গত এক সপ্তাহ বড় বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে জাহ্নবী'র বাসায় চলে এসেছে ভায়োলেট। এসে বেশ অবাক হতে হল। জাহ্নবী'র জানালার পর্দার সঙ্গে ঝলমল করছে অসংখ্য তারার মতো বাতি। পুরো ঘরে হালকা নীল আভা। সাদা চাদরের ওপর জবুথবু হয়ে শুয়ে আছে জাহ্নবী।
ভায়োলেটকে পেয়ে জাহ্নবী জানতে চাইলো, 'তোর ফোন ধরিনি বলে কষ্ট পেয়েছিস?'
'না তো। এত সামান্য কারণে আমি কষ্ট পাই না আপু। হয়তো ব্যস্ত ছিলে।'
'না। ফ্রি ছিলাম। ইচ্ছে করেই ধরিনি।'
'সে কী! কেন?'
বেশ অবাক শোনালো ভায়োলেটের গলা। জাহ্নবী বলল, 'কথা বলতে ইচ্ছে করছিল না।'
'আচ্ছা। এখন কী কথা বলতে ইচ্ছে করছে?'
'হ্যাঁ।'
'ভেবে বলো। ইচ্ছে না করলে চলে যাবো।'
হাসলো জাহ্নবী। বিছানা থেকে উঠে এসে ভায়োলেটকে জড়িয়ে ধরে বলল, 'ভাল আছিস? আজকে গায়ে পারফিউম মেখেছিস যে?'
'মনটা ফুরফুরে ছিল সেজন্য। রান্না করা আছে?'
'না, করতে হবে।'
'আজকে আর রান্না করো না। বাইরে খাবো।'
জাহ্নবী একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, 'ঠিক আছে। আমার কাছে কিন্তু তেমন টাকা নেই। মাস শেষ কিন্তু বেতন পাইনি এখনও।'
ভায়োলেট বলল, 'আমি খাওয়াবো।'
কিছুক্ষণ চুপ থেকে জাহ্নবী জিজ্ঞেস করল, 'সামার কেমন আছে রে?'
'যন্ত্রণার মধ্যে আছে। সেদিন মায়ের সঙ্গে ওর কথা কাটাকাটি হয়েছে। মা প্রতিদিন অর্ণবের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। মুখ ফুটে বিয়ের কথা না বললেও মায়ের কথার ধরন শুনে আমরা বুঝি, মা দ্রুত বিয়ের দায়িত্ব সেরে ফেলতে চান। মেজোপু খুব রেগে আছে মা'র ওপর। অর্ণবের সঙ্গেও রেগে আছে। মা এর মধ্যে দুইবার অর্ণবকে বাসায় দাওয়াত করেছে। মেজোপু কথা বলেনি তেমন একটা। কিন্তু সেদিন মা যখন বললেন অর্ণবের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যেতে, আপু আর রাগ সামলাতে পারেনি।'
জাহ্নবী উদ্বিগ্ন গলায় জানতে চাইলো, 'সব বলে দিয়েছে?'
'না। তবে রাগারাগি করেছে। সে তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, মা যেন এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে এইসব।'
জাহ্নবী একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, 'সামারের মাথাটা একটু গরম। আমি কখনো ওর মতো কথা বলতে পারতাম না।'
'আমিও পারবো না।'
'আচ্ছা ভায়োলেট, তোকে যদি বাড়ি থেকে হঠাৎ বিয়ে দিয়ে দেয়, তুই বিয়ে করবি?'
ভায়োলেট কিছুক্ষণ চুপ থেকে উত্তর দিলো, 'এরকম প্রশ্ন নিয়ে কখনো ভাবিনি। যেহেতু দুজন বড় বোন আছে। তবে যতদূর মনে হচ্ছে, আমি বিয়ে করতাম না।'
ম্লান হাসল জাহ্নবী। ভায়োলেটের জোরাজোরিতে জামা বদলে তৈরি হল সে। বাসার কাছেই একটা সুসজ্জিত রেস্তোরাঁয় খেতে এসে জাহ্নবী'র বিষণ্ণতা কাটতে শুরু করেছে। ভায়োলেটের মেজাজটা আজ রৌদ্রজ্জ্বল দিনের আলোর মতোই ফুরফুরে৷ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্পগুজব করল তারা।
জাভেদ আলী সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ জমিয়ে রেখেছেন একটা নিজের বাড়ি করবেন বলে। ঢাকা শহরের মতো উচ্চাভিলাষী শহরে নিজের বাড়ি করার মত সামর্থ্য তার নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিন কক্ষের একটা ফ্ল্যাট বানাবেন। সহকর্মীরা মিলে জমি কিনে রেখেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। প্রত্যেক তলায় দুইটা করে ফ্ল্যাট হবে৷ তিন তলার ফ্ল্যাট টা নেবেন জাভেদ আলী। আজকাল বাড়ি তৈরির কাজ নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। জাভেদ আলী অনেক উত্তেজিত, তার বহু বছরের স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলেছে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে নিজের বাসায় থাকবেন তিনি। ফ্ল্যাটের ডিজাইন করবেন মনের মতো। ড্রয়িংরুমের সঙ্গে থাকবে ওপেন কিচেন। পারভীন খুশিমনে রান্না করবেন, সোফায় বসে ঘ্রাণে বিমোহিত হয়ে বাঁকা চোখে তাকাবেন তিনি। দেখবেন ঘামে ভিজে উঠেছে পারভীন। শেষ বয়সে এইটুকুই তো তার সাধ।
সেসব নিয়েই কথা হচ্ছিল দুই বোনের মাঝে। জাহ্নবী আনন্দিত গলায় বলল, 'আব্বু অনেক খুশি হবে যেদিন আমরা ফ্ল্যাটে উঠবো তাই না?'
'হুম। কিন্তু কতটা খুশি আসলেই হবে বুঝতে পারছি না।'
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উত্তর দিলো ভায়োলেট। জাহ্নবী বলল, 'এরকম ভাবছিস কেন?'
'কেন যেন মনে হচ্ছে বাবা আর মা একাই সেই বাড়িতে উঠবেন। আমরা তিনবোন থাকবো তিন জায়গায়। মায়ের খুশি হওয়ার কথা থাকলেও তিনি তখন খুশি হতে পারবেন না। আর বাবা? বাবার জন্য কষ্ট হচ্ছে। এত সাধের ফ্ল্যাটে তিনি মেয়েদেরকে ছাড়া একা থাকবেন কী করে!'
জাহ্নবী বেশ অবাক হল ছোটবোনের কথা শুনে। ভায়োলেটের হাতের ওপর হাত রেখে জাহ্নবী বলল, 'তোর কেন এরকম আশংকা হচ্ছে রে?'
'সময় হলে দেখতে পারবে আপু। আমার যা মনে হচ্ছে তাই বললাম।'
'এর আগেই কী তোদেরও বিয়ে হয়ে যাবে?'
ভায়োলেট গম্ভীর মুখে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে উত্তর দিলো, 'আমি তো কখনো বিয়েই করবো না।'
সময় বয়ে যেতে লাগল তার আপন গতিতে। হেমন্ত পেরিয়ে চলে এলো শীতের আমেজ। ভোরবেলা মৃদু কুয়াশা পড়ে। ফজরের নামাজ শেষে জাহ্নবী ছাদে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে৷ আজকাল অফিসের কাজে বড্ড ব্যস্ত সময় কাটে জাহ্নবী'র।
অফিস থেকে বের হওয়ার সময় নাদির সাহেব জাহ্নবীকে ডেকে তার একটা ভালো খবর জানালেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটা নতুন স্টার্টআপ শুরু করতে যাচ্ছেন। প্রয়োজন হলে জাহ্নবী'র সহায়তা আশা করেন তিনি। জাহ্নবী কথাটা শুনে বেশ অবাক হল। নাদির তার মেধাকে ভীষণ গুরুত্ব দেয় যেটা দেখে অবাক হতেও ওর ভালো লাগে। সম্মানিত হতে কে না ভালবাসে?
জাহ্নবী স্যারকে আশ্বস্ত করেছিল, স্যারের জন্য যেকোনো কঠিন কাজ করে দিতে দ্বিধা করবে না সে।
কয়েকদিন পরই নাদির জাহ্নবীকে একটা মিটিংয়ের আমন্ত্রণ জানাল। অফিস শেষে একটা রেস্তোরাঁয় বসবে তাদের মিটিং।
জাহ্নবী বিস্মিত গলায় বলল, 'স্যার আপনি আমাকে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন, আমার অবিশ্বাস্য লাগছে।'
'You are a talented, responsible, hard working girl. That's why I prefer You. সবচেয়ে বড় কথা, আপনি কাজের প্রতি সবসময়ই অনেস্ট।'
জাহ্নবী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হাসল। সন্ধ্যার পরই মিটিংয়ে যেতে হবে তার। তাই অফিসের পর বাসায় এসে জামাকাপড় বদলে হালকা নাস্তা খেয়েই বেরিয়ে পড়ল সে।
জ্যামের কারণে দেরি হল পৌঁছাতে। ভেতরে প্রবেশ করে দেখল ছোট্ট একটা কেবিনে ম্লান আলোয় গোল টেবিলে বসেছে তাদের মিটিং৷ নাদিরের সামনে খোলা ল্যাপটপ। আশেপাশে জন চারেক মানুষ।
জাহ্নবী চেয়ার টেনে বসার সঙ্গে সঙ্গেই পান্নাবাহারের সঙ্গে মুখোমুখি দৃষ্টি বিনিময় হল। অপ্রস্তুত বোধ করল সে। এই মিটিংয়ে পান্নাবাহার থাকবে সেটা তার কল্পনাতেও আসেনি। সেই পার্টির রাতের পর সে এক ঝাপটায় পান্নাবাহারকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছিল। দ্রুত দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে জাহ্নবী নাদিরকে বলল, 'গুড ইভনিং স্যার।'
নাদির হাত তুলে বলল, 'এখানে আমি আপনার স্যার নই। উই আর ফ্রেন্ডস, ওকে?'
হতবাক চাহনি নিয়ে কয়েক পলক চেয়ে রইল সে। নাদির বলল, 'এখানে যারা আছেন সবাই অনেক ব্রিলিয়ান্ট আর ক্রিয়েটিভ। আমি বেশ কিছু প্রশ্ন করব, আপনারা সেগুলোর উত্তর নিয়ে ভাব্বেন। এভাবে নতুন কিছু আইডিয়া বেরিয়ে আসবে। সেটা হবে অনেক ইনোভেটিভ।'
জাহ্নবী জানতে চাইল, 'স্যার আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।'
মুচকি হেসে নাদির বলল, 'আমরা আলোচনা শুরু করলেই বুঝতে পারবেন। আপনার চা পছন্দ নাকি কফি?'
পান্নাবাহার তৎক্ষনাৎ উত্তর দিলো, 'ওনার জন্য এখনই খাবারের অর্ডার দেয়ার দরকার নেই। আগে মিটিংটা শেষ হোক তারপর অর্ডার দেয়া ভালো। না মানে খাবার এসে গেলে যদি ওনার জরুরি কল আসে তাহলে তো মিটিংটায় আমরা একজন ইম্পরট্যান্ট ব্যক্তিকে হারাবো।'
জাহ্নবী হতবাক না হয়ে পারল না। শব্দ করে হাসল নাদির। হাসি ফুরাতেই বলে ফেলল, 'তুই কি সেদিন খাবার অর্ডার দিয়ে আর খেতে পারিস নি নাকি?'
'উনি আমাকে কফি খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিল। কফি আর পিজ্জা দিতে বললাম। ওনার জরুরি কল এলো তখনই। পরে সেই পিজ্জা আমি, ক্লারা আর কায়ানাথ মিলে খেয়েছি।'
জাহ্নবী একটা নিশ্বাস ফেলল। পান্নাবাহারের স্ত্রী'র নাম তাহলে কায়ানাথ! নামটা শুনে ভেতরে এক ধরনের জ্বলুনি অনুভব করল সে। দ্রুত বলল, 'আমি জরুরি মিটিংয়ে ফোন ফ্লাইট মুড করে রাখি।'
পান্নাবাহার বলল, 'তাই নাকি? জরুরি মিটিং আপনার কাছে উড়ে বেড়ানোর মতো ফিল এনে দেয় বুঝি?'
হেসে উঠল সবাই। জাহ্নবী'র হঠাৎ কী হয়ে গেল কে জানে! প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সে উত্তর দিলো, 'এমন ক্রিয়েটিভ মানুষদের সঙ্গে কারও স্বপ্ন নিয়ে মিটিং করতে পারাটা তো ওড়ার মতোই একটা বিষয়।'
হাত তালি দিয়ে নাদির বলল, 'ওহ ম্যান, দ্যাটস গ্রেইট! সরি, ওহ ওম্যান। হা হা। ইউ আর রিয়েলি আ জিনিয়াস।'
জাহ্নবী সগর্বে মাথা সোজা করে বসল। ভেতর থেকে এক ধরনের পরিতৃপ্তি অনুভব করল সে। এই অনুভূতির সঙ্গে এটাই তার প্রথম পরিচয়। এতটা আনন্দ নিয়ে সে নাদিরের প্রত্যেকটা কথা শুনলো যে, দারুণ কিছু আইডিয়ার কথা বলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলো। নিজের কাছেই নিজেকে আজ অবিশ্বাস্য লাগছে জাহ্নবী'র।
মিটিং শেষে খাওয়াদাওয়ার পর্ব চলতে লাগল অনেক্ষণ ধরে। কখনো হুট করে পান্নাবাহারের দিকে দৃষ্টি চলে গেলে জাহ্নবী ম্লান হেসে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তার আজ সময় বা ইচ্ছে কোনোটাই নেই এই মানুষটার পেছনে নষ্ট করার।
মিটিং শেষে বেরিয়ে একটা রিকশায় উঠল জাহ্নবী। হৃদয়ে দোল লাগানো বাতাসে নিজেকে মেলে ধরল। কল দিলো ভায়োলেটকে।
হ্যালো ভায়োলেট..
'হুম আপু। বলো?'
'আজকে আমি একটা জিনিস উপলব্ধি করেছি। জানিস?'
'না তো। কী জিনিস আপু?'
জাহ্নবী ঝলমলে গলায় বলল, 'আমার মাঝে আত্মবিশ্বাসের অনেক অভাব ছিল। তাই আমি এতদিন একটা মরা মানুষ হয়ে ছিলাম। সত্যিই একটা মানুষের সব থেকে বড় শক্তি তার আত্মবিশ্বাস। নিজের প্রশংসা করছি না, তবে আমি জানি আমি মানুষটা জ্ঞানী, অনেক কিছু জানি, অনেক ক্রিয়েটিভ বিষয় চিন্তা করতে পারি। কিন্তু আমি কখনো সেসব প্রকাশ করার সুযোগ পাইনি, কখনো নিজেকে মেলে ধরতে চাইনি। পরীক্ষায় খাতায় ছোট্ট সুযোগ পেতাম বলে সব পরীক্ষায় সেরা রেজাল্ট করেছি। কিন্তু এরপরও আমার কখনো নিজের ওপর আস্থা ছিল না। ভাবতাম, আমি একটা মরা। আজ আমার মনে হচ্ছে এই আত্মবিশ্বাস জিনিসটা অর্জন করতে পেরেছি। অল্প হলেও পেরেছি।'
এক ঊর্ধ্বশ্বাসে দ্রুত কথাগুলো বলে গেল জাহ্নবী। ভায়োলেট খুশি খুশি কণ্ঠে বলল, 'তোমার আনন্দ দেখে আমারও খুব আনন্দ হচ্ছে আপু। তোমার এই উপলব্ধি দেখবে তোমার জীবনটাই বদলে দেবে।'
'হ্যাঁ রে। সবকিছু বদলে দিচ্ছে। আমি পারবো অনেক কিছু করতে, আমার সেই যোগ্যতা আছে। এই ভাবনাটাই এতদিন আমার মাথায় আসেনি। আজ সবকিছু খুব অন্যরকম লাগছে রে।'
ভায়োলেট হাসতে হাসতে বলল, 'আহ কী যে শান্তি লাগছে আপু! তুমি কক্ষনো এভাবে মন খুলে তোমার অনুভূতির কথা আমাকে বলোনি।'
লজ্জা পাওয়া গলায় জাহ্নবী বলল, 'সত্যিই তাই। আজকে আমার বাসায় আসবি? অনেক আড্ডা দিবো। আজকে রুশোকে নিয়ে কোনো কথা শুনবো না। আজকে শুধু আনন্দের কথা শুনব।'
ভায়োলেট বলল, 'আসবো আপু। আমিও তোমাকে আমার অনেক আনন্দের কথা শোনাবো। তুমি এতদিন জানতে চেয়েছিলে আমি কেমন জীবন চাই, আমি কী চাই, সবই বলবো আজকে।'
জাহ্নবী'র ইচ্ছে করল খুশিতে রিকশা থেকে লাফ দিয়ে নেমে নাচানাচি করতে। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে সে বলল, 'সত্যি! আমি কত্ত অপেক্ষা করে আছি শোনার জন্য।'
'হ্যাঁ আপু। সব বলবো। শুধু তাই নয়, আজকে তোমার কাঁধে একটা কঠিন দায়িত্ব তুলে দেবো। জানিনা আসলেই কাজটা করা উচিৎ কী না, কিন্তু করতে হবে আপু। এই দুঃসাহসিক কাজটা না করলে আমি কখনো আমি থাকবো না। আমার এতদিনের জমানো স্বপ্ন পূরণ করাটাও সহজ হবে না।'
জাহ্নবী কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইলো, 'কী সেই দুঃসাহসিক কাজ যেটা আমাকে করতে হবে? কীসের ই বা স্বপ্ন!'
'আজকে এসে সব বলবো আপু।'
জাহ্নবীর রিকশায় বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল। একদিকে তীব্র খুশিতে তার ইচ্ছে করছে পাগলের মত নাচতে, অন্যদিকে ভায়োলেটের রহস্য জানার জন্য বুকের ভেতর উত্তেজনারা তেজী হয়ে ফুটে উঠছে। কখন জানতে পারবে সে সবকিছু!
.
.
.
চলবে.........................................................................