সাইকো ইজ ব্যাক - পর্ব ০৮ - সিজন ২ - সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি - ধারাবাহিক গল্প


রুমের বারান্দায় দাড়িয়ে চারপাশটা দেখে যাচ্ছি, কি সুন্দর মন কারা সুন্দরর্য চারপাশ| যেন কেউ সুবজ আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে| বারিশের এই বাসা টা একটা পাহড়ের মতো উচুঁ জায়গায়, আবার তার আশেপাশে গোল করে বাউন্ডারি দেয়া| যার আশেপাশে দুই, তিল কিলো মিটারের মতোও ঘর বাড়ি চোখে পরছেনা আমার| চারিদিক এতটা রোমাঞ্চকর যে অন্য কোনো সময় হলে এখান থেকে যাবার কথা দুবার ভাবতাম না| কিন্তু এখন এই মুহুর্তে মাথায় ঘুরছে অন্য কিছু...!! উঁকি ঝুঁকি দিয়ে যা বুঝলাম...আশেপাশে গার্ডস নেই..!! কি আশ্চর্য!!  এখন আমি পালিয়ে গেল..? বারিশ তো বুঝতেও পারবেনা...!! ইয়াহু! যে ভাবা সেই কাজ।।ডানে-বামে না তাকিয়ে দিলাম এক দৌড়...!! পাহাড়ের উপর থেকে নিচে নামার আঁকা, বাঁকা রাস্তা দিয়ে ছুটে চলে আসলাম বাউন্ডারি কাছে...!! কি অদ্ভুত..!!  বাউন্ডারি যে কেউ এপার থেকে ও পারে অনায়াসে যাতে পারবে...!! মনে মনে হেসে নিলাম কতখন।।তারপর বাউন্ডারি টপকে ওপারে যাওয়ার সময়, হঠাৎ করেই হইসেল বেঁজে উঠলো...!! সাথে আমাকে কজন ঘিড়েও ফেললো,, ভয়ে ঢুক গিললাম কবার..!!
তখনি পিছন থেকে শুনতে পেলাম বারিশের কন্ঠ,,
----হাই হটি..!! সারপ্রাইজ কেমন লাগলো?? আমি তোমাকে পরিক্ষা করছিলাম,, আর তুমি ফেল...!!
আমি তার কথায় অবাক হয়ে বললাম,,
----পরিক্ষা কিসের পরিক্ষা??
বারিশ বলল,,
----বিশ্বাসের পরিক্ষা..!!
----মানে??
মুচকি হাসলো বারিশ, তারপর কিছুটা এগিয়ে এসে, সেই হাসি ঝুলিয়েই বলল,,
----আমি জানতাম তুমি ফাঁকা বাসা পেয়ে পালাতে ট্রাই করবে....!! দেখ তুমি তাই করলে...!!
আমি বারিশের কথায় আরো আবাক হলাম।। তারপর বললাম,,
----কেন করছেন এমন??
বারিশ সেই মাতালময় হাসি নিয়ে আমার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,,
----তোমাকে জ্বালাবো বলে..!! বলে জোরে হেসে দেয় সে...!!

সোফায় বারিশের মুখোমুখি বসে আছি,,বসে আছি বললে ভুল হবে এক প্রকার জোর করে বসিয়ে রেখেছেন মিষ্টার বারিশ...!!এর কি চাই আমার কাছে আমি বুঝি না..!!

তিনি ল্যাপটপে কি জানা করছেন আর আড় চোখে বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছেন।। তার চোখে চোখ পরতেই আমি অন্য দিকে ফিরে তাকাচ্ছি...!!

তিনি এবার পূর্ণ দৃষ্টি  মেলে তাকালেন আমার দিকে...!!
----কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন??
তিনি দুটো ভ্রু কুচকে বলতে লাগেন,,
----তুমি দু দিন যাবত গোসল করো না...!! যাও ফ্রেস হও...!!
আমি তার কথায় বিষম খেলাম...!!
----কি যাতা বলছেন!! 
----নাতো?
----কিছুক্ষণ আগেও করেছি...!!
----ওহো...!!  তাহলে থাকো আমি করে আসি..!!আর হে! পালাবার ট্রাই করবে না কেমন..!!

লোকটা কি তার ছিড়া...!! 
পুরাই ইউসুফ ভাইয়া ডুপ্লিকেট।।এটা কেমন কথা গোসল করেছি কিনা?? এখন কি তাকে দেখিয়ে গোসল করতে হবে?? যতসব...!!

বসে বসে বোরিং লাগছে,,
তাই হাঁটতে হাঁটতে বাগানে গেলাম।। পরিবেশটা সত্যিই খুব সুন্দর...!! চার পাশে কোনো কলরব নেই...!! শুধু পাখির কিচিরমিচির ডাক।। আমি বাগানের পাশে এসে সুইমিংপুলের সামনে পা ভিজিয়ে বসে পড়লাম।।ফোনটাও হাতে নেই নয়তো প্রকৃতির সব কিছু ক্যাপচার করে নিতাম।। 

হঠাৎ করেই কেউ পাশে এসে আমার গা ঘেষে বসে পড়ল।।আমি চকিতে তার দিকে তাকাই।।বারিশ...!! বুঝা উচিৎ ছিল আমার..!!

-----মিসেস বারিশ কি করছো??
-----ডিম পারছি...!!
-----তা কিভাবে সম্ভব??
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,,
-----মানে??
তিনি আমার আরো পাশ ঘেষে বললেন,,
-----আমি তোমাকে তেমন ছুঁই নি তাহলে, ডিম কেমনে পাড়???হাউ??
আমি বিরক্তির সুরে বললাম,,
---জানতো এখান থেকে...!!  বিরক্ত করবেন না আমায়...!!
-----তা হচ্ছেনা...!!আমার সাতটা নয়,পাঁচটা নয়,  একটা মাত্র বউ...!!তাকে বিরক্ত না করলে কাকে করব???
-----উফ..!!
বারিশ কুহুকে ভঙ্গ করে বলল,,
-----উফ..!!
----ইশিরে...!!
----ইশিরে...!!
----এমন করছেন কেন??
----এমন করছো কেন...??
-----পানিতে ফেলে দেব কিন্তু..??
-----পানিতে ফেলে দেব কিন্তু..??
আমি এবার চোখ রাঙ্গিয়ে বললাম,,
-----জাহান্নামে জান আপনি..!! বলে উঠে যেতে লাগলাম...!
তখনি তিনি খপ করে হাত ধরে তার কাছে নিয়ে এসে,, তার নেশা গ্রস্ত কন্ঠে বলতে লাগে,,
----তুমি সাথে থাকলে হাজার বার যেতে রাজি আছি...!!
আমি তার কথা, আর এমন মাতাল চাহনী দেখে কেমন ঘোরে চলে যাচ্ছি...!!প্রতিবার বারিশ তার কথা দিয়ে যেন আমার চারপাশে ভাললাগার এক অদৃশ্য দেয়াল গড়ে তুলে দেয়।।না চাইতেও তার হাতে মরতে ইচ্ছা হয়...!!

কি ভাবচ্ছি এসব??নিজের ভাবনা দূরে ঠেলে দিলাম বারিশকে ধাক্কা সাথে সাথে পরে গেল সুইমিংপুল এ....!! আমি তো  ভয় পেয়ে গেছি...!! এখন যদি এর জন্য এই বেটা কিছু করে বসে??
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে,, সে হাসতে লাগলো।।আর জোরে জোরে বলতে লাগে,,
----লাভ ইউ মাই ডিয়ার ওয়াইফ...!!
তারপর তিনি তার পরনের টি শার্ট খুলে ফেললেন..!! তার বডি দেখে আমি থ....!!তখনি চোখ যায় তার বাহুতে, যেখানে লাল রংয়ের একটি জন্মদাগ তা ২,৩ ইঞ্চি জায়গা জুড়ে...!!তার এই দাগ দেখে আমি শকড....!! মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে আপনা আপনি ইউসুফ ভাইয়া...!!

কারণ,,  একটি মানুষের চোখ আর জন্মদাগ কখনো এক হতে পারে না...!! প্রথমে ডাউট থাকলেও এখন যেন ক্লিয়ার হচ্ছে..!! কিন্তু বারিশ কিভাবে ইউসুফ হবে? তার ফেইস...!! আচ্ছা শুনেছি একি রকম মানুষ পৃথিবীতে ২,৩ জনের মতো থাকেই...!! তাহলে কি আমি ভুল ভাবচ্ছি?? কিন্তু মানুষের চেহেরা না হয় মিল থাকে কিন্তু জন্মদাগ,  চোখ এসবের মিল...!!তখন মনে পরে আমার সেদিনের কথা ইউসুফ ভাইয়া একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে ছিল..!! তখন তার কানের লতিতে একটি তিল দেখেছিলাম।।সত্যি যদি উনি ইউসুফ ভাইয়া হল তাহলে তার থাকবে...!! আমি আর কিছু না ভেবে দৌড়ে পানিতে নেমে তাকে জড়িয়ে ধরলাম...!!বুঝতে পারলাম সে আবাক হয়েছে কিন্তু তাতে আমার মাথা ব্যাথা নেই...!!  আমি তাকে জড়িয়ে ধরে কানের লতিতে চেক করতেই....!!  আমার চোখ দিয়ে গড় গড় করে পানি পরতে লাগলো।।তখন বারিশ আমাকে ধরতে যাবে,  তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম...!! কিছু না বলে দৌড়ে সেখান থেকে চলে রুমে এসে দরজা আটকে দিয়ে,  দরজা ঘেসে কাঁদতে লাগি....!!!মনের মাঝে এখন হাজারো প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে কিন্তু বলার ভাষা পাচ্ছিনা....!!

—————

বারিশ ঘুমিয়ে আছে...!!বেঘোর ঘুম যাকে বলে।আমি তার মুখের কাছে হাত নিয়ে নাড়ালাম। নাহ!! সাড়া শব্দ নেই...!! এবার তার দিক ঝুকে আবারো ভাল ভাবে তার কানের লতি চেক করলাম....!! হুম!! রাইট তিল আছে....!! তখনি বারিশ তাকালো...!! আমি তার এমন হুট করে তাকানোতে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যেতেই ধুম করে নিচে পরে গেলাম। কোমরটা বুঝি গেল আমার...!!পরে যেতেই বারিশ উঠে বসে আর হাসতে হাসতে বলে,,

----কুহু আমি তোমারি বর..!! এম চুরি করে দেখার কি আছে?? আসো(হাত এগিয়ে দিয়ে) আমার পাশে বসে যত ইচ্ছা দেখে নেও আমি মাইন্ড করবো না...!! 

বারিশের কথায় রাগ লাগলো..!! 
-----আপনি না মরার মতো ঘুমিয়ে ছিলেন? 

বারিশ আমাকে টেনে তুলে তার কোলে বসি বলল,,
-----ঘুমাই নি চোখ বন্ধ করে ছিলাম..।

আমি উঠে যেতে যেতে বললাম,,
-----ওহো..!!!

সে আমাকে আবার টান দিয়ে তার কোলে বসিয়ে দু হাত দিয়ে কোমর চেঁপে আটকে দিলেন।।যেন আমি আর যেতে না পারি।।তারপর আমার ঘারে নাক ঘসতে ঘসতে বললেন,,
----কি খুঁজছিল..!!

তার এভাবে আমাকে স্পর্শ করায় আমি কেঁপে উঠছি বার বার।।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,,
----কই কিছু না তো..!!

----মিথ্যা কেন বলছো??

----মিথ্যা কেন বলব??

----তাহলে বল।

আমি কিছুক্ষণ চুপ রইলাম।।সত্যি টা কি তাকে বলব? সে কেমন রিয়েক্ট করবেন?? আচ্ছা উনি তো ইউসুফ,,তাহলে আমার সাথে ঢং কেন করছেন?? সে কি চায় না আমি তা জানি?? নাকি যে বুঝেনা,...!  আমি কতটা পাগল ইউসুফের জন্য..!!

----আপনি আমাকে মিথ্যা কেন বললেন??

বারিশ ভ্রু কুচকে বলে,,
----আমি কি মিথ্যা বললাম??

----আপনি আমার ইউসুফকে কেন লুকিয়ে রেখেছেন??

বারিশ ভরকে গেল।ভড়কে যাওয়ারই কথা নিজের বউয়ের মুখে অন্য কারও নাম শুনলে যে কারও মাথা গরম হবেই স্বাভাবিক..!!  বারিশেরও তাই হচ্ছে,, তার এখন মন চাইছে কষে একটা থাপর মারতে কুহুকে।।তাতে যদি তার রাগ একটু কমে।।বারিশ কুহু কোমর থেকে হাত জুড়া ছেড়ে দেয়। কুহুকে সরিয়ে সে উঠে যায়।।আর রাগে ফুসতে থাকে!!কত সহ্য করবে সে?? যত বার কুহুর কাছে গিয়েছে ততবার কুহু ইউসুফ ইউসুফ করে পাগল করে দিছে।।বেটা মরে গেছে ভাল হইছে নয় তো বারিশ নিজ হাতে কেঁটে কুচি কুচি করে নদীতে ভাসিয়ে দিত।।
তার সাথে মাথায় খেলল আরেকটি কথা...!! ইউসুফকে আমি লুকিয়ে রেখেছি মানে??
বারিশ কুহুর সামনে দাড়ায় হাত দুটো বুকের উপর বেঁধে, ছোট ছোট চোখ করে বলতে লাগে,,

----আমি লুকিয়ে রেখেছি মানে কি বুঝাতে চাইছো??

আমি হাসলাম।।তার বরাবর দাড়িয়ে তার মুখে দু হাত রেখে, বললাম,,
----এই যে, এই চেহারার পিছনে লুকিয়ে আমার ইউসুফ...!!

বারিশ এবার অবাক হয়ে চেয়ে রইল...!! কুহু কি বলছে এসব?? তার মাথায় কিছু ঢুকছে না..!! কুহু কি তাহলে পাগল হয়ে গেল ইউসুফের শোকে??তাই বারিশকে ইউসুফ ভাবচ্ছে?? আবার রাগ লাগচ্ছে চরম রাগ।। যা কন্ট্রোল করার মতো না...!! কিন্তু করতে হবে নয়তো কুহুকে আঘাত করে বসে যদি???

বারিশ দাঁতে দাঁত পিসে রাগ থামাতে ট্রাই করে কুহুকে ধাক্কা দিল।।

আর বলতে লাগল,,
----আর ইউ মেড?? কোন এঙ্গেলে তোমার মনে হয় আমি ইউসুফ?? আমি বারিশ,, ইউসুফ নই...!!আর হে নেক্সট টাইম ইউসুফের নাম যেন তোমার মুখে না শুনি...!! সে তোমার অতীত ছিল..আর আমি তোমার বর্তমান, ভবিষ্যৎ...!! 

বারিশের কথায় কষ্ট লাগলো।।কিন্তু আমি যে দমার পাত্র নই...!!আমি তার কাছে গিয়ে বললাম,,
----কেন এমন করছেন ইউসুফ ভাইয়া..!! আপনি কি করে সব ভুলতে পারেন?? চেহারা পাল্টে গেলে মানুষ তো পাল্টেন না...!! 

----কি যাতা বলছো?? আমি বলছি তো আমি বারিশ রেহমান..!! ইউসুফ নই..!!

আমি এবার কেঁদে দিলাম।।তার শার্টে দু হাত দিয়ে মুঠ করে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললাম,,
-----মিথ্যে বলছেন আপনি??

-----আমি কেন মিথ্যে বলব! 

----কেন মিথ্যে বলছেন আমি কিভাবে বলব?? তাই তো জানতে চাইছি আমার কাছে লুকিয়ে কি লাভ?? আর আপনি কি করে আপনার বাবুইপাখিকে চিন্তে পারছেন না??

বারিশ থেমে গেল।।বাবুইপাখি নামটি সে আরো শুনেছে।। মাঝে মাঝে অতীতে পাতা উল্টোতে গেলে এই নামটি ভেসে এসেছে বার বার।। চোখের সামনে ঝাপসা স্মৃতিও ভেসেছে।। কিন্তু আফসোস যত বার ট্রাই করেছে সে ব্যর্থ...!! 

বারিশ সেই অতীতের পাতা আবার উল্টালো..!!কানে ভেসে আসলো বাবুইপাখি নামটি যে মেয়েটি দৌড়ে চলছে তার পিছনে কেউ একজন দৌড়াচ্ছে।।আর মেয়েটি বলে যাচাচ্ছে,,
*আপনি ধরতে পারবেন না ভাইয়া*

বারিশের আবার মাথায় তীব্র ব্যাথা অনুভব করছে।।হাত দুটো মাথা চলে যায় সাথে সাথে,, বার বার চুল টেনে আর্তনাদ করে যাচ্ছে।। ধীরে ধীরে চোখ দুটো রক্ত লাল ধারণ করছে।।বারিশ এবার দাড়িয়ে থাকতে না পেরে হাটু গেরে বসে পরলো মাটিতে...!!শরীরে শক্তি যেন হারিয়ে গেছে।।অসাড় হয়ে লুটিয়ে পরলো মুহুর্তেই মাটিতে....!!

বারিশের এমন হাল দেখে ভয় পাই আমি।।কোনো হুস নেই যেন।।কি করবো বুঝতেই পারছি না।। তাড়াতাড়ি কে পানি এনে মুখে ছিটা দিলাম না হুস ফিরছেনা।। দৌড়ে বাহিরে চলে গেলাম গার্ডকে ডেকে ভিতরে নিয়ে আসলাম।।
গার্ড বলল,,
----মেম স্যারকে হাসপিটাল নিতে হবে..!!

আমি কি করবো বুঝতেছিনা।  না এই জায়গা আমার চেনা তাই বললাম,,
----আমিতো কিছুই চিনি না এখানের..!!

----মেম ডোন্ট ওয়ারি...!! বলে গার্ড কল করলো কাউকে,,তখনি আরো দুজন গার্ড এসে হাজির।।
সবাই বারিশকে নিয়ে যেতে লাগলো আমি ছুটলাম তাদের পিছনে।।বারিশ মুখটি কেমন ফ্যাকাসে হয়ে আছে।।মায়া লাগচ্ছে খুব।।নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা করছে।। আমার বারাবারির জন্য এমন হলো...!!

হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে বারিশ।।সুন্দর মুখটা মলিন হয়ে আছে।।আমি তার হাত ধরে বসে আছি।।ঠিক তেমনি যখন আমার জ্বর উঠতো ইউসুফ সারা রাত বসে থাকতো...!! আর আজ কি হাল তার..!! ডাক্তার বলছেন মাথায় চাপ পরায় জ্ঞান হারিেছেন।।তার মাথায় নাকি খুব বড় চোট পেয়েছিলেন তারপর থেকেই সে অতীত ভুলে গেছেন।।এখন তা মনে করলে সে এমন হয়ে যায়।।
শুনে বুকটা ধক করে উঠে আমার,,  নিজের অজান্তে ভালবাসার মানুষটিকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি...!!কি আশ্চর্য যার জন্য এত গুলো বছর ওয়েট করেছি সে আমার পাশে এখন...!!  কিন্তু বারিশ হয়ে...!! এটা কেই হযত কিসমতের খেল বলে...!!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন