আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

প্রিয়তা (পর্ব ১১)


রেষ্টুরেন্টে মুখোমুখি বসে আছে আরশি ও ইফাজ।ইফাজের দৃষ্টি আরশির দিকে।অসস্তি অনুভব হচ্ছে আরশির ইফাজের দৃষ্টি দেখে।কেমন যেন তার নজর! কই আয়াজের দৃষ্টি তো কখনো এমন মনে হয় না।কখনও তো  অস্বস্তি হয় না নায়ক সাহেব তাকালে।বরং লজ্জায় নুয়ে পড়ি আমি।কথাটা ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল আরশি।মাথা উঠিয়ে চোখ রাখল ইফাজের দিকে।আরশি তাকাতেই একটু হাসল ইফাজ।ইফাজের হাসি দেখে আরশির মনে হলো তার গা জ্বলে যাচ্ছে। আর তার নায়ক সাহেবের হাসিতে তার হৃদয়ে বয়ে যায় শীতল সুখের স্রোত।ভাবতেই  ঠোঁট প্রসারিত হয়ে এলো আরশির।কিন্তু কিছু একটা মনে পড়তেই বিষিয়ে উঠল মনটা।ইফাজের দিকে তাকিয়ে বলল,,

--যা বলার তাড়াতাড়ি বলো।আমি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি। ওনি জানেন আমি এখন ক্লাসে।ওনি যদি ঘুণাক্ষরেও টের পান আমি ওনাকে ফাঁকি দিচ্ছি তবে এর পরিণতি কি হবে জানো তো?

---মেরে ফেলবে নাকি রে?(হেসে বলল ইফাজ)

ইফাজের কথায় হাসল আরশি।দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলে উঠল,,

--ওনি মরে যাবেন তবুও কখনও আমায় মারতে পারবেন না ।আমার প্রতি তার ভালোবাসা সত্য। তার লুকায়িত রুপ থাকলেও তার ভালোবাসা সত্য  যা স্বচ্ছ কাঁচের মতো ।এই কয়েক মাসে উপলব্ধি করতে পেরেছি ওনি খুব ভালোবাসেন আমায়।যাতে বিন্দু পরিমাণ ও খাদ নেই। আমি আমার নায়ক সাহেবের ভালোবাসা। ওনার প্রাণের চেয়ে ও প্রিয়-"প্রিয়তা"।❤️

---বাহ!!কি ভালোবাসা!!তুই তোর নায়ক সাহেবের ভালোবাসা চোখে দেখিস। আমার টা দেখিস না?

---তোমার চোখ দেখে কখনও মনেই হয় না তুমি আমায় ভালোবাসো।আমি কেনো তোমার চোখের দৃষ্টি দেখলে কোনো মেয়েরই মনে হবে না তুমি কাউকে ভালোবাসতে পারো।আর ভুলে যেয়ো না ভাইয়া তোমার কীর্তি আমি স্ব চোখে দেখেছি।তোমাদের বাড়িতে আশ্রিতা ছিলাম বলে অসহায় ছিলাম।এখন ভুলেও আমায় দুর্বল ভাবতে যাবে না।পরিণতি খুব খারাপ হবে।

একদম সহজ ভাষায় জবাব দিল আরশি। আরশির ছোট খাটো হুমকিতে  থতমত খেয়ে গেলো ইফাজ।মেয়েটা হঠাৎ -ই কেমন সাহসী হয়ে উঠেছে। প্রিয় মানুষের জন্য কি দুর্বল মানুষটা এমন তেজী হয়ে উঠে?

না এখন দমে গেলে চলবে না।যদি দমে যাই তো আয়াজ আমায় মেরে ফেলতে একটু ও সময় নিবে না।তাই সময় থাকতেই আয়াজের দুর্বলতা ইউজ করেই আয়াজ কে সরিয়ে দিতে হবে।--মনে মনে বলে উঠল ইফাজ।

নিজের পাশে রাখা ব্যাগটা এগিয়ে দিল আরশির দিকে।হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা নিল আরশি।

---এতোই যখন তোর নায়ক সাহেব তোকে ভালোবাসে তবে তার পেছনে  ছুরি  কেন মারছিস?

ইফাজের কথায় মাথা তুলে তাকাল আরশি।চোখে মুখে কঠিন ভাব ফুটিয়ে বলল---এইটা তোমার জানতে হবে না।আর হে মানুষ যতই নিজের কাছের হোক বা দূরের, সেইটা আমার স্বামী হোক বা তুমি জানোয়ারদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। 

আরশির কথায় ঢোক গিলল ইফাজ।এই মেয়েকে সুবিধার লাগছে না তার।কখন কি করে বসে ঠিক নেই। নিজে বাঁচার জন্যই তো এতো কিছু।তাই আরশির হাতে মরতে চাই না সে।যেদিন থেকে আরশি একটা গোপন সত্য জেনেছে কেমন কঠোর হয়ে উঠেছে।

যাক বাবা আমার কি?আমি আমার পথের কাটা সরাতে পারলেই হলো।তারপর এই মেয়েকে ও নিজের করে নিবো।তা এক রাতের হলেও।কথাটা ভেবেই একটা শয়তানি হাসি দিল ইফাজ।আরশি তাকিয়ে আছে তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে।বুঝতে পেরে হেসে বলল,,,

---তুই তো এসব ভয় পাস।চালাবি কি করে?
--তোমার ভাবতে হবে না।আমার টা আমি বুঝব।নায়ক সাহেব আমায় না পেলে চিন্তা করবে।

ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল আরশি।আরশি যেতেই আওয়াজ করে হেসে উঠল ইফাজ।হাসতে হাসতে বলতে লাগল,,,

---জীবনটা তোর কষ্টে ভরপুর রে আয়াজ।বাবা-মা হারালি,,আরোহী কে হারালি এখন আবার নিজের প্রাণ হারাতে যাচ্ছিস নিজের প্রাণ প্রিয় প্রিয়তার হাতে।ওপপসস্,,আরোহী বেবীর কথা মনে পড়ে গেলো।আই মিস ইউ মাই আরোহী বেবী।তোমার আয়াজ প্রাণের বন্ধু তোমার জন্য কিছুই করতে পারল না।সো স্যাডডডড,,,,

---------------------------

ছাদের কার্ণিশে দুহাত গুঁজে দাড়িয়ে আছে আরশি।চোখ দুটো ছলছল তার।জীবনে কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে ভাবে নি সে।যাদেরকে এতো ভালোবাসে তাদের এমন করে হারাতে হবে কল্পনা ও করে নি আরশি।মাথাটা ধরে আসছে তার।আচমকা পিছন থেকে কেউ জরিয়ে ধরে ঘাড়ে মুখ গুজল।হাত দুটোর উপর নিজের দু হাত রাখল আরশি।নিজের পিঠটা এলিয়ে দিল মানুষটার বুকে।প্রশান্তি অনুভব হচ্ছে তার ভীষণ। 

---এখানে কি করছো বউ?তোমায় খুঁজতে খুঁজতে তো আমি হয়রান হয়ে গিয়েছিলাম।

আয়াজের শীতল কন্ঠ শুনে বুকটা ধুক করে উঠল আরশির।

----আপনার কাজ শেষ? মুভি কবে রিলিজ হবে?

--এইতো আর মাস দুয়েক পর।
--ওহ্।
--হুম
---চলুন না আইসক্রিম খেতে যাই,,

---আচ্ছা ঠিক আছে সার্ভেন্ট কে বলে এখনি আনিয়ে নিচ্ছি।

---না। আমি আর আপনি যাবো।এই রাতের বেলায় নিয়ন আলোতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটব। 

---বাহ্!!আমার বউয়ের অনেক প্রেম প্রেম পাচ্ছে।(হেসে)

---ভীষণ। এই নিয়ন আলোতে শহরের গলিতে গলিতে আপনার হাতে হাত রেখে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি আপনাতেই বাঁচতে চাই নায়ক সাহেব।

আরশিকে নিজের বুকে জরিয়ে নিল আয়াজ।আয়াজের বুকে মাথা রেখে মনে মনে বলে উঠল আরশি,,,

---স্বপ্ন হয়ে যাক সব সত্য গুলো যা আপনার আর আমার মাঝে ফাটল ধরাতে আসে।স্বপ্ন হয়ে যাক যেনো স্বপ্ন থেকে জেগে আমি নিজেকে আপনার বুকেই পেতে পারি।হারাতে চাই  না আপনায় আমি,,,আগলে রাখতে চাই নিজের মাঝে।বাঁচতে চাই আপনার সাথে আপনার প্রিয়তা হয়ে।❤️

—————

নিয়ন আলোয় হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাটছে একজোড়া প্রেমিকযুগল।হালকা বাতাসে উড়ছে আরশির খোলা চুল গুলো।কিছু চুল গিয়ে উড়ে পড়ছে আয়াজের মুখের উপর। বেশ উপভোগ করছে আয়াজ সেটা।হঠাৎই থেমে গেল আরশি।নিয়ন লাইটের হলুদ আলো আরশির মুখের উপর এসে পড়ছে।মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আয়াজ।তার কাছে মনে হচ্ছে আরশি এক হলুদিয়া পাখি।যাকে এই মুহূর্তে মন ভরে দেখতে ইচ্ছে করছে। নিজের বুকের খাঁচায় বন্দি করে রাখতে ইচ্ছে করছে ।হাতে টান পড়তেই চোখের পলক ফেলে হাতের দিকে তাকাল সে।অমায়িক হাসল আরশি।

---আমি এখানে দাঁড়াচ্ছি।আপনি গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে আসুন।ঐ যে আইসক্রিম পার্লার দেখা যাচ্ছে। 

----এখানে দাঁড়াবে মানে?আমরা ওইখানে গিয়ে খাব।(অবাক হয়ে)

---না নায়ক সাহেব।এই নিয়ন আলোতেই রাস্তার পাশে বসে আইসক্রিম খাব আমি।

---পাগল হয়ে গেছ?রাস্তার পাশে বসে কেউ আইসক্রিম খায়?তুমি জানো এখন কেউ দেখলে আইসক্রিম আর খাওয়া হবে না।

---কিছু হবে না।আপনি তো মাস্ক লাগিয়ে এসেছেন। প্লিজ নায়ক সাহেব।(করুন স্বরে)

---ঠিক আছে।কিন্তু তোমাকে একা রেখে যাবো না।

---কিছু হবে না।ওইতো আইসক্রিমের পার্লার এখান থেকে দেখা যাচ্ছে। আপনি তাড়াতাড়ি গিয়ে নিয়ে আসুন।আমার আর একদম হাটতে ইচ্ছে করছে না। 

---ওকে।নিজের খেয়াল রেখো।

কথাটা বলেই আয়াজ চলে গেলো রাস্তার অপর পাশে আইসক্রিম আনার জন্য। রাত এগারোটা বাজে।চারপাশে মানুষের চলাচল প্রায় কমে এসেছে।কিছু দূরেই কিছু ছেলে কেমন মাতালের মতো হাঁটছে। তাতে কোনো ভয় নেই আরশির।কারণ তার নায়ক সাহেব ঠিক তাকে প্রটেক্ট করবে।সে নিজেও কম না।এই ক'দিনে অনেক কিছু শিখেছে সে।ভয় জিনিসটা আর কাজ করে না তার মাঝে।আরশির মতে পরনির্ভরশীল না হয়ে প্রত্যেক টা মানুষ নিজের রক্ষার দায়িত্ব নিজে নেওয়া উচিত।তাতে হয়তো আমরা একটু চেষ্টাতেই বেঁচে যেতে পারি কিছু জানোয়ারের থাবা থেকে।

পাশে থাকা গাছটার দিকে তাকাল আরশি। বড় একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ।ভালোই লাগে আরশির কাছে লাল রঙের এই কৃষ্ণচূড়া।তার কাছে মনে হয় যেন ভালোবাসার অন্যরকম এক প্রতীক এই মুগ্ধকর লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল।একটু নুয়ে  নিচে পড়ে থাকা একটা ফুল তুলে নিজের কানের কাছে গুঁজে নিল আরশি।উঠে দাঁড়াতেই তার ঘাড়ে কারো উতপ্ত শ্বাস এসে পড়ল।বুঝতে পারল আরশি তার পিছনে একদম অতি নিকটে কেউ দাঁড়িয়ে।ওই ছেলেগুলো নাতো?মনের কথাটা মনে রেখেই ঘুরে দাঁড়াল সে।কথায় আছে--যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়।ছেলে দুটো কেমন দাঁত কেলিয়ে লোভাতুর দৃষ্টিতে  চেয়ে আছে আরশির দিকে।অথচ আরশির একটুও ভয় লাগছে না।

কি টুনটুনি কৃষ্ণচূড়া ফুলে তো তোমাকে জোস লাগছে! কথাটা বলে যেই না ছেলেটা হাত বাড়িয়ে আরশির গাল ছুঁতে যাবে ছেলেটার গাল বরাবর চড় বসিয়ে দিল আরশি।সরে গেল কিছুটা পিছনে।গালে হাত দিয়ে ফুঁসে উঠল ছেলেটা।নেশায় মাতাল সে তার উপর এক শ্যামবতী কন্যার থাপ্পড় খেয়ে মাথায় আগুন ধরে গেল ছেলেটার।পাশের ছেলেটা কে ইশারা করে বলল,,,

---ফুল পরী কে তুলে নে।ফুল পরীর অনেক তেজ।তেজী ফুল পরী আজ শুধু আমার।

ছেলেটার কথা শুনে কিছুটা ভয়ে পেয়ে গেল আরশি।মনে হলো একটু বেশিই করে ফেলেছে সে।এতক্ষণ হয়ে গেল আয়াজও আসছে না এখনো।তবুও ভয়টা দমিয়ে রাখল সে।পাশের ছেলেটা কাছে এগিয়ে আসতেই  কোনো উপায় না পেয়ে পেট বরাবর লাথি বসিয়ে দিল।এতে কিছুটা দূরে পিছিয়ে গেল ছেলেটা।কিন্তু বেশি একটা না।আরশির কি এতো গায়ের জোর আছে নাকি!ছেলেটা সরে যেতেই তেড়ে এল পাশে থাকা ছেলেটা।হাত উচিয়ে  মারতে গেল আরশিকে।গালে হাত লাগার আগেই কেউ ছেলেটার হাত শক্ত করে চেপে ধরল।মনে হচ্ছে এই বুঝি হাতটা ভেঙে যাবে।রক্ত চক্ষু নিয়ে ছেলেটার দিকে তাকাল আয়াজ।রাগে থরথর করে কাঁপছে তার শরীর।ছেলেটার হাতটা বাঁকিয়ে আরেক হাত গলায় চেপে ধরল।এমন কান্ড দেখে পেটে ব্যাথা পাওয়া ছেলেটা দৌড়ে পালিয়ে গেল।ছেলেটার গলায় এতো জোরে চাপ দিয়েছে যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছেলেটার।ভয়ার্ত চোখে তাকাল আরশি।চিল্লিয়ে উঠল নায়ক সাহেব বলে।আরশির চিতকারে কিছুটা শান্ত হল আয়াজ।আরশির সামনে বারবার এমন রূপে আসা উচিত হচ্ছে না তার।এইটা বুঝতে পেরেই ছেলেটাকে ছেড়ে দিল।দৌড়ে এসে ঝাপটে ধরল আরশি আয়াজ কে।আয়াজ ও শক্ত করে জরিয়ে ধরে বুকের মাঝে মিশিয়ে নিল আরশিকে।ছলছল চোখে তাকাল আরশি মাটিতে পড়ে থাকা আইসক্রিম গুলোর দিকে।আরশির দৃষ্টি বুঝতে পেরেই আয়াজ আরশি কে নিয়ে আবারও এগিয়ে গেল আইসক্রিম আনতে।
আরশিকে ভার্সিটির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল আয়াজ।আয়াজ যেতেই ভিতরে ঢুকে পড়ল আরশি।আরশিকে পিছু ডাকল ইফাজ।কিন্তু তার আগেই তো আরশি ডুকে গেল।ফোনটা বেজে উঠল ইফাজের।আননোন নাম্বার।ভ্রু কুঁচকে ফোনটা রিসিভ করল সে।হ্যালো বলবে তার আগেই বলে উঠল অপর পাশের লোকটা 

---ভুলেও আমার বউ কে আর পিছু ডাকতে যাবি না।তাহলে আজ ভার্সিটির সামনেই গেড়ে দিব তোকে।(রাগী কন্ঠে)

কন্ঠ শুনে আর বুঝতে বাকি রইল না তার অপর পাশের মানুষটা যে আয়াজ।শয়তানি হাসি দিয়ে বলে উঠল- 

----আমায় কি মারবি তুই? তার আগে দেখ নিজেই নাকি মরে যাস।

----তোকে না মেরে মরব না যদি আল্লাহ রাখে।তোদের মতো জানোয়ার গুলো মারাই আমার লক্ষ্য। আর তোকে না মারলে আমার বোনের আত্মা কখনও শান্তি পাবে না।বোনের শেষ কথাটা পূরণ করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।অনেক খোলামেলা ঘুরেছিস,,পালিয়ে বেরিয়েছিস। ছলনা করে সেদিন আমার প্রিয়তাকে ও আমার কাছে মৃত বানিয়ে দিয়েছিলি।কি ভেবেছিলি প্রিয়তা কে কেড়ে নিয়ে আমাকে দুর্বল করে মেরে ফেলবি আর নিজে বেঁচে যাবি।কখনও না।আমার বউয়ের আশেপাশে ও যেনো আর তোকে না দেখি।মাইন্ড ইট।(রাগী কন্ঠে)

ফোনটা কেটে দিল আয়াজ।হাসল ইফাজ।

---তোর বউয়ের হাতেই তো তোর মৃত্যু আয়াজ বিন সাদ।

কথাটা বলে আবারও হেসে উঠল ইফাজ।
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।