আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ০৩ - সিজন ২ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


রাহুল এবার ডান্স ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসে কোটের ভিতর থেকে একটা গোলাপ বের করে ছন্দের দিকে ধরে ছন্দ ফুল টা নিতে ৷ চারিদিকে করতালি পড়তে লাগলো ৷ 

তখনি হুট করে ভারি কিছু পরার শব্দ পেয়ে ছন্দ সহ বাকিরা সে দিকে তাকিয়ে দেখে বর্ণ চেয়ার লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলে রক্ত মাখা হাত নিয়ে ছন্দের দিকে এগোতে লাগলো ছন্দ তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বর্ণের দিকে বর্ণ ঠিক কি করতে চাইছে এটাই বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ছন্দ ৷ ছন্দের পাশে রাহুল দারিয়ে আছে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বর্ণের দিকে ৷ রাহুলের ইচ্ছে করছে বর্ণ কে এখুনি মাটিতে গেড়ে ফেলতে কিন্তু তা সম্ভব নয় ৷ 

বর্ণ ছন্দের সামনে দারিয়ে রক্ত মাখা হাত দিয়ে ছন্দের গাল দুটো ছুয়ে দিয়ে পাগলের মতো হাসতে লাগলো হাসতে হাসতে বর্ণ হাটু গেড়ে চিৎকার করে কাদঁছে ৷ পার্টির প্রত্যেকটা লোক বর্ণের এই কান্নার মানে না জানলেও প্রত্যেকের চোখ ছল ছল করছে বর্ণের কান্না দেখে ৷ কিন্তু ছন্দের বিশেষ কিছু এসে যায় বলে মনে হচ্ছে না কারোর ৷ ছন্দ স্বাভাবিক ভাবে বর্ণ কে দেখছে যেন কিছুই হয়নি ইট'স  নরমাল...

বন্যা নিজের ভাইয়ের এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজে গিয়ে বর্ণ কে তুলে কয়েক জনের সাহায্য নিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়ে আবার পার্টিতে ফিরে এসে ছন্দের সামনে দারিয়ে বলে"" স্যরি ম্যাম আসলে ভাইয়া একটু বেশি ড্রিং করে ফেলেছে ৷ তাই এমন বিহেবিয়ার করল ৷ আই এম এক্সট্রিমলি সরি ""

ছন্দ নরমালি ইট'স ওকে বলে বন্যার সামনে থেকে চলে যায়৷ 

আয়মান চৌধুরী সবার আগে পার্টি থেকে বেরিয়ে যায়৷ বন্যা আর মিসেস বর্ণালি বর্ণ কে নিয়ে বাড়িতে এসে দেখে  আয়মান কে...

"" ড্যাড তুমি! কখন এলে ?"

" কিছুক্ষণ হলো, বর্ণের কি অবস্তা? ওকে রুমে নিয়ে শুইয়ে দেও..""

মিসেস বর্ণালি দুজন মেইল সারবেন্ট কে বলে বর্ণ কে তার রুমে শুইয়ে দিয়ে আসতে  তারা বর্ণালির কথা মতো তাই করলো ৷ বন্যা নিজের রুমে চলে যেতে বর্ণালি আগুন দৃষ্টিতে আয়মানের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো"" কি বেপার মিস্টার আয়মান চৌধুরী সব হাওয়া উবে গেল কেন হঠাৎ করে নাকি SJ কে দেখে তোমার হুশ উড়ে গেছে কোন টা?""

"" ক,, কি যাতা বলছো বর্ণালি ৷ মাথা ঠিক আছে তোমার ? হ্যা এটা ঠিক ওই SJ অনেকটা ছন্দের মতো দেখতে কিন্তু ছন্দ নয় কারন ও তিন মাস আগে ব্লাস্টে মারা গেছে""

বর্ণালি কিছু বললো না একরাশ ঘৃনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিজের রুমে চলে গেল ৷ বর্ণালি যেতে আয়মান দম নিলো ...

"" এই SJ কি ছন্দ নাকি অন্য কেউ ? আমাকে সবটা জানতে হবে ৷ আর যদি সত্যি ওটা ছন্দ হয় তাহলে আবার  মরবে যেমন টা আগে করে ছিলাম বর্ণ কে ভূল বুঝিয়ে ওর হাতে ওকে খুন করেইছি ৷ এবার না হয় আমি নিজের হাতে মারবো ৷ "" বলে হাসতে লাগলো আয়মান চৌধুরী ৷ 


রক্তাক্ত অবস্তায় পরে আছে রাহুল যে হাত দিয়ে বর্ণ কে আঘাত করেছিলো সে হাত ছন্দ ভেঙে ফেলেছে ৷ অবশ্য কেটে ফেলতে চেয়েছিলো কিন্তু MD এর জন্য পারেনি তার রিকুয়েস্টে কিন্তু তাই বলে রাহুলে শাস্তি এক বিন্দু কমে নি উলটো বেড়ে গেছে ৷ 

পার্টি শেষ হতে রাহুল যখন ছন্দের কাছে নিজের প্রশংসা শোনার জন্য কাছে আসে ৷ ছন্দ শান্ত দৃষ্টিতে রাহুলের দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় রাহুল কে বললো " কার পার্মিশনে  মিস্টার চৌধুরীর গায় হাত তুলেছিস?" 

ছন্দের এই তুই শব্দ টা রাহুল কে নাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট ৷ M Dভয়ে ছন্দের সামনে যাচ্ছে না আর না অনিল যাচ্ছে ৷ অনিল খুব ভালো করে জানে তাদের কুইন কে শান্ত করা তাদের কর্ম নয় ৷ কুইন নিজেকে শান্ত করার জন্য যে টা করার প্রয়োজন ঠিক সেটাই করবে এখন তাই বৃথা চেষ্টা  করে লাভ নেই ৷ 

রাহুল ছন্দর কথার কোন উওর দেয় না ৷ ছন্দ সাবলীল ভাবে ধিরে ধিরে রাহুলের দিকে এগিয়ে ফ্লাওয়ার বাজ টা তুলে রাহুলের মাথায় বাড়ি মারে৷ মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পরে রাহুল ৷ ছন্দ অনিলের দিকে তাকাতে অনিল বুঝে যায় ছন্দ তাকে কি বলছে ৷ অনিল এক মুহূর্ত না দারিয়ে ছুটে স্টোর রুমে ঢুকে আবার ফিরে আসে মোটা লোহার রড নিয়ে ৷ ছন্দের হাতে তুলে দিতে ছন্দ এলোপাতাড়ি ভাবে রাহুল কে পিটিয়ে রাহুলের ডান হাতে রড ঠেকিয়ে বলে" এই হাত দিয়ে মিস্টার চৌধুরী কে আঘাত করেছিস তাই না হু"" বলে ছন্দ স্বজোড়ে লোহার রড দিয়ে ডান হাতে আঘাত করে ৷ কয়েক বার আঘাত করার পর MD ছুটে এসে ছন্দের পায়ের কাছে বসে পরে ৷ 

" কুইন এই শেষ বার ওকে ক্ষমা করে দিন ৷ রাহুল জানে না ও কার গায়ে হাত দিয়েছে৷ আমি ওকে সবটা বুজিয়ে বলবো..."" 

ছন্দ আগুন দৃষ্টি রাহুলের দিকে দিয়ে MDকে বললো" এটা ওর জীবনে ফার্স্ট এন্ড লাস্ট ভূল এরপর ওর কোন ভুল ক্ষমা করবে না এই কুইন মনে রাখবেন M D ৷ 

রাহুল দারানোর মতো অবস্তায় নেই বিধায় দুজন গার্ড রাহুল কে তুলতে সাহায্য করে ৷ রাহুলকে নিয়ে MD হসপিটালে চলে যায়৷ 

অনিল চৌধুরীদের সাথে যে ডিল হয়েছে তার মেইন কপি গুলো নিয়ে এসো ...

"" ইয়েস কুইন ..""

ছন্দ হাতে লেগে থাকা রাহুলের রক্ত ধুয়ে বেলকনিতে গিয়ে দারায় ৷ আকাশের দিকে তাকিয়ে ঠোট চেপে কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ছন্দ....

"" দেখেছো আব্বু তোমার মেয়ে কতোটা স্ট্রং হয়ে গেছে ৷ যাকে সবটা দিয়ে ভালোবাসি তাকে কতোটা কষ্ট দিলাম ৷ জানো আব্বু বর্ণ যখন আমাকে শুট করে আমি তখনও ওতোটা কষ্ট পাই নি যতোটা না পেয়েছি আমার ভালোবাসায় তার অবিশ্বাস ৷ সেদিন ওর চোখে মুখে ছিলো আমার প্রতি তার অবিশ্বাস ৷ কোন টা সত্যি কোন টা মিথ্যে এটা এক মুহূর্তের জন্য বোঝার চেষ্টা করেনি ৷ তাহলে আজ কেন আমাকে সামনে দেখে এমন আচরন করলো আব্বু ?৷ আমার ভালোবাসার প্রতি কি ওর এক বিন্দু বিশ্বাস ছিলো না তাহলে ? যানো আব্বু আমি ফিরে এসেছি শুধু মাত্র আয়মান চৌধুরীকে শেষ করতে নয় ৷ বর্ণ কে ও তার করা অবিশ্বাসের সাস্তি পেতে হবে ৷ তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারবো ৷ আমাকে যখন তার এতো ঘৃনা অবিশ্বাস তখন আমায় নিয়ে তাকে বাকি জীবন কাটাতে হবে কিন্তু না পারবে আমাকে ছুয়ে দেখতে আর না পারবে ভালোবাসতে ৷ এর আগে আমার ভালোবাসা দেখে কিন্তু এবার আমার ঘৃনা দেখবে মিস্টার চৌধুরী ৷ আমার ভালোবাসা অন্তরালে ঢাকা পরে থাকবে ৷ আমার অন্তরালে তুমি এটা কখনো জানতে পারবে না মিস্টার চৌধুরী ৷ আমি জানতে দিবো না ৷  " 

দরজায় নক পড়তে ছন্দ তার চোখের পানি মুছে ভিতরে গিয়ে দরজা খুলে দেয়৷ 

"" কুইন ফাইল গুলো""

"" যেই কাজ টি দিয়ে ছিলাম সেটা কম্পিলিট ? সাইন করেছে মিস্টার চৌধুরী ?""

"" ইয়েস কুইন তবে উনি পুরো পেপারস টা পড়ে নি ৷ না পড়ে সাইন করে দিয়েছে৷""

" ওয়াট না পড়ে সাইন করে দিয়েছে !""

"" হ্যা কুইন , অন্যমনস্ক হয়ে সাইন করে চলে যায় ৷ " অনিলের কথা শুনে ছন্দ দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনিলকে জ্বিগাস করে "" আয়মান চৌধুরী এখন কোথায়?""

"" কুইন পার্টি থেকে আগে বের হয়ে বাড়িতে চলে যান ৷ "

"" বাহ , আমাকে দেখে এই অবস্তা যখন আমার আসল রুপে সামনে এসে দারাবো তখন কি হবে?"

" আমার তো মনে হয় তখনি হার্ট এট্যাক করে উপরে চলে যাবে কুইন ""

"" নাহ তা হতে দেওয়া যাবে না অনিল আমার এখনো অনেক হিসেব নিকেশ মিটানো বাকি আছে ৷ তা না মিটিয়ে আয়মানকে আমি মরতে দিতে পারি না ৷ " 

" কুইন ডিনারের সময় হয়ে গেছে""

"" ডিনার করবো না আমি .."

"" বাট কুইন ...""

"" ইদানিং একটু বেশি কথা বলছো অনিল ""

"" স্যরি কুইন , গুড নাইট "" 

অনিল চলে যেতে ছন্দ পেপারস গুলো দেখতে লাগলো"" আগামিকাল নতুন ধামাকা ওয়েট করছে আপনাদের জন্য মিস্টার চৌধুরী  তৈরি থাকুন ৷ """

______________________________________________

বন্যা খুব সাবধানে বর্ণের কাটা হাতে ড্রেসিং করে দিয়ে বর্ণ কে ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে পায়ের জুতো খুলে দিয়ে বর্ণের পাশে বসে বর্ণের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বির বির করে বলতে লাগলো" আমি জানি ভাইয়া তুই ছন্দ সেদিন শুট করার পর থেকে ভালো নেই মনে মনে গুমরে মরছিস ৷ কষ্ট পাচ্ছিস এটা ভেবে তুই নিজের হাতে তোর ভালোবাসার মানুষটাকে মেরে ফেলেছিস ৷ তোর জান ছন্দ এটা আমি খুব ভালো করে জানি কিন্তু আমার যে কিছু করার নাই ভাইয়া ৷ তোকে সত্যি টা বের করে নিতে হবে ৷ আমি যদি সবটা তোকে জানাই তাহলে হয়তো তোর ভূল ধারনা ভেঙে যাবে কিন্তু তুই তোর ভূলটা বুজতে পারবি না ৷ আর না ছন্দের কষ্ট টা ফিল করতে পারবি ৷ আমি চাই তুমি নিজে সব সত্যিটা খুজে বের করো ৷ আর ওই ভালো মানুষির  মুখোশ পড়া লোকটাকে তার আসল জায়গাটা দেখিয়ে দেও৷ যাকে ড্যাড বলে ডাকতেও আমার ঘৃনা লাগে ৷ ঘৃনা লাগে এটা ভাবতে যে আমি ওই লোকটার সন্তান"" 

ঘুমন্ত বর্ণকে কথা গুলো বলে লাইট অফ করে রুম থেকে বেরিয়ে যায় বন্যা৷ 

__________________________

পরেরদিন হসপিটালের আই সি ইউ বেডে শুয়ে আছে রাহুল ৷ ছন্দের মার গুলো বেশ গভির ভাবে শরীলে আঘাত করেছে রাহুলের ৷ রাহুল ভাবতে পারেনি ছন্দ এতোটা ভয়ঙ্করী হতে পারে ৷  সিগ্ধ মায়াবী চোখের অধিকারিণী মেয়ে যে এতোটা কঠিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে৷ 

ডক্টর MD জানায় রাহুলের ডান হাত ভেঙে গেছে ৷ মাথার পিছুনের আঘাত টাও গভির ৷ আর শরীলের জখম গুলো ভরতে সময় লাগবে ৷ 

"" ডক্টর ছেলেটা যে প্রানে  বেঁচে আছে সেটাই আল্লাহর অসীম কৃপা ৷"

" মানে..""

"" মানেটা আপনি বুজবেন না ৷ রাহুলের সুস্থ হতে কতো দিন লাগবে ডক্টর..." 

" তিন চার মাস তো লাগবে সুস্থ হতে ৷ ""

"" ওহ , ওকে ডক্টর ওর কি জ্ঞান ফিরেছে?""

"" হ্যা আপনি দেখা করতে পারবেন এখন..""

"" থ্যাঙ্কিউ ডক্টর.."" M.D আই সি ইউ কেবিনে প্রবেশ করে দেখে রাহুল পিট পিট করে তাকিয়ে দেখছে ৷ মাথা যন্ত্রনার জন্য ভালো করে কিছু দেখতে পারছে না ৷ Md রাহুলের পাশে টুলে বসে রাহুলের বা হাত ধরে বলে..."" এখন কেমন আছিস রাহুল?""

রাহুল কোন ভাবে মুখের অক্সিজেনের মাক্স খুলে বলতে লাগলো"" ভালো আঙ্কেল..কিন্তু কুইন আমাকে মারলো কেন?""

Md দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রথম থেকে সবটা জানালো রাহুল কে ৷ সবটা শুনে ছন্দের উপর ভিষন রাগ হচ্ছে তার ৷ যে তার ভালোবাসার মর্যাদা রাখেনি বিশ্বাস করেনি উলটো তাতে মেরে ফেলতে চেয়েছে তার জন্য এখনো এতো ভালোবাসা? এটা ভেবে প্রচন্ড রাগ হচ্ছে রাহুলের...

"" সুস্থ হয়ে কুইনের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবি ৷ তোর কপাল ভালো তোকে জানে শেষ করে দেওয়ার পূর্বে আমার রিকুয়েস্টে তোকে ছেড়ে দিয়েছে ৷ ""

"" যখন একবার বেঁচে গেছি তখন শুনে রাখো আঙ্কেল তোমাদের কুইন কে আমি আমার রাজ্যের রাজ্যেশ্বরী বানাবো ৷ কুইন কে আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিবো ৷"

রাহুলের কথা শেষ হওয়ার পূর্বে Md রাহুলের মুখ চেপে ধরে...

"" এই সাহস দ্বিতীয় বার দেখানোর সাহস করিস না রাহুল ৷ আমি চাই না তুই এই বয়সে নিজের প্রান হারাস ৷""

রাহুল মুখ থেকে হাত সরিয়ে বলতে লাগলো" আঙ্কেল তুমি আমাকে ভালো করেই চিনো আমি যা বলি তাই করি ৷ যখন বলেছি কুইন আমার হবে তাহলে লিখে রাখো ও আমার হবে ৷ ওই আয়ান কে আমি আমাদের মধ্যে কিছুতেই আসতে দিবো না ৷ এমন জাল বিছাবো সে জালের ফাঁদে আয়ান আটকে পরবে ৷ সে জাল ছিড়ে কখনো বেরিয়ে আসতে পারবে না ৷ ""

"" এমন না হয় অন্যের জন্য জাল বিছাতে গিয়ে নিজে সে জালে আটকা পরে যাস ৷ সাবধান রাহুল সাবধান ৷ কুইন কে যতোটা লাইটলি নিচ্ছো কুইন কিন্তু তার থেকে হাজার হাজার গুন বেশি ভয়ঙ্করী সো সাবধান ৷ কুইন যদি তোর এই সব প্লানের কথা জানতে পারে তাহলে হয়তো দেখবি তুই আছিস কিন্তু তোর মাথা টা নেই দেহ থেকে আলাদা হয়ে গেছে আবার এটা হতো পারে তুই আছিস কিন্তু তোর জিব্বাহ হাত পা নেই ৷""

"" আঙ্কেল পাশে না থাকো এভাবে ভয় দেখিও না প্লিজ""

"" তোর কর্মের উপর তোর বেচে থাকা নির্ভর করছে রাহুল সো বি কেয়ার ফুল ৷ এখন রেস্ট কর আমি আসছি ""

রাহুল কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে Md বেরিয়ে গেল৷ 


প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে চোখ মেলে তাকায় বর্ণ ৷ মাথাটা প্রচন্ড ভার হয়ে আছে ৷ কিছুক্ষন আগে সারবেন্ট এসে লেবুর পানি দিয়ে গেছে ৷ বর্ণ শাওয়ার নিয়ে টেবিলের উপর রাখা লেবু পানিটা খেয়ে নিয়ে কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে থাকে ৷ বর্ণের একে একে গতকাল রাতের কথা সবটা মনে পরে যায়৷ রাগে চোখ মুখ আগুনের লাভার মতো লাল টকটকে আকার ধারন করেছে ৷ বর্ণ অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিচে নেমে এসে দেখে  SJ অরফে ছন্দ সিঙ্গেল সোফায় পায়ের উপর পা তুলে ফাইল দেখছে ৷  SJ কে দেখে বর্ণ আর ধাপ অবাক ৷ SJ অরফে ছন্দের সামনে আয়মান চৌধুরী বর্নালি বন্যা মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে ৷ এটা দেখে বর্ণের প্রচন্ড রাগ হয় ৷ বর্ণ দ্রুত সিড়ি দিয়ে নেমে আসে ৷ ছন্দ ফাইলের ভিতর থেকে চোখ সরিয়ে বর্ণের দিকে তাকিয়ে বাকা হাসি দিলো ৷ ছন্দের ঠোটের কোনে বাকা হাসি দেখে বর্ণ যেন ভরকে গেল৷ 

"" মিস SJ আপনি এখানে?" নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললো বর্ণ ...

"" SJ যেখানে খুশি যেতে পারে মিস্টার আয়ান চৌধুরী "

"" হুম পারে বাট এটা আমার বাড়ি সো আমার বাড়িতে ঢুকতে গেলে আমার পার্মিশন নিতে হবে ইউ নো " 

ছন্দ বর্ণের কথা শুনে হেসে ফেলে "" রিয়েলি মিস্টার চৌধুরী আমার বাড়িতে আমি ঢুকবো তাও আপনার পার্মিশন নিয়ে লাইক সিরিয়াসলি ?"

"" ওয়াট দ্যা হেল ! এটা আপনার বাড়ি মানে?""

ছন্দ কথা না বাড়িয়ে কিছু লিগালি পেপারস বর্ণের মুখের উপর ছুড়ে মারে ৷ বর্ণ প্রচন্ড রেগে গেলেও নিজেকে শান্ত করে পেপারস গুলো তুলে দেখতে লাগলো.. পেপারস গুলো দেখে বর্ণের চোখ মুখের রঙ পাল্টে গেল...

"" এই সব কি মিস SJ ?""(রেগে বললো বর্ণ )

"" ওহ মাই গড , আপনি একজন বিজনেসম্যান হয়ে সামান্য বাংলায় লেখা গুলো পড়তে পারছেন না ? ইটস রিয়েলি ব্যাড..""

"" আই নিড আ আন্সার মিস?" দাঁতে দাঁত চেপে বললো বর্ণ ..

"" ফাইন যখন নিজে পড়তে পারছেন না তখন না হয় আমি বলে দিচ্ছি ৷ চৌধুরী ম্যানশন, চৌধুরীর বিজনেস, সবটা আমার নামে করে দিয়েছেন আপনি...""

"" ওয়াট আমি! আমি কখন সব প্রোপার্টি আপনার নামে করে দিয়েছি?"

"" এগুলো ভাবা আপনার কাজ নট মাইন ওকে ... নাউ লিসেন টু মি ভেরি কেয়ারফুলি চৌধুরী এম্পায়ার এখন আমার হাতের মুঠোয় সো আমি কারোর কথায় চলবো না বরং আমার কথায় আজ থেকে আপনাদের চলতে হবে ৷ আর হ্যা  এ বাড়িতে থাকতে হলে আমার কথা মতো কাজ করতে হবে নাহলে আপনাদের মধ্যে কেউ এখানে থাকতে পারবেন না ৷ "" 

"" হাউ ডেয়ার ইউ ছন্দ তোর সাহস কি করে হয় আমার বাড়িতে দারিয়ে আমার পরিবারের সাথে এই ধরনের ব্যাবহার করার..." কথা গুলো বলে আয়মান চৌধুরী ছন্দের দিকে এগোতে ছন্দ আয়মানের পায়ের কাছে শুট করে সাথে সাথে আয়মান পিছুনে সরে যায়৷ 

"" আয়মান চৌধুরী আপনার মতো দুই টাকার বিজনেসম্যানের সাথে SJ কথা বলে না কিন্তু আপনি একটু বেশি সাহস দেখিয়ে ফেললেন তার শাস্তি তো আপনাকে পেতে হবে ..."" ছন্দ হাতে তালি দিতে কয়েকজন গার্ড এসে আয়মান কে তুলে নিয়ে যায় বর্ণ বাধা দিতে নিলে ছন্দ বর্ণের আশে পাশে গান দিয়ে শুট করতে থাকে ৷ যার কারনে বর্ণ কিচ্ছু করতে পারে না ৷ 

"" এই সবের মানে কি মিস SJ ?""

 "" আমি আমার সার্বেন্টদের এরকম নোংরা ভাবে দেখতে অভস্ত নই মিস্টার চৌধুরী ""

"" মানে কে সার্বেন্ট ?""

" আয়নায় নিজেকে একবার দেখে আসুন তাহলে বুজতে পারবেন কে আর আমি কার কথা বলেছি...""

"" ইউউউউ..."

"" ডোন্ট শাউট মিস্টার চৌধুরী ৷ র পরিনাম না আপনার ড্যাড কে দিতে হয় সো বি কেয়ার ফুল...""

ছন্দের কথা শুনে বর্ণ শান্ত হয়ে যায় কিন্তু ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে ছন্দ কে দেখে ৷ 

ছন্দ অনিল কে বলে " অনিল আমি অল সারবেন্ট দের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখতে চাই ৷ যে কথা শুনবে না তার কি শাস্তি পেতে হবে তা নিশ্চয় তোমাকে বলে দিতে হবে না?"

"" নো কুইন আই উইল হ্যান্ডেল দিস ""

অনিল এসে বর্ণের সামনে দারায় ৷ বর্ণ অনিলের দিকে তাকিয়ে বলে "" ওয়াট ! এভাবে সামনে দারিয়ে আছো কেন?""

"" আমার সাথে আপনাকে যেতে হবে স্যার""

"" আমাকে যেতে হবে কিন্তু কেন? আমি কোথাও যাবো না"

"" স্যার এর পরিনাম কিন্তু আপনার বাবা কে ভুগতে হবে ৷ "" 

বর্ণ আর কোন কথা বললো না অনিলের সাথে উপরে চলে গেল৷ বর্ন অনিল চলে যেতে বন্যা এসে ছন্দ কে জরিয়ে ধরে .. 

""আমি জানতাম আমার বেস্টফ্রেন্ডের কিচ্ছু হয়নি ৷ তুই একদম ঠিক আছিস .." 

ছন্দ বন্যা কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলে "" হাউ ডেয়ার ইউ টু টাচ মি ৷ আমি কারোর বেস্ট ফ্রেন্ড না আর না ছন্দ বেচেঁ আছে ছন্দ অনেক আগে মরে গেছে৷ বেচে নেই ছন্দ ৷""

"" আমি বুঝি তোর কষ্ট মামুনি কিন্তু আমি বন্যা দুজনে যে অসহায় ৷ সবটা জেনেও কিচ্ছু বলতে পারি নি সব টা সহ্য করতে হয়েছে আমাদের.. ক্ষমা করে দে মা ক্ষমা করে দে ৷ "" কথা গুলো বলতে বলতে মিসেস বর্ণালি হাত জোর করে ছন্দের সামনে বসে পড়ে৷ ছন্দ নিজে কে আর খোলসের ভিতর আটকে রাখতে না পেরে মিসেস বর্ণালি কে বসা থেকে দার করায়...

"" হাত জোর করবেন না আমি সবটা জানি ..""

"" মা আজ তোমাকে একটা কথা বলছি তুমি ওই খুনি টাকে শেষ করে দেও কিন্তু আমার ছেলেটাকে আর কষ্ট দিও না ৷ গত তিন তিনটে মাস আমি ওর মা ওর কষ্ট নিজের চোখে দেখেছি ৷ ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে ৷ কথা বলতে ভুলে গেছে ৷ চোখে মুখে শুধু কঠোরতা ৷ আমার ছেলেটা না জেনে বুঝে ওর বাবার পাতা ফাদে পা দিয়েছে ৷ ""

"" ছন্দ আমি মমের মতো বলবো না তুই ভাইয়া কে ক্ষমা করে দে ৷ কিন্তু এটা বলবো যে যা করেছে তার প্রাপ্য শাস্তি দিয়ে তাকে শুদ্ধ করে নে৷ "" 

ছন্দ অন্য দিকে তাকিয়ে হাতা গুটিয়ে সোফায় বসে পরে বলে .." আমি কাউকে ছাড়বো না বন্যা হোক সে তোর ভাই বা আমার আপনজন ৷ আমার সাথে অন্যায়ের শাস্তি সবাই কে পেতে হবে৷ .."" 

ছন্দ কথা বলার মাঝে উপরে চোখ পরতে বর্ণ কে দেখে ছন্দের চোখ আটকে যায়৷ ব্রাউন কালার চোখের মনির রঙটা আরো একটু গাঢ় হয়েছে ৷ চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল আর কালি জমা ৷ ক্লিন সেভ করায় বর্ণের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে ৷ এলোমেলো উস্কসুস্ক চুল গুলো ব্রাস করা ৷ পরনে ডেনিম প্যান্ট আর নেভি ব্লু শার্ট ৷ হাতে রিচওয়াচ ৷ শার্টের হাতা ঘুটিয়ে নিচ্ছে বিরক্তির সাথে ৷ ছন্দের হুট করে বর্ণের এই রুপটা দেখে নিজেকে আটকাতে পারছে না ওকে ভালোবাসা থেকে ৷ তাই দ্রুত উঠে বেরিয়ে যায় ৷ ছন্দ কে এভাবে হুট করে চলে যেতে দেখে বর্ণ অনিল বন্যা মিসেস বর্ণালি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে৷ 

হঠাৎ অনিলের ফোনে একটা মেসেজ আসতে অনিল মেসেজ টা দেখে বর্ণ কে বলে"" স্যার কুইন আপনাকে আদেশ দিয়েছে এগুলো আপনাকে মানতে হবে৷ ""

বর্ন তাচ্ছিল্যর হাসি দিয়ে বলে "" আমি কোন ইমপোস্টারের কথা মতো চলতে পারবো না ৷ যে কিনা আমার টিয়াপাখির মতো দেখতে ৷ "" 

নিচ থেকে বন্যা কথা গুলো শুনে মনে মনে বলতে লাগলো" ও কোন বহুরুপী নয় ভাই ও তোর ভালোবাসা তোর টিয়াপাখি কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত তুই তোর নিজের ভালোবাসা কে চিনতে পারছিস না অথবা ইচ্ছে করে চিনতে পারছিস না৷ "" 

অনিল ফোন পকেটে রেখে বর্ণ কে বললো"" স্যার আপনি যদি কুইনের কথা মতো না চলেন তাহলে বিপদ আপনার ৷ আর আপনার পরিবারের ৷ "" 

অনিল চুপচাপ চৌধুরী ম্যানশন থেকে বেরিয়ে আসে ৷ এদিকে ছন্দ চলে যাওয়ার পর পর বর্ণের ভিতরে যে ঝড় তুফান বয়ে চলেছে তা এক মাত্র বর্ণ জানে৷ 

________________________________

উলটো হয়ে ঝুলে আছে আয়মান চৌধুরী আর তার নিচে অসংখ্য বিশাক্ত পোকামাকড় ৷ আয়মানের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে ভয়ে ৷ ভয়ে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আয়মান৷ কয়েক ঘন্টা পর আয়মানের জ্ঞান ফিরতে সে নিজের রুমে নিজেকে আবিষ্কার করে ৷ ধরফরিয়ে ঘুম বসে আয়মান পাশে তাকিয়ে দেখে বর্ণ বসে আছে ৷ বর্ণ  তার বাবার জ্ঞান ফিরতে দেখে উত্তিজিত হয়ে বলতে লাগলো"" ড্যাড আর ইউ ওকে ? কিছু চাই তোমার?""

"" পা,,পানি পানি..""

"" ওয়েট ড্যাড,""

বর্ণ দ্রুত পাশে রাখা গ্লাসে পানি নিয়ে আয়মান কে খাইয়ে দিলো৷ 

"" এখন ঠিক আছো ড্যাড?""

"" হাম বাট আমি এখানে আসলাম কি করে?""

" জানি না ড্যাড তোমাকে ড্রইং রুমে অজ্ঞান অবস্তায় দেখতে পেয়ে সারবেন্ট জানায়৷ ""

""  এই সব কিছু ওই ছন্দ করেছে বর্ণ"

"" ড্যাড তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে ও ছন্দ নয় ছন্দ কে তো আমি নিজের হাতে... বলতে বলতে গলা কেপে উঠলো বর্ণের ...

"" না না না বর্ণ আমি ঠিক বলছি  ওই SJ ছন্দ এক মিনিট ছন্দের পুরো নাম কি?"

"" সুবহা জাহান ছন্দ ""

"" SJ আর সুবহা জাহান মানে সুবহার S আর জাহান J মানে হলো SJ ""

"" আই থিং ড্যাড তোমার এখন রেস্টের প্রয়োজন ৷ তুমি রেস্ট করো আমি পরে আসবো"" 

বর্ণ আর না দারিয়ে নিজের রুমে চলে যায় ৷ 

"" আমার ধারনা ঠিক ওই SJ আমার টিয়াপাখি কিন্তু এ কেমন রুপ তার আর কেন টিয়াপাখি ড্যাড কে মারতে চেয়েছিলো তা আমাকে জানতে হবে ৷   যা আমাকে দেখানো হয়েছে হয়তো তার আড়ালে অন্য কিছু ছিলো যেটা আমি দেখতে পাই নি ৷ "

বর্ণ এক সেকেন্ড সময় ওয়েস্ট না করে মুরাদ কে ফোন করে ৷ মুরাদ বর্ণের কল পেয়ে খানিকটা অবাক হয়৷ কল রিসিব করে কানে ধরতে বর্ণ বলতে লাগলো...

"" মুরাদ তিন মাস আগে ওই দিন সত্যি কি ঘটে ছিলো?"" 

বর্ণের মুখে হঠাৎ ওই দিনের কথা শুনতে মুরাদের মুখের রঙ যেন উবে গেল৷ 

"" ও ওদিনের কথা কেন জানতে চাইছিস তুই?""

এবার বর্ণ সবটা খুলে বলে মুরাদ কে , মুরাদ সবটা শুনে চরম অবাক হয় ৷ 

"" দোস্ত আমি ওই SJ কে দেখতে চাই একবার ..." 

" ঠিক আছে আমার পাঠানো এড্রেসে চলে আয় আমিও আসছি...""

"" ওকে...""

কল ডিসকানেক্ট করে মুরাদ বির বির করে বলতে লাগলো ""  SJ যদি ছন্দ হয় তাহলে এবার আমার করা ভুল গুলো আমি সুদরে নিবো ৷ সব সত্যি টা জানাবো আমি বর্ণ কে .... " 

"" না কাউকে কিচ্ছু জানাবে না তুমি..."" 

মুরাদ পরিচিত গলা শুনে পিছুনে তাকিয়ে দেখে সেই পরিচিত মুখ ৷ যে মুখটা দেখার জন্য মুরাদ দিনের পর দিন শুধু ছটপট করে গেছে ৷ 

"" তুমি !""

"" হ্যা আমি ...."

________________________

পুরো রুম জুরে তান্ডব চালাচ্ছে সায়মা ৷ রুনা কায়রা বা কাব্য কেউ সায়মা কে শান্ত করতে পারছে  না ৷ সায়মা বার বার চিৎকার করে বলছে যে সে তার ছন্দ আপুর কাছে যাবে তাকে সামনে চাই ৷ একবার কাব্যের হাতে কামড়ে দেয় সায়মা ৷ তা দেখে রুনা বাধ্য হয়ে সায়মার কাধে একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয় ৷ কয়েক মুহূর্তে সায়মা সেন্সলেস হয়ে যায়৷ 

"" কাব্য বাবা সায়মা কে তো কোন ভাবে সামলানো যাচ্ছে না ৷ ছন্দ মামুনিকে তার সামনে আনতে হবে নাহলে আবার শুরু করে দিবে তান্ডব...""(কায়রা)

"" খালামনি আমাদের বিডি তে যেতে হবে আর কোন উপায় নেই"(কাব্য)

"" কিন্তু ননোদিনি যদি জানতে পারে তার পারমিশন ছাড়া আমরা বিডিতে পা রেখেছি তাহলে কি হবে বুজতে পারছো?""(রুনা)

" এখন সব থেকে বেশি জরুলি হলো সায়মাকে সুস্থ করা ৷ ওর মানুষিক অবস্তা আগের থেকে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে রুনা ৷ এমনটা হতে থাকলে ও পুরো পুরি পাগল হয়ে যাবে  "" 

"" ঠিক আছে যা খুশি করো ""

"" আমি আজকের এমার্জেন্সি টিকিট কাটছি তোমরা প্যাকিং করে নেও"" 

"" ওকে...."" 

_____________________

রাতের অন্ধকারে শরীলে কালো চাদর জরিয়ে বেরিয়ে পড়ে আয়মান চৌধুরী ৷ বাইরে দারিয়ে থাকা গার্ডদের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে মেইন গেট দিয়ে বের হতে সামনে একটা গাড়ি এসে হাজির হয় ৷ আয়মান গাড়ির কাছে যেতে গাড়ির দরজা খুলে যায় ৷ আয়মান দ্রুত সেই গাড়িতে উঠে বসতে গাড়ি দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেল......

অন্যদিকে ছন্দের কানে খবর টা পৌছাতে বেশি সময় লাগে নি ৷ আঙ্গুলের ফাঁকে পেন ঘুরাতে ঘুরাতে বলতে লাগলো..."" কুইনের চোখ ফাকি দেওয়া এতো সহজ নয় মিস্টার আয়মান চৌধুরী ৷ অনিল আয়মানের সঙ্গি সাথির সব ইনফরমেশন চাই আমার...""

"" পেয়ে যাবেন কুইন ৷ কুইন ... ""

"" যা বলার আছে বলে ফেল ন্যাকামো একদম আমার পছন্দ নয় এটা নিশ্চয় জানা আছে?""

"" ইয়েস কুইন ৷ আসলে কাল কাব্য স্যার আর সাথে বাকিরা বিডি তে আসবে...""

ছন্দ পেন ঘুরানো অফ করে অনিলের দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকাতে অনিল মাথা নিচু করে ফেলে...

"" ওয়াট ভাইয়া বিডিতে আসবে কেন?"

"" কুইন সায়মা ম্যামের শরীল খুব খারাপ আর তিনি বার বার আপনাকে দেখার জন্য উতলা হয়ে পড়ছে ৷" 

"" কাজ টা একদম ঠিক হয়নি অনিল আমাকে আগে জানানো উচিত ছিলো তোমার""

"" স্যরি কুইন আসলে কিছুক্ষন আগে বাড়ির সারবেন্ট আমাকে ফোন করে জানিয়েছে "" 

"" গেট লষ্ট ""

অনিল দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে......

ছন্দ টেবিলের উপর রাখা কফির মগ টা ছুড়ে ফেলে দিয়ে মাথা চেপে ধরে বলে....
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।