বসন্তের ফুল - পর্ব ০২ - তারিন জান্নাত - ধারাবাহিক গল্প


০৩!!

গোসল করে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে প্রেমা নিজের রুমের সাথে এটাচড্ বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়। মন-মাতানো ফুলের  মিষ্টি-ঘ্রাণেন্দ্রি়!! না চাইতেও মন ভালো হয়ে যায় প্রেমার!

বিস্ময়কর ব্যাপার একসময় এ ফুল প্রেমার অপছন্দের জিনিসগুলোর মধ্যে একটা ছিলো। সময়ের সাথে মানুষেরও পছন্দ বদলে যায়। কিন্তু স্বইচ্ছায় প্রেমার এই অপছন্দের জিনিস পছন্দতে রুপান্তর হয়নি। এর পেছনে কারো অসীম পরিশ্রম ও ছিলো।

দু-বছর আগে প্রেমা যখন ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো। তখন প্রেমার এই বারান্দাটা সবসময় খালি পরে থাকতো।শুধু বসার জন্য একটা চেয়ার ছিলো। 

বসন্তকালের আগমন হলেই তাদের কলেজে অনেক বড় করে 'বসন্ত বরণ' উৎসবের আয়োজন করা হয়। খুব সুন্দরভাবে নিজেকে লাল শাড়িতে জড়িয়েছিলো সেদিন। হয়তো প্রেমার এই রুপে অজানা অচেনা কেউ মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলো।  

সেটা কী ভালোবাসা ছিলো নাকি ভালোলাগা কেউ জানেনা উভয়ের মধ্যে। প্রেমার নিশ্চিত হয়েছিলো ব্যাপারটাই তার কারন সেদিন কেউ একজন লাল-টকটকে বসন্তকালের ফুলের মালা পাঠিয়েছিলো নিজের খোঁপায় পেঁছানোর জন্য। সাথে একটা চিরকুট ও ছিলো।তাতে লেখা ছিলো ফুলের মালাটা যেনো খোঁপায় পেঁছায়।সেদিন প্রেমার কথাটি ফেলতে পারেনি। পূরন করেছিলো তাঁর সেই আবদার। 

সেদিন হাজার খুঁজলেও সে মানুষটির খোঁজ পায়নি প্রেমা। হতাশ হয়ে বাড়ি চলে আসে। পরেরদিন ঘটে আরো এক আশ্চর্য ঘটনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় যাওয়ার জন্য পা জোড়া অগ্রসর করেছিলো।কিন্তু যাওয়ার পথে বাঁধা হয় দু'টি ফুলের টব।  সাথে চিরকুট তাতে কেউ অনুরোধ করেছিলো যাতে ফুল গুলো ফেলে না দেয়।প্রেমাও ফেলতে পারে নি তার কথা। সেদিনের পর থেকে ডেইলি দু'টো করে ভিবিন্ন ফুলের টব দেখতো বারান্দায় ঘুম থেকে উঠার পর। 

তারপর থেকেই এই বারান্দাটা অসম্ভব সুন্দর একটি ফুলের বাগানে রুপান্তরিত হয়।  কথা গুলো ভেবে আনমনে হেসে যাচ্ছিলো প্রেমা!!  হঠাৎ তার ভাবির ডাকে হুস ফিরে আসে। তাকিয়ে দেখে নাতাশা দাঁড়িয়ে আছে!

--"কি রে খাবি না??"(ভাবি)

--"খাবো তো আসছি তুমি যাও!!" (প্রেমা)

খাবারের টেবিলে প্রেমার মা-বাবা,দাদি বসে অপেক্ষা করছিলো প্রেমার!  প্রেমা গিয়ে বসতেই তারা খাবার শুরু করে। সাথে প্রেমার ভাবিও বসে পরো। কিছুসময় অতিক্রম করার পর প্রেমার তার বাবার উদ্দশ্যে বলতে।লাগে....!!

--""বাবা আগে তো কলেজে ভাইয়া নিয়ে যেতো।  এখন তো নিজেও নিজের ব্যাবসার কারনে আসতে পারছেনা,,ভার্সিটি তো সেই শহরের কাছাকাছি অনেক দূর।যাতায়তের জন্য বেশ অসুবিধা হয়। তো আমি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে ক্লাস করলে সহজ হতো। তোমার মতামত কী??  কোনো আপত্তি নেই তো???""

--"তুই মেয়ে মানুষ একা বাসা ভাড়াই থাকাটা কী খুব ভালো হবে??"

--"অমাহ!! আমি একা হব কেন?? ডি.জেওয়ালা দাদি আছে তো আমার সাথে!" (চট করে বলে ফেলে)

হঠাৎ প্রেমার কথায় সবাই চুপ হয়ে যায়। ২ সেকেন্ড পেরুতেই সবাই অট্ট হাসিতে মেতে উঠলো। প্রেমার দেওয়া নাম শুনতেই...

--"" আর কতো নাম দিবি আমার"??

--" দেখি!! (প্রেমা)

--" বলছি আমার ফ্রেন (ফ্রেন্ড) সুরিয়া ফোন দিয়েছিলো তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে। শহরে তার ছেলের বাড়িতে আছে এখন।অনেক জোরাজোরির পর আমিও আর না করতে পারিনি।তাই আজকে বিকেলেই রওনা দিতে হবে। আমাদের জন্য গাড়িও পাঠিয়ে দিবে। সেখান থেকে এসেই তোর ব্যাপারটা ভাবা হইবো। (প্রেমার দাদি)

--"হ্যাঁ তো যাও না তুমি! তার সাথে আমার কী সম্পর্ক?"(প্রেমা)

--" সম্পর্ক আছে! কারন তুইও আমার সাথে যাবি। আর তোর বই-পত্রও সাথে নিস সেখান থেকে তোর ভাসিটি (ভার্সিটি) কাছে। আমি কোনো না শুনতে চায় না প্রেমা। যদি না বলিস তো আমি আর তোর সাথে কথা বলবো না। 

প্রেমার বাবা কিছু বলেননি যওয়ার জন্য সম্মতি দেন।বাড়িতে তার মায়ের সিদ্ধান্তেই সব। প্রেমাও আর না করতে পারেনি।দাদিকে ভীষণ ভালোবাসে সে। তাই আর না করতে পারে নি। খাবার খেয়ে সেখানে যাওয়ার জন্য প্যাক করেনে নেয়।সপ্তাখানেক থাকবে বলে সেখানে। 

৩ টার দিকে গাড়ি আসলেই তাঁরা রওনা দেই শহরের দিকে। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই পৌঁছে যায় সেখানে। 

গাড়ি থেকে নেমে কলিংবেলে চাপ দেয় গাড়ির ড্রাইবার। তারপর চলে যায়। এখন শুধু প্রেমা আর প্রেমার দাঁড়িয়ে আছে। 

কিছুক্ষন যেতেই একটা ছেলে এসে দরজা খুলে।  আস্মিকভাবে ছেলেটি প্রেমাকে দেখে চমকে যায়। তার চমকে যাওয়াটা প্রেমার চোখ এড়াইনি। তবুও তেমন মনে নেইনি ব্যাপারটা। 

খুব সুন্দর এবং মার্জিত কন্ঠে ছেলেটি সালাম দিয়ে তাদের ভেতরে আসতে বলে। ভেতরে গিয়ে প্রেমার আরেক শক খায় সোফায় বসে থাকা মানুষটিকে দেখে।সে আর কেউ নয় প্রেমার ভার্সিটির আরিয়ান স্যার।পরক্ষনে মেজাজ ধরে যায় প্রেমার। আরিয়ানও প্রেমাকে দেখে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে থাকে। 

সেসময় আবারো সেই ছেলের কন্ঠটি কানে ভেসে উঠে।তাদের বসতে বলছে এবং ছেলেটি তার মাকে ডাকছে। এরপর দ্রুত পা চালিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে যায়। এই মুহুর্তে তার আর সেখানে থাকা সম্ভভ হচ্ছিলো না।

--আরে আমেনা এসেছিস?? (বলেই দুজন দুজনে জড়িয়ে ধরে)

--"কত বছর পর দেখা তাই না রে?(প্রেমার দাদি)

প্রেমার দাদির বান্ধবী এবং তার দুই ছেলের বউদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এবং জানতে পারে আরিয়ান দাদির বান্ধবীর বড় নাতি হয়। আরিয়ান প্রেমার সাথে কথা বললেও প্রেমার উত্তর দেয় নি তার মনোযোগ অন্যদিকে ছিলো। 

--"এইতো এসে গেছে এটা আমার ছোট নাতি অভ্র। "(আরিয়ানের দাদি বলে) অভ্র ও তোমার আমেনা দাদু মনে আছে ছোটবেলায় দেখেছিলে??"

তখনি অভ্রের মনে পরে ক্লাস এইটে থাকা অবস্থায় দেখা হয়েছিলো একবার।

--''হুম মনে আছে''(অভ্র) 

তারপর তাঁরা সোফায় বসল।  তাদের নানা ভাবে আপায়ণ করছিলেন আরিয়ানের এবং অভ্রের মা।  আরিয়ানতো অনেক খুশী প্রেমাকে ইমপ্রোস করার জন্য আরো একটা বড় সুযোগ হাতে পেয়েছে।

 আরিয়ান প্রেমার সামনা-সামনি বসে দাদিদের সাথে গল্পে মেতে উঠে। কিন্তু প্রেমার মনে হচ্ছে কেউ থাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।আশে পাশে তাকালে কাউকে দেখতে পায়নি তেমন।

০৪!!

প্রেমা আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায়নি। আবার হঠাৎ চোখ যায় দরজার দিকে তখনি দেখে তখনকার ছেলেটিকে মানে অভ্রকে। সাথে একটা ছোট ছেলে কাঁধে ব্যাগ। ছেলেটির হাত ধরে ভেতরে নিয়ে আসছে। প্রেমা ভাবছে অভ্রকে তো উপরে যেতে দেখেছিলো কিন্তু বাইরে গেলো কখন?? 

গিয়েছে হয়তো খেয়াল করেনি। প্রেমা আরো দেখে যে দুজনের চেহারা বেশ মিল। অভ্রের দিকে এবার ভালোভাবে তাকায় প্রেমা।....ফর্সা গাল, সিল্কি চুল,চোখ  দুটো বেশ আকর্ষনীয় অভ্রের। পরনে সাদা একটা টি-শার্ট, আর ব্লু-জিন্স,এবং বেশ লম্বা আরিয়ান স্যারের চেয়েও লম্বা অভ্র। 

--( ইস ছেলে না হয়ে যদি মেয়ে হতো। আমি তো নির্ঘাত ওকে তুলে এনে বিয়ে করতাম। কিন্তু তার কোনো উপায় নেই,,ও তো ছেলে অবশ্যই আমাকেও ছেলে হওয়া লাগতো...মনেমনে")"(প্রেমা)

এসব ভাবছিলো তখনি অভ্রের কথায় প্রেমার ঘোর কাটে। এবারতো নিজেই নিজের কাছে লজ্জায় পড়ে যায় প্রেমা,কী ভাবছিলো এতোক্ষন অভ্রকে নিয়ে। 

--"মা তোমার ছেলে আজকেও কোচিং এ গিয়ে ঝগড়া  বাঁধািয়েছে... প্রতিদিন এভাবে ওর ঝগড়া থামাতে আমি যেতে পারবো না।"(অভ্র)

কথাটা বলেই অভ্র প্রেমার দিকে একপলক তাকিয়ে ধপাধপ পা চালিয়ে উপরে চলে যায়।পেঁছন থেকে ওর মা ডাকলেও থামেনি।প্রেমাও বুঝতে পারে তাঁরা দুজনেই ভাই।

--("যে ত্যাজ বাবারে বাবা!!)"(প্রেমা)

প্রেমা বেশ বিরক্তিবোধ করছিলো বসে।কারন সবাই গুরুজন এখানে। ওর কথা বলার মতো তেমন কিছু নেই ফোন দেখা ছাড়া। তাই সেটাই করছে এখন...

তখনি অভ্রের ভাই এসে প্রেমার পাশে বসে ফোনটা কেড়ে নেই। প্রেমা মাথা তুলে তাকাতেই দেখে পিচ্চিটা!!
কিছু না বলে তাকিয়ে আছে।

--"আমি অাদ্র।আপনি?"(অভ্রের ভাই)

প্রেমা কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে ছেলেটির দিকে। তারপর বলে..
 
--"আমি প্রেমা।কোন ক্লাসে তুমি পিচ্চু??"

--"এক্সকিউজ মি।আম নট পিচ্চি।আই আম আদ্র আহমেদ! সো কলড্ মি আদ্র!!

এবার প্রেমা থমথম খেয়ে যায়।আসলেইতো?? ওতো পিচ্চি নই,,কতো সুন্দর করে ইংলিশ বলল।

--"তুমি তো খুব ভালো ইংলিশ বলতে পারো!!  কে শিখিয়েছে...?"(প্রেমা)

--"একটু আগে এখান থেকে একটা খাট্টুশকে উপরে  যেতে দেখেছিলেন!!"(আদ্র)

ভাবনায় পরে যায় প্রেমা! খাট্টুশ কে হতে পারে ভেবে। বুঝতে পেরেই চোখ বড় বড় করে প্রেমা আদ্রের দিকে দৃষ্টি ছুঁড়লো।

--" তোমার ভাইয়া?"(প্রেমা)

--"ইয়েস!  ওই খাট্টুশটাই আমার ভাই। ওই আমাকে ইংলিশ শিখিয়েছে। আর আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি।"(আদ্র)

--" আচ্ছা খুব ভালো, তো আজকে কার সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে এসেছো?? (প্রেমা)

এবার আদ্র সবার দিকে তাকাল। এরপর প্রেমার দিকে তাকাল।তারপর বলে...

--"এখানে না আমার সাথে চলেন তারপর বলবো!"

প্রেমা তো একপায়ে রাজি হয়ে যায়। এতক্ষন একটা সুযোগ খুঁজছিলো এখান থেকে যাওয়ার। 

আদ্র প্রেমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর প্রেমাও চুপচাপ যাচ্ছে। একটা রুমের পাশে মাঝারি সাইজের গলি দিয়ে বের হয় তারা। যেতেই প্রেমা অবাক হয়ে যায়, খুব সুন্দর একটা সুইমিংপুল....

চারপাশে লাইটিং সুইমিংপুলের ডানপাশেই খুব সুন্দর একটি বাগান। প্রেমা তো হা করে তাঁকিয়ে থাকে

আদ্র প্রেমাকে টেনে সুইমিংপুলের পাশে বসিয়ে দেয়।তারপর নিজেও বসে পরো।

--" হ্যাঁ তো আমরা কোথায় ছিলাম??"(আদ্র)

--"কোথায় ছিলাম?"(প্রেমা)

--" মনে পরেছে..ওয়েট বলছি...আমি কারো সাথে ঝগড়া বাঁধাইনি,,আমার গার্লফ্রেন্ড সাইরার পাশে ওই পাগল ইয়াস বসেছিলো,,আমি তো ফুল্লি জেলাস তাই ইয়াসকে একটা তাপ্পর মারলাম। আর ওই আমাকে মারতে গেলে সাইরা মাঝখানে চলে আসে। আমি আরেকটা তাপ্পর দিতে যাবো তার আগেই আমার ওই খাট্টুশ ভাই এসে আমাকে,সাইরাকো,ইয়াসকে তিনজনকেই তাপ্পর লাগিয়ে দিয়েছে।

প্রেমা এবার বেহুস হওয়ার পালা। ছেলে বলে কী? গার্লফ্রেন্ড? তাও এই বয়সে?  যেখানে খেলাধুলার বয়স সেখানেই গার্লফ্রেন্ড।

--"একটা কথা জিজ্ঞেস করি সত্যি বলবেন তো??" (আদ্র)

--"হ্যাঁ,,বলো??"

--আচ্ছা আমি বেশি হ্যান্ডসাম নাকি  আমার ওই খাট্টুশ ভাইয়াটা হ্যান্ডসাম? সত্যি বলবেন কিন্তু??(বাঁকা চোখে প্রেমার দিকে তাকিয়ে)"

আর নিজেকে সামলাতে না পেরে ধমফাটানো একটা হাসি দেয় প্রেমা,,কিছুক্ষন পর হাসি থামিয়ে বলে...

--"আচ্ছা সত্যি বলবো নাকি মিথ্যে"??"(প্রেমা)

--"অবশ্যই সত্যি বলবেন।আমি মিথ্যা পছন্দ করি না"

--" আসলে কী ভাবে বলি তোমার চেয়ে তোমার ভাইয়া বেশি হ্যান্ডসাম,, অনেক কিউট!!"(প্রেমা)

প্রেমা মনে করেছিলো প্রেমার কথায় আদ্র রাগ করবে,কিন্তু তার ভাবনায় পানি ঢেলে দেয় আদ্র...

--" হ্যাঁ বেশি হ্যান্ডসাম বলেই কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই ওই খাট্টুশটার..."

--"আদ্র"....(ধমকের স্বরে আদ্রকে ডাক দেয় অভ্র)

অভ্রের কথা শুনে প্রেমা ও আদ্র পেঁছনে তাঁকাল দেখে অভ্র হাতে কলম নিয়ে দাড়িয়ে আছে আদ্রের দিকে তাঁকিয়ে।

--" তোর না কাল ক্লাস টেস্ট আছে??" তোর মিস কখন থেকে বসে তোর জন্য অপেক্ষা করছে তাড়াতাড়ি আয়..(অভ্র)"

অভ্রের কথায় আদ্র চুপচাপ উঠে চলে যায়,, অভ্র চলে যতে চাইলে প্রেমা দেয়।

--"শুনেন??"(প্রেমা)

প্রেমার দিকে ফিরতেই প্রেমা দাঁড়িয়ে অভ্রের সামনে গিয়ে দাঁড়াল,বেশ লম্বা অভ্র তাই প্রেমার নিজের হাইট টাও মেপে নিচ্ছিলো দাঁড়িয়ে...

--"আপনাদের এখানে এক্সট্রা কোনো বই পাওয়া যাবে পড়ার জন্য,বা আপনার কাছে আছে গল্পের বই?? 

--"স্টাডি রুমে সবধরনের বই আছে, আমার সাথে আসুন।'

বলেই হাঁটা দেয় অভ্র।প্রেমাও হাঁটতে লাগলো অভ্রের পেঁছন পেঁছন বুঝতে পেরেছে অভ্রের সাথে এমনি বহ্যিক কথা বলা যাবে না প্রয়োজনীয় বাদে,,তাই তো বইয়ের কথাটা আগে বলল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন