অচেনা অতিথি - পর্ব ০৬ - নাফিসা মুনতাহা পরী - ধারাবাহিক গল্প


- বাবা আমরা কই যাচ্ছি। কোন জবাব না পেয়ে হাবিবকে জিঙ্গাসা করল বড় আব্বু আমরা কই যাচ্ছি। আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো বলতেই এরশাদ ঠাশঠাশ করে গাড়ীর মধ্যই তিতিরকে চড়াইতে লাগল। তোকে জাহান্নামে নিয়ে যাচ্ছি পাপ মোচন করতে...............।

|

- বাবার কথা শুনে তিতির স্তব্ধ হয়ে গেল। আমি পাপী! আমি কি এমন পাপ করলাম যে বাবা আজ এতবড় কথা বলল। গালে হাত দিয়ে চুপ করে কেঁদেই চলছে তিতির। হাবিব বা শামীম কেউই কথা বলছেনা। শুধু হাবিব চোখের জল মুছছে। হয়তবা তার খুব খারাপ লাগছে কিন্তু কিছু বলতে পারছেনা। হাবিব গম্ভীর মুখে এক হাত অন্য হাতের মধ্য নিয়ে মোচড়াচ্ছে।

|

- প্রায় ৫ ঘন্টা জার্নি করে একটা বাসার গেটে এসে গাড়ী থামল। সবাই গাড়ী থেকে নামল। কিন্তু তিতির চুপ করেই বসে আছে।

এবার এরশাদ রেগে গিয়ে বলল তোকে কি আবার আলাদা করে বলতে হবে নামতে! শেষে হাবিব তিতিরের হাত ধরে গাড়ী থেকে নামাল।

|

- অনেক বড় বাসা। সকাল ১০ টা বেজে গেছে তবুও তেমন কেউ ঘুম থেকে ওঠে নি। ৫০/৫৫ বছরের এক মহিলা বের হয়ে আসতেই ৩ ভাই একসাথে সালাম দিল তাকে।

|

- মহিলা সালাম নিয়েই বলল মামীজান কেমন আছে! কত দিন থেকে মামী জানরে আর দেখি নাই। সেই কতদিন আগে দেখছি। তোরা কেমন আছিস হাবিব!

|

- আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা সবাই ভাল আছি। আপা এটাই আমাদের তিতির। ফোনে ওর কথায় বলছিলাম। তিতির উনি তোর ফুফি হোন বলতেই তিতির গিয়ে সালাম দিল।

|

- আমেনা একটু মন ভার করে বলল হুম বুঝতে পারছি। কিন্তু এরশাদ আমার নিজেরই ৩ টা মেয়ে ও একটা ছেলে সেখানে তিতিরকে বেশিদিন রাখা সম্ভব নয়। বড় জোড় এক দেড় মাসই রাখতে পারবো। তার মধ্য ওর একটা ব্যবস্থা করে নিস ভাই। বুঝিসই তো পরের ঘরে থাকি। এর বেশি মুখ ফুটে কি আর বলব!

কাজের মেয়েকে ডেকে চা-নাস্তা দিতে বলল আমেনা।

|

- আপা চিন্তা করোনা তার আগেই আমি ওকে নিয়ে যাবো। শুধু কয়েকদিনেরই ব্যাপার। ও সব কাজ পারে আপা। তোমার সব কাজে হেল্প করতে পারবে।

আমরা আর থাকবোনা। এমনি বেলা হয়ে গেছে বাসায় ফিরতে হবে বলে ওরা চলে গেল।

|

- তিতির দৌড়ে এসে বাবার হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল.............

" ও বাবা আমায় কই রেখে যাচ্ছো আমি যে এখানে থাকতে পারবোনা। আমায় মারো কাটো যা ইচ্ছা তাই করো তবুও বাসায় নিয়ে চলো"

|

- আগে মনে ছিলনা! খারাপ কাজ করলে এমন শাস্তি তুই পাবি তাহলে কেন করছিলি! কোথাও আমার মুখ দেখানোর জো রাখছিস! যেখানে যাই সেখানেই তোকে নিয়ে আলোচনা। আমার মান-সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিস। এখানেও তোরা রাখতে চাচ্ছেনা। ওরা তো তোর কুকৃর্তির কথা জানেনা। যদি জানতো তাহলে দুদিনের জন্যও জায়গা দিত না।

এরশাদ একটু থেমে তিতিরের হাতে কিছু টাকা গুজে দিয়ে চলে যেতেই তিতির টাকাগুলো ছুড়ে মেরে জোড়ে চিৎকার দিয়ে উঠল....................

" বাবা খুব ভুল করলে যার মাসুল কোনদিনই তুমি দিতে পারবেনা। আমি মেয়ে হয়ে বলছি এটাই যেন তোমার সাথে আমার শেষ দেখা হয়।"

তিতির কথাগুলো বলে চোখ মুছে বাসার ভিতর ঢুকল। এরশাদ কিছুক্ষন দাড়িয়ে ছিল। হয়তবা দু'ফোটা চোখের পানিও গড়ে গেল কিন্তু সেদিকে পাত্তা না দিয়ে চলে গেল।

|

- এরশাদ তিতিরকে এখানে রেখে গিয়ে কি ঠিক করলাম? আপাতো ওকে রাখতেই চাচ্ছিলনা। ওরা যদি তিতিরের সাথে খারাপ আচরন করে?(হাবিব)

|

- এছাড়া কোন উপায় নাই ভাইজান। আমরা জানিনা ছেলেটা কে! ওকে নিয়ে অনেক কাহিনী হয়ে গেছে এলাকাতে তাই এই একমাত্র পথ। এমন জায়গায় রেখে গেলাম যার ঠিকানা কেউ কল্পনাতেও আনবে না।

এরশাদ দের গাড়ী গ্রামের পথে চলল।

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

- আমেনা বেগম রান্নাঘরে কাজের মেয়েকে কাজগুলো দেখিয়ে দিচ্ছিল। তিতির এসে বলল ফুফুজান আমি সব কাজ পারি। আমায় বলবেন সব করে দিব কিন্তু আমাকে আর ওখানে ফিরে যাইতে বলেন না দয়া করে। আমি আর যাবোনা বলে তিতির মাথা নিচু করে রইল।

|

- আমেনা অনেকক্ষন তিতিরের দিকে চেয়ে রইল। মেয়েটা অত্যান্ত মায়াবী চেহারার অধিকারী। যেকোন কাউকে চেহারা দ্বারা ঘায়েল করতে তার হয়ত কোন ব্যাপারই হবেনা। কিন্তু চোখের নিচে কালো ছাপ পড়ে গেছে। হয়তো পুরো রাত জেগে ছিল সেই ভাবটাই ওর চোখেমুখে ফুটে উঠেছে।

কাজের মেয়ে কবিতাকে কাজগুলো দেখিয়ে দিয়ে তিতিরকে নিয়ে গেল উপরে একটি কক্ষে। তিতির এটা তোমার রুম। এখানে নিশ্চিন্তে থেক। আর আমার মেয়েদের থেকে দুরে থেক। ওরা মানুষকে মানুষ বলে মনেই করেনা। আর যদি দেখছে তুমি গ্রামের মেয়ে তাহলে তো হইছে।

আর সব থেকে দুরে থাকবে আমার শাশুড়ী হতে। তুমি একটু রেষ্ট করো আমি আসছি।


- সেদিন পুরোদিন তিতিরকে রুম থেকে বের হতে নিষেধ করে গেল কাজের মেয়েটা। খাবার সেই এসে দিয়ে গেল। পরের দিন সকাল ৮ টায় নাস্তার টেবিলে ডাক পড়ল তিতিরের।

সবার সামনে দাড়িয়ে আছে তিতির আর ওকে চিড়িয়া খানার জন্তুর মত সবাই দেখছে।

মি. ওসমান গম্ভীর গলায় বলে উঠল তাহলে তুমি এরশাদের মেয়ে?

|

- তিতির সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে বলল হুম।

|

- মৌসুমি আর মৌতুসি দুই বোনেই বলে উঠল এই তুই কথা বলতে পারিস না! না তুই জন্মগত ভাবেই বোবা.......আব্বু কি বলে শুনতে পাসনা?

|

- আমেনার শাশুড়ি জামিলা বেগম শুধু চোখ ঘোড় করে আমেনার দিকে তাকাল। আমেনা তো ভয়ে শেষ। নিজে একদিন যাদের বাসায় থাকছে সেই বাসার মেয়েকেই রাখা তার বাসায় দায় হয়ে পড়েছে।

আমার ঘরেই শুধু এতিমের ঠাই হয় বলে জামিলা উঠে গেল। তিতির বুঝতে পারল শুধু ওর নিজের জন্যই ফুফুকেও বকা দিল তার শাশুড়ী।

ফুফুর বড় মেয়ে মৌ তার বিয়ে হয়েছে অনেক বড় ঘরে। মৌসুমী অনার্স করেছে বাংলায় এবং মৌতুসি এবার তিতিরের সাথেই পড়াশুনা করে। আর ছোট ছেলে মিশু ক্লাস ফাইভ। এই নিয়ে আমেনা বেগুমের সংসার।

|

- তিতির এখানের আসার পর সব কাজের দায়িত্ব পড়ল ওর উপর। জামিলা কাজের মেয়েকে ছুটি দিলেন। সব কাজ তিতিরে হাত থেকে করে নেন। তিতিরকে যে তিনি পছন্দ করেন না সেটা তিতির খুব ভাল করেই জানে।

রুম ঝাড়ু, মোছা থেকে যাবতীয় কাজ তিতিরকে দিয়ে করে নেওয়া হয়। সত্যিই ওর বাবা ওকে জাহান্নামেই রেখে গেছে। যেখানে নিজের আপনজন দয়া দেখাইনি সেখানে অন্য জনের কাছ থেকে দয়া আশা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।

|

- মৌয়ের ৬ মাসের ছোট বাচ্চা আছে তাই তিতিরকে সেখানে পাঠানোর চিন্তা করছে আমেনা। এতে মৌ এর জন্য বেশ উপকার হয় এবং তিতিরও কিছুটা কাজ থেকে রেহাই পাবে। চোখের সামনে মেয়েটা এত কাজ করে সেটা চোখেও সহ্য করতে পারেনা আমেনা। শাশুড়ি ভয়ে কিছু বলতেও পারেনা আমেনা।

এ ব্যাপারে অবশ্যই মৌ এর সাথে কথাও হয়েছে। মৌ তো সেই খুঁশি। এখনকার যুগে এমন বিস্বাসী মানুষ পাওয়া বেশ দায়।

আমেনা তার স্বামীর কাছে কথাটা তুলতেই ওসমান ক্ষেপে যায়। মৌয়ের শশুড় বাসার লোকেরা অনেক বড়লোক তাই ওখানে কাজের লোকের অভাব হবেনা। তিতিরকে কোথাও যাওয়ার দরকার নাই ও এখানেই থাক। এর থেকে বেশি আর কিছু শুনতে চাইনা।

|

- তিতির এখানে এসে ১৫ দিন হয়েছে। ১৫ দিনে ১৫ অবস্থা করে ছেড়েছে সবাই তিতিরের। মৌসুমী বলে এটা আন মৌতুসি রাগের চোটে তিতিরের মুখের উপর কাপড় ফেলে দিয়ে বলে এটা কাপড় ধৌত করা হয়েছে? এর থেকে ভালো করে ধুয়ে আন।

আর জামিলা বেগমের অত্যাচার তো বাঁকিই আছে।

তিতির একটু পান ছেচে দে, প্রতিদিন বিছানা কাথা রোদে দে, ফ্যানের বাতাস না খেয়ে বলে পাখা দিয়ে বাতাস কর। বুড়ি যেন তিতিরকে অত্যাচার করতে পারলে মনে শান্তি পায়। পরের মেয়েকে বসে বসে কে খাবার দেয়? এভাবে কাজ করেই খেটে খাইতে হয়।

সব কাজ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন রুমে আসে তিতির তখন বালিশে মুখ চাপা দিয়ে কান্না করে। হুহু করে কেঁদে ওঠে। আল্লাহ্ আর কত কষ্ট দিবা তুমি?

|

- ১৮ দিনের মাথায় এরশাদ কল দেয় আমেনা কে। আপা তিতির কেমন আছে?

|

- তোর মেয়ে এখানে খুব ভাল আছে। চিন্তা করিস না ও এখানে সুখেই আছে। তুই যদি অনুমতি দেস তাহলে ওকে এখানে আরও কিছুদিন রাখবো বলতেই ওসমান ফোন কেড়ে নিয়ে বলল এরশাদ তোমার মেয়ে ভারী লক্ষী। মন বলে সারাজিবন রেখে দেই। তুমি বললে সেটাও রাখবো।

|

- ওসমানের হাসিমাখা কথা শুনে এরশাদ আর কোন কথা বলতে পারেনা। সত্যিই কি ওটা ছিল তিতিরের সাথে শেষ দেখা? মেয়েটাকে বাসায়ও আর আনতে পারবেনা। আদরী আর আসতেও দিবেনা। এরশাদ আরও কিছুক্ষন কথা বলে ফোন রেখে দিল। একবার তিতিরের সাথে কথাও বলল না যদি তিতির বাসায় যেতে চায়! সেই ভয় মনে রেখে কথা আর বলল না।

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

- তিতির চলে যাওয়ার পর রবিন আর কারো সাথে কথা তেমন বলে না। তিতিরের নাম্বারে অনেক কল দিয়েছে কিন্তু কল ঢোকেনি। বন্ধ দেখাচ্ছিল। ও কখনো ভাবেনি ওর খেলার সাথীটা এভাবে ওকে না জানিয়ে চলে যাবে। এটা যেন রবিন মেনেই নিতে পারেনা। বাবা চাচা সবাইকে জিঙ্গাসা করেছে কিন্তু কেই জবাব দেয়নি। তিতির নিজে থেকে যোগাযোগ না করা অবদি রবিন আর খুঁজে পাবেনা তিতির কে।

যেদিন তিতিরকে রেখে এরশাদ বাসায় ঢুকেছিল সেদিন ইভানের বার বারর বাবাকে জিঙ্গাসা করছিল আব্বু আপু কই?

কিন্তু এরশাদ কোন কথার জবাব দিতে পারেনি। আদরী সবার সামরেই তিতিরের চিঠি গুলো পুরে ফেলেছিল। কোন প্রমানই রাখেনি তিতিরের জিবনে অচেনা অতিথী বলে কেউ ছিল।

♦♦♦♦♦♦♦

- তিতির কয়েকদিন থেকে লক্ষ্য করছে কেউ একজন ওকে ফলো করে। শুধু একটা ছায়া দেখতে পায়। এই বাসায় ফুফা ছাড়া বড় কোন ছেলে নাই। যেই দুটা কাজের লোক আছে তারা বাসার বাহিরে থাকে। তিতির তবুও সাবধানে থাকে।

|

- একদিন বাসার সবাই মিলে বাহিরে বাগানে পিকনিক করছিল সন্ধ্যার পর। সবাই কাজে ব্যাস্ত। ওসমান নিজে বাবুর্চি এনেছে রান্নার জন্য তাই তিতিরের আর কষ্ট করতে হয়না।

তিতির আজ তোমার সব কাজ মাফ তুমি বরং রেষ্ট নাও। তোমাকে খাবার সময় ডাকা হবে বলে ওসমান চলে গেল।

বাসার সবাই বাহিরে আনন্দ করছে তিতির হাতের কিছু কাজ করছে জলদি। কাজ শেষ হলেই একটু ঘুমাবে।

|

- হঠাৎ তিতিরের কোমড়ে কারো হাতের স্পর্শ পেতেই ও চমকে পিছনে ফিরে দেখে ওর ফুফা। ফুফা আপনি এখানে?

|

- ওসামান সিগারেটে টান দিয়ে বলল তিতির তোমায় আর এসব করতে হবেনা। তোমার এত কষ্ট সহ্য হয়না আমার। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি তিতির।

কিছুক্ষন থেমে আবার বলল তিতির এত কাজ করার দরকারও নাই। তুমি শুধু একটু আমার দিকে দেখ তোমায় আমি রানী করে রাখবো বলেই ওসমান তিতিরের হাত ধরল।

|

- ফুফা ছাড়েন কি করছেন এসব বলেই হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু ব্যার্থ হয়ে এদিক ওদিক কিছু খুঁজতে লাগল। হাতের কাছে খুন্তি পেয়েই ওটা দিয়ে বারি বসে দিল ওসমানের হাতে।

|

- আহ্ বলেই তিতিরের হাত ছেড়ে দিয়ে বলল তোর এত বড় সাহস আমার গায়ে হাত তুলিস! ওসমান তিতিরকে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল। আমার খাবি আবার আমারি গায়ে হাত তুলবি বলে তিতিরের হাত ধরেই হাতের তালুতে সিগারেটটা ঠেঁসে ধরল ওসমান।

|

- মা বলে একটা চিৎকার দিল তিতির। এবার ওসমান তিতিরকে জড়িয়ে ধরে বলল এই চুপ। ওসমান তিতিরে মুখ চিপে ধরল। তিতিরও ধস্তাধস্তি শুরু করে দিল।

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

- মৌতুসির ফোনে একটা কল আসছে তাই ও কল রিসিভ করেই বাসার ভিতর ঢুকল। কথা বলার পর্যায়ে রান্না ঘরে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেল। সেদিকে খেয়াল না করে কেবল সিড়িতে উঠতে যাবে এমন সময় কারো আর্তনাদ শুনে ফোন ওভাবে রেখেই রান্না ঘরে দৌড় দিল।

রুমে গিয়ে দেখল ওর বাবা তিতিরের ওড়না ধরে টানাটানি করছে। আব্বু বলেই চিৎকার দিয়ে ওঠে মৌতুসি।

|

- ওসমান নিজের কাজে এতটাই মগ্ন ছিল যে মৌতুসির কথা শুনতেও পেলনা। এবার মৌতুসি ওসমানের কাছে গিয়ে আব্বু বলেই গায়ের শক্তি দিয়ে একটা ধাক্কা দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন