আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আপনিময় তুমি - পর্ব ১১ - আরিয়ানা জাবিন মেহের - ধারাবাহিক গল্প


রাইসার মুখে এই কথা শুনে আনহার মেজাজটাই বিগড়ে গেল... ও গিয়েই রাইসার গালে খুব জোরে কষে একটা থাপ্পড় মারল। রাইসা ব্যলেন্স করতে না পেরে টেবিলের উপর গিয়ে পরে যায় যাতে ওর ঠোঁটটা কেটে যায়। ইহান দ্রুত গিয়ে রাইসাকে তোলে আর রাইসা ইহানকে জড়িয়ে ধরে কেদে দেয়......

এইটা দেখে আনহার রাগ আরো বেড়ে যায়.... ও রাইসাকে ইহানের বুক থেকে সরিয়ে দিয়ে আরেকটা থাপ্পড় মারতেই ইহান আনহার হাত ধরে নেয়....

আনহা: কষ্ট লাগছে নাকি আপনার। এতটা ভালোবাসা রাইসার জন্য....

এইটা শুনে ইহান আর নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করতে পারে না। অনেক কষ্টে চোখ বন্ধ করে নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করে.....

ইহান: রাইসা এখান থেকে যা.....

রাইসা: কিন্তু.....

ইহান: যাহ এখান থেকে...... [ খুব জোরে চিল্লিয়ে ]

রাইসা আর কথা না বলে বেড়িয়ে যায়.....

আনহা: ওকে বাইরে পাঠানোর কি দরকার ছিল। আমাকে বলতি আমি চলে যেতাম.....

[ বলে বেড়িয়ে যেতে নেয় তখনি ইহান আনহাকে টেনে বেডের উপর ফেলে দরজা বন্ধ করে দেয় ]

ইহান: এতক্ষন কি বললেন আপনি..... [ রাগে ইহানের গা কাপছে ]

আনহা: বুঝতে পারছিস না .... তুই আর রাইসা.... [ বেড থেকে উঠতে উঠতে ]

কিছু বলার আগেই ইহান আনহাকে থাপ্পড় মারতে ধরে। এইটা দেখে আনহা নিজের হাত দিয়ে মুখ ঢেকে চোখ বন্ধ করে নেয়। কিন্তু ইহান থাপ্পড় মারতে গিয়েও মারে না। ইহান আবার আনহাকে বেডে শুইয়ে ওর উপর আধো শোয়া হয়ে খুব জোরে আনহার গাল চেপে ধরে.....

ইহান: যদি রাইসাকে ভালোবাসতাম তাহলে বছর ধরে আপনার জন্য মরতাম না। যদি রাইসাকে চাইতাম তাহলে এত কিছু হওয়ার পর আপনাকে বিয়ে করতাম না। ওকে যদি ভালোই বাসতাম তাহলে আপনি আমার সাথে এত কিছু করার পর আপনাকে সহ্য করতাম না ছুড়ে ফেলে দিতাম.......

[ ইহান এতটাই জোরে আনহার গাল চেপে ধরেছে মনে হচ্ছে গাল দাতের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে। অসম্ভব ব্যাথা লাগছে আনহার গালে.......

আনহা: তাতো দেখতেই পাচ্ছি। কতটা ভালোবাসা আমার জন্য আর ওই রাইসার জন্য.....

ইহান: হুমম ভালোবাসি খুব ভালোবাসি। তবে সেটা ওকে না ওর মনটাকে যেটা সবসময় আমার জন্য ভাবে। You know what anha.... ওর ভালোবাসায় আর কিছু থাক বা না থাক আমার জন্য কেয়ার আছে যা আপনার মধ্যে আমি ওয়াইফ হিসেবে দেখিনি। আমি ভালোবেসেছি তাই বুঝি কতটা কষ্ট হয় যখন ভালোবাসার মানুষটা অন্য কারো কাছে থাকে তখন কেমন লাগে.... আর আমি ওর ভালোবাসাকে ভালোবাসি। কারন সবাই আপনার মত হার্টলেস হয় না। নিজের জেদ রাখার জন্য যেকিনা নিজেকেও শেষ করতে পারে.....

আনহা: ওওও তাহলে আর কি??? যে আপনাকে এতটা ভালোবাসে তার ভালোবাসার মুল্য দিয়ে তার কাছেই চলে যান..... আমার কাছে থাকতে হবে না। আমি তো বলিনি আমার কাছে থেকে আপনার কেয়ার করা মানুষকে কষ্ট দিতে....

ইহান: আপনি কি নিজের স্বভাব কোনোদিন চেঞ্জ করবেন না। এতটুকু কি খারাপ লাগে না আপনার.......

আনহা: নাহহহ লাগে না.....

ইহান আনহার থেকে উঠে খুব জোরে দেয়ালে কয়েকটা ঘুশি মারে..... তারপর দেয়ালে হাত দিয়ে নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে...… ইহান জোরে জোরে বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকে..... আনহা উঠে রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে চায়.....…..

ইহান: আনহা আমার কথা শুনুন... [ শান্ত গলায় দেয়ালে বামহাত ভর দিয়ে আর ডানহাতের দুই আঙুল দিয়ে নিজের কপাল স্লাইড করে ]

আনহা: আমার আর কিছু শোনার নেই.... [ বলে বেড়িয়ে যায় ]

ইহান: আনহা..... [ কিন্তু আনহা শুনল না। তাই রেগে পাশে থাকা টেবিলটা লাথি দিয়ে ফেলে দেয় ]


ইহান আনহার পিছনে ওর কাছে যেতেই দেখে বাইরে দাঁড়িয়ে রাইসা কাদছে আর ওর ঠোঁটে রক্ত জমে আছে...... ও রাইসার কাছে যায়.......

রাইসা: কেন এসেছ তুমি?? চলে যাও। কোনো কথা বলতে চাই না।

ইহান আর কিছু না বলে রাইসাকে জড়িয়ে ধরে.....

ইহান: সরি। আনহা এমন কিছু করবে আমি ভাবতে পারিনি....

রাইসা: ছাড় আমাকে তোমার বউ দেখলে আবার.... [ বলেই হু হু করে কেদে উঠে ]

ইহান: যে দেখার দেখুক তাতে আমার কিছু আসে যায় না। [ তারপর ইহান জোর করে রুমে নিয়ে যায়। আর ওর ঠোঁটে মলম লাগিয়ে দেয় ]

রাইসা: ও কি তোমায় এতটুকু ভালোবাসেনা ইহান.....

এইটা শুনে ইহান থমকে যায়.... শুধু একটা মুচকি হাসি দেয়।

রাইসা: যে মেয়ে তোমাকে এতটুকু বিশ্বাস আর ভালো না বাসে তার সাথে কিভাবে থাকবে তুমি......

ইহান:.......

রাইসা: তুমি কোনোদিন কি ওর সাথে সুখি হতে পারবে??? তুমি নিজের হাতে নিজের সবটা শেষ করে দিয়েছ ইহান.....

এইটা শুনে ইহান রাইসাকে জড়িয়ে ধরে।

ইহান: ভালোবাসি ওনাকে। বড্ড বেশি তাইত চেয়েও কিছু করতে পারছি না।

রাইসা: তাইত দেখছি না গিলতে পারছ না উগড়াতে....

ইহান: তুই শুয়ে পর....

রাইসা: আবার ওই বাজে মেয়েটার কাছে যাচ্ছ....

ইহান: তুই চুপচাপ ঘুমা... [ তারপর রাইসার গায়ে কাথা টেনে লাইট বন্ধ করে চলে আসে ]


বাইরে এসে ইহানের মাথাটা আরো গরম হয়ে যায়.... আনহা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।

ইহান: আপনি এখানে কি করছেন....

আনহা: আমি.....

তখনি ইহান আনহাকে টেনে নিজের রুমে নিয়ে যায়।

ইহান: আস্তে কথা বলুন রাইসা ঘুমচ্ছে.....

আনহা: এত কিসের রাইসা রাইসা তোর মুখে.... এত কিসের ভালোবাসা ওর প্রতি....[ ছলো ছলো চোখে ]

ইহান খুব জোরে আনহাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।

ইহান: সমস্যা কি আপনার....??? কি চাই আপনার??? আপনি তো বলেছেন আমাকে ভালোবাসেন না। থাকতে চান না আমার সাথে। আমি কোনো মেয়ের কাছে গেলেও কিছু আসে যায় না আপনার.... তাহলে এখন কেন এমন ভাবে রিয়েক্ট করছেন....

আনহা:........

ইহান: আপনি যে কি চান আপনি তাই জানেন না..... আপনার তো কোনোকিছু যায় আসে না তাই আমি অন্য কোনো মেয়ের কাছে গেলে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা না। শুধু যাবই না দরকার হলে আমি অন্য মেয়েকে বিয়ে করে আপনাকে....

