আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - অন্তিম পর্ব ০৯ - সিজন ২ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


কাব্যের মুখ বন্ধ হয়ে গেল তা দেখে বর্ণ মুরাদ দুজনে হাসতে লাগলো.... 

মুরাদ আর বন্যার বিয়েটা সুসম্পন্ন হতে দোয়া করে মিষ্টিমুখ করায় একে অন্যকে তখনি ছন্দের চিৎকারে থমকে যায় সবাই......
___________________

ওটির সামনে পাগলের মতো পাইচারি করছে বর্ণ ৷ কিছুক্ষন পর পর ওটির দরজা খোলার চেষ্টা করছে ভিতরে যাওয়ার জন্য মুরাদ কাব্য দুজনে মিলে বর্ণকে সামলাতে পারছে না৷ ভিতর থেকে ছন্দের চিৎকার শুনতে পারছে ওরা৷ 

বিয়ের পোশাকে বন্যা ছন্দের সাথে হসপিটালে এসেছে ৷ ভাইকে পাগলামো করতে দেখে বন্যার প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে ৷ বার বার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে যেন ছন্দ আর বেবি ঠিক থাকে ৷ এক ঘন্টা পর বর্ণ সহ সবাই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল ৷ বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে সবার চোখে মুখে খুশির আভাস ৷ কিছুক্ষন পর দুজন নার্স তোয়ালে পেচিয়ে দুটো বাচ্চা কে নিয়ে আসে ৷ নার্স কে দেখে বর্ণ প্রথমে ছন্দের কথা জানতে চায়....

"" চিন্তা করবেন না আপনার স্ত্রী একদম ঠিক আছে ৷ এখন ঘুমাচ্ছে ৷ আর এই নিন আপনার ছেলে আর মেয়ে ৷ আপনার স্ত্রী জমজ সন্তানের মা হয়েছে এখন দ্রুত আমাদের মিষ্টি খাওয়ান..."" 

খুশিতে বর্ণ কেদেঁ ফেলে মেয়েকে কোলে নেয়৷ আর কাব্য ছেলেটিকে কোলে তুলে নেয়৷ মুরাদ নার্সদের হাতে কিছু টাকা গুজে দিতে তারা খুশি হয়ে চলে যায়৷ 

"" মম যাস্ট সি আমার সন্তান এরা আমার কলিজার টুকরা ৷ আমার এন্জেল ৷ ""

"" ভাই এখন আবার তোর ছেলে এন্জেল ডাকিস না প্লিজ ৷""

বন্যার কথা শুনে হেসে ফেলে সবাই৷ প্রত্যেকে বেবিদের কারাকারি করে কোলে তুলে নিচ্ছে ৷ ছন্দ কে কেবিনে শিফ্ট করে দেওয়ার পর বর্ণ বেবিদের নিয়ে কেবিনে প্রবেশ করে দোলনায় বাচ্চাদের রেখে ছন্দের কপালে চুমু দিয়ে কেঁদে ফেলে ৷ বর্ণের চোখের পানি ছন্দের মুখে পড়তে ঘুম ভেঙে যায় ছন্দের ৷ চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে বর্ণ কাঁদছে ৷ ছন্দ প্রথমে অবাক হয় পরে আশে পাশে তাকাচ্ছে ৷ বর্ণ বুজতে পারছে ছন্দের চোখ বাচ্চাদের খুজছে ৷ বর্ণ দোলনা থেকে বাচ্চাদের তুলে ছন্দের কোলে এনে দেয়৷ বাচ্চা দুটো কে কোলে নিয়ে ছন্দের চোখ ভোরে আসে৷ বাচ্চা দুটো বুকের সাথে জরিয়ে ধরে আদর করতে থাকে ছন্দ তখনি বর্ণ তার ফোন বের করে এই মুহূর্ত টা ক্যামেরা বন্দি করে ৷ 

হঠাৎ একটা বাচ্চা কেদে উঠতে অন্য বাচ্চাটাও কেদেঁ ওঠে ৷ তখনি নার্স কেবিনে ঢুকে বলে"" ম্যাম বাচ্চাদের খিদে পেয়েছে ওদের ফিডিং করাতে হবে৷ স্যার আপনি কিছুক্ষনের জন্য বাইরে যান৷""

বর্ণের ইচ্ছে না থাকা সত্যেও বাইরে চলে গেল৷ বাইরে সবাই ছন্দের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছে বর্ণ কে বাইরে আসতে দেখে সবাই ভিতরে যেতে নিলে বর্ণ বারন করে দেয় ৷ কিছুক্ষন পর যেতে বলে......

নরমাল ডেলিভারি থাকায় দু-দিন পর ছন্দ বাড়িতে ফিরে আসতে পারে ৷ ছন্দ চৌধুরী ম্যানশনে ঢুকে অবাক হয়ে যায় কারন তাদের ওয়েলকাম করার জন্য পুরো বাড়ি বেলুন মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো ৷ বাচ্চাদের খেলনা দিয়ে সাজানো ৷ ভিষন খুশি হয় ছন্দ ৷ বাচ্চারাও ছন্দের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসছে ৷ বর্ণ এতো গুলো মাস পর আজ সত্যি কারের হাসি হাসতে দেখলো তার টিয়াপাখিকে ৷ মিসেস বর্ণালি ছন্দের গলায় স্বর্নের চেইন পড়িয়ে দিয়ে কপালে চুমু দিলো৷ 

"" কেমন আছো মামুনি? আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?""

"" না মামুনি আসতে কোন অসুবিধা হয়নি"" 

"" আয় বস একটু আমি তোর জন্য ঠান্ডা সরবত বানিয়ে রেখেছি"" 

"" মম তুমি বসো আমি আমার কিউট ভাবির জন্য সরবত নিয়ে আসছি"" 

বন্যা কিউট একটা হাসি দিয়ে কিচেনে চলে গেল৷ রুনা আর কায়রা বেগম ছন্দ কে ঘিরে বসে আছে ৷ 

"" আমার কিউট ননোদিনী কতো বড় হয়ে গেছে খালামনি দেখেছো ? আজ  ছন্দরানী নিজে দুবাচ্চার মা হয়ে গেল৷ ""

"" হ্যা, মেয়ে যখন সংসারে বাধা পরে তখন সময়ের সাথে সাথে মেয়ে তখন পাক্কা গৃহিণী হয়ে যায়৷ বড় হয়ে যায় ৷ আর যখন মাতৃত্বর স্বাধ গ্রহন করে তখন সে এক জন পরিপূর্ন একজন নারী হয়ে ওঠে৷"" 

ছন্দ মুচকি হেসে কথা গুলো শুনছে৷ ছন্দ আসার পর থেকে বর্ণ ছটপট করে যাচ্ছে ছন্দ আর বাচ্চা কে কাছে পাওয়ার জন্য ৷ আচমকা বর্ণ ছন্দ কে কোলে তোলে নিয়ে উপরে হাটতে লাগে ৷ বর্নের এমন কান্ডে নিচের প্রত্যেকটা লোক মুখ টিপে টিপে হাসছে ৷ বর্ণের তাতে কোন হেলদোল নেই৷ বর্ণ ছন্দ কে বিছানায় বসিয়ে দরজা আটকে দেয়৷ 

"" এই সব কি হচ্ছে?"" ভারি গলায় বললো ছন্দ..

"" আমার একমাত্র বউ কে কখন থেকে একা পাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না কিন্তু এখন কোন বাধা নেই মন ভোরে আমার টিয়াপাখিকে আদর করতে পারবো ৷ "" 

বর্ণ ছন্দ কে জরিয়ে ধরতে যাবে তখনি দরজায় কেউ নক করে ৷ 

"" উফফ এরা রোমান্সের সময় কেন এতো ডিসট্রাব করে বুঝি না ধ্যাত..." বর্ণ দরজা খুলতে বন্যা আর রুনা দারিয়ে কোলে বাচ্চা দুটো কেদে যাচ্ছে ৷

"" এই মিস্টার আমার ননোদিনির সাথে রোমান্স পরে করবেন এখন বাচ্চাদের ফিডিং করাতে হবে ৷"

বর্ণ মাথা চুলকাতে চুলকাতে রুম থেকে বের হয়ে যায়৷ 

"" ইসস ভাবি আমরা দুজন এসে তোমাদের রোমান্সের তেরটা বাজালাম তাই না কিন্তু সরি গো আমরা আসতে চাইনি এই কোলে এদের কে দেখছো ৷ এরা মার কাছে যাবো মার কাছে যাবো বলে বায়না করছিলো৷ """"(বন্যা)

" তাই না ফাজিল"" চোখ পাকিয়ে বললো ছন্দ...

ছন্দ বেবিদের খাইয়ে ওদের ঘুম পারাতে গিয়ে নিজেও ঘুমিয়ে পড়ে ৷ সে সময় বর্ণ রুমে ঢুকে ছন্দ আর বাচ্চাদের ঘুমন্ত অবস্তায় দেখে মুহূর্ত টাকে ক্যাপচার করে নেয় ফোনে ৷ 

দু-দিন পর বাচ্চাদের নাম রাখা হয় ছেলের নাম রাখা হয় সমুদ্র চৌধুরী অনিক আর মেয়ের নাম রাখা হয় আহানা চৌধুরী বন্হি ৷ 

দিন মাস সময় পের হতে থাকে সাথে সাথে বাচ্চারা বড় হতে লাগলো ৷ বর্ণ প্রচন্ড কেয়ার করে বাচ্চা আর ছন্দের ৷ মিসেস বর্ণালি নাতি নাতনিকে ছাড়া আর কিছুই বোঝে না ৷ তবে ইদানিং ছন্দ বাচ্চাদের নিয়ে রুমে পরে থাকে বাহিরে যায় না আর না কারোর সাথে কথা বলে৷ 

সামিরা এখনো চৌধুরী ম্যানশনে পরে আছে ৷ তবে আগের থেকে সবার সাথে সম্পর্ক টা বেশ ভালো হয়েছে তার ৷ তবে বর্ণ এখনো সামিরা কে দু-চোখে দেখতে পারে না ৷ তাই সামিরাও বর্ণের সামনে যায় না ৷ 

হঠাৎ একদিন বর্ণ সন্ধায় অফিস থেকে ফিরে বাড়ির প্রত্যেকের মুখ থমথমে দেখে বুকের ভিতর মোচর দিয়ে ওঠে ৷ মন যে তা কু গাইছে ৷ একপা দু পা করে মিসেস বর্নালির সামনে গিয়ে দারায় বর্ণ....

"" কি হয়েছে মম তোমাদের চোখ মুখ এমন লাগছে কেন? টিয়াপাখি আর আমার বাচ্চারা কোথায়? ওদের কেন দেখছি না?"" বর্ণ দ্রুত উপরে নিজেদের রুমে গিয়ে ছন্দ বা তাদের বাচ্চাদের খুজে পায় না বরং বিছানায়  একটা খাম দেখতে পায় ৷ বর্ণ খাম খুলে ভিতরে একটা চিঠি খুজে পায় ৷ কাপা কাপা হাত নিয়ে চিঠিটা পড়তে শুরু করে বর্ণ.......

  **** বর্ণ শুরুতে আমি প্রিয় শব্দটা ব্যাবহার করলাম না কারন প্রিয় শব্দ তার জন্য ব্যাবহার করে যে তার আপন হয় ৷ কিন্তু তুমি কি সত্যি আমার আপন প্রিয়জন হয়ে উঠতে পেরেছো? বাড়িতে আমাকে না পেয়ে নিশ্চয় বুজতে পেরেছো আমি বা বাচ্চারা কেউ ওখানে নেই ৷ 

জানো বর্ণ শুরুতে যখন তুমি আমাকে ভালোবাসা শেখালে তোমাকে ভালোবাসতে বাধ্য করলে তখন থেকে আমার অন্তরালে তুমি ছিলে ৷ আমার ভালোবাসা তোমার জন্য দিনকে দিন শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছিলো কিন্তু তুমি নিজ হাতে সে ভালোবাসাটাকে হত্যা করেছো ৷ খুন করেছো আমার বিশ্বাস , আমার অনুভূতি আমার ভালোবাসা ৷ আঘাত করেছো  আমার আত্নসন্মান কে ৷ একটা সত্যি কথা বলছি তোমায় আজ , তুমি জানো তুমি কখনো আমায় বুজতে পারোনি আর না কখনো আমার ভালোবাসাকে বুজতে পেরেছো৷ তুমি তোমার রাগ জেদ অভিমান নিয়ে ছিলে৷  তবে তুমি কি করে ভাবলে আমি তোমার সাথে থাকবো সংসার করবো? হ্যা এতো গুলো মাস কেন তবে এখানে ছিলাম এটাই ভাবছো রাইট? উওর টাও আমি দিচ্ছি মনে পরে আমাকে যখন কিডন্যাপ করেছিলে তখন কতোটা নিকৃষ্ট জানোয়ারের মতো আমাকে টর্চার করেছিলে ? জোর জবরদস্তি করেছিলে তুমি আমার সাথে কারন টা কি শুধুই তোমার রাগ আর জেদের কারনে?কেন রাহুলের নাম নিয়েছিলাম বলে নাকি তুমি যা জানতে চেয়েছিলে তা বলেনি তার জন্য? এখন হয়তো তুমি বলবে আমরা হাসবেন্ট ওয়াইফ আমি তোমাকে স্পর্শ করতেই পারি ৷ কিন্তু আদো কি তুমি তা করতে পারো বর্ণ? তোমার সে দিনের ব্যাবহারের ফল সমুদ্র আর বন্হি ৷ ওরা আমার সন্তান হ্যা ঠিক পরেছো বন্হি আর সমুদ্র শুধু মাত্র আমার একার সন্তান  তোমার কিচ্ছু না ৷ আমি ওদের মা আর আমি ওদের বাবা ৷ 

জানো চাইলে আমি ওদের নিয়ে অনেক আগে চলে আসতে পারতাম তোমার ক্ষমতা ছিলো না আমাদের খুজে বের করার কিন্তু আমি তা করেনি কারন টা কি জানো ? তোমাকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে জালিয়ে মারবো তাই৷ বন্হি তোমার নেওটা হয়েছিলো তাইতো কিছুদিন ধরে ওদের কে তোমার কাছ থেকে আলাদা রাখতাম মনে আছে? যখনি তুমি ওদের কাছে যেতে চাইতে তখন আমি কি বলতাম ! ওদের এখন ঘুমানোর সময় নয়তো খাবার সময় ৷ তুমি বুজতেও পারোনি আমার ভাবনা চিন্তা কতোদুর পর্যন্ত যেতে পারে ৷ 

তুমি যখন চিঠিটা পড়ছো তখন আমি তোমার থেকে কয়েকশত মাইল দুরে তোমার ইচ্ছে থাকলেও আমাদের খুজে পাবে না ৷ আর যদি খোজার চেষ্টা করো তাহলে ও লাভ হবে না কারন তোমার থেকে তোমার পরিবার থেকে অনেক অনেক দুরে আছি ৷ তোমাকে আমি নিজের হাতে তোমাকে শারীরিক ভাবে আঘাত করতে পারবো না কিন্তু মানুষিক ভাবে ঠিকি আঘাত করতে পারবো ৷ আর এটাই তোমার শাস্তি ৷ আর হ্যা বৃথা খোজার চেষ্টা করো না আমাদের লাভ নেই আবারো বললাম ৷ ভালো থেকো............

                                 **ছন্দ**

চিঠিটা পড়ে বর্ণ সেন্সলেস হয়ে পড়ে৷ বন্যা আর বাকিরা বর্ণ কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ডক্টর কে ডেকে আনে ৷ অতিরিক্ত টেনশনের ফলে বর্ণের পেশার ফল করেছে বিধায় ডক্টর বর্ণ কে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দেয়৷ 

তিন বছর পর..........

এই তিন বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে ৷ বদলে গেছে কিছু প্রিয় অপ্রিয় মানুষের জীবন৷ তবে বদলায়নি বর্ণের জীবন ৷ এখনো পাগলের মতো খুজে চলেছে তার টিয়াপাখি কে ৷ কিন্তু কোথাও খুজে পায় না ৷ বর্ণ তার ফোনে তোলা সে সব মুহূর্তের ছবি গুলো বড় ফ্রেমে বাধিয়ে দেয়ালে টানিয়ে ছবির সাথে কথা বলে ৷ 

"" তুমি ঠিক টিয়াপাখি তোমাকে কোথাও খুজে পাই নি আমি  এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তোমাকে খুজেনি ৷ আমি জানি তুমি আমার কথা হয়তো ভাবো না কিন্তু তোমার পরিবারের কথা তো ভাববে ? রুনা ভাবি কাব্য খালামনি আর সায়মা ওদের কথা তো ভাববে? কিন্তু তুমি ওদের কথাও ভাবো নি তুমি সত্যি খুব স্বার্থপর ৷ "" বর্ণের কথার মাঝে কেউ ড্যাডি ড্যাডি বলে ডাকতে ডাকতে রুমে প্রবেশ করলো ৷ বর্ণ তার চোখের পানি মুছে নেয় দ্রুত ৷ 

"" ড্যাডি তুমি এখনো বড় ম্যাম্মি আর ভাই বনুর ছবি দেখে কাঁদছো হু"" 

"" সরি মাম্মাম আমার ভুল হয়ে গেছে দেখো আমি আর কাদঁছি না ৷ কিন্তু আমার পরী মাম্মাম এখন এই দুপুরে বেলা না ঘুমিয়ে এখানে কি করছে হুম"" পরীকে কোলে নিয়ে বলতে লাগলো বর্ণ ৷ তখনি সামিরা প্রবেশ করে রুমে৷ 

"" ভাইয়া মেয়েটা বড্ড দুষ্টু হয়েছে কিছুতেই ঘুমাতে চাচ্ছে না ৷ ""

"" আহা সামিরা আমার মাম্মাম কে বকবে না ৷ আমার মাম্মাম গুড গার্ল সে এখুনি টুপ করে ঘুমিয়ে পরবে তাই না মাম্মাম?"" 

"" ইয়েস ড্যাডি তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেও আমি এখুনি ঘুমিয়ে পরছি""

"" ওকে মাম্মাম শুয়ে পরো৷ "" 

বর্ণ পরীর মাথায় হাত বুলাতে কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পরে পরী ৷ তখন সামিরা বর্ণ কে বলতে লাগলো"" ভাইয়া আর কতোদিন এভাবে কষ্ট পাবেন? ""

"" যতোদিন না আমার টিয়াপাখি আমার কাছে ফিরে আসছে ৷"" কথা টা বলে বর্ণ বেলকনিতে গিয়ে দারায়৷ সামিরা ওখানে দারিয়ে পরীর দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে৷ তিন বছর পূর্বে যখন ছন্দ সবাই কে না জানিয়ে চলে যায় তার দুদিন পর পরীকে কেউ চৌধুরী ম্যানশনে দিয়ে যায়৷ তখন সামিরা সব সত্যিটা সবাই কে জানায়৷ যে পরী তার মেয়ে ৷ বিয়ে হয়নি বলে পরীকে কখনো সমাজে কারো সামনে বের করতো না ৷ সে দিন বর্ণ পরীকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দেয়৷ পরী বর্ণকে নিজের বাবা মনে করে আর এতে খানিকটা হলেও বর্ণ শান্তি পায়৷ 
_____________________

অন্যদিকে একটা বল নিয়ে সমুদ্র আর বন্হি একে অন্যের চুল টেনে যাচ্ছে ৷ তখনি আখি অনিল বাড়িতে প্রবেশ করে দু ভাই বোনের এই অবস্তা দেখে দুজনে লেগে পরে দুজন ছাড়াতে কিন্তু দু ভাই বোন জিদ্দি কেউ ছাড়ছে না বিধায় ৷ অনিল ছন্দ কে কুইন বলে ডাক দিতে সমুদ্র বন্হি একে অন্যে কে ছেড়ে দিয়ে ইনোসেন্ট কিউট ফেস নিয়ে দারিয়ে পড়ে৷ অনিল আখি দু ভাই বোনের এমন কান্ড দেখে মটেও অবাক হয় না ৷ এরা দুজন প্রত্যেকবার এমনটাই করে ৷ 

ছন্দ অনিলে গলা পেয়ে কিচেন থেকে বের হয়ে দেখে তার গুনধর ছেলে মেয়ে ইনোসেন্ট ফেস করে আছে ৷ ছন্দের যা বুঝার সে বুঝে গেছে৷ তারপরও অনিক আর বন্হি কে একটু ভয় দেওয়ার জন্য গম্ভির গলায় বলে উঠলো "" কি হয়েছে অনিল ""

"" ইয়ে মানে কুইন .."" বলতে গিয়ে বলতে পারছে না অনিক আর বন্হির কিউট ফেস দেখে ...

"" যা বলার দ্রুত বলো অনিল টাইম ওয়েস্ট করা আমার পছন্দ নয় নিশ্চয় জানো?"" 

"" ইয়ে মানে কুইন আজ তো একটা অপারেশন আছে ৷ ""

"" এটা তো আমি জানি অনিল"" এবার আখি বলে উঠলো...

"" আসলে কুইন লন্ডনের মাফিয়া এলমাস আপনার সাথে মিট করতে চায়৷ "" 

ছন্দ কিছুক্ষন ভেবে বলে "" আগামিকাল এলমাসের সাথে মিটিং ফিক্সড করো " 

"" ওকে কুইন"" 

রাতে ছন্দ সমুদ্র আর বন্হিকে খাইয়ে গল্প শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়ে কাবার্ড থেকে বর্ণের একটা ছবি বের করে বুকের সাথে চেপে ধরে কাদছে ৷ ছন্দের কান্নার আওয়াজের সমুদ্র আর বন্হি ঘুম থেকে উঠে গিয়ে ছোট ছোট পায়ে ছন্দের দিকে এগিয়ে গিয়ে জরিয়ে ধরে বলে"" আমাল মাম্মাম কেন কাদঁছে?"" (বন্হি)
ছন্দ দ্রুত চোখের পানি মুছে হাসি মুখে বলে"" কই মাম্মাম কাদঁছে না তো সোনা৷"" 

"" মিত্তা (মিথ্যে) কতা বলতে হয় না জানো না মাম্মাম ৷ "" (সমুদ্র)

"" মাম্মাম কেদো না ৷ আমি দানি (জানি) তুমি কাদছো৷ আমি বল(বড় ) হয়ে নি তখন আর তোমাকে কাদতে দিব না"" (বন্হি) 

মেয়ের আদো আদো গলায় কথা গুলো শুনে ছন্দের কান্না বন্ধ হয়ে গেছে ৷ ছেলে মেয়ে দুটো কে বুকের সাথে জরিয়ে নিয়ে বলতে লাগলো"" তোদের জন্য -ই তো বেঁচে আছি আমি নাহলে কবে! "" ছন্দ বাচ্চাদের আদর করে ঘুম পাড়াতে লাগলো ৷ আর অন্য দিকে বর্ণের নির্ঘুম রাত কাটে নিকোটিনের ধোয়ায়৷ কেউ রাত জাগে আবার কেউ শান্তিতে ঘুমায়৷ কেউ কেউ ভালোবাসা আদান প্রদান করছে রাত জেগে ৷ নেশাচর প্রানীরা রাত জেগে আছে ৷ আর ছন্দ তার কলিজা দুটো কে বুকের সাথে জরিয়ে ধরে পূর্ন চাদেঁর আলো উপভোগ করছে ৷ 

 ———

রক্তিম চোখে তাকিয়ে আছে বর্ণের দিকে ছন্দ৷ বর্ণের চোখে মুখে একরাশ হতাশা ৷ চেয়ারে শক্ত করে বাধা হাত খোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ছন্দ ৷ হাতে ধাড়ালো ছুড়ি নিয়ে বর্ণ বলতে লাগলো" কোন লাভ নেই টিয়াপাখি এই বাধন খুলবে না৷ যতোক্ষন না আমি চাই৷"

" কি চাও তুমি? আমার বাচ্চারা কোথায়?  আর আমাকে এভাবে তুলে আনলে কেন? এটা কোন জায়গা?""

"" আমি শুধু আমার পরিবার কে ফিরে পেতে চাই ৷ যেখানে তুমি আমি আমাদের বাচ্চারা থাকবে৷ আর তোমাকে তুলে আনার কারন টা তুমি নিজে জানো৷ আর আমাদের বাচ্চারা তাদের বাড়িতে আছে চিন্তা নেই মম সামিরা ওদের সাথে আছে৷ ""

"" তার মানে আমি বিডিতে!"" অবাক হয়ে..

"" হুম.."" 

ছন্দ চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলো ৷ কানাডার একটা ক্লাবে লন্ডনের মাফিয়া এলমাসের সাথে মিটিং ছিলো  কিন্তু মিটিংয়ে পৌছাবার পূর্বে আচমকা বর্ণ ছন্দের সামনে এসে জরিয়ে ধরে ৷ ছন্দ কিছু বলে ওঠার পূর্বে মুখে ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে দেয় বর্ণ৷ তারপর চোখ মেলে নিজেকে বাধা অবস্তায় এই আধো অন্ধকার রুমে আবিষ্কার করে৷ 

গালে হাতের স্পর্শ পেয়ে ছন্দ চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে বর্ণের রক্তাক্ত বুকটা ৷ গলগলিয়ে রক্ত বের হচ্ছে ৷ আতঁকে ওঠে ছন্দ ৷ বর্ণকে ক্ষমা না করতে না পারলেও ভালোবাসার মানুষটাকে রক্তাক্ত অবস্তায় দেখতে কেউ পারে না আর আজ ছন্দ তার ব্যাতিক্রম নয়৷ 

"" র,,রক্ত তোমার বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে বর্ণ ৷ ইউ নিড ট্রিটমেন্ট ৷ " 

বর্ণ ছন্দের কথা শুনে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলতে লাগলো"" তোমার তো খুশি হওয়ার কথা টিয়াপাখি ৷ ঘৃনিত খারাপ লোকটা একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ এটা দেখে তো তোমার খুশি হওয়ার কথা তাহলে কাঁদছো কেন?"" ছন্দের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো বর্ণ...

"" পাগলের মতো কথা বলো না বর্ণ ৷ এখুনি রক্ত ক্ষরন  বন্ধ করতে হবে ৷""

"" না টিয়াপাখি এই রক্ত ক্ষরন  বন্ধ হবে না আমার মৃত্যু পর্যন্ত৷""

"" বর্ন...."" চিৎকার করে বললো ছন্দ .... 

"" ঠিক বলেছি আমার মতো পাপীর ঘৃনিত লোকের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই ৷ মরতে দেও আমায়৷ তুমি তো আমায় এতো গুলো বছরে ক্ষমা করতে পারো নি টিয়াপাখি ৷৷ আরে আল্লাহর কাছে কোন পাপি ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেয় আর তুমি! তুমি আমাকে ক্ষমা করতে পারলে না? একটা সুযোগ দিলে না আমায়?   জানো এতো গুলো দিন এতো গুলো মাস বছর গুলো কিভাবে কেটেছে ? জিন্দা লাশ হয়ে থেকেছি আমি তোমাদের ছাড়া... ""

ছন্দের প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে ৷ এই লোকটা কে শাস্তি দিতে গিয়ে কি অবস্তা করেছে৷ এলোমেলো চুল ৷ মুখে বড় বড় দারি , চোখের নিচে কালি পরে গেছে ৷ চোখে মুখে ক্লান্তি ৷ শুকিয়ে গেছে অনেক৷ রাগ জিদ ইগো আত্নসন্মান বোধ এতোটাই বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছে যে এই লোকটার বাচঁবে কি করে এটা ভাবনি৷ ঠোট চেপে কান্না করছে ছন্দ৷

এদিকে ধিরে ধিরে বর্ণ নেতিয়ে পড়ছে তা দেখে ছন্দ বলে উঠলো "" আমি তোমায় ক্ষমা করেছি বনরাজ৷""

ছন্দের কথাটা বর্ণের কানে পৌছানো মাত্র বর্ণের চোখে মুখে খুশির ঝলক ৷ বর্ণ অনেক কষ্ট করে উঠে দারিয়ে ছন্দের হাতের বাধন খুলে দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যায়৷ 
_____________________

বর্ণ চোখ মেলে তাকিয়ে নিজেকে হসপিটালের বেডে আবিষ্কার করে হাত নাড়াতে বাথ্যা অনুভূব করে বর্ণ ৷ পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে দুটো বাচ্চা গালে হাত দিয়ে বর্ণের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ বর্ণকে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে দেখে বাচ্চা দুটো চিৎকার করে বলতে লাগলো"" ইয়ে পাপা তোখ(চোখ) মেলে তাকিয়েছে কি মদা(মজা)"" (সমুদ্র)

"" পাপা তুমি এটোদিন (এতোদিন) কোটায়(কোথায়) ছিলে?"(বন্হি)

বাচ্চাদের মুখে পাপা ডাক শুনে বর্ণের বুকটা যেন জুরিয়ে গেল ৷ তার সন্তানের মুখে পাপা ডাকটা শোনার জন্য কতোটা কষ্ট পেয়েছে একমাত্র আল্লাহ জানে ৷ 

বর্ণ সমুদ্র আর বন্হি কে ধরতে যাবে তখনি কেউ বর্ণের হাত টা চেপে ধরে ৷ তখনি সমুদ্র বন্হি বলে উঠলো"" মাম্মাম পাপা ঘুম টেকে (থেকে)  উটে (উঠে) গেছে"(বন্হি)

"" সোনারা পাপা এখন রেস্ট নিবে তোমরা বাইরে যাও তোমাদের মামা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷"" 

ছন্দের কথা মতো সমুদ্র বন্হি দৌড়ে কেবিনের বাইরে চলে যেতে ছন্দ টুলে বসে পরে ৷ 

"" এখন কেমন আছো বনরাজ?"

"" তুমি পাশে থাকলে আমি সব সময় ভালো থাকি""

ছন্দ ছলছল চোখে বর্ণের দিকে তাকিয়ে বললো"" বনরাজ আমাকে ক্ষমা করে দেও৷ নিজের রাগ জেদ ইগো আত্নসন্মান বোধ এতোটা বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছি যে আমাদের সন্তানের কথাটা ভাবেনি ৷ ওদেরকে তোমার ভালোবাসা থেকে বন্চিত করেছি ৷ ওদের বেড়ে ওঠা ওদের আদো আদো গলায় কথা বলা ওদের হাসি কান্না সবটা দেখা থেকে তোমায় বন্চিত করেছি যেটা আমার করা উচিত হয়নি ৷ ক্ষমা করো প্লিজ ""

"" হুস আর একটা কথাও বলবে না ৷ আমি ওই পুরনো কথা ভুলে গেছি তুমিও ভুলে যাও ৷ "" ছন্দের ঠোটে আঙ্গুল দিয়ে...

ছন্দ বর্ণের হাতটা নিজের দুহাতের মধ্যে নিয়ে ঠোট  ছোঁয়ালো.... 

একসপ্তাহ পর বর্ণ প্রায় সুস্থ তবে বা হাত বেশি নাড়ানো বারন৷ চৌধুরী ম্যানশনের চৌখাটে দারিয়ে আছে বর্ণ ছন্দ সমুদ্র ছন্দের কোলে আর বন্হি বর্ণের কোলে ৷ মিসেস বর্ণালি নিজে বরন করে ছেলে বউমা নাতি নাতনিকে ভিতরে ঢুকতে বলে৷ আজ চৌধুরী ম্যানশনে খুশি জোয়ার বয়ে যাচ্ছে ৷ চৌধুরী পরিবারের আসল খুশি ফিরে এসেছে বলে প্রত্যেকে সেলিব্রেশন করছে ৷ কাব্য রুনা কিরন কায়রা সায়মা সবাই এসেছে ৷ কিছুক্ষন ইমোশনাল ড্রামা চললো ৷ প্রত্যেকে খুশি ছন্দের বাচ্চাদের নিয়ে ফিরে আসায় ৷ সামিরা তার মেয়ে পরী ও ভিষন খুশি তার বড় মাম্মাম ফিরে এসেছে বলে৷ পরী কিরন সমুদ্র আর বন্হি কে নিয়ে খেলছে ৷ বন্যা ছন্দ কে জরিয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদে ৷ বন্যার কান্না দেখে ওর ছয় মাস বয়সি ছেলে মৌন কেদে ওঠে ৷ এটা দেখে সবাই হেসে ফেলে ৷ 

আজ আকাশে রুপালি থালার মতো চাদঁ জ্বল জ্বল করছে ৷ছন্দ তার কলিজা দুটো কে  বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে বেলকনিতে গিয়ে বর্ণের পাশে বসে পরে৷ বর্ণ ছন্দের কোমর টেনে নিজের কাছে এনে কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে " আজ আকাশে নয় আমার পাশে চাঁদ বসে আছে সে চাঁদের আলো মেখে নিজেকে সিগ্ধতায় ভরিয়ে দিতে চাই ৷ " 

ছন্দ বর্নের বুকে মুখ গুজে ধিরে ধিরে বলতে লাগলো " এই চাঁদ তার সিগ্ধতায় তার বনরাজকে ভরিয়ে দিতে প্রস্তত সদা কারন তুমি শুধু আমার ভালোবাসা...""

"" আর #আমার_অন্তরালে_তুমি টিয়াপাখি ৷ ভালোবাসি..""

বর্ণের বাহুডোরে মুখ লুকিয়ে বললো ছন্দ ""  ভালোবাসি বনরাজ""



                            ***(সমাপ্ত)***
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।