আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১৯ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


সাব্বির আহাম্মেদ আর কিয়ারা বেগম দুজনে ড্রয়িং রুমে আসে ..

" কিয়ারা তুমি দারাও আমি দরজা খুলছি..." সাব্বির আহাম্মেদ দরজা খুলে সামনে তাকাতে চমকে যায় সামনে দারিয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে..........

"" কা,,,কায়রা তু,,তুমি?"" কায়রা কে দেখে ভয়ে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে সাব্বির আহাম্মেদের আর এদিকে নিজের ছোট বোন কে এতো বছর পর দেখে খুশিতে আত্তহারা কিয়ারা বেগম ৷ মুখে একগাল হাসি নিয়ে দরজার কাছে এগিয়ে গেল কায়রা কে স্বাগতম জানাতে৷ কায়রা বেগম এক ঝলক সাব্বির আহাম্মেদের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের বড় বোন কে গিয়ে জরিয়ে ধরে...

"" আপা কেমন আছিস ?"(কায়রা)

" আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিন্তু তোকে দেখার পর আরো ভালো আছি আমি , তুই কেমন আছিস আর তোর হাসবেন্ট ছেলে মেয়ে কোথায়?" (কিয়ারা বেগম)

" আমিও খুব ভালো আছি আর আমার হাসবেন্ড কয়েক বছর পূর্বে এক্সিডেন্টে মারা গেছে "

" কি বলছিস তুই আমাকে জানাসনি কেন কায়রা আমি কি তোর বোন ছিলাম না? এতো বছর বিদেশে একা একা থাকলি বাচ্চাদের বড় করলি আর আমি কিছু-ই জানি না" অভিমান নিয়ে কথা গুলো বললো কিয়ারা বেগম৷ কায়রা তার বোনের অভিমান দেখে জরিয়ে ধরে ৷ চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়তে থাকে ৷ যে কথা গুলো আজও তার প্রিয় বড় বোন কে জানাতে পারলো না ৷ সাব্বির আহাম্মেদ এখনো দরজা ধরে দারিয়ে আছে হঠাৎ কায়রার এবাড়িতে আসা তার ছেলে সিয়াম কে খুজে না পাওয়া সব কিছু যেন তার গোল পাকিয়ে যাচ্ছে ৷ সাব্বির আহাম্মেদ এর ভাবনার মাঝে ছন্দ তার স্টাইলে এসে সামনে দারায়৷ হঠাৎ ছন্দ কে দেখে চমকে যায় সাব্বির আহাম্মেদ ৷ 

" ছন্দ মামুনি তুমি ?"

"" হ্যা আব্বু ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম "

"" আচ্ছা ভিতরে যাও , ফ্রেস হয়ে আসো "

"" হুম বাট আব্বু তোমাকে কেমন যেন চিন্তিত দেখাচ্ছে?  কোন বিষয় নিয়ে কি খুব চিন্তায় আছো?"

"" নাহ আমি কি নিয়ে চিন্তা করবো "

" চিন্তা না করলেও আমি তো আছি টেনশন দেওয়ার জন্য.."" আস্তে করে বললো ছন্দ... ছন্দ ভিতরে ঢুকতে কিয়ারা বেগম ছন্দ কে থামিয়ে দিয়ে বলে"" ছন্দ এই তোর খালামনি আর কায়রা ও ছন্দ আমার ছোট মেয়ে..."" ছন্দ ঠোটের কোনে বাকা হাসি নিয়ে কায়রা বেগম কে বলল " আসসালামু আলাইকুম খালামনি ""

"" অলাইকুম আসসালাম "" কাপা কাপা গলায় বললো কায়রা..

"" আম্মু খালামনি অনেক দুর থেকে এসেছে খালামনি কে রেস্ট নিতে দেও গল্প করার জন্য অনেক সময় পাবে""

"" হ্যা ভুলেই গেছিলাম কায়রা চল তোকে তোর রুম দেখিয়ে দি..""

"" হ্যা চল..." কায়রা বেগম কে ছন্দের পাশের গেস্ট রুমটায় থাকতে দেয়৷ ছন্দ নিজের রুমে এসে গোছল করে চেন্জ করে ফোন নিয়ে বসে....

_______________________________________________________________________

৬০

Rk জ্ঞান ফিরে নিজের একটা কাঠের চেয়ারা বাধা অবস্তায় আবিষ্কার করে৷ Rk নিজেকে ভালো করে খেয়াল করে দেখে তার শরীলে নানা রকম তার জরিয়ে আছে ৷Rk চারিদিকে দেখে ভয়ে ঘাবড়ে যায় কারন চারদিকে ছড়িয়ে আছে নানা রকম অস্ত্র মাথার উপর টিম টিম করে জ্বলছে ছোট্ট একটি লাইট পুরো রুম টাই আবছা আলোয় ভিষন রকম ভয়ঙ্কর লাগছে RK কাছে তখনি একটা ভারি পুরুষালি  ভরাট কণ্ঠ শুনতে পেল Rk....

"" কেমন আছিস রেহান খান অরফে Rk?"(বর্ণ)

"" ব,,বর্ণ তুই আমাকে কেন এখানে নিয়ে এসেছিস? কি চাস তুই আমার কাছে?""(Rk)

"" আমি যা চাই তুই কি তা দিতে পারবি রেহান?""

"" তোর যা চাই আমি তোকে দিবো তুই যাস্ট এখান থেকে আমাকে মুক্ত কর প্লিজ...""

রেহান অরফে Rk এর কথা শুনে বর্ণ হা হা হা করে হাসতে থাকে ৷ 

"" রিয়েলি আমি যা চাই তুই তাই আমাকে দিবি? ""

"" হ্যা দিবো যাস্ট বল তোর কি চাই? টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ি সব প্রপার্টি এ্যাভরিথিং বল কি চাই তোর?""

"" তোর কলিজাটা চাই..." বর্ণের ঠান্ডা গলায় কলিজা চাই শুনে রেহানের গলা শুকিয়ে গেল...

"" মিহির...""

"" ইয়েস বস .."" বর্ণের পাশে দারিয়ে বললো মিহির...

"" নাইফ..."" মিহির ছোট্ট একটা ধাড়ালো নাইফ এনে বর্ণের হাতে দেয়৷ বর্ণের হাতে নাইফ দেখে রেহান ঘামতে লাগলো ৷ বর্ণ নাইফটা নিয়ে রেহানের গলা থেকে নাভি পর্যন্ত নাইফ দিয়ে কাটতে লাগলো তবে গভির ভাবে নয়৷ রেহানের পুরো বুক জ্বলে যাচ্ছে কারন মিহির বর্ণের নির্দেশে কাটা স্থানে শুকনো মরিচের গুড়ো সাথে লবন লাগিয়ে দিলো৷  বর্ণ সেই সাথে সাথে রেহান কে কারেন্ট শক দেয়৷ এক সাথে দুটো এট্যাক রেহান যেন সহ্য করতে পারলো না সেন্সলেস হয়ে যায়৷ বর্ণ এক জগ পানি ছুড়ে মারে রেহানের মুখে ধরফরিয়ে ওঠে রেহান ৷ 

"" বর্ণ দোস্ত দয়া করে আমাকে ছেড়ে দে কথা দিচ্ছি আমি আর তোদের জীবনে ফিরে আসবো না..""

"" হা হা হা ওয়াট আ জোক ৷ তোর মতো বিশ্বাসঘাতকের মুখে দোস্ত শব্দ টা  দ্বিতীয় বার উচ্চারন করিস ভূলেও তাহলে তোর ওই জিব কেটে ফেলবো...""

"" আমি তোর সাথে ভূল করেছি তোর অজান্তে তোর ভালোবাসার মানুষ টাকে মেরে ফেলেছি ৷ আমি জানি আমি ভুল করেছি বর্ণ আমি তার জন্য অনুতপ্ত প্লিজ আমাকে ক্ষমা কর""

"" ক্ষমা আর তোকে! তোকে যদি ক্ষমা করি তাহলে মরহুম আঙ্কেল আন্টির আত্তা কষ্ট পাবে৷ তোকে আমি কিছুতেই ক্ষমা করতে পারবো না রেহান ৷ তোকে আমি তিল তিল কষ্ট দিয়ে মারবো ৷ একে বারে মারবো না তাহলে আর মজা কই তোর ভাই কে মেরে তেমন মজা পাই নি৷ এবার পাবো তোর ভাই আমান আর তোকে মেরে ..."

"" বর্ণ তুই আমাকে মেরে ফেল তবুও আমার ভাইকে মারিস না ৷ দয়াকর বর্ণ .."

"" দয়া আর তোকে হুহ পারছি না রেহান পারছি না৷"" বর্ণ হুট করে রেহানের ডান হাতে বড় ছুড়ি দিয়ে এক কোপ দিতে শরীল থেকে হাত আলাদা হয়ে যায়৷ যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকে রেহান ৷ যেটা দেখে বর্ণের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে৷ 

"" মিহির গরম পানি নিয়ে আয়""

"" ইয়েস বস..""

দু মিনিটের মাথায় মিহির গরম পানি নিয়ে হাজির হয়৷ 

"" বস গরম পানি.."" 

"এখন কি করতে হবে নিশ্চয় তোকে বুঝিয়ে দিতে হবে না ?" মিহিরের দিকে তিক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে বললো বর্ণ ...বর্ণের তিক্ষ্ম দৃষ্টি দেখে মিহির শুকনো ঢোক গিয়ে বলল" ই,,ইয়েস বস.."" 

মিহির গরম পানি রেহানের উপর ঢালতে লাগলো ... গরম পানি কাটা স্থানে পরতে আগুনের মতো জ্বলতে লাগলো পাগলের মতো চিৎকার করতে লাগলো রেহান৷ 

_________________________________________

৬১

"তুমি এখানে কোন সাহসে এসেছো কায়রা?" সাব্বির আহাম্মেদ কায়রা বেগমের রুমে ঢুকে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলো  কায়রার দিকে...

"" কেন নিজের মায়ের পেটের আপন বড় বোনের বাসায় আসতে পারি না বুঝি?""

"" না পারো না কারন এখানে শুধু তোমার বোন একা থাকে না আমিও থাকি..""

"" আমি জানি সেটা তার আগে বলো আমার ছেলে কোথায়?""

"" জানি না খোজ করছি আমি, আর একটা কথা কিয়ারা যেন কোন ভাবে আমাদের সম্পর্কের কথা জানতে না পারে ৷"

"" জানবে..""

"" মানে কি বলতে চাইছো তুমি কায়রা?""

"" যেটা শুনলে আমার ছেলে কে যদি সুস্থ অবস্তায় আমার কাছে না ফিরিয়ে দেও তাহলে শুধু আপা নয় পুরো দুনিয়া জানবে আমি তোমার প্রথম স্ত্রী আর সিয়াম যাকে রোদ সাজিয়ে এখানে নিয়ে এসেছো সে তোমার এক মাত্র ছেলে তু..... " বাকিটা বলতে পারলো না তার আগে সাব্বির আহাম্মেদ কায়রার...

"" আর একটা শব্দ করলে কেটে ফেলে দিবো তোকে ৷ শালী অনেক বেরেছিস তুই , আমার এতো বছরের সাজানো প্লান এক নিমিশে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিবি এটা আমি কোন দিন হতে দিবো না ৷ প্রয়োজন পরলে তোকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিবো ...."" কথা টা বলে কায়রা বেগম কে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়৷ সাব্বির আহাম্মেদ আর কায়রা তাদের ব্যাতিত তৃতীয় কোন ব্যক্তি যে ওদের কথা সম্পূর্ন শুনতে পেয়েছে এটা তারা দুজনের কেউ জানে না৷ 

_________________

ছন্দ ল্যাপটপে Rk সব অবৈধ কাজের লিস্ট দেখছিলো তখনি Md ছন্দ কে ফোন করে...

"" হ্যালো MD আপনি হঠাৎ কল করেছেন সব কিছু ঠিক আছে তো?"

"" নো কুইন কিচ্ছু ঠিক নেই ৷ Rk কে কিডন্যাপ করা হয়েছে ৷"

" কিহ কার এতো বড় সাহস যে আমার শিকার ছিনিয়ে নেয়?" প্রচন্ড রেগে বললো ছন্দ...

"" আয়ান চৌধুরী বর্ণ , তার ফার্ম হাউজে তুলে নিয়ে গেছে" 

"" ফার্ম হাউজ ফাইন Md থ্যাংক ইউ এবার বাকিটা আমি দেখে নিচ্ছি"

" ওকে কুইন.." 

ছন্দ কল ডিসকানেক্ট করে অনিল কে ফোন করে ৷ 

"" অনিল গাড়ি নিয়ে সন্ধে ঠিক ছয়টা বাড়ির সামনে দারাবে ওকে""

"" ওকে কুইন"" কল কেটে ছন্দ মনে মনে বলতে লাগলো.." নাহ বনরাজ আমার টার্গেট কে তুমি কিছুতেই শিকার করতে পারো না ৷ আমি আসছি আমার শিকার ছিনিয়ে নিতে বি রেডি বনরাজ...""  

ছন্দ ফোন হাতে ঘুরাতে ঘুরাতে বর্ণকে ফোন করার সির্দ্ধান্ত নেয়৷ 

" ফোন তো আমাকে করতে হবে বনরাজ কে" ছন্দ ফোন করে বর্ণ কে বর্ণ রেহান কে যন্ত্রনায় সেন্সলেস হতে দেখে রুম থেকে বেরিয়ে আসে তখনি ছন্দ ফোন করে ৷ ছন্দের ফোন কল দেখে বর্ণের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে ..

"" হ্যালো টিয়াপাখি ..""

"" কেমন আছো আর আমাকে তো ভুলেই গেছ তাই না৷ একটু মিস করো না ?"

" তুমি আমায় মিস করছিলে বুঝি" 

 ছন্দ চুপ, ছন্দ কে চুপ থাকতে দেখে বর্ণ জোরে হেসে ফেলে ..

"" আমি কিন্ত আজ রাতে আসছি তোমার কাছে ৷ "

"" হুম আসো কিন্তু আমি তোমার সাথে কথা বলবো না৷ "

"" কেন টিয়াপাখি?"

" কারন তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না তাই""

"" তাই নাকি আজ রাতে দেখবো তুমি তোমার বনরাজের কতো ভালোবাসা সহ্যকরতে পারো"" বর্ণের লাগামছাড়া কথা শুনে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে আসে৷ 

" আমি রাখছি..""

"" ওয়েট টিয়াপাখি ৷আজ কিন্তু আমি তোমার হাতের রান্না খাবো ""

"" হুম .." বলে কল কেটে দেয় ছন্দ ৷ ছন্দ বুজতে পারে না যখনি তার বনরাজের সাথে কথা বলে তখনি তার হৃদস্পন্দন বেরে যায়৷ তখন যেন শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় ছন্দের ৷ ছন্দ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে দুপুর দুটো বাজে ৷ ছন্দ ল্যাপটপ ড্রয়ারে রেখে ফোন হাতে ভাইয়ের রুমের দিকে যায় ৷ 

"" আসবো ভাবি?"

" হ্যা এসো ছন্দরানি.."(রুনা)

" ভাবি তুমি খেয়েছো?"

" হুম আম্মা কিছুক্ষন আগে আমাকে খাইয়ে দিয়ে গেল৷ এতো গুলো সিরি ভেঙে নিচে যেতে কষ্ট হয় বিধায় তোমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছি ৷"

" ছিঃ ভাবি কি সব বলছো তুমি হাহ ! তোমার গর্ভে এই বংশের বংশধর রয়েছে আর তুমি কি সব বলছো এগুলো তো আমাদের দ্বায়িত্ব বুজছো?"

"বুজলাম তুমি খেয়েছো আর শুনলাম আম্মার ছোট বোন এসেছে বিদেশ থেকে ? আম্মা বললো""

" হ্যা ঠিক শুনেছো তুমি আর আমি এখনো খাইনি তোমার সাথে কিছুক্ষন গল্প করে তারপর যাবো..."

"" নাহ অনেক বেলা হয়েছে এখুনি যাও তোমার ভাইয়া ওয়াশরুমে শাওয়ার নিচ্ছে তার হয়ে গেলে সেও যাবে তুমি যাও খেয়ে আসো""

"" ওকে মাই ডিয়ার  কিউট ভাবি.."" 
ছন্দ রুম থেকে বের হয়ে নিচে এসে দেখে কিয়ারা বেগম আর তার ছোট বোন কায়রা বেগম দুজনে হাসি মুখে টেবিলে খাবার সার্ব করছে৷ ছন্দ গুটি গুটি পায়ে চেয়ারে গিয়ে বসে পরে কায়রা ছন্দ কে দেখে চোখে মুখে আতঙ্ক ভয় ফুটে ওঠে৷ ছন্দ কায়রা বেগমের দিকে কিউট একটা হাসি দিয়ে খাবার খেতে শুরু করলো...

"" হেরে ছন্দ তোর খালামনি আসলো কোন কথা বললি না কেন দিন দিন বেয়াদপ হয়ে যাচ্ছিস  কিন্তু""

"" ওহ মাই ডিয়ার আম্মু আমি খালামনির সাথে অনেকক্ষন আগে আলাপ করে নিয়েছি কি তাই না খালামনি? "" খালামনি ডাকটা একটু টেনে বললো , কায়রা ছন্দের মুখের কিউট হাসি টা দেখে ও ভয় লাগছে চুপ করে মাথা নেরে সায় দেয়৷ 

" আপা ছন্দ মামুনির সাথে আমার আগে আলাপ হয়েছে তুই শুধু ওকে বকছিস" 

" আলাপ হলে ভালো ৷"

" আম্মু আব্বু খাবে না ?"
" নাহ বললো তো শরীল ভালো লাগছে না তাই এখন খাবে না তোরা খেয়ে নে"

" শরীলের আর কি দোষ আচমকা এমন ঝটকা লাগলে কার খেতে ইচ্ছে করে ..?" বির বির করে বললো ছন্দ...

 কিয়ারা বেগম মুন্নি কে তার খাবার দিয়ে কাব্য ডাক দিতে দেখে কাব্য আছে ৷ ছন্দের পাশের চেয়ারে বসে পরে কাব্য , কিয়ারা বেগম তার বোন কায়রা ছন্দ কাব্য খাওয়া শুরু করে... 

অন্যদিকে সাব্বির আহাম্মেদ বাড়ির পিছুনে ছোট্ট একটা রুম যেটা সব সময় বন্ধ থাকে সে রুমে প্রবেশ করে লাইট অন করে৷ দেয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখছে৷ মার্ক করা ফটো গুলো ৷ ছন্দ কাব্য কিয়ারা কায়রা রুনা , ছন্দের মৃত বাবা মা , কাব্যের আসল বাবা মানিকের ফটো.. 

"" নাহ এতো বছরের প্লান কিছুতেই নষ্ট হতে দিতে পারি না আমি ৷ সব সব কিছু আমার চাই ৷ ছন্দের সম্পত্তি কাব্যের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ৷ সব সবটা আমার চাই ৷ এগুলো পেতে দরকার হলে কাব্যের বাবার মতো সবাই কে উপরে পাঠিয়ে দিবো ৷ এতো কোটি টাকার সম্পত্তি কিছুতেই হাত ছাড়া করা যাবে না কিন্তু ওই কায়রা কে নিয়ে আমার ভয় হচ্ছে  কিয়ারাকে বলে দিবে না তো আমাদের সম্পর্কের কথা? নাহ তার আগে আমাকে কিছু একটা করতে হবে৷ ""

সাব্বির আহাম্মেদ লাল মার্কার নিয়ে কায়রার ফটোতে ক্রস চিন্হ দিয়ে হাসতে লাগলো.....

________________________________________

৬২

সন্ধায় ছন্দ রেডি হয়ে চুপি চুপি বাসা থেকে বেরিয়ে গেল ৷ গেট দিয়ে বের হতে সামনে সাদা রঙের গাড়ি দারিয়ে থাকতে দেখে ছন্দ গাড়িটার দিকে এগিয়ে যায়৷ 

অনিল ছন্দের জন্য অপেক্ষা করছিলো ছন্দ কে আসতে দেখে গাড়ির দরজা খুলে দেয় অনিল৷ তারপর এগিয়ে দেয় সেই কালো লং কোট কালো টুপি চশমা মাক্স... 

"" থ্যাংকস অনিল .." 

" ওয়েলকাম কুইন .."" অনিল গাড়ি চালাতে লাগে আর ছন্দ লোকেশন বলে যাচ্ছে ৷ 

পনেরো মিনিটের মাথায় ছন্দ আর অনিল পৌছে যায় বর্ণের ফার্ম হাউজে ... ছন্দ হাতে একটা ক্লোরোফর্ম স্প্রে নিয়ে নেয় ৷ অনিল নেয় দুটো লোড করা গান৷ 

"" অনিল আই থিং তোমার ওই গান আজ আমাদের কোন কাজে আসবে না ৷"

"" কিন্তু কেন কুইন?"

" তা দেখবে চলো ওহ তার গে তুমি মাক্সটা পরে নেও কারন ছারিদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো কোন ক্যামেরায় যেন তোমার ফেস দেখা না যায়" 

"" ওকে কুইন.." ছন্দ অনিল দুজনে গেটের কাছে এসে গার্ডদের মুখে স্প্রে করে দেয় সাথে সাথে গার্ড দুজন অজ্ঞান হয়ে পরে৷ ছন্দ গেটের ছোট ছোট ফাকা থেকে হাত বাড়িয়ে গার্ডের পকেট থেকে চাবি নিয়ে গেটের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে তারপর খুব সাবধানে একে একে সব গাডর্দের অজ্ঞান করে ভিতরে প্রবেশ করে অনিল ছন্দ ৷ হঠাৎ ছন্দ মিহির কে দেখতে পায়৷ মিহির ছন্দ কে দেখে চিনতে পারেনি ৷ তবে গান বের করতে নিলে তার পূর্বে ছন্দ ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে দেয় মিহিরের মুখে সাথে সাথে মিহির জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷ ছন্দ অনিল দুজনে ধিরে ধিরে সেই রুমে প্রবেশ করে দেখতে পায় RK কে .... অনিল Rk এর অবস্তা দেখে শিউরে ওঠে ...

"" কুইন এটাই কি Rk ?"

ছন্দ আগুন চোখে Rk কে দেখতে দেখতে উওর দিলো "হ্যা এই জানোয়ার টাই Rk" 

অনিল আর দেরি করলো না Rk হাত পায়ের বাধন খুলে কাধে তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেল ফার্ম হাউজ থেকে....


 ছন্দ অনিল দুজনে ধিরে ধিরে সেই রুমে প্রবেশ করে দেখতে পায় RK কে .... অনিল Rk এর অবস্তা দেখে শিউরে ওঠে ...

"" কুইন এটাই কি Rk ?"

ছন্দ আগুন চোখে Rk কে দেখতে দেখতে উওর দিলো "হ্যা এই জানোয়ার টাই Rk" 

অনিল আর দেরি করলো না Rk হাত পায়ের বাধন খুলে কাধে তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেল ফার্ম হাউজ থেকে....

" কুইন এটা কে নিশ্চয় টর্চার সেলে নিতে হবে!"

" বাহ এই তো সবটাই তো বুজতে পেরেছো অনিল৷ বাই দ্যা ওয়ে এই Rk এর জন্য স্পেশাল ট্রিটমেন্টের ব্যাবস্থা করবে গট ইট"

"" ইয়েস কুইন ..."" অনিল বলতে বলতে গাড়ি স্টাট দেয়৷ দের ঘন্টার মধ্যে ছন্দ অনিল কাজ কম্পিলিট করে তাদের গোপন এরিয়ায় চলে আসে ৷ চারিদিকে কড়া গার্ড পাহাড়া দিচ্ছে ৷ ছন্দ অনিলের গাড়ি দেখে সবাই ছন্দ কে সন্মান দেখাচ্ছে ৷ ছন্দ গাড়ি থেকে ইশারা করে Rk কে ভিতরে নিতে ৷ দ্রুত গার্ড Rk কে তুলে নিয়ে যায়৷ 

" কুইন এবার কি নির্দেশ আমার উপর?"

"" তোমাকে আজ আর কিছুই করতে হবে না কারন এখন যা করার সবটাই আমি করবো ৷ চলো আমার সাথে..."

"" ইয়েস কুইন ..."" 

ছন্দের পিছুন পিছুন অনিল ভিতরে ঢুকে টর্চার সেলে ঢুকে যায়....

""  অনিল Rk কে একা একটা অন্ধকার রুমে পায়ে শিকল বেধে রুমে বন্ধ করে রাখো৷ আমি এখন আপাদতো রোদ অরফে সিয়াম কে আমার আঙুলের ইশারায় একটু নাচাবো..."

"" কুইন সব ব্যাবস্তা করা আছে আপনি চলুন আর আমি Rk কে দেখছি৷ ""

"" ওকে অনিল ..""

৬৩

মিহিরের জ্ঞান ফিরে আসতে দ্রুত Rk কে যে রুমে রাখা হয়েছে সে রুমে গিয়ে চেক করে Rk কে না দেখতে পেয়ে দ্রুত বর্ণ কে ফোন করে... বর্ণ অফিসের মিটিং একটা রেস্টুরেন্টে থাকায় ফোন সাইলেন্ট রাখে ৷ বর্ণকে ফোন রিসিব করতে না দেখে মুরাদ কে ফোন করে.. মুরাদ মিহিরের ফোন কল দেখে  রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে কল রিসিব করে....

"" হ্যালো মুরাদ স্যার..""

" হ্যা কি হয়েছে তোমার গলাটা এমন শুনাচ্ছে কেন?""

"" স্যার একটা বড় সমস্যা হয়ে গেছে ৷ বস কে কল করেছি উনি কল রিসিব করেনি"

" বর্ণ মিটিংয়ের মাঝে তাই হয়তো খেয়াল করেনি৷ কি হয়েছে আমাকে বল"

"" স্যার Rk কে কিডন্যাপ করেছে" মিহিরের কাছ থেকে কথাটা শুনে মুরাদ চমকে ওঠে ..

" ওয়াট কিডন্যাপ হয়েছে মানে কি করে সম্ভব এটা ? বর্ণের শিকার কে কেউ এভাবে ছিনিয়ে নিতে পারে এটা অসম্ভব..."

"" না স্যার এটাই সত্যি..." মিহির শুরু থেকে সবটা খুলে বলে মুরাদ কে .. মুরাদ সব টা শুনে অবাক হয়ে যায় ৷ এতো নিক্ষুত প্লান কে করতে পারে আর ওই মাক্সের আড়ালে বা কে হতে পারে এটা ভেবে-ই মুরাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ৷ 

" মিহির ইউ ক্যান টেক রেস্ট ৷ আমি বাকিটা সামলে নিবো আর বর্ণকেও সব টা বুঝিয়ে বলবো..""

"" বাট স্যার বসের যদি আমাকে প্রয়োজন হয়?"

"" আমি বললাম তো আমি বাকিটা সামলে নিবো ৷ তুমি বাড়ি ফিরে যাও আর রেস্ট করো আর যাওয়ার পূর্বে বাকি গার্ডদের জ্ঞান ফিরিয়ে যাবে "

" ওকে স্যার , এন্ড থ্যাংকস ..""

"" ওয়েলকাম..."

বর্ণ মিটিং শেষ করে বাহিরে এসে দেখে মুরাদ বাইরে দারিয়ে কি যেন একটা ভেবে যাচ্ছে ৷ বর্ণ মুরাদের পাশে গিয়ে দারিয়ে কাধে হাত রাখে চমকে ওঠে মুরাদ....

"" তুই , মিটিং শেষ তোর?"

" হ্যা বাট তোকে দেখে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে কি হয়েছে?""

মুরাদ এবার শুরু থেকে সবটা বর্ণ কে খুলে বলে ৷ সবটা শুনে রাগে কপালের রগ ফুলে ফেপে ওঠে ৷ 

"" কে করেছে এই সব খুজে বের কর মুরাদ.."" রাগে ফুসতে ফুসতে বললো বর্ণ...

"" আই থিং এটা প্রি প্লান , আমাদের অন্য ভাবে খুজে বের করতে হবে৷ "

" এক মিনিট ওরা জানে ওখানে সিসি ক্যামেরা আছে নিশ্চয় ওদের গাড়ির নম্বর কোন না কোন ক্যামেরায় রেকর্ড হবে রাইট""

" একদম বর্ণ৷ আমরা তো ওই গাড়ির নম্বর ট্রাক করে ওদের খুজে বের করতে পারি৷ ""

" হুম.. খুজে তো বের করতেই হবে কে এই অজানা শত্রু যে আমার শিকার কে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়? ছাড়বো না তাকে কঠিন মৃত্যু দেবে এই বর্ন...""

"" মাথা ঠান্ডা কর বর্ণ ..যাই হোক ডিনার করেছিস?"

"" যাস্ট রাত আটটা বাজে মুরাদ এখুনি ডিনার! নাহ তুই ডিনার করে নে""

" নাহ মানে আজ তোর বোনের সাথে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করার প্লান আছে আমার ...""

"" তাহলে এখানে কি করছিস যা প্লানিং কর ৷ রেহান কে নিয়ে তোকে এখন ভাবতে হবে না ৷ ওর যে অবস্তা করেছি আমি এতো তারাতারি সুস্থ হতে পারবে না৷ সু্স্থ হওয়ার পূর্বে ওকে আমি খুজে নিজের হাতে শেষ করবো..."

" ফাইন তাহলে আমি আসছি এখন!"

" হুম..." মুরাদ চলে যেতে বর্ণ তার কয়েক জন গার্ড কে মেসেজ করে ৷ রিপলে তে তারা জানায় আগামি দু ঘন্টার মধ্যে Rk অরফে রেহান খান কে খুজে তার সামনে দার করাবে.... 

বর্ণ মেসেজ টা দেখে বাকা হেসে আঙুলের ফাকে চাবির রিং ঘুরাতে ঘুরাতে গাড়িতে গিয়ে উঠে বসে৷ 

_________________________________________________________________________

সাব্বির আহাম্মেদ নিজের রুমে বিছানায় শুয়ে পরে ৷ মনে মনে প্লান করতে থাকে কি করে তার পথের কাটা দুর করা যায়৷ আবার সিয়ামের খোজ কি করে পাওয়া যাবে! একমাত্র ছেলে সিয়াম তার ওকে না পেলে সব শেষ হয়ে যাবে৷ কিয়ারা বেগম তার বোনের সাথে গল্প করে রুমে এসে দেখে সাব্বির আহাম্মেদ শুয়ে আছে ৷ কিয়ারা বেগম সাব্বির আহাম্মেদের কাছে গিয়ে বলতে লাগলো" সাবু তোমার কি শরীল খারাপ লাগছে ? এই সময়ে শুয়ে আছো?"

সাব্বির আহাম্মেদ খানিকটা বিরক্ত হয়ে কপাল থেকে হাতটা সরিয়ে কিয়ারা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো"" সমস্যা কি তোমার দেখছো না আমি শুয়ে আছি তারপর ও কেন এতো কথা বলছো হাহ ""

" না মানে আমি ভাবলাম তোমার শরীল খারাপ লাগছে হয়তো.. "

" হয়তো কি হাহ..কিয়ারা দেখো আমার ভালো লাগছে না আমাকে একদম বিরক্ত করবে না ৷"

" সাবু দিন কে দিন তুমি আমার সাথে বাজে বিহেব করছো এটা কিন্তু আমি সহ্য করবো না ৷ ভুলে যাবে না আমি তোমার স্ত্রী ৷ " কথা গুলো কড়া গলায় বললো কিয়ারা বেগম... কিয়ারা বেগমের কথা শুনে সাব্বির আহাম্মেদ  কিছুটা নরে চরে ওঠে .."" ইস কি ভূল টাই না করতে যাচ্ছিলাম ৷ কিয়ারা কে  এখন উত্তিজিত করলে আমার-ই তো লস নাহ ওকে উত্তিজিত করা যাবে না৷ " (মনে মনে বললো সাব্বির আহাম্মেদ ) 

" কিয়ারা কিছু মনে করো না আসলে আমার মন মেজাজ ভালো নয় তাই তোমার সাথে এমন বিহেব করে ফেলেছি স্যরি.. "

" সাব্বির এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তুমি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে পরবর্তীতে আর একবার খারাপ ব্যাবহার করবে তো  আমার খারাপ রুপ টা তুমি দেখবে...""

" বলে নেও কিয়ারা বলে নেও আমার কাজটা একবার হাসিল হক তারপর তোমাদের মা ছেলে মেয়ে সবাই কে একে বারে কবরে শুইয়ে দিবো..."   
 মনে মনে বলতে লাগলো সাব্বির আহাম্মেদ ....

" স্যরি বললাম তো কিয়ারা এই শেষ বার আমাকে ক্ষমা করে দেও..."

"" হ্যা এই শেষ বার তোমাকে ক্ষমা করলাম সাবু ""

________________________________________________________________________

৬৪

সিয়াম উল্টো করে ঝুলে টিপ টিপ করে ছন্দের দিকে তাকাচ্ছে ৷ ছন্দ আপেল খেতে খেতে সিয়াম কে পর্যবেক্ষন করছে ৷ 

" তো মিস্টার সিয়াম কেমন লাগছে আমার রাজ্যে এসে?"

সিয়াম ছন্দের কথার প্রতি উওরে বললো " আ,,,আমাকে ছে,,ড়ে দেও দয়া করে কথা দিচ্ছি আমি অনেক দুরে চলে যাবো"" ছন্দ সিয়ামের কথা শুনে হা হা করে হাসতে লাগলো .."" সিরিয়াসলি এতো কিছুর পর মনে হলো তোকে আমি ছেড়ে দিবো? ইউ নো ওয়াট আগামিকাল সাব্বির আহাম্মেদ এর জন্য একটা বিশেষ দিন তার জন্য তো আমি বিশাল এক সারপ্রাইজ দিবো সিয়াম.."" কথাটা বলে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে  বাকা হাসলো ছন্দ ... 

"" গার্ড'স..."

"" ইয়েস কুইন ""

"" এটার হাত পায়ের বাধন খুলে স্পেশাল চেয়ারে বসাও .."

" ইয়েস কুইন " গার্ড ছন্দের কথা মতো সিয়ামের বাধন খুলে আগের সেই কাঠের চেয়ারে সিয়াম কে বসায়..ছন্দ হাতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে আটটা বেজে বিশ মিনিট এর মানে ছন্দের হাতে সময় খুব কম কিছুক্ষনের মধ্যে তাকে এখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে৷ ছন্দ দেরি না করে গার্ড কে ইশারা করতে সিয়াম কে ছোট একটা রুমে নিয়ে যায় ৷ ছন্দ রুমের বাইরে দারিয়ে সিয়ামের উদ্দ্যশ্যে বলে উঠলো " মিস্টার সিয়াম মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত তো?"

"" ম,, মানে?""

"" মানেটা এখুনি বুজতে পারবি৷ গার্ড'স নিয়ে এসো.."  ছন্দের কথা মতো গার্ড'স বড় বক্স করে কিছু একটা নিয়ে আসে ৷ তখন ছন্দ সিয়াম কে বললো" ইউ নো ওয়াট সিয়াম ছুচু মেরে এই ডার্ক কুইন হাত নষ্ট করে না তাই তোমার জন্য স্পেশালি গিফ্ট আনিয়েছি আফ্রিকা থেকে ৷ আই নো তোমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে কি এনেছি তাই না? ওয়েট গার্ড'স .."

ছন্দের পারমিশন পেয়ে গার্ড বক্স গুলো খুলে সিয়ামের দিকে এগিয়ে দেয় সাথে বক্স থেকে বেরিয়ে আসে ব্লাক ম্মার... আফ্রিকার সব থেকে বিশাক্ত সাপ ব্লাক ম্মার.. সাপ দেখে সিয়ামের চোখ চানা বরা হয়ে যায়৷

"" সা,, সাপ সাপ প্লিজ সামবডি হেল্প মি .."" জোড়ে চিৎকার করে বলতে লাগলো সিয়াম...

"" নো বডি হেল্প ইউ সিয়াম ৷ এখনো তো কিছুই হয়নি গার্ড'স নেক্সট বক্স নিয়ে এসো.."

"" ইয়েস কুইন.."" দ্রুত আর একটি বক্স এনে তার বক্স গুলো খুলে দেওয়া হয় সাথে সাথে বেরিয়ে আসে বিশাক্ত মাকড়শা .. বিশাক্ত সাপ আর বিশাক্ত মাকড়শা দেখে সিয়ামের প্রান যায় যায় অবস্তা ৷ ব্লাক ম্মার দুটো সিয়ামের দিকে এগিয়ে ছোবল মারে ৷  তার পর মাকড়শা গুলো একে একে  সিয়ামের পুরো শরীলে ছড়িয়ে পড়ে ৷ কয়েক মুহূর্তে সিয়ামের পুরো শরীল নীল বর্ণ ধারন করে ৷ নিথর দেহ পরে থাকে  ফ্লোরে ৷ তারপর ও সাপ গুলো তাদের ছোবল থামিয়ে রাখে নি সিয়ামের গলা পেছিয়ে কপালে কয়েকটা ছোবল দিতে লাগলো৷ আর মাকড়শা গুলো তাদের বিশ সিয়ামের শরীলে ছড়িয়ে দিতে লাগলো... 

ছন্দ আর গার্ড'স শুরুতেই দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিতরে থাকা সি সি ক্যামেরার সাহায্য রুমের বাইরে বসে টিভির স্কিনে সবটা দেখতে লাগলো...

"" কাজ শেষ ৷ তোমরা ব্লাক ম্মার আর মাকড়শা গুলো সামলে রেখো আর লাশটাকে খুব সুন্দর করে কাফিনের ভিতর বন্ধ করে রেখো ৷ আমি আসছি৷""

"" ওকে কুইন "" 

ছন্দ বের হতে অনিল এসে হাজির হয় ৷ 

" কুইন আমি আপনাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দিচ্ছি..""

" ওকে দেন লেট'স গো।"

অনিল ছন্দ কে ছন্দদের বাড়ির পিছুনের রাস্তায় নামিয়ে দেয় ছন্দের কথা মতো৷ ছন্দ যেহেতু লুকিয়ে বের হয়েছে সেহেতু লুকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে হবে৷ ছন্দ অনিল কে বিদায় দিয়ে বাড়ির পিছুনের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ৷ ভাগ্যক্রমে ড্রইং রুমে তখন কেউ ছিলো না ৷ ছন্দ খুব সাবধানে নিজের রুমে গিয়ে ড্রেস চেন্জ করে নিয়ে কিচেনে চলে আসে বর্ণের জন্য স্পেশাল কিছু রান্না করার জন্য ৷ ছন্দ মুন্নি কে বাহির থেকে ভিতরে আসতে দেখে মুন্নির নাম ধরে ডেকে ওঠে ছন্দ৷ ছন্দের গলা পেয়ে ভয় পেয়ে যায় মুন্নি...

"" আফা আন্নে আমারে ডাকছেন?"

" হুম ডেকেছি এদিকে আয় আর আমাকে হেল্প কর.."

" আইচ্ছা ,," ছন্দ মুন্নির সাহায্য নিয়ে বিরয়ানি রান্না করে ফেলে সাথে পায়েশ আর চিকেন ফ্রাই...ছন্দ বর্ণের জন্য আলাদা প্লেটে তুলে নিয়ে একপাশে লুকিয়ে রাখে বাকিটা মুন্নিকে বলে ডাইনিং টেবিলে সার্ব করে দিতে বলে ৷ মুন্নি ঝটপট কাজ গুলো করে দেয়৷ ততোক্ষনে কিয়ারা বেগম নিচে আসেন ডিনার সার্ব করার জন্য কিন্তু ছন্দ কে এতো কিছু করতে দেখে মনে মনে ভিষন খুশি হয়৷ 

"" আম্মু তুমি এসে গেছো ভালো হয়েছে খালামনি ভাইয়া ভাবি আব্বু কে খেতে ডাকো ৷ আজ আমি নিজের হাতে রান্না করেছি ৷ "" 

"" মাশাআল্লাহ আমার মেয়েটা দেখছি অনেক বড় হয়ে গেছে দেখেছিস মুন্নি ৷ যাই আমি সবাই খাওয়ার জন্য ডেকে আনি৷"" 

কিয়ারা বেগম চলে যেতে ছন্দ মুন্নির হাত চেপে ধরে...

" ওমা ও আফা আন্নে মোর হাত চাইপ্পা ধরছেন কিল্লায়?" 

" তার আগে বল এতো রাতে তুই বাইরে গিয়েছিলি কেন? আর কার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলি?"

ছন্দের প্রশ্ন শুনে মুন্নি ভয়ে কাঁপতে লাগলো"" আ,,,আফা বিশ্বাস করেন আমি কারোর লগে দেখা করি নাই ""

"" তাই যাহ বিশ্বাস করলাম.."" বলে ছেড়ে দিলো মুন্নির হাত.. হাত ছাড়া পেতে মুন্নি স্বস্তির নিস্বাস ফেলে দ্রুত ছন্দের সামনে থেকে সরে যায়৷ 

কিয়ারা বেগম সবাই কে ডেকে এক টেবিলে সবাই খেতে বসে ৷ সবার মুখে কিন্চিত হাসি থাকলেও কাব্যে আর কায়রার মুখে হাসি নেই৷ কোন রকম খেয়ে দুজনে উঠে যায়৷ ছন্দ হালকা খেয়ে উঠে পরে ৷ 

অন্যদিকে বর্ণের প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হচ্ছে কারন এখনো রেহানের কোন নিউজ পায়নি বর্ণ ৷ বর্ণ দু হাত দিয়ে কপাল চেপে ধরে চোখ বন্ধ করতে ছন্দের হাস্যজ্বল ছবি ভেষে ওঠে বর্ণের চোখের সামনে৷ পরক্ষনে বর্ণের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে৷ বর্ণের মনে পরে যায় আজ রাতে ছন্দের কাছে যাওয়ার কথা৷ বর্ণ ঝটপট ফ্রেস হতে চলে যায়৷ ফ্রেস হয়ে চেন্জ করে নেয় বর্ণ  তখনি দরজায় কেউ নক করে বর্ণ বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে দেখে......
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।