আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১৬ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


"" আন্টি আঙ্কেল কোথায়..?"

"" তোমার আঙ্কেল অফিসে রাতে ফিরবে..""

"" ওহ"" 
ছন্দ লান্চ করে বেরিয়ে পরে বর্ণ একা ছাড়েনি ছন্দ কে নিজে বাড়ি অবদি পৌছে দেয়৷ ছন্দ বাড়ি ফিরে নিজের রুমে গিয়ে ঘুম দেয়৷ 

৪৫

রাত দুটো চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার৷ এই অন্ধকারে গোপন কক্ষে অগনিত লোক কারো জন্য বসে অপেক্ষা করছে  ৷ হঠাৎ করে চারিদিকে আলো ছেয়ে গেল৷ কারো পায়ের আওয়াজ পেতে সবাই দারিয়ে মাঝখানে রাস্তা তৈরি করে দিলো৷ ব্লাক হুডি ওয়ালা জেকেট মুখে মাক্ চোখে চশমা হাতে গল্ভস পায়ে কেস ৷ এই পোশাকের আড়ালে যে কে তা একমাত্র অনিল ছাড়া কেউ জানে না ৷ 

"" স্বাগতম ডার্ক কুইন ৷ আপনার রাজত্বে ফিরে আশায় আপনাকে স্বাগতম জানাই আমরা"" ফুলের তোড়া দিয়ে বলল অনিল..

"" থ্যাংকস "" ফুলের তোরা হাতে নিয়ে বলল ডার্ক কুইন...

"" কুইন এই চেয়ার টা আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলো ৷ আপনার বাবা মানে এই ডার্ক সম্রাজ্ঞের কিং তারপরে আপনি ছিলেন তার উওরশরি ৷ আপনি এখন এই ডার্ক সম্রাজ্ঞের কুইন ৷""একজন বয়স্ক লোক বলে উঠলো ...

"" আমি চেষ্টা করবো আপনাদের যোগ্য কুইন হতে ৷ বাবার যোগ্য উওরসরি হতে ৷ ""(ডার্ক কুইন)

"" আমরা সব সময় আপনার পাশে থাকবো কুইন ৷ আপনার প্রত্যেকটা  আদের্শ আমরা চোখ বন্ধ করে পালন করবো "" মাথা নিচু করে অন্য একজন বলতে লাগলো...

"" ধন্যবাদ সবাই কে ৷ তবে আপনাদের কিং কে যে বা যারা খুন করেছে তাদের প্রত্যেককে আমি নিজ হাতে শাস্তি দিবো..."" (ডার্ক কুইন)

"" ইয়েস কুইন আমরা আপনার সাথে আছি ৷ শুধু হুকুম করুন আমাদের কি করতে হবে?"" (অনিল)

"" আপনারা এই অন্ধকার জগতের মাফিয়া RK কে তো নিশ্চয় জানেন?""(কুইন)

"" ইয়েস কুইন , এই RK হলো আমাদের প্রধান শত্রু ৷ এই লোকটা আমাদের কিং কে মেরেছে আমরা শিওর""

"" বাহ কাজটা সহজ হয়ে গেল ৷ তাহলে আমাদের ফাস্ট টার্গেট হলো RK ৷ Rk এর এই বিডি তে যতো গুলো ফ্যাক্টরি আছে অফিস আছে সব ধ্বংস করে দেও এক এক করে৷"

"" ওকে কুইন, কুইন আপনার বাবা যখন এই দলের কিং ছিলো তখন এই দল টাকে ডার্ক কিং হিসেবে  পরিচিতি পেত এখন যেহেতু আপনি এই দলের নতুন কুইন তখন এই দলের নতুন নাম হলো ডার্ক কুইন ৷ আপনার নাম শুনলে আমাদের শত্রুদের অন্তর আত্তা কেঁপে উঠবে ৷ আপনি হবেন আমাদের দলের মনি "" হামদাতের কথা শেষ হতে চারিদিকে কড়তালির শব্দ শুনতে পায় ডার্ক কুইন....

'' আপনি আমার বাবার বয়সি তাই আমি আপনার নাম ধরে ডাকবো না আপনাকে আমি Md বলে ডাকবো"

"" ধন্যবাদ এই সন্মান টা দেওয়ার জন্য""

"" নো Md ধন্যবাদ তো আপনাদের প্রাপ্য সঠিক সময়ে আমাকে সব টা জানিয়ে আমার পুরনো স্মৃতি পুরনো ক্ষত তাজা করে দেওয়ার জন্য.. আপনি আর অনিল না থাকলে হয়তো আমি এখানে পৌছাতে পারতাম না ৷ ""

"" নো কুইন এটা আমাদের দ্বায়িত্ব ছিলো ৷ আপনার ২২ বছর বয়স হবার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা ৷ কিন্তু আপনার বর্তমান বাবা আপনাকে আমাদের থেকে লুকিয়ে রেখেছিলো যাতে আপনাকে আমরা খুজে না পাই আর না আপনাকে সত্যি টা জানাই ৷ ""

"" আমি যখন একবার সবটা মনে করতে পেরেছি তখন আমি কাউকে ছাড়বো না ৷ আমার আব্বু কে মারার প্রতিশোধ আমি নিবো ৷ "" ডার্ক কুইনের কথা শেষ হতে Md ডার্ক কুইনের শিংহাসনের সামনে এসে ডার্ক কুইনের পার্মিশন নিয়ে তার হাতে অদ্ভুত এক ব্রেজলেট পড়িয়ে দেয়৷ 

"" কুইন এটা এতো বছর আমার কাছে আমানত হিসেবে ছিলো ৷ এই দলের নিয়ম অনুযায়ি যে কিং বা কুইন হবে তার হাতে এই ব্রেজলেট টা থাকবে ৷ এটার সাহায্য আপনি আমাদের সাথে অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারবেন ৷ সাথে আপনি যদি কোন বিপদে পরেন তাহলে এটার মাধ্যমে আপনি আমাদের সংকেত দিতে পারবেন ৷ আমরা আপনার লোকেশন ট্রেস করতে পারবো ৷ "" 

"" ধন্যবাদ আপনাকে.. অনিল এই পেন ড্রাইভ টা রেখে দেও ৷ এটাতে অনেক ইনফরমেশন আছে Rk৷ আগামিকাল একটা অপরেশনে বের হতে হবে সবাই যেন তৈরি থাকে৷""(ডার্ক কুইন)

"" ইয়েস কুইন আমরা তৈরি থাকবো ৷ আপনি অনুমতি দিলে আমরা বের হবো"" 

"" তাহলে মিটিং আজ এখানে শেষ ৷ আমাকে এখন যেতে হবে ৷ ভোর হওয়ার আগে আমাকে বাড়িতে পৌছাতে হবে""

"" কুইন আপনি চিন্তা করবেন না ৷ আপনাকে সেইফলি বাড়িতে পৌছে দেওয়ার দ্বায়িত্ব আমার কারন আজ থেকে আমি আপনার ডান হাত ..""

"" ফাইন তাহলে চলো ""

"" ইয়েস কুইন "" 

৪৬

পুরো রাত না ঘুমিয়ে পাইচারি করছে কাব্য ৷ প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে কাব্যের ৷ যে কিনা Rk কে গুলি করে! ভিডিওতে না তার ফেস দেখা গেছে না কোন ক্লু পেয়েছে কাব্য ৷ Rk র কথা মতো যদি সত্যি সেই তৃতীয় ব্যাক্তির সন্ধান না দিতে পারে তাহলে সত্যি Rk ওকে জানে শেষ করে দিবে ৷ প্রচন্ড ঘামছে কাব্য ৷ শেষ রাতের দিকে রুনার ঘুম ভেঙে যায় ৷ পাশে কাব্য কে না পেয়ে উঠে বসে ৷ বেলকনির দিকে তাকিয়ে দেখে কাব্য সিগারেট খাচ্ছে ৷ কাব্যের চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে কাব্য প্রচন্ড টেনশনে আছে ৷ কিন্তু কিসের এতো টেনশন এটাই বুজতে পারছে না ৷ রুনা তার উচু পেট টা ধরে ধিরে ধিরে বিছানা থেকে নেমে কাব্যের পাশে গিয়ে দারায় ৷ কাব্য রুনাকে দেখে চমকে যায় ৷ দ্রুত সিগারেটের বাকি অংশ টুকু্ ফেলে দেয়৷ কারন রুনা কখনো সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারে না৷ 

"" তুমি এখানে ?"(কাব্য)
" এই প্রশ্নটা তো আমার করার কথা কাব্য৷ তুমি এতো রাতে এখানে কেন আর সিগারেট খাচ্ছো তার মানে কোন বিষয় নিয়ে প্রচন্ড চিন্তা করবো ৷ ওয়াট হ্যাপেন্ড কাব্য প্লিজ টেল মি?""

"" নাথিং টু সিরিয়াস জান তুমি ঘুমিয়ে পড়ো""

"" আর তুমি , তুমি দারিয়ে দারিয়ে সিগারেট খেয়ে যাবে তাই তো? দেখো কাব্য আমি জানি না কি হয়েছে তোমার তবে তুমি চাইলে আমাকে সবটা শেয়ার করতে পারো আর না চাইলে থাক ৷ তবে এতো টেনশন না করে ঠান্ডা মাথায় ভাবো প্লিজ তাতে হয়তো কোন সলুউশন পেলেও পেতে পারো?""

রুনার কথা শুনে কাব্যের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে "" থ্যান্ক ইউ সো ম্যাচ জান ৷ চলো ঘুমাবে আমার প্রিন্সেস এখন ঘুমাতে চাচ্ছে ""

"" তাই নাকি তুমি জানো এটা প্রিন্সেস না প্রিন্স ও তো হতে পারে?""

"" উহু আমি জানি আমার প্রিন্সেস আসতে চলেছে৷ "" কাব্য আর কথা না বারিয়ে রুনা কে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে রুনার কপালে চুমু দিয়ে পাশে শুয়ে পরে৷ 

ছন্দ সবে মাত্র বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়েছে এর মাঝে বেলকনিতে কিছু একটা পরার আওয়াজ হতে ছন্দ বুজতে পারলো কেউ একজন তার রুমে ঢুকেছে ৷ ছন্দ ঘুমের ভান করে চোখ বন্ধ করে আছে ৷ বর্ণ বেলকনি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ছন্দ কে ঘুমন্ত অবস্তায় দেখে খানিকটা অবাক হয়ে যায়৷ কারন রাতে যখন বর্ণ ছন্দ কে দেখার জন্য ভিডিও অন করে তখন ছন্দ কে রুমে কোথাও খুজে পাইনি ৷ বর্ণ দু ঘন্টা অপেক্ষা করে ছন্দ কে না দেখতে পেয়ে নিজে চলে আসে ছন্দের কাছে কিন্তু রুমে এসে ছন্দ কে ঘুমন্ত অবস্তায় দেখে বর্ণ অবাক হয়ে যায়৷ 

"" আমি কি কোন ভাবে ভূল দেখেছি ? টিয়াপাখি আদো রুমে ছিলো নাকি অন্য কোথাও গিয়ে ছিলো? " বর্ণ কথা গুলো বির বির করে বলতে লাগলো ৷বর্ণের প্রত্যেকটা কথা ছন্দ শুনতে পায়৷..

"" তারমানে বর্ণ আমার রুমে কোন সিকরেট ক্যামেরা রেখেছে? বর্ণ আমার উপর নজর রাখছে আর সেটা আমি জানি না "" ছন্দের প্রতিটি শিরায় শিরায় রাগ হেটে বেরাচ্ছে ৷ শুধু পারছে না বর্ণ কে চিবিয়ে খেতে ৷ 

বর্ণ এক গাদা কনফিউশন নিয়ে ছন্দের কপালে ভালোবাসা স্পর্শ দিয়ে বেরিয়ে আসতে নিবে তখনি ছন্দের বা হাতের দিকে চোখ পড়ে ৷ অদ্ভুত কয়েক রকমের পাথরের কম্বিনেশনে তৈরি করা ব্রেজলেট টি ৷ বর্ণ ছন্দের হাত টা ধরতে যাবে তখনি ছন্দ অন্য দিকে ফিরে যায় ৷ বর্ণ আর ব্রেজলেট টা দেখতে যায় না ৷ ভোর হয়ে আসছে বিধায় বর্ণ দ্রুত বের হয়ে যায় ৷ বর্ণ চলে গেছে এটা টের পেয়ে   ছন্দ চোখ বন্ধ করে এক রহস্যময় হাসি দিলো.... 
.
.
.
সকাল সকাল কাব্য কে ফোন করে সাব্বির আহাম্মেদ তিনি কাব্য কে এমিডিয়েটলি সিলেট যেতে বলেন ৷ কাব্য দ্রুত রেডি হয়ে বেরিয়ে যায় ৷ কাব্য বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষন পর কলিংবেল বেজে ওঠে ৷ কিয়ারা বেগম মুন্নিকে পাঠায় দরজা খোলার জন্য মুন্নি দরজা খুলে একটা ছেলে কে দারিয়ে থাকতে দেখে বলতে লাগলো"" কারে চান?""
"" সাব্বির আঙ্কেল কে""

"" স্যার তো বাড়িতে নাই""
"" সমস্যা নেই আন্টিকে ডেকে দেও""
"" আচ্ছা দারান""
মুন্নি ছেলেটাকে দরজায় দার করিয়ে রান্না ঘরে ছুটে যায়...

"" কে এসেছে মুন্নি?"
"" আম্মা একটা সুন্দর করে পোলা আয়ছে এহন আপনারে ডাকে""

কিয়ারা বেগম হাত ধুয়ে ড্রইং রুমে ছুটলেন৷ দরজার কাছে আসতে ছেলে টি কিউট করে হেসে দেয়৷ 

"" আরে রোদ বাবা যে বাইরে কেন ভিতরে এসো""

"" কেমন আছো আন্টি?""

"" আল্লাহ পাকের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ৷ তুমি কেমন আছো ?""

"" আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ৷ আন্টি কাব্য ভাই ভাবি ছন্দ ওরা কোথায়?""

"" কাব্য তো অফিসের কাজে বেরিয়েছে কবে আসবে তা বলেনি ৷ আর বউমা উপরে রেস্ট নিচ্ছে ৷ আর ছন্দ ভার্সিটি নেই আজ তাই পরে পরে ঘুমাচ্ছে৷ ""

"" আচ্ছা তাহলে তোমার সাথে আড্ডা দি "" 

"" নারে বাবা রান্না ঘরে অনেক কাজ আছে ৷ আমি মুন্নি কে পাঠাচ্ছি ছন্দ কে ডেকে আনতে তুমি কিছুক্ষন অপেক্ষা করো৷ এই মুন্নি যা তো তোর ছন্দ আপু কে ঘুম থেকে তুলে বল আমি ডাকছি""

"" আইচ্ছা আম্মা"" কথাটা বলে দৌড়  লাগায় মুন্নি....

৪৭

কাব্যের বিজনেস পার্টনার কে উলটো ঝুলিয়ে রেখেছে বর্ণ ৷ তবুও মুখ খুলছে না লোকটা৷ রাগে বর্নের চোখ দুটো লাল বর্ণ ধারন করেছে ৷ মিহির কাপা কাপা হাতে চাপাতি টা বর্ণের হাতে তুলে দেয়ার সময় মিহিরের হাত কাপতে দেখে বর্ণের রাগ যেন দ্বিগুন বেরে গেল ৷ এতো বছর ওর সাথে কাজ করে মিহিরের বিন্দুমাত্র সাহস বাড়লো না ৷ এখনো সেই আগের মতো ভয় পায় হাত কাপে ৷ 

"" মিহির.."" রাগি গলায় 
"" ইয়েস বস.."" কাপা কাপা গলায় 
"" আজ তুই ওকে শেষ করবি ""
"" আ,,আমি!"
"" হ্যা তুই"
মিহির বর্ণের আর কোন কথা শুনলো না তার আগে জ্ঞান হারায় মিহির ৷ মিহির কে জ্ঞান হারাতে দেখে বর্ণ হতবম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে৷  
.
.
.
মুন্নি জোর করে ছন্দকে ঘুম থেকে তুলে জানায় যে তাকে নিচে ডাকছে ৷ ছন্দ বিরক্ত হয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে এগারোটা বাজে ৷ 

"" এই মুন্নি আমাকে কেন ঘুম থেকে তুললি হুম"

"" কি কন আফা আপনারে দুই ঘন্টা ধরে ডাকতাছি আপনে তো ঘুম দিয়া উঠলেন না ৷ ""

"" কিহ দুই ঘন্টা !"" অবাক হয়ে..

"" হ দুই ঘন্টা "" 

ছন্দ একটু পর বুজতে পারলো তার পেটে এখন কিছু দেওয়া জরুলি ৷ পেটের ভিতর যেন ইদুর বিড়াল ছুটোছুটি করছে৷ 

"" তুই নিচে যা আমি গোছল করে আসছি""

"" আচ্ছা""

মুন্নি নিচে চলে যেতে ছন্দ ড্রেস নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়৷ 
মুন্নি নিচে এসে দেখে রোদ রান্না ঘরে কিয়ারা বেগম কে রান্নায় সাহায্য করছে ৷ মুন্নি রোদ কে দেখে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে৷ কিছুক্ষন পর ছন্দ গোছল সেরে নিচে নেমে এসে মুন্নি কে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে দিকে তাকিয়ে দেখে  তার মায়ের পাশে অন্য একটা ছেলে দারিয়ে ছন্দ আর একটু সামনে এগিয়ে যায় ছেলেটিকে দেখার জন্য রান্না ঘরের সামনে দারাতে ছন্দ রোদ কে দেখে থমকে যায়...এদিকে রোদ ছন্দ কে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে ৷ কিয়ারা বেগম ছন্দ কে দেখে কিছু একটা বলতে যাবেন তখনি রোদের ফোন টা বেজে ওঠে...

"" আন্টি আমি কলটা এটেন্ড করে এখুনি আসছি.."(রোদ)

রোদ ছন্দ কে পাশ কাটিয়ে দ্রুত বাইরে চলে যায়...

"" হ্যালো..""(রোদ)

"" কাজ হয়েছে..""(অজানা)

"" ইয়েস আমাকে কেউ চিনতে পারেনি তবে..!""

"" তবে কি?""

"" মেয়েটাকে দেখে তো আমার তেমন টা মনে হচ্ছে না যেমনটা আপনি বলেছিলেন""

"" ইউ নো ওয়াট নেভার জাজ এ্যা বুক ফ্রম ইট'স কভার""

"" স্যরি""

"" ইট'স ওকে বাট যতো তারাতারি সম্ভব কাজ টা হওয়া চাই""

"" হয়ে যাবে"

"" গুড রাখছি"

রোদ কল টা ডিসকানেক্ট করে পিছুনে  ফিরে চমকে যায়....


"" হ্যালো..""(রোদ)

"" কাজ হয়েছে..""(অজানা)

"" ইয়েস আমাকে কেউ চিনতে পারেনি তবে..!""

"" তবে কি?""

"" মেয়েটাকে দেখে তো আমার তেমন টা মনে হচ্ছে না যেমনটা আপনি বলেছিলেন""

"" ইউ নো ওয়াট নেভার জাজ এ্যা বুক ফ্রম ইট'স কভার""

"" স্যরি""

"" ইট'স ওকে বাট যতো তারাতারি সম্ভব কাজ টা হওয়া চাই""

"" হয়ে যাবে"

"" গুড রাখছি"

রোদ কল টা ডিসকানেক্ট করে পিছুনে  ফিরে চমকে যায়....

"" আপনি না মানে তুমি?"" ঘাবড়ে গিয়ে প্রশ্ন করলো ছন্দ কে.."" কেন ভয় পেলেন বুঝি ৷ বাই দ্যা ওয়ে আপনি কে? আর আমাকে বা তুমি করে কেন বলছেন?"" ছন্দের কথা শুনে পিছুন থেকে কিয়ারা বেগম বলে উঠলো "" চিনতে পারলি না তোর রায়হান আঙ্কেল এর বড় ছেলে আব্রাহাম খান রোদ.. "" ছন্দ অবাক হওয়ার ভঙ্গিমা করে রোদের দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়ে বলতে লাগলো..."" আই এম সরি রোদ তোমাকে চিনতে পারি নি"" 
"" ইটস ওকে না চেনার কথা তোমার ৷ ছোট বেলায় দেখেছো তুমি আমাকে " 

" হাম, আচ্ছা বাইরে কেন ভিতরে এসে বসো.."" ভেজা চুল গুলো হাতের আঙ্গুল নারাতে নারাতে রোদ কে বলতে লাগলো৷ রোদ ছন্দ কে দেখে যাচ্ছে কালো ত্রিপিসে ছন্দকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷ যেন কালো রঙটাই তৈরি ওর জন্য ৷ কোমর ছাড়িয়ে যাওয়া চুল৷ টানা টানা চোখ সুরু ঠোঁট চিকন ব্রু জোড়া সব মিলিয়ে নিখুঁত মায়াবতি সুন্দরী মেয়ে দেখলো রোদ তার জীবনে ৷ রোদ ছন্দ কে ফলো করে ভিতরে ড্রইং রুমে বসে ৷ 

"" তারপর বলো কি করা হচ্ছে ?"" রোদ মুখে একগাল হাসি নিয়ে ছন্দের প্রশ্নের উওর দেওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিয়ে বলে"" এই তো ড্যাডের বিজনেস সামলাচ্ছি ""

" উহু এটা বলেনি মানে তোমার কোন গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি ? আর বলো না বান্দুরী গুলো বড্ড খারাপ হয়ে গেছে বিয়ে করতে চায়না তাই বিয়ের দাওয়াত পাই না৷ এখন তুমি যদি তোমার গার্লফ্রেন্ড বিয়ে করো তাহলে বিয়ের দাওয়াত টা কর্নফাম পাচ্ছি" ছন্দের কথা শুনে রোদ এবার শব্দ করে হেসে দেয়৷ " তার মানে তুমি আমার জন্য বিয়ে করতে বলছো না বলছো যাতে তুমি দাওয়াত পাও রাইট""

"" ইয়েস"" 
" ওকে এখন তো আপাদতো কোন গার্লফ্রেন্ড নেই তাই বিয়েটাও হচ্ছে না কিন্তু তুমি চাইলে তোমাকে ট্রিট দিতে পারি"" 

"" এভাবে বলছো কেন ট্রিট এক্সেপ্টেড"" 

"" গ্রেট তাহলে রেডি হয়ে নেও আজ আমি তোমাকে ট্রিট দিচ্ছি""  

"" এখন!" ছন্দের কথা শুনে কিয়ারা বেগম বলে উঠলো "" কেন রে তোর তো আজ ভার্সিটি নেই শুক্রবার আজ তাহলে সমস্যা কোথায় ? ছেলে টা এতো করে যখন বলছে.."" ছন্দ তার মায়ের কথা শুনে মন খারাপ করে বলে " আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি " ছন্দ মুখ ভার করে সিরি দিয়ে উপরে উঠতে উঠতে চোখ মুখের এক্সপ্রেশন পাল্টে যায় ৷ ঠোটের কোনে ফুটে ওঠে রহস্যময় হাসি ৷ 

একঘন্টা পর ছন্দ রেডি হয়ে নিচে নামে ৷ কিয়ারা বেগম রান্না শেষ করে রোদের সাথে কথা বলছিলো ৷ চুরির আওয়াজ পেয়ে উপরে তাকিয়ে দেখে ছন্দ গাঢ় গোলাপি রঙের জামদানি শাড়ি পড়া ৷ দু হাতে মুঠ ভরা কাচের চুড়ি ৷ কানে ঝুমকো, ঠোটে গোলাপি লিপস্টিক, গলায় চিকন হার , নাকে সাদা পাথরের নোজপিন , চোখে গাঢ় কাজল ,চুল গুলো মাঝ খানে সিথি করে ছেড়ে দেওয়া ব্যাস এতোটুকু দেখে রোদ কপুকাত৷ কিয়ারা বেগম দ্রুত চোখ থেকে কাজল নিয়ে ছন্দের কানের পিঠে লাগিয়ে দেয়৷ যেন নজর না লাগে৷ 

"" মাশাআল্লাহ আমার মেয়েটাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷""

"" একদম ঠিক বলেছেন আন্টি মনে হয় মাত্র ফুটে ওঠা পদ্মফুল "" 

"" হয়েছে তোমাদের প্রশংসা ? রোদ তুমি বের হবে নাকি এখানে দারিয়ে থাকবে ? বাহ এর মাঝে ড্রেস চেন্জ করে নিয়েছো ""

"" হুম , তাহলে চলো যাওয়া যাক""

""  হুম..""
রোদ ছন্দ দুজনে বের হয় ৷ রোদ গাড়ি ড্রাইব করছে আর ছন্দ বাইরের প্রকৃতি দেখতে ব্যাস্ত৷ রোদ ছন্দের এটেনশন পাবার জন্য গলা খাকারি দিয়ে বলতে লাগলো"" আজ তোমাকে কিন্তু বড্ড সুন্দর লাগছে মানে বলতে গেলে আগুন সুন্দরী ""

"" তাই নাকি , কিন্তু দেখবেন এমন না হয় এই সুন্দরীর আগুনে আপনাকে পুড়ে মরতে না হয় ৷ "" কথা টা বলে ছন্দ বাকা হাসলো....

"" ছন্দ আমি কি তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?""

"" হুম"

"" তোমার কি বয়ফ্রেন্ড আছে?"" ছন্দ রোদের প্রশ্নের উওর দিবে তার আগে রোদ খুব জোরে গাড়ির ব্রেক কষে ...

"" ওয়াট ইজ দিস রোদ এভাবে কেউ গাড়ি চালায়?"" রেগে বললো ছন্দ.. 

"" সরি ছন্দ বাট সামনে দেখো .." রোদের কথা শুনে সামনে তাকাতে ছন্দের হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে ৷ 

৪৮

"পনেরো মিনিট ধরে বর্ণ আমাকে খাইয়ে যাচ্ছে ৷ পুরো রেস্টুরেন্ট বুক করা ৷ শুধু আমি আর বর্ণ ৷ সামনে অনেক গুলো আইটেমের খাবার রাখা ৷ সব গুলো আইটেম না খাওয়া অবদি বর্ণ আমাকে ছাড়বে না ৷ কি করবো আমি পেটে তো আর খাবার ধরছে না ৷ মনে হচ্ছে এখুনি সব উলটে দিবো"" ছন্দ কাদো কাদো মুখ করে আছে কিন্তু বর্ণের মুখের  দিকে তাকানোর সাহস হচ্ছে না ছন্দের ৷ হ্যা তখন রোদের গাড়ির সামনে বর্ণ ছিলো ৷ বর্ণের লোক জন হুট করে এসে রোদ কে গাড়ি থেকে বের করে পিটাতে লাগলো তখনি বর্ণ ওর হাত শক্ত করে চেপে ধরে নিয়ে আসে ৷  ছন্দ বুজতে পারছে না বর্ণ জানলো কি করে রোদের সাথে ও বের হলো পরক্ষনে মনে পড়লো ওর রুমে রাখা গিকরেট ক্যামেরার কথা... "" ওয়াট মাই লাক আমি ভূলে কি করে যেতে পারি আমার রুমে বর্ণের রাখা সিকরেট ক্যামেরার কথা হাউ..."" ছন্দ  বর্ণ কে নিজে থেকে সবটা বলে কেন রোদের সাথে বেরিয়েছে৷ কিন্তু বর্ণ ছন্দের কোন কোথায় রেন্সপন্স করে নি ৷ তাতে ছন্দ আর একটু ঘাবড়ে যায়৷ বর্ণ গাড়ি চালিয়ে এক টা বড় রেস্টুরেন্টের সামনে দার করায়...

"" আমরা এখানে কেন?" ছন্দের প্রশ্নের উওরে বর্ণ তার রক্ত চক্ষু দিয়ে তাকালো ৷ ছন্দ ভয়ে আর কোন শব্দ করলো না৷ বর্ণ গাড়ি থেকে নেমে ছন্দ কে কোলে তুলে নিয়ে ভিতরে গিয়ে বসিয়ে দেয়৷ তার দু মিনিট পর রেস্টুরেন্টের সব খাবার এক এক করে সামনে রাখতে লাগলো যেটা দেখে ছন্দের চোখ দুটো কপালে উঠে গেল৷ খাবার রাখা শেষে বর্ণ বলল"" এখান থেকে উঠার পূর্বে এই সব খাবার খেয়ে তারপর উঠবে "
" মানে কি আমাকে দেখে কি আপনার রাক্ষস মনে হয় থুক্কু রাক্ষসী মনে হয় যে এতো খাবার আমি খাবো ৷ এতো খাবার তো আমার আগামি পনেরো দিন চলে যাবে ৷ ""

"" স্যাটআপ " জোরে ধমক দিয়ে বললো বর্ণ..

"" আ,, আপনি আমাকে ধমক কেন দিলেন?""

"" ছেলেটার সাথে সেজে গুজে বের হবার পূর্বে তোমার ভাবা উচিত ছিলো টিয়াপাখি ৷ ""

"" আ,,আসলে রোদ আমাকে ট্রিট দিতে ... বাকিটা বলতে পারলো না তার আগে বর্ণ ছন্দের ওষ্ঠাধর নিজের ওষ্ঠদ্বয় ধারা আবদ্ধ করে ফেললো ৷ প্রচন্ড রাগ হচ্ছে বর্ণের , ছন্দের সৌন্দর্য শুধু মাত্র তার দেখার কথা আর সেখানে তার কলিজা টিয়াপাখি অন্য কারোর সাথে ..... এটা বর্ণ ভাবতে পারছে না ৷ যতোক্ষন না রোদ কে শেষ করছে ততোক্ষন বর্ণ শান্ত হবে না ৷ আর আজ ছন্দ কে একটা শিক্ষা দেবে বলে মনে মনে ঠিক করে নেয় বর্ণ যাতে ইন ফিউচার কখনো এমন কারার পূর্বে দু বার ভাবে... 

কিছুক্ষন পর বর্ণ ছন্দের ঠোট জোড়া ছেড়ে দিয়ে নিজ হাতে ছন্দকে খাবার খাওয়াতে লাগলো ৷ ছন্দ চুপচাপ বর্ণের হাতে খেতে লাগলো ছন্দ খুব ভালো করে-ই বর্ণের রাগ সম্পর্কে জানে এখন যদি ছন্দ রোদের হয়ে একটা শব্দ উচ্চারন করে তাহলে রোদের জীবনে আলো বর্ণ এক মুহূর্তে নিভিয়ে দিতে দু বার ভাববে না ৷ আর এমন টা হলে ছন্দের পুরো প্লান ভেস্তে যাবে৷ এমনটা ছন্দ কখনো হতে দিতে পারে না ৷ 

ছন্দের খাওয়া শেষ হতে বর্ণ উঠে যেতে নিলে ছন্দ বর্ণের হাত ধরে আটকায় ..

"" ওয়াট!"" 

"" নাথিং এখানে বসুন আপনি" ছন্দের কথা মতো বর্ণ বসে পরে ৷ ছন্দ নিজ হাতে খাবার নিয়ে বর্ণের মুখের সামনে ধরতে বর্ণ অবাক হয়ে যায়৷ 
"" এতো অবাক হওয়ার প্রয়োজন নেই ৷ আপনি আমাকে খাইয়ে দিয়েছেন তো আমিও আপনাকে খাইয়ে দিলাম ৷ আমি জানি আপনি কিছু খাননি এখন আপনি যদি না খান তাহলে যদি আমার পেট খারাপ করে তখন কি হবে?"" ছন্দের উপর যে রাগ অভিমান ছিলো বর্ণের তা এক নিমিশে ভুলে গেল বর্ণ ৷ ছন্দের কথা শুনে বর্ণের রাগ হচ্ছে আবার হাসি ও পাচ্ছে ৷ সরাসরি খেতে বলতে পারছে না বিধায় এতো কথা পেচাতে হচ্ছে ছন্দের এটা বর্ণ খুব ভালো করে বুজতে পারছে ৷ বর্ণ মুখে রাগি ভাব রেখে ছন্দের হাতে খেতে লাগলো...  

খাওয়া শেষ হতে বর্ণ বিল পে করে এসে দেখে ছন্দ কোথাও নেই৷ ছন্দ কে না দেখতে পেয়ে বর্ণ ভয় পেয়ে যায় ৷ এদিক ওদিক খুজতে লাগলো ৷ হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছুনে তাকিয়ে দেখে ছন্দ হাসি মুখে দারিয়ে আছে৷ বর্ণ ছন্দ কে দেখে শক্ত করে জরিয়ে ধরে৷ 

"" কোথায় গিয়ে ছিলে তুমি হাহ? খুব সাহস বেরেছে তোমার তাই না""

"" আমি তো ওয়াশরুমে গিয়ে ছিলাম ৷ " ছন্দের কথা শুনে বর্ণ কিছুটা শান্ত হয় ৷ 
 
"" ভাগ্যিস বর্ণ আমাকে ফোন কলে কথা বলতে শুনে নেয়নি ৷ ওয়াশরুমে ছিলাম বলে চালিয়ে দিয়েছি""(মনে মনে) 

"" আমাকে এখন যেতে হবে বর্ণ "" ভয়ে ভয়ে বললো ছন্দ.. বর্ণ ছন্দ কে ছেড়ে দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত স্কান করে বলল" এই সাজ কার জন্য সেজেছিস তুই?""
"" আ,,আসলে আম্মু বললো পড়তে""
"" আমি ব্যাতিত অন্য কারোর সামনে শাড়ি পড়লে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না টিয়াপাখি "
ছন্দ ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে মুখে প্লাস্টিক হাসি টেনে বলতে লাগলো"" ও,,ওকে "" ছন্দের কথা শেষ হতে ছন্দের ফোনটা বেজে ওঠে , ছন্দ ফোনের স্কিনে তাকিয়ে আম্মু নাম টা ভেষে উঠছে ৷ ছন্দ দ্রুত কলটা রিসিব করে কানে ধরে...

"" হ্যালো আম্মু!""

"" ছন্দ তুই কোথায় , রোদ হসপিটালে ভর্তি আর তুই কোথায়?""

ছন্দ ভেবে পাচ্ছে না কিয়ারা বেগম কে কি উওর দিবে..

"" আম্মু আসলে আমি ওই লোক গুলোকে দেখে ভিষন ভয় পেয়ে গিছিলাম তাই...বাকিটা বলার আগে কিয়ারা বেগম বলে উঠলো "" বুজতে পেরেছি তুই আর সাহসি হলি না ভিতুই থেকে গেলি৷ শোন আমরা সিটি হসপিটালে আছি তুই এখানে চলে আয় ৷ ""

"" ওকে আম্মু..."" 

"" শুনছেন আমাকে সিটি হসপিটালে যেতে হবে ৷ ""

৪৯

বর্ণ কিছু না বলে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেল সাথে সাথে ছন্দ ও বের হয়ে গেল ৷ বর্ণ চুপ চাপ ড্রাইব করছে ৷ আর ছন্দ বর্ণ কে আড় চোখে দেখছে ৷ বর্ণ গাড়ি চালাতে  চালাতে মনে মনে বলতে লাগলো "" আমি জানি টিয়াপাখি তোমার সব টা মনে পড়ে গেছে আর তাই তুমি আমাকে বনরাজ বলে ডেকেছো৷ এতো নরমাল বিহেব করছো ৷ কিন্তু তুমি যতোদিন না নিজ থেকে সবটা শিকার করছো ঠিক ততোদিন আমিও চুপ থাকবো তবে আমার কথার অমান্য হলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে তোমাকে..."" 

হসপিটারের সামনে গাড়ি থামায় বর্ণ , ছন্দ গাড়ি থেকে নামতে যাবে তখনি বর্ণ ছন্দের  গালে হাত রেখে নরম সরে বলতে লাগলো"" আজ তুমি যেই ভুলটা করেছো তার প্রাপ্য শাস্তি তুমি পাবে ৷ ভূলে যেও না তুমি শুধু আমার শুধু আমার ৷ আর এই আয়ান চৌধুরী বর্ণ তার ভালোবাসাকে কি করে প্রটেক্ট করতে হয় সেটা খুব ভালো করেই জানে ৷ আর ভূল করলে তার শাস্তি ও দিতে জানি ৷ রোদের থেকে দুরে থাকবে তবে ভেবো না ও বেচে গেছে আমার হাত থেকে কারন আমি ওকে মেরে দিতে চাই নি তবে তুমি যদি ওর থেকে দুরে না থাকো তাহলে রোদের লাইফ লাইন এখানে কেটে দিবো ৷  আর একটা কথা রাতে তৈরি থেকো আমি আসবো ৷"  কথা গুলো বলে বর্ণ ছন্দের গাল ছেড়ে দিয়ে গাড়ির দরজার লক খুলে দেয় ৷ ছন্দ গাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়৷  ছন্দ হসপিটালের ভিতরে যেতে বর্ণ গাড়ি ঘুড়িয়ে নেয়৷ 

ছন্দ ভিতরে ঢুকতে  কিয়ারা বেগমের সাথে দেখা হয় .."" ছন্দ তুই এসে গেছিস ""

"" হ্যা রোদ কেমন আছে? ডক্টর কি বললো?"" 

"" হাত ভেঙেছে আর মাথায় বেশ আঘাত পেয়েছে ৷ ""

"" শীট , বর্ণের জন্য আমার কাজটা পিছিয়ে গেল"" (মনে মনে)

"" আম্মু রোদ কে ডিসট্রাস কবে দিবে?""

"" দুদিন পর , শুধু মাত্র মাথায় আঘাত পাওয়ার কারনে..""

"" ওকে তুমি বাড়ি ফিরে যাও ভাবি একা বাড়িতে আমি থাকছি""

"" আচ্ছা সাবধানে থাকিস""

"" হুম"" 

কিয়ারা বেগম চলে যেতে ছন্দ ফোন বের করে ..

"" হ্যালো অনিল""

"" ইয়েস কুইন""

"" আমি একটা ছবি সেন্ড করছি তুমি আদঘন্টার ভিতর এর ডিটেইলস আমাকে জানাও""

"" ওকে কুইন"" 

_________________________________

" বস ব্যাড নিউজ আছে "(আনিস)

"" কি ব্যাড নিউজ?""

"" বস আমাদের ঢাকায় যে ফ্যাক্টরি গুলো আছে তার দুটোতে আগুন ধরে গেছে ""

কথাটা শোনা মাত্র Rk দারিয়ে গেল..

"" ওয়াট!"
" ইয়েস বস  গতকাল ভোর রাতে ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে যায় ৷ সব মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৷ কিচ্ছু বাচানো যায়নি ৷ পুরো আশি কোটি টাকা লস হয়েছে"" 

টাকার এমাউন্ট টা শুনে RK স্তব্ধ হয়ে যায়৷ তখনি আনিসের ফোন বেজে ওঠে ৷ আনিস কল রিসিব করে কানে ধরতে চোখ মুখের রঙ উড়ে গেল ৷ ফোন কান থেকে নামিয়ে Rk কে বলতে লাগলো আনিস" বস আমাদের আরো একটা ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে গেছে ৷ দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ৷ "" Rk  দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগলো" আগুন এমনি এমনি লাগেনি আনিস কেউ লাগিয়েছে ৷ খোজ নে কে আগুন লাগিয়েছে ৷ কার এতো বড় সাহস RK ফ্যাক্টরিতে আগুন দেয়!"

"" ইয়েস বস"" 

৫০

ছন্দ ডক্টরের সাথে কথা বলে রাতে বাড়ি ফিরে আসে কারন বর্ণ আগে থেকে বলেছে রাতে আসবে ৷ ছন্দ কোন রিক্স না নিয়ে চলে আসে৷ রাতে  খাবার খেয়ে ছন্দ নিজের রুমে ঢুকে দেখে.......

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন