ইহান: ও আরেকটা কথা আজকে হয়ত বাবা মা আসতে পারে... সিউর না তবে যদি আসে। তাই বলে রাখলাম.......
ইহান: কিহল কিছু বলছেন না যে???
আনহা: তোকে আবার কি বলব???
ইহান: ওই আবার সেই ত্যারা কথা....
আনহা: আমি মানুষটাই ত্যারা। 😡😡😡
ইহান: আচ্ছা সে যাই হোক। আমি এখানে আমার কাছে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতে পারব না।
আনহা: তাহলে কি এখন তোর জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেতে হবে নাকি.... এতটুকু ভদ্রতা কি তোর থেকে আশা করা যাবে না।
ইহান: হায় আল্লাহ আমি এ কার পাল্লায় পরলাম। [ নিজের মাথার চুল চুলকাতে চুলকাতে ]
আনহা: তোর ওই টুকু চুলেও উকুন হয়। 🤔🤔 আমি আর তোর আশেপাশে নাই।
ইহান: আপনার সাথে কথা বলে নিজে পাগল হওয়া আর টাইম ওয়েস্ট করা ছাড়া কিছু না।
আনহা: আমি কি তোকে আমার সাথে কথা বলতে বলেছি নিজেে এসে আমার সাথে কথা বলবে আবার নিজে এসেই আমার সাথে আবার রাগ করবে কথা বলবে...
ইহান: আপনি চুপ করার কি নিবেন.....
আনহা: ওই আমি কি বলছি আমি তোর সাথে কথা বলতে চাই। তুই নিজেই কবুতরের মত প্যাক প্যাক করছিস.....😡😡😡
ইহান: আপনি কোন কবুতরকে প্যাক প্যাক করতে শুনেছেন..... 😠😠
আনহা: সেটা কি তোকে বলতে হবে। আমি যা যা দেখিছি সবটা কি তোকে বলে দেখছি.... যে তুই জানবি...
ইহান: যাহহহ বাবা আমি কখন বললাম আপনি যা দেখেছেন আমাকে বলতে হবে।🙄🙄🙄 আমি তো বলছি কবুতর কখনো প্যাক প্যাক করে না। ওইটা হাসে করে।
আনহা: তো আমি কি বলেছি... আমিও তো তাই বলেছি...
ইহান: কি বলেছেন আপনি🙄🙄🙄
আনহা: এইজে তুই সেধে সেধে আমার সাথে কথা বলিস.... 😡😡😡
ইহান: ওই আপনি কোন কথা কোথায় টানছেন।😤 আমি তো কবুতরের....
আনহা: আমি কি তোর কাছে কবুতর চেয়েছি.......
ইহান: এইযে আগে কথা শুনেন তারপর উওর দেন.... 😡😡😡
আনহা: বল.......
ইহান: কি জানি..... বলছিলাম.....
আনহা: কিহহহ🤔🤔🤔
ইহান: আমার... [ মনে করতে ]
আনহা: তোর কি ক্ষিদে পেয়েছে... 🤔🤔🤔
ইহান: What..... 😡😡😡
আনহা: না মানে তখন হাস আর কবুতরের কথা বললি তো তাই ভাবলাম তোর হয়ত ক্ষি...দে পেয়েছে..... 🙄🙄🙄
ইহান: like seriously আনহা। [ কাদো কাদো মুখ করে ] আপনার কথাগুলো শুনে মনে হল আমি এগুলো খাওয়ার কথা বলেছি। 😥😥😥
আনহা: তা নয়ত কি??? 🙄🙄 এছাড়া কেন বলবি 🤔🤔🤔
ইহান: মাফ করুন আমাকে প্লিজ মাফ করুন। আমার বড্ড বেশি ভুল হয়ে গেছে...
আনহা: আচ্ছা মাফ করলাম। কিন্তু কেন.... 🤔না মানে কি ভুলের ক্ষমা চাইছিস তা জানাটা দরকার তাই আরকি....
ইহান: আনহা.... 😭😭😭
আনহা: কি হয়েছে তোর কাদছিস কেন???
ইহান: আপনার সাথে কথা বলার জন্য। আমি আপনার সাথে কথা বলে একটু না বড্ড বেশি ভুল করেছি....
আনহা: ওও😁😁😁 আগে বলবি তো এইজন্যই বলেছিলাম বড় মানুষের সাথে ফাও পেচাল পারবি না। বুঝে শুনে কথা বলবি। তা না একটা কথা কি থেকে কি করে....😁😁😁
ইহান: আনহা😭😭
আনহা: আবার কাদছিস কেন???
ইহান: নিজের ভুলের জন্য... 😭 মানে আপনার সাথে অযথা বাজে পেচাল পারার জন্য.....
আনহা: ওওও.... আচ্ছা থাক কাদতে হবে না আমি মাফ করে দিছি 😁
ইহান: আসলেই কি আপনি আমার কথা বঝেন না... 😰😰😰
আনহা: আবার কি বুঝতাম.....
ইহান: আমি খুব অন্যায় করে ফেলছি আপনাকে বিয়ে করে।
আনহা: সেইটা তুই এখন বুঝেছিস 😡😡😡 যে কতটা অন্যায় করেছিস তুই আমার সাথে আমাকে বিয়ে করে। 😡😡
ইহান: এইযে আবার উলটে বুঝছে😡😡😡 আমি নিজের সাথে অন্যায় করছি আপনাকে বিয়ে করে....😡আর একটা উপকার ও করছি অন্যকারো উপর.... 😁
আনহা: মানে😤😤
ইহান: মানে আপনার মত একটা আপদকে বিয়ে করে নিজের জান কয়লা করলে করেছি আর অন্য কারো জান বাচিয়ে দিয়েছি কয়লা হওয়া থেকে.…. 😁
আনহা: আমার জন্য তোকে জান কয়লা করতে কে বলেছে... 😡😡😡 আমি কি বলেছিলাম আমাকে বিয়ে করে নিজের জান কয়লা করতে.... 😡😡
ইহান এইটা শুনে বাকা হেশে আনহার কাছে যায়... আর আনহার কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়... তারপর ওর থুতনি ধরে একটু উচু করে ঠোঁটের কাছে গিয়ে বলে.....
ইহান: কারন আমি চাই না আপনার জন্য অন্য কারো জান কয়লা হোক। আপনি যা কয়লা করার তা আমার টাই করবেন। আমি একটু উদার কিনা আরেকজনের ক্ষতি হতে দেখতে পারব না। [ আনহার গালে স্লাইড করতে করতে ]
আনহা: এইটা কি হচ্ছে... 😡😡😡 আর তুই কি বলতে চাচ্ছিস। অন্য কারো লাইফ কয়লার হাত থেকে বাচাতে গিয়ে আমার লাইফ যে তুই কয়লা করেছিস তার বেলায়। 😡😡 আর তুই আমাকে অপমান করছিস নিজেকে উদার বলে..... কেউ কি তোকে বলেছে .... অন্য কাউকে বাচাতে... 😡
ইহান: [ পাগলি খেপছে ] বলার কি আছে আমার একটা দাড়িত্ব আছে তাই না। তার চেয়ে বড় কথা আমি চাইনা আপনার জালা অন্য কেউ সহ্য করুক। কারন আপনার সবটা ভালোবাসা যেমন আমি একা পেতে চাই ঠিক তেমনি আপনার সমস্ত জালাও আমি একাই সহ্য করব তার ভাগ ও কাউকে দিতে চাই না। [ নাক দিয়ে আনহার গালে স্লাইড করে ]
আনহা: আল্লাহ আমি এতদিন ভাবতাম তোর মাথায় সমস্যা আছে কিন্তু আজ সিউর হলাম। এগুলো আবার সহ্য করার কি আছে।
ইহান: সেটা যদি আপনি বুঝতে চাইছেন তাহলে তো হয়েই যেত আনহা।
আনহা: ধুর নিকুচি করেছি তোর বোঝার😡😡😡 সর তো গাল লাল করে দিল আমার.... [ ইহানকে দুরে সরিয়ে ]
ইহান: আসলেই আনহা আপনি.....
আনহা: কি হুমম... লজ্জা করে না এমন করতে একটা মেয়ের সাথে তাও যদি নিজের ছোট হত😡😡😡
ইহান: যাক বাবা মেয়ের সাথে কই করলাম🙄🙄
আনহা: আমাকে দেখে তোর ছেলে মনে হচ্ছে... 😡😡😡
ইহান: না মানে আমি বলতে চাইছি অন্য মেয়ের সাথে তো করিনি নিজের বিয়ে করা বউয়ের সাথে করছি.......
আনহা: করতে হবে না.... 😡
ইহান: এখন কি অন্য মেয়ের সাথে করব নাকি.... 😡
আনহা: কর না। না করছে কে??
ইহান: সত্যি বলছেন।
আনহা: হুম....
ইহান: এখন হুমম বললেও যদি কখনো করি তাহলে দেখবেন সবার আগে আপনি কষ্ট পাবেন। আর তেলে বেগুনে জলবেন।
আনহা: জিবনেও না।😤😤 আমি তো ভালো তাই তোকে তেমন কিছুই বলি না। অন্য মেয়েদের সাথে এমন করলে না হাত পা ভেঙে দিবে....
ইহান: ভুল আপনি। আপনি অন্য কেউ হলে এসেই জড়িয়ে ধরত যে আমি চাইলেও ছাড়ত না।
আনহা: ইসসস মুখে বড় বড় কথা....
ইহান: আমি যদি চাই যেকোনো মেয়ে আমাকে জড়িয়ে .... [ ইহানের এই কথা বলার সাথে সাথে কোথা থেকে একটা মেয়ে এসে ইহানকে জড়িয়ে ধরে ]........ ধরবে...
ইহানের এই অবস্তা দেখে আনহার চোখ কপালে.... আর ইহান আবালের মত আনহার দিকে তাকিয়ে আছে.......
আনহা: কথা শেষ হতে পারল না আর একটা মেয়ে এসে তোকে জড়িয়ে ধরল.... আল্লাহ গো.... 😭😭😭 এ কার সাথে বিয়ে হইছে....
ইহান: আনহা আপনি ভুল ভাবছেন.... [ মেয়েটাকে ছাড়াতে ছাড়াতে ]
আনহা: তারমানে তুই এসব করিস... 😭😭
ইহান: নাহহহ.. আপনি কথা তো শুনোন....
আনহা: এইজন্য তুই বলেছিস তোকে যেকোনো মেয়ে এসে জড়িয়ে ধরল। আমার সামনেই এই অবস্থা বাইরে কি কি করিস কে জানে.......😭😭😭 [ বিছানায় বসে পরে ]
ইহান: আমার কথা তো শুনোন.....
মেয়েটি: কি হয়েছে ইহান। আর তুমি মাফ কেন চাইছ.......???
আনহা: কেন মাফ চাইছ?? ও আল্লাহ.... 😭😭😭
ইহান: [ আল্লাহ মাবুদ আমার সংসার দেখি সাজানোর আগেই উলটা পালটা হয়ে যাচ্ছে ] আনহা আপনি যা ভাবছেন তা নয়।
আনহা: যা দেখার দেখছি আর কিছু দেখতাম না। 😭😭😭
ইহান: আরে বাবা থামেন না। আগে শুনে তো নেন... ও আমার কাজিন... রাইসা....
আনহা: কাজিন.. 🙄
ইহান: হুমম...
আনহা: কাজিন হইছে তো কি এসে জড়াই ধরতে হবে.... 😭😭😭
ইহান: জালায় পরা গেল তো। আসলে ও লন্ডন থাকে তো তাই..... ও দেশের কালচার ফলো করে।
আনহা: তাই.. 🙄🙄
ইহান: হুমম.. [ হাফ ছেড়ে বাচল ]
আনহা এবার রাগী চোখে মেয়েটার দিকে তাকায়.... মেয়েটার পরনে একটা জিন্স আর টপস পরে আছে সাথে একটা ওরনা।
আনহা: দেখে তো ভদ্র মনে হচ্ছে। তবে একটা কথা এটা এখানে কোনো ছেলেকে এভাবে জড়াই ধরতে হয় না খারাপ দেখায়। সে কাজিন ফাজিন যাই হও......
রাইসা ভুত দেখার মত এতক্ষন সব দেখল কিন্তু কিছুই বুঝল না। তবুও মাথা নেড়ে সন্মতি জানালো।
ইহান: আচ্ছা পরে কথা বলছি তুই এখন যা....
রাইসা: ওকে....[ বলে চলে গেল ]
ইহান: এইযে সমস্যা কি আপনার...
আনহা: আমার আবার কি???
ইহান: রাইসাকে দেখে কাদলেন কেন?? একটু আগেও তো বললেন অন্য মেয়ের সাথে দেখলে আপনি জেলাস না তাহলে কাদলেন কেন???
আনহা: তোর মনে হয় ও তোকে জড়িয়ে ধরেছে বলে কেদেছি....
ইহান: তাহলে....
আনহা: ওরে গাধা তুই যে আমার কথা মিথ্যে করে দিয়ে সত্যি সত্যি একটা মেয়েকে জড়াই ধইরা আমার প্রেস্টিজ ঘূর্নিঝড় বুলবুলিতে উড়াই দিলি তাই কাদছি😭😭😭
আনহার মুখে এমন কথা শুনে এবার ইহানের মাথায় ঘূর্নিঝড় হবার উপক্রম।
আনহা: কিরে তোর কি বাচ্চাদের মত হিসু টিসু পেয়েছে নাকি এমন করছিস... 🙄 না মানে ছোটবেলায় যখন তোর ১ নাম্বার পেত লজ্জায় বলতি না কিন্তু মাথা চুলকাতি.. যেন উকুন হয়েছে.....
ইহান: আনহা চুপ করুন.... আমার সত্যি ভুল হয়েছে নিজের চেয়ে বড় কাউকে বিয়ে করে যে কিনা আমার ছোটবেলাকে কেন্দ্র করে আমাকে হেরাস করে আর নিজের বউ হবার কোনো খবর রাখে না। 😡😡😡 [ তারপর বেড়িয়ে যায় ]
আনহা: যাহহহ বাবা আমি আবার কি করলাম🙄🙄 এই ছেলেও না😁 কিন্তু এই রাইসা..... ভাবতে হবে.....🤔🤔🤔
তারপর আনহা রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে চায় কিন্তু পায়ে ব্যাথার কারনে আস্তে আস্তে চলে।
বাইরে বেড়িয়ে দেখে রাইসা মেয়েটা ইহানের সাথে কথা বলছে।
ইহান: তুই এখানে.... 😡
রাইসা: কেন আসতে পারি না।
ইহান: তোর ফুপার বাড়ি আসতেই পারিস...
রাইসা: তাহলে জিজ্ঞেস কেন করছ...??
ইহান: আমাকে জড়িয়ে ধরলি কেন??? তুই কি এখনো ছোট....
রাইসা: আজব তো আমি তোমাকে কেন জড়িয়ে ধরতে পারব না। আমি কি তোমার পর.....
ইহান: দেখ রাইসা আমি এখন মেরে.... [ তখনি আনহার দিকে নজর যায় ]
আনহা: কি হচ্ছে... কিসের জরাজরি হচ্ছে আবার.... 😡
রাইসা: আচ্ছা ইহান একটা কথা বলত এই মেয়েটা কে??? আর তোমাকে জড়িয়ে ধরাতে ও এমন করছে কেন???
আনহা: কেন ইহান তোমাকে বলেনি বুঝি???
রাইসা: কি....
আনহা: আমি ওর টিচা.…...
ইহান: আমার ওয়াইফ....
রাইসা এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায়।
ইহান: আনহা আমার ওয়াইফ। আমার বিবাহিত বউ।
রাইসা: তুমি বিয়ে করেছ। [ মুখটা কালো করে ]
ইহান: হুমম। এদিকে এসো পরিচয় করিয়ে দি। আনহা এই হলো তোমার ননদ। আর রাইসা এই হলো তোর ভাবি।
আনহা: [ আমাকে তুমি বলছে😡 ]
রাইসা: সরি আমি জানতাম না। নাহলে কিছু নিয়ে আসতাম। [ তারপর চলে যায় চোখের পানি মুছতে মুছতে ]
আনহা: এর কি হল??? 🤔🤔 আর ওই আমাকে তুমি কেন বললি???
ইহান: আমি চাই না আমার আর আপনার সম্পর্কের টানাপোড়ন অন্য কেউ জানুক। আর আপনার সাথে আমার বয়সের ব্যবধান রাইসাকে না বললেই ভালো। এতে করে bad effect পরতে পারে। [ কারন রাইসা তাহলে আপনাকে যা কিছু বলতে পারে ]
আনহা: আমি পারব না।
ইহান: আপনাকে কিছু পারতে হবে না। যা করার আমি করব আপনি শুধু নিজের মুখটা বন্ধ রাখবেন। [ কারন আমি আপনাকে ছোট করতে চাইনা কারো সামনে ]
আনহা: যা মন চায় কর। আমার কিছু আসে যায় না।
ইহান: সেটা আমি জানি। তা রুম থেকে বেড়িয়েছেন কেন??? পায়ের কি অবস্থা..
আনহা: সেটাও তোকে দেখতে হবে না।
ইহান: আমার কিছুতে আপনার যায় না আসলেও আপনার নিশ্বাসেও আমার যায় আসে.....[ বলে আনহাকে কোলে তুলে নেয়। তারপর ওকে রুমে নিয়ে বেডে শুইয়ে দেয়। তারপর দরজা বন্ধ করে দেয় ]
আনহা: তোর আবার কি হল??? দরজা বন্ধ করলি কেন??? [ উঠে বসে ]
ইহান: ওইযে বললাম আপনাকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতে পারব না তাই স্ত্রী হিসেবে আপনার কিছু করতে হবে....
আনহা: মানে....
ইহান: মানে স্ত্রীর উচিত হাসবেন্ড যখন বাইরে যায় তখন তার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেওয়া। আর তাই আপনি আমার কপালে একটা কিস করবেন।
আনহা: তুই কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি🙄
ইহান: কেন এর আগে বুঝি আমার কপালে কিস করেনি.....
আনহা: হ্যা কিন্তু তখন তো তুই ছোট ছিলি। আর আদর করে দিতাম। সেটা অন্য হিসেব ছিল।
ইহান: সেই নিঃস্বার্থ আদরটাই তো আমি চাই আনহা। সেই আদরের জন্যই তো এতকিছু। সারাজিবন সেই আদরে ডুবে থাকার জন্যই তো আপনাকে নিজের করে নিয়েছি আনহা। [ আনহার গাল ধরে ]
আনহা: …..
ইহান: প্লিজ আনহা....
আনহা ইহানের দিকে তাকিয়ে ইহানের একটু কাছে যায়। তারপর কি ভেবে আবার সরে আসে.....
আনহা: আমি পারব না।
ইহান: ন্যাকামি হচ্ছে... 😡
আনহা: দেখ এখন তুই আর ছোট নেই....
ইহান: হিসেব তো এক তাই না। তখন পিচ্চি হিসেবে দিতেন এখন হাসবেন্ড হিসেবে দিবেন। 😡
আনহা: আমি পারব না। তখন পিচ্চি হিসেবে দিলেও না এখন তুই বড় হয়েছিস। আর তুই এখন আমার হাসবেন্ড ব্যাপারটা টোটালি আলাদা। আর হাসবেন্ড ওয়াইফের সম্পর্কে আমি পারব না। [ এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলল লজ্জা মাখা মুখে ]
আনহার মুখে এমন কথা শুনে ইহানের যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। কারন এই প্রথম আনহা ইহানকে নিজের হাসবেন্ড বলছে। নিজেদের হাসবেন্ড ওয়াইফ বলছে। লজ্জা পাচ্ছে ইহানের কাছে আসতে....নিজের অজান্তেই আনহা ওদের বিয়েটাকে মানছে......
ইহান: [ এতদিন পর আজকে নিজেকে আমার সত্যি ভাগ্যমান মনে হচ্ছে। এতদিনের অপেক্ষা আমার সার্থক হয়েছে। আমি আমার আপনিকে তুমি করতে পেরেছি। পেরেছি আনহাকে আমার #আপনি💓ময় তুমি বানাতে। ]
এসব ভেবে ইহানের মুখে আলাদা এক খুশির আভা ফুটে উঠে। আজ ও ভিষন খুশি। অদ্ভুত এক প্রশান্তি পাচ্ছে ইহান....
আনহা: কিহল এভাবে চুপ করে আসিস কেন???
ইহান: আপনি তো মানেন না আমি আপনার হাসবেন্ড তাহলে কিস করতে এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন???
আনহা: বয়ে গেছে আমার তোকে হাসবেন্ড মানতে। আর তাই তো কিস করব না। তাই লজ্জা টজ্জা কিছুই পাচ্ছি না। [ ভেংচি কেটে ]
ইহান: [ আমি জানি এটা আপনি মুখ ফুটে কখনো বলবেন না কিন্তু আমি যা বোঝার বুঝেছি। ] আচ্ছা তাহলে আপনি কিস করবেন না তাইত....
আনহা: নাহহহ....
ইহান: ভালোও ভালোও বলেছিলাম আপনাকে। কিন্তু শুনলেন না ,, তাহলে অল্পতে রক্ষা পেতেন কিন্তু আপনি তো সেই আগের জায়গায় আছেন..... এখন আমি যেটা নিব সেটার দাম অনেক বেশি।
আনহা: মানে কি বলতে চাস তুই [ ভ্রু কুচকে ]
ইহান: আপনি আমাকে হাসবেন্ড হিসেবে না মানলেও আমিতো আপনাকে আমার বউ হিসেবে মানি। তাই আপনি যখন ছোট্ট একটা কিস নিজের ইচ্ছায় দেবেন না। সেহেতু আমাকে সেটা আদায় করে নিতে হবে। আর আদায় করলে অনেকটা বেশি করতে হয়....
আনহা: মানে.....
ইহান: মানে।।। [ বাকা হেশে ]
তখনি ইহান আনহাকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে আনহার ঠোঁটটা নিজের দখলে নিয়ে আসে। আর পিছন থেকে আনহার হাত দুটো আটকে রাখে। ইহান এমন কিছু করাতে আনহা চোখগুলো রসগোল্লার আকার ধারন করে। তারপর নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়....
কিছুক্ষন পর ইহান আনহাকে ছেড়ে আনহার চোখের দিকে তাকায়। আনহা এখনো নিজের চোখ বন্ধ করে আছে। আনহাকে এমন ভাবে লজ্জা পেতে দেখে ইহান বাকা হাসে....... তারপর ওর কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিতে আনহা লজ্জা মাখা মুখে ইহানের দিকে তাকায়......
ইহান: জানেন তো আনহা আপনাকে আজ ঠিক আমার বউ বউ লাগছে... আর দয়া করে এভাবে লজ্জা পাইয়েন না। নিজেকে আটকে রাখতে পারব না।
এইটা শুনে আনহা ইহানের কাছ থেকে নিজেকে সারাতে চায়। কিন্তু ইহান ওকে আরো জোরে ধরে নিজের মাঝে মিশিয়ে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে...... আর আনহাও নিজের অজান্তেই ইহানের বুকে মুখ লুকায়....... ইহান আনহার কানের কাছে গিয়ে বলে.....
ইহান: আপনি সত্যি আজ আমার আপনিময়💓তুমি হয়ে গেছেন। আর সেটা আপনি নিজেও জানেন না.................
—
ইহান: আপনি সত্যি আজ আমার আপনিময়💓তুমি হয়ে গেছেন। আর সেটা আপনি নিজেও জানেন না.................
এভাবে অনেকক্ষন থাকার পর.....
ইহান: কিহল এতক্ষন তো বলছিলেন আমার কাছে আসতে চান না। আর এখন কিনা ছাড়তে চাইছেন না। ব্যাপারটা কি একটু বলবেন....
কথাটা শোনা মাত্রই আনহা ইহানকে ছেড়ে দিয়ে উঠে যেতে নেয়। কিন্তু ইহান ওকে আবার নিজের সাথে মিশিয়ে নিল.....
ইহান: আমি বলেছি বলেই কি ছেড়ে দিতে হবে.... আপনার কি কোনো অধিকার বোধ নেই নাকি.... মানে বোধ নেই জানি কিন্তু অধিকার বোধও কি নেই... [ আনহার খুব কাছে গিয়ে ]
আনহা: আমার কোনো অধিকার বোধ নেই তোর উপর তাই ছাড় আমাকে....
ইহান: এখনো এই কথা বলবেন.... এত কিসের ইগো আপনার যা নিজের মনের ডাক শুনতেও আপনাকে বাধা দিচ্ছে....
আনহা: কোনো ইগো নয়.... আমি ভালোবাসি না তোকে বুঝলি। আর তাই অধিকার বোধটাও দেখাতে চাই না।
ইহান: সত্যি।।। এখনো একটু ভালোবাসেনি আমাকে....
আনহা: নাহহ....[ ইহানের দিক থেকে মুখ ঘুড়িয়ে ]
ইহান আনহার মুখটা ঘুড়িয়ে নিজের দিকে আনল.....
ইহান: ভেবে বলছেন তো....
আনহা: ভাবার কিছুই নেই তো কি ভাববো।
ইহান: এর জন্য পরে আপনাকে পস্তাতে হবে কিন্তু ভেবে দেখবেন.....
আনহা:.......
ইহান: তারমানে হার মানবেন না আপনি। সেই ইগো নিয়ে বসে থাকবেন.... নিজের মনের কথাও শুনবেন না.... তাইত.....
আনহা:.......
ইহান: ঠিক আছে আনহা আপনার ইচ্ছাই পুরন হবে। যখন আমার কাছে ধরা নাই দিবেন নিজে থেকে তাহলে জোর করে চাইব না। কারন অনেক জোর করে ফেলেছি....
আনহা:......
ইহান: আপনি নিজের ফিলিংস নিজের মুখে না বলা পর্যন্ত আমি আপনার কাছে আসব না আনহা।
আনহা:..... [ অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে ]
ইহান: আপনি যা চান তাই হবে। তবে এর জন্য আপনাকে অনেক বড় মাসুল গুনতে হবে। এর পর আমি তখনি আসব যখন আপনি ডাকবেন.......
[ তারপর ইহান উঠে চলে গেল আর আনহা ইহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল ]
আনহা: আমি কি সত্যি তোকে ভালোবেসে ফেললাম??? তাহলে তোকে কেন মেনে নিতে পারছি না??? আর কেনই বা তোর কাছে থাকতে চাই?? কেনই বা তোকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারছি না। এটা কি শুধুই পিচ্চি ইহানের প্রতি টান.... নাকি তোর ভালোবাসার নতুন কোনো অনুভুতি যা আমাকে না চাইতেও বার বার তোর দিকে টানছে.... আমি কি সত্যি তোকে মেনে নিয়েছি স্বামী হিসেবে.... সত্যি কি আমি তোর আপনিময়💓তুমি হয়ে গিয়েছি.......
ইহান বাইরে আসতেই রাইসা ওর পথ আটকায়.....
ইহান: তোর কি হল পথ আটকালি কেন???
রাইসা:......
ইহান: রাস্তা ছাড় আমি যাব....
রাইসা: ওই মেয়েটাকে কেন নিজের বউ বললে তখন.....
ইহান: এটা আবার কেমন প্রশ্ন???
রাইসা: যেটা বলছি শুধু তার উওর দেও.....
ইহান: দেখ রাইসা। আনহার সাথে আমার বিয়েটা হঠাৎ করে হয়েছে কাউকে জানানো হয়নি। আর তাই তোকে কিভাবে জানাব...
রাইসা: তারমানে তুমি নিজে বিয়েটা করেছ তাইত.....
ইহান: তোর মনে হয় কেউ আমাকে জোর করতে পারে.....
রাইসা এবার কেদেই দেয়.....
রাইসা: কেন করলে আমার সাথে এটা.... কি দোষ করেছি আমি....???
ইহান: আজব তো আমি আবার কি করলাম তুই এসব কি বলছিস....
রাইসা: আমি তোমাকে এতটা ভালোবাসি এটা তুমি খুব ভালো করেই জানো তাহলে কেন করলে....???
ইহান: দেখ আমার আর আনহার বিয়েটা হয়ে গেছে এখন আর এগুলো বলে কি লাভ......
রাইসা: কি লাভ মানে...??? তোমার কি সত্যি আমার ফিলিংস এর কোনো দাম নেই ইহান। [ কান্না করতে করতে ]
ইহান: দেখ আমার এসব বলতে ভালো লাগছে না। আমার কাজ আছে যেতে দে।
রাইসা: আমার চেয়ে এখন কাজটা তোমার কাছে বড় হলো.....
ইহান: তুই কি এখনো বাচ্চা নাকি রাইসা। এখন তো বড় হয়ে গেছিস এখনো এসব কথার মানে কি???
রাইসা: আচ্ছা তা বিয়ের সময় একটা বার জানাতে পারলে না কেন [ নিজের চোখ মুছে ]
ইহান: সবটা অনেক তারাতারি হয়ে গেছে কাউকে বলার সুযোগ হয়নি তাহলে তোকে কিভাবে বলব....
রাইসা: আচ্ছা বুঝতে পেরেছি.... আর বলতে হবে না....
ইহান: রাইসা তুই.....
রাইসা: ছোটবেলা থেকে ভালোবাসার ভালো ফল দিলে তুমি আমাকে...
ইহান:.......
রাইসা: তুমি জানতে না এসব জেনে আমি কত কষ্ট পাব.....
ইহান: এখন এসব বলে কি লাভ যা হওয়ার হয়েছে। এখন বল কি করব আমি....??
রাইসা: আমি খুব দ্রুত আবার লন্ডন ফিরে যাব ইহান..... তাই আমাকে একদিন একটু টাইম দিবে....
ইহান: কিন্তু....
রাইসা: প্লিজ একটা দিন তো। তারপর আর কিছু বলব না তুমি না হয় তোমার মত থেকো। আজ সারাদিন প্লিজ......
কিছুক্ষন ভেবে.....
ইহান: আচ্ছা। কোথায় যাবি....
এইটা শুনে রাইসা একটা হাসি দেয়.....
রাইসা: চলো.....[ তুমি নিজেও জানো না আজ তোমার কি হাল করব। আমাকে কষ্ট দেওয়ার সবটা হিসেব আমি শুধে আসলে তুলব..... ]
[ তারপর ওরা দুজন গাড়ি করে চলে যায়। আর এতক্ষন যা যা হয়েছে তার সবটাই আনহা উপর থেকে দেখেছে। ও যেন বিশ্বাস করতে পারছে না নিজের কানকে। কারন রাইসার কথায় এতটুকু স্পষ্ট রাইসার সব কথায় ইহানের সায় আছে। রাইসার কথা শুনে ইহান নিজেকে অপরাধী ভাবছে ]
ইহান রাইসাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে আসে...
ইহান: কি খাবি বল....???
রাইসা: তুমি যা খেতে দিবে.....
ইহান: রাইসা..... [ বেশ বিরক্ত হয়ে ]
রাইসা: প্লিজ না ইহান......
ইহান: আচ্ছা। [ তারপর ইহান খাবার অর্ডার দেয়। ] কিরে খাচ্ছিস না কেন???
রাইসা: খাব না [ ভেংচি কেটে.... ]
ইহান: রাইসা দেখ😡😡😡
রাইসা: খাইয়ে দেও।
ইহান: এইটা বেশি হয়ে গেল না....😡😡
রাইসা: আমার উপর রাগতে পারবে... সত্যি ইহান তুমি কতটা বদলে গেছ তাও ওই মেয়েটার জন্য...….
ইহান: চুপ একদম চুপ.....
রাইসা: রাগ দেখাচ্ছ... এটা কিন্তু তোমার জন্য ভালো হবে না। 😘
ইহান আর কিছু না বলে রাইসাকে খাইয়ে দিতে লাগল....
রাইসা: এইত গুড বয়। [ ইহান রাইসাকে খাইয়ে দেওয়াতে রাইসা ইহানের আঙুলে কামর দিয়ে চোখ মারল। আর ইহান দাতে দাত চেপে সহ্য করল ]
ইহান: [ আমি পারলে তোকে 😡😡😡....]
রাইসা: এখন মনে মনে গালাগাল দিয়ে লাভ নেই। যা হওয়ার হয়েছে তাকদিরকে কে খন্ডাবে বলো....
রাইসা: ওই আনহাই কি তোমার বউ নাকি???
ইহান: তোর কোনো সন্দেহ আছে???
রাইসা: না মানে আমি শুনেছি তোমার বউ নাকি তোমার ৫ বছরের বড় কিন্তু আনহাকে দেখে তো মনে হল না ওর বয়স এত হতে পারে। infact ওকে দেখলে এখনো একটু বাচ্চার ফেসের মতই মনে হয়.....
ইহান: এসব তোকে কে বলেছে???
রাইসা: তুমি আমায় নিয়ে না ভাবলেও আমি তো ভাবি জান। নাহলে কি.... [ চোখ মেরে ] তবে যাই বলো তোমার বউ দেখতে খুব কিউট আর সেইজন্য বয়সে বড় হয়েও বিয়ে করেছ.....
ইহান: বাজে কথা বন্ধ কর..... আমি আনহাকে.......
রাইসা: তুমি আনহাকে কি ভালোবাস তাহলে আমি??? আমি কি?? আমাকে কি কখনো ভালোবাসনি,???
ইহান: এই বাজে কথা বন্ধ কর.....
রাইসা: ওকে......
তারপর ইহান সারাদিন রাইসাকে ঘুরায়।আর রাইসার সব আবদার গুলো সহ্য করে....
ইহান: [ আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে..... ]
এদিকে আনহা এক মিনিট স্থীর থাকতে পারছে না। ইহানের সাথে আরেকটা মেয়েকে যেন সহ্য করতে পারছে না। ইহানের সাথে অন্য মেয়ের কথা ভাবতেই আনহার ধম বন্ধ হয়ে আসছে। তার পিচ্চি ইহানকে খুব বেশি ভালোবাসত আনহা। অন্য কারো জন্য ইহান পাগল হবে কখনো ভাবেনি। আর এখন তো ইহান তার হাসবেন্ড। মুখে স্বীকার না করলেও মন থেকে আনহা ইহানকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছে..... খুব ভালোবেসে ফেলেছে সে ইহানকে। খুব করে চায় তাকে..... তাই ইহানের পাশে নিজেকে ছাড়া কাউকে কল্পনাও করা পসিবল না আনহার.......
এভাবেই অস্থিরতায় কেটে যায় আনহার........ সারাদিনে ইহানকে। অনেকবার কল করেছে কিন্তু রিসিভ করেনি ইহান...... করবেই বা কি করে ইহানের ফোন তো রাইসার কাছে...... তাই এভাবেই অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে যায়.......
অনেক রাতে আনহার ঘুম ভেঙে যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১টা বাজে.... আনহা তাকিয়ে দেখ ইহান এখনো আসেনি। তাই ও রুম থেকে বাইরে বেড়িয়ে যায়..... বাইরে বেড়িয়ে দেখে ওইপাশে একটা রুমে লাইট জ্বলছে.... আনহা বেশ কোতুহল নিয়েই রুমের দিকে যায়....
আর রুমে গিয়ে আনহা যা দেখতে পায় তাতে ওর পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। ইহান বিছানায় আধো শোয়া হয়ে বসে আছে আর রাইসা গুটিশুটি মেরে ইহানকে জড়িয়ে ধরে কাদছে........
এই দৃশ্য দেখে আনহার মাথাটাই বিগড়ে যায়।
আনহা: ও তারমানে আপনি আপনার কথা রাখলেন মি. ইহান।
আনহাকে দেখে ইহান দ্রুত রাইসাকে ছেড়ে দারায়।
ইহান: তুমি এখানে........ [ বেশ অবাক হয় ]
আনহা: কেন অবাক হলেন বুঝি। অবাক হওয়ার কি আছে??? আমি আপনাকে হাসবেন্ড হিসেবে মানতে চাইনি তাই........ ছি ইহান আমি ভাবতেও পারিনি......
ইহান: আনহা আপনি মাত্রাতিরিক্ত করছেন....
আনহা: আর তোমরা যা করছ তা বুঝি খুব ভালো... আমাকে লুকানোর কি দরকার ছিল । তুই রাইসাকে ভালোবাসিস তাহলে আমাকে বিয়ে না করে রাইসাকে করলেই তো পারতি.... অত্যন্ত আমাকে এসব দেখতে তো হত না।
ইহান:..... [ শুধু রাগে ফুসছে ]
আনহা: লজ্জা করে না এসব করতে। তার তোর বা কি দোষ দেব এই নির্লজ্জ বেহায়া মেয়েই তো তোকে নিজের দিকে টানছে.......
রাইসা: তুমি কিন্তু অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করছ😡
রাইসার মুখে এই কথা শুনে আনহার মেজাজটাই বিগড়ে গেল... ও গিয়েই রাইসার গালে খুব জোরে কষে একটা থাপ্পড় মারল। রাইসা ব্যলেন্স করতে না পেরে টেবিলের উপর গিয়ে পরে যায় যাতে ওর ঠোঁটটা কেটে যায়। ইহান দ্রুত গিয়ে রাইসাকে তোলে আর রাইসা ইহানকে জড়িয়ে ধরে কেদে দেয়......
এইটা দেখে আনহার রাগ আরো বেড়ে যায়.... ও রাইসাকে ইহানের বুক থেকে সরিয়ে দিয়ে আরেকটা থাপ্পড় মারতেই ইহান আনহার হাত ধরে নেয়....