আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - অন্তিম পর্ব ২৬ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


ছন্দ অনিলের দিকে ইশারা করতে অনিল একটা ইনজেকশন নিয়ে এসে কায়রার কাধে পুশ করে দেয়৷ কয়েক মুহূর্তে কায়রা চোখ বন্ধ করে ফেলে ৷ অনিল  গার্ড কে বলে .. "" এটাকে ভাগারে ফেলে আয়..."

"" জ্বি স্যার..." 

ছন্দ সাগরিকা কিয়ারা সাব্বির আর আয়মানের চারদিকে হাটতে হাটতে বলতে লাগলো ....তো খেলা থেকে একজন আউট হয়ে গেল এখন তোদের ভিতর কে আগে আউট হবে তা দেখার পালা..."

ছন্দের কথা শেষ হতে কাব্য বন্যা সায়মার চার দিকে আগুন জ্বলে ওঠে৷ ঘাবড়ে প্রত্যেকে শুধু মাত্র সাব্বির আহাম্মেদ ছাড়া...

"" ছন্দ দয়া করে আমার মেয়ে ছেড়ে দে  ও তো কোন অপরাধ করে নি ৷ যা শাস্তি দেওয়ার আমাকে দে"" (সাগরিকা)

"" তাহলে আমার কি অপরাধ ছিলো ? আমাকে কেন শাস্তি পেতে হলো বলো .."

"" সবাই চুপ.." সবাইকে চুপ থাকতে দেখে ছন্দের মাথায় যেন আগুন ধরে গেল ৷ রাগে চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে ৷ তার মাঝে আয়মান বলে উঠলো "" ছন্দ বন্যা আর আমাকে ছেড়ে দে নাহলে এর ফল মারাত্বক খারাপ হবে ৷ ভূলে যাস না বর্ণ যদি একবার জানতে পারে তুই ওর বাবা কে কষ্ট দিয়েছিস তাহলে কি হবে ভাবতে পারছিস বর্ণ ভূলে যাবে ও তোকে ভালোবেসেছে ভুলে যাবে তুই কে , তোকে শেষ করে দিতে দ্বিতীয় বার ভাববে না "

"" বলা শেষ? নাউ ইট'স মাই ট্রান মিস্টার চৌধুরী .. আমার বাবা মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বর্ণ যদি বাধা হয়ে দারায় আমি বর্ণ কে আঘাত করতে দ্বিতীয় বার ভাববো না ৷ যে আমাকে এতিম করেছে আমাকে ব্যাবহার করেছে  ৷ আমার শরীলের শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে তাদের আমি ছাড়বো না ৷ ..তার একটা ডেমো দেখাই .?" 

ছন্দ অনিল কে বলতে অনিল সাগরিকাকে একটা কাচের রুমে নিয়ে স্টেকচারে শুইয়ে দিয়ে হাত পা বেধে দেয়৷ রুম টা কাচের তৈরি বিধায় কিয়ারা ,সাব্বির, আয়মান সবটা স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছে৷ 

ছন্দ ভিতরে গিয়ে হাতে গ্লোবস পরে নিয়ে ছোট্ট একটা নাইফ হাতে তুলে নিয়ে সাগরিকার দিকে এগোতে থাকে ৷ সাগরিকার মুখ বাধা থাকায় কিছু বলতে পারছে না শুধু চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে ৷ ছন্দ নাইফটা দিয়ে প্রথমে সাগরিকার হাতের শিরা কাটে তারপর পায়ের শিরা ৷ তারপর পাগলের মতো নাইফটা দিয়ে সাগরিকার বুকে আঘাত করতে থাকে এক পর্যায় নাইফটা বুকে গেথে নিচ বরাবর টান দিতে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে সাগরিকার.. 

চোখের সামনে এই ভয়ঙ্কর মৃত্যুর দৃশ্য সাব্বির , কিয়ারা , বা আয়মান কেউ সহ্য করতে পারলো না ৷ বমি করে দিলো ৷ সাথে সাথে উপর থেকে গরম পানি এসে পরতে লাগলো ওদের উপর ৷ পানির স্পিড একটু কমতে সাইড থেকে আর একটা কালো পর্দা উঠে গেল৷ পর্দা উঠতে প্রত্যেকের ভয়ে হাত পা জমে যাচ্ছে কারন সামনে খাচায় একটা নয় দুটো শিংহ ৷ 

" কি ভয় লাগছে? স্বাভাবিক খুদার্থ শিংহের খাচায় যদি তোদের প্রত্যেককে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে কেমন হবে হুম আর একটা ডেমো দেখতে চাও ..? অনিল...সাগরিকার মৃত শরীল টা খাচায় ফেলে দে..."

"" ইয়েস কুইন ..." অনিল ছন্দের কথা মতো সাগরিকার মৃত দেহ টা খাচায় ফেলতে শিংহ গুলো সাথে হামলে পড়ে ছিড়ে খেতে লাগলো... তা দেখে আয়মানের গলা শুকিয়ে গেছে...

_________________________
৯১

" মিহির আমার কফি কোথায়?"(বর্ণ)

" সরি বস আমি এখুনি নিয়ে আসছি"(মিহির)

" কাজ তো শেষ এখানে থেকে আর কাজ নেই বরং আমার টিয়াপাখিকে একটা সারপ্রাইজ দেওয়া যাক.." বর্ণ ফোন হাতে নিতে দেখে মুরাদ ফোন করে বর্ণ সাথে সাথে কল রিসিব করে....

"" বর্ণ তুই কোথায় আছিস এখন?"

"" কানাডা কেন কি হয়েছে আর তোর গলাটা এমন লাগছে কেন?"

" তুই এমার্জেন্সি টিকিট কেটে এখুনি রওনা দে বর্ণ এতো কিছু আমি ফোনে বলতে পারবো না ৷ "

" ওকে বাট তুই কোথায় ? আর কি হয়েছে?"

" বললাম তো বর্ণ এতো কথা আমি ফোনে বলতে পারবো না ৷ আমি শহরে আছি তুই ফিরলে আমাকে কল দিবি আমি তোকে একটা লোকেশন পাঠিয়ে দিবো তুই ওখানে চলে আসবি৷ আমি রাখছি..."  বলে কল ডিসকানেক্ট করে দেয় মুরাদ....

মিহির কফি নিয়ে ভিতরে ঢুকতে বর্ণ গম্ভির গলায় বলে যতোদ্রুত সম্ভব বিডি তে ফেরার জন্য আর্জেন্ট টিকিট কাটতে মিহির বর্ণের কথা মতো তাই করতে যায়৷ ..

____________

গতো দুই ঘন্টায় সাব্বির কিয়ারা আর আয়মানের অবস্তা খুব করুন ৷ সাগরিকার ভয়ঙ্কর মৃত্যু দেখে তিন জনের কেউ কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছে না৷ ছন্দ হাতে লেগে থাকা রক্ত ধুয়ে কফি খেতে খেতে তিন মূর্তিমানের মুখ দেখছে ভয়ে একদম শুকিয়ে গেছে৷ কাব্য সায়মা আর বন্যা কে অনেক আগে সেইফ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে ছন্দ ৷ ওদের এখানে আনার মূলত কারন ছিলো ওদের ভয় দেখিয়ে সমস্ত কথা বের করে রেকর্ড করা আর তা কম্পিলিট৷ ছন্দ কফি শেষ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত আটটা বাজতে চললো.. অন্যদিকে আয়মান চৌধুরীর নিখোজ হওয়াটা চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে পুলিশ কেস হয়ে যায় ৷ পুলিশ পুরো শহরে চিরনি তল্লাসি চালাচ্ছে ৷ ছন্দের বেশ মজা লাগছে এই সব ৷ ছন্দ ফোন অফ করে আয়মানের দিকে তাকাতে আয়মান শুকনো ঢোক গিললো ভয়ে৷ 

ছন্দ সাব্বির আহাম্মেদের দিকে তাকিয়ে দেখে সাব্বির আহাম্মেদ চোখ বন্ধ করে ঝিমাচ্ছে ৷ ছন্দ গার্ডদের ইশারা করতে গার্ড দুজন সাব্বির আহাম্মেদ কে ধরে শিংহের খাচায় ছুড়ে মারে ৷ সাথে সাথে শিংহ গুলো হামলে পড়ে সাব্বিরের উপর ৷ সাব্বির নিজের প্রান বাচানোর জন্য ছটপট করতে থাকে ৷ 

" ছন্দ মা আমাকে বাবা আমি তোর বাবার মতো আমি তোকে এতোদিন নিজের কাছে রেখেছি ৷ আদর করেছি মা আমাকে মাফ করে দে ৷ বাচা আমাকে আয়য়া......" বাকি কথাটা বলতে পারলো না সাব্বির কারন খুদার্থ শিংহ সাব্বিরের পেট চিরে ফেলে খুবলে খেতে লাগলো...

সাব্বিরের অবস্তা দেখে আয়মান আর কিয়ারার প্রান যায় যায় অবস্তা ৷ 

"" সম্পত্তির লোভ ক্ষমতার পাওয়ার হিংসা অহং মানুষ কে মানুষ থেকে পশুতে নামিয়ে আনে ৷ এই লোভের জন্য আজ তোদের প্রত্যেকের জীবনের আলো আমার নিজের হাতে নিভিয়ে দিবো৷ তাকা চারিদিকে এখানে আমার মা বাবা কে খুন করেছিস তোরা ৷ আমার বাবা মায়ের বিশ্বাস ভরশা ভালোবাসা কে খুন করেছিস তোরা ৷ তোদের কে আমি কি করে ছেড়ে দিতে পারি বল ছাড়বো না ওদের কে ছাড়িনি তদের কেও ছাড়বো না ৷ ""

চারিদিকে লাল রক্ত ছড়িয়ে আছে হয়তো কেউ এর মাঝে দিয়ে হাটতে গেলে স্লিপ কেটে পরে যাবে ৷ আজ যেন রক্তের বন্যা বইয়ে দিতে চাচ্ছে ছন্দ ৷ 

"" ছন্দ মা আমাকে ছেড়ে দে আমি কথা দিচ্ছি এমন কাজ আমি আর করবো না আর না বর্ণ কিছু জানবে ৷ তোমাদের বিয়ে দিবো আমি নিজে দারিয়ে .... "" আয়মানের কথা শুনে ছন্দ পাগলের মতো হাসতে লাগলো 

"" লাইক সিরিয়াসলি আমাকে এখনো লোভ দেখাচ্ছিস আয়মান চৌধুরী ? আমি তোর সাহসের তারিফ না করে পারছি না বাহ বাহ " হাতে তালি দিতে দিতে কথা গুলো বললো ছন্দ ...

"" আ,, মি লোভ দেখাচ্ছি না তোমাকে  সত্যি বলছি আর একটা কথা ভেবে দেখেছো আমি একজন বড় বিজনেসম্যান আমি নিখোজ এটা জেনে পুলিশ তদন্ত করবে না? আমাকে খুজে বের করবে তখন তোমাকেও ছেড়ে দিবে না এরেস্ট করবে ওভারল বর্ণ তোমাকে ঘৃনা করবে নিজের ভালোবাসার মানুষটার থেকে ঘৃনা সহ্য করতে পারবে তো?"

বর্ণের কথা মনে আসতে ছন্দের মনটা নরম হয়ে যায় কিন্তু পরক্ষনে নিজের মৃত মা বাবার মুখটা চোখের সামনে ভেষে আসতে ছন্দের চোখে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে ৷ যে আগুন বর্ণের ধারা নিভানো সম্ভব নয় ৷ 

ছন্দ আগুন চোখে আয়মানের দিকে তাকিয়ে বললো" আমার মন কে নরম করে দেওয়ার মত ক্ষমতা এখনো তোর হয়নি আয়মান ৷ আজ তোর কলিজা আমি নারিয়ে দিবো তোর চোখের সামনে তোর প্রিয়তমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়ে .... ""

"" ইটস মিন এবার কিয়ারার পালা " (অনিল)

অনিল কিয়ারার বাধন খুলতে কিয়ারা সুযোগ বুঝে পালাতে নিলে ছন্দ পাশে রাখা কাটা যুক্ত চামরার চাবুক টা দিয়ে কিয়ারার শরীরে আঘাত করে ৷ সাথে সাথে কিয়ারা ছিটকে মাটিতে পরে ৷ কাতরাতে থাকে...

"" আমার সাথে স্মার্টগিরি করতে গিয়ে কি লাভ হলো হুম ? এখনতো আরো কষ্ট পেতে হবে তোকে ... " ছন্দ উঠে ইলেকট্রিক করাত নিয়ে এসে কিয়ারার দিকে এগোতে থাকে৷ দুজন গার্ড কিয়ারার হাত ধরে আটকে ফেলে ছন্দ করাত নিয়ে কিয়ারার দিকে এগোতে থেমে যায়৷ 

"" নাহ অনিল একেতো এতো সহজে মৃত্যু দিলে চলবে না ৷ ""

"" তাহলে কুইন আপনি কি করতে চাইছেন?"" 

অনিলের কথা শুনে বাকা হাসলো ছন্দ করাত টা রেখে উঠে গেলো আর ফিরে আসলো হাতে হাতুড়ি আর গজাল লোহা নিয়ে ৷ কিয়ারা তা দেখে  ভয় পেয়ে গিয়ে বলে উঠলো "" তু,,,তুই কি করতে চাইছিস এগুলো দিয়ে?""

"" দেখতেই পাবে মাই ডিয়ার সো কল্ড মায়য়য়া " মা ডাকটা একটু টেনে বললো ব্যাঙ্গ করে .... 

ছন্দ আরো দুজন গার্ড কে কিয়ারার পা চেপে ধরতে বলে ৷ তারা ছন্দের আদেশ মতো তাই করে ৷ ছন্দ লোহা গুলো পাশে রেখে হাতে হাতুরি আর একটা লোহা তুলে নিয়ে কিয়ারার হাতের তারায় গেথে দিতে লাগলো ... কিয়ারা যন্ত্রনায় চিৎকার করছে৷ ছন্দ একে একে চারটি লোহা কিয়ারার দু হাতে আর দু পায়ে গেথে দিলো এখন বাকি আর একটা লোহা ছন্দ লোহা টা নিয়ে কিয়ারার বুকের উপর রেখে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে লাগলো ৷ কিয়ারা চিৎকার করতে লাগলো ৷ কিয়ারার চিৎকার ছন্দের কানে যেন মধুর মতো লাগছে আর অন্যদিকে কিয়ারার চিৎকার আয়মানের কলিজা নাড়িয়ে দিচ্ছে৷ এই চিৎকার সহ্য করতে পারছে না আয়মান আর না পারছে নিজের কান চেপে ধরে এই চিৎকার শোনা বন্ধ করতে ৷ 

কিয়ারার জীবনের আলো নিভে যাওয়ার মতো অবস্তা তবুও বলে না কই মাছের প্রান ঠিক কিয়ারার প্রান ও তাই .. ছন্দ এবার ইলেকট্রিক করাত নিয়ে কিয়ারা কাছে এসে এক এক  কিয়ারার হাত কেটে ফেলে তার পর পা সব শেষে কিয়ারার শরীল থেকে তার কলিজাটা বের করে ফেলে ৷ আয়মান এই সব আর সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে .... 

___________
৯২

"" আমাকে এখানে কেন আসতে বললি মুরাদ?""(বর্ণ)

"" বর্ণ এতো এক্সপ্লেইন করার সময় নেই আমাদের হাতে আঙ্কেলকে কে বা কারা কিডন্যাপ করেছে ৷""

"" ওয়াট!"

"" ইয়েস এই জন্য তোকে আর্জেন্টলি আসতে বলা.." 

"" কার এতো বড় কলিজা যে আমার ড্যাড কে কিডন্যাপ করে? তাকে আমি বাচঁতে দিবো না ""

"" শান্ত হ আমি লোকেশন ট্রাক করে ফেলেছি ৷ "" বর্ণ টেবিলের ড্রয়ার থেকে রিভালবার বের করে লোড দিয়ে নিয়ে কোমরে গুজে ফেলে ...

"" আমার ড্যাড এর যদি সামান্যতম ক্ষতি হয় তাহলে আমি কাউকে ছাড়বো না""

"" আচ্ছা বর্ণ এমন হলো আঙ্কেল কে তোর সব চেয়ে প্রিয় ভালোবাসার মানুষ টা ক্ষতি করতে চাইছে তাহলে তুই কি করবি..?""

"" শেষ করে দিবো..."" বর্ণ আর কিছু না বলে বেরিয়ে যায় ৷ 

"" সঠিক সময়ে দেখা যাবে তুই কাকে বেছে নিস বর্ণ আর আমি সেই অপেক্ষায় আছি...." 

মুরাদ বর্ণ মিহির গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে.... 

অন্যদিকে শরীলে বরফ পানি পড়তে ধরফরিয়ে লাফিয়ে ওঠে আয়মান চৌধুরী ৷ তার শরীলে নেই কোন ইলেকট্রিক তার না আছে বাধা ৷ আর না কোন লাশ ৷ আয়মান মনে মনে এক মুহূর্তের জন্য ভেবে নেয় আজ হয়তো সে বেচে গেছে কিন্তু তার ভাবনায় জল ঢেলে দেয় ছন্দ ...

"" কি মিস্টার চৌধুরী নিজেকে মুক্ত দেখে মনে মনে ভিষন খুশি হচ্ছেন বাট দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই মুক্তি মাত্র ক্ষনিকের জন্য কারন এর পর চিরতরে মুক্তি দেওয়া হবে তোকে....""

"" না না ছন্দ আমাকে মারিস না আমি  আফাজের সাথে যা যা করেছি তা সব শিকার করবো৷ আমাকে প্রানে মারিস না ...""

আয়মানের কথা শুনে ছন্দ বাকা হেসে বলতে লাগলো " আমার আদালতে একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যু এখন তুই সব শিকার কর বা না কর আই ডোন্ট কেয়ার বাট এন্ড লিস্ট মরতে হবে আমার হাতে, অনিল শুরু কর....""

"" ইয়েস কুইন .." অনিল আয়মান কে কিয়ারার মতোই ফ্লোরে শুইয়ে দিয়ে হাত চেপে ধরে , তবে ছন্দ আয়মানের জন্য বিশেষ একটা ট্রিক বের করে ৷ অনিল একটা ট্রে তে করে সুইয়ের মতো অনেক গুলো লোহা নিয়ে আসে ৷ ছন্দ তা এক এক করে আয়মানের শরীলে হাতুড়ি পিটিয়ে গেথে দেয়৷ আয়মান চৌধুরী ব্যাথায় যন্ত্রনায় পাগলের মত চিৎকার করতে থাকে ৷ আয়মানের পুরো শরীলে ছন্দ লোহা গুলো গেথে দিয়ে বলে.... " আয়মান এই চিকন লোহা গুলোর বিশেষত্ব কি জানিস লোহা গুলোর প্রত্যেকটার মাথা বিষধর সাপের বিষ আছে ৷ যেটা তোর শরীলে প্রবেশ করে ধিরে ধিরে তোর শরীলের কোষ নির্জীব হয়ে যাবে বাট তুই মরবি না কিন্তু তোর শরীল অচল হয়ে যাবে৷ তোকে এতো ইজিলি মারবো না আমি কারন তোর শরীলে অসহ্য যন্ত্রনা দিয়ে তোকে তিলে তিলে মারবো ৷ মরার জন্য তুই ভিক্ষা চাইবি কিন্তু তোর নসিবে মৃত্যু আসবে না ৷ একটু একটু করে শেষ হবি তুই ৷ ""

"" তার চেয়ে আমাকে মেরে ফেল এই যন্ত্রনা আমি আর নিতে পারছি না ৷ মেরে ফেলো আমাকে মেরে ফেলো""

"" সবেতো তোকে কষ্ট দেওয়া শুরু হয়েছে এতো তারাতারি তা শেষ কি করে করি বল ওহ আর একটা কথা এই বিষের এন্টিডোর বিডি তে কোথাও পাবি না কারন এটার এন্টিডোর এখন পর্যন্ত বিডি তে পৌছায়নি কিন্তু গবেষনা চলছে ৷ ""

"" তা,,,র মা,,নে আ,,মি আর বা  বাচবো না...?""

"" বাচবি তবে নরক যন্ত্রনা নিয়ে ..."" কথাটা বলে ছন্দ উঠে দারায় হাতে লোডেড গান , 

"" আ,,মি এ,,ভাবে  বাচঁতে চাই না "" আয়মান তার হাতের কাছে নাইফ টা পেয়ে নিজের গলায় চালাতে নিলে ছন্দ আয়মানের হাতে শুট করে আর তখনি বর্ণ সেই পোড়া বাড়িতে পৌছে যায়..... 

বর্ণ স্তব্ধ হয়ে দারিয়ে আছে ৷ নিজের জন্মদাতা পিতা কে নির্মম ভাবে টর্চার হতে দেখে বর্ণ নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে ৷ ছন্দ বর্ণ কে এখানে দেখে চমকে যায় তবে নিজের সির্দ্ধান্ত থেকে একচুল নরে না ওভাবে গান হাতে আয়মানের দিকে তাক করে আছে৷  বর্ণ ছন্দের হাতে গান দেখে বুজতে আর বাকি নেই এই সব কে করেছে ৷ বর্ণ কোমর থেকে লোড করা গান বের করে ছন্দের দিকে তাক করে তখনি অনিল আর বাকিরা বর্ণের উপর এট্যাক করতে নিলে ছন্দ বলে ওঠে "" কেউ বনরাজের গায়ে হাত দিবে না""

"" কিন্তু কুইন ...""

"" ইট'স মাই ওডার্র ..""

"" ওকে কুইন...."" 

"" সবাই চলে যাও এন্ড রাইট নাও"

 অনিল সহ বাকিরা সাইড হয়ে আড়াল হয়ে গেল ৷ তখনি আয়মান বর্ণকে দেখতে পেয়ে কাপা কাপা গলায় বলতে লাগলো"" ব,,বর্ণ ছন্দ কে ছা,,ড়িস না ও আ,,মাকে তোকে বন্যা কে মেরে ফেলবে ৷ তুই ওকে মেরে ফেল..."" 

বর্ণের কানে এখন আয়মানের বলা কথা গুলো বাজছে " আমাকে তোকে বন্যা কে মেরে ফেলবে ...পরক্ষনে ছন্দের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো চোখের সামনে ভাসতে লাগলো কিন্তু হঠাৎ ছন্দ আয়মানের অন্য হাতে শুট করে দিতে বর্ণ কিছু ভেবে ছন্দ কে শুট করে দেয়... শুট করার পর পরই ছন্দ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৷ তখনি চারিদিকে চেচামেচি আওয়াজ শুনতে  পেয়ে বর্ণের ধ্যান ভাঙে ছন্দ কে রক্তাক্ত অবস্তায় পরে থাকতে দেখে বর্ণ ওখানে হাটু গেড়ে পাগলে মতো চিৎকার করে কাদতে থাকে তখনি মিহির মুরাদ ছুটে ভিতরে ঢুকতে এমন দৃশ্য দেখে হতবম্ব হয়ে যায় ৷ হুট করে বাড়িতে আগুন লেগে যায় আগুন কিভাবে লাগলো কে লাগালো তা দেখা বা বোঝার আগে মুরাদ মিহির বর্ণ  আয়মান চৌধুরীকে ধরে বাড়ির বাইরে বের করতে পুরো বাড়ি ব্লাস্ট করে ৷ মিহির বর্ণ আয়মান মুরাদ ছিটকে পড়ে দুরে ......

ছন্দের কথা বর্নের মনে আসতে বর্ণ ভিতরে ঢুকতে নিলে মুরাদ মিহির বর্ণকে আটকে রাখে ... পাগল হয়েছিস বর্ণ কি করছিস কি তুই"""

"" মুরাদ আমার টিয়াপাখি আমার টিয়াপাখি..""

"" তোর টিয়াপাখি আর নেই বর্ণ তুই নিজের হাতে ওকে মেরে ফেলেছিস "" 

মুরাদের কথা শুনে বর্ণ ধপ করে মাটিতে বসে পরে ... 

______________________

এম্বুলেন্সে শুয়ে পিট পিট করে চোখ মেলে তাকিয়ে আস্তে করে বলে উঠলো " আমি ফিরে আসবো বনরাজ ভালোবাসা , প্রতারনা প্রতিশোধ নিতে আমি খুব তারাতারি ফিরবো অন্য নতুন রুপে নতুন নামে....""



                                  ***(সমাপ্ত)***
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।