আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

উপহার - পর্ব ০৯ - সুলতানা পারভীন - ধারাবাহিক গল্প


১৭!! 

ধ্রুব মাইশার দিকে না তাকিয়ে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকাল। কিছুতেই মাইশার দিকে তাকাতে পারছে না। নিজেরই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে ধ্রুবর। মেয়েটাকে একটু গুছিয়ে নেয়ার জন্য সময় দিতে চেয়েছিল ও। কি হয়েছিল সেটা নিয়ে ধ্রুবর মাথা ব্যথা নেই ঠিকই। তবে মেয়েটার মন থেকে ওকে মানতে নিশ্চয়ই কিছুটা সময় লাগত। কিন্তু সে নিজে এটা কি করল! একটু নিজের আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না! ভাবতেই নিজের উপরেই রাগ হচ্ছে ধ্রুবর। মাইশাও ব্যাপারটা বুঝতে পারছে। তবে কি বলবে সেটা ঠিক করতে পারছে না। 

-আমি খুবই লজ্জিত মাইশা--। আই'ম সো সো সরি--।

-আরে কি বলছেন! ইটস ওকে-। আমি বুঝতে পারছি---। আপনি প্লিজ সরি বলবেন না---। আর তাছাড়াও---৷ 

-প্লিজ বাকিটা আর বলো না--। আমি চাইছিলাম তুমি মন থেকে আমাকে মেনে নিয়ে তারপর---। এভাবে এমন একটা ঘটনা ঘটবে আমি ভাবতেও পারি নি--। আর এমন না যে কয় মাস পর বিয়ে করব বলে তোমার সাথে যা ইচ্ছে তাই---।

-আপনি ব্যাপারটা ভুল বুঝছেন। আমি সেটা বলতে চাই নি---।

-চলো? রান্না শেষ হলে বাবা মা নিশ্চয়ই খুঁজবে তোমাকে---।

-আরে? আমি কি বলছি?

-বুঝতে পেরেছি আমি--। আমি আসলেই ভিষণ সরি মাইশা---। এবার চলো----? আমি মনে প্রাণে চেষ্টা করব ভবিষ্যতে যেন আমার কোন কাজের জন্য তোমার চোখে পানি না আসে---।

-আসলে---------?

দরজায় নকের আওয়াজ হচ্ছে।  

-ভাবি---? ও ভাইয়া---। আব্বু আম্মুর রান্না শেষ হবে একটু পরেই--। তাড়াতাড়ি আসো না--?

দরজা খুলে দিল ধ্রুব। ধ্রুবর সাথে আর কথা বলা হয়ে উঠল না মাইশার। রাতুলের ব্যাপারে-ধ্রুবর তিন বছরের অপেক্ষার ব্যাপারে-কিছু নিয়েই আর কথা বলা হল না। বুঝতে পারছে ধ্রুব খুব বেশি হ্যাজিটেট ফিল করছে। তাই আর কথা বাড়ায় নি মাইশা। মানুষটা ভালো-সেটা মাইশা বুঝতে পারছে। অনিচ্ছাকৃত ছোট্ট একটা ভুলের জন্য নিজেকেই অপরাধী মনে করছে। এতো আজব কেন লোকটা?

ধ্রুব আর তাওহীদ মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরার পর সবাই মিলে খেতে বসেছে। এর মধ্যে সাহেবা, মাইশা আর মেহের তিনজনেই নামাজ পড়ে নিয়েছে। খেতে বসে গল্পে মতেছে সবাই। ধ্রুবর মনটা এখন ভালো৷ কারণ মাইশার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। সবার সাথে গল্প করছে। কখনো মেহেরের কথায় হেসে উঠছে। দেখতে ভালো লাগছে ধ্রুবর। 

-রান্নাটা অনেক মজা হয়েছে না ভাবি?

-হুম--। আমি এখনই সেটা বলতাম। অসাধারণ হয়েছে খেতে-।

-শোন মাইশা মা-। প্রতিদিন তো আর এতো টেস্টি টেস্টি খাবার রান্না করা যাবে না-তাই প্রতি শুক্রবার রান্না করব আমরা। আর বাকি ছয়দিন কেমনে চলবে সেটা নিয়ে আমরা একটুও মাথা ঘামাবো না-। তবে এই বাড়িতে শুক্রবারে রান্নাঘরে অন্য কেউ এ্যালাউড না--।

-শুক্রবার হল আব্বু-আম্মুর ভালোবাসা বাসির দিন--। কেউ ডিস্টার্ব করবা না--।বুঝসো ভাবি?

-দুষ্টু মেয়ে------।

-হা হা হা---। তবে বাকি ছয়দিন অন্য কেউ ভালোবাসাবাসি করলেও কেউ ডিস্টার্ব করবে না-কি বলিস মেহের?

তাওহীদের কথা শুনে মাইশার ভিষম খাওয়ার জোগাড়। কি বলে! মুখ তুলে ধ্রুবর দিকে তাকাতেই দেখল ও মুখ টিপে হাসছে। খেতে খেতে আরো অনেকক্ষণ গল্প চলল। আর দুজন মানুষ লজ্জায় লাল নীল বেগুনি হতে লাগল আলোচনা শুনে। সাহেবা আর মাইশা। আর বাকি তিনজন মুখে দুষ্টু হাসি ফুটিয়ে তাদের লজ্জারাঙা মুখ দুটো দেখে যেন অনেক আনন্দ পাচ্ছে। 

কয়েকটা মাস কেটে গেল দেখতে দেখতেই৷ প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শুক্রবারে ধ্রুব এসে মাইশাকে বাসায় নিয়ে যায়। সবাই মিলে হৈ-হুল্লোড় করে খাওয়া দাওয়া করে-আড্ডা দেয় তারপর বিকেলে আবার ধ্রুব ওকে বাসায় পৌঁছে দেয়।

এভাবেই কাটছে ওদের দিন। মাইশারও পরীক্ষা শেষ হয়ে আসছে। তবে ইদানিং ধ্রুবর কিছু একটা হয়েছে৷ ওর মুখটা দেখেই মাইশা বুঝতে পারছে। জিজ্ঞেসও করেছে ধ্রুবকে। তেমন কিছু বলে না ধ্রুব। তবে মাইশার মনে হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে গভীর চিন্তায় আছে ধ্রুব। কি এতো চিন্তা করছে বুঝতে পারছে না মাইশা। মাইশার পরীক্ষা চলা সময়টা কলেজের বাইরে গাড়িতেই বসে থাকে ধ্রুব। আর পরীক্ষা না থাকলে মাইশাদের বাসার নিচে ওয়েট করে। মাইশা বারান্দায় এসে দাঁড়ালে বেশ অনেকক্ষণ অপলকে ওকে দেখে মানুষটা৷ তারপর একটু হেসে চলে যায়। মানুষটা এমন কেন করছে কিছুই মাথায় ঢুকছে না মাইশার। কি এমন হয়েছে মানুষটার?

১৮!! 

আজ মাইশার শেষ পরীক্ষা ছিল। অনেক কঠিন হয়েছে প্রশ্ন। লাস্ট একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই মনে করতে পারছে না। কিছুক্ষণ কলম কামড়াচ্ছে-কিছুক্ষণ নিজের চুল টেনে ছিঁড়ছে। তবু মনে আসছে না৷ বিরক্ত হয়েই পাশের জানলাটা দিয়ে বাইরে তাকাল মাইশা৷ দোতলার রুমটার জানালার পাশে সিট ওর৷ সেখান থেকে নিচের রাস্তাটা বেশ ভালো মতোই দেখা যায়। বেশ কয়েকটা গাড়ি পার্ক করা রাস্তার অপরপাশে। এতো গাড়ি অপেক্ষা করে থাকে কেন! একটা গাড়ি দেখেই বুকের ভিতরটা ধ্বক করে উঠল মাইশার। নেভি ব্লু রঙা এই গাড়িটা এমনকি গাড়ির নাম্বারটাও মাইশার পরিচিত। গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাও মাইশার পরিচিত। 

গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো ধ্রুবকে দেখে হা হয়ে গেছে মাইশা। মানুষ এভাবে দাঁড়িয়ে আছে কেন? নেভি ব্লু কালারের ফরমাল শার্টটার হাতা কনুই পর্যন্ত ভাঁজ করা। আর কালো প্যান্ট পড়নে, চোখে কালো সানগ্লাস, চুলগুলো বাতাসে হালকা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। দেখতে একদম অসাধারণ লাগছে ধ্রুবকে। মাইশা সামনে হল গার্ডের দিকে তাকিয়ে আবার জানলা দিয়ে ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে। ধ্রুব একটু হেসে মাথা নেড়ে জানাল কিছু হয় নি। মাইশাকে ইশারায় দেখাল লিখতে৷ 

মাইশা আনমনে লিখছে আর ভাবছে। মানুষটা সেই তিন চার ঘন্টা ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ওর দিকে তাকিয়ে ছিল? প্রতিদিনই এভাবে তাকিয়ে থাকতো? কেন? হাসিহাসি মুখটার পিছনে কোন এক অজানা লুকানো ধ্রুবর। কি সেটা! আর মাইশাকে বলছেই না বা কেন!

পরীক্ষা শেষ করে এসে গাড়িতে বসেছে মাইশা। ধ্রুব গাড়ি স্টার্ট দিয়েছে। কোন কথা বলছে না কেউই৷ মাইশা ধ্রুবর চিন্তিত মুখটার দিকে তাকিয়ে ভাবগতি বুঝার চেষ্টা করছে। মানুষটা ওকে কিছু বলতে চাচ্ছে-অথচ বলছে না। একদম মাইশার দিকে না তাকিয়েই ড্রাইভ করছে ধ্রুব।

-ম্যাডাম এভাবে তাকিয়ে থাকবেন না। আমি ড্রাইভিংয়ে কনসেনট্রেইট করতে পারছি না----।

-আপনি এতোক্ষণ ধরে তাকিয়ে ছিলেন কেন?

-আজকে তো কারো লাস্ট পরীক্ষা ছিল--। এভাবে সামনে থেকে দেখা তো নাও হতে পারে----। 

-মানে? দেখা হবে না কেন! আমি কোথায় যাচ্ছি! নাকি আপনি কোথাও যাচ্ছেন?

-সেরকম ব্যাপার না--। আসলে মন চাইছিল তাই দেখছিলাম--। লাস্ট পরীক্ষা কিনা---।

-বাকি পরীক্ষাগুলোতেও এমন কাজ করেছেন-----।

-না মানে আসলে--৷ তেমন ব্যাপার না-----।

-ব্যাপার যেমনই হোক--৷ কি হয়েছে সেটা বলুন আপনি--।

-আসলেই কিছু হয় নি---। কাউকে দেখে শান্তি পাই-তাই দেখছিলাম--।

মাইশা মুখ ফিরিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইল। কি হয়েছে সেটা না বলে এই লোক হাংকি পাংকি কাহিনী শুনাচ্ছে ওকে৷ আজব! ধ্রুবও হেসে গাড়ি চালানোয় মন দিল৷ মেয়েটা এতো রাগ করে কি করে! কি ঘটেছে সেটা বলার সাহস ধ্রুবর নেই। নিজের মনে হাজারটা কষ্ট চাপা দিয়ে রাখতে পারবে৷ কিন্তু তার মেঘপরীটাকে তো সে কিছুতেই কষ্ট দিতে পারবে না৷ মেঘপরীটা যা চাইবে তাই হবে এবার৷ গত ছয়টা মাস ওকে এতোটা কাছ থেকে পেয়েছে। আর কি চাই তার?

-এই যে মেঘপরী? নদীর পাড়ে যাবে? 

-হুম---। 

নদীর পাড়ে অনেকক্ষণ বসে থেকেছে দুজনে। নৌকায় চড়েছে। আজও ধ্রুব মাইশার হাতটা ধরে বসেছিল৷ তবে সেদিনের মতো বকবক করে নি। মাইশাও বুঝতে পারছে মানুষটার কোন কারণে গুরুতর মন খারাপ। তাই আর ঘাটায় নি ধ্রুবকে। সন্ধ্যার দিকে ধ্রুব মাইশাকে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে গেছে। মাইশা রুমের বারান্দায় এসে হাত নেড়ে ধ্রুবকে "বায়" জানালো। 

রাতে খেয়ে শুয়েছে এর মধ্যে মেহেরের কল এল।

-ভাবিইইইইইইইইইইইই----?

-হ্যাঁ গো মেহেরমনি---। খাইসো?

-হ্যাঁ তো--। খাইসি--। তুমি?

-হুম----।

-কি করো?

-শুইলাম---। তুমি ঘুমাও না কেন?

-একটা মানুষের সাথে গল্প করি--।

-বাহ--। তা ভাগ্যবানটি কে গো বাবু?

-যাহ-ভাবি--। কি বলো?

-ও আচ্ছা! আমি কি বলি? না? এখন তাড়াতাড়ি ঘুমাও৷ ডাটা অফ। তাড়াতাড়ি---।

-এই না ভাবি--। আর একটু গল্প করি না---? প্লিজ?

-কে গো মানুষটা মেহের?

-কাউকে বলবা না বলো? তাহলে বলব তোমাকে----।

-আচ্ছা বলব না---। বলো?

-ভাইয়াকেও না?

-নাহ--। উনাকেও বলব না--।

-লক্ষী ভাবিটা---। উনার নাম হৃদয়। আমাদের কলেজ থেকে অনার্স করছে ভাবি---। ফাইনাল ইয়ারে----।

-হুম? আর?

-আর কিচ্ছু না ভাবি----।

-পছন্দ করো তাকে?

-না মানে ইয়ে----! হলো কি ভাবি?

-মেহের? আমরা তো বন্ধু বলো? ভাবিকে বলা যায় না?

-আসলে ভাবি--উনি আমাকে অনেক ভালোবাসে--। আমি কি করব কিছু বুঝতে পারছি না---। এই ভাবি? একটু হেল্প করো না? প্লিজ? প্লিজ? প্লিজ?

-আমি কি হেল্প করব বলো! তোমার মন কি বলছে সেটা শোনো। তার আগে দেখো মানুষটা কেমন। তোমার সাথে কেমন ব্যবহার করে--। রাস্তার গরীব একজন মানুষের সাথে তার ব্যবহার কেমন--। রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের সাথে কি ভাষায় কথা বলে। রিকশাচালকের সাথে কেমন করে কথা বলে---। মানুষটা সত্যিকারের ভালো নাকি ভালোমানুষির মুখোশ পড়েছে সেটা খেয়াল করো----।

-আর?

-তোমার পারসোনালিটি সে কিভাবে দেখছে-তোমার ইচ্ছা অনিচ্ছাগুলোর সে কতোটা সম্মান করছে এসবও দেখ। আর এটাও দেখবা তার ইচ্ছে- স্বপ্ন এসবের সাথে তুমি কতোটা খাপ খাওয়াতে পারছ--। বহু বছর পাগলের মতো ভালোবাসার পরে যদি জানতে পারো তার কাছে তোমার সিদ্ধান্তের-তোমার চিন্তার- তুমি মানুষটারই কোন মূল্য নেই সেটা অনেক কষ্টের হবে----।

-হুম---৷ তাও ঠিক---।

-আর একটা কথা---। ভালোবাসা ব্যাপারটা হুট করে হয় ঠিকই। তবে সেখানে দুজনের মানসিক আকর্ষণের চেয়ে শারীরিক আকর্ষণ বেশি থাকলে সম্পর্কটা কখনোই লাস্ট করবে না---।শারীরিক আর মানসিক আকর্ষণ যেমন থাকবে তেমনই একজনের অন্যজনের উপরে ভরসা- সম্মান- জবাবদিহিতাও থাকতে হবে---। তাহলেই সম্পর্কটা তোমার জীবনে উপহার হয়ে নেমে আসবে---। বুঝেছ মেহেরমনি?

-ভাবি---। ভয় লাগতেসে তোমার কথা শুনে---।

-ভয়ের কিছু নেই বাবু--। একটা ঠিক মানুষ পার্টনার হওয়া মানে জীবনে স্বর্গের সুখ অনুভব করা। আর ভুল মানুষকে ভালোবাসা নরক যন্ত্রণার চেয়েও কঠিন--। তাই তোমার জীবনের সিদ্ধান্তটা তোমাকেই নিতে হবে৷ বুঝে-ভেবে- তারপর---। 

মেহেরের সাথে কথা বলে নিজের অবস্থানটা ভাবছে মাইশা। ধ্রুব নামের মানুষটা হঠাৎ করে ওর জীবনে এসে একটু একটু করে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। তবে কি একটু একটু করে ধ্রুবকে ভালোবাসতে শুরু করেছে মাইশা? নিজের অতীতটাকে ভুলে গিয়ে আসলেই কি মানুষটাকে নিজের করে ভাবতে শুরু করেছে?
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।