আর কিছু বলার আগেই আনহা ইহানের গলা জড়িয়ে ধরে নিজের ঠোঁট দুটো ইহানের ঠোঁটে মিশিয়ে দেয়। এমন কিছু ইহান হয়ত স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। ওর চোখ গুলো এতটাই বড় হয়ে গেছে যেন খুলে আসবে.......

কিছুক্ষন পর আনহা ইহানের থেকে সরে আসে। আর ইহান পাথরের ন্যায় দাঁড়িয়ে.... ওর মাথা কাজ করছে না। এখনো ঘোরের মাঝে আছে। কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া কাহিনীটা মনে পরতেই ইহানের মাথা হ্যাং করছে..... ইহান বার বার নিজের ঠোঁটে হাত দিচ্ছে......

ইহান: আনহা আপনি....

আনহা আর কিছু না বলেই একটা ভাব নিয়ে চলে যেতে চাইল... কিন্তু তার আগেই ইহান আনহার হাতটা ধরে ফেলে.... তারপর আনহাকে টেনে নিজের কাছে আনে......

ইহান: একটু আগে ওটা কি ছিল???

আনহা:....... 😡 [ নিচের দিকে তাকিয়ে রেগে ]

ইহান: কিহল...

আনহা ইহানের হাতটাকে ছিটকে ফেলে দিয়ে বিছানায় শুয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরে ওপাশ ফিরে.... আর ইহানের সবটা মাথার উপর দিয়ে যায়...... ইহান গিয়ে সোফার উপর শুয়ে পরে। আর বার বার আনহার দিকে তাকায়......


সকালে ঘুম থেকে ইহান উঠে দেখে আনহা অনেক আগেই উঠে গেছে। ইহান গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়.... তারপর খাবার টেবিলে যায়। দেখে আনহা নিজেই সব খাবার বানিয়ে সার্ভ করছে। আর রাইসা টেবিলে বসে পেপার পরছে...... ইহান কোনো কথা না বলে চুপচাপ টেবিলে বসে পরে...... আর আনহা চুপচাপ ইহানকে খাবার বেড়ে দেয়। আনহার নিরবতা অদ্ভুত লাগছে ইহানের কাছে। তারপর ও খেয়ে বেড়িয়ে যায়.......


কিছুক্ষন পর রাইসাও বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়.....

আনহা: কোথায় যাচ্ছ...???

রাইসা: তার কৈফিয়ত তোমাকে দিতে বাধ্য নই আমি....

আনহা: ইহানের কাছে তাইত.....

রাইসা: হুমম তাই.... এতে তোমার কিছু বলার আছে.....

আনহা: তুমি ভুলে যেও না ইহান আমার হাসবেন্ড..... 😡

রাইসা: ওও এখন মনে পড়ল ইহান তোমার হাসবেন্ড এতদিন মনে ছিল না। 😡

আনহা: একটাও বাজে কথা বলবে না...

রাইসা: বাজে কথা কি??? আমি ইহানকে যেমন ভালোবাসি ইহানো আমাকে ভালোবাসে বুঝলে নাহলে কাল আমাকে মারার জন্য তোমাকে মারতে যেত না......

আনহা: এই মেয়ে বাজে কথা বন্ধ করো। ইহান আমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের কথা ভাবতেও পারে না। ও শুধু আমাকে ভালোবাসে।।

রাইসা: কেন ভাবতে পারে না??? কি দিয়েছ তুমি ওকে। কতগুলো কষ্ট, ব্যাথা আর অপমান ছাড়া। কোনো ছেলে যদি তার ওয়াইফের থেকে অবহেলা পায় তাহলে সে অন্য মেয়ের প্রতি আকর্ষিত হতে কতখন....

আনহা: ইহান এরকম নয়....

রাইসা: তুমি কিভাবে বলতে পারো....

আনহা: আমি ওকে খুব ভালো জানি....

রাইসা: ভুল জানো.... যদি জানতে তাহলে এমন করতে না। আর একটা কথা ইহানকে আমি তোমার থেকে আর কষ্ট পেতে দেব না।

আনহা: মানে....

রাইসা: সেইটা পরে দেখতে পাবে.... [ বলে বেড়িয়ে যায় ]


রাইসা বেড়িয়ে যায় আর আনহা ওখানেই বসে পরে..... রাইসা ইহানের কাছে যায়.....

ইহান: তুই এখানে....???

রাইসা: আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলতে চাই....

ইহান: বল.... [ ফাইল দেখতে দেখতে ]

রাইসা:.......... [ কিছু বলে ]

ইহান: What... 😡😡😡 তুই কি পাগল হয়ে গেছিস....??

রাইসা: হুমম.... বাকিটা তোমার ডিসিশন। তুমি যদি আমার প্রস্তাবে রাজি না হয় তাহলে আনহা সবটা জেনে যাব। মানে আমি বাধ্য হয়ে আনহাকে সবটা জানিয়ে দেব.....

ইহান: তুই এটা করতে পারিস না রাইসা....

রাইসা: আমি এটাই করব... [ ইহানের গলা জড়িয়ে ধরে ]

ইহান: রাইসা তুই.......

রাইসা: আমার প্রস্তাবে রাজি না হলে আনহার যে তোমাকে বিশ্বাস করে না তাও.... Go gua Gone হয়ে যাবে....

ইহান:........

রাইসা: এবার বল তুমি রাজি কিনা।

ইহান: বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নাকি। আমি তোকে বিয়ে করার কথা বললে সবাই মেনে মেবে....

রাইসা: সবাই নাচবে....

ইহান: আর আনহার সাথে তো আমার ডিবোস হয়নি তাহলে???

রাইসা: তুমি কি বাচ্চা নাকি।

ইহান: মানে....

রাইসা: আজব বাংলাদেশের ছেলেরা কি দুই বিয়ে করে না। নাকি তাদের ২টো বউ নেই। একটা কথা কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হলে এবার তোমাকে আনহা নিজেই তোকে ছেড়ে দেবে বাকিটা তোমার উপর.... আর আমাকে বিয়ে করলেও তো আনহা তোমার বউ থাকবে । মানে.....

ইহান:.......

রাইসা: এখন ডিসিশন কি???

ইহান: আমি রাজি.......,

রাইসা: এইনা হলে আমার..... [ চোখ মেরে ] যাই হোক চলো....

ইহান: চলো কই.....

রাইসা: বাসায়... বিয়ের খবরটা সবাইকে দিতে হবে না।

ইহান: তুই যা।

রাইসা: ওকে😘😘😘


আনহা রুমে ছিল চেচামেচি শুনে বাইরে আসে.....

আনহা: কি হচ্ছে এসব...??? এত কিছু কেন??

রাইসা: বিয়ে বাড়ি বলে কথা একটু তো সাজ সজ্জা দরকার। এমনি এমনি কি বিয়ে করব নাকি....

আনহা: বিয়ে করবে মানে.।।।

রাইসা: ও তোমাকে তো বলাই হয়নি। এ বাড়িতে বিয়ে হবে....

আনহা: বিয়ে হবে মানে কার....???

রাইসা: আমার আর ইহানের.... 😘😘😘

আনহা: What??? কি বাজে কথা বলছ??? আমি ইহানের ওয়াইফ..... ...

রাইসা: So what....??? আমি ইহানের মুখে যতদুর শুনেছি তুমি ইহানের সাথে থাকতে চাও না। তাই আমার আর ইহানের বিয়েতে সবচেয়ে বেশি লাভ তোমার। তুমি ইচ্ছে করলে তখন চলে যাবে.... 😘😘😘

আনহা: ইহান কি জানে এসব.…...

রাইসা: তুমিও না ও যদি নাই জানে তাহলে বিয়েটা কিভাবে হবে। বর ছাড়া বিয়ে হয়......... [ বলে চলে গেল ]

আর আনহা ওখানেই ধপ করে বসে পড়ল....


রাইসা: তুমিও না ও যদি নাই জানে তাহলে বিয়েটা কিভাবে হবে। বর ছাড়া বিয়ে হয়......... [ বলে চলে গেল ]

আর আনহা ওখানেই ধপ করে বসে পড়ল....


রাতে ইহান বাড়ি ফেরে.... ও রুমে ডুকতেই থমকে যায়। গিয়ে দেখে পুরো রুম অন্ধকার। ইহান গিয়ে রুমের লাইট অন করে..... বিছানার দিকে তাকাতেই দেখে আনহা বিছানার উপর গুটিশুটি মেরে কাদছে..... ইহান বুঝতে পারে বিয়ের কথা আনহাকে বলেছে..... ও আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে.... আয়নার সামনে নিজের চুল গুলো ঠিক করতে থাকে.....

তখনি আনহা গিয়ে ইহানের পাশে দাঁড়ায়....

আনহা: তুই নাকি রাইসাকে বিয়ে করছিস.. [ কান্নার কন্ঠে.... ]

ইহান:.......

আনহা: কিরে কথা বলছিস না যে.... কথাটা কি সত্যি তুই রাইসাকে বিয়ে করছিস....

ইহান: যা বলার রাইসা তো বলেই দিয়েছে আমি কি বলব.….

আনহা: তারমানে রাইসা যা বলেছে সত্যি তুই ওকে......

ইহান: ও অযথা মিথ্যে বলতে যাবে কেন??? আমি বিয়ে করছি এটাই সত্যি....

এবার আর আনহা নিজেকে সামলাতে পারে না। ও হু হু করে কেদেই দেয়। আনহার চোখে পানি দেখে ইহানের বুকের ভিতর মোচর দেয়। ও আনহাকে থামাতে গিয়েও থামায় না। তারপর নিজেকে শক্ত করে.......

আনহা: কেন ইহান??? তুই তো আমাকে ভালোবাসিস তাহলে কেন বিয়ে করবি রাইসাকে.... [ মাথা নিচু করে কাদতে কাদতে ]

আনহার চোখের পানি ইহানের ভিতরটা শেষ করে দিচ্ছে। তারপরেও ইহানের নিজেকে সামলে নেয়.... ইহানের দুচোখের কোনে পানি জমে তাই ও নিজের চোখের পানিটা আনহার অলক্ষে মুছে নেয়…...

ইহান: কেন পারিনা... স্ত্রী হিসেবে কি দিয়েছেন আপনি আমাকে??? সামান্য টুকু ভালোবাসা আমি পায়নি আপনার কাছ থেকে। মানছি যা করেছি অন্যায় করেছি কিন্তু তাই বলে আপনি আমাকে একটু ও বুঝবেন না। আমি যাই করেছিলাম আপনাকে নিজের করে রাখার জন্য করেছিলাম।

আনহা:..... [ আনহা শুধুই কাদছে ]

ইহান: কান্না বন্ধ করুন আনহা। অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আর কিছু করার নেই আমার। সবাই অলরেডি জেনে গেছে এই বিয়ের কথা......

আনহা:..... [ কাদতে কাদতে ]

ইহান: আমি জানি এখন আপনি বলবেন আরেকজনকে বিয়ে করলে আপনাকে ডিবোস দিয়ে দিতে..... তবে তাই হবে.....

ইহান এটা বলে চলে যেতে চায়। কিন্তু এইটা শুনে আনহা ইহানকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরে......

আনহা: না..... আমি তোকে ছেড়ে যেতে চাই না ইহান। আমি তোর সাথে থাকতে চাই। তোর কাছে থাকতে চাই। তোর ওয়াইফ হিসেবে থাকতে চাই…...

ইহান:...... [ আমিও তাই চেয়েছিলাম আনহা। কিন্তু আপনি তা হতে দেননি। আজ আপনার জন্য আমাকে আপনার থেকে দুরে যেতে হচ্ছে। আমি যে অপারগ আনহা। আমি বাধ্য হয়ে এমনটা করছি। এছাড়া আমার হাতে কিছু নেই.... ]

আনহা: প্লিজ ইহান তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। আমি আর কোনোদিন তোকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববো না।

ইহান:....... [ নিজের হাত মুঠো করে দাঁড়িয়ে আছে ]

আনহা: তুই যা বলবি। যেমনটা বলবি। যেভাবে বলবি আমি সবটা করতে রাজি। আমি আর তোর উপর রাগ করব না। নিজের থেকে দুরে সরিয়ে দেব না তোকে। প্লিজ তবুও আমাকে ছেড়ে যাস না।

ইহান:.....

আনহা: আমি জানতে চাই না রাইসার সাথে তোর কি হয়েছে। কেন তুই বিয়ে করবি শুধু জানি প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাস না। আমি তোকে ছাড়া নিঃস্ব হয়ে যাব। আমি বাচব না।

ইহান এবার আনহাকে ছাড়িয়ে ওর দুগাল ধরে......

ইহান: আমি আপনার কিছু কখনোই হতে দিব না যতদিন আমি বেচে আছি। একটা আচর ও লাগতে দিব না.....

আনহা অবাক হয়ে ইহানের দিকে তাকিয়ে আছে....

আনহা: তাহলে কেন রাইসাকে বিয়ে করছিস???

ইহান:.......

আনহা: বল.... [ ইহানের শার্টের কলার ধরে ] তুই যদি আমাকে যদি ছেড়ে নাই দিবি তাহলে কেন বিয়ে করছিস....

ইহান: আমি তো আপনাকে আপনি যেতে চাইলেও ছাড়ব না। অনেক কষ্ট করে আপনাকে পেয়েছি। অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি.... সেটা ছেড়ে দেবার জন্য নয়.....

আনহা: ইহান তুই....

ইহান: আমি বিয়ে করছি। এইটাই শেষ কথা। [ বলে বেড়িয়ে যায়। আর আনহা ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। ]


পরের দিন সকালটা আনহার কাছে বিষাক্ত মনে হচ্ছে। বাড়ির চারদিক খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে...... আনহা এটা দেখে আনহার চোখ বেয়ে পানি পরতে থাকে। হঠাৎ আনহার ইহানের দিকে চোখ যায়। ইহান বাড়ির লোকদের সাথে কিসব কথা বলছে......

হঠাৎ ইহান দেখে আনহা একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ মুখ পুরো ফুলে গেছে..... বুঝাই যাচ্ছে কান্না করার ফল। চোখে চোখ পরতেই ইহান অন্য দিকে তাকায়.... আর আনহা এটা দেখে এক দৌড়ে রুমে গিয়ে বিছানায় উপর হয়ে কান্না করে। তখনি রুমে রাইসা আসে.....

রাইসা: আর কতটুকু সময় থাকতে চাও আনহা।

আনহা: মানে....

রাইসা: তোমার কি মনে বিয়ে হলে আমি ইহানকে তোমার সাথে থাকতে দেব। এর চেয়ে তুমি ইহানকে ছেড়ে দেও। ওকে ডিবোস দিয়ে চলে যাও এখান থেকে.....

আনহা: আমি কোথাও যাব না।

রাইসা: আসলেই তুমি পারো। যখন রাখতে চাইত তখন চলে যাওয়ার জন্য পাগল ছিলে আর এখন.....

আনহা:......

রাইসা: দেখ আনহা তোমার ভালোর জন্য বলছি তুমি এখনি ইহানকে ছেড়ে চলে যাও। কারন যে ছেলেকে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি বলে ও রাজি হয়ে যায় সে তোমার জন্য কি করবে বল।

আনহা:......

রাইসা: ইহানের কাছে তুমি একটা মোহ যেটা এখন ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে.... তাই বলছি সবটা হারিয়ে ফেলার আগে চলে যাও.....

আনহা: আমি ইহানকে ছেড়ে যাব না রাইসা। য়াতে যা হবার হবে....

রাইসা: আমি শুধু আমার কথাটা জানিয়েছি। বাকিটা তোমার উপর..... আর এমনিতেও আজকে আমি আমার বিয়ের শপিং করতে যাচ্ছি ইহানের সাথে। তোমার জন্য কিছু আনতে হবে বলো নিয়ে আসব....

আনহা: লাগবে না...

রাইসা: তোমার ইচ্ছে...... [ বলে বেড়িয়ে যায় ]

আনহা: আমি কিছু চাই না শুধু ইহানকে চাই। আমার অবহেলার পর যখন তুই আমাকে চাইতে পারিস তাহলে আমি কেন তোকে ছেড়ে যাব। আমিও তোকে চাই। তুই আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য রাইসাকে বিয়ে করবি তাইত.... তবে তাই হবে... দেখি কতটা কষ্ট দিতে পারিস। এবার আমিও দেখব..... [ বলেই কান্না শুরু করে ]

ইহান বাইরে দাঁড়িয়ে আনহাকে দেখছিল.... তখনি রাইসা আনহাকে টেনে নিয়ে যায়...

রাইসা: কি দেখছ জান....

ইহান: ভালো লাগছে না আমার...

রাইসা: এইটুকুতে অবস্থা খারাপ.

ইহান: মানে.....

রাইসা: এত ভালোবাসা। কষ্ট যখন দেখতে পারবে না। তাহলে সেটা আগে ভাবা উচিত ছিল।

ইহান: চুপ কর...

রাইসা: আচ্ছা। এখন চলো.।।।

ইহান: কই....

রাইসা: দেখ তুমি কি করবে জানিনা। তবে আমার বিয়েতে আমি কিছু এডজাস্ট করতে পারব না। বিয়েটা ধুমধাম করেই হবে। আর তাই শপিং করতে যাব....

ইহান: আমি যাব না।

রাইসা: ওকে তাহলে আমি.....

ইহান: ওকে যাচ্ছি..... [ কেন যে সেদিন এরকম করলাম আমি। এখন তার মাসুল দিতে হচ্ছে ]

রাইসা: গুড.... 😁😁😁 [ আর দেখছ কি?? অনেক ভাব নিয়েছ। কোনোদিন কথাও বলো নাই। এবার সবকিছুর শোধ তুলব😉😉😉 ]


তারপর রাইসা ইহানকে নিয়ে শপিং এ যায়। ইহানকে পুরো পাগল বানিয়ে ফেলে। সারাদিন পাগলের মত নাচায় ইহানকে। পুরো দিনটা ইহানের কষ্ট করে কাটে।


আর এদিকে আনহার পুরো দিন ইহানের কথা মনে করে আর চোখের পানি ফেলতে ফেলতে কেটে যায়.........

সন্ধার পর রাইসা শপিং শেষ করে... ইহানকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে আসে.... ওরা খাবার অর্ডার দেয়.... খাবার আসলে ওরা খাওয়া শুরু করে কিন্তু ইহানের গলা থেকে নামছে না। কারন ও জানে আনহা কিছুই খায়নি। তখন ইহান রাইসাকে বলে....

ইহান: এসব না করলে কি হত না রাইসা...

এইটা শুনে রাইসার খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। রাইসা খুব রেগে যায়। ]

রাইসা: তা তোমার আগে ভাবা উচিত ছিল😡😡😡 এখন কিছু করার নেই।

ইহান: কিন্তু..

রাইসা: আমি তোমাকে কিছু দেখাতে চাই.... দেখবে.... তারপর আর তোমার কোনো আপত্তি থাকবে না। 😉😉😉

ইহান: কি???

রাইসা: Look........

এবার ইহানের মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেল....

ইহান: আমি আসছি........😡😡😡

................

রাইসা: বায় বায়।।। [ আনহা বেবি তোমার কপালে আজ দুঃখ আছে.।।😘😘😘 ]


ইহান প্রচন্ড রেগে বাড়ি যায়। ও বুঝতে পারছে না কার উপর রাগ করবে। আনহার উপর নাকি যা দেখেছে শুনেছে তার উপর। ও বাসায় গিয়ে দেখে আনহা ঘড় অন্ধকার করে ঘুমিয়ে আছে....

ইহান দরজা আটকে আনহাকে টেনে তোলে ঘুম থেকে। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে এরকম হওয়ার কারনে আনহার পুরো শরীর কাপতে থাকে।

আনহা: ইহান.....

আর কিছু বলার আগে ইহান নিজের শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে আনহাকে একটা থাপ্পড় মারে..... যার কারনে ও ব্যলেন্স নিতে না পেরে বিছানায় পরে গেল।

ঘটনা বুঝতে বেশ সময় লাগল আনহার। হ্যা ইহান আনহাকে মেরেছে। এই প্রথম মারল সে আনহাকে। আনহা কিছুই বুঝতে পারল না ইহান কেন এমন করল.... শুধু বুঝল ইহান আনহাকে মারল.....

আনহা: ইহান..... তুই আমাকে??? [ গালে হাত দিয়ে টপটপ পানি পরছে ]

ইহান: এই প্রথম হাসবেন্ড হিসেবে আমি আপনাকে মেরেছি.... না মারতে বাধ্য হয়েছি। অনেক ইচ্ছে ছিল তাই না আমাকে ডির্বোস দিয়ে আমার বেবিকে নিয়ে চলে যাওয়ার আফসোস তা আর হল না। আমার বেবিকেও মারলেন আর নিজেও.....

আনহা: এসব অনেক পুরোনো.....

ইহান: চুপ একদম চুপ। খালি একটা কথা শুনে রাখুন আপনি মরলেও আমি আপনাকে ছাড়ব না। এই বিয়েটা আমি অবশ্যই করব তাও আপনার চোখের সামনে আর আপনি কিছুই করতে পারবেন না।

আনহা নিচের দিকে তাকিয়ে কাদছে....

ইহান: এখন থেকে না আপনি না আমাকে পাবেন আর না আমার থেকে দুরে যেতে পারবেন....

আনহা:......

ইহান: কাল আপনি তো বলেছেন আমার সাথে থাকতে চান আপনি। আমি যা বলব তাই করবেন। হুমম তাই এখন থেকে আমি যা বলব তাই করবেন....

আনহা: আমি করেছি কি ইহান... [ কাদতে কাদতে ]

ইহান: সেদিন আপনার অসুস্থতার সুযোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে নিজের অধিকার নেব......

আনহা ইহানের কথা কিছুই বুঝতে পারছে না।

আনহা: কি বলতে চাইছিস.....

ইহান আনহাকে আর কিছু বলার সুযোগ দেয় না। তার আগেই নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় আনহার উপর। আনহাকে নিজের মধ্যে টেনে নেয় ইহান। আনহা এবার আর ইহানকে ফিরিয়ে দেয় না। আনহার সন্মতিতে আনহাকে নিজের অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে নেয় ইহান।


সকালে ঘুম থেকে উঠে ইহান একভাবে আনহার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই মায়াবি মুখের পিছনে কতটা রাগ অভিমান জমে আছে তা এতদিন ইহান বুঝতেই পারেনি। ইহান আনহার কপালে আলত করে ঠোঁট ছোয়ায়.... তারপর ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠে আনহা ইহানকে খুজে না পেয়ে কান্না করে দেয়। কাল রাতে ইহান কেন তাকে মারল,,, কেন এমন করল কিছুই বুঝতে পারছে না......

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়। নিজেকে রেডি করে আয়নাতে নিজেকে কয়েকবার দেখে নেয়। নিজেকে যেন চিন্তে অবাক লাগছে আনহার কাছে। আনহা নিজের মনে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে.......

রুমের বাইরে পা রাখতে আনহার দুনিয়াটা থমকে যায়। ও কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসে। কাল রাতের পর আনহা এমন কিছু দেখবে তা যেন আনহার কল্পনার বাইরে চলে গেছে৷৷

চারদিকে বিয়ের তরজোর চলছে। নিচের দিকে তাকাতেই ইহানের দিকে চোখ যায় আনহার। ওর দিকে তাকিয়েই চোখে জল চলে আসে আনহার... ইহান সাজসজ্জার লোকজনদের সাথে কথা বলছে......

হঠাৎ করেই ইহানের আনহার দিকে চোখ যায়। কেমন একটা অনুভুতিহীন চোখে তাকিয়ে আছে আনহা। ইহান অপলকভাবে আনহার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আনহার অশ্রুসিক্ত চোখে জল গড়িয়ে পরছে.......

তখনি ইহানের কাল রাতের কথা মনে পরে। রাতের কথা ভেবেই ইহানের রাগটা বেড়ে যায়। ইহান তখনি মুখ ফিরিয়ে নেয় আনহার কাছ থেকে। আর আনহা এটা দেখে হাত দিয়ে মুখ চেপে রুমে গিয়ে অঝোরে কান্না করে দেয়.....

আনহা: তোর কোনো চাওয়াই তো অপুর্ন্য রাখিনি তাহলে.... [ কথাগুলো ভেবেই কান্নার বেগটা বেড়ে যায়। ]


সারাদিন এভাবেই কেটে যায় আনহার। রুম থেকে একবারের জন্য বের হয়নি। ওভাবেই কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেছে আনহা......


এদিকে সন্ধার পর বাসায় মেহমানদের আসা শুরু হয়ে যায়৷ ধুমধাম ভাবে বিয়ের উৎসব পালন করা হচ্ছে.... কিছুক্ষন পর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হবে। আনহা কাছ থেকে তার ইহান হাড়িয়ে যাবে।


তারপর ইহান আনহার রুমে আসে....... এসে দেখে আনহা ঘুমোচ্ছে......খুব মায়া লাগছে ইহানের কিন্তু ইহান যে নিরুপায়। ইহান বেশ কড়া গলায় আনহাকে ডাকে..... আর তাতে আনহা ধরফরিয়ে উঠে..... ইহান অন্য দিকে তাকিয়ে গলা ঝারতেই আনহা নিজেকে ঠিক করে নেয়। ইহানকে দেখে নিজের অজান্তেই আনহার চোখে পানি আসে....

আনহা: ক- ক- কি হয়েছে??? [ নজর আড়াল করে ]

ইহান: আমার কিছু কাজ আছে আপনার সাথে??

আনহা খেয়াল করে দেখল ইহানের হাতে কিছু আছে। ইহান তা আনিহার দিকে বাড়িয়ে দেয়....

আনহা: এগুলো কি??? [ অবাক হয়ে ]

ইহান: এগুলো..... [ বাকা হেশে ] নিজেই দেখুন.....

আনহা: কিন্তু..........
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।