১৯!!
মেহেরের সাথে কথা বলে কখন ঘুমিয়ে গেছে মাইশা টেরই পায় নি। মোবাইলের রিংটোনে ঘুমটা একেবারে না কাটলেও একটু সজাগ হল। আর কারো কল করার কথা না। ধ্রুবর কলই হবে। তাই চোখ না খুলেই কলটা রিসিভ করে ফোনটা কানের উপর ধরল মাইশা।
-হ্যালো-----?
------------------------------
-হ্যালো? কি হল? কথা বলেন না কেন?
-খুব খুশিতে আছো তাই না মাইশু? এখন আর আমার কথা একটুও মনে পড়ে না তোমার?
কণ্ঠস্বরটা শুনেই মাইশার চোখের ঘুমটা কেটে গেল। মোবাইলে নাম্বারটা দেখল। নাহ-ধ্রুব কল করে নি। এটা রাতুলের কণ্ঠ- রাতুলের নাম্বার। এতোদিন পরে কি মনে করে কল করেছে?
-কি ভেবেছিল? ওই চিনিমাখা টাইপের ছেলেটাকে নিয়ে সুখে থাকবে আর আমি জানতেই পারব না?
-আপনার জানা না জানা দিয়ে আমার কিছু যায় আসে না--। কল কেন করেছেন?
-আমাকে ঠকিয়ে কতো সুখে আছো সেটা দেখতে কল দিলাম---। অনেক সুখেই আছো দেখছি--।
-ঠকিয়েছি! আমি? আপনাকে! সিরিয়াসলি?
-ইয়েস সিরিয়াসলি। এখন তোমার সেটা মনেও থাকবে না মিস মাইশা তাসনুভা। ওপস। সরি৷ মিসেস মাইশা ধ্রুব আহমেদ। কোনটা বলবো আপনাকে?
-----------------------------
-কি হলো? চুপ হয়ে গেলে কেন? জাস্ট টক টু মি। আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো আমার চাই মাইশা। কি পেলে তুমি আমাকে ঠকিয়ে! আর দশটা লাভ স্টোরির মতো রুম ডেইট করা রিলেশন তো ছিল না আামদের। পাঁচটা বছর আমার সমস্ত পাগলামিই তো সহ্য করেছ মাইশু। তবে আজ এই ছোট্ট একটা ব্যাপার কেন তুমি মানতে পারছো না?
-ছোট্ট পাগলামি কোনটাকে বলে জানেন আপনি? আমি আপনাকে ভালোবাসি বলে কেন আমার পরিবারকে দশ লাখ টাকা গচ্ছা দিতে হবে! নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে বলে বারবার কথা শুনতে হবে আপনার বাবার কাছে! কেন উপহারের নাম করে আপনার বাবা আমার পরিবারকে তাদের সামর্থ্য, তাদের দারিদ্রটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে? আপনি সেটাকে সোশাল ট্রেন্ড বলে মানিয়ে নিতে বললেই সেটা আমাকে মুখ বুজেই বা কেন মেনে নিতে হবে!
-আমি তো বলছি মাইশা---। টাকাটা আমি তোমার বাবাকে দিয়ে দিব--। দ্যাট ইজ এজ ইজি এজ দ্যাট---। তুমি ব্যাপারটা নিয়ে বেশিই----।
-হ্যাঁ বেশিই করছি আমি--। আজ যদি আপনি বলতেন যে টাকা দেয়ার ব্যাপারটা নিয়ে আপনি আপনার বাবার সাথে কথা বলবেন তাও কথা ছিল। তা না। আপনি চাইছেন আপনার দেয়া টাকাটা আমার বাবা নিজের নাম করে দিক-আর আজীবন আপনি বলবেন যে-সামান্য দশ লাখ টাকা দেয়ার যোগ্যতা তোমার পরিবারের নেই--। তাই না?
-তা নয়---। মাইশা। কেন বুঝতে পারছো না? তোমাকে চাই আমার--যে কোন মূল্যে চাই--।
-বুঝতে পারছি আমি। এটাও বুঝতে পারছি-আজ এই টাকাটা পেলে কাল আপনার বাবার চাহিদা আরো বাড়বে--। তখন সেই টাকাটার জোগান কে দেবে? আপনি? নিজের বাবার থেকে টাকা নিয়ে তাকেই দিতে লজ্জা করবে না একটুও? একটু ঘৃণা হবে না নিজের উপরে?
-মাইশা এতো কিছুর সবই তোমার মন গড়া কাহিনী--৷ এসবের কিছুই হবে না--। মেইন কথা হল তুমি আমার সাথে থাকতেই চাচ্ছো না--।
-হ্যাঁ চাচ্ছি না। আর কিছু?
-কেন? তোমার পেয়ারের ধ্রুব অপেক্ষা করছে?
-করলেই বা! আপনার তাতে কি এসে যায়?
-মাঝে মাঝে মন হয় বুঝসো--। ছেলেটার সাথে আগেই একটা যোগাযোগ ছিল তোমাদের--। আমার পরিবারকে হাত করতে না পেরে শেষে ওকেই জালে আটকালে---। সত্যিই কি তাই?
-মুখ সামলে কথা বলুন---।
-হা হা হা--। তুমি যা ইচ্ছা করতে পারবা-আর আমি মুখ সামলে কথা বলতাম! আজব দুনিয়া! হাসালে মাইশা---। তা কতোদিন ধরে চলছে? কি যেন নাম? ও হ্যাঁ ধ্রুব! ধ্রুবর সাথে কতদিন ধরে চলছে এসব তোমার? আমাকে মানা করে এক সপ্তাহের মধ্যেই একদম সব ঠিকঠাক করে ফেললা?
------------------------------
-অবশ্য লাস্ট তিন বছর ধরেই তো দেখছিলাম! তখন তো এতোটা ভাবতে পারি নি---। ভেবেছিলাম পরীটাকে দেখে আমার মতো সে ও হয়তো------। বাহ--। তবে ছেলেটার ফ্যামেলিটাও খারাপ না--। ছোট পরিবার। বাবা মা চাকরি করে। বোনেরও বিয়ে থা হয়ে যাবে--। তারপর তো তোমারই রাজত্ব-কি বলো?
-সবাইকে নিজের মতো এতোটাও নিচ ভাববেন না---।
-হা হা হা---। নিচই বটে আমি! তোমার মতো মেয়েকে ভালোবেসে নিচই হলাম না হয়--। তাও তো পেলাম না তোমাকে বলো! আচ্ছা তোমরা মেয়েরা এতো স্বার্থপর কেন বলো তো? ভালোবাসা শব্দটা সহ্য হয় না তোমাদের? কেউ পাগলের মতো ভালোবাসলে সেটার দাম দিতে শিখো নি তোমরা?
-এই কথাটা আপনাদের প্রত্যেকটা ছেলে জন্মের পরপরই শিখে ফেলেন না? হ্যাঁ আমি স্বার্থপর। বাবা-মায়ের শেষ জীবনের সম্বলটা কেড়ে নিয়ে সুখী হই নি বলে যদি আমাকে আপনার স্বার্থপর মনে হয় তবে আমি সত্যিই স্বার্থপর। কারো অন্যায় আবদার-অন্যায় প্রথা মানি নি বলে আমাকে স্বার্থপর বলতেই পারেন। সব ছেড়েছুড়ে এমন একজনের হাত ধরে বেরিয়ে যাই নি যার কাছে মনে হবে আমার বা আমার পরিবারের কোন যোগ্যতাই নেই। কাজটা অাপনার কাছে স্বার্থপরতা মনে হলেও আমার কাছে যথেষ্ট সম্মানের--।
-বুকিশ টাইপের তর্কগুলো করে গলাবাজি করবা না মাইশা। সমস্যা হল তোমরা মেয়েরা আসলেই বিশাল মেলোড্রামা করতে পারো। সব ব্যাপারে তোমাদের যুক্তি সবসময়ই রেডি থাকে---। নিজেদেরকে এক একটা বিশাল যুক্তিবিদ মনে করো? কেউ পাগলের মতো ভালোবেসে পাশে থাকতে চাইলেও দোষ? আমাকে একটা কথা বলো-এতো কিছুর মধ্যে আমার দোষটা কোথায় মাইশা? আমি কি করবো? পাঁচটা বছর তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি--। ছোট বড় রঙিন স্বপ্ন--। তুমি তো তোমার ধ্রুবকে নিয়ে ভালো থাকবে। আমি কি করবো? কেন করলে তুমি এমন? একটা স্যাক্রিফাইস কি করা যেত না মাইশু? অন্তত আমার কথাটা ভেবে----?
-না যেত না৷ আপনার কি দোষ জানেন না? আপনি এখনো অন্যায় ব্যাপারটা সাপোর্ট করে গান গাইছেন। আমি অন্যায়টা মানবোও না। সহ্যও করব না। আর হ্যাঁ আপনার পথটা আপনি বেছে নিয়েছেন আর আমারটা আমি--। দয়া করে আর অহেতুক কল করবেন না। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন--।
-মাইশা? একটা কথা মনে রাখবা মাইশু। আমি ভালো না থাকলে তুমিও ভালো থাকতে পারবে না৷ আর তোমার ওই চিনিমাখা ধ্রুবর সাথে তো নয়ই--৷ কেউ পাগলের মতো ভালোবাসলে তাকে ঠকাতে হয় না-কথাটা সবসময় মনে রাখবা। খুব শীঘ্রিই দেখা হচ্ছে পরী----। মনে রেখো---।
কলটা কেটে দিতেই মাইশার চোখ দুটো ভিজে গেল। সেও তো পাগলের মতো ভালোবেসেছিল! তাকে কি ঠকানো হয় নি! চোখ মুছে মোবাইলটা আবার হাতে নিল মাইশা। রাতুলের সাথে কথা বলার সময় মোবাইলটা ভাইব্রেশন হচ্ছিল। এখন দেখল কয়েকটা কল এসেছে। কললিস্টে ধ্রুবর নাম। বড় করে শ্বাস নিয়ে ধ্রুবর নাম্বারে কল করলো।
-হ্যালো?
-মাইশা?
-হুম---। সরি কল এসেছিল।
-কে কল করেছিল?
-আসলে------।
-থাক বলতে হবে না৷ এতো রাত হলো ঘুমাও নি কেন? আজ তো পরীক্ষাটা শেষ হল--। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর কথা না?
-না আসলে--। ঘুমিয়েছিলাম-। কল আসায় ঘুম ভেঙে গেছে--।
-ওহ---। এখন ঘুমাও---?
-হুম----।
-মেঘপরী? কালকে সকালে আসতে পারব না----। কালকের দিনটা রেস্ট করো কেমন?
-কেন?
-আসবো না কেন? নাকি রেস্ট করবা কেন?
-আসবেন না কেন?
-শরীরটা ভালো নেই---।
-কি হয়েছে? আর আপনার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন?
-কিছু না মেঘপরী---। টায়ার্ড একটু--।অফিসে অনেক কাজ ছিল তো আজকে---।
-ওওওও--। ঘুমিয়ে পড়ুন তাহলে?
-হুম---। তুমিও ঘুমাও---।
-আচ্ছা---। বায়--। গুড নাইট--।
-বায়---।
দুদিকে দুটো মানুষের একটা নির্ঘুম রাত কাটলো। দুজনের কেউই জানতে পারলো না ব্যাপারটা।
২০!!
সারা রাত না ঘুমানোয় বেশ বেলা করেই মাইশার ঘুম ভাঙল। দিনটা অন্যরকম কাটছে মাইশার৷ সারাদিনে এটা ওটা করে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করলো ও। কিছুতেই মন বসছে না। ধ্রুবর কোন খবর নেই সকাল থেকেই। মাইশা কলও করেছে। ব্যস্ত আছে বলেই কলটা কেটে দিয়েছে। সেটাও সেই কোন সকালের কাহিনী। এখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে এই লোকের খবরই নেই কোন। মেজাজটাই খারাপ হচ্ছে মাইশার। লোকটার কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছে না বেচারি।
পাঁচটার দিকে মেহেরের কল এল মাইশার নাম্বারে। কল রিসিভ করতেই ফোঁপানোর শব্দ শুনে মাইশা আঁতকে উঠলো। মেহের কাঁদছে কেন?
-এই মনি? কি হয়েছে? মেহের? কাঁদছ কেন?
-ভাবি----?
-কাঁদে না বাবু প্লিজ---। আমাকে বলো না কি হয়েছে? কাঁদছ কেন?
-ভাইয়া-----।
-ধ্রুবর কি হয়েছে?
-ভাইয়া একটু আগে বাসায় ফিরেছে। তোমার কথা জিজ্ঞেস করতেই ও বলেছে তোমাকে যেন আর ভাবি না ডাকি---। এ্যাঁ---এ্যাঁ।------।
-সেকি? কে-কেন?
-বেয়াদ্দপ ছেলেটা বলেছে যে থাকবে না তার জন্য মায়া না বাড়াতে----। তুমি থাকবে না কেন গো ভাবি?--------।
-কাঁদে না মেহেরমনি---। ভাবি থাকব না কেন বলো? তোমার ভাইয়া বললেই হলো নাকি?
-------------এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ---।
-আচ্ছা কাঁদে না মনি--। তোমার ভাইয়া কই?
-ফাজিল ব্যাটা আসছে একটু আগে। এখন না খেয়ে রুমে কি করে কে জানে----। হুহ---।
-রাগ করে না বাবু--। আর কাঁদে না--। ভাবির একটা কাজ করতে পারবা?
-বলো---। এই ফাজিল ব্যাটার কাজ ছাড়া যা বলবা করবো--।
-ভাবি এখন তোমাদের বাসায় আসি? তোমার ভাইয়াকে বলো না কেমন?
-সত্যি আসবা ভাবি? ওই বদ ছেলেরে আমি এমনিতেও বলবো না।
-ওরে বাবুটা--। এখনো রাগ করে আছো?
-হুম---। অন্নেক--। এই ভাবি--। তাড়াতাড়ি রেডি হও--। আমি ড্রাইভার আঙ্কেলকে পাঠাচ্ছি---।
-না বাবু--। আমি রিকশা নিয়ে চলে আসতে পারব----।
-না না না--। আমি এক্ষুণি আঙ্কেলকে পাঠাচ্ছি---। তুমি জলদী জলদী রেডি হও---। এসে ভাইয়ার কান মলা দিয়ে যাও--। পচা লোক একটা---।
-হা হা ----। বাচ্চা একটা--। আচ্ছা আসছি আমি। তুমি কান্না করো না আর। ওকে? কাঁদলে আসবো না--।
-না না। আমি কাঁদছি না তো মিষ্টি ভাবিটা-।
মেহেরের কান্না থামাতে দুষ্টুমি করলেও মনের ভিতরে খচখচ করছে মাইশার। মানুষটা সারাদিন কোথায় ছিল? আর এমন কেন বললো যে থাকবে না তার জন্য মায়া না বাড়াতে? মাইশা থাকবে না মানে কি? ধ্রুবকে এটার জবাব তো দিতেই হবে।
ধ্রুবদের বাসায় আসতে বেশিক্ষণ লাগে নি। তাওহীদ, সাহেবা আর মেহেরের সাথে কথা বলে ধ্রুবর রুমে আসলো মাইশা। খাটে বসে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে হেলান দিয়েই ঘুমিয়ে গেছে ধ্রুব। অনেক ক্লান্ত দেখাচ্ছে ধ্রুবকে। হাতে কিছু একটা ধরা। চোখ মুখ ভাসা ভাসা হয়ে আছে। মানুষটার কি এমন হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছে না মাইশা। বালিশটা ঠিক করে ধীরে ধীরে ধ্রুবকে শুইয়ে দিল মাইশা। ঘুমের ঘোরেই কিছু একটা বলছে মানুষটা। কথাগুলো শুনলেও ভালো মতো বুঝতে পারছে না মাইশা।
-কেন এসেছ? আমি ভালো থাকব। তুমি তোমার মতো ভালো থাকো--। খুশি থাকো--। আমি একটুও আটকাবো না তোমাকে------।
মাইশা আলতো করে ধ্রুবর মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। কি বলছে মানুষটা? ধ্রুবর চুলে আলতো করে হাত বুলাচ্ছে আর দেখছে মাইশা। চিন্তায় হোক বা অন্য কোন কারণে ধ্রুবর খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি গজানো মুখটায় ক্লান্তির ছাপ পড়েছে। তবুও তাকে দেখতে অসম্ভব রকমের ভালো লাগছে মাইশার। এমন কেন হচ্ছে কে জানে? ধ্রুবর চুলগুলোও একটু বড় হয়েছে। বাতাসে এলোমেলো হয়ে উড়ছে। মাইশা চুলগুলো আলতো করে আরো এলোমেলো করে দিয়ে মুখ টিপে হাসছে। মানুষটার ঘুম ভাঙলে মাইশাকে দেখে সেদিনের মতো নিশ্চিত ভ্যাবাচ্যাঁকা খেয়ে যাবে। সেদিনের কথাটা চিন্তা করতেই মাইশা নিজেই লজ্জা পেল। ধ্রুবর মুখের দিকে তাকিয়েও লজ্জা পেল।
ধ্রুবর মুখের থেকে চোখ সরাতেই হাতে নজর পড়লো মাইশার। কিছু একটা ধরে আছে ধ্রুব। দু হাতে জাপটে ধরে থাকা যাকে বলে-সেরকম করে ধরা। ভ্রু কুঁচকে ধ্রুবর হাত থেকে জিনিসটা নিল মাইশা। দেখামাত্রই মনে হল কয়েকটা হার্ট বিট মিস হয়েছে ওর। বেশ অনেকগুলো ফটোগ্রাফ! এগুলো ধ্রুব পেল কোথায়? ভাবতেই মাইশার মনে হল দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাহলে কি রাতুল কোন প্যাঁচ কষেছে? ধ্রুব তো রাতুলকে চিনে--। তবে কি রাতুল ধ্রুবকে উল্টাপাল্টা কিছু বুঝিয়েছে? ধ্রুব কি বিশ্বাস করেছে সেগুলো? এখন ওর কি করার আছে? আধৌ কি কিছু করার আছে ওর?