ঠোঁটের উপর ইউসুফের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আবার জ্ঞান হারায় কুহু।ইউসুফ যখন বুঝতে পারে কুহুর আর নড়াচড়া করছে না।তখন ওকে ছেড়ে দেয়।রাগটা ততখনে কন্ট্রোলে চলে আসে।কুহুকে ঠিক করে শুইয়ে দেয়। আর ঠোঁটের কনে লেগে থাকা রক্তটুকু মুছে দেয়।কঁপালের উপর এলোমেলো পরে থাকা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে কঁপালে চুমু এঁকে বের হয়ে যায় রুম থেকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বসে কুহু মাথাটা ঝিম ঝিম করছে আর ঠোঁটের কোনে জ্বলছে। রাতের কথা মনে পড়তেই ভয়ে কেঁপে উঠে বুকে। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে কাউকে না দেখতে পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
তখনি টুং করে মেসেজ বেঁজে উঠে,
কুহু ফোনটা তুলে মেসেজ দেখতেই থম মেরে রয়।মেসেজটা ইউসুফ করেছে,
" আজকের মাঝে ঢাকা না আসলে কালকের মাঝে তুমি ভাইরাল বাবুইপাখি।পরে বলো না ওয়ার্নিং দি নাই।😉"
কুহু এবার ফুঁপিয়ে কেঁদে দিল।তখনি ঘরে আসলেন কুহুর দাদু।কুহুকে কাঁদতে দেখে বুকে মোচড় দিয়ে উঠে।সাথে কুহুর পাশে বসে মাথা হাত বুলিয়ে বলে উঠে,,
---দাদু ভাই কি হয়েছে কান্না করছিস কেন??
কুহু দাদুর বুকের সাথে লেগে এবার হাউ মাউ করে কান্না করতে করতে বলে,
---দাদু ইউসুফ ভাইয়া ফিরে এসেছে। সে আমাকে নিয়ে যাবে দাদু। আমি যাবো না দাদু ভাই। আমি যাবো না।
ইউসুফের নাম শুনে চমকে উঠে দাদু।এটা কিভাবে সম্ভব? ইউসুফরা তো চলে গেছিল তাহলে?ওর যাওয়ার সাথে সাথে অতীতও দাফন হয়ে গেছিল তাহলে আবার কি হচ্ছে? বর্তমান কেন দাফন করা অতীত গুলো খুড়ে খুড়ে তুলছে।কুহুকে সামলাতে
সামলাতে দাদু বলল,,
---কিছু হবে না দাদু! আমরা আছি তোর সাথে। তোর কিছু হবে না।
কুহু জানে এই বিপদ থেকে চাইলেও সে বের হতে পারবে না।তাই ভেবেই আরো কান্না পাচ্ছে তার।ছোট বেলার কথা গুলো ভুলেই গিয়েছিল সে।তাহলে আবার কেন ভাগ্য এসবের মুখামুখি করছে??কি চায় ভাগ্য?
__________
কুহু ঢাকায় ফিরে আসে।কুহুকে দেখে জবেদা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে বলল,,
---কুহু তুই? তুই না আর আসবি না??
কুহুর কান্না আর আটকে রাখতে পারছে না।সব বলল তার মাকে। তার মা সব শুনি ঠাটিয়ে চড় মারল। রাগে গা জ্বলছে তার।ছোট থেকেই মেয়েদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে। যেন নিজের মাকে সব বলতে হেজিটেশন না করে। কিন্তু তার মেয়ে এটা কি করে বসল। এত সব ঘটনা হয়ে গেল আর কিছু বলল না সে?এদিকে কুহু গালে হাত দিয়ে কেঁদেই চলেছে। জবেদার রাগে বলল,,
--- কান্না থামা! আগে বুঝিসনি ওটা ইউসুফ?
কুহু ভাঙ্গা গলায় উত্তর দেয়,
---তখন তো ছোট ছিলাম। বড় হওয়ার পরতো আর তাকে দেখিনি। চিনবে কিভাবে?
জবেদা এবার ঠান্ডা হলো।সত্যিইতো কি করে চিনবে সে নিজেইতো চিনবে না। রাগের মাথায় মেয়েকে মেরে বসেছে সে। কুহুর মাথা বিলি কেটে বলে উঠে,
---ঘরে যা। তোর বাবার সাথে কথা বলে দেখছি কি হয়!
কুহু চোখ মুছে বলল,,
---ভার্সিটিতে যেতে হবে!
জবেদা ভ্রু কুচকে বলল,,
---কেন!যেতে হবে না কোথাও।
কুহু অসহায়ের মতো চেয়ে রইলো তার মার দিকে।মেয়ের এমন চাহনিতে বুকে ছ্যাত করে উঠে তার। হাসি খুশি জীবন টা যে শেষ করে দিচ্ছে এই ইউসুফ তাও ছোট কাল থেকেই। কটা বছরতো শান্তিতেই ছিল তারা! আবার কেন আসতে হলো তাদের জীবনে??জবেদা বলল,,
--যাওয়া লাগবে না। যা হওয়ার হবে। রুমে যা!আমি তোর বাবার সাথে কথা বলছি!
কুহু আর কিছু বলে না রুমে চলে আসে।রুমে পা রাখতেই খাটের উপর কাউকে বসে থাকতে দেখে ভয়ে চিৎকার করে মা বলে ডাকতে নেয় কুহু! সাথে সামনের ব্যক্তিটি মুখ চেঁপে দেয়ালের সাথে ঠেঁসে ধরে হিসহিস করে বলতে লাগে,,
---একটা টু শব্দ করলে তোমার সাথে মাথে তোমার ফ্যামিলিকে ভুক্তভোগী হতে হবে আসা করি তা চাইবে না?
কুহু চুপ করে ছল ছল চোখ ইউসুফের দিক তাকিয়ে আছে। ইউসুফ মুচকি হেসে বলল,,
---গুড গার্ল মাই লেডী!
তারপর ছেড়ে দিয়ে দু হাত দেয়ালের দু পাশে গিয়ে বন্দি করে কুহুকে। কুহু সাথে সাথে দু হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতে দিতে বলে উঠে,,
--সামনে থেকে সরেন। আপনি আমার রুমে কি করেন? বের হন।
ইউসুফের যেন সেদিকে খেয়াল নেই মুগ্ধ নয়নে তার দিক তাকিয়ে আছে।কুহুর ফোলা চোখ, লাল লাক আর গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটের দিকে। কুহুর এমন ছুটাছুটিকে পাত্তা না দিয়ে ইউসুফ কুহুর দু হাত ভাল করে চেঁপে ধরে মুখে ফু দিল। ফু দিতেই কুহুর শরীরে যেন শীতল হাওয়া বয়ে গেল।কুহু সেই খানেই জমে যাওয়ার উপক্রম। তখন ইউসুফ কুহুর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে,,
---জানো আমার সাথে পারবে না! তাহলে লড়তে কেন আসো? সেই ছোটটি রয়ে গেছ।
কুহু চোখ মেলে তাকায়। নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে ইউসুফকে ধাক্কা মারে।আর চেচিয়ে বলে উঠে,,
---মুখ বুঝে সজ্জ করছি বলে তা নয় যে আমি প্রতিবার আপনার কাছে হেরে যাই। চুপ করে থাকাটা যদি আপানার মনে হয় আমি দূর্বল তাহলে সেটা আপনার ব্যর্থতা। এবার আমি আপনাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো! ওয়েট এন্ড সি?
ইউসুফ তখন ধাক্কা খেয়ে ফ্লোরে পরে গেছিল। সেখানেই দু পা ভেঙ্গে গালে হাত দিয়ে এমন ভাবে বসে যে সে কুহুর কথায় খুব সিরিয়াস ভাবে শুনছে। তারপর সিরিয়াস মুখে বলল,,
---সত্যি বাবুইপাখি! তুমি এত ডেঞ্জারাস কবে ঠিক হইলো?? আমি সত্যি ভয় পাচ্ছি! এবার কি হবে আমার? আই ডোন্ট নো? বলে হেসে ফেঁটে পড়লো ইউসুফ।
কুহু হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই ছেলেটার কি সত্যি কোনো ডোর ভয় নাই? থাকলে কি আর সে মানুষ খুন করতো???
______
পুলিশ স্টেশনে বসে আছে কুহু আর তানিয়া। কুহুর হাত পা কাঁপচ্ছে! তানিয় সেদিন বাসায় এসে সব শুনে বলে ছিল কেশ করতে।তার ভাইয়ার বন্ধু একজন সৎ পুলিশ অফিসার সে হেল্প করবেন।তাই সে অনেক ভেবে চিন্তে এ পথ ঠিক করেছে কুহু। ইন্সপেক্টর তুহিন মনোযোগ সহকারে কুহুর অভিযোগ শুনলো, তারপর বলল,,
---আপনি সিউর কেশ করবেন??
কুহু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।
তুহিন সব ডিটেলস লিখে পেপারটিতে সাইন করে বলতে লাগে,,
---আপনারা ভার্সিটিতে জান কাজ হয়ে যাবে?
কুহু আর তানিয়ে শান্তির নিশ্বাস ফেলে ভার্সিটিতে আসে। ভার্সটিতে ঢুকতেই ইউসুফ দূর থেকে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে। কুহু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বাঁকা হাসে। এ হাসি খটকা লাগে ইউসুফে। কুুহু তাকে দেখ স্মাইল করবে? হাউ ইজ পসিবল?? তাহলে কি কুহু সত্যি কোনো ফন্দি এটেছে??কুহুর দিক এভাবে গম্ভীর ভাবে তাকিয়ে চিন্তামগ্ন ইউসুফের দিক চোখ টিপ মারে কুহু। ইউসুফের এতক্ষণ ডাউট হলেও এখন ডাউট ক্লিয়ার হয়ে গেছে। সে শিওর কিছু করেছে কুহু? ইউসুফ কুহুকে এমন করতে দেখে পরনের জ্যাকেট ছাড়া মেরে ঠোঁট দুটো উঁচু করে চুমু খাওয়ার ইশারা করে বড়িবিড় করে বলে উঠে ইউসুফ,,
---ডোন্ট ওয়ারি বেবি! তুমি যত কিছু করনো কেন?? আসতে তো আমার কাছেই হবে। হয়তো সহজ ভাবে/ নয়তো আঙ্গুল বাঁকা করে?
বলে বাঁকা হাসলো। কুহু তা দেখে ভেংচি কেটে চলে গেল।
—————
আরাম করে বসে আছে পায়ের উপর পা তুলে ইউসুফ। ইন্সপেক্টর তুহিন পাশেই মাথা নত করে দাড়িয়ে।তার ভাব খানা এমন যেন তিনি অনেক বড় দোষ করে ফেলছেন।ইউসুফ ভাবলেশহীন ভাবে বসে কোক খাচ্ছে।কিছুক্ষণ পর পুলিশ স্টেশনের সামনে এসে দাড়ায় কয়েকটা ব্লেক কার।সেখান থেকে নেমে আসে সাদা পাঞ্জাবি পরা এক লোক ।তার সাথে এসেছেন লয়ার আর গার্ড।আর সেখানকার কমিশনার।কমিশনারকে দেখেই কাচুমাচু মুখ করে বলে উঠে তুহিন,,
--""স্যার আমি সত্যি জানতাম না ফয়সাল সাহেবের ছেলে। তাহলে কেশটা নিতাম না...।""
কমিশনার ধমকে উঠে বলেন,,
--""কেশ করলে আগে যাচ্ছাই বাচ্ছাই করবা না?হুট করে তিলে নিয়ে এলে? এবার তুমার প্রমোশন ক্যানসেল। ""
তুহিন কাঁদ কাঁদ হয়ে বললেন,,
--"" স্যার আমায় ক্ষমা করে দেন!""
সেদিকে খেয়াল নেই কমিশনারের।তিনি ফয়সাল সাহেবের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ফয়সাল হাত উঠিয়ে সবাইকে বাহিরে যেতে ইশারা করলেন। সাথে সাথে সবাই গায়েব। ইউসুফ কোকের বোতলে পাইপ দিয়ে কোক খেতেই ব্যস্ত। ফয়সাল সাহেব তার সামনে এসে বলল,,
---মেয়েটা কে?
---তোমার মার বান্ধীর নাতি? ইউসুফ ভাবলেশহীন উত্তর।
---মানে? চমকে উঠলেন ফয়সাল।
--যা ভাবচ্ছো তাই। লাফ দিয়ে টেবিল থেকে নেমে এসে দাড়িয়ে বলল।
---ওরে কই পেলে তুমি? ওর পিছন কেন ছাড়ছো না? কিছুটা রেগে বললেন ফয়সাল।
ইউসুফ দু কানে আঙ্গুল গুঁজে না শুনার ভাব করে কঁপাল কুঁচকে বলল,,
---উফ! পাপা ডোন্ট সাউট। কানে লাগে! জানোতো বেশী জোরে কথা আমি সইতে পারি না। সো কিপ কয়াইট। আর কি বললে, ওকে ছেড়ে দেব? নোপ। সি ইজ মাইন পাপা। ছোট বেলায় ওর থেকে দূরে রাখার জন্য তুমি আমায় বিদেশ পাঠিয়েছো। কোনো লাভ হলো বল? সে নিজেই এসে আবার ধরা দিল আমার হাতে" বলে হাসতে লাগলো ইউসুফ।
ফয়সাল সাহবের রাগ উঠতে লাগলো। ছেলবটা দিন দিন পাগলামো আবার বাড়চ্ছে। তিনি রেগেই বললেন,,
---পাগল হয়ে গেছো তুমি??
ইউসুফের সাথে সাথে রাগ মাথায় উঠে গেল। চোখ গুলো রক্তিম ধারণ করলো। সাইকোদের মতো কাঁধ বাকিয়ে তর্জনী আঙুল উঁচু করে ফয়সালকে বলল,,
---আমাকে পাগল বলো না পাপা ভাল হবে না।বলেই এক হাত ঘুষি মেরে টেবিল ভেঙ্গে ফেলে ইউসুফ।আর রাগে ফোঁস ফেঁাস করতে লাগলো।
ছেলের এ কাজে ঘাবড়ে গেলেন তিনি। কি করে ফেলেছে সে। ছেলের রন্ধে রন্ধে তার চেনা।এখন না থামালে চলবে না সব শেষ করে দিবে সে। ইউসুফতিনি ইউসুফকে সামলে বললেন,,
---আম সরি বাবা! আম সরি পাপা ভুল করেছে। তুমি বল পাপা কি করবে তাই হবে।
ইউসুফ স্বাভাবিক ভাবে বলল,,
---আমি কায়নাত কে চাই। আমার বাবুইপাখিকে চাই।
ফয়সাল ইউসুফের মাথায় হাত বুলি বলল তাই হবে।
তখন ভার্সিটিতে কুহুর সেই বিহেভিয়ার দেখেই বুঝে গেছিল ইউসুফ এমন কিছুই হবে।তার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ এসে হাজির। সকলের সামনে থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনে ক্লাস রুম থেকে।কুহুর দিকে চোখ পড়তেই কুহুর ঠেঁটে বাঁকা হাসি দেখে ইউসুফও হেসে হেসে বলে এসেছিল,,
---আমি বের হলেই তুমি বন্দি হয়ে যাবে সো গেট রেডী, সি ইউ সুন। বলে ঠোঁট উঁচু করে কিস করার ইশরা করে দু হাত উঁচু করে টা টা দিতে থাকে।
কুহু এদিকে রেগে ফায়ার হয়ে বিড়বিড় করে বলে উঠে,,
---যেমন ভাবে যাচ্ছে মনে হচ্ছে শশুর বাড়ি যাচ্ছে। আবার কিস মন চায় ঠোঁট দু টো কেঁটে ফেলে। যা তোর শ্বশুরবাড়ি পিঠে দুইটা পড়বে সব ঠিক হয়ে যাবে মাথার। হুহ!
কিন্তু কুহু কি জানে কি অপেক্ষা করছে তার জন্য?
_________
কুহুদের ড্রইং রুমে বসে আছে ফয়সাল। তার পাশেই দাড়ানো তার পিয়ে তামিম।তাদের সামনে গম্ভীর মুখ করে বসে আছে কুহুর মা জবেদা আর বাবা তারেক। পরিবেশটা পুরোই থমথমে।আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে পল্টু আর তিন্নি।তখন পিস পিস করে পল্টু বলল,,
-- ছোট পু ইনি তো সেই যে এবার মন্ত্রী হয়েছে?
তিন্নিও ফিস ফিস করে উত্তর দেয়,,
---হে। কিন্তু তিনি কেন বুঝতে পারছি না।
---আমিও!!
নিরবতা ভেঙ্গে হালকা কেশে কথা শুরু করলেন ফয়সাল সাহেব। তিনি অতি অনুনয় গলায় বললেন,,
--তারেক তুমিতো সব জানো। আমার ছেলেটা সেই ছোট বেলা থেকেই পাগল কুহু মার জন্য। একটা সময় আমরাও তাই চাইতাম। এখন যদি তুমি..!
কথা শেষ করার আগেই বলে উঠেন তারেক,,
---আগের পরিস্থিতি আর এখনের পরিস্থিতি এক না ভাইয়া তা আপনিও জানেন।
ফয়সাল অসহায় গলায় বলল,,
--দেখ ভাই ইউসুফ কুহুকে পাগলের মতো ভালবাসে তাই এমন করছে।
---আপনার সেই ছেলে পাগলামি করতে করতেই কিন্তু পাগলা গারদ থেকে ঘুড়ে এসেছে।
---ইউসুফ এখন সুস্থ্য।
--সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষ এসব করে না।
ফয়সাল দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে উঠেন,,
---আমি জানি আমি বলেও লাভ নেই। তাউ একটু ভেবে দেখ।
চলে গেলেন ফয়সাল।চোখ মুখে চিন্তার ছাপ।তখন পাশ থেকে জবেদা তারেকের হাতে হাত রেখে বলল,,
---এক কাজ করলে হয় না? কুহুকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেই? নয়তো বিয়ে দিয়ে দি? তাহলে ঝামেলা শেষ। ইউসুফও খেন্ত হবে!
ছোট শ্বাস নিয় জবেদার দিক ঘুরে বলল,,
--পাগলটার জন্য মেয়ের লাইফটা নষ্ট করে দিতে বলছো? বাবা হয়ে অন্তত এই কাজটি করতে পারব না আমি।
________
ইউসুফকে রিজেক্ট করার কথা শুনে মাথা গরম হয়ে যা তার। পুরো বাড়ি মাথা তুলে ফেলেছে সে। ইউসুফের বাবা, মা, দাদু কেউ সামলাতে পারছে না তাকে। শুধু এক কথা বলেই যাচ্ছে,,
---কায়নাত আমার। আমার হতেই হবে ওকে। নয়তো কারো হতে দিব না আমি ওরে।
ছেলের অবস্থা খারাপ হতে দেখে পিছন থেকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেয় ফয়সাল। সাথে সাথে ঢলে পরে মাটিতে ইউসুফ। ইউসুফের মা ছেলের মাথা কুলে নিয়ে কাঁদতে লাগলেনম একটা মাত্র ছেলেি তাদের তাউ অনেক তপস্যা করে পেয়েছেন। আর সেই ছেলের কি হাল হচ্ছে দিন দিন ওই মেয়াটার জন্য।ভেবেই আরো বুক ফেঁটে যাচ্ছে তার।তখনি ইউসুফের দাদু বলে উঠলেন,,
---এসবের জন্য তুমি দায়ী বউ মা। নিজের ছেলেকে নিজে না সামলে তুলে দিয়ে মেডের হাত দেখ এখন কি হাল হেয়েছে তার।
শাশুড়ির কথায় মুখ বুঝে শুনচ্ছেন তিনি সত্যিই তো দোষটাতো তারি।