মেঘফুল - পর্ব ৪৫ - মিশু মনি - ধারাবাহিক গল্প


অন্ধকার রাত্রিকে সাক্ষী রেখে হঠাৎ পান্নাবাহার বলল, 'আপনার হাতটা ধরলে আপনি কি কিছু মনে করবেন?'
জাহ্নবী বিস্মিত হলো। দখিনা হাওয়ায় মাধবী লতার দোল খাওয়ার মতো হৃদয়টা দুলে উঠল তার। শীতল শব্দহীন একটা অনুভূতি তাকে আঁকড়ে ধরলো। শরীর বেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল সেই অনুভূতিটা। পান্নাবাহার তার হাত ধরতে চাইছে! জাহ্নবীর বিশ্বাস হতে চায় না। দ্বিধাহীনভাবে সে হাত বাড়িয়ে দিলো তার পান্নাবাহারের দিকে।

সারল্য হাতটা ধরল। শক্ত করে মুঠোয় চেপে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বুক ভরে বড় বড় শ্বাস নিলো সে। প্রত্যেকটা দীর্ঘশ্বাসে ভেতর থেকে চাপা কষ্টগুলোকে দূর করে দিতে চেষ্টা করল। জাহ্নবী অবাক চোখে সারল্যকে দেখছে। চোখের পলক ফেলতে পারছে না। 
সারল্য অনেক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে একইভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিলো। সে যখন চোখ মেলে জাহ্নবীর দিকে তাকালো, তখন জাহ্নবী দেখতে পেলো একজন অন্য মানুষকে। যার মুখে প্রশান্তি, কোথাও নেই কোনো কষ্টের ছাপ। কী ভীষণ নির্মলতায় চকচক করছে সারল্য'র চোখ দুটো।

 জাহ্নবী মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে শুধু একটা কথাই বলল, 'আপনার মন ভালো হয়েছে?'
'ভীষণ হালকা লাগছে জাহ্নবী। খুব শান্তি লাগছে। একদমই একা মনে হচ্ছে না নিজেকে।'
জাহ্নবী'র চোখ ছলছল করে উঠল। সিক্ত চোখ দুটো সে পান্নাবাহারকে দেখাতে চাইলো না। তাই মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে চেয়ে রইল। 
সারল্য বলল, 'আপনার হাত ধরার পর মনে হচ্ছে আমার মাঝে এখনও প্রাণের স্পন্দন আছে। কিছু মনে করেন নি তো?'
'না। বন্ধুর আচরণে কিছু মনে করতে হয় না।'
'আপনি আমার খুব ভালো একজন বন্ধু জাহ্নবী।'
'আমিও সেটাই বিশ্বাস করি।'
'আজ মনে হচ্ছে, এই বয়সে, এই স্টেজে এসে আমার আপনার মতো একজন বন্ধুকে ভীষণ প্রয়োজন ছিল। যে আমাকে বুঝবে, আমার কষ্টটাকে অনুভব করবে কিন্তু খোঁচা দেবে না।'
'আপনার বন্ধুরা কি খোঁচা দেয়?'
'ওরা হাসাহাসি করে, হাসির ছলে অনেক অসহ্যকর কথাই বলে। আমি যেসব ভুলতে চাই সেসব আরও বেশী বেশী মনে করিয়ে দেয়। সবাই না, তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় থাকলে দু একজন এরকম করবেই।'
'সেই দু একজনের জন্য নিজের অশান্তি বাড়াবেন না।'
'বাড়াবো না।'
'আমার হাত ধরে বলছেন তো?'

সারল্য ফিক করে হেসে জাহ্নবীর হাতটা ছেড়ে দিলো। জাহ্নবী ভ্রু কুঁচকে বলল, 'এ কী! কথা দিতে পারছেন না বলে ছেড়ে দিলেন?'
'না। অনেক্ষণ ধরে আছি তাই।'
'ভারী নাকি অনেক?'
এবার প্রাণভরে হাসি দিলো সারল্য। সরলতায় মাখামাখি হলো তার দুই চোখ, চাপদাড়িতে ভরা চিবুক আর গোলাপি ঠোঁট দুটো। শিরশির করা বাতাসের দোলা গায়ে লাগতেই জাহ্নবী'র মনে হল, এই মানুষটা তার ভীষণ আপন। যতটা আপন হলে নিজেকে উৎসর্গ করে দেয়া যায়!

তারা দুইজন অনেক রাত অবধি বারান্দার রেলিঙ ধরে দাঁড়িয়ে রইল। গল্প করল এই শহরের ইট পাথরে ঘেরা ঘরবাড়ি, ঘরের ভেতর পাথুরে হয়ে যাওয়া মানুষের জীবন, আরও কত কী নিয়ে! এক পর্যায়ে সারল্য বলল, 'আপনার ঘুম পেয়েছে তাইনা?'
'না।'
'কাল তো অফিস আছে। এখন ঘুমানো দরকার আপনার।'
'হ্যাঁ, যাই।'

সারল্য জাহ্নবীর সঙ্গে বেরিয়ে এলো। গেস্টরুম দেখিয়ে দেবার সময় জাহ্নবী মুচকি হেসে বলল,, 'ধন্যবাদ। কিন্তু আমি আজকে খালার সঙ্গে ঘুমাবো বলে এসেছি। উনি হয়তো অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছেন।'

জাহ্নবী সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগল। হঠাৎ ডাক দিলো পান্নাবাহার, 'এই জাহ্নবী..'
জাহ্নবী চমকে উঠলো। মুহুর্তেই পেছন ফিরে তাকালো সে। সারল্য মৃদু হেসে বলল, 'থ্যাংকস।'

এই একটা শব্দই তুমুলভাবে আন্দোলিত করল জাহ্নবীকে। হৃদয়ে সুখের অনুরণন নিয়ে সে সারল্য'র মায়ের ঘরে এলো। তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। নিঃশব্দে ওনার পাশে শুয়ে পড়ল জাহ্নবী। মনটা বড্ড ফুরফুরে আজ। সারল্য'র মন ভালো করে দিতে পেরেছে সে। এরচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে, তার একজন মানুষ হয়েছে, যার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারা যায়। মানুষ তো কতই আছে দুনিয়াতে, সবাই কী আর নিজের মানুষ হতে পারে!

সকালের নাস্তা খেয়ে নিজের ঘরে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে সামার। আগামীকাল তাদের ঢাকায় ফেরার কথা। আজকে সে অর্ণবকে সঙ্গে নিয়ে এলাকাটা ঘুরে দেখতে বের হবে। এখানে এসে যতটা খারাপ লাগবে ভেবেছিল সে, ততটা লাগছে না। বরং বেশ ভালো লাগছে সম্পূর্ণ নতুন এই এলাকা।

দরজা খোলার শব্দে মুখ ঘুরিয়ে সামার দেখল ঘরে পারভীন এসেছেন। তিনি ভেতরে প্রবেশ করেই দরজা বন্ধ করে দিলেন। এগিয়ে এলেন বিছানার কাছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা বলার জন্য এসেছেন এবং তা সিরিয়াস কিছু। সামার উঠে বসলো বিছানার ওপর।
পারভীন বললেন, 'আজকে অর্ণবের কিছু আত্মীয় স্বজন আসবে তোকে দেখতে।'

সামার হঠাৎ জ্বলে ওঠা বিস্ফোরণের মতো বলে উঠল, 'কেন? আমি কি সার্কাসের নায়িকা?'
'চুপ কর। আস্তে কথা বল। ওর সঙ্গে তোর এনগেজমেন্ট হইছে সেটা ওর আত্মীয় স্বজন সবাই জানে। বোন কি ভাইয়ের বউকে দেখতে আসবে না?'
'কিন্তু মা, আজকে না। আমি এখন এসব ঝামেলার জন্য প্রিপেয়ার্ড না।'
'প্রিপেয়ার্ড কেউ থাকে না। তুই যখন বাসায় জানাইছিস তুই বিয়ে করতে চাস। আমরা তখন তো এরকম করে বলি নাই সামার। এখন মনে হইতেছে বাপ মা সন্তান জন্ম দিয়ে ভুল করছি।'

পারভীন রাগত মুখ করে বসে রইলেন। সামার কী উত্তর দেবে ভেবে পেলো না। নিজেকে সামলে নিয়ে সে বলল, 'আচ্ছা ঠিক আছে। সবাইকে আসতে বলো। আমি আজকে বাইরে ঘুরতে যাবো। সন্ধ্যা হয়ে যাবে বাসায় ফিরতে।'
'এতটা বেশরম কেমন করে হইলি তুই? হবু শ্বশুরবাড়িতে এসে ওদের সামনে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছিস। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারিনা আমরা।'
'যুগ পাল্টেছে মা। এখন আর আগের দিনের মতো ঘরের এক কোণে ঘোমটা টেনে বসে থাকার দিন নাই। যাইহোক, সবাইকে সন্ধ্যায় আসতে বলো। আমার সঙ্গে দেখা হলেই তো হবে তাই না?'

পারভীন কঠিন মুখ করে সামারের দিকে তাকালেন। নিজের পেটের মেয়েকেও তিনি বুঝতে পারছেন না। মেয়ে যাকে পছন্দ করে, যার সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে, তার ব্যাপারে কিছু বললেই আবার রেগে যায়। মেয়েদেরকে নিয়ে কখনো শান্তি পেলেন না তিনি। পাছে সম্মানহানি হয়ে যায় কী না!

পারভীন ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। ভায়োলেট ভেতরে এসে জানতে চাইলো, 'কী হয়েছে রে আপু? মা'র মুখ কালো কেন?'
'মা'র মুখ সাদা কবে দেখেছিস? সবসময় মুখ কালো করেই তো রাখে।'
'উল্টাপাল্টা কিছু বলেছিস?'
'অর্ণবের কিছু মেহমান আসবে। মা চায় আমি বাসায় থাকি। আমি ঘুরতে যাবো শুনে রেগে গেছে।'

ভায়োলেট কোনো উত্তর দেয় না। সামারকে নিয়ে তার ভয় হয়। এই মেয়েটা খুব স্পষ্টবাদী। বাকি দুবোন মাকে কষ্ট দিয়ে কিছু বলতে না পারলেও সে ঠিক পারে। সবসময় সঠিক কথা মুখের ওপর বলে দিতে জুড়ি নেই সামারের। এতে কার কী আসে যায়, সেসব পরোয়া করেনা সে। 
অর্ণবকে অনেক্ষণ ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সামার ফোন দিলো তাকে, 'কই আপনি?'
'এইতো বাজারে।'
'বাসায় আসবেন কখন?'
'পনেরো বিশ মিনিট লাগবে। গেস্ট আসবে তাই বাজার করছি।'
'তারাতাড়ি আসুন। আমি রেডি হচ্ছি।'
'রেডি হয়ে থাকুন, আমি এসেই বের হবো।'

অর্ণব বাসায় ফিরে দেখল তার অপেক্ষায় আছে সামার। অর্ণবকে দেখেই এগিয়ে এসে সামার বলল, 'আমাদের আরও আগে বের হওয়ার কথা ছিল। এক জায়গায় নিয়ে যাবেন বলেছিলেন?'
অর্ণব ইতস্তত করতে করতে বলল, 'আজকে সম্ভবত বের হতে পারবো না। কিছু মনে করবেন না প্লিজ। অনেকদিন পর আমার আপু আসছে, ভাগ্নী আসছে। আমি তো কাল ঢাকায় চলে যাবো। এরপর আর ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবো না। প্লিজ রাগ করবেন না।'

সামার খানিক্ষন চুপ করে থেকে উত্তর দিলো, 'ঠিক আছে। তবে আপনাকে আজ একটা কথা দিতে হবে।'
'কী কথা?'
'আপনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই সেটা সবার কাছে ক্লিয়ার করে দিতে হবে। নয়তো আমিই আজ সবকিছু বলে দেবো। কথাটা মনে থাকে যেন।'

চিন্তিত দেখালো অর্ণবকে। সামারের ব্যাপারে বাবা মা অনেক আশাবাদী। আত্মীয় স্বজন সবাই জানে সামার তার হবু বধূ। আজ অনেকেই আসবে ওকে দেখতে। সবার সামনে কী করে সে সত্যিটা বলে দেবে? বলার পর বাবা মায়ের সম্মানটাই বা দাঁড়াবে কোথায়? সে কিছু ভাবতে পারছে না। 

দুশ্চিন্তায় দুপুর গড়িয়ে গেল। সামার এরমধ্যে আরও একবার রীতিমতো হুমকি দিয়েছে তাকে। অর্ণব ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেহমান এসেছে বাসায়। সবার সামনে সত্যিটা আজকে খোলাসা করতে হবে। তাদের এনগেজমেন্ট নামক নাটকটা পুরোটাই মিথ্যা, নেই কোনো পছন্দের ব্যাপারও। 

দুপুরের খাবার খাওয়ার পর সবাই বসে বিশ্রাম নিচ্ছে আর আড্ডায় মেতে উঠেছে। সামারকে ঘিরে আজ হচ্ছে যত আড্ডা। অর্ণবের আত্মীয়রা সামারকে ভীষণ পছন্দ করেছে। কেউবা শোনাচ্ছে ছোটবেলায় অর্ণবের দুষ্টুমির কথা। এমন সময় সামার বলল, 'আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলতে চাই।'

সবাই তাকালো তার দিকে। ধক করে উঠল অর্ণবের বুক। সে সামারের মুখের দিকে তাকালো। সামার অর্ণবের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখনই সে বলে দেবে কথাটা। এমন সময় অর্ণব বলল, 'আপনি একটু আসুন আমার সঙ্গে। কথা আছে।'

সবার মধ্য থেকে উঠে গেল সামার। অর্ণব নিজের ঘরে এসে তাকে অনুরোধ করে বলল, 'আপনি এখনই সব বলে দিচ্ছেন? সবাই কত মজা করছে আপনার সঙ্গে। সবার মন খারাপ হয়ে যাবে।'
'তাহলে? আর কতক্ষণ আমি জোকারের মতো অভিনয় করবো? সবাই রীতিমতো বউ বানিয়ে ফেলেছে আমাকে।'
'আপনার কাছে হাতজোড় করছি। প্লিজ এখনই কিছু বলবেন না। আপনি আর দুটো দিন ধৈর্য ধরুন। আমরা ঢাকায় চলে গেলে আপনাকে কেউই বিরক্ত করবে না আর। ঢাকায় গিয়েই আমি সবকিছু ঠিক করে ফেলবো, কথা দিচ্ছি।'

সামার একটা নিশ্বাস ফেলে গম্ভীর হয়ে গেল। অর্ণবের বিনয়ী মুখের পানে চেয়ে সে কিছু বলতে পারল না। তাকে অনুরোধ করে হাত দুটো একসঙ্গে তুলে দাঁড়িয়ে আছে অর্ণব। সামার বলল, ' ঠিক আছে। আমরা আগামীকাল চলে যাবো। এরপরই যেন সবকিছু ঠিক করা হয়?'
'আমি কথা দিয়েছি আপনাকে।'
'আচ্ছা। এতদিনের পরিচয়ের সুবাদে আপনাকে এই সময়টুকু দিলাম।'
'থ্যাংক ইউ সামার। থ্যাংক ইউ সো মাচ।'

অর্ণব ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল সামার। দুজন কিশোরী মেয়ে এসে সামারের পাশে বসে বলল, 'মামী, মা আপনাকে ডাকছে।'

সামারের রাগ হল। ইচ্ছে করল খুব জোরে চেঁচিয়ে বলতে, 'আমি তোমাদের মামী নই।' কিন্তু বলতে পারলো না সে। রাগটা সংবরণ করে নিয়ে বলল, 'মাথাব্যথায় আমি কথা বলতে পারছি না। গিয়ে বলো খুব খারাপ লাগছে আমার।'

মেয়ে দুটো ছুটে বেরিয়ে গেল। খানিকবাদেই অর্ণবের এক বোন এসে বসল তার পাশে, 'আপনার শরীর নাকি খারাপ করেছে আপু? বাম এনে দেই?'

সামার উত্তর দিলো না। মুহুর্তেই ছুটে এলেন অর্ণবের মা। তিনি ব্যস্ততার সঙ্গে বললেন, 'কই দেখি আমার মায়ের কী হইছে?'
সবার এত আদর, এত আধিখ্যেতা সামারের সহ্য হচ্ছে না। সে তবুও নিশ্চুপ হয়ে রইল। শুধু বলল, 'একটু ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে।'

ঘর থেকে বেরিয়ে গেল সবাই। দরজা টেনে দিয়ে গেলেন অর্ণবের মা। হাফ ছেড়ে বাঁচল সামার। অনেক্ষণ ধরে সে এসব সহ্য করে যাচ্ছে। এবার একটু বিশ্রাম নিতে পেরে স্বস্তি হচ্ছে তার। সত্যি সত্যিই ঘুম এসে গেল চোখে।

তবে ঘুম ভাঙার পর সামার যা শুনলো, তাতে তার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। পারভীন জানালেন, আত্মীয় স্বজন অনেকেই আজ উপস্থিত আছে। আজকেই কাবিন সেরে ফেলতে চান অর্ণবের পরিবার। সামার নির্বাক চোখে পারভীনের দিকে তাকালো। ঘুমের রেশই কাটেনি তার। মসজিদে মাগরিবের আযান হচ্ছে। এই ভ্যাপসা গরমে বসে বসে এ কোন সংবাদ শুনলো সে! এইমুহুর্তে সবকিছু ভেঙে ফেলবে সে, সবকিছু। 
.
.
.
চলবে.......................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp