আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আপনিময় তুমি - পর্ব ০৪ - আরিয়ানা জাবিন মেহের - ধারাবাহিক গল্প


পরের দিন মন খারাপ করে আনহা ভার্রসিটির করিডোরে দাড়িয়ে আছে। মন খারাপ থাকবে নাই বা কেন ইহান ওর ৭ বছরের পরিচয়কে এক মুহুর্তের মধ্যে অস্বীকার করেছে। যতই বলুক গায় লাগে না কিন্তু আনহার তো ঠিকি খারাপ লাগছে। খুব বেশি খারাপ লাগছে। আর এটা ভেবে রীতিমতো কান্না পাচ্ছে যে পিচ্চি কিনা একসময় আনহার জন্য পাগল ছিল সে এখন আনহাকে চিনতে পারছে না। তারপরও নিজেকে এটা বলে শান্ত করে মানুষের মন সবসময় পরিবর্তনশীল........

তখনি আনহা নিজের পাশে কাউকে ফিল করে। কিছুটা ভয় পেয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখতেই দেখে আদ্র দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় আনহা.....

আনহা: ও তুমি......

আদ্র: তো কাকে ভেবেছিলে.....???

আনহা: না কিছুনা.....

আদ্র: মন খারাপ আনহা।

আনহা: না কেন???

আদ্র: সরি কালকে তোমায় একটু বেশি বকে ফেলেছিলাম।

আনহা: ধুর আমার কি ওসব মনে আছে....

আদ্র: জানি নেই তবুও আমি চাই না আমার জন্য আমার অর্নির কোনো খারাপ লাগা থাকুক....

আনহা: আর তেল মাখতে হবে না। যতসব ডঙের কথা..... [ একটা মুড নিয়ে ]

আদ্র: তুমিও না আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে এমন করো যেন আরেক মেয়ের সাথে ফ্লাট করছি। এখন কি নিজের গার্লফ্রেন্ডের একটু প্রসংশা করতে পারব না।

আনহা: এসব আলগা তেল ভালো লাগে না বুঝলেন.....

আদ্র: বুঝছি বুড়ি....

এইটা শুনে আনহা ফিক করে হেশে দেয়.... আর ওর চোখে কিছু একটা ঢুকে যায়। আনহা নিজের চোখ ডলতে থাকে......

আদ্র: দেখি কি হয়েছে। অর্নি দেখি..... [ জোর করে ধরে আনহার চোখে ফু দিয়ে দিলো......

আর ঠিক তখনি ওখানে ইহান আসে..... ইহান ক্লাসে যাচ্ছিল.. ওদের ওই অবস্থায় দেখে ওর পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। ও নির্বাক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকাল। কারন ইহানের অবস্থান থেকে দেখে এটাই মনে হবে আদ্র আনহাকে কিস করছে...

আদ্র: এবার ঠিক আছে.....

আনহা: তুমিও না..... যত্তসব....

আদ্র: আজব তো মাথায় কি খড়ের বস্তা নিয়ে ঘোড়ো নাকি..... [ মাথার চুল থেকে খড় ঝেড়ে ]

তারপর ওরা দুজনেই একসাথে হেসে উঠে। আনহা পাগলের মত হাসছে আর আর আদ্র মাথা চুলকে তা দেখছে।

আদ্র: এই জন্য তোমায় এত ভালো লাগে অর্নি..... [ বিড়বিড় করে ]


ওদের দুজনের কাহিনী দেখে ইহানের যেন মাথাটাই ব্লক হয়ে গেল। যার পাশে ইহান অন্তিকে সহ্য করতে পারেনা। সে কিনা আজ অন্য ছেলেকে...... আর ভাবতেই পারলনা। [ ওখান থেকে সরে এসে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে নিজের কপালে দু আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে ভাবছে কথাগুলো......

ইহান: আপনি এটা কিভাবে করতে পারলেন আনহা। আপনি তো আমার তাই না....... আপনাকে আরেকটা ছেলে কিভাবে ছুয়ে দিল..... ইহান ছাড়া আপনার সাথে কেউ কথা বলতেও পারবে না। আর তাহলে ওই ছেলেটা...... [ কান্নার সুরে ]

তারপর ইহান নিজের রাগ কন্ট্রোল করে ওদের সামনে দিয়ে হেটে যায়। তখনি আনহার চোখ পরে ইহানের দিকে। কালো জিন্সপ্যান্ট আর কাধে একটা ব্যাগ.......

আনহা: এই ছেলেটার সমস্যা কি আর কোনো জামাকাপর কি বাসায় নেই নাকি সবসময় এক রকম কালার পরে আসতে হবে.......😡😡😡

আদ্র: ছাড়ত..... ওর ইচ্ছে।

আনহা: ছাড়ব মানে😠😠😠 তুমি জানো কালোতে ওকে কত কিউট লাগে। আর ভার্রসিটির সব দামড়ি দামড়ি মেয়েরা ওর দিকে নজর দেয় লজ্জা করে না ওদের.....😡😡😡

আদ্র: তাতে তোমার কি???

আনহা: চুপ করব মানে😱😱😱 তুমি ভাবতে পারছ.....

আদ্র: কি....…🙄🙄🙄

আনহা: ধরো যদি কোনো দামরি মাইয়া আমার পিচ্চিটাকে জোর করে প্রেম করতে চায় তখন....

আদ্র: কি বলছ এসব......[ চুল টেনে ]

আনহা: দেখ আমার পিচ্চি যতই Attitude দেখাক না কেন আমি তো জানি ওর মন কতটা নরম যদি কোনো শাকচুন্নির পাল্লায় পরে.... তখন.....

আদ্র: মাফ করো তুমি তোমার পিচ্চি নিয়ে ভাবো..... [ বলেই চলে যায় ]

আনহা: আজব.... আমার কথা কেউ বিশ্বাস করে না কেন....???

তখনি আদ্র সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে যায় আর ইহানের সাথে ধাক্কা খায়.....

আদ্র: দেখে শুনে চলতে হয় নাকি......

ইহান: সেটা তো আপনিও চলতে পারেন নাকি..... [ কিছুটা ত্যারা ভাবে বলল ]

আদ্র ইহানের মুখে আশা করেনি.......

আদ্র: তুমি তো সেই ইহান.....

ইহান: আমি ইহান নই আমি অয়ন.....

আদ্র: কিন্তু অর্নি যে বলল....

ইহান: কে অর্নি আমি এই নামে কাউকে চিনি না।

আদ্র: [ বেশ অবাক হয় ] সে যাই হোক তুমি যেই হও ইহান না অয়ন একটু দেখে শুনে চলবে।

ইহান: আমি কিভাবে চলব না চলব সেটা কি আপনি ডিসাইড করবেন নাকি....

আদ্র: তুমি এভাবে কেন কথা বলছ আমি জাস্ট....

ইহান: অয়ন আহমেদ কারো কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়। সে যেই হোক.....

আদ্র এবার কিছুটা রেগে যায়। এইটুকু ছেলের মুখে এমন কথা শুনে....

আদ্র: আচ্ছা তুমি কি যেচে আমার সাথে ঝগড়া করছো......

ইহান: অয়ন আহমেদের একটা স্যান্ডার আছে সে তার নিজের স্যান্ডার ছাড়া কারো সাথে কথা বলতেও পছন্দ করে না........

আদ্র: তোমার মত এরকম অসভ্য ছেলের সাথে কথা বলতে আমি ইচ্ছুক নই.... আমার আরো কাজ আছে.....[ চলে যেতে চায় ]

ইহান: নিজের রাস্তা ছেড়ে আরেকজনের পথের কাটা হলে আর কি করা যায় বলুন তো.....

আদ্র: মানে....

ইহান: নিজের কাজে কাজ রাখুন অন্য কারো কিছুর দিকে হাত বাড়ানোর ফল ভালো না। এর জন্য কিছু হলে তার দায়ী কিন্তু নিজেই হবেন....... [ বলে চলে গেল ]

আদ্র ইহানের এ্যাটিউড দেখে জাস্ট অবাক হল। এতটুকু ছেলে যার কিনা ম্যাচুরিটি আসার কথা না সে আদ্রের সাথে এমন ভাবে কথা বলছে যেন সে তার সেইম....

আদ্র: এই ছেলেটার বয়সের চেয়ে গ্রোথ বেশি হয়েছে। কিছুটা অস্বাভাবিক লাগছে একে.... আর কিসব বলে গেল..... সাইকোলজির কোনো সমস্যা আছে নাকি.... সে যাই হোক আনহা কিভাবে এরকম একটা রুড ছেলেকে এতটা পছন্দ করে.........[ চলে যায়........ ]

ইহান: আপনি আনহার বয়ফ্রেন্ড তাই না। কিন্তু কি করব বলেন একটা মেয়ের একটা মাত্র বয়ফ্রেন্ড থাকে যেটা ছোটবেলাই আনহা আমাকে বানিয়েছিল। কিন্তু তখন সেটা না বুঝলেও এখন তো বুঝি..... তাই আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে কেন দিব.... [ কিছুটা অভিমান নিয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল ]


তখনি আনহার সাথে ওর দেখা হয়। আনহা ডাক দিতে নিলেই ইহান ওকে ইগনোর করে চলে যায়......

আনহা: যাক বাবা এই ইহানটাকে বুঝিনা বাবা..... [ চলে ক্লাসে যেতে নেয়। তখনি কোথাথেকে একটা পিচ্চি ছেলে আসে কাদতে শুরু করে ]

আনহা: কি হয়েছে কাদছ কেন???

ছেলেটা: 😭😭😭

আনহা: আরে বাব কাদছিস কেন???

ছেলেটা: আমরা বাইরে খেলছিলাম। বলটা এইখানে এসে পরে একটা দুষ্ট আমার বলটাকে ওইখানে ফেলে দিয়েছে।

আনহা: আরে কোন মুসিবত.... আচ্ছা বল কোথায় ফেলেছে চল.....

তারপর ছেলেটা আনহাকে স্টোর রুম দেখিয়ে দেয়.....

আনহা: তুই দারা আমি আসছি..... [ ভিতরে গিয়ে বলটা খুজে পেয়েও যায়। কিন্তু বাইরে আসতে জামাটা পিনের সাথে আটকে যায়। ] ওই পিচ্চি নে.... [ পিচ্চি বলটা নিয়ে চলে যায় আর আনহা পিন টা ছাড়িয়ে যেই বের হতে ধরে তখনি দরজাটা লক হয়ে যায়। যেহেতু স্টোর রুম তাই ভিতরটা খুব অন্ধকার হয়ে যায়.... বেশ ভয় পায় আনহা ]

আনহা: এখানে কি কেউ আছে.......

[ তখনি আনহা নিজের ঘাড়ে কারো নিঃশ্বাস ফিল করতে পারে। আনহা ভয় পেয়ে সরে যেতে ধরলে কেউ টান দিয়ে দেয়ালে চেপে ধরে। ]

আনহা: ক---কে... [ বলার আগেই আনহার ঠোঁট জোরা নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয় আনহা নিজের সমস্ত শক্তি দিয়েও পেরে উঠে না বরং ছোয়াটা বারতে থাকে। এটা দেখে আনহা শান্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর আনহা কাছে ছোয়াটার তীব্রতা কম হতে থাকে।একসময় তা মিলিয়ে যায়। তখনি আনহা নিজের নাকে কারো নাক ঘষার অনুভব পায়। সে তার দুহাত দিয়ে গাল ধরে রেখেছে আনহার..... আর আনহা পাথরের ন্যায় স্থীর হয়ে গেছে,.......

সে: আমার অধিকারটা যদি আরেকজনের কাছে যায় তাহলে তো সেটা আমাকে বুঝে নিতেই হবে..... [ নেশাক্ত কন্ঠে ]

আনহার কাছে ভয়েজটা চেনা লাগল। কিন্তু বুঝতে পারল না। কেমন যেন শোনাচ্ছে।

সে: """কি চাই জানিনা..... কিন্তু কাউকে চাইতে দিতে চাই না..... '''" [ কথাটা বলে আনহার কপালে চুমো একে মিলিয়ে গেল ]

কিছুক্ষন পর আনহা ওখানেই বসে পড়ল। সবটা আনহার মাথার উপর দিয়ে গেলো। আর কথার ও কোনো আগামাথা পেল না...........

আনহার মাথায় কিছুই এলোনা। কে কেন এমন করছে কিছুই বুঝতে পারল না। বিষয়টি এমন যে কারো সাথে শেয়ার করতে পারল না......


পরেরদিন ভার্রসিটিতে গিয়ে আনহার মাথাটা গরম হয়ে যায়...... ইহান মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। ও নিজে দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল হবে বরং বলা যায় ওকে কতগুলো মেয়ে মিলে জোর করে নিজেদের সামনে দারিয়ে রেখেছে। আর ইহান মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে.......

রিয়া: ওই পিচ্চি হান্ডসাম তুই এত কিউট কেন???

লামিয়া: আচ্ছা তোমাকে আমার ছোট বোনের হাসবেন্ড বানাবো....

মায়রা: তুই ওকে বোনের জামাই বানাবি আমি পারলে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে নিতাম....

এসব শুনে আনহার গা জ্বলে যাচ্ছে। ও রাগে ফুলছে...... ইহান এতগুলো মেয়েকে কিছু বলতেও পারছে না। কারন সবাই ওর বয়সে বড়...... না কেউ সমবয়সী না কেউ ছোট....

ইহান: আচ্ছা জালা তো। এখন কি করি। এদের কিছু বলতে পারছি না। কি বলব🙄🙄🙄। এবার আফসোস হচ্ছে কেনো যে নিজের চেয়ে উপরের লেভেলে এলাম😭😭😭 [ ইহানের মুখটা দেখার মত হয়েছে। ও পারেনা আজ কেদেই দেবে মেয়েগুলো এমন ভাবেই ইহানকে ঘিরে রেখেছে ]

নায়রা: কিরে লিটল হিরো কাদছিস কেন???

তখনি আনহা গিয়ে সবার সামনে থেকে ইহানকে টানতে টানতে নিয়ে আসে। তখনি রিয়া সামনে এসে দাঁড়ায়....

রিয়া: কিরে আনহা তুই ওকে নিয়ে কই যাচ্ছিস দেখিস না আমরা মজা করছিলাম।

আনহা: ওকে কি কোনো চকলেট বান মনে হয় যে মজা করবি.... 😡😡😡

রিয়া: ও তোর কি হয়....

আনহা: তা জেনে তুই কি করবি.....

ইহান: আমার হাতটা ছাড়ুন প্লিজ......[ আনহার হাত ছাড়াতে ছাড়াতে ]

আনহা: আরেকটা কথা বলবি তো থাপ্পড় মেরে ৩২ পাটি দাত খুলে নেব.... 😡😡😡

ইহান: আমার দাত ৩০টা.....[ মাথা নিচু করে ]

আনহা: ওরে এত তাড়াতাড়ি আক্কেল দাত উঠল... 😱😱😱 পিচ্চির দেখি আক্কেল হয়েছে কিন্তু বেক্কল ভাব যায়নি😡😡😡

রিয়া: কই যাসছিস ওকে নিয়ে....

আনহা: তোর জেনে কি লাভ😡😡😡

[ তারপর ইহানকে টানতে টানতে নিয়ে আসে। আর আনহার রাগ দেখে ইহান নিজের মনে হাসতে থাকে ]


ইহান মাঠের শেষে গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে। নিজের ইচ্ছায় নয় আনহা ইহানকে জোর করে বসিয়ে রেখেছে।

আনহা: ওদের সাহস কি করে হয় আমার পিচ্চিকে এসব কথা বলার। লজ্জা করে না এত বড় হয়েও এই পিচ্চিটার দিকে নজর দেয়.... 😡😡😡 [ রাগে ফুসতে ফুসতে ]

এসব দেখে ইহানের বেশ মজা লাগছিল। তারপর একটা মুড নিয়ে বলে.....

ইহান: আচ্ছা আমাকে এখানে এনেছেন কেন??? [ বেবি ফেস করে ]

এমনিতেও ইহান দেখতে একদম বাচ্চা তার উপর এই রকম মুখে তাকানো দেখে আনহার রাগটা পরে গেল। কিন্তু একটু বাদেই আবার রাগ উঠে গেল.....

আনহা: ওই তোকে এসব কাইলা কাইলা কে পরতে বলে😡😡😡

ইহান: খারাপ লাগে নাকি....

আনহা: না অনেক বেশি কিউট লাগে.... একদম জুনিয়র হিরো লাগে....

ইহান: তাহলে.... 🙄🙄🙄

আনহা: কাল থেকে এসব পরবি না। আল্লাহ এই বয়সে এই অবস্থা আর কয়দিন পরত এরে কেউ ভাগে পাবে না। না.. না... আমার পিচ্চিরে এসব শাকচুন্নির হাত থেকে বাচাতে হবে..…....

ইহান: আচ্ছা আপনার সমস্যা কোথায়...??

আনহা: সমস্যা আমার মানে... তোর দেখছিলি কিভাবে তোকে দেখছিল। দেখ পিচ্চি তুই ছোট এসব মেয়েদের চিনিস না। ঠিক ফুসলে ফাসলে তোকে ওসব প্রেম টেম করাবে.... হায় আল্লাহ তোর সাথে কি করে ওই গুলার বিয়ে দিব.....

ইহান: তাহলে আমি কি করব??? [ একটা দুষ্ট হাশি দিয়ে ]

আনহা: ভাই তোর জন্য আমি মিষ্টি একটা মেয়ে খুজে দিব যে তোকে খুব ভালোবাসবে কেমন??? আর ওই মিষ্টি মেয়ের সাথে তোর বিয়ে দিব.... 😊😊😊

এইটা শুনে ইহানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল... ইহান বসা থেকে উঠে আনহার সামনে যায়.....

আনহা: কিরে কি হল.... [ ইহানের মুখের দিকে তাকিয়ে ]

ইহান: আমার জন্য আপনাকে এতটা না ভাবলেও চলবে। আমি নিজের জন্য সবকিছু নিজেই খুজে নিতে জানি।

আনহা: আমি তোর ভালোর জন্য......

ইহান: আমার ভালোটা নাহয় আমাকে বুঝতে দিন। আপনার সেটা না বুঝলেও চলবে। [ চলে যেতে নেয় ] আরেকটা কথা আজ আমাকে টাচ করেছেন কিছু বলিনি কিন্তু নেক্সট টাইমে যেন আমাকে টাচ করার কথা দুবার ভাববেন। আমার এসব একদম পছন্দ নয়.........

আনহা: তুই আমার সাথে এভাবে.....

ইহান: দেখুন আমি জানিনা কি বলতে চান আপনি শুধু একটা কথা আমি আপনাকে দেখতে চাই না। সবসময় শুধু বিরক্ত করেন কেন আমাকে???

আনহা: ইহান তুই.....

ইহান: ইহান নই অয়ন..... আর দয়া করে আপনি আমার সামনে আসবেন না। ওই মেয়ে গুলার চেয়েও আপনি.... ওরা তাও কথা বলছিল কিন্তু আপনি টেনে নিয়ে এলেন আমাকে.... কি ভাবছে বলুন তো। আপনার নিজের কোনো রেপুটেশন না থাকতে পারে কিন্ত আমার আছে..... So plzz stay away from me..... [ বলে চলে যায় ]

আনহা ইহানের কথায় যতটা না অবাক হয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে...ও কাদতে কাদতে চলে যায়....


তারপর আনহা ক্লাসে গিয়ে ক্লাস শেষ করে। ছুটির সময় প্রিন্সিপাল আনহাকে ডাকায়......

আনহা: May i come in sir......

প্রিন্সিপাল: yes.... Come in...

আনহা: আমায় ডেকেছিলেন....

প্রিন্সিপাল: হুমম.... [ বেশ চিন্তিত হয়ে ]

আনহা: any problem sir.....

প্রিন্সিপাল: একটা হেল্প চাই আনহা। করতে পারবে...

আনহা: জি স্যার বলুন তো আপনি...

প্রিন্সিপাল: আসলে আমার অর্নাস ফাস্ট ইয়ারের একটা স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে ও একাউন্টটিং এ একটু না মানে বেশ কাচা। তুমি তো ওইটা ভালো বুঝো তাই তুমি যদি ওকে একটু পড়াও বেশ উপকার হবে....

আনহা: কিন্তু স্যার.....

প্রিন্সিপাল: কোনো কিন্তু না আনহা। আমি ওর জন্য তোমাকে সাজেস্ট করেছি। আর ১ ঘন্টাই তো। ছুটির পর পরাবে আর তোমাকে খুব ভালো এমাউন্টও প্রেমেন্ট করা হবে...

আনহা: স্যার আমার চেয়ে তো ভালো...

প্রিন্সিপাল: এত কিছু শুনতে চাই না তুমি ওকে পড়াচ্ছ বেস.... [ কপালের ঘাম মুছতে পানি খেলেন ]

আনহা: ওকে স্যার.... 🙄🙄🙄

প্রিন্সিপাল: যাও ও তোমার সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছে.... [ স্বস্তি নিয়ে ]

আনহা: আচ্ছা.....[ বলে বেড়িয়ে এলো ]


স্যারের লাইব্রেরির দিকে যাচ্ছে আনহা.....

আনহা: ব্যাপার টা কি হল স্যারকে এতটা চিন্তিত কেন লাগছিল🤔🤔🤔 সে যাই হোক আমার তো হাত খরচ হয়ে যাবে তাতেই হবে। এমনি ছোট একটা জবের জন্য ভেবেছিলাম আর তার দরকার নেই.... 😁😁😁 [ বলে লাইব্রেরিতে ঢোকে ]

লাইব্রেরীতে ঢুকে দেখে জানালার ধারে কেউ একজন প্যান্টের পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে......আনহা এগোতেই আচমকা বাতাসে সব কাগজ উড়ে আনহার মুখের উপর পরে..... আর জানালার তিব্র আলোতে নিজের মুখ থেকে কাগজ সরাতেই খুব চেনা একটা মুখ দেখতে পায়...

আনহা: ইহান.......


লাইব্রেরীতে ঢুকে দেখে জানালার ধারে কেউ একজন প্যান্টের পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে......আনহা এগোতেই আচমকা বাতাসে সব কাগজ উড়ে আনহার মুখের উপর পরে..... আর জানালার তিব্র আলোতে নিজের মুখ থেকে কাগজ সরাতেই খুব চেনা একটা মুখ দেখতে পায়...

আনহা: ইহান....... [ বেশ অবাক হয়ে ]

ইহান:...... [ পকেটে হাত দিয়ে আনহার দিকে ফিরে ]

[ দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। ইহানের ইচ্ছে করছে ছোটবেলার মত আনহাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই নিজের ইচ্ছেটাকে সংযত করল। আর আনহার ইচ্ছে করছে ইহাননের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে..... "আমি তোর খারাপ চাই নারে পিচ্চি... " কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারল না ]

তখনি আনহার সকালের কথা মনে পরে যখন ইহান আনহাকে অপমান করেছে....

আনহা: তুই এখানে কি করছিস..... 😡😡😡

ইহান: আপনি এখানে কেন...?? [ বেশ অবাক হয়ে ]

আনহা: আমি এখানে কেন মানে কি😡😡 তুই এখানে কেন তাই বল???

ইহান: আপনি আবার আমার পিছু নিয়েছেন। 😡😡😡

আনহা: একটা থাপ্পড় দিয়ে মাথা ফাটাই দিব.....

ইহান: জি.... [ একটু কনফিউজড হয়ে ]

আনহা: মানে.... দাত ফেলে দিব....

ইহান: ওওও.....

আনহা: তা তুই কি করছিস এখানে....🤔🤔

ইহান: আমি পরতে এসেছি..... আপনি..???

আনহা: আমি পরাতে এসেছি..…...

তারপর আনহা কোনো কথা না বলে একটা চেয়ারে গিয়ে বসে পড়ল। বইয়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে বার বার ইহানের দিকে তাকাচ্ছে। ইহান এটা ভালোই বুঝতে পেরেছে আনহা তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চায়। তাই ও আনহাকে কিছু বলার সুযোগ দিলোই না বরং উল্টে একটা মুড নিয়ে বসে পড়ল যাতে আনহা চাইলেও ওর কিছু বলতে না পারে। ]

[ বেশ কিছুক্ষন যাবার পর আনহা আর চুপ থাকতে পারল না। ]

আনহা: ইহান...... সরি অয়ন আহমেদ... Am I right......

আনহার মুখের অয়ন নামটা শুনের ইহানের বুকের ভিতর একটা মোচর মারে...... প্রচন্ড রাগ উঠে আনহার উপর..... কারন অয়ন নামটা সবার আর আনহার জন্য সে শুধুই ইহান।।।

আনহা: কি হল কিছু বলছো না কেন??? আমি তোমার সিনিয়র তাই তুমি বলছি এখন কি আপনি করে বলতে হবে..... [ বেশ রেগে মুড নিয়ে ]

ইহান এই কথা শুনে টেবিলের নিচে একটা কলম নিজের হাতের মধ্যে ঢুকিয়ে মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে রাখল...... ইহানের হাতের সাথে হৃদয় থেকেও রক্ত পরছে চোখ লাল হয়ে গেছে। ওর ইচ্ছে করছে গিয়ে আনহার গলাটাই টিপে দেবে...........

আনহা: কি হল কিছু বলুন.....

এবার ইহান পায়ের উপর পা তুলে হাত গুলো গুজে নিয়ে আনহার দিকে তাকায়.....

ইহান: [ বিশ্বাস করুন আনহা যদি আপনাকে সন্মান না করতাম আর যদি ভালো না বাসতাম তবে আজ এখানেই শেষ করে দিয়ে যেতাম। আমার সাথে আপনার সর্ম্পক ঠিক কি বুঝিয়ে দিয়ে যেতাম...... মনে মনে ]

আনহা: কি হল এভাবে না তাকিয়ে কিছু বলুন....

ইহান: কি শুনতে চান বলুন??? [ বেশ বিরক্তি নিয়ে ]

আনহা: আপনি এখানে কেন???

ইহান: বলতাম তো পরতে এসেছি । প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে একজন টিচার ঠিক করে দিয়েছেন তা আপনি এখানে.....

আনহা: মানে😲😲😲 স্যার আমাকে তোকে পরাতে বলছে......

ইহান: ও তারমানে আপনি আমার টিচার..... [ বেশ অবাক হয়ে ]

আনহা: তারমানে ওকে আমাকে পরাতে হবে....🙄🙄 [ বিড়বিড় করে ]

এটা দেখে ইহান বাকা হাসে.....

আনহা: আমি তোকে পরাবো না.... 😡😡😡

ইহান: আমিও আপনার কাছে পরতে চাইনা....

আনহা: তাইলে স্যারকে বল......

ইহান: আমি পারব না।

আনহা: তাইলে যে বললি পরবি না😲😲😲

ইহান: যে আমাকে পরাতে চায় না তার কাছে কিভাবে পরব....

আনহা: মানে....🙄🙄🙄

ইহান: আমার পরতে সমস্যা নেই যদি আপনি পরান...

আনহা: [ হায় আল্লাহ আমি প্রিন্সিপাল স্যারকে কিভাবে না করব। আর আমার চেয়েও ভালো স্টুডেন্ট আছে এখানে তাহলে ইহানের জন্য আমাকেই পেল। এটা কি সত্যি কাকতালীয় ]

ইহান: [ কুকি.... আপনি কেন বুঝেন না আপনাকে চাইলেও আমাকে পরাতে হবে আর না চাইলেও। শুধু শুধু সময় নষ্ট। আর আমি চাই না ভার্রসিটির সময়টুকুতে আমি ছাড়া অন্য কেউ আপনার পাশে থাকুক। তা সে আদ্র হোক বা অন্তি...... বাকা হেশে ]

আনহা: আমার কাছে পরতে সমস্যা যদি না থাকে তবে আমারো সমস্যা নেই..... 😎

ইহান: আচ্ছা তাহলে বসুন........

[ তারপর ইহান আনহাকে একটা ম্যাথ বই দিলো আর আনহা একটা ম্যাথ বের করে ইহানকে বোঝাতে লাগল......

আনহা: এইখানে আমরা দেখতে পাই.... [ তখনি আদ্রের কল আসে৷৷ ]

স্কিনে আদ্র নামটা দেখতেই ইহানের মাথা গরম হয়ে যায়.....

আনহা: আদ্র তুমি একটু ওয়েট কর আমি আসছি। আর একটা কথা আমি না আসা পর্যন্ত কোথাও যাবে না ওকে.... [ বলে ফোন কেটে দেয় ]

আনহার কথা শুনে ইহানের অবস্থা খারাপ।

ইহান: [আমাকে ছেড়ে আদ্রের কাছে যাবেন..... ]

আনহা: আচ্ছা বোঝানো শেষ আমি এখন আসি

[ বলেই উঠে যেতে নেয়। তখনি আনহার ওড়নায় টান খায়। আনহার বুকটা কেপে উঠে। আনহা নিজের সাথে ওড়নাটা চেপে ধরে পিছনে ইহানের দিকে তাকায় ]

[ ইহান নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল ওর থেমে যাওয়া দেখে আনহার দিকে তাকিয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নেয়.... তারপর আনহার ওড়নার দিকে তাকিয়ে ওর টেবিলের পিন থেকে আনহার ওড়না ছাড়িয়ে দেয়.... আনহা কিছু না বলে চলে যেতে নেয় কিন্তু মেঝেতে কিছু থাকার কারনে পরে যেতে নেয় আর ইহান ততক্ষনাত আনহাকে ধরে ও নিজেও পিছলে দুজনে একসাথে পরে যায়। ঘটনার আকসিকতায় ইহানের নিজেই কিছু বঝতে পারে না.......

ইহান নিচে পরে যায় আর আনহা ইহানের বুকের উপর ঠাস করে পরে। প্রচন্ড ব্যাথা পায় ইহান নিজের বুকে। চোখ মুখ খিচে নিজেকে সামলায় ইহান.... নিজের বুকের উপর আনহাকে পরতে দেখে ইহান মাটিতে মাথা রেখে একটা নিশ্বাস নেয়। আর আনহা ভয়ে ইহানের শার্ট খামচে আছে। আর ওর চুল গুলো ইহানের মুখে.....

কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর আনহা ইহানের থেকে সরে আসে.......কিন্তু ইহান নিজেকে সামলাতে পারে না.... কলমের পিন হাতে ঢোকার কারনে রক্ত বের হতে থাকে....

ইহানের হাতে রক্ত দেখে আনহা পাগল হয়ে যায়। নিজের ওড়নার কিছুটা ছিড়ে ওর হাতে বেধে দেয়.....

আনহা: কি করেছিস এসব কি করে হল.... [ উত্তেজিত হয়ে প্রলাপ বকতে থাকে। কিন্তু ইহান স্হীর চোখে আনহাকে দেখতে থাকে৷......

আনহা: হয়ে গেছে.... এবার আমি যাই.....

[ তখনি ইহান আনহার হাত ধরে ]

ইহান: আমি কিছু বুঝিনি আনহা [ মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে ]

আনহা: কি????

ইহান: আপনি যা করেছেন.... সেটা কি ছিল???

আনহা: মানে.....

ইহান: আসলে অংকটা আমি বুঝিনি আরেকটু বুঝিয়ে দিন....

আনহা: আমার তো.....

ইহান: প্লিজ.....

আনহা: আচ্ছা দেখি.......

তারপর আনহা ইহানকে ম্যাথ বোঝায় কিন্তু কিসের অংক......


বিগত ৩ ঘন্টা যাবত আনহা ইহানকে অংক বুঝিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাকে বোঝাবো হাজারবার অংক বোঝানোর পরও ইহান কিছুই বুঝলো না। আর কি বুঝবি আনহা যখন অংক বুঝায় তখন ইহান আনহাকে দেখতে ব্যস্ত...... এবার আর আনহা পারে না।

আনহা: ওই তোর মাথায় কি গবর ছাড়া কিছুই নাই নাকি😡😡😡 ছোট বেলার চেয়েও বেশি গাধা হয়ে গেছিস। আচ্ছা এই মাথা নিয়ে তুই সব জায়গায় গোল্ডেন রেজাল্ট কিভাবে করলি...😡😡😡 আচ্ছা সত্যি করে বল তুই কি নকল করে অংক পাশ করেছিস.... 😡😡😡

ইহান: জানিনা। আমি আপনার পরা বুঝতে পারছি না নাকি আপনি বোঝাতে পারছেন না....

আনহা: সে যাই হোক আমি আজ আর পারব না বাকিটা কাল বোঝাবো.... [ বলেই ব্যাগটা নিয়ে বেড়িয়ে আসে আর ইহান আনহার পিছনে ]

আনহা: ইসসস আদ্র হয়ত চলে গেছে... [ বলে দ্রুত সেদিকে যায় ]

[ আনহা ভার্রসিটির মাঠে গিয়ে দেখে আদ্র বসে বসে ওয়েট করছে.....

আনহা: তুমি এখনো যাওনি🙄🙄

আদ্র: আমার বুড়িটা থাকতে বলেছিল আর আমি যেতে পারি.....

আনহা: হুমম তাই বলে এতক্ষন....

আদ্র: ছাড়ত... কেন থাকতে বলেছ তাই বলো??

আনহা: তোমার সাথে বাসায় যাব বলে [ বেবি ফেস করে ]

আদ্র: চল ঘুরতে নিয়ে যাব....

আনহা: না দেরি হয়ে গেছে... বাসায়  চল....

তখনি ইহান আসে..... আদ্র ওকে দেখে কিছুটা বিরক্ত হয়.....

ইহান: আপনি কি ওনার সাথে যাবেন আনহা....

আনহা: হুমম কেন???

ইহান: না এমনি....

আদ্র: চল আনহা আমার বাইকে দিয়ে আসি....

আনহা: আবার বাইক...😰😰😰

ইহান: আনহা আপনি.....

আদ্র: তুমি কিছু বলবে অয়ন.... আনহাকে কি তুমি দিয়ে আসবে...

ইহান মাটির দিকে তাকিয়ে আবার আনহা দিকে তাকায়....

ইহান: জি না [ একটা মুড নিয়ে ] আমি ওনার থেকে কাল পরার টাইম জানতে এসেছি....

আনহা: কাল ভার্রসিটির পর.....

আদ্র আনহার হাত ধরে বাইকে বসিয়ে দেয়....

আদ্র: তাহলে বায় ইহান.. সরি অয়ন কাল কথা হবে অর্নির সাথে.... [ তারপর বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে যায় ]

আনহা: কাল ঠিক সময় আসব.....

তারপর ওরা দুজন ইহানের চোখের আড়াল হয়ে গেল.... আর ইহান স্হীর চাহনিতে ওদের যাওয়া দেখল.......

ইহান: হুমম দেখা তো হবেই কিন্তু কখন সেটা দেখার বিষয় আপনি আমার আনহাকে আমার সামনে থেকে বাইকে নিয়ে গেলেন এখন আমার কি করা উচিত.... 🤔🤔🤔 আসলেই কি করব..... [ কান্নার সুরে ]

তারপর কিছুক্ষন ভাবলো.....

ইহান: ওকে আনহা.... কাল আপনার সাথে দেখা হবে আমার.... কিন্তু..... [ বাকা হেশে আনহার ওড়নাটায় চুমো খেয়ে ]
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।