উপহার - পর্ব ১১ - সুলতানা পারভীন - ধারাবাহিক গল্প


২১!! 

চোখ খুলতেই ধ্রুব দেখলো চারদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে। কখন যে ঘুমিয়ে গেছে টেরই পায় নি। ফ্রেশ হয়ে এসে রুমের আলো না জ্বালিয়েই খাটে বসে পড়লো ধ্রুব। সকাল থেকেই মাইশাকে কল করা হয় নি একবারও। মেয়েটা কি রাগ করে আছে? অবশ্য রাগ করবে কেন? ও তো রাতুলকে ভালোবাসে! ধ্রুব কল না করলেই বরং মাইশার জন্য ভালো। এসব ভাবতে ভাবতে কল লিস্টে মাইশার নাম্বারটা তুলে আবার মোবাইলটা বিছানার উপর ছুঁড়ে ফেলে দিল ধ্রুব। রাতুলের বলা একটা কথা কানে বাজছে ধ্রুবর। 

"রাতুলের বাবা ওদের ভালোবাসাটা মেনে নিয়েছে। তাই আর কোন সমস্যাই নেই মাইশার সাথে বিয়েটা হতে। ধ্রুব যত চেষ্টাই করুক না কেন মাইশা রাতুলেরই হবে।"

প্রচন্ড রকমের রাগ হচ্ছে ধ্রুবর।  তবে রাগটা কার উপর বুঝতে পারছে না। মাইশার উপরে? নাহ-সেটা সম্ভব না। রাতুলের উপরে! তার তো কারণই নেই। ওদের দুজনের ব্যাপারটা তো ধ্রুব আগে থেকেই জানতো! তবে রাগটা কার উপরে? নিজের ভাগ্যের উপরে! হয়তো! মাইশাকে পাগলের মতো ভালোবেসেছে ধ্রুব। তবু ওর ভাগ্যে যদি পরীটা না থাকে তবে কাকেই বা দোষ দিবে! দোষটা তার নিজের। ওদের দুজনের মাঝে আসা ঠিক হয় নি৷ একদমই ঠিক হয় নি।

অন্ধকারে খাটে হেলান দিয়ে বারান্দার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল ধ্রুব। কেমন একটা আবছা অবয়ব যেন দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। ধ্রুব জানে এই অবয়বটা মাইশার। মেয়েটার কথা চিন্তা করতে করতে নির্ঘাত পাগল হয়ে যাচ্ছে সে। খাট থেকে নেমে বারান্দায় এসে ও দাঁড়লো মাইশার পাশে। গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে বাইরের আলো আঁধারির খেলা দেখছে তার মেঘপরীটা। ধ্রুবও গিয়ে ওর পাশে দাঁড়ালো।

-আজ হঠাৎ বারান্দায় কি করো? রুমে কি জায়গার অভাব পড়েছে? নাকি আমি রুমে বলে তোমারও থাকতে কষ্ট হচ্ছে?

মাইশা এক নজর ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে আবার গ্রিলের বাইরে অন্ধকারে তাকাল। এই এক নজরে ধ্রুবর মনে হল আবার কিছু একটা গন্ডগোল করেছে সে। স্বপ্নে আসা মাইশা ওর কোন কথায় রাগ করে না, কষ্ট পায় না। কিংবা ওর চোখ জোড়ায় কান্নাগুলো ছলছল করে উঠে না। এই অন্ধকারে অল্প এক ঝলকের জন্য হলেও ধ্রুব মাইশার চোখ জোড়ার কাঁপুনি দেখেছে। মেয়েটার অস্তিত্ব টের পাচ্ছে ধ্রুব। সূক্ষ্ম একটা ঘ্রাণ এসে লাগছে ধ্রুবর নাকে। মাইশা পাশে থাকলে এই ঘ্রাণটা পায় ধ্রুব। ব্যাপারটা খেয়াল হতেই ঢোক গিললো ধ্রুব। তার মেঘপরীটা সত্যি সত্যিই তার সামনে দাঁড়িয়ে! আর তাকে আজও আবার কাঁদিয়ে ফেলেছে নিজের অজান্তেই।

বেশ অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে স্বাভাবিক হয়ে ধ্রুবর দিকে ফিরেছে মাইশা। ধ্রুব ওর দিকে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে আছে। এতোক্ষণে ধ্রুব টের পেয়ে গেছে মাইশা ওর স্বপ্ন নয়-বাস্তব। মাইশা ধ্রুবর হাতে ফটোগ্রাফগুলো ধরিয়ে দিল। বাইরের রাস্তার পাশের বাতির আবছা আলোয় ছবিগুলো দেখে চমকে উঠলো ধ্রুব। মাইশা আর রাতুলের ছবি। কয়েকটাতে মেহেরের বয়সী একটা মেয়েও আছে। সবগুলো ছবিতেই রাতুল আর মাইশার হাসির ছবি। কি নিয়ে এতো হাসাহাসি হচ্ছে বুঝা যাচ্ছে না৷ তবে ধ্রুবর অন্য রকম লাগছে। কেন মনে হচ্ছে এই হাসিটা তার জন্যই হারিয়ে যাচ্ছে মাইশার জীবন থেকে।

-এগুলো কি ধ্রুব?

মাইশার প্রশ্নটা শুনে ধ্রুব মাইশার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। কণ্ঠস্বর ঠান্ডা। মুখটা থমথমে। ধ্রুব ভাবছে কি বলবে? ওকে কি করে বলবে যে, তুমি তোমার মতো ভালো থাকো?

-কিছু জিজ্ঞেস করছি তোমাকে আমি?

-আম---। আসলে মাইশা--?

-এই ছবিগুলো কোথায় পেলে তুমি?

-দিয়েছে একজন----।

-মেহেরকে তুমি কি বলেছ? আমি থাকবো না-আমাকে মায়ায় না জড়াতে? কেন বলেছ এসব ওকে?

-তুমি তো আসলেই থাকবে না---।

-একবারও বলেছে কেউ তোমাকে এ কথা? গত ছয়মাস ধরে একবারও বলেছি তোমাকে বিয়ে করব না? বলেছি?

-তুমি রেগে যাচ্ছো মাইশা---। তখন নাহয় তোমার আর রাতুলের সম্পর্কটা ওর বাবা মেনে নেন নি। এখন তো নিয়েছে বলো? নিজের সুখের জন্য তোমাকে তো আটকে রাখতে পারি না---।

-এসব কথা রাতুল তোমাকে বলেছে?

-হ্যাঁ---। তুমি রাগ করে ওর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছ। ছেলেটা ওর বাবাকে কনভিন্স করেছে মাইশা---। ওকে এভাবে কষ্ট না দিয়ে----।

-ওকে জিজ্ঞেস করো নি বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ার ব্যাপারে ওর বাবাকে কনভিন্স করতে পেরেছে কিনা? ওর বাবা  টিভি, ফ্রিজ, সোফা নামের উপহারগুলো ছাড়া ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন কিনা জিজ্ঞেস করো নি?

-মানে? কি বলছো এসব?

-বুঝতে পারছো না তুমি? রাতুল তো তোমাকে সব কথা বলেছে এ কথাগুলো বলে নি? বলে নি ওর বাবা বিয়েটা ভেঙেছিল কারণ আমার বাবা মা আমার বিয়েতে উপহারের নামে এতো এতো যৌতুক দিতে পারবে না তাই--। বিয়ের কবুল বলার আগে পাঁচ লাখ টাকা নগদ ওর বাবার হাতে তুলে দিতে পারবে না তাই---। বাবা অবশ্য রাজি হয়ে যাচ্ছিল--। আমি বারণ করেছি-। যে লোক সমাজের এই বাজে নিয়মগুলোকে ঠিক বলে টাকা দাবি করতে পারে-কাল সে আমার বাবা মায়ের খেয়াল রাখবে সেটা আমি কি করে ভাববো? আমার জন্য আমার বাবা মাকে কেন পথে এসে দাঁড়াতে হবে? আমি কি তাদের এতোই বোঝা যে জন্ম দেয়ার অপরাধটা আজীবনের সঞ্চয় খরচ করে দোষ কাটাতে হবে?

-আমি বুঝতে পারছি না---। রাতুল আমাকে বলেছিল ওর বাবা তোমাদের রিলেশনটা মেনে নেয় নি। তাই তুমি বাসার চাপে বিয়েতে রাজি হয়ে গেছো---।

-আমাকে কি তোমার-------। আহ------।

-আরে এমন---এমন করছো কেন মাইশু---?

-তুমি কথাটা আমাকে জিজ্ঞেস করলে এতো কিছু হতোই না---।

-আমি তো ভেবেছি তুমি বলতে পারছো না আমাকে---।

-আর একটা কথাও বলবা না তুমি আমার সাথে----।

ধ্রুব কিছু বলার আগেই মাইশা ওকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিল।।

-একটাও কথা বলবা না----।

ধ্রুব মাইশার রাগী মুখটা দেখে চুপ করে গেল৷ মেয়েটা বড্ড রেগে গেছে। মাঝখানে রাতুল আর ওর পরিবারের এতোকিছু হয়েছে সেটা ধ্রুব জানত না। মাইশাও বলে নি।। হয়তো বলার চেষ্টা করেছিল। বা পরে বলবে ভেবেছিল! নিজের উপরেই রাগ হচ্ছে ধ্রুবর। মেয়েটা এখন রেগে গিয়ে বিয়েটাই না ভেস্তে দেয়!

মাইশাও মাথাটা একটু ঠান্ডা করার চেষ্টা করছে। মেজাজটা খারাপ হচ্ছে রাতুলের উপরে আর ঝালটা ঝাড়ছে ধ্রুবর উপরে। কাজটা ঠিক হচ্ছে না। সে তো সবটা জানতো না। তবে এই মানুষটাকেও একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার৷ অতিরিক্ত মহৎ হওয়ার শিক্ষা। কাউকে একটা কল দিয়ে কলটা লাউডস্পিকারে রেখেছে মাইশা। পাশে থেকে ধ্রুব ওকে দেখছে।

-হ্যালো, রাতুল?

-মাইশু? দেখেছো বলেছিলাম না ধ্রুব ছেলেটা অনেক ভালো? ওকে আমি আমাদের কথাটা বুঝিয়ে বলেছি--। ও বুঝতে পেরেছে--। আর আমাদের মাঝ থেকে সরে যাবে প্রমিজ করেছে--। এখন আর কোন চিন্তাই নেই তোমার-----।

মাইশা আর ধ্রুব দুজনেই হা করে মোবাইল দেখছে একবার আর একবার একে অপরকে।

২২!! 

রাগ করে রাতুলের কলটা কেটে দিল মাইশা। মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই ছেলে ঠিকই বুঝতে পেরেছে হয়তো ধ্রুব ওর সামনে আছে। কিন্তু কিভাবে? সেটা পরে ভাবা যাবে। এখন ধ্রুব কি ভাবছে! ও কি ভুল বুঝছে? এসব ভাবতে ভাবতে মাইশা ধ্রুবর দিকে তাকালো। ধ্রুব মুখটা কালো করে মাইশার দিকে তাকিয়ে আছে করুণ মুখ করে।

-তুমি ওর কথা-----?

-বিশ্বাস করো মেঘপরী আমি সরে যাব একদমই বলি নি----। আমি ওকে বলেছি- তোমার সুখের জন্য আমি সবই করতে পারি--। 

-হুম? কি?

-সরি--সরি--সরি তো? আর হবে না----।

------------------------------

-যে মানুষ আমার কথাটাই তোমার কাছে প্যাঁচ লাগিয়ে বলতে পারে-তার কথা আরো একবার বিশ্বাস করার মতো বোকা আমি নই মেঘপরী--।

-আসলে----। রাতুল এমন করবে আমি কল্পনাও------।

-এতো কল্পনা করা লাগবে না। আমি সত্যি সরি---। আসলেই তোমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলেই হয়ে যেত--।

-উহুঁ---। একটু ওয়েট করো--। একটা কল করি---৷ 

-আই বিলিভ ইউ পরী---। তোমার কোন কিছু প্রুভ করতে হবে না--।

-একটু--?

-ওকে---।

কল লিস্ট থেকে রিধির নাম্বারে কল দিল মাইশা। এই মেয়েটা কখনো মিথ্যে বলবে না। আর ধ্রুবর মনে যদিও কোন সন্দেহ থেকে থাকেও সেটা আজই দূর করতে হবে। নইলে সামনে আরো কতো নাটক রাতুল করবে সেটার আর রিস্ক নেয়ার ইচ্ছে মাইশার নেই। দুবার কল হতেই কলটা রিসিভ হলো। কলটা লাউডস্পিকারে দিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছে মাইশা। পাশে দেয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে মাথা কাত করে ওর মুখ দেখছে ধ্রুব।

-ভাবি?

-কেমন আছো রিধি?

-আমার আর থাকা! তুমি কেমন আছো?

-আমি তো ভালো। কি হয়েছে রিধি? কাঁদছিলে কেন?

কথাটা বলার সাথে সাথেই ফোনের ওপাশ থেকে হু হু করে কান্নার শব্দ আসলো। মাইশা আর ধ্রুব দুজনেই মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো একে অন্যের।

-রিধি? ভাবিকে বলো প্লিজ কি হয়েছে?

-ওরা সবাই এতো খারাপ কেন ভাবি? তোমার সাথে ভাইয়ার বিয়েটা দিলো না টাকা, গাড়ি, সোফা, টিভি এসব দিতে পারবে না বলে--। আর আমার? তন্ময়ের বাবা মা এসেছিল--। ওদেরকেও অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে জানো? বলেছে ছেলে সিক্স ফিগার স্যালারি না পেলে বিয়ে কেন দিবে! এদের আর কতো চাই গো ভাবি? আমার খুশিটা এদের চাই না?

-রাতুল! রাতুল কিছু বলে নি?

-কি বলবে? তারও বোনের জন্য লাখপতি ছেলে চাই--। অসহ্য---।

-তন্ময়? তন্ময় ভাইয়ার সাথে তোমার যোগাযোগ হয় না? উনি কি বলেছে?

- ও কি বলবে! ওর বাবা এখান থেকে গিয়ে অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে জানো? আঙ্কেল আন্টি আমাকে কতো ভালোবাসে----। আন্টি তো বলেছিল উনার বিয়ের শাড়িটা পড়েই-------।

-কাঁদে না বাবু----।

-ভাবি----। তোমাকে ভাবি বলার অধিকারটাও তো নেই আমার--। তবু ভাবি ডাকলে তুমি আর ধ্রুব ভাইয়া রাগ করবা?

-না মনি---। রাগ করবো না। ধ্রুবও রাগ করবে না---। তুমি ধ্রুবর কথা ---।

-ভাইয়ার থেকেই শুনেছি--। সারাদিন তো এসবই আলোচনা হয় বাসায়। তুমি ওকে ছেড়ে ধ্রুব ভাইয়াকে বিয়ে করছো এটা ও কিছুতেই মানতে পারছে না--। ওর খুব ইগোতে লেগেছে----।

-রাতুলটা কেমন হয়ে গেছে যেন? ও তো কখনো এমন ছিল না রিধি?

-সপ্তাহ খানেক আগে এসে বললো তুমি নাকি ওরই হবে--। কি করে এসেছে--। সেই থেকে মহা খুশি-।

-রিধি--এসব বাদ দাও---। তন্ময় ভাইয়ার সাথে কথা হয় না তোমার?

-হয় তো--। আমি কি করবো ভাবি বুঝতে পারছি না---।

-ভাইয়ার নাম্বারটা আমাকে মেসেজ করো--। আমি দেখি কি করা যায়---। তুমি এতো কান্নাকাটি করো না তো একদম---। সব ঠিক হয়ে যাবে--।

-হুম----। বায় ভাবি--। 

-হুম----।

ধ্রুব রুমে এসে লাইট জ্বেলে আবার বারান্দায় এসে দেখলো মাইশা মোবাইল হাতে নিয়ে ভাবছে কি যেন। আজ আকাশি কালারের সুতার কাজ করা সাদা আকাশি কম্বিনেশনের একটা জামা পড়েছে মাইশা। আজও মেঘপরী লাগছে দেখতে। মুখের চিন্তা, বিরক্তি, রাগ সব একসাথে খেলা করছে। মেয়েটা এখনো রেগে আছে কিনা কে জানে! ধ্রুব কিছু একটা চিন্তা করে মাইশার হাত ধরে টেনে বারান্দায় রাখা চেয়ারটাতে বসিয়ে দিয়ে নিজে ফ্লোরে বসে চেয়ারের হাতলদুটো হাত দিয়ে আটকালো। মেয়েটা উঠে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে। 

-মাইশা? আ'ম সো সো সরি মেঘপরী। আর হবে না কখনো-।

-সরুন--। সন্ধ্যা হয়ে গেছে--। আমি ফিরবো এখন---।

-আমি দিয়ে আসবো তো পরী?

-লাগবে না---। আমি একাই চলে যাবো----। একা চলা শিখা উচিত আমার----।

-সরি তো?

-আর বাসায় বলে দিবেন বিয়েটা হচ্ছে না-------।

-এই না না না ---। প্লিজ প্লিজ? এই দেখো কান ধরছি----।

ধ্রুব চেয়ারের হাতল থেকে হাত সরাতেই মাইশা উঠে চলে যেতে লাগলেই ধ্রুব মাইশার হাত ধরে ফেলে উঠে চেয়ারটাতে বসল। তারপর মাইশাকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে মাইশার মুখটা দুহাতে তুলে ধরলো৷ মাইশা চোখ বড় বড় করে তাকালো ধ্রুবর দিকে।

-সরি তো পরী? আমার মেঘপরীটাকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলবো চিন্তা করে মাথা একদম ঠিক ছিল না--। সরি সরি? আর হবে না তো? এবারের মতো মাফ করে দাও প্লিজ?

-ঠিক আছে--। জীবনে আর যদি আপনার মহৎ হওয়ার শখ লাগে--।

-আরে! জীবনেও না---। আমার পরীটা শুধু আমার--। কাউকে দিয়ে দেয়ার কথা ভুলেও ভাবতে পারব না আর---।

-আমি যাব এখন--। আপনি----।

-এতোক্ষণ রেগে গিয়ে তো কি সুন্দর তুমি করে বলছিলে---। তেমনি বলো না? ভালো লাগছিল শুনতে--।

মাইশা মুখ নামিয়ে হাসলো। ধ্রুবও অবাক চোখে মাইশার হাসি মুখটা দেখছে। এই মূহুর্তে মনে হচ্ছে সে তার মেঘপরীটাকে সত্যিই নিজের করে পেয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন