সাইকো ইজ ব্যাক - পর্ব ০২ - সিজন ৩ - সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি - ধারাবাহিক গল্প


---দোস্ত বেশী বেশী হয়ে গেল না! মেয়েটা জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলেছে?তোর কাছেতো মাফ চাইছিলোই।

ইউসুফের ভাবলেশহীন উত্তর,
---তো আমার কি হইছে?আর তোর এত দরদ কেন আদিব? প্রেমে পরে গেলি নাকি? বাঁকা হেসে বলল ইউসুফ।

আদিব আর কিছু বলল না। ভাল করে যানে এ নাছর বান্দা এরে বলে লাভ নাই।ও নিজে যা ভাল বুঝবে তাই করবে।

তানিয়া কুহুর পাশে বসে ডাকতে লাগলো, জ্ঞান আসচ্ছে না তার।  তানিয় কান্না করে চলছে।  তখনি ইউসুফ পানি খেতে খেতে কুহুর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পানি ঢেলে দিল কুহুর মুখে পুরো অর্ধেক বোতল। কুহু ধড়পড়িয়ে উঠে বসে।ইউসুফ বাঁকা হেসে দল বল ও তার বেবী নিয়ে চলে গেল।
আর কুহু গালি দিতে লাগলো, 
--খাইশটা লোক, লম্বু খাসি, বেদ্দপ পোলা।

তানিয়া বলল,,

---দোস্ত আর ইউ ওকে? 
ইউসুফদের যাওয়ার পানে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো কুহু।

কুহুর দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকিয়ে বলল তানিয়া,

--- বাদ দে এসব এখন বাসায় চল নয় তো আবার জ্বড় আসবে। এদের চিন্তাবাদ দে সব কটা বদের হাড্ডি।

তখনি পিছন থেকে আদিব বলল,,

--তোমরা কিছু মনে করো না। ওই একটু অন্য রকম সহজে কাউকে মাফ করতে চায় না।আমি বুঝি বলবো নে ওরে।

তানিয়ে তেতে গিয়ে বলল,

---কিছু মনে করবো না? হে! কি করছে আমার ফ্রেন্ডের সাথে দেখছে না? ওর শরীরে এমনিতেই জ্বড় ছিল। এত কিছুর পর আবার সাফাই গাইতে আসচ্ছেন?

--তেমন কিছু না। আসলে আমি তোমাদের হেল্প করতে চাইছিলাম।

---লাগবে না হেল্প আপনার।

তানিয়া কুহুকে বাসায় নামিয়ে চলে যায়। কুহু সেই কখন থেকে থম মরে।

 বাসায় ঢুকতেই কাউকে পেল না সে তিন্নি ছাড়া।তিন্নি বসে বসে টিভি দেখতে আর চিপস খাচ্ছে। কুহুর শরীরে এক ফুটাও শক্তি নেই তাই রুমে চলে গেল। রুমে এসে ফ্রেস হয়ে বেডে বসে আছে সে। তখন পরে যাওয়াতে অনেক জায়গা ছুলে গেছিল, পানি লাগায় জলচ্ছে খুব।মেডিসন বের করে লাগাতে নিয়ে রেখে দিল। আলসামি লাগচ্ছে তার। কুহু ভাবচ্ছে। ইউসুফ নামটা ওই খাটাশ টার না রাখলেই পারতো তার পেরেন্টস।রূপে ভাল হলেও কি আর হয়। ব্যবহার সুন্দর থাকতে হয়। ভুল হইছে মাফ চাইতে যাওয়া। কুকুরের ধাওয়া খাইতে হলো। কতটা বেদ্দপ লোক। গাড়িকে ভাই,  আর কুত্তাকে বেবী? না জানি আর কাকে কাকে রিলেটিভ করে রাখছে এই ছাগলে। পুরো নমুনা একটা।

কুহু নিচে নেমে এসে রান্না ঘরে গেল। খুদা পাইছে খুব তার।খাবার প্লেটে বেরে টিভির সামনে সোফায় পা তুলে বসে খেতে খেতে বলল,

---মা কইরে তিন্নি? 

তিন্নি টিভির দিক তাকিয়েই বলল,
---মামা বাড়ি।  পল্টু গেছে মার সাথে এক সপ্তাহ পর আসবে!

কুহু মুখে এক নলা ভাত দিয়ে চিবুতে চিবুতে বলল,

---তুই গেলি না?

তিন্নি বিরক্তি নিয়ে বলল,

--আমার ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা পরশু থেকে।

---ওহো। তো টিভি কেন দেখছিস পড়তে যা। আরে  বসে কেন যা এখনি উঠ।

---উফ! যাচ্ছি।

তিন্নি চলে গেল। খাওয়া শেষ করে প্লেট ধুয়ে রেখে টিভির সামনে বসে পড়লো। সারাটা দিন আজ যন্ত্রনায় গেছে।  এখন একটা হরর মুভি দেখে চিল করবে সে।মুভি দেখতে দেখতে সোফা ঘুমিয়ে যায় কিহু।ঘুমের মাঝে মনে হচ্ছে কেউ তার উপর ঝুকে আছে।তার নিশ্বাস কুহুর উপর পরতেসে।তার সাথে কঁপালে উষ্ণ কিছু অনুভব করতেই সাথে উঠে বসে কুহু। আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো পুরো রুম অন্ধকার হয়ে আছে। হয়তো সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কুহুর বুক ধড়ফড় ধড়ফড় করতেছে। কুহু মনের ভুল ভেবে উঠে বসলো। চুল গুলো হাত খুপা করতে করতে অনুভব করলো,  হাত পা জ্বলতেছে না।ভাল করে তাকিয়ে দেখল তাতে মেডিসিন লাগানো। অবাক হয়ে গেল কুহু। এই কাজ তো সে করে নি তাহলে করলো কে? ভভভুত নাতো? ভয় পেতে লাগলো কুহু।
_____________🖤
একটি বৃদ্ধার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে ইউসুফ। মহিলাম মাথা বেশীর ভাগ সাদা চুলে ডাকা।চোখে একটি হাই পাওয়ারি চশমা চেন সিস্টেম যা গলায় ঝুলচ্ছে।বৃদ্ধাটি মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,

-- মন খারাপ?দাদু ভাই?

ইউসুফ মুখে ভিতর শব্দে করে বলে,
--উমমহুম।

--তাহলে?

--কিছুটা দ্বন্দ্বে আছি!

--কিসের দ্বন্দ্ব,  দাদু ভাই?

ইউসুফ এবার উঠে দাদুর গা ঘেসে বসে বলে উঠে,

--আচ্ছা দাদু!  লাইফে প্রথম দেখাতেই কাউকে ভালবাসা যায়?

দাদু চশমার উপর দিয়ে ইউসুফকে দেখে বলল,

--আজ হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন দাদু ভাই!

ইউসুফ চুপ থেকে বলল,

--নাহ্ যাষ্ট জানতে ইচ্ছে করছে আর কি।

মহিলা মুচকি হাসলো পাশের সেন্টার টেবিল থেকে একটি ফোঁটো ফ্রেম তুলে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে দিয়ে বলল,

--তোমার দাদা ভাই আমার মামাতো ভাই ছিল। ছোট থেকেই সে আমায় খুব পছন্দ করত। গুনে গুনে আমি ছিলাম তার আঁট বছরের ছোট।সেই ছোট বেলা থেকেই ইঁদুর বেড়ালের মতো লেগে থাকতো।তাকে তখন আমার মোটেও পছন্দ ছিল না।এক সময় সে স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশ চলে যায়।  তখন আমার বয়স এই ১৫-১৬ ছিল।প্রথম প্রথম এমন ছিল যে সে গেছে আমি বেঁচে গেছি।  কিন্তু কিছু দিন পর সব বদলে গেল। আমি মিস করতে লাগলাম তাকে খুব বেশী। তখন আমার লাইফে আসে ইয়াসির। তাকে প্রথম দেখাতেই মনে ধরে আমার।যাকে তোমরা বল ক্রাশ। তার সাথে কথা বলতে, ঘুরতে ভাল লাগতে শুরে করে। এসবের মাঝে কেঁটে যায় বছর তিনেক।বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। ফ্যামিলি ও রাজি হয়।বিয়ে ঠিক হয় ৬ মাস পর।বিপত্তি ঘটে তখন যখন তোমার দাদু ব্যাক করেন।তোমার দাদুকে আসার পর আমাকে সেই আগের মতই জালানো শুরু করলেন।আর বলতেন, তুইতো চলে যাবি আর কাকে তখন জালাবো কাকে তাই এখন জালাচ্ছি।
হাসলেন দাদু। তারপর বললেন,

---একদিন কি হলো জানিস? তোর দাদু আমাকে প্রপোজ করলো।তাউ তিন রাস্তার মোরে সকলের সামনে। আমি মেরে রইলাম।সেদিন আমি দ্বিধায় পরে গেলাম। মনের মাঝে হাজার প্রশ্নের উথাল পাথাল শুরু হয়ে গেল। আমি তখন দু টানায় পরে গেলাম।সেদিনের পর তোর দাদাকে নিয়ে যতটা ভেবেছিলাম তার এক ইঞ্চি ভাবিনি ইয়াসিরকে নিয়ে। এদিকে বিয়ের দিন চলে আসচ্ছিল। আর আমি কি করবো ভাবতে পারছিলাম না।একদিন মধ্যরাতে নামাজ পরে আল্লাহর কাছে অনেক কান্না করি। যে আল্লাহ আমাকে পথ দেখাও।একদিক ইয়াসির তোর দাদা ভাই।সেদিন সকালে উত্তর পেয়েও ফেলি। সেদিন উত্তর পেয়েও ফেলি। তোর দাদা ভাইয়ে এক্সিডেন্টের খবরে। পুরো পাগল হয়ে গেছিলাম।ইয়াসির তখন বুঝে গেছিল আমার মনে কি। তাই সে আমাকে বলে ছিল,

---আমি তোমার মোহ ছিলাম, তোমার ভাললাগা ছিলাম।কিন্তু তোমার ভালবাসা অন্য কেউ ছিল।আসি। সুখে থেকে।

চলে যায় সেদিন। আর তোমার দাদার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায়।

ইউসুফ এতক্ষন চুপ করে শুনে বলে উঠে,
---তার মানে প্রথম দেখে ভাললাগাকে কখনোই ভালবাসা বলা যায় না।

দাদু মাথা নাড়ালেন। যার অর্থ না।তারপর বললেন,
---আমরা বেশির ভাগ মানুষ এই ভালবাসা আর ভাললাগার মধ্য প্যাচ লাগিয়ে দেই। এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভুল। ভাললাগা হুট করেই বদলে যেতে পারে কিন্তু ভালবাসা তা সহজে ভুলা যায় না।

—————

পরেরদিন ভার্সিটিতে ভয়ে ভয়ে পা রাখলো কুহু। আশে পাশে ভাল করে তাকাতেই চোখ যায় দূরে থাকা বট গাছের নিচে যেখানে ইউসুফ আর তার দল বল বসে।পরনে তার ব্ল্যাক শার্ট তার উপর ব্ল্যাক জ্যাকেট, ব্ল্যাক প্যান্ট  পায়ে ব্র্যান্ডের জুতা, হাতে ঘড়ি সব মিলিয়ে ফর্সা মুখখানায় ট্রিম করা দাড়ি , বড় বড় চুল গুলো পিছনে ঠেলে রেখেছে কি মারাত্মক লাগচ্ছে তাকে।কিন্তু সে যেমন দেখতে মারাত্মক কাজে কামেও মারাত্মক। আশেপাশের মেয়েরা দূর থেকেই গিলে খাচ্ছে তাকে।

 ইউসুফ মুখে চুইংগাম চিবুচ্ছে । আর হাত নাড়িয়ে কি যেন বলছে। কুহুর কাছে মনে হচ্ছে কোনো রাজা বসে ভাষণ দিচ্ছে। আর রাজা চেলা পেলা অর্থাৎ মন্ত্রী আর প্রজারা গিলছে।হাসলো কুহু মনে মনে বলল,,

--"রাজা, মহারাজা চলে গেছে ঠিকি কিন্তু কিছু ভাব ওয়ালা গো রাইখা গেছে।আচ্ছা  কি বলতে পারে সে এখন রাজা হলে,
এটাই বলবে! সেনাপতি আজ কটা ঘাঁড় আলদা করেছো? আমার রাজ্য কেমন চলে? আর কুহু! ওকে, কিভাবে জ্বালাবো তার নতুন উপায় বের করতে বল গুরুজি কে। ভেবেই মনে মনে হেসে দিল কুহু।তারপর
ছোট শ্বাস নিল।"

 এই সাইকোর সামনে দিয়েই তার হেঁটে ক্লাসে যেতে হবে। দেখলেই না জানি কি করে বসে।তাই ব্যাগ থেকে বই বের করে নিজের মুখ কভার করে ফেলে।  এবং যেতে থাকে। মাঝে মাঝে বইয়ের আড়াল দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সে। যে তাকে দেখচ্ছে নাকি?

কুহু ভার্সিটিতে পা রাখতেই চোখে পরেছে ইউসুফের। তাও না দেখার ভান করে রইল। যখন কুহু বই বের করে মুখ কাভার করে ফেলে।তখন হেসে উঠে ইউসুফ। তার পাশেই আজিম বসে কলা খাচ্ছিল, খাওয়া প্রায় শেষের দিকে।কুহু তখন ইউসুফ দের ক্রস করে যাওয়ার সময়, আজিমের হাত থেকে কলার খোসা নিয়ে ফেলে দিল কুহুর পায়ের কাছে।কুহু সেই জায়গা টুকু তাড়াতাড়ি হেঁটে যাচ্ছিল। ঠিক পায়ের নিচে খোসাটা লাগতেই, ধুম করে পরে গেল সবার সামনে?

পরেই কোমর ধরে আর্তনাদ করে বলল,

---"আহ্হহহ!"

আশাপাশের সবাই হাসতে শুরু করলো। আজিম তো থ। ইউসুফ ভাবলেশহীন ভাবে বসে।কুহু আড় চোখে তাকালো। ইউসুফের ঠোঁটে বাঁকা আসি। কুহুর আর বুঝতে বাকি নেই,, এইটা কার কাজ।কুহু বকতে বকতে উঠে দাঁড়াতে নিল পারলো না।তখনি কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় কুহুর সামনে তাকে তোলার জন্য।।

কুহু ছোট ছোট চোখ করে  হাতের মালিকের দিকে তাকালো। সাথে সাথে হা হয়ে গেল কুহু।এ যে কলেজের আরেকটা ক্রাশ  আশিক।ইউসুফের পরে তারই নিয়ে মাতামাতি সবার।যারা এতক্ষণ হাসচ্ছিল। সবার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। কুহুর ছোট ছোট করে রাখা চোখ বড় বড় হয়ে গেল সাথে সাথে।

কুহু লোকটি হাতে তার কাঁপা কাঁপা হাত দিতেই আশিক তুলে নিল তারে। এটা দেখে বসা থেকে দাড়িয়ে গেল ইউসুফ। চোখ মুখ শক্ত করে আছে। মনে হচ্ছে এই মুহুর্তেই চোখ দিয় ভস্ম করে দিবে সব।

কুহু কাপড়  ঝাড়তে ঝাড়তে আশিকের দিক তাকিয়ে বলল,,

---থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

আশিক মুচকি হাসে জবাব দিল,

--মেনশন নট!বলে চলে গেল।

তখনি তানিয়ে দৌড়ে এসে দাড়ায় কুহুর পাশে।সামনে থাকা ব্যাক্তিটিকে দেখে হকচকিয়ে উঠে। নিজেকে সামলে কুহুকে প্রশ্ন করে বসে,

---দোস্ত আর ইউ ওকে? আমি গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখলাম তুই নিচে পরে  আছিস। কিভাবে পরলি তুই?

কুহু আড় চোখে ইউসুফদের দেখে বলে উঠে,

--রাস্তা ঘাটে ছাগলের অনেক আজ কাল মানুষের বদলে ছাগল চলাফেরা করে তাদেরই কাজ, যেখানে সেখানে কলা খেয়ে খোসা ছুড়ে ফেলা।

কুহুর কথার ইঙ্গিত তানিয়ার বুঝতে কষ্ট হলেও ইউসুফের বুঝতে দু সেকেন্ডও লাগেনি। সে রাগে হাত মুঠ করে আছে।কঁপালের নীল রগ ফুলে উঠেছে।

🖤
লাইব্রেরীতে কিছু বই খুঁজচ্ছে কুহু আর তানিয়া।সামনেই ইনকোর্স পরীক্ষা। অথচ কিছু বই এখনো তিনা হয় নি। তাই দুজন মিলে লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে নোট বানিয়ে পড়বে। কুহু আর তানিয়া দুজন দু দিকে বই খুঁজচ্ছে। কারণ লাইব্রেরী টা অনেক বড় দু তলা নিয়ে।কুহু খুঁজতে খুঁজতে উপরের এক কর্ণারে এসে খুঁজতেসে।তখনি অনুভব করল ওর পিছনে কেউ এসে দাড়িয়ে আছে।কুহু প্রথমে ভয় পেল, কারণ এখানে তো কারও এখন আসার কথা না। তাহলে কে? পরে মনে করলো তানিয়া। তখনি "তানিয় তুই " বলেই কেউ পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে সাইডের দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে। কুহুর প্রথমে কিছু বুঝতে না পরে থম মেরে রইল। পরে বুঝতে পেরে ছোটাছুটি শুরু করলো। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে। লোকটি খুব শক্ত করে ধরে আছে তাকে। কুহুর পিঠ লোকটির বুকের সাথে লেপ্টে আছে।লোকটির নিশ্বাস কুহুর গলায় আর ঘাড়ে পরছে। হুট করেই মনে পরে যায় কাল সন্ধ্যার কথা।তখন কারো নিশ্বাস তার মুখে পরছিল।সেই ব্যাক্তিটি নাতো? কুহু ভয়ে জমে যাচ্ছে। সাথে সাথে গড়িয়ে পরলো দু ফোঁটা চোখের জল।তখনি লোকটি কুহুর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,,

---"ছেলেদের থেকে দূরে থাক,  তোমার জন্য ভাল হবে, নয়ত এতটাই খারাপ হবে যে যা তুমি কল্পনা করতে পারবে না মাইন্ড ইট।"
বলে লোকটি চলে গেল।কুহু সেখেনই দেয়াল ঘেসে  বসে পরলো মাটিতে। এসব কি সত্যি হচ্ছে নাকি কল্পনা! দু হাত জ্বালা করছে তার তখন লোকটি শক্ত করে চেঁপে ধরে ছিল তাকে। হাতে লাল লাল দাগ। হাত দুটো  উপরে তুললো কুহু। কাঁপচ্ছে হাত দুটো সহ পুরো শরীর।তার মানে সব সত্যি ছিল। এই মাত্র যা ঘটে গেল সব সত্যিই। ভয়ে শুকনো ঢুক গিললো সে। আশে পাশে তাকিয়ে আর কাউকে দেখতে পেল না সে। মুহুর্তেই মিলিয়ে গেছে লোকটি।কুহু চোখ মুছে নিচে নেমে আসে।তখন তানিয়ে জিজ্ঞেস করে,

--"কি হয়েছেরে কুহু। তাই কান্না করেছিস!  চোখ মুখ ফুলা কেন?"

কুহু ছোট্ট শ্বাস টেনে বলে,

---এ ভার্সিটি টা আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে য়েছে।
বলে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে চলে গেল সে। তানিয়া বেচারির কিছুই বুঝল না, বার কয়েক কুহুকে ডেকে সেখানেই দাড়িয়ে কুহুর যাওয়ার দিক তাকিয়ে রইল সে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন