আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

সাইকো ইজ ব্যাক - পর্ব ০৭ - সিজন ২ - সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি - ধারাবাহিক গল্প


লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি পড়ে বসে আছি বাথরুমের হাই কমেট এর উপর।। মুখ চেপে কেঁদে যাচ্ছি।। কিছু মুহূর্তে পাল্টে গেল আমার জীবন।। না চাইতেও হয়ে গেলাম মিসেস বারিশ রেহমান...!!
কি করার ছিল আমার? কিছুই না...!! হাত-পা বেঁধে দিয়ে ছিল বারিশ নামের নর পিশাচ।।কেন এমন করলো, আমার সাথে??  কিছু বুঝতে পারছি না।।মুখ চেঁপে কেঁদে চলেছি আমি..!! আর যাই হোক জোর জবরদস্তি করে বিয়ে করা গেলেও সম্পর্ক করা যায় না।।মন থেকে মানানো যায় না..!! হায় আল্লাহ এখন কি করবো আমি? পথ দেখাও আমায়...!! কিভাবে পালাবো এই হিংস্র মানুষটি থেকে?? হে! হিংস্র সে..!! তার এই ভাল মানুষ রুপির পিছনে যে এমন এক পশুত্ব আছে! জানা ছিল না আমার...!! 
তখনি খট খট করে ওয়াশরুমের দরজায় শব্দ হল।।
----মিসেস বারিশ...!!ওপেন দ্যা ডোর??আই সেইড ওপেন দ্যা ডোর...!! 
আমি ভয়ে উঠে দাড়িয়ে দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম।।বার বার তখন কার সেই হিংস্র রূপটা  মনে পরে যাচ্ছে।।
-----কুহু আমি ১-৩ কাউন্ট করবো! এর মাঝে তুমি বাহিরে না বের হলে....!!  তোমার ফ্যামিলির জন্য আই থিংক বেশি একটা ভাল হবে না।।

বারিশের কথা দৌড়ে দরজা খুলে বের হয়ে আসি।।এ লোকের ভরসা নেই...! সত্যি কিছু করে দেয়..!!
আমি বের হয়ে বললাম,,
----প্লিজ তাদের কিছু করবেন না...!!  আপনি যা বলবেন তাই হবে।।
বারিশ বাঁকা হেসে বললো,,
----ওকে..!! দেন খাটের উপর গিয়ে বউের মত ঘোমটা দিয়ে বসে পর..!! গো..!!
আমি অসহায়ের মত তার দিক চেয়ে রইলাম।।সে আবার ধমক ছাড়লো আমি দৌড়ে খাটের মাঝে ঘুমটা টেনে বসে পড়লাম।।বুক টা ধুকপুক ধুকপুক করছে খুব।।ভয়ে বার বার লোম খারা হয়ে যাচ্ছে।।বারিশ এবার আমার পাশে বসলো।।তারপর ঘুমটা উঠিয়ে থুতনির নিচে এক আঙ্গুল দিয়ে উঁচু করলো আর বলল,
----মাশাআল্লাহ...!!  আমার পিচ্চি বউ টাকে সত্যি বউ বউ লাগচ্ছে এখন মন চাইছে এখনি খেয়ে ফেলি।।কি বউ খাওয়া শুরু করি।।
আমি রাগে দুঃখ চুপ করে চোখে জল বিসর্জন দিতে লাগলাম।।মেয়েরা এই জিনিসটাই পারে..!!  কারণে অকারণে চোখে জল ফালতে।।

বারিশ আমাকে অনেকক্ষণ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলো।।তার পর আমার গালে তার ঠোঁট ছোঁয়ালো আলতো করে।।তার পর অন্য গালে।।তারপর নেমে এলো আমার গলায় যেখানে গারো ভাবে চুমু খেতে লাগলো।।তার স্পর্শে কেঁপে উঠছি।।মনের মাঝে, শরীরের আলাদা শিহরণ দিয়ে উঠছে।। আমি খাটের চাদরে খামচ্ছে ধরে আছি।।শ্বাস নিশ্বাসের গতিবেগ বেরে যাচ্ছে আমার।।কিছুক্ষন পর বারিশ গলা ছেড়ে আমার কাধ থেকে ব্লাউজের হাতা নামিয়ে সেখানেও চুমু খেল কিছুক্ষন তার পর কুটুস করে কামর বসিয়ে দিল।।আমি"আহ" করে চিৎকার করে উঠালাম।।সাথে সাথে বারিশ দাঁত কেলিয়ে বলল,,
---নতুন বউয়ের গায়ে লাভ বাইটের চিন্হ থাকলে সে কেমন বউ..!  মানুষ বুঝবে কেমনে আমি তোমাকে আদর করেছি..?? তাই লাভ বাইট দিচ্ছি।।
আমি তার কথা শুনে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলাম।।বেটা বলে কি এসব..!!
 
তখনি বারিশ আমাকে শুয়ে দেয়..!!
আমার দিকে উবু হয়ে ঝুকে শাড়ির আঁচলে হাত দেয়।।এবার আমি মিনতির সুরে বলতে লাগি,,
----প্লিজ স্যার..!!  আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন না।।
বারিশ আমার গালে স্লাইড করে বলতে লাগে,,
----চিন্তা করছো কেন..মিসেস বারিশ...!! তোমার সর্বনাশ তোমার বরটাই তো করছে।।এটার অধিকার আছে আমার।।সোজা ভাবে দিলে ভাল নয়ত রেপিষ্ট হতে আমার অপত্তি নেই।।এর জন্য কেশ ও হবেনা।।বলে আমার শাড়ির আঁচল শরীয়ে দিল।। কিছুক্ষণ ওভাবেই চেয়েই রইলো।।আমি লজ্জায় আমার মুখ ঢেকে ফেলি সে তার দুহাত দিয়ে আমার মুখ থেকে দুহাত সরিয়ে দেয়।।আর বলতে লাগে,,
----লজ্জা পাচ্ছো কেন?? পরতো কেউ দেখছেনা তোমাকে তোমার বর দেখছে।।আদারোয়াইজ হক আছে আমার তোমার উপর, তোমার শরীরের উপর। 
আমি এবার ডুকুরে উঠলাম তাতে যেন তার ভ্রুক্ষেপ নেই।।তিনি আমার বুকে মুখ গুঁজলেন।। আর লাভ বাইট দিতে লাগলেন।।আমি প্রতিবার মুচড়া-মুচড়ি করছি তাকে সরাবার জন্য কিন্তু পারছি না সে আরো চেপে ধরছে।।তার প্রতিটা কামড়ে ব্যথায় "আহ" করে শব্দ বের হয়ে আসচ্ছে মুখ থেকে।।আমি আর সইতে পারছি না।।এমন অত্যাচার।। সত্যিই কি বিয়ে নামক সম্পর্ক সব অধিকার পেয়ে যায়...!! মনে অনুভুতি বলতে কিছু নেই...!! আমার চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছু নেই..!! এটা কেমন বিয়ে...??

কিছুক্ষণ পর টের পেলাম আমার বুকে বারিশের ভারী নিঃশ্বাস পরছে..!! মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে গেছে। শান্তির ঘুম।।কিন্তু আমার যে দু চোখে ঘুম নেই...!! চোখ দিয়ে গড় গড় করে পানি পরতে লাগলো,, মনে পড়লো তখনের কথা...!!

----আপনি...!!
----হুম আমি কুহু..!!
----স্যার আপনি আমাকে এভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন?
বারিশ যেন আমার কথা কানে নিলেন না ডিরেক্ট বললেন,,
----কিছুক্ষণের মাঝে আমাদের বিয়ে কুহু..!!গেট রেডি ফর মিসেস বারিশচ রেহমান..!
বারিশের কথায় আমি চোখ বড় বড় করে বললাম,,
----কি যাতা বলছেন আপনি..!! ছাড়ুন আপনি আমায়..!! আমি বাসায় যাবো এখানে আে এক মুহুর্তও না..!!
----তুমি যেতে পারবেনা কুহু..!!যেখানে এখন তুমি আছো..এখান থেকে তুমি আমার অনুমতি ছাড়া বের হতে পারবে না।।
কি করব, কি বলব, এ মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারছি না।।তার কথার আগা মাথা কিছুই মাথায় ঢুকছে না।।আমি বললাম,,
----স্যার এমন কেন করছেন?? কি করেছি আমি..!!
হুট করেই স্যার আমার কাছে এসে ওড়নাটা টান মেরে ফেলে দিয়ে আমার গলার কাছে কিছুটা জামা নামিয়ে চুমু দিলেন অার সেই জায়গায় ঘ্রান নিতে লাগলেন।।তার এমন কাজে কেঁপে উঠলাম আমি।।সাথে সাথে স্যার বললেন,
----প্রথম দিন তোমাকে দেখেছিলাম ওয়াশরুমে নীল পরি লাগচ্ছিল তোমাকে।।প্রথম দেখাতে লাভ করে ফেলেছি।।আর তাই সেদিন কান্ট্রোললেস হয়ে তোমাকে স্পর্শ করে বসি..!! তারপর থেকে লোক লাগাই তোমার পিছনে।।আর ভাগ্যবশত তুমি আমার পি এ..!!  যার জন্য তোমাকে পাওয়া সহজ হয়ে যায় আমার।।
বারিশের কথায় আমি হতভম্ব হয়ে যাই।।কি বলছেন তিনি এসব...!!
আমি নিজেকে সামলে বললাম,,
--- আমি বিয়ে করবো না।।
স্যারের খট করে রাগ উঠে গেল, কপালের রগ খুলো দাড়িয়ে গেল, সাথে সাথে তার চোখ গুলো জ্বলন্ত শিখার ন্যায়।। তিনি আমার গাল চেঁপে ধরে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে উঠলেন,,
----তুই করবি না..তোর ঘার করবে..!!ভালয় ভালয় রাজি হয়ে যা..!! আমার ভয়ানক রূপটা দেখাতে বাধ্য করিস না..!!
আমি তার এ অবস্থা দেখে আর ভয় পেয়ে যাই।।আর কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলি,,
-----আমি আপনাকে ভয় পাই না...!!যা ইচ্ছা করেন আমি বিয়ে করবো না...!!
তিনি আমার কথায় রহস্যময় হাসি দিলেন,,
আর বললেন,,
----ওকে....!! সি ইট..!  বলে সামনের দেয়াল টিভি ওন করে দিলেন,,
যা দেখে আমি অবাক...!! আমার ছোট খাট পরিবার..!!
তখন বারিশ আমার পিছনে এসে আমার গলায় চুমু দিয়ে কানের তাছে বলতে লাগে,,
-----কুহু মুন্তানীসার নতুন বিয়ে হয়েছে তাই না..!!ল্প বয়স..শুনেছি খুব ভালবাসে তাকে..! আচ্ছা তার জামাই যদি পরলোক গমন করে তাহলে কেমন হয়..!! আমি চোখ বড় বড় করে তার দিক তাকিয়ে সে একটা স্মাইল করে বলে বলে,,
----না মানে যদি লাল শাড়ির বদলে সাদা শাড়ি আপন করতে হয়..!! কেমন হবে ব্যাপার টা??
আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো।।তারপর আবার আমার মাথা ঘুরিয়ে টিভির স্ক্রীনের দিকে ফিরিয়ে বলল,,
----আচ্ছা তোমার রাহুল ভাইয়ার ওয়াইফ মা হতে চলেছে..!!  তাই না..!! আচ্ছা পৃথিবীতে আসার আগেই বাপকে হাড়ালে..!! আচ্ছা তাউ ছাড়ো..!! তোমার মিরাজ মামা মেয়র তাই না..!! সে যদি আর না ফিরে..!!আচ্ছা সব বাদ দিলাম...! যদি তোমাদের পুরো বাড়িতে বোম ফিট করে দেই..!! তাহলে সবাই ভুম....!! 
আমি আর সইতে পারলাম নাহ...!! 
----নাহহহহ!! প্লিজ এমন করবেন না..!! আমি রাজি সব করতে রাজি যা আপনি বলেন।।বলে কাঁদতে লাগলাম।।
তখন তিনি আমার পাশে বসে কপালে চুমু খেয়ে বললেন,,
----ওকে আমার লক্ষিটি তুমি যা বল..!!বের হয়ে যায় সে..!! 
কিছুক্ষণ পর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়...!!

—————

নিজেকে আয়নায় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখায় ব্যস্ত বারিশ।।আজও চুলের নিচে কিছুটা কাটা দাগ রয়ে গেছে।।যা সাত বছর আগের ওই অ্যাক্সিডেন্টের চিন্হ।।অথচ কি আশ্চর্যের বিষয় ঘটনার কোনো কিছু মনে নেই তার...!!  না আছে সাতটা বছরের আগের কোনো কথাই তার মনে নেই..!! 

যা মনে আছে সব যেন কেমন ধোয়াশা।। যখনি ৭ বছর আগের কথা মনে পরে...সাথে সাথে মাথা চাপ পরে জ্ঞান হারায় বারিশ..!! কি হয়েছিল সাত বছর আগে কিছু মনে করতে পারে না আর। তাই ডাক্তার তাকে বারণ করে দেয় মাথা পেশার না দিতে..!!তাই আর কখনো তার অতীত সম্পর্কে ঘাটা হয়ে উঠেনি..!! সে যখন সুস্থ হয়েছিল, তখন শুধু তার দাদু বলেছিল তুমি আমার নাতি।।সে থেকেই তার পরিচয় এটাই সে বারিশ রেহমান।।কিন্তু তাতে যেন সে অসন্তুষ্ট, নিজের এই পরিচিতি নিয়ে বরাবরি সন্দিহান।।

বারিশের যখন এক্সিডেন্ট কারণ জানতে চায় দাদুর কাছে তিনি বলেছিলেন, 
---তুমি ছিল অন্ধকার রাজ্যের রাজা, বা মাফিয়া।।যার জন্য বিরোধী দলের লোকেরা তোমায় মারা প্লেনিং করে তোমার গাড়ির ব্রেক ফেল করিয়ে ছিল।।সেদিনের পর থেকেই সে সেই পথেই চলে যাচ্ছে।।

বারিশ এবার খাটের কাছছে যায়।।
যেখানে গুটিশুটু মেরে শুয়ে আছে তার কুহু..!!
কি মায়া এই বাচ্চা মেয়েটির মুখে..!!সেদিন একজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিল বারিশ রেস্টুরেন্টে সেখােই দেখে ছিল প্রথম কুহুকে..!! সাথে সাথে বুকের বাম পাশটা ধুকপুক ধুকপুক করতে শুরু করে।।কুহুর মায়াময় মুখ খানা দেখে মনে হচ্ছিল তাকে জনম জনম ধরে চিনে...!!চেয়েছিল প্রতিটা মুহুর্ত...!!

 কুহুকে সেদিন ওয়াশরুমে দেখে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিল বারিশ...!! তাই না চাইতেও কুহুর খুব কাছে চলে যায় সে...!! ভালবাসার পরশ এঁকে দেয় তার গলায়...!!

সেদিনের পর থেকে কুহুকে সম্পর্কে খোঁজ করতে থাকে সে...!!সব কিছু তখন ধোয়াশা হয়ে উঠে বারিশের কাছে যখন সে জানতে পারে কুহুর পরিবারের কথা...,,কারণ কুহু নিজেও সব সত্য থেকে অবগত নেই..!!বারিশ তখন জান্তে পারে,,  কুহুর বড়মামা তার সম্পত্তির লোভে তার মা -বাবাকে খুন করে ওকে এতিম করে দেয়।।যখন কুহুর এসব তার ছোট মাথা জানতে পারে, তখন তাদের ও মেরে ফেলেন তিনি এমন কি নিজের মাকেউ...!!

কিন্তু কুহুর ইউসুফ ভাইয়ের তেমন খবর নিতে পারেনি বারিশ,যতটুকু যেনেছে ইউসুফের কার এক্সিডেন্ট হয়,,কিন্তু তার লাশটা আজও পাওয়া যায়নি...!!কুহুকেউ তার মামা উতপাত খুঁজতো মারার জন্য...কারণ কুহু ২২ বছর পরতেই কুহুর সব সম্পত্তি কুহু পেয়ে যাবে।।এর আগে কুহুর বিয়ে হলে কুহুর বরের নামে হয়ে যাবে...!!কুহুর ২২ বছর হতে আর দু দিন বাকি...!! কুহুকে বাঁচানো টাই যেন বারিশের কাছে সর্বপ্রথম কাজ।।কারণ মানুষা আর যাই করুক সত্যি কারের ভালবাসাকে হারাতে চায়না।।

তাইতো সেদিন মিটিংয়ের বাহানায় এই খান নিয়ে আসে আর জোড় করে বিয়ে করে নেয়।।কারণ বারিশ ভাল করে যানে কুহুর মনে তার ইউসুফ ভাইয়াই বিচরন করে।।যেখানে সে চাইলেও নিজের জন্য জায়গা করতে পারবে না...!! তা বারিশ ভালই বুঝতে পেরেছে এ কদিনে, কারণ যতবার সে রাতের বেলায কুহুর কাছে গিয়েছে বেচারা কুহু বারিশের ছোঁয়ায় ইউসুফ ভেবে ডুকুরে উঠে কেঁদেছে।।প্রথম রাগ লাগতো বারিশের কাছে, এটাই স্বাভাবিক ভালবাসার মানুষটির মুখে কখনোই অন্য কারো নাম শুনতে পারে না কেউ, তখন মনে পুরো দুনিয়া উল্টে পাল্টে দিতে...!! 

যখন যেনে ছিল ইউসুফ নামের লোকটি নিখোঁজ তখন বারিশ খুশি হয়ে ছিল খুব..!! আবার কুহুর যখন ইউসুফ ভেবে আকরে ধরতো ঘুমের মাঝে তখন বারিশের মনে হত সব সুখ এখানেই কুহুর বুকে...!!এই একটি জায়গায় যেন এসে তাকে ইউসুফ হয়ে যেতে...!!

কুহুর ঘুমুন্ত চেহারা দেখে এসব ভেবে ছোট শ্বাস ছাড়লো বারিশ, তখন চোখ গেল কুহুর পায়ের কাছে,, কুহুর পায়ের কাপড় হাঁটু অব্দি উঠে গেছে, কুহুর পায়ে একটি লাল তীল, যা বারিশকে এই মুহুর্তে খুব বাজে ভাবে মাতাল করে দিচ্ছে,, শুকনো ঢুক গিললো বারিশ,, মনের অজানতেই কুহুর পায়ের কাছে বসে পরে সে,,বাম হাত দিয়ে স্লাইড করতেই সেখানে কেঁপে উঠে কুহু ঘুমের মাঝে।।

বারিশের এখন সব বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে, মাথায় শুধু একটি কথা বলে যাচ্ছে,,
-----কুহু তো তোর! কুহুর সব তোর! কুহুর মন তোর, কুহু প্রতিটা অঙ্গ তোর, এমন কি পায়ের সেই তিলটিও তোর,, কারণ কুহু তোর অর্ধাঙ্গিনী...!!

বারিশ তাই করলো তার নরম গোলাপি ঠোঁট ধারা সুন্দর তিলটিতে চুমু খেতে লাগলো,,প্রথমে ধীরে খেলেও তার গতি বেগ বেড়ে গেল ।। বারিশ এবার গভীর চুমু দিতে লাগলো।।বারিশের কাছে মনে হচ্ছে  সে নেশা গ্রস্ত,  এই মুহুর্তে যদি এই তিলটিতে স্পর্শ করতে না পারলে তার জীবন ব্যর্থ...!! বারিশের মনে হচ্ছে এটি কোনো সুস্বাদু খাবার।। 

বারিশের চুমু এক সময় কামরে পরিনিত হয়।।ঘুমান্ত কুহু চিৎকার করে উঠে বসে,  তার পায়ের কাছে বারিশকে দেখে ঘাবড়ে যায় সে,, তখন বারিশ পাগলের মত চুমু, কামড় দিয়েই যাচ্ছে...!! কুহুর এমন পরিস্থিতিতে কেঁপে উঠছে বার বার।।মনের মাঝে আলাদা অনুভুতি দোলা দিচ্ছে,, সহ্য করার ক্ষমতা যেন নেই তার সাথে সাথে ঝাটকা মেরে পা সরিয়ে কিছুটা চিল্লিয়ে বলে উঠে,,,
-----কি করছবন আপনি?. ছাড়ুন...!!

কুহুর এভাবে পা সরিয়ে ফেলায় রাগ উঠে যায় বারিশের...!! রাগে নাক মুখ লাল করে চেয়ে থেকে বের হয়ে যায় বারিশ।।কুহু হতভম্ব হয়ে গেল,,আর ড্যাবড্যাব  করে চেয়ে  রইলো বারিশের যাওয়ার দিক.....!!
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।