মায়াবতী (পর্ব ১২)


২৩!! 

পরের চারটা দিন শ্বশুরবাড়িতে বেশ ভালোই কেটেছে রাহাতের। সারাদিন এটা ওটা নিয়ে মায়ার পিছনে খুনসুটিতে লেগে আছে রাহাত। আর রাতে? রাতে মায়াকে জ্বালাতন করছে। মায়া না পারে রাহাতকে বাধা দিতে, না পারে নিজের মনের খচখচানি ভুলতে। রাহাতও সেটা বেশ বুঝতে পারে। তাই নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছে তার মায়াবতীর মনের সবটুকু ভয় ভুলিয়ে নতুন করে নিজের জায়গাটা দখল করতে। 

মায়ার কোমড় পেঁচিয়ে ধরে গত চারটা দিনের কথা ভাবছে রাহাত। মেয়েটা ওর বুকে চুপ করে শুয়ে আছে। এখন আর একটুও ছোটার জন্য ছটফট করছে না। শান্ত হয়ে বুকে মুখ ডুবিয়ে নিজের মতো করে কি যেন ভাবছে। রাহাত ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে মায়াকে দেখছে। কি মনে হতেই মায়াকে আরো নিবিড় করে বুকে চেপে ধরলো রাহাত। মায়া রাহাতের মুখের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে এই লোকের মনে নতুন কি দুষ্টুমি খেলা করছে। 

-মায়াবতী?

-কি?

-বিয়েটা হলো দুটো বছর পেরিয়ে গেছে না? 

------------------------------

-এখনো তো তুমি নিজে থেকে আমার কাছে ধরা দিলে না? কাহিনী কি?

-কিসের কাহিনী? আর শুনুন বিয়ের যেমন দুই বছর পার হয়ে গেছে তেমনি আপনার সাথে সেই বিয়েটা শেষ হওয়ারও দশটা দিন পেরিয়ে গেছে।

-কি সব বলছ? তোমার আমার বিয়ের বাঁধনটা কি এতই ঠুনকো মায়াবতী যে বললেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে? নাকি আমরা কাঁচা বয়সী প্রেমিক প্রেমিকা? আর তুমি রাগ করে ব্রেকআপ বলে দিলেই সব একেবারের জন্য শেষ হয়ে যাবে? পাগলি আমাদের সম্পর্কটা যতখানি ভালোবাসার ঠিক ততখানি স্বামী-স্ত্রীর--। এই জীবনে এই বন্ধনটা কখনো ভাঙবে না গো মায়াবতী--।

-যে সম্পর্কের বাঁধনের এতো বড় বড় কথা বলছেন সেটার ভাঙনের দলিল হিসেবে ডিভোর্স পেপারে তো সাইনটা করে মুক্তি দিয়ে এসেছি আপনাকে। কোন রকম বাঁধনে আর আপনাকে বাঁধা থাকতে হবে না----।

রাহাত মায়ার রাগী মুখটা দেখে হেসে হাত দুটোর বাঁধনটা আলগা করে দিল। মায়াও উঠে বসে রাহাতের দিকে পিঠ করে খাটে পা ঝুলিয়ে বসে চোখের পানিটা মুছে নিল। রাহাত মায়ার পিঠের আলতো কাঁপন দেখে বুঝতে পারছে মেয়েটা কাঁদছে৷ মেয়েটা ভাঙবে তবু মচকাবে না। এতো জেদ ধরে বসে থাকলে চলে? অবশ্য দোষটা যেহেতু রাহাতের তাই সেটা ঠিক করার দায়টাও তার৷ সেটা ভেবে রাহাত খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসলো। আলতো করে মায়ার কাঁধে হাত রাখলো।

-একটা সাইন তোমার আমার সম্পর্কটা বদলে দিতে পারে না মায়া। আর মুক্তি তুমিও চাও না। আমিও চাই না। তবে জেদ করছ কেন? যতটা না ঘৃণা করো তার চেয়েও হাজার লক্ষ গুণ তো বেশি ভালোবাসো পাগলি--। সেটা কি আমি বুঝি না?

-হারিয়ে বুঝে কোন লাভ হয় না মিস্টার রাহাত। আর তো কয়টা দিন মাত্র----।

-কিসের কয়টা দিন?

-কিছু না---। আপনি প্লিজ ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিবেন--। এভাবে অহেতুক একটা বাঁধন শিকলের মতো গলায় ঝুলিয়ে রেখে আর কি করবেন? ভয় নেই অর্ধেক সম্পত্তি ক্লেইম করতে কোর্টে কেস ফাইল করব না--। হাজার হোক-- ছয়মাস হলেও আপনার চাকরি করেছি-দু বছর সংসার করেছি--।

-মায়া?

রাহাত এবারে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না৷ মায়াকে পিছন থেকে জাপটে ধরে পাগলের মতো কেঁদে ফেললো৷ এই মেয়েটার সমস্ত অবহেলা সে সহ্য করতে পারবে ঠিকই।  কিন্তু এই একটা কথা সে কিছুতেই মানতে পারবে না। শুনতেও পারবে না। 

-কেন বলছ এসব? সরি তো বউ? জানি আমার দোষেই তোমাকে এতোটা পাথর হতে হয়েছে--। কিন্তু একবার বিশ্বাস করো প্লিজ? আর কখনো--।

-বিশ্বাস? এই শব্দটা আমার জীবন থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে রাহাত। তুমি হাজার চেষ্টা করলেও বিশ্বাস আর তোমাকে কখনো করতে পারব বলে মনে হয় না। আর এক বুক অবিশ্বাস নিয়ে আর যাই হোক সংসার করা যায় না। 

-আচ্ছা যাও--। বিশ্বাসও করতে হবে না। জাস্ট একটা সুযোগ দাও আমাকে প্লিজ? একটা বার আমাকে শোধরানোর সুযোগটা দাও প্লিজ?

-ঠিক আছে দিলাম---। এখন সরুন---। ছাড়ুন---। কাল বাদে পরশু ভাইয়ার গায়ে হলুদ--। বহু কাজ আছে সকালে---। 

-হুম----।

মায়ার থেকে সরে এসে চোখ মুছে বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়লো রাহাত। মায়াও রাহাতের পাশে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়লো। এতো কাছে থেকেও রাহাতের মায়াকে বুকে টেনে নিতে ইচ্ছে করলেও কোন এক অদৃশ্য অপরাধবোধ তাকে কাজটা করতে দিচ্ছে না। মায়া বেশ কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে উঠে চলে গেল। মায়ার বিছানা ছেড়ে চলে যাওয়া টের পেয়ে রাহাতও উঠে বসলো। মেয়েটা এখন এতো রাতে কোথায় গেল? ভাবতেই চোখ পড়ল খোলা বারান্দার দরজার বাইরে। খাটে বসে থেকেও মায়ার আবছা অবয়বটা দেখতে পাচ্ছে রাহাত। হালকা ফুরফুরে বাতাসে মায়ার শাড়ির আঁচল উড়ছে, চুল উড়ছে। ব্যাপারটা একেবারে জাদুর মতো টানছে রাহাতকে মায়ার দিকে।

ধীরে ধীরে বারান্দার দিকে এগিয়ে গিয়ে মায়াকে পিছন থেকেই শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রাহাত। তারপর আলতো করে মায়ার চুলে মুখ ডুবালো। মায়া একটু কেঁপে উঠলেও কিছু বললো না। বাইরের অন্ধকার পৃথিবী দেখায় মন দিলো। 

-মায়া?

-হুম?

-একটা গান শুনবে?

-শোনাও----।

রাহাত আলতো করে মায়ার চুলে চুমো খেয়ে হালকা গলায় গান ধরলো।

-"চলনা দুজন আজ নীলিমা ছুয়ে ভালবাসি

বৃষ্টি ধারার মত জোছনা নিয়ে নীরবে কাছে আসি

বলনা তুমি সেই না বলা কথা গানে গানে

ওই নীল আকাশ ওই দখিনা বাতাস

আমাকে কাছে টানে

অভিমানী ভালবাসা চায় যে হারাতে

ওই দূর অজানাতে

তুমি আমি ভেসে যাব মেঘলা বাতাসে

এই হাত রেখে হাতে...

চাঁদ কি জানে তুমি চাঁদের ই মত

মন জানে না মন ছুয়েছো কত

বললে তুমি আর কবিতা হলো

যায় হারিয়ে তুমি যে পথে চল

এসোনা হৃদয়ে তুমি

অচেনা শ্রাবনে আমি

অভিমানী ভালবাসা চায় যে হারাতে

ওই দূর অজানাতে

তুমি আমি ভেসে যাব মেঘলা বাতাসে

এই হাত রেখে হাতে...

মেঘলা চোখে আমি তাকিয়ে রব

স্বপ্ন হয়ে আজ তোমাকে ছোব

বৃষ্টি গুলো আজ তোমারি ছবি

পথ ভুলেছি আর ভুলেছি সব ই

এসোনা হৃদয়ে তুমি

অচেনা শ্রাবনে আমি

অভিমানী ভালবাসা চায় যে হারাতে

ওই দূর অজানাতে

তুমি আমি ভেসে যাব মেঘলা বাতাসে

এই হাত রেখে হাতে....."

মায়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে গানের প্রত্যেকটা শব্দ গাইছে রাহাত। মায়ারও চোখের পানিরা বাঁধ ভাঙছে। গানটা শেষ হওয়ার পরও দুজনে সেভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কোন কথা হলো না দুজনের। শুধু চুপচাপ একে অন্যকে অনুভব করতে লাগলো। 

২৪!! 

সকালে মোবাইলটা সশব্দে বেজে উঠে রাহাতের ঘুমটা ভেঙে দিল। তড়িঘড়ি করে মোবাইলটা সাইলেন্ট করে মায়ার দিকে তাকালো রাহাত। মেয়েটা গুটিসুটি মেরে একেবারে রাহাতের বুকের ভিতরে সেঁধিয়ে ঘুমাচ্ছে। রাহাত হেসে মায়ার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। অনেক রাত পর্যন্ত জেগেছিল ওরা। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরের নিশুতি রাতের নিস্তব্ধতার সাথে একে অপরকে অনুভব করেছে নিরবে। শেষ রাতের দিকে রাহাত যখন মায়াকে পাঁজাকোলা করে তুলে এনে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বুকে টেনে নিয়েছে তখনও একদম চুপ ছিল মায়া। মায়ার এই নিরবতা বড্ড বেশি জ্বালাচ্ছে রাহাতকে। মেয়েটা আবার কি প্ল্যানিং করছে কে জানে! এবার আর মায়াবতীটাকে কিছুতেই হারাতে দিবে না রাহাত। প্রয়োজনে সব ছেড়ে ছুঁড়ে মায়ার সামনেই বসে থাকবে সারাক্ষণ। ভাবতেই হাসি পেল রাহাতের। 

এসব ভাবছে এর মধ্যে রাহাত খেয়াল করলো আবার কল আসছে। দিহান এতোবার কেন কল করছে বুঝতে পারছে না রাহাত। মায়াকে আস্তে করে বালিশে শুইয়ে দিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো রাহাত। কলটা রিসিভ করে কানে লাগালো মোবাইল। 

-হ্যাঁ দিহান? বলো?

-স্যার? আপনি কোথায় এখন?

-শ্বশুরবাড়িতে---।

-ম্যামের রাগ কমেছে স্যার?

---- কমে নি। তবে আমি চেষ্টা করছি----।

-স্যার---। একটা কথা ছিল--। 

-হুম---। বলো?

-স্যার---। আজকে সন্ধ্যা ছয়টায় এন. আর. পি. ইন্ডাস্ট্রির সাথে আপনার প্রজেক্টটা নিয়ে একটা মিটিং ছিল---। 

-হোয়াট! আজকে!

-জি স্যার--। এ্যাকচুয়েলি উনারা কনফার্মেশনের জন্য মেইল করেছিল--। আমি সেটা দেখে লিজাকে জিজ্ঞেস করায় ও বললো---।

-শিট শিট শিট!

-জি! কি হয়েছে স্যার? এনি প্রবলেম?

-মিটিংটা অনেক আর্জেন্ট ছিল--। মাসখানেক আগেই ডেট ফিক্স করা হয়েছিল---। শিট---।

-স্যার--মিটিংয়ে এখনো অনেক দেরি--। সবে ১০ টা বাজে--।

-কোম্পানিটা এখানে ঢাকায় না দিহান---। চট্টগ্রামে----।

-স্যার--। ফ্ল্যাইটে চলে যাবেন--। ৪০-৫০ মিনিট লাগবে হয়তো বড় জোর। আমি টিকিট ম্যানেজ করছি--। ম্যামকে নিয়ে ঘুরেও আসলেন মিটিংও সেরে ফেললেন--। 

-পসিবল না রে ভাই--। আগামীকাল মায়ার ভাইয়ের গায়ে হলুদ--। পরশু বিয়ে---। আহ----। শিট---। 

-স্যার? রিল্যাক্স----। প্লিজ? 

-আম---। বাদ দাও দিহান--। মিটিংটা ক্যানসেল করে দাও---। 

-বাট স্যার? ওটা নাকি আপনার ড্রিম প্রজেক্ট ছিল---।

-ছিল রে ভাই---। প্রজেক্টটা অন্য কেউ হেন্ডেল করলে হয়তো এতো ভাবতে হতো না--। গেলে আমাকেই যেতে হবে--। আর এই মূহুর্তে আমি কিছুতেই যেতে পারব না--। অসম্ভব--।

-স্যার? বড় স্যার সামাল দিতে পারবেন না ব্যাপারটা? বা লিজা? বা অন্য কেউ----।

-না দিহান --। প্রজেক্টটা আমি প্রায় একাই করেছি--। অন্য কেউ উনাদের ক্লিয়ার করে প্রেজেন্ট করতেই পারবে না---। বাদ দাও--।

-স্যার?

-বাদ দাও---। মন খারাপ করো না দিহান--। অন্য কোন কোম্পানিতে ট্রাই করবো পরে--। 

রাহাত এতোটা অন্যমনস্ক হয়ে কথা বলছিল বলে যে পিছনে আরেকজনের উপস্থিতি টেরই পায় নি। তাই পেছন থেকে মোবাইলটা কেউ টেনে নিতেই রাহাত চমকে উঠে পিছনে তাকালো। মায়াকে দেখে অবাক হয়ে গেল। মায়া মোবাইলটা কানে লাগালো।

-মায়া?

-হ্যালো? আসসালামু আলাইকুম। দিহান সাহেব আপনি টিকেট বুক করুন--। উনি যাবেন---।

-আসসালামু আলাইকুম ম্যাম--।

-ওয়ালাইকুম আসসালাম।

মায়া কল কেটে মোবাইলটা রাহাতের হাতে ধরিয়ে দিয়ে রুমে চলে গেল। রাহাতও মায়ার পিছন পিছন রুমে এসে মায়াকে টেনে ধরে খাটে বসিয়ে দিয়ে নিজে মায়ার সামনে ফ্লোরে বসে হাত ধরলো মায়ার।

-পাগল হলে? আমার যাওয়া পসিবল না আজকে--।

-কেন? এটা তো তোমার ড্রিম প্রজেক্ট--? এতোগুলো দিন তুমি এই প্রজেক্টে কাজ করার জন্য ওয়েট করেছ রাহাত--। সব ছেড়ে ছুঁড়ে দিয়ে---।

-মায়া? কেন বুঝতে পারছ না?

-কি সমস্যা বলো আমাকে! বুঝাও শুনি---।

-মায়া--। মিনিমাম তিনদিনের কাজ ওখানে---। এখন কিছুতেই--।

-রাহাত? ভাইয়ার বিয়েতে তুমি না থাকলে হয়তো আমার মনটা খারাপ হবে একটু--। কিন্তু তুমি তোমার ড্রিম প্রজেক্টটা নিয়ে কাজ করতে পারলে সবচেয়ে বেশি খুশি হব আমি---।

-মায়া?

-প্লিজ? না করো না---?

-------------------------------

-তুমি না ফিরা পর্যন্ত সত্যি কোথাও যাব না---। প্রমিস---।

-মানে! ফিরলে কোথায় যাবে?

-উফফফফ--। বললাম তো ভয় নেই-। কাজটা কমপ্লিট করে এসে আমাকে দেখতে পাবে-। চিন্তা করো না।

-ভয় করছে মায়া। তোমার থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও দূর হতে মন টানছে না। মনে হচ্ছে আবার যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি----!

-এতো ভেব না প্লিজ? আমি আছি তো---। তুমি কাজ সেরে জলদি চলে এসো----।

-হুম----।

-এখন যাও--। প্যাকিং করা লাগবে না? বাড়ি যাও----।

-আরে ধুর-----। এতো প্যাকিং করা লাগে? চট্টগ্রামে বহু শপিং মল আছে--। ওখান থেকে কিনে নেয়া যাবে----।

-তোমার ফাইল-প্রেজেন্টেশন--। এগুলো নিশ্চয়ই কিনতে পাওয়া যাবে না--। বাসায় যেতেই হবে--। তাই না?

-তুমি তো যাবে না। আমি গিয়ে কি করবো বলো?

------------------------------

-তোমার এই চুপটি করে থাকা বড্ড বেশি জ্বালাচ্ছে আমাকে মায়াবতী--। যত ইচ্ছে বকো। ঝগড়া করো-। তবুও প্লিজ কথা বলো?

-ফিরে এসো তাড়াতাড়ি--। আমি অপেক্ষা করবো তোমার ফিরার--।

রাহাত, দিহান আর লিজা তিনজনের একটা টিম করে চট্টগ্রামে গেল। মিটিং প্রেজেন্টেশনের কাজ শেষ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে এলো রাহাত। এতো তাড়াহুড়ো করেও রাহাতের কাজ শেষ হতে হতে আর ফিরতে ফিরতে বিয়ের দিন সন্ধ্যা হয়ে গেল। বিয়ের ভ্যেনুতে এসেই থমকে দাঁড়িয়ে গেল রাহাত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন