আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১৭ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


ছন্দ ডক্টরের সাথে কথা বলে রাতে বাড়ি ফিরে আসে কারন বর্ণ আগে থেকে বলেছে রাতে আসবে ৷ ছন্দ কোন রিক্স না নিয়ে চলে আসে৷ রাতে  খাবার খেয়ে ছন্দ নিজের রুমে ঢুকে দেখে বর্ণ তার বিছানার উপর পায়ের উপর পা তুলে বসে সিগারেট টানছে ৷ বর্ণ কে সিগারেট খেতে দেখে ছন্দের মেজাজ তুঙ্গে উঠে গেল ৷ ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেলকনিতে গিয়ে দারালো৷ বর্ণ ছন্দের পিছু পিছু বেলকনিতে গিয়ে হাজির হয়৷ ছন্দ বর্ণের উপস্থিতি বুজতে অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে থাকে৷ বর্ণ পুরে যাওয়া অর্ধেক সিগারেট টা পায়ে পিশে ফেলে ছন্দ কে পিছুন থেকে জরিয়ে ধরে ৷ 

" ছাড়ুন আমায় ,"
" ছাড়ার জন্য ধরে নি টিয়াপাখি ৷ এই বর্নের  ভালোবাসার খাচায় বন্দি তুমি ৷ তোমার যে নিস্তার নেই জান"" বর্ণের কথা শুনে ছন্দ শুকনো ঢোক গিলে ভয়ে ভয়ে বর্ণ কে প্রশ্ন করে"" আপনি এখানে কি করছেন এতো রাতে ? জানেন না একজন অবিবাহিত মেয়ের ঘরে এতো রাতে আসতে নেই"
" আমি আমার বউয়ের রুমে এসেছি ৷ অন্য কারোর বউয়ের রুমে আসি নি টিয়াপাখি ""
"" কেন এসেছেন?""
" তোমাকে শাস্তি দিতে"
" শা,, শাস্তি কিসের শাস্তি?"
"" আজ দুপুরের তোমার করা সাহসী কাজটার কথা ভূলে গেলে.."" বলতে বলতে বর্ণ ছন্দের কোমরে নখ গুলো বসিয়ে দেয়৷ যন্ত্রনায় চিৎকার করতে গিয়েও থেমে যায় ছন্দ ৷ দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নেয়৷ বর্ণ ছন্দ কে এতোটা শান্ত থাকতে দেখে মটেও ভালো লাগলো না ছন্দের কাধে হুট করে কামড় দিয়ে বসলো৷ ছন্দ এবার  বর্ণের থেকে নিজেকে ছাড়াতে চায় কিন্তু বর্ণের শক্তির কাছে পেরে ওঠে না ৷ বর্ণ ছন্দের কোমড় ছেড়ে ছন্দ কে কোলে তুলে নিয়ে রুমে বিছানার উপর শুইয়ে দেয়৷ 

ছন্দের চোখের কোনে পানি গড়িয়ে পড়তে বর্ণ ঠোট দিয়ে পানি শুষে নিয়ে ছন্দের ওষ্ঠাধর নিজের ওষ্ঠদ্বয়ের আয়ত্তে নিয়ে নেয়৷ বেশ কিছুক্ষন পর বর্ণ ছন্দকে ছেড়ে দিয়ে উঠে সব গুলো ড্রয়ার খুজে ফাস্টএইড বক্স নিয়ে এসে ছন্দের কোমড়ে মলম লাগিয়ে দেয়৷ ছন্দ বর্ণের এই রুপ দেখে হতবম্ব "" আঘাত  দিয়ে আবার সে আঘাতে মলম লাগাচ্ছে বাহ ইন্টারেস্টিং "" (মনে মনে)

"" তোমাকে আঘাত করার ভালোবাসার অধিকার শুধু আমার টিয়াপাখি ৷ "" 

বর্ণ ছন্দের কোমড়ে মলম লাগিয়ে ছন্দের কপালে চুমু দিয়ে বেলকনি দিয়ে বেরিয়ে যায় ৷ বর্ণ কে যেতে দেখে সস্থির শ্বাস ফেলে ছন্দ...

"" আমাকে বের হতে হবে নিশ্চয় এখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে৷ নাহ তার চেয়ে বরং একবার দেখে আসি..."" ছন্দ কথা গুলো ভেবে- ই  রুম থেকে বের হয়ে প্রথমে কিয়ারা বেগমের রুমের দিকে গিয়ে দেখে কিয়ারা বেগম ঘুমিয়ে আছে৷ ছন্দ দরজা চাপিয়ে রুনার রুমের সামনে গিয়ে চেক করে দেখে তার ভাবি ও গভির ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ ছন্দ দেরি না করে দ্রুত রুমে এসে লাইট অফ করে দিয়ে ঘুমানোর এক্টিং করে অন্ধকারে  চেন্জ করে নিয়ে বর্ণের মতো বেলকনি দিয়ে নেমে বাড়ির পিছুনের রাস্তায় আসতে দেখে অনিল গাড়ি নিয়ে ওয়েট করছে...

"" কুইন আমি আপনার অপেক্ষাতে ছিলাম"" 

 "" হুম বুজেছি এখন দ্রুত গাড়ি স্টাট দেও""

"" ইয়েস কুইন"" 

চল্লিশ মিনিটের মাথায় অনিল তাদের কুইন ছন্দ কে নিয়ে সিকরেট প্লেসে এসে পৌছায়৷ ছন্দ মাথায় ব্লাক হুডি দিয়ে মুখে মাক্স লাগিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়৷ পিছু পিছু অনিল আসতে লাগে ৷ ছন্দ ভিতরে প্রবেশ করতে প্রত্যেকে বসা থেকে দারিয়ে তাদের কুইন ছন্দ কে সন্মান করে ৷ ছন্দ এগিয়ে নিজের সিংহাসনে বসার পর বাকিরা তাদের আসনে বসে৷ 

"" কুইন আপনার কথা মতো Rk প্রপার্টির ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের লোকেরা""(Md)

"" গুড বাট Rk বা কোন পুলিশ যেন কোন সূত্র খুজে না পায় যার ধারা আমি পর্যন্ত পৌছাতে পারে""(ছন্দ)

"" ডোন্ট ওয়ারি কুইন ৷ আমাদের দলের রুলস হলো কেউ কোন কাজে পুলিশ বা অন্য কোন শত্রুর হাতে ধরা পড়লে কখনো-ই মুখ খুলবে না বরং প্রয়োজন পড়লে নিজেকে শেষ করে দিবে তবুও কারো নাম প্রকাশ করবে না"" (অনিল)

"" দ্যাট'স গ্রেট , বাই দ্যা ওয়ে অনিল তোমাকে যেটা বলেছিলাম সেটা করেছো?""

"" ইয়েস কুইন , আপনার কথা মতো সব ইনফরমেশন কালেক্ট করেছি ৷ এই দেখুন"" অনিল কিছু পেপারস কিছু ছবি এগিয়ে দেয় ছন্দের কাছে ৷ ছন্দ পেপারস আর ছবি গুলো দেখে রাগে চোখ মুখ লাল বর্ন ধারন করে.."" আবারো ধোকা দেওয়ার চেষ্টা উফফ এরা কোন দিন ঠিক হলো না৷ যাই হোক অনিল এদের কে টর্চার সেলে দেখতে চাই আমি শুধু মাত্র এই ব্যক্তিটি কে বাদ দিয়ে কারন এটাকে নিয়ে এবার আমি খেলবো""

"" ওকে কুইন""

"" কুইন এবার তাহলে আমাদের মিটিং টা শুরু করি?"(Md)

" শিওর"

Md একটা বড় স্কিনে দিকে ইশারা করতে সবাই সে দিকে তাকায়.. তখন Md বলতে শুরু করলো" কুইন এটা হচ্ছে পুরো খুলনা শহরের ম্যাপ ৷ দেখুন মার্ক করা এই জায়গা গুলোতে Rk এর মতো আরো কিছু গ্যাং এখানে বেআইনি কাজ করে ৷ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয় ৷ নেশা জাতীয় দ্রব্য এখান থেকে সাপ্লাই করে সমাজে যব সমাজ কে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকার জগতে ৷

"" Md যে বা যারা এই নেশা জাতীয় দ্রব্য সাপ্লাই করছে তাদের কে টর্চার সেলে দেখতে চাই আমি৷""

"" কুইন শুধু এরা নয় আরো কিছু লোক আছে যারা দেশের নামী দামি লোক তারা লোক চক্ষুর আড়ালে এই সব লোকদের প্রস্রয় দেয় ইভেন তারাও জড়িয়ে আছে৷ "" 

"" তাদের একটা লিস্ট তৈরি করুন Md "" 

"" ইয়েস কুইন "" 

"" কুইন আর একটা ইমপটেন্ট নিউজ আছে ৷ সাব্বির আহাম্মেদ আর তার ছেলে কাব্য  সিলেট এই নেশা চক্র দলের সাথে জরিয়ে আছে৷ ""

"" এদের কে বাদ দিয়ে বাকিয়ে লিস্ট তৈরি করো অনিল৷ এদের দুজনকে তো আমি দেখে নিবো ৷ Md এন্ড বাকি সদস্যগন দের বলছি আগামি একমাসের ভিতর আমি এই খুলনা শহরে আগাছা পরিষ্কার দেখতে চাই"" 

"" ইয়েস কুইন"" সবাই এক সাথে বলে উঠলো ...

"" গুড , Md আই এ্যাভ টু গো "

" অনিল কুইন কে সেইফলি বাড়ি পৌছে দেও""

"" নো md আমি একাই যেতে পারবো""

"" নো ওয়ে কুইন আমি আপনাকে একা যেতে দিতে পারি না ৷ ""

"" এটা আমার নির্দেশ অনিল ৷ আমি একাই যাবো তুমি যাবে না আমার সাথে..""

অনিল আর সাহস করে কিছু বললো না ৷ ছন্দ ব্লাক হুডি মাথা দিয়ে মুখে মাক্স লাগিয়ে বেরিয়ে গেল৷ অনিল তাদের কুইনের সেইফটির জন্য পিছু যেতে লাগলো.....

৫১

ভোর রাতে রুনা পানি খাওয়ার জন্য কিচেনে আসে ৷ কিচেনে আসতে রুনা হঠাৎ দেখতে না পেয়ে ঘাবড়ে যায়৷

"" মেয়েটা এতো রাতে কোথায় গেল?" 

রুনা কিচেন থেকে বের হয়ে পুরো বাড়ি খুজে ও মুন্নি কে দেখতে না পেয়ে প্রচন্ড ঘাবড়ে যায়৷ রুনা আবার কিচেনে এসে দেখে মুন্নি ঘুমিয়ে আছে ৷ 

"" মুন্নি এখানে? কিছুক্ষন আগেও তো মুন্নি এখানে ছিলো না তাহলে! "" রুনা নিজে কনফিউশনে পড়ে গেল৷ বুজতে পারছে না কি হচ্ছে ওর সাথে রুনা ফ্রিজ থেকে পানির বোতল নিয়ে ধিরে ধিরে উপরে নিজের রুমে চলে যায়৷ রুনা চলে যেতে মুন্নি সস্তির নিশ্বাস ফেলে ঘুমিয়ে পড়ে....

সকালে কিয়ারা বেগম রান্না করে হসপিটালে চলে যায়৷ ছন্দ নিজে রেডি হয়ে  নিনে খেয়ে রুনাকে নাস্তা খাইয়ে ভার্সিটিতে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্য বেরিয়ে পরে ৷ গেটের সামনে আসতে দেখে বন্যা গাড়ি নিয়ে ওর জন্য ওয়েট করছে ৷ ছন্দ মিষ্টি হাসি দিয়ে বন্যার কাছে এগিয়ে যেতে দেখতে পায় বর্ণকে ৷ বর্ণ ড্রাইভিং সিটে বসে আছে ৷ চোখে সানগ্লাস কানে ব্লুটুথে কথা বলছে ৷ ফর্রমাল ড্রেসআপ বেশ দারুন লাগছে বর্ণ কে ছন্দ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷  

ছন্দ বর্ণের দিকে তাকিয়ে আছে এটা বন্যার চোখ এরায় নি ৷ বন্যা ছন্দের দিকে তাকিয়ে হাতে চিমটি কাটে .. 

"" আহ কি করছিস বন্যা চিমটি কাটছিস কেন?"

"" ভাইয়ের দিকে নজর দিচ্ছিস আর তার বোন হয়ে আমি আটকাবো না হুহ" 

"" আহা ভাই ভক্ত বোন আমার , ডাইনি চল ভার্সিটির দেরি হয়ে যাচ্ছে ""

" হু চল " বন্যা দ্রুত পিছুনের সিটে গিয়ে বসে পড়ে ৷ ছন্দ পিছুনের সিটে বসতে গেলে বর্ণ হুট করে বলে ওঠে" আমি কারোর ড্রাইভার না সামনে এসে বসো" 

ছন্দ মুখ ভার করে সামনের সিটে গিয়ে বসে পড়ে ৷ বর্ণ চুপচাপ ড্রাইব করে ভার্সিটিতে পৌছে দেয়৷ বন্যা ছন্দ দুজনে  গাড়ি থেকে নামতে বর্ণ বলে উঠলো " ক্লাস শেষ হলে আমি তোমাদের দুজন কে নিতে আসবো""

"" ভাইয়া মুরাদ আসবে বলছিলো" কাচুমাচু মুখ করে বললো বন্যা... 

তখন ছন্দ বলল"" তাহলে তো হয়ে গেল আপনাকে আসতে হবে না ৷ ক্লাস শেষে আমি হসপিটালে যাবো রোদ কে দেখতে ৷""

রোদ কে দেখতে যাবে কথা টা কালে যেতে বর্ণ রাগে হাতের মুট শক্ত করে ৷ ছন্দের দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলল" আমি ক্লাস শেষ করে আসবো বন্যা তোর বান্ধবী কে বলে দিস অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবলে ঠ্যাং ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো " কথা টা বলে গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে যায়৷ বর্ণের এমন রাগ দেখে বন্যা ছন্দ দুজনে হতবম্ব হয়ে দারিয়ে থাকে...

"" হেরে বন্যা তোর ভাইয়ের মাথায় কি কোন সমস্যা আছে? ""

"" আসতে বল বইন কোথেকে ভাইয়া তোর এই কথা শুনে ফেললে তোকে আমাকে দুজনকে খুন করে ফেলবে...""

"" ঢং আর আমি মনে হয় ছেড়ে দিবো ৷ যাই হোক ভিতরে চল""

ভার্সিটির ভিতরে ঢুকে বট তোলার সামনে গিয়ে বন্যা ছন্দ বসে ...

"" বন্যা এবার কাহিনি বল তো মুরাদ মানে তোর ভাইয়ের বন্ধু তার সাথে তোর সম্পর্কটা কি "" ছন্দ জেনেও না জানার ভান করে বলল... বন্যা লজ্জা পাওয়ার ভঙিমায় বলল"" আসলে মুরাদ আমাকে ভালোবাসে "

" আর তুই বাসিস না বলতে চাইছিস?"

"" নাহ আমিও বাসি.."" তারপর বন্যা শুরু থেকে সবটা খুলে বলে ছন্দ কে.. 

"" ওহ এই কাহিনি বুজলাম এখন ক্লাসে চল..."" ছন্দ বন্যা দুজনে ক্লাসে চলে গেল৷ " 

ক্লাসে ঢুকতে ছন্দের সাথে কারো ধাক্কা লাগে ৷ছন্দ পরে যেতে নিলে কেউ একজন ছন্দের কোমর আকরে ধরে ৷ ছন্দ কোন ভাবে নিজেকে সামলে দুরে দারায়৷ তাকিয়ে দেখে ভার্সিটির ক্রাশ আমান ...

"" হেই কিউটি লাগেনি তো তোমার?""

"" না ভাইয়া লাগেনি ৷ ধন্যবাদ পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাচানোর জন্য ..""

"" ওয়েলকাম , তো মিস ছন্দ ক্লাস শেষে কি তোমার হাতে একটু সময় হবে ?""

"" কেন ভাইয়া?""

" নাহ মানে কফি খেতাম আর কি?" 

"" তাহলে আপনি একা খান বিকজ আমার সময় হবে না৷"" কথা টা বলে ছন্দ নিজের সিটে বসে পড়লো.. সব মেয়েদের ক্রাশ আমান ছন্দের সাথে কথা বলতে দেখে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে যেটা বন্যা ভিষন ইনজয় করছে আর ছন্দের বিরক্ত লাগছে এইসব... 

আমান ক্লাস থেকে বের হতে আমানের বন্ধু আমানকে বলতে লাগলো"" কি রে দোস্ত যেখানে পুরো ভার্সিটির মেয়েরা তোর জন্য পাগল ৷ তোর সাথে একটু টাইম স্পেন করতে চায় সেখানে এই ছন্দ মেয়েটি মুখের উপর না বলে দিলো! বাহ কি সাহস! বলতে হবে মেয়েটি সবার থেকে আলাদা চোখে মুখে একটা মায়া আছে তাই না দোস্ত " আমান চোখ রাঙাতে চুপ হয়ে যায় ইমরান...

"" আলাদা বলেই আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি ৷ ""

"" বাট দোস্ত ছন্দের তো তোর প্রতি কোন ইন্টারেস্ট নাই ""

" হয়ে যাবে ৷ কিন্তু তার আগে ওকে আমার মনের কথা গুলো জানাতে হবে ইমরান""

"" বাহ তাহলে তো তার প্রস্তুতি করতে হয়""

"" হুম শুরু করে দে"" 

৫২

ক্লাস শেষ করে বন্যা ছন্দ দুজনে বাইরে এসে দেখে মুরাদ বর্ণ দুজনে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে কিছু একটা বলছে ৷ আর ভার্সিটির মেয়ে গুলো দুজনকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ৷ ছন্দ বন্যা দুজনের যেন তা সহ্য হলো না ৷ বন্যা রেগে মুরাদের দিকে এগোতে লাগলো ৷ মুরাদ বন্যা কে দেখে মিস্টি করে হেসে গাড়ির দরজা খুলে দিলো.. বন্যা ভাবলো ভাইয়ের সামনে কিছু বলবে না তাই চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে উঠে বসলো৷ মুরাদ বর্ণ কে বাই বলে গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে গেল৷ অন্যদিকে বর্ণ ছন্দের দিকে তাকিয়ে বলল" আপনাকে কি ইনভাইট করে আনতে হবে ম্যাম?"

"" আমি আপনার সাথে যাবো না ৷ আমাকে হসপিটালে যেতে হবে ৷""
হসপিটালে যাওয়ার কথা শুনে বর্ণের চোখ মুখ শক্ত করে বলল" কোথাও যাবে না তুমি "

"" আপনি বললেই হলো আমি তো যাবো-ই  আটকাতে পারলে আটকে দেখান বাই"" ছন্দ কথাটা বলে দু কদম যেতে পারলো না তার আগে ছন্দের মনে হলো সে হাওয়ায় ভাসছে .. 

"" এই আমাকে কোলে তুলে নিলেন কেন নামান বলছি নামান.."" বর্ণ কিছু বললো ছন্দ কে গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল লাগিয়ে দিয়ে গাড়ি স্টাট দেয় ৷ ভার্সিটির মেয়ে গুলো এতোক্ষন দারিয়ে ছন্দ বর্ন কে দেখছিলো দেখছিলো বললে ভূল হবে রিতি মতো চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ৷পারলে ছন্দ কে গিলে খায়৷ অন্য দিকে কেউ একজন  রাগে ফুসতে ফুসতে দু-হাত শক্ত করে মুট করে বলতে লাগলো"" কাজ টা তুমি একদম ঠিক করোনি ছন্দ ওই আয়ান চৌধুরীর সাথে গিয়ে এর ফল ওই আয়ান চৌধুরী কে ভুগতে হবে মাইন্ড ইট""


"" এই আমাকে কোলে তুলে নিলেন কেন নামান বলছি নামান.."" বর্ণ কিছু বললো ছন্দ কে গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল লাগিয়ে দিয়ে গাড়ি স্টাট দেয় ৷ ভার্সিটির মেয়ে গুলো এতোক্ষন দারিয়ে ছন্দ বর্ন কে দেখছিলো দেখছিলো বললে ভূল হবে রিতি মতো চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ৷পারলে ছন্দ কে গিলে খায়৷ অন্য দিকে কেউ একজন  রাগে ফুসতে ফুসতে দু-হাত শক্ত করে মুট করে বলতে লাগলো"" কাজ টা তুমি একদম ঠিক করোনি ছন্দ ওই আয়ান চৌধুরীর সাথে গিয়ে এর ফল ওই আয়ান চৌধুরী কে ভুগতে হবে মাইন্ড ইট""

কথা গুলো বলে আড়ালে চলে গেল লোকটি....

বর্ণ হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামায় প্রথমে ছন্দ বুজতে না পারলেও পরে বুজতে পারে৷ লান্চ টাইম নিশ্চয় বর্ণ এখনো না খেয়ে আছে ৷ ছন্দ কোন ঝামেলা না করে চুপচাপ গাড়ি থেকে নেমে রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে বসে বর্ণ পিছু পিছু আসে৷ 

বর্ণ কিছু খাবার অর্ডার করে দেয়৷

" আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি"" 

"" ওয়াশরুমে যাবে অন্য কোথাও না ""

"" হুম.." ছন্দ ওয়াশরুমে গিয়ে দ্রুত ফোন বের করে অনিল কে ফোন করে...

"" হ্যালো অনিল..""

" ইয়েস কুইন .""

"" তুমি এখুনি হসপিটালে যাবে আর রোদ কে ওখান থেকে তুলে আনবে""

"" ওকে কুইন বাট রোদ কে তুলে আনাটা একটু ট্যাফ হবে কারন হসপিটালের চারিদিক প্রচুর গার্ড পাহাড়া দিচ্ছে ৷ তবে কাজ টা আজ-ই হবে আপনি চিন্তা করবেন না""

"" গুড .. এর পর যখন কল করবে গুড নিউজ টা যেন পাই অলরাইট!"

"" ইয়েস কুইন ""

কল ডিসকানেক্ট করে ছন্দ চোখে মুখে পানি দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে ৷ ওয়েটার অলরেডি খাবার সার্ব করে দিয়ে গেছে৷ বর্ণ বসে বসে ফোন টিপছে ৷ ছন্দ কে আসতে দেখে ফোন পাশে রেখে গম্ভির গলায় বলে উঠলো " দ্রুত খাবার গুলো শেষ করো"

"" হুম শেষ তো করবো কিন্তু আপনি খাচ্ছেন না কেন?"

" আমাকে নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না "

"তাহলে কে ভাববে হ্যা অন্য কেউ ছে বুঝি" ব্রু কুচকে জ্বিগাসা করলো ছন্দ .. ছন্দ যে অন্য কিছু মিন করেছে এটা বর্ণ বুজতে পেরে মাথা নাড়লো ..

"" চুপ চাপ খেয়ে নিন না হলে কিন্তু আপনার কপালে অশেষ দুঃখ আছে বলে দিলাম"" কথা বলে ছন্দ বর্ণের মুখের সামনে খাবার তুলে ধরে.. বর্ণ মনে মনে ঠিক এটাই চাইছিলো ৷ দ্রুত ছন্দের হাতে খেয়ে নিলো.. 

"" নিন এবার একাই খেয়ে নিন ৷ আমার প্রচন্ড খিদে পেয়েছে আমিও খেতে শুরু করলাম.."" 

ছন্দ বর্ণ দুজনে লান্চ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে একটা নিরিবিলি জায়গায় আসে যেটা শহর থেকে বেশ খানিকটা দুরে ৷ বর্ণ ইচ্ছে করে শহর থেকে একটু দুরে আসে কারন বর্ণ শুরু থেকে মনে হচ্ছে কেউ তাদের ফলো করছে৷ 

দুপাশে সাড়ি সাড়ি গাছ বুনো ফুল ,পাখিদের কিচিরমিচির , বলতে গেলে জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর ৷ ছন্দের বেশ ভালো লাগছে কয়েক মুহূর্তের জন্য মাথা থেকে সব টেনশন যেন হারিয়ে গেল৷ তবে খুব তারাতারি ছন্দ তার ভালোলাগার মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসে অচেনা এক ব্যাক্তির হাতে গান দেখে.. মুহূর্তে ছন্দের টনক নরে আশে পাশে তাকিয়ে বর্ণ কে খুজতে যায় তখনি কেউ পিছুন থেকে ছন্দের মুখ চেপে ধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ছন্দ....

৫৩

"ওয়াট টার্গেট মিস হয়েছে মানে? বর্ণ কে শেষ করতে পারিস নি?""(Rk)

"" নো বস তার আগে লোকটা আর ওই মেয়েটা কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল৷""

"" কোন মেয়ে কার কথা বলছিস তুই?""(Rk)

"" মেয়েটি বর্ণের বোনের বান্ধবী ৷ বর্ণ আর তার বোন সকালেও ওই মেয়েটিকে বাসা থেকে ড্রপ করে নিয়ে নেয় ৷ আর কলেজ শেষ হতে বর্ণ মেয়েটিকে নিতে আসে৷ "

"" তার মানে মেয়েটি বর্ণের খুব কাছে স্পেশাল ৷ পেয়ে গেছি বর্ণের দূর্বল পয়েন্ট৷ শোন ওইমেয়ে টাকে আগে তুলে আন তারপর আমি বর্ণ কে দেখছি""(Rk)

"" ওকে বস"" 

__________________________________

ছন্দের চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিতে কিছুক্ষনের মধ্যে ছন্দের জ্ঞান ফিরে আসে ৷ মাথা চেপে ধরে আশে পাশে তাকিয়ে দেখে ছন্দ তার নিজের রুমে ৷ কিয়ারা বেগম ছন্দের জ্ঞান ফিরতে দেখে বলল" ছন্দ তোর জ্ঞান ফিরেছে৷ কেমন লাগছে এখন তোর? ""

"" ভালো আম্মু কিন্তু আমি এখানে এলাম কি করে?"" 

"" তুই নাকি রাস্তায় সেন্সলেস হয়ে পরেছিলি তখন তোর ভার্সিটির  একটা ছেলে তোকে দেখতে পেয়ে তোকে বাড়ি নিয়ে আসে"" 

"" কিহ! কোন ছেলে আম্মু নাম কি তার?""

"" কি যেন নাম বললো ওহ আমান ""

আমান নামটা শুনে ছন্দ চমকে ওঠে " আমাদের ভর্সিটির সিনিয়র ভাইয়া আমান নয় তো? আচ্ছা আম্মু ছেলেটা কেমন দেখতে?""

"" খুব সুন্দর জানিস ছেলেটা তোকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর নিজে গিয়ে ডক্টর কে নিয়ে আসে ৷ ডক্টর বললো দূর্বলতার জন্য নাকি এমনটা হয়েছে  ""

" ওহ .. আম্মু আমি গোছল করে নি তাহলে হয়তো ভালো লাগবে ""

"" আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসি ৷ "

" নাহ আম্মু  আমার খিদে নেই একদম শুধু কফি নিয়ে এসো৷""

"" আচ্ছা..."" 

ছন্দ ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার অন করে দারিয়ে ভেবে যাচ্ছে তখন কার ঘটা কাহিনি৷ ভার্সিটি থেকে থেকে রেস্টুরেন্ট সেখান থেকে শহরের বাইরে হঠাৎ এমন আক্রমন আচ্ছা বর্ণ কোথায়? আর এই আমান বা ওখানে কি করে পৌছালো ? যদিওবা ওখানে যায় ঠিক আছে কিন্তু আমার বাড়ির ঠিকানা জানলো কি করে? আর কে বা আমাকে সেন্সলেস করলো? অনেক গুলো প্রশ্ন ছন্দের মাথায় ছুটে বেরাচ্ছে ৷ কোন প্রশ্নের উওর ছন্দ পাচ্ছে না ৷ 

"" বর্ণ আমাকে সব প্রশ্নের উওর দিতে পারে ৷ ওর সাথে আমাকে কথা বলতে হবে৷"" ছন্দ দ্রুত শাওয়ার নিয়ে  চেন্জ করে বের হয়৷ তখনি ছন্দের ফোনটা বেজে ওঠে...ছন্দ পার্স থেকে ফোন বের করে দেখে অর্নিল ..কল রিসিব করে ছন্দ...

" হ্যালো কুইন ""

" হুম বল কি নিউজ আছে?"

"" রোদ কিডন্যাপ এন্ড বাকিদের কে টর্চার সেলে রাখা হয়েছে৷ ""

"" গুড, আমি মধ্যে রাতে আসছি ""

"" ওকে কুইন"" 

ছন্দ কল ডিসকানেক্ট করে ছন্দ বর্ণ কে কল করে ...... ছন্দ এই নিয়ে দশ বার কল করেছে বর্ণ কে কিন্তু বর্ণ কল রিসিব করেনি৷ প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে ছন্দের এটা ভেবে বর্ণের কোন বিপদ হলো না তো? 

ছন্দ রুমের কোনায় কোনায় খোজ করে দুটো ক্যামেরা পায়৷ দুটো ক্যামেরা সাথে সাথে নষ্ট করে ফেলে ছন্দ......

__________________________________

৫৪

"" কাব্য আমাদের এখুনি বাড়ি ফিরতে হবে""( সাব্বির আহাম্মেদ )

"" কিন্তু আব্বু আমাদের তো কাজ এখনো কম্পিলিট হয়নি ৷ কাজ কম্পিলিট  না করে ফিরে গেলে RK আমাদের ছাড়বে না ""

"" এখন Rk কি করবে এটা নিয়ে ভাবলে চলবে না কাব্য ৷ আমাদের এখুনি বের হতে হবে ৷ তুমি ফ্লাইটের টিকিট বুক করো এ্যাস সুন এ্যাস পসিবল আমাদের দ্রুত পৌছাতে হবে""

"" ওকে আমি অনলাইনে টিকিট বুক করছি"" 

সাব্বির আহাম্মেদ প্রচুর ঘামছে ৷ এসির মাঝে থেকেও দর দর করে ঘামছে সাব্বির আহাম্মেদ কিন্তু কেন এটাই বুজতে পারছে না কাব্য ... দু ঘন্টার মধ্যে দুজনে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরে৷ 

"" হ্যালো হা আমি সাব্বির আহাম্মেদ বলছি ৷ কোন খোজ পেলেন?""

"" না স্যার আমরা এখনো কোন খোজ পাই নি কিন্তু খুব তারাতারি খোজ পেয়ে যাবো৷""

"" কি করছেন কি আপনারা এতো টাইট সিকিউরিটির মধ্যে দিয়ে আমার ছেলেটাকে কি করে কিডন্যাপ করতে পারে হাহ বলুন ৷ এই আপনাদের সিকিউরিটির ব্যাবস্তা ?""

"" স্যরি স্যার বাট এটা কি করে সম্ভব হলো আমরাও বুজতে পারছি না""

"" এতো এক্সকিউজ শুনতে চাইনি আমি আপনি দ্রুত আমার ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিবেন বুজতে পেরেছেন৷ ""

"" জ্বি স্যার..."" 

রাগে ফোস ফোস করতে করতে সাব্বির আহাম্মেদ কল কেটে ফ্লাইটে উঠে বসে ৷ কাব্য পিছুন থেকে সাব্বির আহাম্মেদের প্রত্যেক টা কথা শুনে স্তব্ধ ৷ সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে কাব্যের তার বাবার আরো একটা ছেলে আছে তার মানে এতো বছর সাব্বির আহাম্মেদ ওদের ঠকিয়েছে? কথা গুলো ভাবতেই কাব্যের মাথা ঘুরছে ৷ লাস্ট এনাউসমেন্ট শুনে কাব্য দ্রুত ফ্লাইটে ওঠে৷ পুরো জার্নিতে কাব্য চুপ ছিলো সাব্বির আহাম্মেদের সাথে একটা কথাও বলেনি৷ এদিকে সাব্বির আহাম্মেদের চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে কতোটা টেন্স ৷ মুচকি হাসলো কাব্য ....

_________________________________

কিছুক্ষন আগে ডক্টর বর্ণের হাতে ইনজেকশন পুশ করে দেয়৷ ধিরে ধিরে বর্ণের নীল শরীল স্বাভাবিক হতে শুরু করে৷ তা দেখে মিহির মুরাদ দুজনে সস্থির নিশ্বাস ফেলে ৷ 

"" ডক্টর বর্ণ ঠিক হয়ে যাবে তো?"

"" হ্যা দু ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে কিন্তু একটু খেয়াল রাখবেন যাতে রেস্ট করে ৷ কারন মিস্টার চৌধুরী এখন ভিষন দূর্বল ৷ বিষটার এন্টিডোর আমার কাছে ছিলো বিধায় এই যাত্রায় মিস্টার চৌধুরী বেচে গেল নাহলে যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারতো""

"" থ্যাংকস ডক্টর ৷ সাহায্য করবার জন্য ৷ এই সময়ে এখানে কোন ডক্টর আসতে রাজি হচ্ছিলো না ৷ আপনি না আসলে কি যে হতো"

"" মিস্টার মুরাদ আমি একজন ডক্টর আর একজন ডক্টরের কাজ হলো মানুষের চিকিৎসা  করে তাকে সুস্থ করা তবে একটা প্রশ্ন ওনার শরীলে বিষ কি করে প্রবেশ করলো ?"

" এট্যাক হয়েছিলো ডক্টর""

"" ওয়াট!"
" ইয়েস ডক্টর আর প্লিজ আপনি এই ঠিকানাটা কাউকে বলবেন না""

" ওকে" 

মিহির ডক্টর কে বাইরে ছেড়ে দিয়ে এসে বর্ণের পাশে বসে মুরাদ কে প্রশ্ন করে... 

"" স্যার বসের এই অবস্তা হলো কি করে?""

"" এটা তো আমিও জানি না তবে খুব তারাতারি বের করবো কে করেছে বর্ণের উপরে এট্যাক""

একঘন্টা বাদে বর্ণের জ্ঞান ফিরে আসে ৷ জ্ঞান ফিরতে বর্ণ ছন্দের নাম নিতে থাকে৷ 

"" বস আর ইউ ওকে ৷ "(মিহির)

"" হ্যা টিয়াপাখি কোথায়? "" বর্ণ চোখ বন্ধ করে সবটা ভাবতে মনে পরে যায় ৷ ছন্দ যখন চারিদিক ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছিলো সেটা বর্ণ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখছি হঠাৎ পিছুন থেকে কাধে কেউ একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়৷ তারপর আর কিছু মনে নেই বর্ণের ...

"" টিয়াপাখি কোথায় মুরাদ?""

"" ভাবি তার বাড়িতে আছে আমি খোজ নিয়েছি"

বাড়িতে আছে শুনে বর্ণ একটু সস্থি পায় ৷ কিন্তু ওর এই অবস্তায় ছন্দ বাড়িতে কি করে ? বর্ণ উঠে নিজের ফোন টা খুজতে লাগলো মিহির এগিয়ে বর্ণের ফোনটা হাতে দেয়৷ ফোন সাইলেন্ট থাকায় মুরাদ বা মিহির বুজতে পারেনি কেউ ফোন করেছিলো৷ বর্ণ কল লিস্ট চেক করে দেখে ছন্দের নাম্বার থেকে একশ + মিসড কল.. বর্ণ দ্রুত কলব্যাক করে বর্ণ কে , ছন্দ ফোন হাতে বসে আছে কখন বর্ণ কল করবে এই আসায় ৷ ছন্দের ভাবনার ছেদ ঘটে ফোনের বিদঘুটে আওয়াজে তাকিয়ে দেখে বর্ণের কল ৷ দ্রুত কল রিসিব করে ছন্দ...

"" হ্যালো বনরাজ তুমি ঠিক আছো ? কোথায় তুমি ? আমাকে একা ফেলে কোথায় চলে গিয়েছিলে তুমি ""

"" ধিরে টিয়াপাখি আমি একটা একটা করে তোমার সব প্রশ্নের উওর দিচ্ছি"" 

"" তোমার কন্ঠস্বর এমন লাগছে কেন?""

"" তেমন কিছু না ৷ শোন আমি একদম ঠিক আছি ৷ কিন্তু তুমি বাসায় কি করে পৌছালে ?""

 ছন্দ সবটা খুলে বলে বর্ণকে ৷ সবটা শুনে বর্ণের বুজতে আর বাকি নেই কাজ টা কে করেছে ৷ 

"" যে বা যারা কাজটা করেছে তাদের আমি ছাড়বো না৷ টিয়াপাখি তুমি সাবধানে থেকো আর বাড়ি থেকে একদম বের হবে না যতোক্ষন না আমি বলছি ওকে"

"" হুম তুমিও নিজের খেয়াল রেখ"

"" আচ্ছা " 

ছন্দ কল কেটে বেলকনিতে গিয়ে দারায়... হঠাৎ নিচে চোখ পড়ে ছন্দের দুরে কেউ একজন দারিয়ে আছে ওর দিকে তাকিয়ে মুখে মাক্স মাথায় ক্যাপ থাকায় ছন্দ চিনতে পারছে না ৷ কিন্তু এটা শিওর কেউ একজন ওর উপর নজর রাখছে৷ ছন্দ বেলকনিতে আর না দারিয়ে ভিতরে চলে যায়৷ রাত নয়টায় ছন্দ কিয়ারা বেগম রুনা এক সাথে ডিনার করে যে যার রুমে চলে যায়৷ মুন্নির খাওয়া শেষ হতে ল্যান্ডলাইনের ফোন বেজে ওঠে মুন্নি ফোন ধরার আগে কল কেটে যায়৷  মুন্নি রান্না ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে ৷ রাত তিনটের সময় ছন্দ রেডি হয়ে বাড়ির পিছুনের দরজা দিয়ে বের হয় খুব সাবধানে ৷ বাইরে এসে দেখে অনিল গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে ওর জন্য ৷ ছন্দ দ্রুত গিয়ে গাড়িতে উঠে বসে ৷ কিছু দুর যেতে ছন্দ খেয়াল করে বর্ণ গাড়ি চালিয়ে ওদের দিকে আসছে ৷ ছন্দের বুজতে বাকি নেই যে বর্ণ ওর কাছে আসছে ৷ 

"" অনিল গাড়ি দ্রুত ব্যাক করো ""

"" ওকে কুইন" 

অনিল দ্রুত গাড়ি ব্যাক করে ছন্দের বাড়ির পিছুনের থামায়৷ ছন্দ তারাতারি গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে চলে যায়৷ বর্ণের রুমে ঢুকার আগে ছন্দ চেন্জ করে ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকে৷ বর্ণ খুব সাবধানে ভিতরে ঢুকে ছন্দকে দেখতে পেয়ে ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওটে ৷ ছন্দের পাশে বসে ছন্দের কপালে আলতো করে ঠোটের স্পর্শ দিতে ছন্দ চোখ মেলে তাকায়... 

ছন্দ বর্ণ কে দেখে উঠে বর্ণ কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে৷ যেন ছেড়ে দিলে এখুনি হারিয়ে যাবে তার বনরাজ ৷ বর্ণের কিছু বুঝে ওঠার আগে ছন্দ বর্ণের ঠোট জোড়া আকড়ে ধরে ৷ ছন্দের এমন কান্ডে বর্ণের চোখ যেন ছানাবরা হয়ে গেছে৷ ছন্দ এমন কিছু করতে পারে এটা বর্ণের ধারনার বাইরে ছিলো৷ কিছুক্ষন পর ছন্দ বর্ণ কে ছেড়ে লজ্জায় মুখ লুকায় বর্ণের বুকে৷ বর্ণ ছন্দের মাথায় চুমু দিয়ে ছন্দ কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে কিছু পেপারস বের করে ছন্দের দিকে এগিয়ে দিয়ে কাট কাট গলায় বলল" তুমি যদি আমাকে বিশ্বাস কর টিয়াপাখি তাহলে পেপারসে কি লেখা আছে তা না দেখে সাইন করে দিবে..""

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন