বন্ধন - পর্ব ০৫ - সুলতানা পারভীন - ধারাবাহিক গল্প


০৯!! 

আয়ান বার বার করে মায়রাদের বাসার গেইটের দিকে তাকাচ্ছে। আর একটু পর পর ঘড়ি দেখছে৷ বাবার গাড়িটা সেই কখন রওনা হয়ে গেছে। আর এদিকে এই মেয়েটার খবরই নেই। এতো কেন দেরি করছে মেয়েটা আজ! এসব চিন্তা করতে করতেই আবার বাসাটার দিকে তাকাতেই চোখ আটকে গেল আয়ানের। মায়রাকে দেখে জাস্ট চোখ ফেরাতে পারছে না। সিম্পল সুতার কাজ করা একটা পেস্ট কালারের জামা পড়নে মায়রার। আর দু হাতে ম্যাচিং করে চুড়ি আর চোখে কালো কাজলের ছোঁয়া, চুল জাস্ট পাফ করে একটা ক্লিপে আটকানো। একেবারে সাদামাটা আনকোরা মুখটা। তবুও কি অপূর্ব লাগছে সেটা আয়ান হয়তো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। মেয়েটার আনকোরা, এতো সাদামাটা রূপটাই যেন একেবারে আয়ানের অন্তরের অন্তঃস্থলে খচিত হয়ে যাচ্ছে।

আয়ানের এমন অপলকে তাকানো দেখে মায়রার একটু লজ্জা লজ্জাই লাগছে। ঠিক একটু না অনেকটুকুই। গাড়িতে লোকটার ছোট বোন আছে, মায়রার বড় ভাই আছে-এই কথাটা ভুলেই কি লোকটা এভাবে থমকে তাকিয়ে আছে! এতো ঘোর লাগা দৃষ্টি কেন তার! মায়রা অবশ্য আজ ইচ্ছে করেই এমন সাদামাটা হয়ে এসেছে। আসলেই তো ও এতো সাজেও না, আর বিয়ের পর হয়তো আরো সাদামাটা হয়েই চলবে। তখন মানুষটার ওর উপর থেকে মন উঠে গেলে কি করবে ও! যার যাওয়ার সে নাহয় আগেভাগেই চলে যাক। যত দিন যাবে মানুষটার অস্তিত্ব ততটা গভীর হবে ওর মনে। তখন তো মানুষটা ছেড়ে গেলে বাঁচতেই পারবে না মায়রা। এসব ভেবেই মায়রার আজকের এই সাদামাটা সাজ। তবুও আয়ান জাস্ট হা করে মায়রাকে দেখতে লাগলো।

-হ্যালো লাভ বার্ডস? আপনাদের দেখাদেখি শেষ হলে আমরা রওনা হতাম-। ওদিকে সবাই পৌঁছে গেলে টেনশন করবে আমাদের জন্য--।

-হুম?

-ভাইয়া?

তিথির ডাকে আয়ান চমকে উঠলো।  আর সেটা দেখে মায়রা, তিথি, তিয়াশ তিনজনেই হেসে ফেললো। আয়ান মায়রার হাসিটা দেখে আরেকবার মুগ্ধ হলো। নির্মল, পবিত্র একটা হাসি। কোন ধরনের খাদ নেই হাসিতে। নেই কোন লৌকিকতার বালাই। মন থেকে হাসা বুঝি একেই বলে। 

মায়রা গাড়ির সামনে আসতেই আয়ান নিজের পাশের সিটের দরজা খুলে দিলো। মায়রা লাজুক হেসে আয়ানের পাশে এসে বসলো। আর আয়ানও গাড়ি স্টার্ট দিলো। মায়রা আয়ানের দিকে মুখ করে বাঁকা হয়ে বসে পিছনে তিথির সাথে এটা ওটা নিয়ে কথা বলছে। আর তিয়াশ আর আয়ান বেচারা চুপ মেরে বসে আছে। দু-আড়াই ঘন্টার জার্নি করতে হবে ওদের বাগান বাড়িতে যেতে হলে। এতোটা রাস্তা এমন করে গুম মেরে বসে থাকলে হবে কি করে! অবশ্য এভাবে গুম হয়ে বসে থাকতেও আয়ানের বেশ লাগছে। মায়রা আর তিথি কথা বলছে। আর মায়রা লাজুক হাসছে একটু পর পর। আর আয়ান পাশে তাকাতেই চোখাচোখি হয়ে যাচ্ছে দুজনের।
 

-এই যে আপনারা দুজন---। ওয়েট।

-জি বেয়াই সাহেব----।

-আপনারা দুজন বকবক করবেন আর আমরা দুজন মূর্তি হয়ে বসে থাকবো সেটা কেমন দেখাচ্ছে না?

-আপনাদেরকে কি কেউ বোবা হয়ে বসে থাকতে বলেছে! কথা বলুন--।

-কথা? কি বলবো ম্যাডাম? আপনার গলা তো মাশাল্লাহ! আমাদের দুজনের কণ্ঠ তো শোনাই যাবে না-------।

-ওই কি বললেন আপনি?

- যা শুনলেন তাই বললাম---। এখন বকবক না করে একটা গেমস খেলা যাক। তাহলে আমাদের দুজন বেচারারও বোরররর ফিল হবে না-। ওকে?

-কি খেলবেন? কাবাডি?

-আচ্ছা আপনার মতো পিচ্চিকে কলেজে এডমিট কে করেছে বলুন তো!

-মানে!

-গাড়িতে বসে কেউ কাবাডি খেলে?

আয়ান তিয়াশ আর তিথির কথা শুনে এবার জোরেই হেসে ফেললো। মায়রাও মুচকি হেসে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। 

-ভাইয়া? মজা লাগতেসে তোর না? এতো হাসিস কেন?

-এই প্রথম আমাদের তিথুমনিকে কেউ জব্দ করলো। ওয়েল ডান তিয়াশ ভাইয়া---।

-হুহ---। এতো বুদ্ধি থাকলে বলুক না কি গেমস খেলবে।

-সবারই কম বেশি গান গাওয়ার অভ্যাস আছে নিশ্চয়ই? আমরা ছেলে মেয়ে দুটো টিম করে গানের কলি খেলতে পারি---।

-হুহ---। খেলবো না আমি--।

-হা হা---। খেলার আগেই জিতে গেলাম আয়ান ভাইয়া---। অবশ্য বেয়ান সাহেবা আপনার টিমে এতো ভালো একজন গায়িকা থাকতেও হারতে হলো। সো স্যাড!

-মানে! ভাবি গান পারে? ওয়াও!

-হুম--। ওর গানের গলা অসম্ভব ভালো----।

তিয়াশ কথাটা শেষ করার আগেই মায়রা চোখ বড় বড় করে তিয়াশের দিকে তাকালো।

-ভাইয়া? কি বলো এসব?

-ঠিকই বলি--। কি বেয়ান এখন খেলবেন?

-অবশ্যই--। ভাবির গান মিস করার প্রশ্নই আসে না। প্লিজ প্লিজ প্লিজ ভাবি? একটা গান শোনাও।

মায়রা একবার আয়ানের দিকে তাকাতেই চোখাচোখি হয়ে গেল। আয়ানও হাসি মুখে মায়রার দিকে তাকলো। মায়রা মুখ নিচু করে নিয়ে হালকা গলায় গানটা শুরু করলো।

-"মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না।
অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে হারাই-হারাই সদা ভয় হয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে
আশ না মিটিতে হারাইয়া-পলক না পড়িতে হারাইয়া-
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে।
কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে....."

১০!! 

মায়রার গান শেষ হতেই তিথি জোরে জোরে হাত তালি দিয়ে উঠলো। আয়ানও অবাক হয়ে গেল মায়রার মিষ্টি কণ্ঠ শুনে। আয়ানের দিকে চোখাচোখি হতেই মায়রা একটু লাজুক হাসলো। মানুষটার মুখ দেখেই ও বুঝতে পারছে গানটা তার কতোটা পছন্দ হয়েছে। তিয়াশও হেসে ফেললো তিথির অবস্থা দেখে। মেয়েটা এতো বাচ্চা কেন কে জানে! কেন জানি এই বাচ্চাটার হাসিমুখটা একেবারে বুকে গিয়ে লাগছে তিয়াশের। নিজের মনকে অন্যদিকে ডাইভার্টও করতে পারছে না বেচারা। 

-ওয়াও! ভাবিইইই! তুমি কি সুইট করে গান করো-৷ এই ভাইয়া এবার তো তোর কম্পিটিটর চলে এসেছে--৷ হি হি।

-তিথি?

-হুম হুম--। তাড়াতাড়ি গান ধর। আঁখিতে--। ত দিয়ে গান কর। আমি কিন্তু কাউন্টডাউন শুরু করছি। এক, দুইইই, তিইইইন, চাআআআর---।

আয়ান হেসে একবার মায়রার দিকে তাকালো। তারপর হালকা গলায় গান ধরলো।

-"Tu Hi Haqeeaqat
Khawwb Tu
Dariya Tu Hi
Pyaas Tu
Tu Hi Dil Ke Beqarari
Tu Sukun Tu Sukun

Jau Mein Ab Jab Jis Jagah
Pau Mein Tujhko
Us Jagah
Saath Ho Ke Na Hoon
Tu Hai Roobaru Roobaru
Tu Humsafar
Tu Humkadam
Tu Hamnava Mera
Tu Humsafar
Tu Humkadam
Tu Hamnava Mera

Aa Tujhe In Bahon Mein Bharke
Aur Bhi Kar Loon Main Kareeb
Tu Juda Ho To Lage Hai
Aata Jata Har Pal Ajeeb

Is Jahan Mein Hai Aur Na Hoga
Mujhsa Koi Bhi Kushnaseeb
Tune Mujhko Dil Diya Hai
Mein Hoon Tere Sabse Kareeb
Mein Hi To Tere Dil Main Hoon
Mein Hi To Saason Mein Basu
Tere Dil Ki Dhadkano Mein
Mein Hi Hoon Mein Hi Hoon

Tu Humsafar
Tu Humkadam
Tu Hamnava Mera
Tu Humsafar
Tu Humkadam
Tu Hamnava Mera

Kab Bhala Ab Yeh Waqt Guzre
Kuch Pata Chalta Hi Nahi
Jab Se Mujhko Tu Mila Hai
Hosh Kuch Bhi Apna Nahi

Uff Yeh Teri Palkein Ghani Si
Chav In Ki Hai Dilnasheen

Abb Kise Dar Dhoop Ka Hai
Kyun Ki Hai Yeh Mujhpe Beechi

Tere Bina Na Saans Loo
Tere Bina Na Main Jeu
Tere Bina Na Ek Pal Bhi
Reh Saku Re Saku

Tu Hi Haqeeaqat
Khawwb Tu
Dariya Tu Hi
Pyaas Tu
Tu Hi Dil Ke Beqarari
Tu Sukun Tu Sukun
Tu Humsafar
Tu Humkadam
Tu Hamnava Mera
Tu Humsafar
Tu Humkadam..."

আয়ান ড্রাইভিং করতে করতে মায়রার দিকে একটু পর পর তাকাচ্ছে। আর গানটা গাইছে। কি কারণে কে জানে মায়রার ভিষণ লজ্জা লাগছে। লোকটা কি করে!

-উহু--। ম্যাডাম---। এবার আপনার টার্ন---। ম দিয়ে শুরু করুন-----।

-আমি! আমি গান? 

তিথি ঢোক গিলে তিয়াশের দিকে তাকালো। এই জন্যই গান খেলাটা খেলতেই চাইছিলো না তিথি। গান টান শোনার সময় কোথায় ওর! যা দু একটা শুনেছে তার কোনটা ম দিয়ে শুরু হয়। ধুর ছাই! মনেও পড়ছে না। তিয়াশও তিথির পাংশু মুখটা দেখে কাউন্টডাউন শুরু না করে চুপ করে বসে আছে। পিচ্চিটার মুখটা একেবারে ছোট্ট হয়ে গেছে। ব্যাপারটা কেন জানি একেবারে বুকের ভিতরে হুল হয়ে বিঁধছে তিয়াশের। এমন হওয়া উচিত নয় হয়তো। তবু এই ফিলিংসটা তিয়াশ কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারছে না। এর মধ্যেই তিথির চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখা দিল। আর প্রায় সাথে সাথেই তিথি বাচ্চাদের মতো হাততালি দিলো।

-পেয়েছি পেয়েছি---। ইয়েএএ--।

-কি পেয়েছেন?

-আরে গান গান--। শুনাই--।

-ওকে----।

_"Mile ho tum humko
Bade naseebon se
Churaya hai maine
Kismat ki lakeeron se

Teri mohabbat se saanse mili hai
Sada rehna dil mein kareeb hoke

Mile ho tum humko
Bade naseebon se
Churaya hai maine
Kismat ki lakeeron se

Teri chahaton mein kitna tadpe hain
Sawan bhi kitne tujh bin barse hain
Zindagi meri sari jo bhi kami thi
Tere aa jaane se ab nahi rahi

Sada hi rehna tum
Mere kareeb ho ke
Churaya hai maine
Kismat ki lakeeron se

Baahon mein teri ab yaara jannat hai
Maangi khuda se tu wo mannat hai
Teri wafa ka sahara mila hai
Teri hi wajah se ab main zinda hoon

Teri mohabbat se
Zara ameer hoke
Churaya hai maine
Kismat ki lakeero se

Mile ho tum humko
Bade naseebon se
Churaya hai maine
Kismat ki lakeeron se

Teri mohabbat se saanse mili hai
Sada rehna dil mein kareeb hoke....."

এক পলক তিথির দিকে তাকিয়ে ক দিয়ে গান ধরলো তিয়াশ৷ 

-"Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kya Jaan Loge Hamari Sanam
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kya Jaan Loge Hamari Sanam
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kya Jaan Loge Hamari Sanam
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Hamare Dil Ki Tum Thodi Si Kadar Kar Lo
Ham Tumpe Marte Hain Thodisi Fikar Kar Lo
Fikar Kar Lo
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kya Jaan Loge Hamari Sanam
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham

Tune O Jaana Deewana Kiya Hain
Deewana Kiya Is Kadar
Deewana Kiya Is Kadar
Chahat Mein Teri Bhulaya Jahaan Ko
Na Dil Ko Kisiki Khabar
Na Dil Ko Kisiki Khabar
Rago Mein Mohabbat Ka Ehsaas Jara Bhar Lo
Ham Tumpe Marte Hain Thodisi Fikar Kar Lo
Fikar Kar Lo
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kya Jaan Loge Hamari Sanam
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham

Tumse Hain Saansein Tumse Hain Dhadkan
Tumhise Hain Deewangi
Tumhise Hain Deewangi
Rab Ne Hame Di Hain Tumhare Liye Zindagi
Tumhare Liye Zindagi
Wada Sang Jeene Ka Tum Jaane Jigar Kar Lo
Ham Tumpe Marte Hain Thodisi Fikar Kar Lo
Fikar Kar Lo
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham
Kya Jaan Loge Hamari Sanam
Kyon Ki Itna Pyar Tumko Karte Hain Ham."

চারজনে গানের আড্ডা দিতে দিতে আয়ানদের বাগান বাড়িতে এসে পৌঁছালো। জায়গাটা দেখেই মায়রার ভিষণ পছন্দ হলো। বিশাল একটা বাড়ি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল একটা বাগানের  একেবারে মাঝামাঝিতে৷ বাগান বললে হয়তো ভুল বলা হবে। বন বলা যায় জায়গাটাকে। চারদিকে কতো নাম না জানা ফল আর ফুলের গাছ। বাগানটার কারণেই যেন বিশাল এই প্রাসাদের মতো বাড়িটার বিশেষত্ব বেড়ে গেছে কয়েক গুণ৷ মায়রা জাস্ট হা হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে কোন রাজপ্রাসাদে চলে এসেছে ভুল করে। আয়ানও মায়রার অবস্থাটা বুঝতে পারলো। ওর নিজের বুদ্ধি হওয়ার পর যখন বাড়িটায় প্রথমবার এসেছিল, তখন ওর নিজের কাছেও মনে হয়েছে যেন কোন স্বপ্নের দুনিয়ায় চলে এসেছে। তাই মায়রার রিএ্যাকশন দেখে পাশে এসে দাঁড়িয়ে আলতো করে হাতে হাত রাখলো। মায়রা চমকে উঠে পাশে তাকাতেই আয়ানকে দেখতে পেল।

-পছন্দ হয়েছে ম্যাডাম?

-হুম---। ভিষণ---। 

-বাহ! কয়েকদিন তো সময় আছে পুরো বাগানটা একদিনে দেখে শেষ করতে পারবে না। সময় লাগবে।

-কয়েকদিন সময় আছে মানে!

-আমরা তিন দিন থাকছি এখানে ম্যাডাম---। জানো না?

-উহু----।

মায়রার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। তিনটা দিন এখানে থাকবে ওরা কথাটা কেউই একবারের জন্য বলে নি ওকে। নিজের জীবন সম্পর্কে এইটুকু জানার অধিকারটুকুও ওর নেই! কেন! মেয়ে হয়ে জন্মানো কি ওর এতোই বড় অপরাধ! এই প্রথমবার মায়রা বাড়ির বাইরে কোথাও এসেছে বেড়াতে। সেখানেও কেন এমন হতে হচ্ছে! কেন হুট করে সব সুখ এসে ওর পায়ে লুটিয়ে পড়ছে? আবার কেনই বা পাশাপাশি চোখে আঙুল দিয়ে ওর নিজের অসহায়ত্বটা দেখিয়ে দেয় বার বার! কেন? মেয়ে হওয়ার অপরাধটার কি কখনোই ক্ষমা পাবে না ও?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন