প্রণয়াসক্ত প্রভাত |
সৈয়দ বাড়ির প্রধান কর্তা ওসমান আলী। সবসময় গাম্ভীর্য এবং দাম্ভিকতায় ভরপুর ওসমান আলীর কঠোর নিয়মকানুনে আবদ্ধ থাকে পুরো সৈয়দ পরিবার। বিয়ের আগে প্রেম, অশালীন চলাফেরা, ছেলেদের সাথে কথা বলা এ পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য নিরবে নিষিদ্ধ। ইসলামকে যথাসাধ্য মেনে চললেও ইসলামিক নিয়মে ছেলেমেয়েদের শাসন করা সম্পর্কে অজ্ঞাত তিনি। তার মেয়ে মেহের শান্তশিষ্ট ও সাদামাটা হওয়ায় বাবার শাসনকে মাথা পেতে নেয় এবং নিজেও আল্লাহর পথে চলার চেষ্টা করে। তবে কুহু তার চাচার এই শাসন আর নিয়মের বেড়াজালে নিজেকে বন্দি খাচার পাখির ন্যায় ভাবে। যৌথ পরিবারে বড় চাচার আদেশ, নিষেধ যেন সবার ঊর্ধ্বে! কথায় বলে নিষিদ্ধ বস্তুতে সকলের আকর্ষণ বেশি থাকে। সেই কথাকে সঠিক প্রমাণ করতেই হয়তো সৈয়দ পরিবারে একসময় অবাদ্ধতা আনাচে-কানাচেতে ফুলে ফেপে ওঠে। জৈষ্ঠ্যের কালবৈশাখী ঝড়ে দেখা হয় মেহের আর ফায়াজের। দীর্ঘ কৃষ্ণ কেশের অধিকারিণীকে এক পলক দেখাতেই মুগ্ধ সে। প্রেমের বদলে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ছুটে যায় তার মেহেরজানের কাছে। সম্পর্কের বৈধতা; হালাল ও শুদ্ধ ভালোবাসা পেতে। কিন্তু স্টাইলের নামে ছেড়া-ফাড়া প্যান্ট পরা, ক্লিন সেভ আর কালারিং চুলের ফায়াজকে প্রত্যাখ্যান করে মেহের। ফায়াজও নাছোড়বান্দা। শহুরে ফায়াজ দিনের পর দিন পরে থাকে দাদাবাড়িতে মেহেরের মন একটু নরম হওয়ার আশায়। একসময় মেহের রাজি হলেও বিকল্পে ফায়াজকে পাল্টাতে হয় তার আধুনিকতার নামে উচ্ছন্নে কাটানো জীবন। তবে তারা নিজেদের অজান্তেই হালালের নিয়তে হারাম সম্পর্ক স্থাপন করে বসে। শেষমেষ কি বিয়ে নামক হালাল বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে মেহের আর ফায়াজ? অহংকারী কুহুও কি নিজের মনগড়া স্বাধীনতা পায়? মেহেরের ভাই রাহাত আর চাচাতো বোন সুমুর জীবনও অস্বাভাবিকতায় ছেয়ে যায় কেন?
এসকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পড়তে হবে ❝প্রণয়াসক্ত প্রভাত❞ উপন্যাস।