একটা পাথর তাতে লাল, নীল, কালো রঙের মিক্সড কালেকশন। লেডিস ওয়াচটার ডায়াল নেই। একটা বাটন আছে ওটাতে ক্লিক করলে লাইট জ্বলে সময় দেখায়। ব্যস এ কটা জিনিসই। কে দিলো? আমার তো জন্মদিন আসতেও খুব দেরি আছে, এখন কেউ গিফট করবে বলে মনে হয়না। মনিরা গিফট করলো নাকি? মনিরা আমার বেস্টু। ফোন নিয়ে ওকে কল দিলাম গিফটের ব্যাপারে জানার জন্য। কয়েকটা টুট যেতেই ফোন রিসিভ....
-হ্যা মম বল,
-দোস্ত তুই কি কোনো পার্সেল পাঠাইছিস?  SMomo ওয়ার্ড লিখে কেউ একটা আননোন পার্সেল দিছে...তুই কি কিছু জানিস?
-আমার কি টাকা কামড়ায়, তোরে জন্মদিন ছাড়া গিফট দিতে যাব? আমি গিফট পাঠাইনি। 
-ঠিকি তো তোর মতো হারকিপ্টা কিভাবে দিতে পারে! আমিও না! আচ্ছা শোন কারোর উপর সন্দেহ হয় কে দিতে পারে?

-কিরে সাব্বিরায় নাকি?তনিমাও হতে পারে....ওই দাড়া দাড়া মাহিন্না মোটকায় দিলো?...
-তোর মুখে কি শুদ্ধ ভাষায় নাম উচ্চারণ হয়না? কিসের সাব্বিরা মাহিন্না জামাইল্লা তনিমা শুরু করলি! ভাইরে ভাই! ওরা ছেলে মানুষ তুই তো মেয়ে মানুষ বানায়া ছাড়লি!
-হুহ হুর! ওগুলারে আমার সহ্যই হয়না আবার সুন্দর করে ডাকতে যাবো। একেকটায় লুচ্চা আর হারামির হারামি! পারলে একেকটার ইজ্জত লুটায়া রাস্তায় নামায়া ছাড়তাম!
-ওরে বইন মাফ চাই...মাফ চাই...থাক তুই চুপ যা...আর হিস্টোরি শুনতে চাইনা। রাখি বায়। কাজ আছে
-আচ্ছা বায়।
.
.
মনিরার মুখ বাজে ভাবে খারাপ হয়। বরিশাইল্লা খেতারগাট্টি হলে যা হয় আরকি। মনিরা পাঠায়নি। আর ওই বদমাইশ লুচ্চাগুলাও আমাকে গিফট দেওয়ার সাহস পাবেনা। দিলো কে? মুগ্ধ ভাইয়া? জিজ্ঞেস করা উচিত। উনার নাম্বার নেই কল করি কিভাবে....আবির ভাইয়া! যেই ভাবা সেই কাজ। আবির ভাইয়ার রুমে যেয়ে উনার ডায়েরি থেকে টুক করে মুগ্ধ ভাইয়ার নাম্বার তুলে নিলাম। ভাগ্যিস!!ভাইয়া অফিসে নাহলে উনার রুমে ঢুকতেও ট্যাক্স দেওয়া লাগতো। মুগ্ধ ভাইয়ার নাম্বার নিয়ে ডিরেক্ট কল! ফোন বাজতে বাজতে কেটে গেলো কিন্তু নো রিসিভ। আবার কল করলাম। কয়েকবার বেজেই ওপাশ থেকে রিসিভ-

-হ্যালো সিনু বল..কি দরকার পড়লো

আমি থতমত খেয়ে গেলাম। উনি আমার নাম্বার সেভ করে রেখেছেন? ইশশ ভেবেছিলাম আমি বড় গলায় পরিচয় দিবো!! কিন্তু উনি আগে চিনে গেলেন!!

-সিনু? আছিস?...হ্যালো..!
-আপনি আমার নাম্বার সেভ করলেন কবে? আমি তো নাম্বার দেইনি!
-কেমন বোকার মতো প্রশ্ন করছিস? নাম্বার তুই না দিলে আমি পাবো না? স্টপ কাম টু দ্যা পয়েন্ট! কেন কল করলি?
-আপনি কোনো বেহায়ার মতো পার্সেল পাঠিয়েছেন? সাদা পার্সেল টাইপের বক্স...
-মুখের ভাষা ঠিক করে কথা বল! আমি তোকে পাত্তা দেই তার মানে এই না আমি রাস্তার ছেলে! ফর দ্যা কাইন্ড ইনফরমেশন, আমি কোনো পার্সেল সেন্ড করিনি। 
-তাহলে পার্সেল দিলো কে......

-মম তোকে কেউ আননোন পার্সেল পাঠিয়েছে? তুই ওটা খুলেছিস? হ্যালো? কথা বল গাধা! হ্যালো!
-হ্যা কিছুক্ষণ আগে পাঠিয়েছে...কে পাঠিয়েছে জানি না। আমি ভাবলাম আপনি পাঠিয়েছেন।
-মম প্লিজ প্লিজ ওটা ফেলে দে! ওটা এক্ষুনি ফেলে দে...এক্ষুনি  মানে এক্ষুনি!
-আপনি চেচামেচি শুরু করছেন কেন? আর আপনার কথা কেন শুনতে যাব! আমি ওটা ফেলব না,
-প্লিজ ডোন্ট বি ম্যাড! ওটা ডেন্জারাস হতে পারে প্লিজ! প্লিজ ওটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আয়। ওয়েট! আমি আসছি!

মুগ্ধ ভাইয়া ফোন কেটে দিলেন। কেমন পাগল পাগল বিহেব করছেন...কি হলো কি উনার..সামান্য একটা পার্সেল নিয়ে এতো হুড়োহুড়ি? আমি পার্সেল রেখে আবার চুল মুছতে নিলে কলিংবেল বাজানো শুরু।  দরজার ওপাশে মুগ্ধ ভাইয়া এসেছেন বোঝা শেষ। এখন আর দরজা খুলতে গেলাম না। "যাও বাবা বাজাও দরজা, আমি আর খুলতে আসছি না"...চুল মুছতে মুছতে তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে বারান্দায় দাড়ালাম। আম্মু আপুর কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।হয়তো মুগ্ধ ভাইয়া এসে পড়েছেন। হঠাৎ রুমে ধামম করে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলেন ভাইয়া। আমি বিকট শব্দ পেয়ে ভ্রু কুচকে রুমে আসলে দেখি মুগ্ধ ভাইয়া বিছানার উপর রাখা পার্সেলটা  দেখছেন। হন্তদন্তে হাত চালিয়ে শাড়ি, ওয়াচ, লকেট নেড়েঝেড়ে দেখছেন।। আমি তোয়ালে ফেলে দৌড়ে উনার সামনে যেয়ে দাড়ালে উনি অস্থিরতা নিয়ে বলে উঠলেন-

-সিনু তুই পাগল নাকি! নাম নেই কিছু নেই এভাবে কেউ পার্সেল খুলে! খবরদার! নেক্সট টাইম যদি এমন বোকামি দেখি! থাপড়িয়ে গাল ফাটিয়ে দিব!

আমি উনার হাত থেকে পার্সেলটা ছিনিয়ে শাড়িটা বাক্সে ভরে বলে উঠলাম-

-এটা আমারই পার্সেল, লুক! SM লিখা! স্নিগ্ধা মম রাইট!  চলে যাও এখান থেকে !
-ফর দ্যা গড সেক সিনু! পাগলামি করিস না! এটা তোর জন্য না! প্লিজ বুঝ!
-ভাইয়া আমি কি আপনাকে ডেকেছি? আমি কি বলেছি পার্সেলটা আমার না?নির্লজ্জের মতো কিভাবে আসেন! লজ্জা করেনা ! চলে যান এখান থেকে ! আপনার চেহারা দেখতেও আমার গা জ্বলে উঠে!

মুগ্ধ ভাইয়া থেমে গেলেন। আমার শেষ কথায় যে উনি খুব আহত হয়েছেন বুঝেছি। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। উনাকে আমার আসলেই সহ্য হয়না। ভাইয়া শক খাওয়ার মতো দাড়িয়ে আছেন। একটু পর বুক ভরা শ্বাস ছেড়ে মনটা খারাপ করে "আসি" বলে চলে গেলেন। উনি চলে গেলে আমি রুমের দরজা আটকিয়ে দেই। পনের মিনিট পর ফোনে একটা মেসেজ আসলে চেক করতে হাতে নেই...স্ক্রিনের অপশনে "Mugdho bro" উঠা। মেসেজটা আর কেউ না মুগ্ধ ভাইয়া দিয়েছেন। সাথেসাথেই ফোনটা  ছুড়ে বিছানায় মারলাম। উনার মেসেজ দেখার ইচ্ছে নেই। 

রাত আটটা। ভাইয়া, আমি ডোরেমন ছেড়ে টিভি দেখছি।সোফায় দুজন পাশাপাশি। রিমোট ভাইয়ার হাতে কিন্তু রিমোটের ব্যাটারি আমার কাছে। অনেক রনযুদ্ধ শেষে ডোরেমন দেখার জন্য স্থির হলাম দুজন। মিরা আপু আম্মুর সাথে রাতের খাবার তৈরিতে ব্যস্ত।। পার্সেলটার ব্যাপারে ভাইয়াকে জানিয়েছি। ভাইয়া প্রথম প্রথম বকলেও পরে কিছু বলেননি। হঠাৎ ভাইয়া বলে উঠলেন-

-সিনু তুই কি মুগ্ধকে কিছু বলেছিস? দেখ মিথ্যা কথা বলবিনা...আমি তোকে হারে হারে চিনি...
-ইয়েস আমি উনাকে সামনে আসতে না করে দিয়েছি... উফফ উনাকে দেখলে আমার গা পিত্তি জ্বলে উঠে ভাই,
-তুই ওকে ঝা তা বকেছিস বদমাইশ! এজন্যই ওকে রাতে খেতে ডাকলাম আর ও আসলোই না। তুই কবে সুধরাবি সিনু!
-জানি না। দেখো ভাইয়া  উনাকে আমার কাছ থেকে  দূরে দূরে থাকতে বলবা। আই জাস্ট হেট হিম!
-দেখ , আমি তোর সাথে যতই ঝগড়া করি মুগ্ধের ম্যাটার আসলে আমি ভুলে যাব তুই কে! পুরো দুনিয়ায় যদি তন্নতন্ন করে স্বর্ন কনা খুজিস তবুও ওর মতো হীরে খনি জীবনেও পাবিনা! আমি আবির সীল মেরে কথাটা বলে দিলাম দেখিস!
-ভাই হীরেখনিকে হীরার কুজোয় থাকতে বলো...কাদার সাথে যেন টক্কর নিতে না আসে। একদম ভালো হবে না বলে দিলাম।
.
.

রাত দুইটা। ফেসবুকে স্ক্রলিং করে বোর হয়ে গেছি... একটু হাওয়া নিতে বারান্দায় যেয়ে দাড়ালাম। ঠান্ডা শো শো কোমল বাতাস.....চারপাশে অন্ধকার নামা পরিবেশ...শান্ত খোলামেলা তারাভরা আকাশ। খুব স্নিগ্ধ ম্লান লাগছে.....বাইরের মনোরম শীতল পরিবেশ খুব আরামপূর্ণ...রাতের পরশ সারা শরীরে দোল খাইয়ে ছুটছে...শুকতারা দেখছি..মিটমিট করে দূর আসমানে জ্বলজ্বল করছে... খুব সুন্দর।। .....হঠাৎ কেউ দূর থেকে মুখ বরাবর লাইট মারলো। তাকাতে পারছি না। ঝট করে চোখ বন্ধ করে দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেই। এখনো লাইট তাক করে রেখেছে। আমি হাত সরিয়েও তাকানোর স্কোপ পাচ্ছিনা। ঠিক লাল রঙের লাইট। আমি মুখের উপর হাতের আঙ্গুল কিন্ঞ্চিত ফাক করে লাইটের উৎস খুজতে লাগলাম...চোখ আধবোজা করে লাইটের সন্ধান করছি কোথা থেকে আসছে.....বেশ দূর থেকে আসছে। একটু চিন্তা করতেই মনে হলো এটা কোনো নরমাল লাইট না! এটা "লেসার লাইট"। ভয়ে বুকটা ধক করে উঠল! উৎসহীন জায়গা থেকে আমার উপর লাইট মারছে! কে করছে!! বুকে ধকধকানি শুরু হলে গেলো।। শোশো বাতাসে গায়ের পশম কাটা দিয়ে উঠছে। আমি এক দৌড়ে দ্রুত রুমে যেয়ে দরজা আটকে দিলাম। বিছানায় বসে টেবিল থেকে পানি নিয়ে কয়েক ঢোক খেলাম কিন্তু  ভয়ে হাফাচ্ছি। বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটানো কমছে না। কাপাকাপা শরীরে আমার ডান হাতটা চোখের সামনে এনে ধরলাম ড্রিম লাইটের কম আলোতে বোঝা যাচ্ছে পশম এখনো দাড়িয়ে আছে। কি সাংঘাতিক ভয়! হু হু শব্দ করে হাপানি রোগীর মতো নিঃশ্বাস ছাড়ছি.....হ্যাঁ এখন কিছুটা রিল্যাক্স, কিছুটা রিল্যাক্স....আমি মাথায় হাত দিয়ে বিছানায়  বসা থেকে শুয়ে পড়ি। আমার সাথে এটা হলো কি!! কে মারলো কেন মারলো লেসার লাইট! চোখ মেলে ফ্যানের ঘূর্ননে তাকিয়ে ভাবনায় ডুবে দিলাম....সকালে পার্সেল, একটা ১২ ডিজিটের নাম্বার কাগজ, সাথে তিনটে জিনিস গিফট?এখন লেসার মেরে কি বোঝালো? সামনে একটা ফাকা মাঠা ছাড়া কিছু নেই, দূরে একটা টাওয়ার। হচ্ছে কি এসব? কোথা থেকে লাইট মারলো? হঠাৎ ফোনে কিছু আসার টিউন বেজে উঠলো...আমি বালিশের উপর থেকে ধীরেসুস্থে ফোনটা নিয়ে যা দেখি হাত লাগামহীন ভাবে কাপছে! ভয়ে কলিজা শুকিয়ে আসছে !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন