আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ০৪ - সিজন ২ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


"" কাজ টা একদম ঠিক হয়নি অনিল আমাকে আগে জানানো উচিত ছিলো তোমার""

"" স্যরি কুইন আসলে কিছুক্ষন আগে বাড়ির সারবেন্ট আমাকে ফোন করে জানিয়েছে "" 

"" গেট লষ্ট ""

অনিল দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে......

ছন্দ টেবিলের উপর রাখা কফির মগ টা ছুড়ে ফেলে দিয়ে মাথা চেপে ধরে বলে...."" এটা একদম ঠিক হলো না এখন ওদের বিডিতে আসা রিস্কি ৷ আয়মান চৌধুরী যদি ওদের কোন ভাবে কথা হাতের লাগাল পেয়ে যায় তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে ৷ ওদের সেইফটির ব্যাবস্তা আমাকে করতে হবে৷ " 

ছন্দ ল্যাপটপে বসে কিছু কাজ সেরে Md কে কল করে সব টা বুঝিয়ে দেয় ৷ 

_______________

'' এতো রাতে তুমি এখানে কোন প্রব্লেম হয়নি তো?""(মুরাদ)

"" প্রব্লেম তো তুমি মুরাদ এটা কি তুমি জানো না? তোমার জন্য আজ এতো কিছু ঘটছে এবং এর পরও ঘটবে কিন্তু তুমি কি করলে?""

"" বনপাখি আমি সত্যিটা তখন জানতাম না ৷ আমার কাছে মনে হয়েছিলো ছন্দ আমাদের সামনে যে রুপে থাকে এটা তার আসল রুপ না ৷ তার আরো একটা রুপ আছে যেটা তুমি আমি বর্ণ কেউ জানি না ৷ আর আমি সে রুপটাই বর্ণের...""

"" সামনে আনতে চেয়ে ছিলে তাই তো? আচ্ছা মুরাদ তোমার এতো কিসের দায় ছিলো বলতে পারো ? কেন ভাই কে এ্যাবরোড থেকে ফোন করে ডেকে আনলে বলো ? ""

"" আই এম স্যরি বনপাখি প্লিজ ফরগিভ মি প্লিজ"" মুরাদ বন্যাকে ছুতে গেলে বন্যা দু পা পিছিয়ে যায়..

"" ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু টাচ মি মুরাদ ৷ তোমাকে আমি একটা কথা-ই বলবো তুমি ভাই কে ছন্দের সত্যিটার সম্পর্কে কিচ্ছু জানাবে না ৷ আমি চাই ভাই নিজে সব টা খুজে বের করুক ৷ তার মিথ্যে ধারনা ভেঙে যাক৷ ""

"" ওকে তুমি যা চাইবে তাই হবে ৷ এবার তো আমাকে মেনে নেও বনপাখি..."" ছল ছল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগলো মুরাদ..

বন্যা মুরাদের চোখে পানি দেখে উলটো দিকে ঘুরে বলতে লাগলো" যে দিন আমার ভাই ভাবি এক হবে ৷ আমার ভাইয়ের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠবে সে দিন আমি ভেবে দেখবো তোমার বিষয় তার আগে নয় ..."" কথা টা বলে বন্যা আর এক মুহূর্ত না দারিয়ে বেরিয়ে যায়৷ মুরাদ চোখের কোনের পানি মুছে ৷ বন্যার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে৷  বন্যা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতে মুরাদ শার্ট টা বদলে বেরিয়ে যায় ৷ বর্ণের পাঠানো এড্রেসে ৷ 

_______________

ছোট একটা কফিশপে বসে আছে মুরাদ আর বর্ণ ৷ মুরাদের চোখে মুখে একরাশ ভয়ের ছাপ যেটা বর্ণের চোখ এয়ায় নি ৷ বর্ণ একচুমুক কফি খেয়ে মুরাদ কে প্রশ্ন করে... "" মুরাদ গত এক ঘন্টা ধরে এভাবে বসে আছিস কিন্তু কিছু বলছিস না কেন? আমাকে সবটা বল প্লিজ আমার চোখের সামনে সব কিছু অগোছালো ৷ বেরাজালে বন্ধি আমি কিছু-ই বুজতে পারছি না ৷ ""

"" বর্ণ আমি তোকে সবটা বলতে পারবো না কারন টা হলো আমি কারো কাছে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ তোকে সবটা খুজে বের করতে হবে ৷ আমি তোকে সাহায্য করতে পারবো না কোন ভাবে......"" 

বর্ণ এবার ও নিরাশ হলো বর্ণ কোথা থেকে শুরু করবে এটাই ভাবতে থাকে তখন মুরাদ বলে ওঠে.... 

"" বর্ণ তোকে একটাই কথা বলবো তুই  তোর আগের রুপে ফিরে আয় ৷ দেখবি তুই তোর নিজে-ই নিজের প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবি ৷ আর আমি জানি আয়ান চৌধুরী বর্ণ কখনো হারতে পারে না ৷ তুই নিজে পারবি নিজের সব প্রশ্নের উওর খুজে নিতে...."" 

বর্ণ কিছু বললো না কয়েক চুমুক কফিটা খেয়ে শেষ করে ৷ বিল পে করে উঠে যায় ৷ মুরাদ এখনো ওখানে বসে আছে ৷ দুরে দারিয়ে বন্যা সবটা দেখে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় মুরাদ ওকে দেখার আগে৷ 

______________

হসপিটালের বেডে শুয়ে শুয়ে একের পর এক প্লান করে যাচ্ছে রাহুল৷ এখন শুধু অপেক্ষা প্লান গুলো এক্সিকিউট করা ৷ কিন্তু যতোদিন রাহুল হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে ঠিক ততোদিন সে কোন প্লান বর্ণের উপর এক্সিকিউট করতে পারবে না বিধায় রাহুল ডক্টর কে কনভেন্স করে তাকে যতো তারাতারি সম্ভব হসপিটাল থেকে রিলিজ দেওয়ার জন্য ...... 

"" ডক্টর আপনি আমার আঙ্কেল কে বলবেন আমাকে এখন হসপিটালে না থাকলেও চলবে ৷ বাড়ি শুয়ে রেস্ট নিলে চলবে..."

"" ওকে বাট মিস্টার রাহুল আপনি এই অবস্তায় যাওয়াটা ঠিক হচ্ছে না ৷ আপনার শারিরীক ভাবে ক্ষতি হতে পারে....""

"" আমি সেটা দেখে নিবো ৷ আপনাকে যেটা বললাম আপনি সেটাই করুন প্লিজ...""

"" ওকে ... "  

পরেরদিন সকালে Md আসতে দেখে রাহুল রেডি হয়ে বসে আছে ৷ রাহুল কে এভাবে দেখে Md বেশ অবাক হয়৷ রাহুল খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যে বলে Md কে  কনভেন্স করে তার সাথে ফিরে আসে ৷ 

________________

ছন্দ জগিং করে ফিরে এসে ফ্রেস হয়ে ড্রইং রুমে কফি খেতে লাগলো ৷ তখনি গাড়ির আওয়াজ শুনতে পেয়ে ছন্দ মেইন ডোরের দিকে তাকিয়ে দেখে কাব্য রুনা কিরন কায়রা সায়মা এসে হাজির ৷ ছন্দ তার রাগ টা কন্ট্রোল করে দু হাত ভাজ করে কাব্যের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কাব্য শুকনো ঢোক গিলে সায়মার দিকে তাকাতে সায়মা ছুট্টে গিয়ে ছন্দ কে জরিয়ে ধরে বলে."" আপু তুমি আমাকে একা ফেলে কোথায় চলে গিয়ে ছিলে ৷ তুমি জানো ওরা খুব পচা আমাকে ইয়া বড় বড় সুই গলায় ফুটিয়ে দিয়েছে ৷ ""

সায়মার কথা শুনে ছন্দ কাব্য রুনার দিকে তাকাতে রুনা বলে উঠলো "" ছন্দরানী সায়মা তখন আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গিয়েছিলো দেখো তোমার ভাইয়ের হাত কামড়ে কি করেছে ৷ ""

ছন্দ তাকিয়ে দেখে সত্যি তার ভাইয়ের হাতের খুব বাজে অবস্তা ৷ 

"" ভাবি জার্নি করে এসেছো উপরে যাও গিয়ে রেস্ট করো ৷ উপরে তোমাদের খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি ৷""

"" না না মামুনি উপরে কেন আমরা সবাই এক সাথে বসে খাই ""

"" এখন তোমাদের কাউ কে নিচে আসতে হবে না লান্চ একসাথে করো ৷ ""

কায়রা আর কিছু বলার সাহস পেলো না ৷ কিরন কে রুনার কোল থেকে কোলে নিয়ে উপরে চলে গেল ৷ কাব্য পিছু পিছু উপরে চলে যায় ৷ অনিল ছন্দের নির্দেশে সায়মা কে নিয়ে নিচের কোর্নারে রুমে নিয়ে যায় ৷ অনিল ছন্দের নির্দেশে পুরো রুম টা সায়মার পছন্দ মতো ডেকোরেট করে ফেলে গতকাল রাতে ৷ সায়মা রুম টা দেখে ভিষন খুশি হয়৷ ফিমেইল সার্বেন্ট এসে সায়মা কে ফ্রেস করিয়ে খাইয়ে দেয়৷ 

রুনা ছন্দের কাছে এসে বলতে লাগলো "" ছন্দ আমি জানি তুমি তোমার ভাইয়ের উপর রাগ করে আছো বাট ট্রাস্ট মি তোমার ভাই শুধু বিডিতে এসেছে সায়মার জন্য ৷ সায়মা এতোটা ডেস্পারেট হয়ে পরেছে যে সামলানো যাচ্ছিলো না তাই... " বাকিটা বলতে না দিয়ে ছন্দ বলে উঠলো "" উপরে যাও ভাবি রেস্ট করো ... "" 

রুনা মন খারাপ করে উপরে যেতে নিলে পিছুনে কারো কন্ঠস্বর শুনে থেমে যায় ৷ পিছুনে তাকিয়ে দেখে রাহুল দারিয়ে...

 রুনা তার কাজিন রাহুলের মাথা হাতে শরীলে ব্যান্ডেজ দেখে ঘাবড়ে যায় রুনা..."" ভাইয়া তুই , তোর এই অবস্তা কি করে হলো ? ""

রাহুল ছন্দের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে বলে "" এক্সিডেন্ট করেছিলাম ""

"" MD আঙ্কেল ভাইয়া যা বলছে তা কি সত্যি?""

MD এক বার ছন্দের দিকে তাকিয়ে দেখে ছন্দের চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে আছে ৷ Md শুকনো ঢোক গিলে রুনা কে বললো " হ্যা এক্সিডেন্ট করেছে ৷ তুমি চিন্তা করো না রাহুল কিছুদিন বেড রেস্ট নিলে সুস্থ হয়ে যাবে৷ ""

তখন ছন্দ বলে উঠলো "" MD আপনি রাহুল কে রুমে নিয়ে যান ৷ আর ভাবি তোমাকে আমি উপরে যেতে বলেছি "" 

রুনা আর কিছু না বলে উপরে চলে গেল ৷ M D দ্রুত রাহুল কে নিয়ে যায় তার রুমে.....

____________________________

আয়মান চৌধুরী মিসেস বর্ণালি আর বন্যা ব্রেকফাস্ট টেবিলে বর্ণের জন্য অপেক্ষা করছে ৷ হঠাৎ বন্যার চোখ উপরে দিকে যেতে বন্যার চোখ ছানাবরা ৷ খুশিতে চোখ জ্বল জ্বল করছে বন্যার ৷ বর্ণ ঠিক আগের মতো করে সেজেছে ৷ যেমন টা তিনমাস আগে ছিলো৷ ঠোটের কোনে লেগে থাকতো এক চিলতে হাসি ৷ বন্যার হাসি খুশি মুখ দেখে মিসেস বর্ণালি আর আয়মান বন্যার দৃষ্টি লক্ষ করে তাকিয়ে বর্ণ কে দেখে মিসেস বর্ণালি ভিষন খুশি হয় কিন্তু আয়মান চৌধুরী মটেও খুশি হন না ৷ চোখে মুখে বিস্ময় আর রাগ ৷ আয়মান চৌধুরী মনে মনে ভাবতে লাগলো  নিশ্চয় বর্ণের এই বদলানোর পিছুনে ছন্দের হাত আছে ৷ 

"" নাহ আমার আর অপেক্ষা করলে চলবে না ৷ এবার আমাকে কিছু করতে হবে ৷ বর্ণের সবটা জানার আগে ওই মেয়েটাকে আমার শেষ করতে হবে ৷ যাকে সবটা দিয়ে ঘৃনা করি তার মেয়েকে আমার ছেলে বউ করে ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ৷ তার আগে ওকে ওর মা বাবার কাছে পাঠিয়ে দিবো ..... " 
 
আয়মানের ভাবনার মাঝে বর্ণ এসে তার পাশের চেয়ারে বসে পরে ৷ বর্ণালি তার ছেলে কে ব্রেকফাস্ট টেবিলে দেখে খুশিতে চোখের কোনে জল জমা হয় ৷ একে একে বর্ণের প্লেটে খাবার সাজিয়ে দিলো ৷ বর্ণ মুচকি হেসে খাবার খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়৷ 

অফিসে এসে বর্ণ মিহির কে ডেকে পাঠায়৷ মিহির আসতে বর্ণ বলে"" মিহির আমি এই লোক গুলোর  ইনফরমেশন চাই ৷ "" বর্ণ ছবি গুলো মিহিরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো... 

"" ওকে বস পেয়ে যাবেন সব ইনফরমেশন বাট বস মিস SJ মানে ছন্দ ম্যাম ওনার সামনে যেতে না আমার কেমন যেন হাত পা কাপঁতে থাকে..."

বর্ণ মিহিরের কথা শুনে হেসে ফেলে ... 

"" বস প্লিজ হাসবেন না আমি সত্যি বলছি ম্যাম কে দেখলে আমার ভিষন ভয় করে ৷ এতোটা গম্ভির এতো টা এটিটিউড ইগো শুধু মাত্র ম্যামের ভিতর দেখলাম ৷ ""

বর্ণের এবার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল ৷ এবার বেশ গম্ভির গলায় মিহির কে বললো" দু ঘন্টার মধ্যে আমার ইনফরমেশন গুলো চাই .." 

"" ওকে বস .." মিহির তার ফোন হাতে নিয়ে কাউকে কল করতে করতে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল৷ বর্ণ টেবিলের উপর রাখা কাচের গোলকটা ঘুরাতে ঘুরাতে বলতে লাগলো"" আমি জানি না সে দিন কি ঘটে ছিলো তবে সত্যিটা এবার আমি খুজে বের করবো ৷ কে আসল অপরাধী সেটা আমি খুজে বের করবো টিয়াপাখি ..."" 

বর্ণের কেবিনে এটার্চ ছোট্ট একটা কিচেন আছে ৷ বর্ণ নিজে নিজের কফি বানাতে সেই কিচেনে ঢুকে কফি বানিয়ে নিয়ে আসে৷ ফিরে এসে বর্ণ তার চেয়ারে দিকে তাকিয়ে দেখে কেউ তার চেয়ারে বসে আছে উলটো দিকে ফিরে ৷ বর্ণ কপাল কুচকে কফির মগ টা টেবিলে স্বজোরে রেখে বলে"" আমার পারমিশন ছাড়া আমার কেভিনে ঢোকার সাহস কি করে হয় ৷ আর কে আপনি? "" 

সামনে চেয়ারে বসা মানুষ টা সামনে ঘুরতে বর্ণ শক্টড ...

"" টি,,,টিয়াপাখি....""

"" SJ , SJ আমার নাম মিস্টার আয়ান চৌধুরী...."" 

"" ওকে, ফাইন আপনি আমার কেভিনে আমার পারমিশন ছাড়া ঢুকেছেন কেন ? এটা কোন ধরনের ম্যানার্স..!""

"" মিস্টার চৌধুরী আপনি হয়তো ভূলে যাচ্ছেন এই চৌধুরী এম্পায়ারের বর্তমান মালিক এখন আমি আর আমার অফিসে আমি নিশ্চয় আপনার পারমিশন নিতে যাবো না? বরং আপনি আমার পারমিশন নিয়ে অফিসে বাড়িতে ঢুকবেন..."" 

ছন্দের কথা শুনে বর্ণ গা কাপিয়ে হাসতে লাগলো.........

""" রিয়েলি মিসেস চৌধুরী  উপস স্যরি মিস SJ জোকসটা ভালোই ছিলো ৷ কিছু ফেইক পেপারস দেখালে যে আমি বিশ্বাস করবো এটা সত্যি তাহলে দেন ইউ আর রং কজ আমি কোন পেপারস না পড়ে সাইন করি না ...""

"" রেইলি মিস্টার চৌধুরী তাহলে চলুন আপনার ভূল ধারনা আমি ভেঙে দি? ""


 ""মানে..""

"" মানে টা খুব সিমপল মিস্টার চৌধুরী..."" ছন্দ কিছু বলতে যাবে তখনি মিহির দরজায় নক করে ভিতরে ঢুকে ছন্দ কে দেখে মিহিরের হাত পা কাপতে লাগলো.. বর্ণ মিহিরের অবস্তা বুজতে পেরে মিহিরের হাত ধরে বর্ণ বাইরে টেনে এনে বলে..... "" কাম ডাউন মিহির ৷ শান্ত হো এখানে টিয়াপাখি নেই৷ "" 

বলতে বলতে বর্ণ একজন স্টাফ কে এক গ্লাস পানি আনতে বলে ৷ পানি মিহিরের হাতে  দিতে মিহির দ্রুত পানিটা খেয়ে শেষ করে করুন চোখে বর্ণের দিকে তাকিয়ে বলে" বস ম্যাম এতো ভয়ঙ্কর কেন ? উনি তো আপনার থেকে দশ কাঠি উপরে...""

"" মানে!...""

"" বস আমি সেই ইনফরমেশন কালেক্ট করেছি ৷ দেখুন এই ফাইল টা..."" মিহির কথা ঘুরিয়ে ফাইলটা বর্ণের হাতে দেয় ৷ বর্ণ ফাইল টা ভালো করে চেক করে ৷ রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আসে বর্ণের....

"" বস আপনার দেওয়া ছবি গুলোর মানুষ গুলো এক একটা পশু ৷ এদের কোন অস্তিত্ব নেই বর্তমানে পৃথিবীতে তবে এখনো আরো কিছু জানার বাকি আছে যেটা আমি খুজে বের করতে পারেনি ৷ "" 

 মিহিরের কথা শুনে বর্নের মুখের কোন পরিবর্তন হলো না ৷ সাব্বির আহাম্মেদ , কিয়ারা বেগম, সাগরিকা বিশ্বাস, প্রত্যেকে ছন্দ নিজের হাতে খুন করেছে ভাবতে বর্ণের পুরো শরীল শিউরে উঠছে ৷ তার টিয়াপাখি এমন কিছু করতে পারে তা তার জানা ছিলো না ৷ ছন্দের উপর কেন যেন চেয়েও ঘৃনা করতে পারছে না বর্ণ কিন্তু কেন? তার কোন উওর জানা নেই বর্ণের......

"" মিহির ছন্দ কেন এদের মারলো?""

"" এটা এখনো জানা যায়নি বস তবে আমি খুব শীগ্রই তা জেনে যাবো ৷ বাট বস একটা রিকুয়েস্ট আমাকে প্লিজ ম্যামের সামনে আসতে বলবেন না প্লিজ....."" 

বর্ণ কিছু একটা ভেবে ফাইলটা হাতে নিয়ে কেভিনে চলে গেল৷ কেভিনে ঢুকে দেখে ছন্দ তার রাখা কফি টা খাচ্ছে ৷ 

"" চলে এসেছেন মিস্টার চৌধুরী "

"" এটা কি হলো আপনি আমার বানানো কফি খেলেন কেন?""

"" ওহ আচ্ছা এটায় বুঝি আপনার নাম লেখা ছিলো? যাই হোক এই সব স্টুপিড বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না আপনার সাথে ৷ এখন মন দিয়ে এই পেপারস গুলো দেখুন ..."" 

বর্ণ পেপারস গুলো হাতে তুলে নিয়ে ভালো করে চেক করে ৷ পেপারস গুলো আসল ৷ 

"" কি হলো মিস্টার চৌধুরী মুখের কথা গুলো বন্ধ হয়ে গেল কেন?"

"" আ,, আমি কখন সাইন করলাম পেপারস গুলোয়?""

ছন্দ হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে উঠে  দারিয়ে বলতে লাগলো"" মিস্টার চৌধুরী আমাকে এতো লাইটলি নেওয়া টা আপনার লাইফের সব থেকে বড় ভুল ৷ যাই হোক সাইন টা আসল আর আপনি করেছেন ৷ ভুলে যাচ্ছেন আমার পিএ আপনাকে কন্ট্রাক পেপারস দিয়ে ছিলো আর আপনি না দেখে তাতে সাইন করে দিয়েছেন৷ ""

"" এর মানে ওই পেপারসে ... বাকিটা বলার আগে ছন্দ বলে উঠলো ...

"" হ্যা ওই পেপারসের ভিতরে পেপারস গুলো ছিলো৷ ""

"" এটা তো ধোকা...."

"" ধোকা!  হা হা হা কে বলছে এটা ধোকা ৷ ধোকা কাকে বলে জানেন মিস্টার চৌধুরী ধোকা তাকে বলে যখন কেউ কারো আপন বিশ্বস্ত লোক হয়ে পিট পিছে ছুড়ি মারে ৷ ধোকা কাকে বলে জানেন মিস্টার চৌধুরী ? ধোকা তাকে বলে একজন স্বামী তার স্ত্রী কে বিশ্বাস না করে তাকে মেরে ফেলতে চায় ৷ সবটা না জেনে শুনে শুট করে দেয় তার বাবার মিথ্যে কথা শুনে ৷ আসল সত্যতা খুজে বের না করে দোষী রুপে সাবস্ত করে তাকে ধোকা বলে ৷ আর আজ এটা আপনি ধোকা বলছেন লাইক সিরিয়াসলি ? ""

ছন্দের প্রত্যেকটা কথা বর্ণ বোঝার চেষ্টা করেও ব্যার্থ ৷ ছন্দ বর্ণের মুখ দেখে বাকা হেসে বলে"" মিস্টার চৌধুরী আমি এখানে এসেছি অর্ডারের বিষয় কথা বলতে ৷ আগামি এক সপ্তাহের ভিতর আপনি মাল ডেলিভারি দিবেন নাহলে আমি কন্ট্রাক ক্যান্সেল করতে বাধ্য হবো ৷""

"" ওকে আপনি এক সপ্তহের ভিতর ডেলিভারি পেয়ে যাবেন মিস SJ ..": এটিটিউড নিয়ে বললো বর্ণ .. 

ছন্দ শুধু ঠোটের কোনে বাকা হাসি দিয়ে কেভিন থেকে বেরিয়ে গেল৷ ...

বর্ণ ছন্দের চলে যাওয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলতে লাগলো"" আই ডোন্ট নো তুমি কি বুঝাতে চেয়েছো আমায় বাট ট্রাস্ট মি এবার তুমি এই আয়ান চৌধুরী বর্ণ কে  অন্য রুপে দেখবে ৷ যদি সত্যি তুমি অপরাধী হও তাহলে এই বর্ণের থেকে তুমি ছাড় পাবে না ৷ আর তুমি যদি দোষী না হও অন্য কেউ হয় তাহলে তাকে এই বর্ণ ছেড়ে দিবে না তাকে শেষ করে দিবে৷  শুধু সময়ের অপেক্ষা টিয়াপাখি ৷ তারপর সব পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে৷..""

______________________________________________________________

'' কাজ হয়েছে?""

"" যে স্যার কাজ হইছে ৷ ওই ম্যাডামের গাড়ির ব্রেক ফেল করে দিসি ৷ একটু পর খবর পাইবেন হেতি আর নাই"" 

"" গুড জব তুই তোর পুরষ্কার পেয়ে যাবি .."" বলতে বলতেএকটা চলন্তু ট্রাক এসে লোকটাকে পিষে ফেলে...সাথে ফোন টা ছিটকে পরে তিন খন্ড হয়ে যায়..

হুট করে কল কেটে যেতে আয়মান চৌধুরী হাসতে লাগলো... "" যাহ তোর পুরষ্কার তোকে দিয়ে দিয়েছি ৷ এবার শান্তির ঘুম ঘুমা ৷  """ 

"" আজ তো ওই আফাজের মেয়ে কে মরতে হবে ৷ মরার টিকিট কাটা শেষ এখন শুধু ওর উপরে যাওয়ার অপেক্ষা ..... "" আয়মান চৌধুরী মদ খেতে খেতে কথা গুলো বলে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো.... 

অন্যদিকে ছন্দ তার গাড়ির সামনে  আসতে ৷ অনিল দৌড়ে আসে ছন্দের কাছে ...

"" কুইন , কুইন এই গাড়িটা আপনার জন্য সেইফ না ৷ আয়মান চৌধুরী আপনাকে মারার জন্য এই গাড়ির ব্রেক ফেল করে দিয়েছে ৷ খবর টা মাত্র পেলাম...""

" বাহ এই অবস্তায় আমাকে শেষ করার প্লান করেছে দূর্দান্ত বেপার তবে আয়মানের ইচ্ছে টাই পূরন করি করি ..."" ছন্দ অনিল কে কিছু বলতে না দিয়ে ড্রাইবিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়৷ অনিল পিছুন থেকে ডেকেও থামাতে সক্ষম হয় না অনিল৷ 

সচ্ছ কাচেঁর দেয়ালের সামনে দারিয়ে বর্ণ এতোক্ষন সবটাই দেখলো যখন অনিলের চোখে মুখে আতঙ্ক ভয় দেখলো তখন আর বর্ণ নিজেকে আটকাতে পারলো না ছুটে নিচে চলে আসলো....

" মিস্টার অনিল আপনাকে এতোটা টেন্স লাগছে কেন? এনেথিং রং?"

"" ইয়েস মিস্টার চৌধুরী কুইন এর গাড়িটা কেউ ব্রেক ফেল করে দিয়েছে ৷ কুইন কে সব বলার পর ও কুইন ওই গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে গেল...""

কথা গুলো শোনার পর বর্ণের মনে হলো তার  কলিজায় কেউ যেন ছুড়ি চালিয়ে দিলো ৷ বর্ণ এক মুহূর্ত ওয়েস্ট না করে তার গাড়ি নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায়৷ 

ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে ছন্দ ৷ ছন্দ জানে গাড়ি তার কল্ট্রোলে নেই ৷ লোকালয়ে থাকা মানে নিম্ন বিত্তদের ক্ষতি হওয়া যেটা ছন্দ মরে গেলেও চাইবে না ৷ ছন্দ লোকালয় ছেড়ে নদীর দিকে এগোতে লাগলো ৷ বর্ণ তার পিছু পিছু গাড়ি নিয়ে আসছে তবে ছন্দের গাড়ির নাগাল পাচ্ছে না কোন ভাবে বর্ণ৷ ছন্দ হর্ন বাজিয়ে সামনে রাস্তা ক্লিয়ার করে নদীর দিকে  যাচ্ছে ৷ বর্ণ যখন বুজতে পারলো ছন্দ কি করতে চাইছে তখন অনেক দেরি হয়ে যায় ৷ ছন্দ অলরেডি গাড়ি নিয়ে নদীর অতলে হারিয়ে গেছে ৷ 

বর্ণ গাড়ি থেকে নেমে পাগলের মতো ছুটে নদীতে নেমে গেল ৷ বর্ণের পাগলামি আর কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া এমন বিরল ঘটনা দেখে এক জন দুজন করে ভীর জমে গেল নদীর পাড়ে ৷ অনিল অলরেডি ডুমুরি নামিয়ে দিয়েছে নদীতে ৷ কিন্তু বর্ণ কে কোন ভাবে সামলানো যাচ্ছে না ৷ অনিল বর্ণের সাথে না পেরে বাধ্য হয়ে  তাদের কুইনের কায়দায় ৷ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বর্ণ ৷ অনেক খুজার পর ছন্দের গাড়িটা উদ্ধার করা হয় কিন্তু গাড়িতে ছন্দ কে পাওয়া যায় না ৷ এতোক্ষন আয়মানের লোক পুরো টা ভিডিও লাইভ দেখাচ্ছিলো আয়মান কে ৷ আয়মান ছন্দ কে না দেখতে পেয়ে ভেবে নেয় ছন্দ শেষ ৷ তার প্লান সাকসেস ফুল এটা ভেবে আনন্দে পুরো দু পেগ মদ খেয়ে ফেলে ৷ 

ঘন্টা খানিক পর বর্ণের জ্ঞান ফিরতে বর্ণ নিজেকে তার গাড়িতে আবিষ্কার করে ৷ বর্ণ গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখে ছন্দের গাড়িটা কিন্তু ছন্দ কে কোথাও দেখতে পায়না ৷ অনিল খুব সুকৌশলে রিপোটার পুলিশদের সামলে নেয় ৷ হঠাৎ করে বর্ণ অনিলের কলার্ট ধরে প্রশ্ন করে "" আমার টিয়াপাখি কোথায় মিস্টার অনিল?""

"" জানি না কুইন কোথায়? এখনো কুইন কে খুজে পাওয়া যাইনি ৷ আপনি ফিরে যান মিস্টার চৌধুরী ...""

""" তুই কে বলার আমি এখানে থাকবো কি থাকবো না ? "" 

"" আমি কুইনের পিএ মিস্টার চৌধুরী ... বরং আপনি কে যে এখানে থাকার অধিকার দেখাচ্ছেন? যাই হোক কলাট ছেড়ে কথা বলুন.."" শান্ত গলায় বললো অনিল.. বর্ণ অনিলের শাটের কলাট ছেড়ে দিয়ে দুরে সরে দারিয়ে নিজের রাগ টা দমন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ 

বর্ণ অনিল কে কিছু জ্বিগাসা করতে যাবে তখনি দেখে অনিল নেই ৷ চারিদিকে কোন মানুষ নেই শুধু মাত্র ছন্দের গাড়িটা ছাড়া ৷ বর্ণ বুজতে পারছে না হুট করে সব লোক কোথায় ভ্যানিস হয়ে গেল?"

বর্ণ কারো তোয়াক্কা না করে আবার নদীতে নেমে ছন্দ কে খোজার চেষ্টা করছে পাগলের মতো... 

অন্যদিকে সামনে দারিয়ে থাকা মানুষটা কে দেখে আয়মানের গলায় মদ যেন আটকে গেল ৷  সাথর বুকে ব্যাথা , আয়মান গলা ধরে কাশতে কাশতে বলতে লাগলো"" তু,, তু,,তুই বে,,চে আ,, ছিস?""

"" ইয়েস মিস্টার আয়মান চৌধুরী SJ বেচে আছে এন্ড সি খুব ভালো আছে ৷ কি ভেবে ছিলি তোর ওই নরবরে প্লানে আমি শেষ হাউ ফানি ৷ লেট মি ক্লিয়ার দিস মিস্টার আয়মান চৌধুরী ৷ এই SJ কে শেষ করার মতো ক্ষমতা তোর নেই ৷ আর না কখনো হবে আমি তোর ধ্বংস নিয়ে এসেছি ৷ তোর সেই ক্ষমতা নেই আমাকে শেষ করার বরং আমি তোকে এই মুহূর্তে  শেষ করে দিতে পারি৷ ""

আয়মান বুক চেপে ধরে ছটপট করে যাচ্ছে হুট হাট চমক তার জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট আর ছন্দ ঠিক তাই করছে তীলে তীলে কষ্ট দিয়ে মারবে এই লোকটাকে কোন মতে ছাড় দিবে না আর কোন দয়া দেখাবে.... 

বুকে হাত দিয়ে চোখ বুজে ফেলে মিস্টার আয়মান৷ 

বাড়িতে ঢুকতে রাহুলের মুখোমুখি হয়  ছন্দ ৷ রাহুল ছন্দ কে দেখে মিষ্টি করে হেসে ভাঙা হাত নিয়ে ছন্দের দিকে এগোতে নিলে পিছুন থেকে রুনা আটকে দেয় রাহুল কে....

" ভাইয়া এখন তোর রেস্ট করার সময় আর তুই এভাবে হেটে বেরাচ্ছিস কেন ? চল রুমে চল ..""

 রাহুল কে আর বলার সুযোগ না দিয়ে রুনা রাহুল কে টেনে রুমে নিয়ে যায়৷ 

"" ভাইয়া তুই কি তোর প্রান টা হারাতে চাস?"

"" এটা কেন তোর মনে হলো যে আমি আমার প্রান হারাতে চাই?""

" হ্যা চাস বলে ননোদিনির পিছুনে পরে আছিস ৷ শোন ভাইয়া আঙ্কেলের কাছ থেকে আমি সবটা শুনেছি  তোর এই অবস্তা কি করে হলো সেটাও জানতে পেরেছি ৷ তাই বলছি আগুনে ঝাপ দিতে যাস না পুরে ছাই হয়ে যাবি ৷""

" রুনা আমি এখন রেস্ট নিবো তুই আসতে পারিস..."" 

রুনা আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল৷ 

______________________________________________________________

চোখ বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে আছে ছন্দ ৷ আয়মানের ভয়ার্থ মুখটা চোখের সামনে ভেষে উঠতে ছন্দের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো .... 

ছন্দ মনে মনে আয়মানের জন্য আরো বিশেষ কিছু ভেবে রেখেছে ৷ হঠাৎ দরজায় কেউ নক করতে ছন্দ উঠে বসে রুনা খাবারের ট্রে নিয়ে ভিতরে ঢুকে ...

"" ছন্দরানী খাবারটা ঝটপট খেয়ে নেও তো ..""

"" আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে না নিয়ে যাও এগুলো.."" 

রুনা এবার বেশ রাগি কন্ঠে বলে  উঠলো "" ননোদিনি এবার কিন্তু খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে ৷ শরীলের কি অবস্তা করেছো তুমি দেখেছো একবার হাহ! আমি কোন কথা শুনতে চাই না ৷ তুমি এই সব খাবার খাবে আর আমার হাতে .... ""

ছন্দ কিছু বলতে যাবে তখনি রুনা খাবার নিয়ে ছন্দের মুখে ঢুকিয়ে দেয়৷  

"" আর একটা কথাও বলবে না তুমি ঝটপট খেয়ে নেও ...."" 

ছন্দ চুপচাপ খাবার টা খেয়ে নেয়৷ অন্যদিকে বর্ণ পাগলের মতো গাড়ি চালিয়ে ছন্দের বাড়িতে এসে পৌছায় কিন্তু গার্ড কোন ভাবে বর্ণ কে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না ৷ গার্ড ছন্দ কে ফোন করে জানালে ছন্দ কড়া আদেশ যেন বর্ণ কে ভিতরে ঢুকতে না দেওয়া হয়৷ 

বর্ণ ভিতরে ঢুকতে না পেরে গাড়ি নিয়ে ফিরে যায় বর্ণ ৷ এলোমেলো পা ফেলে চৌধুরী ম্যানশনে ঢুকতে বর্ণ.......
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।