সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বাসায় আসে কুহু।জবেদা আর পল্টু কিছুক্ষণ আগেই বাসায় ফিরেছে।মেয়েকে এভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে ছ্যাত করে উঠে বুকে।কি হাল তার মেয়ের? মাকে পেয়ে আরো কেঁদে দেয় কুহু ঝাপটে ধরে।জবেদা মেয়ের এই হাল দেখে বিচলিত হয়ে জিগ্যেস করেন,,
---মা তোর কি হইছে? এমন হাল কেন তোর?? কিছু হয়েছে??
কুহু হেচকি তুলে কেঁদে বলতে লাগে,,
---মা আমি আর ভার্সিটিতে যাবো না? আমায় অন্য ভার্সিটিতে ভর্তি করে দেও। এখনে আমার থাকা সম্ভব না। প্লীজ মা।
কুহু কেঁদেই যাচ্ছে আর এসব বলে যাচ্ছে। জবেদার ভাবচ্ছে কোনো অঘটন ঘটেনিতো তার মেয়ের সাথে? তিনি মেয়ের চোখ মুছে সোফায় নিয়ে আদুরে কন্ঠে বললেন,
---মা বস এখানে। কি হয়েছে আমাকে বল? কেউ কিছু বলেছে তোকে??
কুহু কি বলবে? বুঝতে পরছে না। তার মাকে সে কিভাবে বলবে যে ভরা ভার্সিটি সবার সামনে তার মেয়েকে সেই ভার্সিটির ক্রাশ, বড় ভাই সবার সামনে চুমু খেয়েছে। কিভাবে বলবে? এটা ভেবেই ফুপিয়ে কেঁদে দিল কুহু। জবেদা বুঝলেন খারাপ কিছু ঘটেছে! কিন্তু কি তা কুহুকে জিগ্যেস করলে জানতে পারবে না। তাই আর জিগ্যেস না করে মেয়েকে রুমে নিয়ে চলে গেলেন।এবং ফ্রেস করিয়ে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।
________
রুমের মাঝে একটি জিনিস আস্ত নেই। হকি স্টিক দিয়ে সব কিছু ভেঙ্গে গুরো করে দিচ্ছে ইউসুফ।বাম হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে ।রাগে শরীর জ্বলছে। কি করলো সে? ভার্সটিতে সবার সামনে তার প্রিয় মানুষটিকে অপমান করলো সে? কিভাবে পারলো?কিন্তু ও তো কাজটাই এমন করেছে?ও অন্য কাউকে কি করে চুমু খেতে পারে? হাউ ডেয়ার সি? তার উপর আমার সাথে তর্ক করে? পুলিশের ভয় দেখায়? রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে আয়নার সামনে দাড়ায় ইউসুফ আয়নার দিক তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠে,,
---আমি তোমাকে ছাড়বো না বাবুইপাখি কখনো না? কিছু দিনের মধ্য তুমি থাকবে আমার বাহু ডোরে।
বলেই কাঁচের মাঝে বাড়ি মারে জোরে। সাথে ঝন ঝন শব্দ হয়ে খন্ড বিখন্ড হয়ে গেল মুহুর্তেই। বাহির থেকে ইউসুফের দাদু দরজা ধাক্কা দিচ্ছে! কিন্তু ইউসুফকে দরজা খুলতে না দেখে দৌড়ে গিয়ে ফোন করলো কুহুর বাবা আরিফ সাহেবকে।
ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছুটে আসেন ইউসুফের বাবা-মা।এবং ছেলেকে সামলাতে লাগলো!!
______
আজ দু দিন যাবৎ ভার্সিটিতে যায় না। কুহুর মা এ নিয়ে তারেক হাসানের সাথে কথা বললেন। আর ঠিক করলেন মেয়েকে কিছুদিনের জন্য দাদু বাড়ি পাঠাতে।তাহলে মাইন্ড ফ্রেস হবে।আর যদি এখানে না থাকতে চায় ওকে ময়মনসিংহে ভর্তি করে দিবেন।যেহেতু তাদের যেতেই হবে ফিরে কারণ কিছুদিন পর ট্রান্সফার হবে তারেক হাসানের ময়মনসিংহে।কুহু ব্যাগ গুছিয়ে রেডি।সকালে বের হবেন সে।
এদিকে চার দিন যাবত কুহুকে না দেখে পাগল হয়ে যাচ্ছে ইউসুফ। মনে শান্তি পাচ্ছে না আর।তাই তানিয়াকে জিগাসা করলো,,
---কুহু কই? ওই আসচ্ছে না কেন??
তানিয়া মুখ অন্ধকার করে বলল,,
--- আমি জানি না!
---আমি জানি তুমি জানো! প্লীজ টেল মি। ঠান্ডা গলায় বলল।
তানিয়া চুপ। ইউসুফের রাগ উঠে গেল, নিজেকে সামলে বলল,
---তোমরা বয়ফ্রেন্ড কি যেন নাম? উম হুম নাফিজ! আচ্ছা ও তো ঠিক নটায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে তাই না। আচ্ছা হঠাৎ যদি কোনো ট্রাক এসে মেরে দেয়? জানে মারবে না! হাত পা ভাঙ্গবে! আর মরলে মরে যাবে ডোন্ট কেয়ার! তোমারও উচিত না কেয়ার করা।
ইউসুফের কথায় আত্মকে উঠলো তানিয়া। কি করবে সে? এক দিকে বান্ধবি আর এক দিকে ভালবাসা।কোনটা বেঁছে নিবে সে? তানিয়ার ভাবার মাঝে ইউসুফের কন্ঠ আবার শুনা গেলে,সে ছল ছল চোখ বলে উঠে,,
---ও দাদু বাড়ি গেছে। সেখানেই থাকবে। আর আসবে না। দু দিন পর তার পরিবারো চলে যাবে।
তানিয়ার কথায় ইউসুফে পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেল। রাগে মাথা ব্যথা করছে তার।কত সাহস এই মেয়ের? সেখান থেকে বড় বড় পা ফেলে ভার্সিটি ত্যাগ করলো সে।
_______
দাদু বাড়ি এসে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেছে তার। বাসায় জানিয়েও দিয়েছে সে আর ফিরবে না ঢাকা। এখানেই সি বি এস টিতে ভর্তি হবে সে।বাবাও সায় দিলেন। মেয়ের সুখেই বাবার সুখ।
কুহু দাদু ময়মনসিংহে একা থাকেন। এখানে দাদুকে দেখা শুনার জন্য একটা কেয়ার টেকার আছেন।কুহু আসাতে অনেক খুশি সে।বিকেলের দিক দাদুর সাথে কথা বলে সন্ধ্যা নিজের রুমে আসে সে। ফোনটা রুমেই রেখে গেছিল সে। ফোনের উপর লাল লাইট জ্বলতে দেখে ফোন হাত তুলে সে। হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও এসেছে।সেই আননোন নাম্বার থেকে। সাথে সাথে ভয়টি জেঁকে বসলো তার। আজ এত দিন পর এই নাম্বার দেখে কাঁপতে লাগলো হাত পা। কাঁপা কাঁপা হাতে ভিডিও টা ওপেন করতেই হাত থেকে ফোনটা পরে গেল তার। দু পা পিছিয়ে গেল সে। আর মুখে হাত চেপে কান্না করদে লাগলো সে! সে খানেই ধপ করে বসে পড়লো সে। আবার কি নতুন বিপদ আসতে চলছে তার জীবনে????????
—————
মাথা উপর ফ্যান টা ধাড়াম ধাড়াম করে ঘুড়চ্ছে। খাটের সাথে হেলে চোখ বন্ধ করে আছে কুহু।বন্ধ চোখ জোড়া দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে টপ টপ।চোখ মুখে ফুলে লাল হয়ে আছে তার।ভার্সিটিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা ভিডিও করা হয়েছে।লোকটি তাই পাঠিয়েছে। কিন্তু কেন? আর এই লোক চায় কি তার কাছে??? কেন এই ব্যক্তি পিছনে পড়চ্ছে?ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়।
ঘুমের মাঝে কুহু অনুভব করে, কেউ তার ঘরে হাটাহাটি করছে। ছোট করে চোখ মেলে তাকায় কুহু ভয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে কুহু। মনের ভুল ভেবে চোখ কচলে নেয় সে। নাহ্ ভুল নয়।তার সামনের সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে একটি হুডি পড়া লোক। চিন্তে ভুল হচ্ছে না এ যে সেই লোক যাকে কুহু দেখতো। কুহু ভয়ে পিছয়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,,
---ককককে আপনি? কথা বলছেন না কেন??
লোকটি সেই আগের ভঙ্গীতে বসে। ভাব দেখে মনে হচ্ছে কুহুর কথা শুনতে পায়নি সে।কুহু আবার জিগ্যেস করলো,
---ক ক কথা বলছেন না কেন??
লোকটি নিশ্চুপ। কুহুর মনে হচ্ছে এ লোকটিকে এখন রড দিয়ে বাড়ি দিলে কেমন হয়। কুহুর খাটের পাশেই রাখা একটি লোহা রড। কুহু আলতো পায় বিছানা থেকে নেমে লোহার রডটি হাত নিয়ে ঘুড়তেই মুখ বরাবর সেই লোকটিকে দেখে চকে যায়। আর রডটি মাটিতে পরে যায়।লোকটি তা দেখে হাসে। শব্দ করে হাসে। হাসিটি খুব সুরালো। কুহু তাকিয়ে রইলো। সাথে ছোট শুকনো ঢুক গিললো।
লোকটি এবার ফিস ফিস করে বলল,,
---আমাকে মারতে চাও তুমি? আমাকে মারা এত সহজ নয় বাবুইপাখি??
বাবুইপাখি নামটি শুনে আরো চমকে যায় কুহু। ভয়টা আরো ভাল করে জেঁকে বসে তার। পুরনো স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে আরো। চোখের জল তার বাঁধ মানে না। লোকটি এবার দু কদম আগালো।কুহু মুখে কিছু বলতেই পারছে না। গলায় যেন কথা আটকে গেছে তার।সে ব্যক্তিটির তার দিক আগাতে দেখে আরো দু কদম পিছিয়ে গেল।লোকটি আরো দু কদম আগালো। কুহু আরো পিছাতে গিয়ে দেয়ালের সাথে লেগে গেল।লোকটি এবার মুখো মুখি দাড়ালো। দুজনের মাঝে ১ ইঞ্চি ফাক রয়েছে। কুহু চোখ বন্ধ করে আছে খিচে।দু হাত মুঠ করে আছে জামার সাইডে।তখন লোকটির কন্ঠ কুহুর কানের কাছে মুখ নিয়ে আবারো ফিসফিস করে বলল,
--বাবুইপাখি! এতটুকুতেই শকড? আরো যে শকড বাকি আছে তোমার জন্য? তাকাও আমার দিকে।
কুহু তাকায় না। ভয়ে শরীর অসাড় হয়ে আসচ্ছে। কুহুকে না তাকাতে দেখে লোকটি রেগে যায়। আর হুংকার ছাড়ে। সাথে সাথে চোখ মিলে তাকায় কুহু।বাহিরের লেম্প পোস্টের আলোয় ঘড়ে কিছুটা আলোকিত হয়ে আছে।তাতেই দেখতে পাচ্ছে ব্যক্তিটিকে লোকটি তার সানগ্লাস খুলতেই বেড়িয়ে এলো দুটো বিলাই চোখ। চমকে গেল কুহু। এ চোখ যে তার চেনা! কিছুক্ষণ পর লোকটি মুখে মাস্ক খুলতেই, সাথে সাথে ২৪০ ডোল্ডের শকড খায় সে। এই যে ইউসুফ।
কুহু সাথে সাথে ঢলে পরে ইউসুফের বুকে! ইউসুফও আগলে নেয় তার বাবুইপাখিকে।কোলে করে বিছানায় শুয়ে দেয় তাকে।চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া পানি গুলো মুছে দিল ইউসুফ। মুচকি হেসে তার বাবুইপাখি মাথায় ভালবাসার স্পর্শ করে সে।আর বিড়বিড় করে বলে উঠে,,
---আমাকে দেখেই এই হাল বাবুইপাখি! তাহলে সারাটা জিবন কিভাবে কাঁটাবে আমার সাথে হুম বলোতো?এত ভয় পাও আমায়! তাহলে কেন পালালে আমার থেকে দূরে? তুমি কি জানো না? তোমার ইউসুফ ভাইয়া না তোমাকে সেকালে ছেড়েছে না একালে ছাড়বে!মুচকি হেসে গালে স্লাইড করতে করতে বলল সে।
ইউসুফ এবার উঠে পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাস এনে সেখান থেকে কুহুর মুখে পানি ছিটা দিল।কুহু পিট পিট করে চোখ খুলে ইউসুফকে পাশে বসে থাকতে দেখে উঠ পরতে নিল।ইউসুফ সাথে সাথে বাহু জোড়া খাটের সাথে চেঁপে ধরে স্লো ভয়েসে বলল,,
---শুয়ে থাকো বাবুইপাখি। আমি কিছু ইম্পর্টেন্ট কথা বলছি মনোযোগ দিয়ে শুনো।আজতো বুঝতে পারছো আমি তোমার পিছন কখনো ছাড়বো না। সো সাজা কথা কাল ঢাকা চলে আসবে আই মিসড ইউ।আর খুব জলদি তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো কেমন?আমার কথার যেন হের ফের না হয়। যদি হয় ছোট বেলার কথা মনে করে নিয় কেমন? আজ চলি! আর হে ডবল ক্রস করো না আমায়, তাহলে তোমার ফ্যামিলির জন্য ভাল হবে না! তার সাথে ভার্সিটিতে করা আমাদের রোমান্টিক সীন ভাইরাল হয়ে যাবে।বলে গালে চুম খেলে ইউসুফ। কুহু এতখন পুতুলের মতো চুপ করে শুনলেও এ কাজে রাগ উঠে যায় তার। নিজের উপর থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় ইউসুফকে ইউসুফ খাটের উল্টোপাশে হেলে পরে।কুহু তাড়াতাড়ি খাট থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ার টেবিল থেকে কাঁচি নিয়ে তেরে এসে বলল,,
---অনেক সহ্য করেছি আর আজ আপনাকে মেরে ফেলবে।ছোট থেকে জ্বালাচ্ছেন আপনি আর নাম না থাকবে বাশি না বাজবে সুর।
বেডে পরে থাকা ইউসুফ মাথার নিচে এক হাত দিয়ে আরাম করে শুয়ে কুহুর দিক তাকিয়ে কথা গুলো শুন্তে লাগলো। আর মুচতি মুচকি হাসতে লাগলো।যেন কুহু তাকে মুধুর কন্ঠে গান শুনাচ্ছে। কুহুর ইউসুফে এই কাজে আরো রেগে গেল এবং ইউসুফের দিকে ঝুকে যেই না ইউসুফের বুকে কাঁচি ধারা আঘাত করতে নিবে তখনি ইউসুফ টান দিয়ে কুহুকে নিচে ফালিয়ে দেয়।ইউসুফের এমন আক্রমণে হতভম্ব কুহু। যখন বুঝতে পারলো কি হলো সাথে সাথে কাচি দধারা আঘাত করতে নিল।তখনি ইউসুফ বাঁকা হেসে কুহুর হাত চাঁপ মারতেই কুহু কুকিয়ে উঠে কাচি ছেড়ে দিল।কিন্তু ধস্তাধস্তি হতেই থাকলো। ইউসুফ এবার তার এক হাত কুহুর দুহাত চেঁপে ধরে আরেক হাতে গাল চেপে ধরে বলল,,
---ও হো! ঝাসি কি রাণী ! হুম! ওরে আমার জংলি বিল্লিরে ভুলে কেন যাও তোমাকে কাবু করতে আমি একাই একশ।এসব ছুড়ি টুড়িতো দূর্বলদের কাজ। আমাকে ঘায়েল করতে তোর এই দুটো চোখই যথেষ্ট বাবুইপাখি! একবার ভালবাসার চোখে চেয়েই দেখ না। কেমন আহত হয়ে যাই?
কুহুর রাগ লাগচ্ছে। রাগে কান্না চলে আসচ্ছে কিন্তু সে কাঁদবে না। তাহলে কে দূর্বলদের দলে পরে যাবে।কুহু রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে,তা থেকে ইউসুফ হাসলো।শব্দহীন হাসি। যেই হাসিতে শত শত মেয়ে পাগল। কুহু ও ছিল।কিন্তু তখন জানত না এই লোকটি নিজেই তো পাগল। এক নং সাইকো।
কুহু বলল,,
---আপনার মতো পাগল, সাইকোর দিকে আমার ছায়াও না তাকায়। শুনে রাখুন পাগলরা পাগলি থাকে তারা কখনোই সুস্থ দলের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইউসুফের কপাট রাগ উঠে পরে। কুহুর গাল এবার জুড়ে চেঁপে ধরে।যাতে কুহু আহ্ করে উঠে,সে দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,
---আর একটা বার যদি পাগল বলেছো আই সয়ের তোমাকে আমি এমন কিছু করবো যা তোমার সহ্য হবে না।সো কুয়াইট!
ইউসুফের এমন ভাবে চেপে ধরাতে গাল কুহু কিছু বলতে পারছে না। রাগ যেন তারো চেপে যাচ্ছে।সে এবার ইউসুফের মুখে থুতু ছুড়ে মারে। এতে ইউসুফের রাগ চরম হয়ে উঠে, চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে সাথে সাথে, যখন চোখ দুটো খুলতেই কুহু দখতে পায় লাল দুটো চোখ।সাথে সাথে হয়ে যায় কঁপালের রগ ঘারের রগ দাড়িয়ে যায়। কুহু এবার ভয় পেয়ে যায়।যা তার চোখে মুখে স্পষ্ট। ইউসুফে এই ভয়ানক রূপ দেখে নিজেকে নিজেই থাপর মারতে ইচ্ছে করছে তার।ইউসুফ এবার শীতল কন্ঠে বলল,,
---এখন যা হবে তার দায়ী তুমি কুহু!
বলে কুহু ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়, চুমু নামক অত্যাচার শুরু চলতে থাকে কুহুর ঠোঁটে। ইউসুফ যেন কামড়ে ঠোঁটে নরম গোশত তুলে নিচ্ছে। কুহুর চোখ দিয়ে গলগল করে পানি পড়ছে। নিজেকে চেয়ে ছাড়াতে পারচ্ছে না সে!