আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আমার অন্তরালে তুমি - পর্ব ১৮ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প


পেপারস বের করে ছন্দের দিকে এগিয়ে দিয়ে কাট কাট গলায় বলল" তুমি যদি আমাকে বিশ্বাস কর টিয়াপাখি তাহলে পেপারসে কি লেখা আছে তা না দেখে সাইন করে দিবে.."" 

ছন্দের আর কিছু বলার প্রয়োজন পড়লো না ৷ না দেখে-ই পেপারস গুলোয় সাইন করে দিলো৷ সাইন করা শেষ হতে বর্ণ পেপারস গুলো গুছিয়ে নিজের কাছে নিয়ে নেয়৷ ছন্দ একবারের জন্য ও জানতে চাইনি কিসের পেপারস ছিলো এগুলো! 

৫৫

" আপনাকে খুব দূর্বল লাগছে?""
" হুম তার আগে বলো একবার আপনি একবার তুমি কেমন দেখায় না ?টিয়াপাখি তুমি আমাকে তুমি করে বলবে নো আপনি ওকে?"
" চেষ্টা করবো"
" নো চেষ্টা , এখুনি বলো?"
ছন্দ দাঁত দিয়ে ঠোট কামড়ে ধিরে ধিরে বললো" তুমি এখন একটু রেস্ট নেও ভোর হলে চলে যেও" কথাটা বলে ভিষন লজ্জা পাচ্ছে ছন্দ.. বর্ণ ছন্দের লাল লজ্জা মাখা মুখ টা দেখে বেশ মজা পাচ্ছে ৷ দ্রুত গিয়ে ছন্দের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরে৷ আচমকা বর্ণের এমন কান্ডে ছন্দ ঘাবড়ে যায়৷ 

"" টিয়াপাখি আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেও না প্লিজ" বর্ণের আকুল করা অনুরোধ ছন্দ ফেলতে পারলো না বর্ণের মাথায় হাত চলে গেল৷ বর্ণের ঘন সিল্কি চুল গুলো নিয়ে ছন্দ খেলছে ৷ এতো ঘন সিল্কি চুল ছেলেদেরও যে হয় এটা ছন্দ জানতো না ৷ বর্নের চুল গুলো আসতে আসতে টেনে দিতে লাগলো ৷ কিছুক্ষণ পর বর্ণের ভারি নিশ্বাসের শব্দ পেয়ে বুজতে পারে বর্ণ ঘুমিয়ে পরেছে৷ ছন্দ বর্ণের মাথা বালিশের উপর রেখে বর্ণের কপালে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে ছন্দ তার ফোনটা নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে দারায়৷ 

" আমাকে এখুনি অনিল কে কল করে জানিয়ে দিতে হবে আজকের মিটিংটা যেন ক্যানসেল করে দেয়৷ " ছন্দ দ্রুত অনিল কে ফোন করে অনিল ছন্দের বাড়ির পিছুনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলো ৷ তখনি ছন্দের ফোন কল পেয়ে দ্রুত রিসিব করে৷

"" হ্যালো কুইন"

" অনিল আজকে বের হতে পারবো না ৷ তুমি MD কে জানিয়ে দেও আজকের মিটিংটা  আমি ক্যানসেল করে দিয়েছি৷"

"" ওকে কুইন তাহলে আমি ফিরে যাচ্ছি ""

"" হ্যা ফিরে যাও, " 

"" ওকে কুইন"" 
কল ডিসকানেক্ট করে ছন্দ রুমে এসে দেখে বর্ণ এখনো ঘুমিয়ে আছে ৷ হঠাৎ চোখ পরে বর্ণের কোটের উপর পেপারস গুলো কোন ভাবে কোটের পকেট থেকে পরে গেছে ৷ ছন্দ খুব সাবধানে পেপারস গুলো তুলে হাতে নিয়ে দেখে চমকে ওঠে ...

"" এর মানে আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে! " হ্যা এগুলো সব বিয়ের লিগালি পেপারস যে পেপারসে বর্ণের এবং ছন্দের দুজনের সাইন আছে৷ 

ছন্দ এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল৷   বর্ণ ওকে না জানিয়ে বিয়ে করে নিলো বিষয় টা ছন্দের হজম করতে একটু সময় লাগছে ৷ তবুও নিজেকে সামলে ছন্দ পেপারস গুলো ঠিক যেভাবে ছিলো সেভাবে বর্ণের কোটের  পকেটে রেখে দেয়৷ 

____________________________________

'' আমাদের এভাবে আটকে রাখার মানে কি Rk"" (সাব্বির আহাম্মেদ)

"" ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে কখনো কি ঘাস খাওয়া যায় সাব্বির?"(Rk)

"" যা বলার পরিষ্কার করে বলুন Rk"(কাব্য)

"" বাচ্চা ছেলে এতুটুকুতে হাইফার হলে চলবে? তো সাব্বির আমার কাজ শেষ না করে ফিরে আসার সাহস কি করে পাশ তুই "" চোখ রাঙিয়ে বললো Rk...

"" আমরা কাজ শেষ করে এসেছি Rk" কাট কাট গলায় উওর দিলো সাব্বির আহাম্মেদ ..

"" রেইলি তাহলে মেয়ে গুলো কোথায়? মাল গুলো এখনো পৌছায়নি কেন?""

মাল পৌছায়নি কথা শুনে সাব্বির আহাম্মেদ কাব্য দুজনে চমকে ওঠে..

"" মানে আমরা তো মেয়ে গুলো কে ট্রাকে উঠিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি তাহলে এখনো পৌছায় নি কেন?""

"" এর উওর তো তোরা দুজন আমাকে দিবি ৷ আমার-ই পিঠ পিছে ছুড়ি চালাবে আর আমি বুজতে পারবো না এটা কখনো সম্ভব !"

"" আমরা কেউ আপনার পিঠ পিছে ছুড়ি চালাই নি RK ..আপনি আমাদের  ভূল বুজছেন"

"" ওকে মেনে নিলাম আমি তোদের ভূল বুজেছি তাহলে তোরা বল কাজ পুরো শেষ না করে কেন ফিরে এলি?"

"" নাহ সত্যি কথাটা কোন মতে বলা যাবে না তাহলে কাব্য সব টা জেনে যাবে""(মনে মনে)
" আসলে আমার ছেলের বউ রুনা অসুস্থ হয়ে পরেছে ৷ কাব্যের মা আমাকে ফোন করে জানাতে কাব্য আর থাকতে চায়নি তাই চলে আসতে বাধ্য হই" 

কাব্য তার বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কি অবলিলায় মিথ্যে কথা গুলো বলে দিলো ৷ 

Rk কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আনিস কে নির্দেশ দিলো কাব্য আর সাব্বির কে ছেড়ে দিতে ৷ ভোর রাত হয়ে এসেছে বিধায় সাব্বির আহাম্মেদ আর কাব্য দুজনে সকাল হওয়ার অপেক্ষা করছে৷ 

__________________________________

পুরো রাত মদ আর সিগারেট খেয়ে কাটিয়ে এখন ছন্দের ছবির সামনে বসে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে  আমান ৷ 

" কেন জান তুমি কেন ওই বর্ণ কে ভালোবাসতে গেলে৷ বর্ণের কি আছে যেটা আমার নেই? টাকা পয়শা গাড়ি বাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স এ্যাভরিথিং সব কিছু আমার আছে তাহলে কেন আমায় ভালোবাসলে না? কেন? শুধু মাত্র ওই বর্নের জন্য তাই না ? আচ্ছা ধরো ওই বর্ণ যদি না থাকে তাহলে নিশ্চয় তুমি আমাকে ভালোবাসবে তাই না? আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসবে ৷ খুব তারাতারি তোমায় আমার কাছে নিয়ে আসবো ৷ এতো দূর যে কেউ তোমাকে খুজে পাবে না ৷" ছন্দের ছবিতে চুমু দিয়ে কথা গুলো  বলে মদের বোতলে চুমুক দেয় আমান৷ তখনি আমাদের দরজায় কেউ নক করে...

" কামিং...." আমানের নির্দেশ পেয়ে  আমানের সারবেন্ট ভিতরে প্রবেশ করে..

"" স্যার বস আপনাকে ফোনে না পেয়ে ল্যান্ডলাইনে কল দিয়েছে ৷ আপনাকে চাচ্ছে..."

আমান মদের বোতলটা পাশে রেখে ফোনটা নিয়ে সারবেন্ট কে ইশারায় যেতে বলে৷ সারবেন্ট দরজা বন্ধ করে চলে যায়৷ 

" হ্যালো..""

"" ওয়াট আর ইউ ডুয়িং আমান? কি চাস তুই কেন এরকম করছিস?"

"" আমি যা চাই তা আমি নিজে আদায় করে নিতে পারি ইউ নো দ্যাট ভাই, তুমি তোমার কাজ করো আমাকে আমার কাজ করতে দেও ৷ তুমি তো এখনো ছোট ভাইয়ের খুনি কে সাস্তি দিতে পারো নি তাহলে তুমি আমাকে কি দিবে হাহ""

"" আমান" জোরে চিৎকার করে উঠলো Rk..

"" ডোন্ট সাউট ভাই , তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি চিৎকার চেচামেচি একদম পছন্দ করি না ৷"

এবার Rk গলা নামিয়ে ধিরে ধিরে বলতে লাগলো.. " কি চাস তুই একবার আমাকে বল ৷ সব তোর পায়ের কাছে আমি এনে ফেলবো"

" বলবো সবটা বলবো তবে এখন না এখন আমার ভিষন ঘুম পাচ্ছে ৷"

" ওকে ফাইন তাহলে তুই ঘুমা আমি বিকেলে ফোন করবো তোকে""

"" হুম .."" আমান ফোনটা দুরে ছুড়ে মেরে ছন্দের ছবিটা বুকের সাথে জরিয়ে ধরে বেডে শুয়ে পরে৷""

৫৬

ঘুম থেকে উঠে ছন্দ বর্ণ কে দেখতে না পেয়ে বুজতে পারে বর্ণ চলে গেছে৷  বিছানা থেকে উঠে আয়নায় চোখ পরতে ছন্দ হেসে ফেলে ৷ বর্ণ ছন্দের লিপস্টিক দিয়ে বড় বড় অক্ষরে লিখেছে Good Morning Jan . 

"পাগল একটা .." ছন্দের ভাবতে-ই অন্যরকম ফিল হচ্ছে যে এখন সে তার বনরাজের অর্ধাঙ্গিনী আর সে তার অর্ধাঙ্গ ৷ ছন্দ মুচকি হেসে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ 

ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখে সাব্বির আহাম্মেদ আর কাব্য দুজনে বসে নাস্তা করছে ৷ 

"" আরে ভাইয়া আব্বু তোমরা কখন এলে ?" ছন্দ চেয়ারে বসতে বসতে বললো ..

কাব্য মুখে জোর পূর্বক হাসি টেনে ছন্দ কে বললো" এই তো ঘন্টাখানিক হলো..""

"" কি হলো ভাইয়ার চোখ মুখ এমন লাগছে কেন ? কিছু একটা হয়েছে নির্ঘাত কিন্তু কি হয়েছে এটা তো আমাকে জানতে হবে"(মনে মনে)

ছন্দ তার বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ ৷ ছন্দ বুজতে পারছে এমন কিছু একটা হয়েছে যেটা দুজনকে একদম নারিয়ে দিয়েছে ৷ ছন্দ চুপচাপ খেয়ে নিয়ে তার ভাবির রুমে ঢুকে ৷ 

"" ভাবি কি করছো তুমি?"

"" এই তো ছন্দরানি তোমার ভাইয়ের কাপড় গুলো কাবার্ডে গুছিয়ে রাখছি""

"" আচ্ছা ভাবি একটা কথা জ্বিগাসা করবো ?""

"" হ্যা করো!"
" ভাইয়ার কি কিছু হয়েছে? "
ছন্দের কথা শুনে রুনা একটু হচকিয়ে ওঠে "" ক,,কই না তো কিছু হয়নি তো তোমার ভাইয়ের""

"" তুমি ঠিক বলছো তো ভাবি?""

"" হুম " 

" ঠিক আছে তুমি তোমার কাজ করো আমি একটু বের হচ্ছি "

" কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি?"

" বন্যার সাথে দেখা করতে ভাবি"
" কোথাও যাওয়া হবে না তোমার ৷ গতকাল তুমি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলে ৷ যদি তোমার ভার্সিটির ছেলে টা না থাকতো তাহলে কি হতো বলোতো?""

"" যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন দেখো আমি এখন সম্পূর্ন সুস্থ এখন আমি যেতে পারি তুমি নিজের দিকে খেয়াল রেখো আসছি টা টা"" রুনা কে বলার আর সুযোগ না দিয়ে ছন্দ দ্রুত বেরিয়ে যায়৷ ছন্দ রুমে যেতে যেতে সাব্বির আহাম্মেদ এর গলা শুনতে পায়৷ সাব্বির আহাম্মেদ এর গলা পেয়ে থমকে যায় ছন্দ...ছন্দ স্পস্ট শুনতে পায় সাব্বির আহাম্মেদ কাউকে হুমকি দিচ্ছে ৷ 

" আজকের ভিতর আমি আমার ছেলেকে আমার সামনে দেখতে চাই নাহলে আপনি আপনার টাকা পাওয়ার আশা ছেড়ে দিন৷"" ব্যাস এতোটুকু শুনতে পায় ছন্দ তার ভিতর সাব্বির আহাম্মেদ রেগে কল কেটে দেয়৷ 

"" বাবা কার সাথে কথা বলছিলো আর ছেলে কে সামনে দেখতে পায় মানে কাব্য ভাই তো বাড়িতে আছে তাহলে?এর উওর তো আমি বের করবো যাস্ট একটু সময়ের অপেক্ষা" ছন্দ রুমে গিয়ে রেডি হয়ে বের হয় ৷ বাড়ি থেকে বের হয়ে রিকসা করে কিছুদুর গিয়ে আবার অন্য সিএনজি করে যায় কিছুটা ..

"" সামনে রাখুন.."" সিএনজি থামতে ছন্দ ভাড়া মিটিয়ে রাস্তার একটু সাইডে দারায় দু মিনিটের মাথায় একটা কালো গাড়ি এসে ছন্দের সামনে দারাতে ছন্দ দ্রুত গাড়িতে উঠে বসে ৷ 

অনিল সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইব করতে লাগলো ছন্দ সেই ফাঁকে গাড়িতে রাখা ব্লাক লং কোট  ক্যাপ মাক্স পরে নিলো ৷ 

" বাকি কাজ গুলো কম্পিলিট হয়েছে?"

""ইয়েস কুইন , মেয়ে গুলো কে চালান দেওয়ার পর পর আমাদের লোকজন মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে মেয়ে গুলো কে উদ্ধার করে আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ বাকি কাজ ওনারা করে দিবে মেয়ে গুলো কে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে আর যাদের বাড়ি নেই তাদের আশ্রমে রাখবে..."" 

"" গ্রেট অনিল আর একটা কাজ আছে সেটা তোমাকে করতে হবে"

"" শুধু হুকুম করুন কুইন?"" 

"" সাব্বির আহাম্মেদের উপর তোমাকে নজর রাখতে হবে""

"" ওকে কুইন""

কিছুক্ষন পর ছন্দ তার গন্তব্য পৌছাতে ছন্দ গাড়ি থেকে ভিতরে প্রবেশ করে ৷ তখনি Md এসে হাজির হয়৷

"" Md আমি টর্চার সেলে যাবো""

"" আমার সাথে আসুন কুইন""

Md ছন্দ কে নিয়ে টর্চার সেলের সামনে নিয়ে যেতে ছন্দ দেখতে পায় রোদ মাটিতে উপর হয়ে শুয়ে আছে ৷ আর বাকিদের আলাদা আলাদা সেলে রাখা হয়েছে ৷ ছন্দ একজন কে ইশারা করতে চেয়ার নিয়ে টর্চার সেলে রাখে ৷ রোদ পায়ের শব্দ পেয়ে ধিরে ধিরে উঠে বসে ৷ হাতে চিন চিন ব্যাথা করছে রোদের ৷ ছন্দ চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে ৷ পাশে অনিল নানা রকমের অস্ত্রের কালেকশন নিয়ে দারিয়ে আছে ৷ 

রোদ ভালো করে তাকিয়ে দেখে কালো কোট ক্যাপ মুখে মুখে মাক্স পরে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে৷  রোদ কাপা কাপা গলায় ছন্দ কে প্রশ্ন করে..."" কে আপনি?"

" আমি কে সেটা না হয় মরবার পূর্বে জানতে পারবে রোদ তার আগে নিজের পরিচয় টা দিয়ে ফেল"

"" আমি রায়হান খানের ছেলে রোদ "" ছন্দ রোদের কথা শুনে অনিলের কাছ থেকে অস্ত্র না নিয়ে ইলেকট্রিক তার হাতে নিয়ে রোদ কে শক দেয় ৷ 

"" এবার বল তোর পরিচয় ..না বললেও সমস্যা নেই মুখ থেকে সত্যি কথা বের করার  আরো অনেক উপায় আছে""

"" আ,, আমি বলছি আমার নাম সিয়াম .."

"" তাহলে রোদ কে?"

"" রায়হান খানের ছেলে রোদ .."

"" তাহলে তোর বাবার পরিচয় কি..?""  সিয়াম এবার চুপ হয়ে যায়৷ ছন্দ আবার ইলেকট্রিক শক দেয় তবে আরো বেশি সময় ধরে ৷  

"" বলবি নাকি!"" 

" না না বলছি আমার বাবা হলেন..... বাকিটা বলার পূর্বে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সিয়াম.....

৫৭

" বর্ণ ছেলেটার অল-ডিটেইলস এই ফাইলে আছে ৷" ফাইলটা বর্ণের দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললো মুরাদ... 

বর্ণ আমানের সম্পূর্ন পরিচয় যেনে বাকা হাসলো... " খেলা তো এবার জমবে Rk . মিহির মুরাদ গাড়ি বের কর আমি এখুনি বের হবো...


"" বাট বস আপনি তো এখনো অসু.. বাকিটা বলতে পারলো না বর্ণের রক্ত চক্ষু দেখে... 

"" আমি এখুনি গাড়ি বের করছি বস.."" কথা টা বলে মিহির দৌড়ে বেরিয়ে গেল ৷ 

" বর্ণ তুই ঠিক কি করতে চাইছিস বলবি আমাকে?""

"" সবটাই জানতে পারবি..." কথাটা বলে রহস্যময় হাসি দিলো বর্ণ .....

"বর্ণ প্লিজ আমাকে বল না তুই ঠিক কি করতে চাইছিস?" 

" পুরনো সব হিসেব নিকেশ আমি এবার শেষ করতে চাইছি মুরাদ৷ চার , চারটা বছর আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে শুধু মাত্র এই Rk জন্য ওকে তো আমি ছাড়বো না ৷ ওর শরীলের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রতঙ্গ আমি নিজ হাতে কাটবো ""

"" মাথা ঠান্ডা কর বর্ণ হুট হাট করে এমন কিছু করে বসিস না যাতে তোর বা ভাবির ক্ষতি হয়৷"

" হ্যা এমন কিছু করবো যাতে Rk আর আমার বা আমার টিয়াপাখির কোন ক্ষতি না করতে পারে .." 

বর্ণ গাড়ি নিয়ে Rk ডেরায় এসে পৌছায় ৷ ডেরায় ঢুকার আগে গান সব লোড আছে কিনা চেক করে নিলো মুরাদ বর্ণ দুজনে ৷ আজ আর মিহির কে সাথে নেয় নি বর্ণ৷ এই ভিতু ছেলেটাকে বর্ণ বিপদে ফেলতে চায়না বিধায়৷ 

বর্ণ মুরাদ Rk লোকদের চোখ ফাকি দিয়ে ওদের মতো মাথা ক্যাপ পরে ভিতরে ঢুকে যায় ৷ খুব সাবধানে Rk কে খুজতে থাকে বর্ণ৷

" মুরাদ তুই ওই দিকে যা আমি এই দিকটা দেখছি ৷"

"" ওকে.." দুজন দু দিকে গিয়ে Rk কে খুজতে লাগলো৷ হঠাৎ বর্ণ মেয়েলি গলার আওয়াজ পেয়ে থেমে যায়...

"" এই রুম থেকে তো আওয়াজ টা আসছে!" বর্ণ দরজাটা হালকা ভাজ করে করে ভিতরে কে কে আছে দেখতে লাগলো , ভিতরে শুধু RK আর একটা সুন্দরী বিদেশী মেয়ে কে দেখতে পেল.. বর্ণ ওখানে দারিয়ে ওদের কথা শুনতে লাগলো" বস তাহলে আপনি এখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া ?""

"" ইয়েস বেবি , বাট এই আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া হওয়াটা খুব একটা সহজ ছিলো না ৷ অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে অনেক বিশ্বাসঘাতক হতে হয়েছে তার পর আমি এই জায়গায়৷ টাকা আর টাকা কামাচ্ছি দেখছো না?"

"" বাট বস বিডিতে আপনাকে সবাই মৃত ভাবে?"

"" কারন আমার প্লান টাই এমন ছিলো৷ ওয়েট তোমাকে সবটা খুলে বলছি৷ আমি ছিলাম আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ডার্ক কিংয়ের বা হাত ৷ আমার প্রথম থেকে কিংয়ের ক্ষমতা পাওয়ার লোভ ছিলো৷ অনেক কষ্ট করে কিংয়ের ভরশা অর্জন করে ফেলি ৷ তারপর শুরু হয় ষরযন্ত্র ৷ কিংয়ের আপন ছোট ভাইকে নিজের দলে টেনে নি অবশ্য কিংয়ের ভাই জানতো না তার বড় ভাই আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডার্ক কিং  ইউ নো বেবি কিং ছিলো বড্ড বোকা নিজের কথা ভাবতো না ৷ দেশের সেবা করে যেত তার জন্য দেশে নেশা জাতীয় দ্রব্য সাপ্লাই হওয়া বন্ধ হয় ৷ বন্ধ হয় শিশু নারী পাচার , বন্ধ হয় ঘুষ নেওয়া ৷ গরিব মানুষদের জন্য হসপিটাল আশ্রম কর্মের জন্য কারখানা সব কিছুই তৈরি করেছে৷ "

"" বাহ এতো কিছু করেছে দেশের জন্য..!"

"" মাঝখানে কথা বলা আমার পছন্দ নয় এপেক" 

"" সরি বস.." 

"" সব কিছু ঠিক ছিলো কিন্তু আমার প্রথম থেকে নজর ছিলো কিংয়ের ক্ষমতার উপর ৷ গোপনে তার ভাইকে টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের দলে টেনে নিলাম তার পরে জানতে পারলাম বসের একটা ফুটফুটে সুন্দর মেয়ে আছে ৷ মেয়েটাকে দেখে তাকে কাছে পাওয়ার এক তিব্র ইচ্ছে হলো কিন্তু এখানেও বাধা হলো কিং ৷ তারপর প্লান করে কিংয়ের ভাই কে দিয়ে কিংয়ের বাড়িতে গ্যাস সিলিল্ডার লিক করে দিতে বলি ব্যাস সব শেষ ৷ মেয়েটি নিজের চোখের সামনে নিজের বাবা মায়ের লালাশ দেখে শক পেয়ে স্মৃতি হারিয়ে ফেলে ৷  সে সুযোগে মেয়েটিকে সাথে কিংয়ের জায়গা পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কোন ভাবে ওই দলের লোকজন আমার প্লান সম্পর্কে জানতে পারে ৷ আর আমার উপর এট্যাক করে আমি  নিজের প্রান বাচাতে গা ঢা দি ৷ তারপর শুনলাম কিংয়ের পাগল মেয়ে কে তার ছোট ভাই নিজের কাছে নিয়ে যায়৷ কারন টা খুব সিমপিল সম্পত্তির জন্য কিং তার মেয়ের জন্য একশ কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেছে ৷ এটা জানার পর মেয়ে টাকে নিয়ে যায়৷ কিন্তু সমস্যা হয় অন্য যায়গায় মেয়েটির পচিঁশ বছর না হওয়া অবদি এই মেয়েটি পাবে না ৷ যদি তার আগে মেয়েটি মারা যায় তাহলে সব ট্রাস্টে চলে যাবে৷ আমার ভিতর তখন প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠলো কিংয়ের ভাই কে ভয় দেখিয়ে মেয়েটির সাথে আমার বিয়ে দিতে বলি৷ প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয় কারন ওর গোপন কিছু তথ্য আমি জানতে পেরেছিলাম সেটা দিয়ে ওকে ব্লাকমেইল করে বিয়েটা দিতে রাজি করা-ই৷ আমার আরো কিছু প্লানিং করা শুরু করি ৷ নিজেকে বাচাতে সবার চোখের আড়ালে নিয়ার জন্য আমি কায়দা করে বিয়ের পেপারসে নকল সই করে মেয়েটাকে সবার সামনে বিয়ে করার নাটক করি৷ 

মেয়ে টিকে নিয়ে গাড়ি করে ফিরবার পথে আমার নির্দেশে এক্সিডেন্ট করানো হয় ৷ গাড়িটা গিয়ে সোজা নদীতে পরে ৷ নদীর পারে আমার লোকজন আমার জন্য ওয়েট করছিলো ৷ আমি সাতার কেটে পারে পৌছাই আর ড্রাইবার আর সাথে ওই মেয়ে মারা যায় ৷ আমি সে রাতে দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাই ৷ ওখান থেকে নিজের লোকজন নিয়ে শুরু হয় আমার নিজের গ্যাং যাস্ট সি এখন আমি আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া Rk..."

"" আর ওই মেয়েটি মারা গেছে?"

"" ইয়েস সি ইজ ডেড"" 

৫৮

বর্ণ এতোক্ষন দারিয়ে Rk বলা প্রত্যেকটা কথা শুনে বর্নের রাগ যেন আরো বেরে গেল৷ যাকে ও কলেজ ভার্সিটি লাইফের সব থেকে কাছের প্রিয় বন্ধু মনে করতো সে ওকে ঠকিয়েছে ৷ শুধু ওকে না ওর ভালোবাসার মানুষ টাকে মেরে ফেলতে  চেয়েছিলো নাকি অলমোস্ট মেরে ফেলেছিলো৷ বর্ণের ভাবনার মাঝে Rk লোক দেখে ফেলে বর্ণ কে ৷ বর্ণের পিছুন থেকে এট্যাক করতে নিলে মুরাদ লোকটির মুখ চেপে ধরে ঘাড় ভেঙ্গে দেয় ৷ 

"" আর ইউ ওকে বর্ণ?"(মুরাদ)

"" হুম আই এম ওকে "" 

বর্ণ মুরাদ দুজনে RK রুমে ঢুকে পরে আর Rk তার কথা অসম্পূর্ণ রেখে সামনে তাকিয়ে বর্ণ কে দেখে ঘাবড়ে যায়৷ Rk.. 

"" ব,, বর্ণ  তু,,তুই এখানে?"" বর্ণ কে দেখে Rk প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেল৷ 

" কেন Rk আমাকে দেখে বুঝি তুই খুশি হস নি?""(বর্ণ)

"" দেখ বর্ণ Rk তোকে আমাকে দেখে মনে হয়না খুশি হয়েছে ৷ "(মুরাদ)

"" তোরা এই ঠিকানা কি করে পেলি?"

"" বর্ণের কাছ থেকে কি সবটা লুকানো যায় Rk?"

"" যাই হোক এখানে এসে একদম ঠিক করিস নি ৷ এখন যা হবে তার জন্য তোরা দায়ি থাকবি""

"" সিরিয়াসলি Rk তোর আগের কার স্বভাব গেল না দেখছি ৷ ফাকা আওয়াজ দিতে তুই এখনো খুব ভালো পারিস Rk"... বর্ণের কথা  Rk ভিষন রেগে যায়৷ পকেট থেকে গান বের করতে যাবে তখনি বর্ণ Rk হাতে শুট করে ৷ বর্ণের গানে সাইলেন্টসার লাগানো বিধায় শব্দ বেশি দুর যায় নি তবে এপেক রুম থেকে বাহিরে বের হওয়ার চেষ্টা করতে মুরাদ এপেকের পায়ে শুট করে৷ 

"" হুয়াই আর ইউ শুট মি ম্যান?"" ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে বললো এপেক .. মুরাদ এপেকের কথা শুনে ডিরেক্ট এপেকের কপালে শুট করে দেয়৷ সাথে সাথে এপেক মারা যায় ৷ এপেক কে মরে যেতে দেখে Rk যেন হিংস্র হয়ে ওঠে আহত হয়ে আবার মুরাদের উপর আঘাত করার চেষ্টা করে কিন্তু তা সম্ভব হয় না কারন তার আগে বর্ণ Rk কে সেন্সলেস করে ফেলে ৷ 

"" বর্ণ Rk কে কিভাবে নিয়ে বের হবো?"

" যাস্ট ওয়েট .." বর্ণ ফোন বের করে কাউকে একটা মেসেজ করে দিতে দশ মিনিটের মাথায় একটা এম্বুলেন্স এসে হাজির হয় ৷ Rk ডান হাত আনিস তার লোকজন নিয়ে Rk কে নিয়ে এম্বুলেন্সে তুলে দেয় ৷ ততোখন মুরাদ বর্ণ দুজনে মুখে মাক্স পরে Rk দলের লোক সেজে এম্বুলেন্সে উঠে বসে৷ এম্বুলেন্সে টোটাল ছয় জন ৷ একজন ড্রাইবার একজন আনিসের খাস বিশস্থ লোক ৷ আনিস বর্ণ মুরাদ...

"" বস এবার আমার মুক্তি তো?""(আনিস)

"" হ্যা তুই আজ থেকে মুক্ত তবে বাকিদের সামলানো তোর কাজ"(বর্ণ)

" ওকে বস তবুও এই পাপের পথ থেকে সরে আসতে পেরে নিজেকে খুব হালকা লাগছে"

মুরাদ কিছু বুজতে না পেরে বলে উঠলো " এক মিনিট একমিনিট তুই Rk ডান হাত তাহলে তোর সাথে হাত কেন মেলালো?"

"" ভালো হতে কে না চায় মুরাদ? আনিস তাদের ভিতর একজন কিন্তু Rk সামনে কখনো মুক্তি চাওয়ার মতো শব্দ মুখ থেকে বের করতে পারেনি কারন মুক্তি শব্দ টা বের করা মানে নিজের মৃত্যু ডেকে আনা" 

"" জ্বি স্যার এই জন্য আজ আমি বস (বর্ণ) কে সাহায্য করলাম.."

"" কিন্তু তোমার সাথে বর্ণের পরিচয় কি করে হলো?"

আনিস চোখে মুখে একরাশ ঘৃনা নিয়ে অজ্ঞান Rk দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো" এই কুকুরের বাচ্চার জন্য এই কুকুরের বাচ্চা মেয়েদের পাচারের সময় একটা মেয়ে কম পরায় আমার মেয়ে কে স্কুল থেকে তুলে এনে পাচার করে দেয়৷ দুমাস আগে ৷ আর ভাগ্যক্রমে বসের (বর্ণ) লোকদের হাতে পরে মেয়ে গুলো মুক্ত হয় ৷ বস মেয়ে গুলো কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়৷ আমার মেয়েটাকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ৷ কিছুদিন আগে বাড়িতে গিয়ে সবটা মার মেয়ের মুখে জানতে পারি ৷ তারপর আমি নিজে বসের সাথে দেখা করে ধন্যবাদ জানাই ৷ আর এটাও জানাই Rk কখন কি করছে না করছে ৷ "

"" বাহ এ সবের তো আমি কিছুই জানি না" (মুরাদ)

"" এখন তো জানতে পারলি৷ এখন এটাকে নিয়ে সেখানে চল যেখানে ওর মতো লোকদের জাহান্নাম দেখিয়ে ছাড়ি...""

" হুম""

____________________________________

৫৯

কিছুক্ষন আগে রোদ অরফে সিয়ামের জ্ঞান ফিরতে চমকে যায় ছন্দ কে দেখে ৷ ছন্দ বেশ আয়েশ করে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে পিজ্জা খাচ্ছে ৷ সিয়ামের জ্ঞান ফিরতে দেখে ছন্দ পিজ্জায় লাস্ট বাইট নিয়ে সফ্ট ড্রিং খেয়ে নিয়ে সিয়ামের উদ্দ্যেশ্য বললো" হাই কেমন আছো? বেশি কষ্ট হচ্ছে তোমার ? দেখো তোমার চোখের সামনে তোমার আগুন সুন্দরী বসে তাও মুখের এই এক্সপ্রেশন কেন মনে হচ্ছে আমি মটেও সুন্দরী নই পুরাই পেত্নি দেখতে তাইতো ? "" ছন্দের কথা শুনে অনিল আর বাকি গার্ডরা ফিক করে হেসে দিলো.. যেটা দেখে ছন্দ চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো " আমি কি ফান করছি হুম ?"

" নো কুইন আসলে এমন সিরিয়াস পরিস্তিতিতে আপনার কথা গুলো একটু ফানি লাগলো ৷ ""

"" তাই নাকি তাহলে ও(সিয়াম ) কেন হাসলো না?""

"" আসলে কুইন আপনাকে এভাবে দেখে সিয়াম নিজে শক্টড দেখুন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে..." ছন্দ সিয়ামের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দেয়৷ 

" তো মিস্টার সিয়াম আমাকে দেখে ভিষন শক্টড হলে তাই না?" ছন্দের কথা মাথা নাড়লো যার অর্থ হ্যা..

"" গ্রেট এবার যা যা জ্বিগাসা করছি তার উওর খানা তারাতারি দেও তো বাছা আমার আবার একটু ধৈর্য কম ৷ ধৈর্য শেষ হয়ে গেলে এটা চলে (গান বের করে ) শুধু তখন আর আমার মুখ চলে না.." সিয়াম ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে জিব্বাহ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে নিলো তখনি ছন্দ সিয়ামের ভাঙ্গা হাতে শুট করে দেয় ৷ ব্যাথায় কুকড়ে ওঠে সিয়াম...

"" কি হলো বল তোর বাবার নাম কি?" রেগে বললো ছন্দ.. সিয়াম ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বলে উঠলো " সা,,,সাব্বির আহাম্মেদ ""

সাব্বির আহাম্মেদ নাম টা শুনে ছন্দ এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল ৷ পরক্ষনে ছন্দের মনে পরে গেল সকালের সেই শোনা কথা গুলো সাব্বির আহাম্মেদের বলা কথা গুলো... ছন্দ এবার নিশ্চিত সিয়াম সাব্বির আহাম্মেদের ছেলে ..

"" বাহ নাইস বাবার নাম টা তো বললি মায়ের নামটাও বলে ফেল এবার ..""

"" কায়রা ... বাকিটুকু বলার পূর্বে আবার জ্ঞান হারায় সিয়াম..."

"" কায়রা দ্যাট মিন্স কিয়ারা বেগমের...... ওয়াও কিয়া ক্যামিস্ট্রি ..""

"" কুইন আপনি এদের কে চিনেন?"(অনিল)

"" চিনবো না মানে যারা আমার পরিবারের ধ্বংসের কারন তাদের কে আমি চিনবো না এটা কি করে সম্ভব অনিল! যাই হোক এটা কে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখ আর কোন খাবার দিবে না ৷ "

" ওকে কুইন বাট বাকিদের কি করবো?"

"" বাকিদের শরীলে যেন কোন চামরা না থাকে অনিল সে ব্যাবস্তা কর ৷ আর আমি না হয় সাব্বির আহাম্মেদের জন্য একটা সারপ্রাইজ রেডি করি ""

ছন্দের কথায় সবাই মাথা নারে ৷ ছন্দ মুখে মাক্স আর মাথায় কালো টুপি পরে বেরিয়ে গেল৷ এদিকে তাদের কুইনের নির্দেশ মতো কাজে নেমে পড়লো অনিল সাথে বাকিরা.... 

______________________________________________________________________

প্রচন্ড চিন্তায় অস্তিরতা নিয়ে পাইচারি  রুমে ভিতর পাইচারি করছে সাব্বির আহাম্মেদ ৷ কিয়ারা বেগম তার স্বামীকে এতো অস্থির হতে দেখে প্রশ্ন করে " সাবু কি হয়েছে তোমার কি নিয়ে এতো চিন্তা করছো  ?"

" তোমাকে সব বলতে হবে আমাকে হাহ" জোড়ে চিৎকার করে বললো সাব্বির আহাম্মেদ ..

কিয়ারা বেগম হতবম্ব হয়ে যায় তার স্বামীর আচরনে...

কিয়ারা বেগম রুম থেকে বের হতে নিলে সাব্বির আহাম্মেদ কিয়ারা বেগমের হাত টেনে ধরে... 

"" আই এম সরি কিয়ারা আসলে কাজের এতো চাপ যে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি ৷ সরি""

"" ইট'স ওকে সাবু আমি কিছু মনে করিনি ৷ তবে তুমি আমাকে এতোটাও অশিক্ষিত মনে করো না যে আমি তোমার কোন কাজ-ই বুঝি না""

"" সরি বললাম তো কিয়ারা মাফ করে দেও "

" হুম করলাম তবে নেক্সট টাইম আমার সাথে  উচু গলায়  কথা বলার  সাহস করো না সাবু তাহলে এর ফল তোমার জন্য খুব একটা ভালো হবে না " কথা গুলো খুব সিরিয়াস ভাবে বললো কিয়ারা বেগম.. কিয়ারা বেগমের কথার উওর দিতে সাব্বির আহাম্মেদ কিছু বলতে যাবে তখনি কলিং বেল বেজে ওঠে .... 

" ছাড়ো সাবু,  মুন্নি বাসায় নেই বাজারে পাঠিয়েছি আমাকে দরজা খুলতে হবে..""

"" চলো তাহলে আমিও যাচ্ছি তোমার সাথে.."

"" হু...." 

সাব্বির আহাম্মেদ আর কিয়ারা বেগম দুজনে ড্রয়িং রুমে আসে ..

" কিয়ারা তুমি দারাও আমি দরজা খুলছি..." সাব্বির আহাম্মেদ দরজা খুলে সামনে তাকাতে চমকে যায় সামনে দারিয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে.............
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।