সাইকো ইজ ব্যাক - পর্ব ০৯ - সিজন ২ - সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি - ধারাবাহিক গল্প


বারিশ চোখ মেলে কুহুকে তার হাতের উপর শুয়ে আছে দেখে হেসে দেয়। তার আরেক হাত দিয়ে মাথা হাত বুলাতেই কুহু জেগে যায়।আর তখনি বলতে লাগে,,
----আপনি উঠে গেছেন? এখন কেমন লাগচ্ছে আপনার?
বারিশ আবার হাসে।আমি বারিশের হাসি দেখে ভ্রু কুচকে জিগাসা করি,
----কি ব্যাপার দাঁত দেখাচ্ছেন কেন?
বারিশ সেই হাসি বহাল রেখে বলতে লাগে,
----আগে যদি জানতাম আমার অসুস্থতায় আমার পিচ্চি বউটা এতটা হায়পার হবে, তার সাথে তার ভালবাসার বহিঃ প্রকাশ ঘটবে,  তাহলে সেই কবেই অসুস্ত হয়ে যেতাম..!!
----আপনি বেশি কথা বলেন..!
----তুমি বলনা তাই..!
----চুপ থাকেন।  আমি ডাক্তার ডাকি!
----ডাক্তার ডাকতে হবে না। আই এম ফিট এন্ড ফাইন।আর তুমি সাথে থাকলে আমি এমনিতেই সুস্থ্য থাকবো।
বারিশের কথা চোখে ছল ছল করে উঠে, আমার চোখ দু ফোটা জল ফেলে বলতে লাগি,,
----আমার কারণেই আপনি আজ হসপিটালে।
বারিশ আমার মুখে দুহাত দিয়ে তার কপাঁল আমার কপাল ঠেকিয়ে বলতে লাগে,
----ডোন্ট বি অ্যাপ সেট। দেখ আমি সুস্থ্য এখন। আর ওটা তেমন কিছু না..! 
----আম সরি বারিশ! আমি জানতাম না এসব..!!
কুহুর মুখে বারিশ নাম শুনে বারিশের বুক ধক করে উঠে।  এই প্রথম তার পিচ্চি বউ তার নাম নিল ইউসুফের বদলে।কি যে খুশি লাগচ্ছে তার। বারিশ কুহুকে নিজের সাথে চেপে ধরে।  খুব শক্ত করে। যেন বুকের সাথে মিশিয়ে ফলবে।খুশিতে মোরে যেতে ইচ্ছে করছে তার। সত্যি ভালবাসার মানুষের কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু হুট করে পেয়ে ফেলা মানে আসমানের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত।বারিশ বলল,,
----কুহু তুমি জানো না তুমি আমাকে আজ কতাটা সুখ দিয়েছো।
আমি তার কথা আবাক হয়ে বললাম,
-----আমি কি করলাম🙀?
-----তুমি আমার নাম ধরে ডেকেছো।
-----তো?
-----এই জন্যই আমি খুশি। অনেক অনেক খুশি।
-----এখানে খুশি হওয়ার কি আছে? 
-----আছে অনেক কিছু। তোমার পিচ্চি মাথায় ঢুকবে না..!!
-----কেন ঢুকবে না? আপনি বলুন ঢুকবে।
----উমম..! ওকে!  আমাকে বলোতো তুমি আমার নাম ধরে কবে ডেকেছো..!!
----আমি তো..!!
চুপ করে গেলাম সত্যি তো আমি কবে তাকে নাম ধরে ডেকেছি?আমি আগে স্যার বলে ডাকতাম আর পরে ইউসুফ বলতাম।
---কি হলো?
বারিশের কথায় ধেন ভাঙ্গলো আমার। আমি বললাম,,
----কিছু না।  আপনি রেষ্ট করুন আমি ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসি।
বারিশ কিছু বলল না, কুহুকে ছেড়ে দিয়ে মাথা নারালো।আমিও বের হয়ে গেলাম। 
হাসপাতাল থেকে বারিশকে বসায় নিয়ে এসেছি আজ সাত, সাতটা দিন কেঁটে গেল।এই সাত দিনে বারিশের দুষ্ট, মিষ্টি দুষ্টুমি গুলো আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। একটা মানুষ এত রোমান্টিক কেমনে হয়? যানা নেই আমার।তার এই লাভ টর্চার গুলোতে না চাইতেও প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। এর মাঝে বারিশ আমাকে আমাকে অনেক চেষ্টা করেছে পুরোপুরি আপন করে পেতে কিন্তু আমি কেন জানি পারি না। কোথাও একটা এসে আটকে যাই।তার জন্য বারিশের  মনে কষ্টে পেলেও কখনো প্রকাশ করেনি সে।কিন্তু আমি খুব বুঝি সে কষ্ট পায়। কিন্তু আমি যে নিরু পায়।

আজ বারিশ আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে।বুকের ভিতরে ধুকপুক ধুকপুক করছে আমার। আমি একবার ও বাড়িতে গিয়েছি মানুষ গুলো খুব ভাল।কিন্তু আমাকে কি তারা মেনে নিবেন?জানা নেই আমার। আমরা কারে বসে আছি।বারিশ ফোন টিপছে।আমার উপর ও খুব রাগ করেছে, কিন্তু প্রকাশ করছে না। আগের মতো কথা বলছেনা। কিছু জিগেস করলে শুধু হু হা উত্তর দিচ্ছে। এতে আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। ভালবাসার মানুষটি যখন কথা বলা বন্ধ করে দেয় এর ধেকে বড় শাস্তি আর কিছু নেই।আমার ওর এমন চুপ করে থাকাতে কষ্ট লাগে খুব কষ্ট। গত কাল রাতেও বারিশ আমাকে আপন করে পেতে চাইছিল। কত সুন্দর করে সাজিয়ে ছিল সে সব কিছু।চারিদিকে ঝলমলে আলো তার সাথে মম জালানো।রোমান্টিক সং। সব কিছু মিলিয়ে ছিল রোমাঞ্চ কর পরিবেশ।যখন আমি সব খুটিয় খুটিয়ে দেখায় ব্যস্ত তখন বারিশ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।আমার ঘারে ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে।আমি সাথে সাথে কেঁপে উঠি। পুরো শরীরের শক্তি মুহুর্তে হারিয়ে গেল।আমি তার উপর নিজের ভর ছেড়ে দেই।বারিশ তখন তার নাক ঘসতে থাকে আমার ঘাড়ে। তার পর গভীর চুমু দিতে লাগে। সাথে সাথে আমি তার হাত খামচ্ছে ধরি।তিনি তখন আমাকে তার দিক ঘুরিয়ে তার বরাবর দাড় করিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।ঠোঁটে ঠোঁট রেখেই আমার বুকের কাপর ফেলে দেয়।আর যখন আমার ব্লাউজে হাত দিবে তখনি আমার হুশ ফিরে।এতক্ষণ সুখের রাজ্য থাকলেও হুট করে কি হলো জানি না। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।এতে বারিশ রেগে যায়। রাগারি কথা 
কথা এমন চূড়ান্ত মুহুর্তে যে কেউ বাঁধা পেলে রেগেই যাবে সে।বারিশ ও তাই করলো পাশে থাকা ফুলদানি ছুড়ে মারলো ফ্লোরে রাগে। আর আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন গিলে ফেলবে আমাকে। আমি তার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচে তাকিয়ে থাকি। বারিশ রাগে বের হয়ে যায়। আমিও নিচে বসে পরি কাঁদতে কাঁদতে। খুব কষ্ট লাগে এভাবে তাকে কষ্ট দিতে আমার কিন্তু কেন তাকে মেনে নিতে পারি না কেন? বুঝতে পারি না আমি...!!

এসব ভেবে ছোট শ্বাস বের হয়ে আসলো আমার। গাড়ি এসে থামলো বরিশদের বাড়ির সামনে। ইউসুফ আমাকে নিয়ে ভিতরে ঢুকলো তখনি একটি মেয়ে হুট করে এসে জড়িয়ে ধরলো। আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি তাদের দিকে.....!! তারপর যা শুনলাম। মনের মাঝে ধাক্কা দিয়ে উঠলো সাথে সাথে। সব কিছু মুহুর্তে এলোমেলো হতে লাগলো আমার।

—————

বারিশ বলল,
-----এসব কি জেনি? কতবার না করেছি, হুট হাট জড়িয়ে ধরবে না আমাকে?
জেনি বারিশকে ছেড়ে বলল,
-----তোমাকে দেখে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়ে ছিলাম।তাই কন্ট্রোল করতে পারিনি।জানো মামি আমাদের বিয়ে ঠিক করেছে?
----কাদের?
----উফ!  বারিশ না জানার ভান কেন করছো? ইউ নো আমাদের বিয়ে.....!
জেনিকে বলতে না দিয়ে,
----আমি বিয়ে করে ফেলেছি জেনি..!!সি ইজ মাই ওয়াইফ। 
বারিশের কথায় জেনি ৪৪০ বোর্ডের শক্ড খাইলো জেনি।আর অবাক হয়ে বলল,
----বারিশ তুমি মিথ্যা বলছো আমাকে? তুমি এমন করতে পারো না আমার সাথে! ইউ নো না, আমাদের ছোট বেলা থেকে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে? 
বারিশ ভাবলেশহীন ভাবে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে বলল,
----কই আমার তো কিছু মনে নেই...!
জেনি এবার কান্না করে বলল,
----ইউ চিট মি?
তখনি বারিশের ফুপি নামতে নামতে বললো,
----জেনি কান্না করছিস কেন? আর কুহু তুমি কখন এলে?
আমি সব কিছু আহাম্মকের মত দেখে যাচ্ছি কিছুই মাথায় ঢুকছেনা আমার। তখন বারিশ  আমার পাশে এসে দাড়ায়। আর বলতে লাগে,
---ফুপি কুহু আমার ওয়াইফ।  আমি ওকে ১০ দিন আগে বিয়ে করে নিয়েছি।
তখনি দাদু এসে বললেন,
----দাদু ভাই আমাদের একবার জানাতে কুহুুকে তোমার পছন্দ? আমরা বিয়ে করিয়ে দিতাম। এভাবে? আচ্ছা যাই হোক বিয়েতো হয়েছে। 
তার ফুপিকে বললেন,
----ওকে বারিশের ঘরে নিয়ে যাও।
আমাকে ফুপি বারিশের ঘরে  নিয়ে গেল।দেখেই বুঝতে পারছি ফুপির মুখের রং পাল্টে গেছে। ফুপি আমাকে রুমে এনে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে আমার গাল চেঁপে বললেন,
----ছোটলোকের বাচ্চা, প্রথম দিন বাসায় এসেই আমার ছেলেটা মাথা খেয়ে নিয়েছিস! আমি দেখি তুই এই সংসার কিভাবে করিস,, বলে চলে গেলেন। আমি তখন নিচে পরে আছি। মাত্র কি হলো বুঝতে পারলাম না। মাথাটা ভন ভন করছে আমার।তখনি ঘরে বারিশ ঢুকে আর আমাকে ফ্লোরে বসে থাকতে দেখে দৌড়ে কাছে এসে বলে,,
----আরে তুমি মাটিতে কেন বসে? উপরে উঠে বস!
আমি বারিশের দিক ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছি। এখন যদি ফুপির কথা বলি তাহলে সে কি বিশ্বাস করবে? নাকি ফুপি শুধু রেগে আছে বলে এমন করছেন? হয়ত রেগে আছে বলে!
বারিশ আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
----কাঁদছো কেন?
----বাসার কথা মনে পরছে।
বারিশের এই কথা চোয়াল শক্ত করে জবাব দেয়,
----আজ থেকে এটাই তোমার বাসা, এটা মনে রাখলেই চলবে। আর সব ভুলে যাও।
আমি বারিশের কথায় অবাক হয়ে বললাম,,
---কি যাতা বলছেন? আমার বাড়ির কথা আমি ভুলে যাবো? আর ইউ মেড?
বারিশ রেগে গিয়ে বলল,
----ইয়েস আয় এম মেড! আর যদি তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখো! আমার থেকে খারপ কেউ হবে না...! বলে গট গট করে চলে গেল বারিশ 
আমি তার যাওয়ার দিক তাকিয়ে আছি।একদিনে সব কেমন এলোমেলো লাগচ্ছে আমার।
🐝
খাবার টেবিলে বমে আছে সবাই। কুহু বাদে..! বারিশ তা দেখে ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলো,
----ফুপি কুহু কই?
ফুপি মেকি হাসি দিয়ে বলল,
----ডেকে ছিলাম ওকে...!  বলল, খাবে না!
বারিশের রাগ লাগলো, সে তাদের কাজের মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলল,
--- আমাদের খাবার উপরে নিযে এসো। বলে উপরে চলে গেল।
জেনি খাবার থামিয়ে দিল। আর ফুপির উদ্দেশ্যে বলল,
----মামি আমি কাল চলে যাবো। ভাইয়াকে আস্তে বল। 
বলে সেও চলে গেল।

বারিশ রুমে ঢুকে দেখে কুহু কার সাথে ফোনে কথা বলছে, এতটা মগ্ন যে তার পাশে বারিশ দাড়িয়ে টের ফেল না।

বারিশের রাগ লাগলো তাতে।  হাত থেকে ফোন নিয়ে নিল। বারিশের এমন কাজে আমি অবাক হলাম। আর বললাম,
----এটা কি ধরনের অভদ্রতা!  ফোন দিন আমার। বারিশ খুব গম্ভীর ভাবে বলল,
----কার সাথে কথা বলছিলে?
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
----টিনার সাথে!
বারিশের যেন বিশ্বাস হলো না। সে কল লিষ্ট চেক করতে লাগলো। এটা দেখে আমার গলা শুকিযে গেল।
বারিশ ফোন আমার দিকে দচরে বলল,
----মিথ্যা বলছ আমার সাথে? তোমাকে মানা করছি না তোমার পরিবারের সাথে কথা না বলতে?
কি হলো জবাব দিচ্ছো না কেন?
শেষের কথাটি ধমকে বলল, যার ফলে আমি কেঁপে উঠলাম।
রাগে যেন বারিশের মাথা ফেটে যাচ্ছে। সে আমার ফোন মাটিতে আছড়ে ফেলে। সাথে সাথে দু, ততিন টুকরো হয়ে গেল আমার ফোন। আমি চিল্লিয়ে বললাম,
----এটা কি করলেন?  
তখন বারিশ আমার দু গাল চেপে ধরে বললেন,
----আমি মানা করেছিলাম না? তাদের সাথে কথা বলতে কেন বললে? আমার কথার দাম নেই তোমার কাছে?
আমি বারিশ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বললাম,
----এ কি জন্তুদের মত ব্যবহার করছেন আমার সাথে? আর আমি আমার পরিবারের সাথে কেন কথা বলবো না!  কেন?
বারিশ এক হাতে আমার থুতনিতে চেপে ধরে হিসহিস করে বলতে লাগে,
----আমি না করেছি তাই..!
----আপনি এমন কেন করছেন? ব্যথা পাচ্ছি আমি..!
----ব্যথা পাওয়া জন্যই দিয়েছি..! আমার কথার অমান্য করলে এর থেকে খারাপ হবে তোমার সাথে।
তখনি কাজের মেয়ে খাবার নিয়ে আসে।
বারিশ টেবিলে রাখে চলে যেতে বলে।
----যাও ফ্রেস হয়ে আসো এক সাথে খাবো?
আমি তার ব্যবহারে অবাক হচ্ছি। আমার সাথে এত বাজে ব্যবহার করে এখন তার সাথে খেতে বলছে কখনো খাবো না। হাই ঘাপটি মেরে বসে রইলাম।
তখন বারিশ একটা বাজখাই ধমক মারে, যার জন্য আমার পিলে চমকে যায়।সাথে ফ্রেস হয়ে এস বসি।
তখনি বারিশ এক প্লেটে খাবার বেরেছে। আর আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আমি পানি দিয়ে গিলচ্ছি। চোখ দিয়ে পানি পরছে আমার। বার বার গলায় খাবার আটকে যাচ্ছে আমার। তখন বারিশ স্বাভাবিক ভাবে বলে,
----বাবুইপাখি!  প্লিজ কাঁদে না। আমার কথা কেউ না শুনলে রাগ চেপে যায় মাথায়।
আমি কিছু বললাম না, তার দিকে চেয়ে রইলাম উনি আজ আমাকে বাবুইপাখি বলেছেন সব কষ্ট যেন এম মুহুর্তে উধাও হয়ে গেল  আমার।
তখনি বারিশ আমার চোখের পানি মুছে বলে,
---আ'ম সরি! তোমার উপর হাত তোলা  উচিত হয়নি আমার। বলে জড়িয়ে ধরলেন।
আমি তার কাজে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। কি হচ্ছে আমার সাথে?  বারিশ এমন কেন করছে? ফুপির কথা? সব মিলিয়ে মাথা আউলিয়া যাচ্ছে। তখাি বারিশ আমার চুলে হাত চালিয়ে বলল,
----কাল থেকে তুমি ভার্সিটিতে যাবে।আর হে ভার্সিটি  টু বাসা। যব আর করতে হবে না। আর হে তোমার পরিবার থেকে দূরে থাকবে বাবুইপাখি।  নয়তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না তোমার জন্য। আর হে ছেলেদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে কেমন?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। এক দিনে সব কিছু এমন ভাবে পাল্টে যাবে! ভাবতেই পারিনি আমি...!!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন