পুরো এয়ারপোর্ট জুরে সাংবাদিক শুধু এটা জানার জন্য কে এই SJ ৷ যার কম্পানির শাখা প্রশাখা দেশে থেকে অন্যান্য দেশে পৌছে গেছে ৷ বাংলাদেশের টপ বিজনেসওম্যান দের প্রথম নম্বরের যার নাম তাকে দেখার জন্য উদগ্রীব সবাই ... সবার জল্পনা কল্পনা ছেদ ঘটিয়ে সবার নজর সামনের দিকে অথচ এখনো SJ নামক মানুষটাকে তারা দেখতে পেল না ৷ তখনি একটা মেয়ে হাতে অনেক গুলো ফাইল নিয়ে আসতে দেখে রিপোটার গুলো তাকে SJ ভেবে ঘিড়ে ধরে তখনি দুজন গার্ড এসে মেয়ে টাকে গার্ড দিয়ে গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যায় তখনি মেয়ে রিপোটার দের উদ্দ্যেশ্য বলে উঠলো "" স্যরি গাইজ আপনারা আমাকে SJ ভেবে থাকলে ভূল করবেন কারন আমি তার সে নয় আমি ম্যাম এর পিএ....আর হ্যা ম্যাম অনেক আগেই এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে গেছে শুধু মাত্র আমি কিছু ফরমালিটির জন্য আটকে পড়ি ৷ বাই বাই গাইজ""
কথাটা বলে ছন্দের পিএ আখি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে ৷ এদিকে রিপোটার রা কে অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল...
" কুইন আপনি আজ দারুন দক্ষতার সাথে রিপোটার দের বোকা বানালেন৷"(অনিল)
"" আমি এতো তারাতারি সবার সামনে আসতে চাই না অনিল ৷ এখনো আমার কিছু কাজ করা বাকি আছে ৷ সে কাজ গুলো না করা অব্দি আমি কোন ভাবে রিপোটারদের সামনে আসতে পারবো না ৷ ""
"" কি করতে চান ?""
" ফাস্টলি আমার আইডিন্টি মুছে ফেলতে হবে""
"" মানে আপনি আপনার পরিচয় মুছে ফেলবেন?""
"" হ্যা ফেলবো তবে তা কিছু মাসের জন্য , "
" ওকে কুইন কাজ হয়ে যাবে""
"" গুড ..."
জ্যাম না থাকায় এক ঘন্টার ভিতর ছন্দ তার আলিশান বাড়িতে পৌছে যায়৷ ছন্দ গাড়ি দিয়ে নামতে দু দিক দিয়ে ফুলের বর্ষন হতে লাগলো ৷ ছন্দ আগুন চোখে অনিলের দিকে তাকাতে অনিল সবাই কে চলে যেতে বলে ৷ ছন্দ ভিতরে প্রবেশ করতে Md এসে সামনে দারায়...
"" কেমন আছেন কুইন""
" গুড Md আপনি কেমন আছেন?"
" ভালো , কুইন আপনাকে কিছু বলার ছিলো ..""
ছন্দ তার শিংহাসনে পায়ের উপর পা তুলে বসে ইশারা করলো Md কে বলতে ....
"" কুইন আপনি হয়তো জানেন আপনি আমার ভাইয়ের ছেলে রাহুল কে বাচিয়ে ছিলেন ওই কিয়ারার হাত থেকে ..
"" তো!"
" রাহুল চায় ও আপনার সাথে থেকে কাজ করতে...""
"" বাট রাহুল একজন পুলিশ অফিস্যার সে তার ডিউটি অফ করে আমার সাথে কেন কাজ করতে চাইছে?""
"জানি না সে প্রশ্ন না হয় আপনি করুন " Md রাহুল বলে ডাক দিতে রাহুল বেরিয়ে আসলো ৷
"" রাহুল তুমি কেন কুইনের সাথে কাজ করতে চাও সেটা তুমি নিজে তাকে জানাও..""
"" আমিতো শুধু মাত্র তোমাদের কুইন কে নিজের হৃদয়ের কুইন বানাতে আশা ৷ ওই গোলাপি ঠোট মায়াবী চোখ যার প্রেমে আমি আগেই পড়েছি ভাগ্যিস রুনার কথায় এই মায়াবতির খোজ নিতে আটকে পরেছিলাম নাহলে তো এই মায়াবতির কোনদিন দেখাই পেতাম না ৷ আর আজ যখন দেখা পেয়েছি তখন তোমাকে আর এই রাহুল ছাড়বে না তোমাকে হাসিল করেই ছারবো."" (মনে মনে)
"" কিহ হলো রাহুল কিছু বলছো না কেন?""
"" ওহ হ্যা কুইন আমি আপনার সাথে কাজ করতে চাই কারন আমি দেশের সাধারন জনগনের পাশে দারাতে চাই ৷ আপনার সাথে থেকে শত্রুর শেষ করতে চাই...""
"" এটা তো আপনি পুলিশে চাকরি করে করতে পারেন এখানে জয়েন করার আলাদা কোন কারন আছে?"
"" হ্যা আছে তো তু,, না মানে আপনার পাওয়ার আর পুলিশের সামান্য পাওয়ার এক না ৷ একটা ক্রিমিনাল কে এরেস্ট করে দু ঘন্টা আটকে রাখা যায় না ৷ নেতা মন্ত্রীর ফোন আসা শুরু হয়ে যায় ৷ উপর মহল থেকে বাধ্য করে তাদের ছেড়ে দিতে ৷ আইনের লোক হয়েও কোন লাভ হয়না ৷ আইনের বেড়াজলে আমাদের আটকে থাকতে হয়৷ আর তাই আমি ঠিক করেছি আমি আপনার সাথে কাজ করবো...""
ছন্দ কয়েক সেকেন্ড রাহুলের চোখের দিকে তাকিয়ে উঠে চলে যেতে যেতে Md কে বলে ... " Md রাহুল কে তার কাজ বুঝিয়ে দেও...""
ছন্দের কথা শুনে রাহুলের খুশির শেষ নেই তবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ছন্দ যখন ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলো তখন মনে হচ্ছিলো ছন্দ তার চোখ দিয়ে তার ভিতর টা পড়ে ফেলবে...
"" রাহুল এখন চলো কুইন এখন রেস্ট নিবে আর আমি তোমাকে তোমার কাজ টা বুঝিয়ে দি....""
"" হ্যা চলুন..."
ছন্দ তার রুমে এসে গায়ে জরিয়ে রাখা কালো কোট টা খুলে বিছানায় ছুড়ে মেরে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় ৷ এক ঘন্টা পর শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখে দরজার কাছে তার পিএ আখি দারিয়ে আছে ৷ ছন্দ কে দেখে আখি বলে উঠলো " মে আই কামিং ম্যাম?"
" ইয়েস কাম.."
"" ম্যাম আপনার কথা মতো অনিল স্যার আপনার আইডেন্টিটি বদলে ফেলেছে দেখুন..." ফাইলটা এগিয়ে দিলো ছন্দের দিকে ছন্দ ফাইল টা নিয়ে পাতা পাল্টে পাল্টে দেখছে...
"" পার্ফেক্ট , আখি লান্চের ব্যবস্থা কর আমি রেডি হয়ে আসছি...""
"" ওকে ম্যাম .."" ফাইলটা রেখে আখি বেরিয়ে গেল ৷ ছন্দ ফাইলটা তার কাবার্ডে রেখে পিংক কালার সুট বের করে ৷ চুল শুকিয়ে সুট পরে নিয়ে ৷ নিচে নেমে আসে৷ নিচে এসে ডাইনিং টেবিলে দিকে তাকিয়ে দেখে অনিল আখি Md দারিয়ে আছে ৷
"" দারিয়ে আছেন কেন বসুন ""
"" কুইন আপনার সাথে একি টেবিলে বসে খাওয়ার স্পর্দা নেই আমাদের আপনি আগে শুরু করুন...""
ছন্দ তার কোমর থেকে গান বের করতে অনিল আখি Md তিন জন দ্রুত চেয়ারে বসে পড়ে ৷ ছন্দের ঠোটের কোনে বাকা হাসি....
দুরে দারিয়ে রাহুল ছন্দের বিহেব দেখছে ৷ ছন্দের ঠোটের কোনে বাকা হাসি দেখে রাহুলের বুকের ভিতর ধুক ধুক করছে ৷ রাহুলের ইচ্ছে করছে তার হৃদয়ের রানির ঠোট জোড়া একবার ছুয়ে দিতে ৷ কিন্তু রাহুল তার ইচ্ছে দমিয়ে রাখলো কারন রাহুল খুব ভালো করে জানে ছন্দ হচ্ছে আগুন তার কাছে যাওয়া মানে নিজেকে জ্বলিয়ে পুরিয়ে ফেলা ৷
ছন্দ চুপচাপ খেতে লাগলো ৷ ছন্দের ভয়ে অনিল আখি Md খেতে লাগলো ৷ ছন্দ খেতে খেতে অনিল কে প্রশ্ন করলো " আয়মান চৌধুরীর আপডেট কি?"
" কুইন আয়মান চৌধুরী আপনাকে খুন করার জন্য লোক হ্যায়ার করেছে "
" বাহ আমাকে না দেখেই এতো ভয় পেয়েছে যে আমাকে খুন করার জন্য লোক হ্যায়ার করতে হলো..! লোক গুলোর অবস্তা কি এখন?"
"" প্রত্যেকের হাত কেটে ফেলা হয়েছে ৷ তবে এখনো বাচিয়ে রেখেছি কারন আয়মান চৌধুরী তাদের ফোন করবে ..."
"" গুড , এন্ড নেক্সট ডিল টা যেন চৌধুরী কম্পানি পায় ওকে...""
"" ওকে কুইন , কুইন একটা কথা বলার ছিলো""
"" হুম ""
"" আয়ান চৌধুরী বর্ণের ছোট বোন বন্যার বিয়েটা ভেঙে গেছে৷ ""
বিয়ে ভাঙার কথা শুনে ছন্দ খাওয়া বন্ধ না করে খাবারের দিকে তাকিয়ে জ্বিগাসা করলো" বিয়ে ভাঙলো কেন?"
" কারনটা অজানা কুইন তবে বন্যা নিজে তার বিয়েটা ভেঙেছে ৷"
ছন্দ খাওয়া শেষ হতে উঠে নিজের রুমে চলে যায় ৷ প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে ছন্দের ৷ লান্চ করে নরম বিছানায় গা এলিয়ে দেয় ছন্দ ৷ কিছুক্ষনের মধ্যে গভির ঘুমে তলিয়ে যায় ছন্দ.......
একের পর এক কল করে যাচ্ছে সে লোক গুলোকে কিন্তু কেউ কল রিসিব করছে না রাগে গা ফেটে যাচ্ছে আয়মানের ৷
"" সালা কু*** বা** কল রিসিব করছে না কেন ? তবে কি ওরা ওই SJ কে মারতে পারেনি? যদি না মারতে পারে তাহলে আমি নিজের হাতে ওদের কে খুন করবো৷ "" বলতে বলতে আবার লোক গুলো কে কল দিতে এবার কেউ ওপাশ থেকে কল রিসিব করে ..
"" কাজ হয়েছে ?" ফোনের ওপাশ থেকে শুধু হাসির শব্দ পেল আয়মান .. এ হাসির মানে বুজতে আয়মানের বুজতে আর বাকি নেই যে তার প্লান ফ্লপ হয়ে গেছে ৷ রেগে ছুড়ে মারে ফোন টা .. "" নাহ ফ্লপ হয়ে গেল প্রথম প্লান টা কিন্তু কোন বেপার না এর পরের প্লান গুলো আমি এক্সিকিউট করবো হা হা হা ""
______ বর্ণ আজ বড় একটা অর্ডার পেয়েছে ৷ এই অর্ডার টা ঠিক ঠাক মতো ডেলিভারি দিতে পারলে আবার আগের পর্যায় দারিয়ে যাবে চৌধুরী কোম্পানি ৷ বর্ণের ঠোটের কোনে হাসি ৷ তবে এই হাসি বেশিক্ষন স্থায়ী হলো না যখন জানতে পারলো এই কোম্পানির মালিক AM কোম্পানির এমডি SJ ..
"" কে এই SJ আমাকে জানতে হবে ৷" মিহির মুরাদ কে ডেকে পাঠায় বর্ণ..
"" বর্ণ ডেকেছিস ?"
"" হ্যা , বস মিহির সিট .." মিহির ভদ্র ছেলের মতো চেয়ারে বসে পরে ...
"" মিহির মুরাদ SJ কে ? তার অল ডিটেইলস আমার চাই?""
"" পেয়ে যাবি তবে একটু সময় লাগবে বর্ণ""
"" হুয়াই মুরাদ?"
" বস আমি বলছি ৷এই SJ হচ্ছে এক জন মিস্ট্রিয়াস ওনার সব ডিটেইলস পাওয়া এতো সহজ নয় তবে আপনি বস একটা সুযোগ পেয়েছেন ওনাকে জানার কারন ডিল টা ওনার কম্পানির সাথে হয়েছে ৷ এর মানে ডিলের বিষয় কথা বলতে হলেও আপনি আর SJ মুখোমুখি হবেন রাইট""
"" ওয়াও মিহির তোমার মাথায় তো খুব বুদ্ধি সমস্যাটা সুন্দর ভাবে সমাধান করে দিলে৷""(মুরাদ)
"" থ্যান্কিউ স্যার , "" বর্ণ মুরাদ মিহিরের কথার মাঝে দরজায় কেউ নক করে ৷
"" কামিং.."
"" বস আজ যে কোম্পানির সাথে আমাদের কোম্পানির ডিল টা হলো ও কম্পানির মালিক SJ তার পিএ এসেছে আপনার সাথে দেখা করার জন্য..."
"" পাঠিয়ে দিন..""
"" ওকে বস..." কিছুক্ষন পর আখি কেবিনের সামনে দারিয়ে দরজায় নক করতে বর্ণ ভিতরে ঢুকবার অনুমতি দিতে আখি ভিতরে প্রবেশ করে...
"" বলুন মিস আখি ..""
"" ম্যাম এটা আপনার জন্য পাঠিয়েছে.."" একটা ইনভিটেশন কার্ড বর্ণের দিকে এগিয়ে দিতে বললো...
"" ম্যাম মানে কার কথা বলছেন আপনি?"
"" SJ যার কোম্পানির সাথে আপনার কোম্পানীর ডিল টা হয়েছে""
" এর মানে SJ একজন মেয়ে "" বির বির করে কথাটা বললো বর্ণ...
"" ওকে মিস্টার আয়ান আমি তাহলে আসছি ৷""
"" হুম.." আখি চলে যেতে বর্ণ তার চেয়ারে বসে ইনভিটেশন কার্ড টা খুলে দেখে বর্ণ সহ তার পুরো পুরিবার কে ইনভাইট করেছে SJ ৷ কিন্তু এখানেও সংক্ষেপে নাম SJ ৷ বর্ণের কিউরিসিটি বেড়েই যাচ্ছে এটা জানার জন্য কে এই SJ ৷ এতো লুকোচুড়ি কিসের কেন সবার সামনে আসছে না ৷
"" ডেট টা কবের বর্ণ?""
"" পরশুদিন মানে এক তারিখ ..""
"" যাক তাহলে এবার সবার সামনে আসবে মিস SJ তাইতো ?" (মুরাদ)
"" মে বি...""
মিহিরের গার্লফ্রেন্ড ফোন করায় মিহির বর্ণের পার্মিশন নিয়ে বাইরে চলে যায়৷ তখন বর্ণ মুরাদ কে বলতে লাগলো "" আই ডোন্ট নো মুরাদ তোর আর বন্যার মাঝে কি হয়েছে কিন্তু এটা বুজতে পারছি যা হয়েছে সেটা খুব খারাপ হয়েছে যার কারনে তোদের সম্পর্কে চির ধরে গেছে ৷ আমাকে বল সমস্যাটা কোথায়?"
"" সম্পর্কে চির ধরেছে আমার ভুলের জন্য এখানে বন্যার কোন দোষ নেই ৷ আমি যে ভুলটা করেছি তার কোন ক্ষমা হয় না বর্ণ ৷ আর না বন্যা কখনো আমাকে মেনে নিবে ৷ বৃথা চেষ্টা করছিস বর্ণ ৷ যে দিন তোর ভালোবাসা শেষ হয়ে গেছে সে দিন আমার ভালোবাসাও শেষ হয়ে গেছে ৷ ""
"" মানে ...?""
"" আমাকে এখন যেতে হবে বর্ণ.."" মুরাদ বর্ণকে বলার সুযোগ না দিয়ে এক প্রকার পালিয়ে যায়৷
" কুইন মিস্টার আয়ান কে ইনভিটেশন কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে"
"" গুড পার্টির এরেন্জমেন্ট কম্পিলিট করো ৷ কোন প্রকার কমতি যেন না থাকে আর হ্যা প্রেস মিডিয়া যেন উপস্তিত থাকে ৷ ওই রাতে চৌধুরীদের রাতের ঘুম হারাম করতে আমি উপস্তিত থাকবো ..""
"" কুইন আয়মান চৌধুরী কে আগামিকাল হসপিটাল থেকে রিলিজ দেওয়া হবে ৷""
"" বাহ তাহলে শুরু টা না হয় আয়মান কে দিয়ে করা যাক ...." কথা বলে ছন্দের মুখে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠলো.......
—
ছন্দ ঠিক কি করতে চাইছে তার বিন্দু মাত্র ছিটে ফোটা বুজতে পারছে না অনিল... কি হবে পার্টির রাতে আর আয়মানকে দিয়ে শুরু করবে মানে কি ? অনিলের মাথা ঘুরছে ৷ তাদের কুইন যে কতোটা রহস্যময়ী তা বুজতে জানতে অনিলের আর বাকি নেই তবুও অনিল তাদের কুইন কে বোঝার চেষ্টা করে ...
পরেরদিন সকালে বর্ণের অফিসে জরুলি কাজ থাকায় মুরাদ আর মিহির কে হসপিটালে পাঠায় আয়মান চৌধুরীকে রিলিজ করিয়ে নিয়ে আসার জন্য বর্ণ তার মম কে ও বলে যেতে কিন্তু বর্নালি বাহানা বানিয়ে না বলে দেয়৷ বর্ণ আর জোর করে না তার মম কে তাই মুরাদ আর মিহির চলে যায় হসপিটালে ৷ হসপিটালের সকল ফরমালিটিস কম্পিলিট করছে অনেকটা সময় কেটে যায়৷ আয়মান চৌধুরী রেডি হয়ে গাড়িতে উঠে বসে মুরাদ ড্রাইব করছে আর মিহির সামনে ফ্রন্ট সিটে বসে আছে ৷ মুরাদ খুব সাবধানে গাড়ি ড্রাইব করছে ৷ ডক্টর মুরাদ কে জানিয়েছে আয়মান চৌধুরীর হেল্থ বিশেষ ভালো নয় হার্টে সমস্যা আছে ৷ উনি যাতে উত্তিজিত না হয় আর চমকায় তাহলে হার্ট এট্যাক হতে পারে ৷ সে কারনে মুরাদ খুব সাবধানে গাড়ি ড্রাইব করছে ৷ কিন্তু কিছু দুর যেতে পিছুন থেকে দুটো বাস হর্ন দিয়ে যাচ্ছে অথচ বাস গুলো যাওয়ার মতো যথেষ্ট যায়গা আছে কিন্তু তা না গিয়ে হর্ণ বাজাচ্ছে ৷ মুরাদ বিষয় টা হালকা ভাবে নিলো না ৷ এবার গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিলো ৷ বাস পিছুনে ফেলে সামনে বা দিকের রোড ধরতে সামনে একটা লড়ি এসে আচমকা থামে ৷ যেটা আয়মান চৌধুরীকে ভয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ৷ অলরেডি বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে আয়মান চৌধুরীর ৷ বুকে হাত দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে আছে৷
"" আর ইউ ওকে আঙ্কেল?""
"" না মুরাদ আমার মেডিসিনের বক্স কোথায় ?""
মিহির দ্রুত বক্সটা এগিয়ে দিলো আয়মানের দিকে , আয়মান বক্স টা খুলে দুটো মেডেসিন মুখে নিয়ে পানি খেয়ে নেয়৷
"" স্যার আমরা কি হসপিটাল আবার ব্যাক করবো?""(মিহির)
"" ন,না আ,,আমি ঠিক আছি ৷ চৌধুরী ম্যানশনে চলো ..""
"" জ্বি আঙ্কেল...""
"" ম্যাম কাজ হয়ে গেছে ৷ প্রথম চমক টা দেওয়া শেষ""
"" গুড এখন দ্বিতীয় চমকের অপেক্ষা .."" (ছন্দ)
"" ম্যাম এই অধমের জন্য আর কোন কাজ আছে?"
"" পরে জানিয়ে দেওয়া হবে ""
" ওকে ম্যাম..."
ছন্দ কল ডিসকানেক্ট করে হাসতে লাগলো "" এতো তারাতারি তোকে মারবো না আয়মান চৌধুরী ৷ তোকে আমি তিলে তিলে শেষ করবো ৷ এতো কষ্ট দিয়ে মারবো যে মৃত্যু তোকে দেখে ভয়ে শিউরে উঠবে ৷ ""
"" ম্যাম মিস্টার চৌধুরী আপনার জন্য মিটিং রুমে অপেক্ষা করছে ""(আখি)
" মিটিং ক্যান্সেল করে দেও আর ওনাকে পাচঁ কোটির চেক পাঠিয়ে দেয় ""
"" ওকে ম্যাম...""
"" এতো তারাতারি আপনার সামনে আমি আসবো না মিস্টার চৌধুরী ৷ আগামি কাল সন্ধার জন্য অপেক্ষা করুন ৷ কাল আপনার জন্য বিশেষ কিছু আমি আয়োজন করে রেখেছি ৷ যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ...""
"" এক্সকিউজ মি মিস্টার চৌধুরী ""
" ইয়েস আপনাদের বস কোথায় ?"
"" স্যরি মিস্টার চৌধুরী আজ মিটিং টা হচ্ছে না ৷ আর এই নিন চেক ..""
বর্ণ চেক টা দেখে বেশ অবাক হয় এতো গুলো টাকা মিটিং না করে কথা না বলে মালের কোয়ালিটি না দেখে দিয়ে দিলো! বিষয় টা ভাবাচ্ছে বর্ণ কে...
"" মিস আখি আমি কি একবার আপনার বসের সাথে দেখা করতে পারি ? ""
"" নো স্যার , ম্যাম এখন কারোর সাথে দেখা করবে না"""
"" ওকে ফাইন ,"" বর্ণ খানিকটা অপমানিত বোধ করে চলে গেল৷
নিজের রুমে বসে আছে আয়মান চৌধুরী ৷ অনেক দিন পর নিজের বাড়ি নিজের বিছানায় শুতে পেরে আয়মানের মন টা ভিষন রকমের ভালো হয়ে আছে ৷ কিন্তু বাড়িতে আসার পর থেকে বর্ণালি তার সাথে বিশেষ কোন কথা বলে নি যতো টুকু আয়মান চৌধুরী নিজ থেকে জ্বিগাসা করেছে ঠিক ততোটুকু-ই বলেছে ৷ বিষয় টা ভাবাচ্ছে আয়মানের এটা ভেবে যে বর্ণালি তার সত্যিটা জানতে পারেনি তো ? জানতে না পারারি কথা কারন যারা যারা ওর সত্যি টা জানতো তাদের প্রত্যেককে ছন্দ নিজ হাতে শেষ করে দিয়েছে আর ছন্দ কে তো তার একমাত্র ছেলে মেরে দিলো তাহলে আর চিন্তা কি ? কিন্তু SJ কে সেটা ভেবে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আয়মানের ....
"" কে হতে পারে এই SJ , খুজে তো বের করতে হবে আমাকে নাহলে যে শান্তি পাচ্ছি না কিছুতেই..."
আয়মান চৌধুরী তার ভাবনার মাঝে গাড়ির হর্ণ শুনতে পেয়ে বুজতে পারে বর্ণ এসেছে ৷ ঠিক তাই হলো পাচঁ মিনিট বাদে বর্ণ আয়মানের রুমে এসে হাজির হয়৷
"" ড্যাড এখন কেমন ফিল করছো?""
"" ম্যাচ বেটার বর্ণ ৷ তোমার হাতে কি ওটা ?"
" ড্যাড যে কোম্পানির সাথে আমাদের ডিল হয়েছে ৷ তারা এডভান্স পেমেন্ট করেছে ৷ "
আয়মান চেক টা হাতে নিয়ে দেখতে চোখ ছানাবরা হয়ে গেছে....
"" পাচঁ কোটি টাকার চেক? "
"" ইয়েস ড্যাড ৷ আর একটা কথা আগামিকাল আমাদের পুরো পরিবারকে ইনভাইট করেছে ৷ "
"" তাহলে তো যেতেই হবে বর্ণ ..""
"" বাট ড্যাড তোমার এই শরীল নিয়ে যাওয়াটা কি ঠিক হবে?""
"" কিন্তু আমার যাওয়াটা জরুলি বর্ণ..""
"" ওকে দেন বিকেলে রেডি থেকো আর হ্যা ড্রেস কোড ব্লাক তাই ব্লাক কিছু পড়বে ..""
"" আচ্ছা তুই এখন রুমে গিয়ে রেস্ট কর ৷"
"" হুম...."
_____________________________
"" কুইন সব এরেন্জমেন্ট কম্পিলিট অলরেডি শহরের বড় বড় বিজনেস ম্যানরা আসতে শুরু করে দিয়েছে ৷ তাদের ওয়েলকাম জানানো হচ্ছে আপনার কথা মতো ডাইমন্ডের ব্রেজলেট দিয়ে ...."" (অনিল)
"" গুড , চৌধুরী পরিবার কি এসেছে ?"(ছন্দ)
"" নো কুইন তবে খবর পেয়েছি দে আর অন দ্যা ওয়ে ..""
"" গুড , এখন নিচে যাও আমি সময় হলে আসবো ""
"" ওকে কুইন.." অনিল চলে যেতে আখি রেডি হয়ে ছন্দের কাছে আসে ৷ ছন্দ আখি কে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত স্কান করে দেখে নেয় ৷ সর্ট ওয়েস্টট্রান ব্লাক ড্রেস পড়েছে ৷ ফর্শা গায়ের রঙের সাথে কালো ড্রেস টা বেশ মানিয়েছে আখিকে...
"" ম্যাম আপনি রেডি হবেন না ? ""
"" হামম .."
আখি ছন্দের কাবার্ড খুলে কালো জরজেট ওয়াইট স্টোনের কাজ করা একটা শাড়ি বের করলো ৷ সাথে স্লিভলেস ব্লাউজ ৷
বর্ণ সহ তার পুরো পরিবার ভিতরে ঢুকতে কিছু সুন্দরী মেয়েরা তাদের হাতে ব্রেজলেট পড়িয়ে ওয়েলকাম জানায় ৷ আয়মান বর্ণ সহ বন্যা বর্নালি ভিষন রকমের অবাক হয় ভিতরে প্রবেশ করে ৷ মনে হচ্ছে কোন রাজা বাদশার প্রাশাদে প্রবেশ করেছে ৷ আয়মান চৌধুরীর মুখে বিস্ময় আর বর্ণের মুখে বিরক্তি৷ এক পাশে সফট মিউজিক বাজছে ৷ অনেকে সে মিউজিকের তালে তালে ডান্স করছে ৷ কারো কারো হাতে ওয়াইনের গ্লাস কারো হাতে সফট ড্রিং প্রত্যেকে উৎসাহ নিয়ে উপরে তাকাচ্ছে বার বার SJ কে দেখার জন্য ৷ চারিদিকে কালার ফুল লাইট জ্বলছে হঠাৎ করে সব লাইট অফ হয়ে যায় ৷ শুধু মাত্র সিড়ির উপর ফোকাস লাইট পড়লো ৷ সবার নজর সে দিকে ৷ একজন সুন্দরী নারী উলটো দিকে ফিরে আছে পরনে তার কালো শাড়ি ৷ তখনি রাহুল হাটু গেড়ে বসে ছন্দের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে ছন্দ রাহুলের হাতে হাত রাখে তখনি রাহুল ছন্দ কে ঘুড়িয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে লাগলো ৷ ফোকাস লাইটের আলোতে আয়মান , বর্ণ ছন্দ কে দেখে শক্টড,, বর্ণ দু পা পিছিয়ে গেল ৷ এদিকে আয়মানে চোখে মুখে এক রাশ ভয় জমতে শুরু করে দিসে৷ বর্ণের হাতে সফট ড্রিংকের গ্লাস টা ফ্লোরে পড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে আছে সে দিকে কারোর নজর নেই ৷ প্রত্যেকের নজর ছন্দের উপর৷ প্রত্যেকে ছন্দ কে দেখে প্রশংসা করছে ৷ এদিকে বন্যা বর্নালি যেন নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না ৷ ছন্দ বেচেঁ আছে ? সেই ভয়াভহ ব্লাস্ট হওয়ার পর ছন্দ বেঁচে থাকে এটা ভেবে বন্যার চোখে মুখে খুশির ঝলক ফুটে উঠলো ৷
বর্ণ ছন্দের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ৷ স্লিভলেস ব্লাউজের সাথে কালো শাড়ি ৷ হাতে মুঠো ভর্তি কালো কাচের চুড়ি , ছন্দের সেই কোমর ছড়ানো লম্বা চুল কেটে অন্য কাট দেওয়া ৷ গলায় ডাইমন্ডের নেকলেস কালে ইয়ারিং ৷ ঠোটে ঘন লাল টকটকে লিপস্টিক চোখে গাঢ় কাজল মুখে মেকয়াপ ৷ এ যেন সদ্য আকাশ থেকে নেমে আসা ব্লাক এন্জেল ৷
ছন্দ নিচে এসে দারাতে সব লাইট এক সাথে জ্বলে উঠলো ৷ ছন্দ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলতে লাগলো "" লেডিস এন্ড জেন্টেলমান আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আজ আমার এই ছোট্ট পার্টিতে আসার জন্য , আসলে পার্টিটা রাখা হয়েছে কারন তিনটে এক আপনাদের সাথে সময় কাটানো পরিচিত হওয়া আর দুই ডিল হওয়ার সেলিব্রেশন করা ৷ আর তিন নম্বর টা নাহয় পরে বলি সাসপেন্স থাক না হয় কিছু টা সময়৷ আই হোপ আপনারা পার্টিটা ইনজয় করবেন ৷ থ্যাংকস ৷""
ছন্দের কথা শেষ হতে চারিদিকে হাতে তালি দিতে লাগলো সবাই শুধু মাত্র আয়মান চৌধুরী আর বর্ণ বাদে ৷ আয়মান চৌধুরী ভয়ে এক পাশে দারিয়ে আছে৷ আর বর্ণ এখনো শক্টড ৷
"" টিয়াপাখি ...আমার টিয়াপাখি বেঁচে আছে? ""বর্ণ নিজে কে কন্ট্রোল করতে না পেরে দৌড়ে গিয়ে ছন্দ কে জরিয়ে ধরে ৷ ছন্দ বর্ণ কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে একটা থাপ্পোর মারে বর্ণ কে ৷ থাপ্পোরের শব্দে মিউজিক স্টপ হয়ে যায়....সবাই তাকায়ে আছে বর্ণ আর ছন্দের দিকে ৷ ছন্দের চোখ দিয়ে যেন আগুন বার হচ্ছে ৷ বাকি লোকজনদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ৷ তারা SJ সম্পর্কে মোটামুটি যা জানে তা হলো SJ কাউকে ক্ষমা করে না ৷
"" হাউ ডেয়ার ইউ মিস্টার চৌধুরী ৷ আপনার মতো পাতি বিজনেসম্যানের সাহস কি করে হয় আমাকে টার্চ করার হাহ! ""
বর্ণ গালে হাত রেখে স্তব্ধ ৷ বর্ণের বিশ্বাস হচ্ছে না তার টিয়াপাখি তাকে আঘাত করেছে৷
"" টিয়া... বাকিটা বলার আগে আর একটা থাপ্পোর পরলো বর্ণের গালে তবে হাহ সেটা ছন্দ দেয়নি দিয়েছে রাহুল....রাহুল বর্নের শার্টের কলাট ধরে বলে..
"" ইউ ইডিয়ট তোর সাহস কি করে হয় SJ কে টার্চ করার হাহ ! " বলে এক ঘুশি মারে বর্ণের মুখে ৷ ছিটকে পড়ে বর্ণ... বর্ণ নিচে পড়তে ছন্দ রাহুলের দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকাতে রাহুল দু পা পিছিয়ে দারায়....
ছন্দ আবার বলতে লাগলো "" মিস্টার চৌধুরী ভূলে যাবেন না ৷ আমি আপনার কোম্পানীর একজন ক্লাইন্ড আপনার এমন বিহেবিয়ারের জন্য আমি অর্ডার ক্যান্সেল করে দিতে পারি জানেন আপনি?"
বর্ণ ফ্লোর থেকে উঠে দারাতে দারাতে বলতে লাগলো " আ'ম স্যরি ম্যাম আসলে আপনার মুখের সাথে আমার খুব আপনজনের মুখটা মিলে তাই আমি ভুল করে ফেলেছি ৷ আই এম রেলি স্যরি""
বর্ণের মুখে আপনজন শুনে ছন্দের বুকের ভিতর যেন মোচর দিয়ে উঠলো... তারপর ও নিজেকে শান্ত রেখে আবার বলতে লাগলো "" নেক্সট টাইম এমন ভূল করলে আমি ডিল ক্যান্সেল করে দিতে বাধ্য হবো যাস্ট মাইন্ড ইট৷ ""
আবারো মিউজিক বাজতে লাগলো আর তার তালে তালে কাপলরা ডান্স করছে ৷ বর্ণ চোখ মুখ লাল বর্ন ধারন করেছে ৷ ড্রিং বারে বসে একের পর এক ড্রিং করে যাচ্ছে বর্ণ ৷ ছন্দ আরচোখে সবটা দেখছে আর এটাও দেখছে আয়মানের চোখে মুখে মৃত্যুর ভয় যেটা ছন্দের মনে প্রশান্তি এনে দেওয়ার মতো যথেষ্ট কারন ৷ হুট করে আবার মিউজিক বন্ধ হয়ে যায় ৷ সব গেস্টরা ডান্স ফ্লোর থেকে নেমে দারায়৷ তখনি রাহুল ছন্দের হাত ধরে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে গিয়ে ছন্দের সামনে হাতে রিং নিয়ে হাটু গেরে বসে রাহুল....
"" জানি তোমার হয়তো অসস্থি হচ্ছে আজ প্রথমবার আমায় এভাবে দেখে কিন্তু আমি প্রথমবার যখন তোমায় দেখি তোমার ওই মায়াবী চোখের প্রেমে পড়ি ৷ তোমার ঠোটের ওই তিলটার উপর মুগ্ধ হই ৷ তোমার ঠোটের হাসির প্রেমে পড়ি আমি ভালোবেসে ফেলেছি তোমায় ৷ আমার হৃদয়ের রানী বানাতে চাই তোমায় দিবে কি সেই অধিকার ? একটা সুযোগ দিবে কি আমায় তোমায় ভালোবাসার?"""
রাহুলের কথা গুলো ছন্দের পুরো শরীলে যেন কেউ পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ৷ কিন্তু মুখে বা এক্সপ্রেশনে তা প্রকাশ করেনি ছন্দ উলটো মুচকি হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো....
বর্ণের নেশা হয়ে যাওয়ায় সব কেমন অস্পষ্ট তবুও আবছা চোখে দেখছে ৷ একটা হ্যান্ডসাম ছেলে তার-ই ভালোবাসার মানুষ টাকে প্রপোজ করছে আর তার প্রিয়তমা এক্সেপ্ট করে নিলো৷ বর্ণের হাতের গ্লাসটা হাতে ভেঙে ফেললো বর্ণ হাত কেটে রক্ত ঝরতে লাগলো ৷ বন্যা তার ভাইয়ের অবস্তা দেখে দৌড়ে ছুটে আসে তার ভাইয়ের কাছে তখনি উপর থেকে রঙিন কাগজের টুকরো বৃষ্টির মতো পড়তে লাগলো সাথে গান বাজতে লাগলো ... রাহুল ছন্দের হাত রাউন্ড করে ঘুড়িয়ে কোমরে টার্চ করে গানের সাথে লিপ দিতে লাগলো ...
Mujhko Barsaat Bana Lo,
Ek Lambi Raat Bana Lo,
Aapne Jaazbat Bana Lo Jaana...
Mujhko Aalfaaz Bana Lo,
Dil Ki Aawaaz Bana Lo,
Gehra Sa Raaz Bana Lo Jaana...
Nasha Hoon Main Behakne Do,
Mere Qatil Mujhe Jeene Ka Haq To Do....
রাহুল ছন্দের হাতে স্লাইট করতে করতে পিছুন থেকে জরিয়ে ধরলো..
Mujhe Aapne Sirhane Pe,
Thodi Si Jagah De Do,
Mujhe Neend Na Aaane Ki
Koi To Wajah De Do, (x2)
Hawa Hoon Main Lipatne Do,
Mere Qatil, Mujhe Jeene Ka Haq To Do....
Mujhko Baarsaat Bana Lo,
Ek Lambi Raat Bana Lo,
Aapne Jaazbat Bana Lo Jaana...
এবার ছন্দ রাহুলের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে রাহুল কে ঘিড়ে রাউন্ড করে ঘুরে রাহুলের সামনে দারিয়ে ডান্স করতে লাগলো...
Tere Sang Guzar Jaaye,
Yeh Umar Jo Baki Hain,
Haans Do Na Zara Khulke
Kaahe Ki Udaasi Hain, (x2)
Subah Hoon Main,Aane Do...
Mere Qatil Mujhe Jeene Ka Haq To Do....
Mujhko Baarsat Bana Lo,
Ek Lambi Raat Bana lo,
Aapne Jaazbat Bana lo Jaana,
রাহুল এবার ডান্স ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসে কোটের ভিতর থেকে একটা গোলাপ বের করে ছন্দের দিকে ধরে ছন্দ ফুল টা নিতে ৷ চারিদিকে করতালি পড়তে লাগলো ৷
তখনি হুট করে ভারি কিছু পরার শব্দ পেয়ে ছন্দ সহ বাকিরা সে দিকে তাকিয়ে দেখে বর্ণ চেয়ার লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলে রক্ত মাখা হাত নিয়ে ছন্দের দিকে এগোতে লাগলো.....