আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

নীরব সাক্ষী (পর্ব ২৬)


আবিদ ব্রু কুচকে ফারিহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো "" আব তোমহারা ক্যা হোগা সালিকা ?" 

"" ঠিক হয়েছে আমাদের জ্বালাতে এসে এখন নিজে জ্বলছিস কেমন লাগছে বল ফারিহা,""

"" ডাইনি তোর খবর আছে ৷"" রাগে ফোস ফোস করতে করতে ফারিহা বেরিয়ে যায়.. ফারিহা যেতে আবিদ মুন দুজনে হেসে ওঠে ৷ অন্যদিকে আবিদের বাবা আফজাল সাহেব আর মুনের মা আলিয়া বেগম দুজনে মিলে পরিকল্পনা করছে কি করে আবিদ আর মুন কে আলাদা করা যায়৷ 

এদিকে মেহেন্দীর আয়োজন করা শেষ৷ ফারিহা এখনো আয়ানের থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে ৷ তিন দিন ধরে ফারিয়া তন্নির সাথে রুম শেয়ার করে থাকছে ৷ ভয়ে আয়ানের সামনে পর্যন্ত যাচ্ছে না ফারিহা ৷ ফারিহা নিজে রেডি হয়ে  মুন কে রেডি করে নিচে নিয়ে আসে ৷ মুন সবুজ আর সোনালি রঙের একটা লেহেঙ্গা পরেছে তার উপর ম্যাচিং জুয়েলারি সেট পড়া ৷ ফারিহা ও সেইম সাজে সেজেছে৷ যে কেউ দেখলে দুজন কেই বিয়ের কনে ভেবে বসবে৷ ফারিহার এই সাজ মূলত আয়ানের জন্য যাতে আয়ানের রাগ টা ভাঙাতে পারে৷ 

আবিদ আয়ান দুজনে মুন ফারিহা কে দেখছে ৷ কারোর-ই পলক পড়ছে না ৷  

ফারিহা মুন কে নিয়ে নিচে নেমে আসে ৷ ততোক্ষনে তন্নি সানজু আরো মেয়েরা এসে মুন কে ঘিরে ধরে ৷ ছোট্ট একটা স্টেইজ বানানো হয়েছে ৷ তার উপরে মুন কে বসানো হয় ৷ দুজন মেয়ে এসে মুন আর ফারিহা কে  মেহেন্দি পড়াতে থাকে৷ দুর থেকে আবিদ আয়ান সবটা দেখছে ৷ কিছুক্ষণ পর আয়ান আবিদ দুজনে মুন ফারিহার দিকে এগিয়ে আসে ৷ দুজনে মেহেন্দীর টিউব নিয়ে আয়ান ফারিহার হাতে আর আবিদ মুনের হাতে নিজেদের নাম লিখে দেয়৷ ফারিহা ধরে নেয় আয়ান আর রেখে নেই কিন্তু আয়ান মেহেন্দি লাগিয়ে থমথমে মুখ নিয়ে চলে যায়৷ আর আবিদ মুন কে ইশারায় ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিয়ে আড়াল হয়ে যায়৷ মুন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে এদিকে তন্নি সানজু মুনকে জ্বালিয়ে যাচ্ছে ৷ সুন্দর ভাবে মেহেন্দি অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়৷ মুন আর সানজু একরুমে থাকতে দেওয়া হয়েছে ৷ আবিদ নিরবের সাথে রুম শেয়ার করবে বিয়ের আগ পর্যন্ত ৷ 

ফারিহা ভয়ে ভয়ে রুমে ঢুকে ওয়াশরুমে ঢুকতে যাবে তখনি আয়ান ফারিয়ার হাত হ্যাচকা টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে ফারিহার হাত দুটো চেপে ধরে...

"" এখন কি করে জানপাখি ?""

"" আ,,আয়ান আমি তখন তোমার সাথে মজা করেছিলাম ট্রাস্ট মি""

"" তাই বেবি এখন মজা করার ফল ভোগ করো ৷""

আয়ান ফারিহার গলায় মুখ গুজে গলায় কামড় বসিয়ে দেয়....

"" আহা আয়ান কি করছো তুমি...""

"" এখনো তো শুরু করেনি জানপাখি ৷""

আয়ান ফারিয়া কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে লাইট অফ করে দিলো.......

পরেরদিন সবাই ভিষন ব্যাস্ত মুনের আজ গায়ে হলুদ ৷ হলুদের জন্য গার্ডেনে ছোট্ট স্টেইজ বানানো হয়েছে ৷ তার মাঝখান দিয়ে পর্দা দিয়ে দেওয়া হয়েছে কারন মুন আবিদ দুজনের আজ এক সাথে হলুদ হবে৷ 

মুনকে লাল পায়ের হলুদ শাড়ি আট পেরে করে পড়ানো হয়েছে ৷ তার উপর কাঁচা ফুলের সাজ ৷ অসাধারণ লাগছে মুন কে ৷ ফারিহা মুনের কানের পিঠে কাজলের টিকা লাগিয়ে দেয়...

"" এটা কি করলি ফারিহা?""

"" নজর না লাগে তাই কালো টিকা লাগিয়ে দিলাম বুজলি ৷ এখন চল জিজু তোর জন্য নিচে অপেক্ষা করছে৷ ""

"" হু চল ""

ফারিহা মুন কে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দিলো ৷ আবিদ পর্দার আড়ালে মুন কে দেখার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ কিন্তু ফারিয়া তন্নি সানজুর জন্য পারছে না৷ একে একে সবাই দুজন কে হলুদ লাগিয়ে দিলো ৷ হঠাৎ করে আয়ান ফারিহার হাত ধরে স্টেজের পিছুনে টেনে নিয়ে যায়...

"" কি হলো আয়ান এভাবে সবার সামনে দিয়ে টেনে আনলে কেন?""

"" কারন এখন আমার সুইটহার্ট কে হলুদ লাগাবো...""

"" কই তোমার হাতে তো হলুদ নেই তাহলে কি করে হলুদ লাগাবে হু?"" ব্রু কুচকে জ্বিগাসা করলো ফারিহা... 
আয়ান মুচকি হেসে ফারিহার গালে সাথে নিজের ছুইয়ে দিয়ে হলুদ লাগিয়ে দিলো... লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে গেছে ৷ আয়ান ফারিহার লজ্জা মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে নাকে ঘষে হুট করে ফারিহার ঠোটে ঠোট জোড়া বসিয়ে দিলো তখনি পাশ থেকে কেউ সিটি বাজায় ৷ ফারিহা ধাক্কা দিয়ে আয়ান কে সরিয়ে দিয়ে দেখে নিরব আবিদ সানজু তন্নি দারিয়ে দুজনের দিকে তাকিয়ে  দাঁত বের করে হাসতে লাগলো...

ফারিহা দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায় ৷

"" ব্রো পাবলিক প্লেসে রোমান্স করছো  ?"" (নিরব)

"" লাইন্সেস করা বউ আমার , রোমান্স করার অধিকার আছে আমার বুজলে ব্রো..."" হাত ভাজ করে নিরব কে উদ্দেশ্য করে বললো আয়ান....

"" তোমাদের রোমান্স যেহেতু শেষ তাহলে চলো স্টেজের সামনে...""

ছেলে মেয়েরা মিলে নাচ গান হই হইল্লোর করে কাটালো ৷ ফারিহা তন্নি সানজু আর আয়ান সাব্বির নিরব মিলে কাপল ডান্স করে.... 

"" ফারিহা মা হলুদ অনুষ্ঠান শেষ ওদের কে রুমে পাঠিয়ে দেও গোছল করে নিক সন্ধা হয়ে গেছে এর পর ওদের ঠান্ডা লেগে যাবে৷ "" (মামি)

"" ওকে আন্টি""

ফারিহা ওদের দুজন কে আলাদা আলাদা রুমে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে ও রুমে চলে যায় ফ্রেস হতে.......
.
.
.
.
________ '' রিদ বাবা দরজা খোল , রিদ কি হয়েছে এভাবে গত দুইটা দিন ধরে নিজেকে রুমে বন্দি করে রেখেছি কেন বল বাবা কে , রিদ?""

ভিতর থেকে কোন আওয়াজ না পেয়ে রায়হান আহাম্মেদ ভয় পেয়ে আশে পাশের লোকজন দের ডাকে দরজা ভাঙার জন্য, 

"" তারাতারি করেন ভাই ৷ ছেলে টা কি করছে ভিতরে কোন দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেনি তো..??"(রায়হান )

"" ভাইসাহেব মনে সাহস রাখেন দেখবেন সব ঠিক আছে রিদ বাবাজি ও ঠিক আছে.."" পাশে থাকা লোক টি বলে উঠলো ...

কিছুক্ষনের মধ্যে দরজা ভেঙে ফেলে তারা , রায়হান আহাম্মেদ সবার আগে ভিতরে ঢুকে যা দেখলেন তা দেখার জন্য মটেও প্রস্তত ছিলেন না ৷ পুরো ফ্লোর রক্তে তলিয়ে গেছে ৷ রিদের কাটা হাত দিয়ে এখনো রক্ত বের হচ্ছে ৷ চোখ বন্ধ করে আছে রিদ ৷ বোঝা যাচ্ছে রিদের জ্ঞান নেই৷ রায়হান আহাম্মেদ দিশে হারা হয়ে পড়লেন কি করবেন ভেবে পাচ্ছে না ৷   আশে পাশের লোকজন এম্বুলেন্সে কল করে আসতে বলে ৷ 

অপারেশন থিয়েটারের নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিদ কে আর বাইরে বসে আছে রায়হান আহাম্মেদ রিয়ানা বেগম, রিমা , প্রিয়ন্তি কে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে রিয়ানা বেগম , ডখবর পেয়ে প্রিয়ন্তি আর তার স্বামি আসিবুল বেরিয়ে পরে ৷ 

দু ঘন্টা পর ডক্টর বেরিয়ে এসে গম্ভির মুখ করে দারায় রায়হান আহাম্মেদ এর সামনে..৷ 

"" ডাক্তার আমার ছেলে কেমন আছে ও সুস্থ হয়ে যাবে তো?""( রায়হান আহাম্মেদ )

"" চুপ ডাক্তার"" ডাক্তার কে চুপ থাকতে দেখে রিয়ানা বেগম চিৎকার করে কান্না করতে থাকে...

"" ডাক্তার কিছু বলছেন না কেন দয়া করে বলুন আমার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে তো?""

"" স্যরি রায়হান সাহেব প্রচুর ব্লাড লস আর উইক ছিলো আর মনে গতো দু তিন দিন ধরে উনি কিচ্ছু খায় নি ৷  আমরা ব্লাড দিচ্ছি ৷ ৪৮ ঘন্টা না গেলে আমরা কিছু বলতে পারছি না ৷ সব টা এখন আল্লাহর হাতে...  ""
 

রায়হান আহাম্মেদ ধুপ করে ফ্লোরে বসে পরে ৷ রিয়ানা বেগম রিমা দুজনে ছুটে আসে রায়হাম আহাম্মেদ এর কাছে ৷ ডাক্তারের প্রত্যেকটা কথা প্রিয়ন্তি আর তার স্বামী হাসিবুল শুনেছে৷ প্রিয়ন্তির দু-চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে ৷ প্রিয়ন্তি কখনো ভাবেনি যে তার রিদ ভাইয়ার এমন অবস্তা হবে কখনো... 

রিদ কে আই সি ইউ রুমে রাখা হয়েছে পুরো রাত প্রত্যেকটা মানুষ কেউ দু চোখের পাতা এক করেনি ৷ প্রিয়ন্তি রিদের আই সি ইউ রুমের বাইরে দারিয়ে রিদ কে দেখছে ৷ এক দিনে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে ৷ মুখের চোয়াল ভেঙে গেছে ৷ সুন্দর মুখ টা নিমিষেই বিষাদের বর্ন ধারন করেছে ৷  
কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছুনে তাকিয়ে দেখে রায়হান আহাম্মেদ দারিয়ে ৷ প্রিয়ন্তি কিছু না বলে রায়হান আহাম্মেদ কে জরিয়ে ধরে কাদঁতে লাগলো ৷ রায়হান আহাম্মেদ প্রিয়ন্তির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন...

"" কাদিস না মা , আমার ছেলেটা কেন এমন করলো জানি না তবে মন দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন ও তারা তারি সুস্থ হয়ে যায়৷""

"" খালু তুমি সত্যি বলছো তো , রিদ ভাইয়া সুস্থ হয়ে যাবে তো?""

"" হ্যা মা সুস্থ হয়ে যাবে তুই চিন্তা করিস না ৷ আল্লাহর উপর ভরশা রাখ ৷""

"" হুম "" 
.
.
.
.

ফজরের আজান মুনের কানে পৌছাতে মুন ঘুম থেকে উঠে বসে ৷ তারপর উজু করে নামাজ পরে নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে দারায় ৷ আজ মুনের খুব ইচ্ছে করছে আবিদ কে সাথে নিয়ে সূর্য উদয় দেখার কিন্তু তা আজ সম্ভব নয় ৷ উওরের হাওয়ায় মুনের চুল গুলো হাওয়ায় উড়ছে ৷ মুন তার অতিতের সাথে আজকের দিনের পার্থক্য খুজে যাচ্ছে ৷ আর হিসেব শেষে মুনের ঠোটের কোনে হাসির রেখা ফুটে উঠলো .... "" দীর্ঘ এক বছর তিন মাস দশ দিন পর মুন তার ভালোবাসার মানুষ টাকে নিজের একান্ত করে পাবে ৷ ভাবতে মুনের চোখ মুখে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠলো ৷

চারিদিক সূর্যের কিরন ছড়িয়ে পরেছে ৷ পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে জানান দিচ্ছে ভোর হয়ে গেছে ৷ 

বিয়ে বাড়ি তাই সবাই ফজরের আজানের পর পর ঘুম থেকে উঠে কাজে লেগে পরে ৷ মুন বেলকনিতে দারিয়ে সবার ব্যাস্ততা দেখছে ৷ তবুও চোখের কোনে জল চিক চিক করছে মুনের ... আজ বড্ড বাবা মায়ের কথা মনে পড়ছে মুনের , কিন্তু মানুষের সব আশা পূরন হতে হবে এমনটা নয় ৷ কিছু কিছু ইচ্ছে কখনো পূরন না হওয়াই উচিত কারন কোন কোন ইচ্ছে মানুষের জীবনে খুশির বদলে দুঃখ  বয়ে আনে৷ আর হয়তো তার বাবা মায়ের বিয়ে বাড়িতে আশাটা খুশির বদলে দুঃখ বয়ে আনবে৷ 

মুনের চোখ জোড়া ঘুমে ভেঙে আসছে ৷ মুন ধির পায়ে সানজুর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো৷ 

দুপুর বার টায় মুনের ঘুম ভাঙে ৷ সানজু ফারিহা মুন কে গোসলে পাঠিয়ে বিয়ের ড্রেস জুয়েলারি মেকয়াপ সব বিছানায় সাজিয়ে রাখে ৷ এক ঘন্টা পর মুন ওয়াশরুম থেকে বের হতে ফারিয়া হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে মুনের চুল শুকিয়ে দিয়ে পার্লারের মেয়েদের কাছে সাজতে বসিয়ে দিয়ে নিজেরাও সাজতে বসে যায় অন্যদিকে আলিয়া বেগম আফজাল সাহেব আর আজমির লোক জন নিয়ে রওনা হয় ফারিহার বাড়ির উদ্দেশ্যে.....
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।