কোলে বালিশ নিয়ে বসে আছি, মনিরা মুগ্ধ ভাইয়ার 'শ্যালিকা' ওয়ার্ড শুনেই বিদায়। পা একদম নাড়াচাড়া করতে পারিনা, একটু নড়লেই ব্যাথা করে উঠে। বাসায় আম্মু ছাড়া কেউ নেই যে কারোর মাথা নষ্ট করবো। আম্মুর সাথে পেচাল শুরু করলে ভাত নাড়া দেওয়ার লাঠি এনে পিটানো শুরু করবো। ফোন নিয়ে ফেসবুকে লগইন করতে দেখি আমার আরেক ফ্রেন্ড ইরা ওর বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে গিয়েছে সেই পিক আপলোড। বফের গালে কিস করে পিক ছেড়েছে...ক্যাপশনে লিখা "Mah Lifeline".মানে রিলেশনশিপে সামান্যটুকু প্রাইভেসি নেই? এগুলো ফেসবুকে কেউ আপলোড করে অন্যকে দেখায়? হুর! লগ আউট মেরে মুগ্ধকে কল করলাম। বর্তমানে আমার মুডের বাবদশা ছুটে আছে, উনাকে ঝারি মারলে বেস্ট। একটুপর ফোন রিসিভ-
-হ্যা সিনু বল, পায়ের পেইন কমেছে? মেডিসিন নিছিলি?
-পা তো নড়াচড়া করতে পারিনা। ল্যাংড়া হয়ে বসে আছি। সবাই ব্যস্ত আমি একা!ভাল্লাগে না!
-(মুচকি হেসে) শয়তান ঘরে বন্দি হয়েছে ওফ!
-আরে ধুর! আপনি ফাজলামি শুরু করলেন? জানেন আমার এক ফ্রেন্ড তার বফ নিয়ে ঘুরতে গেছে, আবার কিস করা পিক আপলোড দিছে....আর আপনি একটা কচু!
-এখন আবার এটা বলিস না ক্যাপশন 'মাই লাইফলাইন' দিয়েছে!!
-আপ...(বলতে না দিয়ে)
-শোন ওদের ক্ষেত্রে ওটা ছিনিমিনি সম্পর্ক, নট এ্যা সোউল কানেক্টেড লাভ। আজকে যদি লাইফলাইন লিখে পোস্ট করে, কাল ড্যাম সিউর পাইপলাইন লিখে প্রাক্তনের নামেই কুৎসা রটাবে। ওসব কি ভালো? মানুষ কি ক্লাসি ভাববে? অর থার্ড ক্লাস? সো আমাদের রিলেশনশিপ অন্য কারোর সাথে কমপ্যায়ার করবি না...মাই হাম্বেল রিকুয়েস্ট প্লিজ।
আমার সাথে কথায় কেউ গলাবাজি করতে পারতো না আর উনার এক কথায় আমি বাজিমাত।। উনি এক বাক্যে আমাকে চুপ বানিয়ে দিলেন।
-বোর লাগছে রাইট? আচ্ছা আমি আছি কথা বলতে থাক।
-আপনি বিজি না? পেশেন্ট দেখছেন না? কথা বলবেন কি করে?
-কানে ইয়ারপড লাগানো...কথা বলতে পারব। আর পেশেন্ট তো দেখতেছি, নট এ্যা বিগ ডিল। কথা বলতে থাক। আমি আছি।
-কত নাম্বার পেশেন্ট দেখছেন?
-নাও মেবি ষোল নাম্বার।
-বোরিং লাগে না? আবার সুন্দর মেয়ে দেখে নেশা টেশা লাগে নাকি? নার্স কি সুন্দর?
-ফাস্টলি, আমার এটা প্রোফেশনাল লাইফ...আমি সেবা দিতে পছন্দ করি। সেকেন্ডলি, সুন্দর মেয়ে হলে ওদের নাম জানার আগেই 'কিউট আপু' বলে রিসপেক্ট করি। থার্ডলি এন্ড লাস্ট, আমার সেক্টরে নার্স যারা আছেন সবাই বিবাহিত এবং বড় বোন। তাদের নজরে আমি ছোট ভাই। দ্যাটস ইট।.......নো আন্টি আপনি টেনশন করবেন না, সি ইজ ফাইন। একটা ছোট্ট রিকুয়েস্ট বাইরে নিয়ে ঘুরতে যাবেন।বাসাবন্দি মোবাইল গেমস খেলতে দিবেননা। আমি কোনো খারাপ সিম্পটমস দেখিনি।
উনি ব্যস্ত আর আমি ফোন দিয়ে কাজ বাড়াচ্ছি। উনার পেশেন্ট নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা লাগে আমি সেখান দিয়ে ডিসট্র্যাক্ট করছি। ফোন কেটে দিলাম। কোলের বালিশ সরিয়ে ধীরে ধীরে শুয়ে পড়লাম। পাচমিনিট পর আবার ফোন বাজছে। হয়তো আমি জানি কে দিয়েছে। ফোন নিয়ে চেক করে কল রিসিভ করলাম-
-আপনি ব্যস্ত। পরে কথা বলি। আপনি ফ্রি হয়ে কল দিলেই চলবে। রাখি...
-কল কাটবি না! আমি কি বলেছি তুই প্রবলেম করছিস? আমার সাথে পাকনামি কম করবি।
-আমি বাইরে যাব। ছাদেও যেতে পারছিনা। পা কবে ঠিক হবে?
-তুই কি পাগল? মাথার নিউরন কি ছিড়ে গেছে? এটলিস্ট দুইদিন প্রোপার রেস্টে থাকা লাগবে। ইনফেকশন হলে কেমন দুদর্শা সৃষ্টি হবে কমন সেন্স নেই?আমি কাজ শেষ করে আম্মুর সাথে তোদের বাসায় আসছি। রাফিয়াকে বলে দিচ্ছি তোর সাথে টাইম স্পেন্ড করতে।
-রাফিয়াকে বলবেন....মানে ঘটনা হলো রাফিয়া আবার জেনে যায় যদি?
-কি বুঝবে? ওহ্ ওয়ান মোমেন্ট, রাফিয়া তো সব জানে।। সময় হোক বাকিসব ম্যানেজ করছি।
- আচ্ছা প্লিজ আমি রাখি। আপনি কাজ করুন। কল করবেন না প্লিজ।। কাজ শেষ করে বাসায় আসুন। রাখি।
.
.
রাত আটটা। বাসার ছাদে বসে আছি গোল মিটিং আকারে। আমি, মুগ্ধ, আবির ভাইয়া, রাফিয়া, মিরা আপু। মাঝে টেবিল, চর্তুদিকে আমরা। মিটিংয়ের বিষয় হচ্ছে 'কাল রাতে আবির ভাইয়া মিরা আপুর সাথে আইসক্রিম পার্টি করেছে'। মুগ্ধ হসপিটাল থেকে ফ্রেস হয়েই রাফিয়াকে নিয়ে আমাদের বাসার ছাদে দৌড়। আবির ভাইয়াকে ঘাড় ধরে ছাদে নিয়ে এসেছি। মিরা আপুকে হুমকি দিতেই চোরের মতো পাশে উপস্থিত। মুগ্ধ ভাইয়া বলে উঠলো-
-আবির তুই আমার বন্ধু...আমার বলতেই লজ্জা করছে! শালা তুই একটা বড় মাপের আবাল! মিরা ভাবি রে নিয়ে রোমান্স করবি এমনে করবি?বোনের সামনে?
আমি মুগ্ধ ভাইয়ার দিকে সিনেমার ভুতের মতো মাথা ঝুকিয়ে চোখ উচিয়ে তাকিয়ে আছি। আমার দিকে চোখ পড়তেই বেচারা কাশাকাশি শুরু করলো। আবির ভাইয়া হাতে হাত মোচড়াচ্ছে। মিরা আপু দেবদাস ফিলিংয়ে আকাশে তাকিয়ে আছে। মুগ্ধ ভাইয়া আবার বলে উঠলেন-
-তোর কীর্তিকলাপে আমার মাথা হেট আবির! তোর বোনও তোর চেয়ে বড় শিয়ানি আর তুই! মমর কাছ থেকে শিখ কিছু!
আবির ভাই হ্যাংলা মেরে বেক্কলের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কার কাছে কি শিখতে বলল? আমি নিজেই বাশ খেয়ে ভাইয়ার কাছে লুকাই, আর ভাইয়া কিনা আমার কাছ থেকে শিখবে! হোয়াট এ্যা বিনোদন!!
-মুগ্ধ একটা কথা বলি? তুই কি এক্সপায়ার্ড গান্জা খাইসোস? না মানে তুই আমারে সিনুর কাছ থেকে শিখার কথা বললি?
-কেন তোর বোন কি চালাক না? তুই তো বলদ। শালা রোমান্স করবি ভালো কথা বাসার মধ্যে করতে গেলি কেন! বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জায়গা ছিলো না?
-আরে ভাই, আমি কিছুই করিনাই, পন্ডিতি করতে যেয়ে ধরা খাইছি। আইসক্রিমের বক্স সিনুর বাচ্চায় দেখে ফেলছে পরে আমি মুখের উপর না করে দিছি। এই বদমাইশ রাত জেগে আমার উপর ফলো করে মিরার রুমে বক্স দিতে দেখছে...এটাই ঘটনা। আমি রোমান্স টোমান্স করিনাই ভাই।কসম!
-তুইইই! আমার মুখ খারাপ করতে ইচ্ছা করতেছে! তোর ছোট বোন না! আইসক্রিম চাইছে ওইটাই এমনে না করলি!এই ছিলো বোনের প্রতি ভালোবাসা!...(মিরা আপুর দিকে তাকিয়ে) ভাবি শুনুন, আবির এখন এস্টাবলিস্ট প্লিজ ফ্যামিলিতে জানিয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলুন। চুপিচুপি কিছু করার থেকে ঠাট বজায় রেখে কাজ করুন। বেটার হবে।
মিরা আপু কি বুঝলো জানিনা মাথা নাড়িয়ে সে আবির ভাইয়ার দিকে চোখাচোখি করে নিচে চলে গেল। মুগ্ধ ভাইয়া কি সুন্দর...আবির ভাইয়াকে ফুসলিয়ে চা আনতে পাঠিয়ে দিলো, তার নাকি চা খাওয়ার তৃষ্ণা পেয়েছে। ছাদে শুধু আমি, রাফিয়া আর মুগ্ধ ভাই। আমি কানে ইয়ারফোন গুজে হালকা সাউন্ডে গান শুনছি। পা এখন ঠিকঠাক। হাটাচলা করতে পারি। একসপ্তাহ জেলখানার মতো রেস্টে থেকে আমি এখন সুস্থ। আমার পাশ থেকে রাফিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল-
-রাফিয়া শোন আমার এফ্রনের পকেটে দেখবি পাচশো টাকার নোট আছে। তোর মেকআপ আইটেম কি কেনা বাকি ছিলো জানি......
মুগ্ধ ভাইয়া এতটুকু বলতেই রাফিয়া বত্রিশ দাতে 'ইইইই' মার্কা ভেটকি দিয়ে নিচে চলে গেল। আমি ফোনে গান চেন্জ করতে নিলে মুগ্ধ এক টানে কোলে বসিয়ে নিলেন। আমি মূহুর্তেই নির্বাক! মনে মনে আবার এই ফন্দিফিকির আটছেন!কাধের চুল সরিয়ে উনি মাথা রেখে দিলেন। নরম সুরে বলে উঠলেন-
-একটা ইয়ারফোন আমার কানে দিয়ে দে...আমিও গান শুনবো।
-আপনি কোলে নিয়ে বসলেন কেন! আব্বু কিন্তু বাসায়! কেউ ভুলেও যদি এসে পড়ে কি গন্ডগোল হবে জানেন?ছাড়ুন!
-উহু...আঙ্কেল বাসায় নেই। আব্বুর সাথে লং ড্রাইভে পাঠিয়ে দিয়েছি। আন্টি আম্মুর সাথে সাংসারিক গপ্প বসিয়েছেন। তো...ইউ এন্ড মি, ছাদে একা কেবল আমরা, রাতের অন্ধকার আকাশে তারা....প্লিজ এনজয় কর। সবসময় এমন ফিল পাবিনা।
-আপনি কি আমার সাথে সময় কাটানোর জন্য সব রেডি করে আসেন? মাত্রই না হসপিটাল থেকে ফিরলেন?
-আমি কয়েক স্টেপ একসেস চিন্তা করি পাকনি!!
উনার কানে একটা ইয়ারফোন গুজে দিতেই উনি আমার কাধ থেকে মাথা উঠিয়ে ইয়ারফোন টান মেরে হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে টেবিলে রেখে দিলেন। আমি বিরক্তি নিয়ে উনার দিকে তাকালে উনি আমার গাল টেনে বলে উঠলেন-
-পাকনি ছোটবেলায় অনেক গান শুনাতি এখন একটু শুনা। অনেকদিন হয়েছে তোর গানের গলা শুনিনা। প্লিজ...অনুরোধ আমার...
-আপনি আবার হাসাহাসি শুরু করবেন না তো!! ছোটবেলায় আপনি অনেক ইনসাল্ট করতেন।
আমার নাকটা একটু টেনে বললেন-
-বললাম তো করবো না...প্লিজ শুনা,
-আচ্ছা....
উনি আবার আমার কাধে মাথা লাগিয়ে চুপ হয়ে গেলেন। এখন যদি গান না শুনাই কি না কি কান্ড ঘটিয়ে ফেলে মাবুদ জানে!! গলা একটু ঠিক করে আস্তে আস্তে সুর তুলে গান গাওয়া শুরু করলাম...চোখ বন্ধ করে গান ধরলাম,
স্বপ্নের বালুকায় কেউ কি পা লুকায়
যদি না আসে ভেজা দিন,
ইচ্ছের হিমালয়
হয়না কভু ক্ষয়.....
হৃদয়ে থাকে অমলিন,
কিছু স্বপ্ন কিছু ইচ্ছে....
এই আমায় টেনে নিচ্ছে.......
তোমার কাছে বারেবার.....🥀
কেউ না জানুক আমি তো জানি আমি তোমার🍁
কেউ না জানুক তুমি তো জানো তুমি আমার♥
সব লেনাদেনা হয়না কভু শেষ 🍁
আজীবন কিছু কিছুর থেকে যায় রেশ🥀
ভালোবাসা ফুরায় না প্রেম কভু হারায় না
অনুভবে থাকে যার যার......
গানটা শেষ না করতেই মুগ্ধ ভাইয়া কানের পিনায় চুমু দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললেন, 'ভালোবাসি'। আমি কেপে উঠলাম....উনার ফিসফিসানি আওয়াজ কানে সুড়সুড়ি জাগিয়ে উঠলো। আমি কান ডলতে ডলতে মুগ্ধ ভাইয়ার দিকে তাকালাম। উনি ঝকঝকে দাতের সুন্দর হাসিতে তাকিয়ে আছেন।
-কিছু শুনেছিস? শুনলে একটু চিৎকার করে জবাবটা বলবি, আমি জবাব পেতে আগ্রহী!!
- হুহ! কানে সুড়সুড়ির ঠেলায় চুলকানি শুরু হয়েছে...আবার চায় জবাব! আমি কিছু শুনিনি!
-হায়রে ঘাড়ত্যাড়া! কবে আমার কথা শুনবি!!!
-বাইক চালাতে পারেন? বাইকার দের মতো? অস্থির লাগে বাইকার দের!!! চরম! আপনি হয়তো পারেন না। ডক্টর মানুষ সারাদিন রোগী নিয়ে অনুসন্ধান করে তারা আবার এসব পারে নাকি!! হা হা হা!!
-আমাকে চ্যালেঞ্জ করছিস নাকি খোচা?
-কিছুই না। আপনি যেমন আছেন তেমনি ভালো। বেশি এক্সপেক্টেশন রাখা ঠিক না।
-মেবি।।।।
উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে ছাদ থেকে নিচে নিয়ে আসলেন। সবাইকে বিদায় দিয়ে আন্টি, মুগ্ধ ভাইয়া উনাদের বাসায় চলে গেলেন।আমি রুমে আসতে আম্মু পেছন থেকে বলল-
-মম কালকে তোর আন্টিরা আসবে। বাসায় তুই আর মিরা আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবি। বাইরে যেয়ে পড়ে থাকিস না। মনিরাকে বাসায় ডাকিস।
-আন্টিরা মানে? আঙ্কেল আন্টি মুগ্ধ ভা...(বলতে না দিয়ে আম্মু বললেন)
-আন্টিরা মানে রাবেয়ার পুরো পরিবারকে কাল আমাদের বাসায় দাওয়াত। রাফিন নাকি রাতে চলে আসবে।
-কোন উপলক্ষে দাওয়াত দিলা?মাথামুন্ডু বুঝলাম না...
-কালকে বুঝিস!!
আম্মু হাসতে হাসতে রুমে চলে গেল। মুগ্ধ ভাইয়ার ফ্যামিলিকে কেন আমন্ত্রণ করা হলো এখনো বুঝলাম না জিনিসটা।।আমি রুমে যেয়ে দরজা চাপিয়ে তোয়ালে নেওয়ার জন্য আলমারি খুললাম। ওই পার্সেল বক্সটায় হাত থামল। বক্স থেকে ওই ১২ ডিজিটের নাম্বার কাগজটা নিয়ে বিছানায় বসলাম। (912152252118)নাইন ওয়ান টু ওয়ান ফাইভ টু টু ফাইভ টু ওয়ান ওয়ান এইট...গুন গুন করে টেবিল থেকে খাতা-কলম নিয়ে পায়চারি করছি। ফোন নিয়ে নাম্বারটা তুলে গুগলে সার্চ করলাম! রেজাল্ট নট ফাউন্ড।। কলমের ক্যাপ কামড়ে ঘড়ির কাটায় তাকিয়ে আছি নয়টা বেজে পয়তাল্লিশ মিনিট। ক্যাপের আকার অলরেডি কামড়ে নাজুক বানিয়ে ফেলেছি।ঘড়ির দিকে তাকাতেই মাথায় বুদ্ধি এসে বসলো এগুলো কি এলফাবেট নম্বর? নাকি সাংকেতিক চিহ্ন? ওমনেই ক্যাপ কামড়ানো বন্ধ করে খাতার মধ্যে নাম্বার গুলো ফাক ফাক করে লিখলাম।
নাইট= আই , টোয়েল্ভ=এল, ফিভটিন=ও,টোয়েন্টি টু=ভি, ফাইভ=ই,টোয়েন্টি ওয়ান= ইউ, এইটিন= আর। শব্দ দাড়ায়- "আই লাভ ইউ আর"। প্রপোজ লেটার এটা? আমাকে প্রপোজ করেছে? কিন্তু "আর" কে? চিন্তা করছি। মাথা খাটাচ্ছি। বক্সটা আমার নামে, প্রপোজ লেটার পাঠানো। শেষে লিখা "আর"। কে আছে 'আর' দ্বারা ফ্যামিলি মেম্বার? চোখ বন্ধ করে ভাবতেই হঠাৎ মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো, "রাদিফ মুগ্ধ?"