"ব্যাপারটা মজার শুনাচ্ছে তো। তাহলে এই প্রজেক্টে ডিটেকটিভ সামি আপনার সাথে প্রস্তুত আছে। সভ্য আর ঐশির পেটের কথা বের করার মিশন অন।"
কিছু শব্দ শুনে সভ্য পিছনে তাকিয়ে দেখে ইনারা এবং সামির ফিসফিসিয়ে কিছু কথা বলছে। সভ্য তাদের দিকে কপাল কুঁচকে ফেলল, "এই দুইটা স্যারকাসের জোকারের মতো দরজায় দাঁড়িয়ে না থেকে ভেতরে এসে কথা বলো।"
"আপনার নাম সভ্য, কিন্তু আপনার মাঝে একবিন্দুও সভ্যতা নেই।" ইনারা সভ্যের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে। তার কথাটা শুনে ঐশি এবং ইরফান দুইজনে হেসে দেয়।
"কি বললে আবার বলো তো।" সভ্য কাঠখোট্টা গলায় জিজ্ঞেস করে। কিন্তু ইনারা উওর দেয় না। উল্টো তার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে একপাশে যেয়ে দাঁড়ায়।
ঐশির মন খারাপ ছিলো। খানিক সময় আগেও সে কাঁদছিলো। কিন্তু ইনারার কথাটা শুনে সে না হেসে পারে না। সে বলে, "সভ্যের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে একথা বলার সাহস আমার কি এই কোম্পানির মালিকেরও হবে না। এত কনফিডেন্স আনলে কোথা থেকে? আমাকেও শিখাবে তো।" ঐশি ইনারার সামনে যেয়ে দাঁড়ায়। জিজ্ঞেস করে, "ভালো কথা তোমার নাম জানা হলো না।"
সামিও লাফ দিয়ে এসে তাদের সামনে দাঁড়ায়, "আমরা দুইদিন ধরে বকবক করলাম কিন্তু আমি এখানো নাম জানি না তোমার। হোয়াট ইজ দিজ পার্টনার?"
"আমার দোষ নেই পার্টনার। তুমিই জিজ্ঞেস করো নি।"
ইনারা আবার ঐশির দিকে তাকিয়ে উওর দেয়, "আমার নাম ইনারা। সকলে ভালোবেসে ইনু ডাকে।"
"আমি তখন তাহলে ভুল বলিনি। তোমাকে দেখলে তো পিচ্চি ইঁদুরের মতো মনেই হয়। নামটা শুনলে তো যে কেউ ভাববে কোনো ছোট ইঁদুর কুঁচকুঁচ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইন্দুরনীর মতো নাম ইনারা।"
সভ্য বলে। ইনারাও কম কিসের? সেও উওর দেয়, "আর আপনাকে কীসের মতো দেখা যায় তার লিস্ট দিব?"
"আমি তোমাকে চাকরি থেকে বের করার পেপার দিব?"
একথাতেই ইনারা একদম চুপ। তার মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হয় না।
ঐশি তাদের কথা শুনে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে দুইজনের দিকে। তারপর সভ্যকে বলে, "সভ্য তুই কবে থেকে ঝগড়াঝাটি শুরু করে দিলি। তুই তো এমন না।"
"আপু বুঝেছেন, আমার সাথে উনার এলার্জি আছে। এজন্য সারাক্ষণ আমার পিছনে পরে থাকে।" পরক্ষণেই ইনারা বিড়বিড় করে বলে, "একদম ভূতের মতো।"
সামি এবং ঐশি কথাটা শুনে। বহু কষ্টে নিজের হাসি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু সভ্যের কাছে কথাটা না যাওয়ায় বেঁচে যায় সে। সভ্য ইরফানের সাথে যায় আগামী গানের মিটিং-এ।
"আপনারা কেন যান নি মিটিং-এ?" আগ্রহসহকারে জিজ্ঞেস করে ইনারা। ঐশি উওর দেয়, "আমার এবং সামির অনেক বোরিং লাগে মিটিংগুলো।"
সামি বলে, "কিন্তু মাঝেমধ্যে সেই লেভেলের ড্রামা হয়। দেখতে মজাও লাগে। কিন্তু মাঝেমধ্যে পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়ে যায়। আমাদের মানসিক চাপ না আসুক তাই আমাদের সেখানে নিয়ে যায় না। সাধারণত জোহান এবং সভ্যই মিটিং এ যায়। আর গানের জন্য মিটিং হলে ইরফানও যুক্ত হয়।"
"সরাসরি বললেই তো পারিস মিঃ হকের কারণে নিয়ে যায় না। তার কথা মাঝেমধ্যে সহ্য করার মতো হয় না। মনে হয় কথা দ্বারাই শরীরে সুঁই গাঁথছে। এক সুস্থ সবল মানুষের মানসিক অবস্থা খারাপ করার ক্ষমতা রাখেন তিনি।" এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে ঐশি। তার দৃষ্টি মেঝেতে। তার মুখের ভাব হঠাৎ রাগে পরিবর্তন হলো। রাগে তার হাত পা কাঁপছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে কথাগুলো খুব গম্ভীর ভঙ্গিতে বলেছে। যা ইনারাও বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তার কিছু বলার পূর্বেই সামি রসিকতা করে বলে, "আরে মিঃ হক অর্থাৎ আমার মামার সামনে তো কেউ মুখ খোলারও সাহস পায় না। অন্যান্য মামারা, বাবা, মা সকলে ভয়ে তার সামনে মুখও খুলে না। এমনকি মামীও। তাকে সবাই বাঘের মতো ভয় পায়। আর সে কেবল ভয় পায় সভ্য থেকে। মাঝেমধ্যে সভ্য যখন তাকে কথা দিয়ে চুপ করিয়ে দেয় না তখন তার চেহেরাটা দেখার মতো থাকে। তাই না ঐশি?"
বুঝাই যাচ্ছে সামি কথা ঘুরানোর চেষ্টা করছে। ব্যাপারটা সে গম্ভীর মোড়ে নিতে চাচ্ছে না। ঐশিও শান্ত গলায় উওর দেয়, "হুম সভ্যের জন্যই তো, নাহয় সে টাকার জন্য আমাদের দিয়ে কত কি করাতো আল্লাহ জানে।"
সভ্য আসার আগ পর্যন্ত তিনজন মিলে গল্প করল। তাকে দেখেই সবাই কাজে জুটে যায়। সন্ধ্যার পর কাজ শেষে সভ্য একগাদা কাজ দিয়ে দেয় ইনারাকে। তবুও ইনারার স্বস্তি ছিলো যে আগামী দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাই সে আস্তে ধীরে কাজগুলো করতে পারবে। শেষ মুহূর্তেই সভ্য বলে বসে, "গতকাল অনেক প্রেশার দিয়ে দিয়েছিলাম এ কারণে আগামীকাল সকাল আটটায় আসবে।"
"আগামীকাল? আগামীকাল তো ছুটি।"
"তোমার জন্য নয়। অর্ধেক মাস শেষে এসেছ। সম্পূর্ণ মাসের পেমেন্ট পাওয়ার জন্য তো সে মাসের দিনগুলো কাজ করে ফুরাতে হবে। আগামী চার সাপ্তাহ তোমার কোনো ছুটি নেই।"
ইনারা বিরক্ত হয় কেবল। প্রতিউওরে কিছু বলে না। এখন রাগ ধরে রাখতেও কষ্ট হচ্ছে। সারারাত জাগিয়ে কাজ করিয়ে সকাল থেকে খাটাচ্ছে কেবল তাকে। তাও অকারণে। এত কাজ সে সারাজীবনে করে নি যা সভ্য গত দুইদিনে করাচ্ছে। কিন্তু সে জানে সভ্যকে বলে কোন লাভ নেই। তার মনে মায়া দয়া বলতে কিছু নেই। তাই সে রাগ হয়েই চলে গেল সেখান থেকে।
সভ্যের খানিকটা আজব লাগলো। সে ভেবেছিল ইনারা তার সাথে তর্ক করবে। কিন্তু সে তো চুপচাপই চলে যাচ্ছে। কিছু না বলেই। সভ্য বিস্মিত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো তখনই সামি তার কানের কাছে এসে বল উঠে, "ভাই সত্যি করে বল তো মেয়েটার প্রতি তোর এত ইন্টারেস্ট কেন?"
"তোর মতো জোকার প্রকৃতির তাই।"
সভ্য সামিকে সরিয়ে উঠে দাঁড়ায়। ইরফান এবং ঐশি আগেই চল গেছে। রুমে আছে তো কেবল দুইজন। রুমের এক কোণে জুড়ে কতগুলো বই আছে। বেশিরভাগই মিউজিক বুকস। সভ্য তার মাঝে একটি হাতে নিয়ে পড়ছিল তখন সামি আবার বলল, "তাহলে তুই সকালে ওকে এভাবে ধরে নিজের কাছে টানলি কেন? পরতে নিলে তো আমি ধরেই নিতাম। আমার কাছেই ছিলো। তুই ওকে পছন্দ করা শুরু করেছিস। তাইতো এত বিরক্ত করার পরও বাদ দিচ্ছিস না। আমার থেকে জ্বলাস হয়ে তুই ওকে নিজের কাছে টেনে নিয়েছিস তাই না? তাই না বল?"
সভ্য ভ্রু কপালে তুলে তাকায় সামির দিকে, "আমি তোর থেকে জ্বেলাস হবো?"
"হ্যাঁ।"
" তাও ওই পিচ্ছি ইন্দুরনীর জন্য?"
"হ্যাঁ।"
সভ্য সামির মাথায় টোকা মেরে বলে, "নিজের ব্রেনের চেকাপ করিয়ে আয়। ওকে আমি কাছে রেখেছি আমার সাথে বেয়াদবির শাস্তি দেওয়ার জন্য এবং আজ টান দিয়েছি তোর কারণে।"
"আমার কারণে?"
"তো কি? নিজেকে ঠিক মতো সামলাতে পারে না আসছে অন্য একজনকে ধরতে।"
সভ্য বিরক্ত হয়ে আবার সামনে যেয়ে সোফায় বসে। সামি বলে, "আচ্ছা যা এসব বাদ দিলাম। তোর মনে হয় না তুই বেচারির উপর অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছিস। ও অসুস্থ হয়ে পরবে তো।"
"তোর এত দরদ দেখানোর প্রয়োজন নেই। আমি কি করছি তা ভালো করে জানি।"
"যেন আমি বললে তুই কোনো কথা মানবি।" মুখ ফুলিয়ে বাচ্চাদের মতো করে বলল সামি।
.
.
ইনারা রাতে বসে ফাইলগুলো চেক করছিল। এবং মনে মনে অনেক বকছিলো সভ্যকে। মেজাজ খারাপে সে এক কান্ড ঘটায়। জোহানের ফ্যান ক্লাবের সদস্য সে। সেখানে এক গ্রুপেও আছে। জোহানের অনেক ফ্যান সেখানে যুক্ত। তার ফেইক আইডি দিয়েও এড আছে। সেখানে মেজাজ খারাপ করে সে লিখে ফেলে, "আমি পঞ্চসুরের সাথে কাজ করছি। দলের সকলে অনেক ভালো হলেও সভ্য আস্তো এক বেয়াদব। মনে দয়া মায়া কিছু নেই। কাজের চাপে জ্বালিয়ে ফেলছে। আমি মহা বিরক্ত তার উপর!"
হঠাৎ করে তার ফোন বাজে। আননোওন নাম্বার। ইনারার মন মেজাজ ভালো না থাকায় সে ফোন ধরেই জিজ্ঞেস করে, "কে বলছেন?"
"আমি।"
"আপনি কী প্রধানমন্ত্রী লাগেন যে আমি বললেই আমি চিনে যাব?"
"আমি সভ্য।"
সভ্যের নাম শুনতেই ইনারা লাফ দিয়ে উঠে যায়। চমকে উঠে বলে,
"আপনি কীভাবে? আর আমার নাম্বার পেলেন কীভাবে?"
"তোমার ফাইলে ছিলো।"
"তো কোন দুঃখে কল দিলেন? না'কি এটা বলব আমাকে কোন দুঃখ দেওয়ার জন্য কল দিয়েছেন?"
সভ্যের এমন খোঁচা মারা কথাবার্তা অসহ্য লাগে। কিন্তু তার ইনারার সাথে তর্ক করার ইচ্ছা হয় না। তাই সে বলে, "কল দিয়েছি এটা বলতে। ফাইলগুলো তুমি রবিবারে জমা দিতে পারবে। তাড়াহুড়া করার প্রয়োজন নেই।"
খুশি লাফিয়ে উঠে ইনারা, "এটা আপনি বলছেন? কিভাবে সম্ভব? আপনার মনে আমার জন্য দয়া মায়া কবে থেকে হলো?"
সভ্য কাজ দেবার পূর্বেই ভেবেছিলো ইনারা তাকে নিশ্চয়ই অনুরোধ করবে তখন সে বলবে রবিবারে ফাইলগুলো আনতে। এমনকি কেবল আগামীকালের জন্য ছুটিও দিতো। কিন্তু এমনটা হয় না। ইনারা চলে যায়। স্বাভাবিক সে কথাটা বলার পর ফিরিয়ে নিবে না তাই বলে, "সামি এবং ঐশি বলেছিলো। তোমার উপর প্রেশার বেশি পড়ে যাচ্ছে।"
"ঐশি আপু..." ইনারার মাথায় এলো এই সুযোগে সে সভ্যের পেট থেকে কয়টা কথা বের করে নিবে। তাই ড্রয়ের থেকে একটি চকোলেট নিয়ে বারান্দায় যেয়ে দাঁড়ালো, "আপনি তো জানেন আপনাকে আমার একটুও পছন্দ না। কিন্তু আপনাকে এবং ঐশি আপুকে স্ক্রিনে একদম পার্ফেক্ট দেখায় একসাথে। আপনার কি মনে হয়?"
"অনেকে ঐশি ও ইরফানের ব্যাপারেও এককথা বলে৷ এমনকি ঐশি এবং সামির কথাও বলে। ও গ্রুপে একা মেয়ে তাই সকলে এমন কিছু বলবেই। তুমিও বলছ। এতে আমার কিছু মনে হয় না।"
ইনারা মুখ বানায়। উওরটা তার মন মতো হয় নি। সে আবারও বলে, "বকা দিবেন না। আপনি কী আগে কোনো সম্পর্কে গিয়েছেন?"
"আমার এখন এসবের জন্য সময় নেই।"
"আপনাকে দ্বারা কিছু হবে না। আমার তো আফসোস লাগছে সে মেয়ের জন্য যার ভাগ্যে আপনি লেখা। আপনার মনে অনুভূতির ছিঁটেফোঁটাও নেই। আপনার কথাবার্তা শুনে মনে হয় আপনি প্রেম ভালোবাসাকে বিশ্বাস করেন না।"
"তুমি করো?"
"করি।"
"তাহলে তোমার জন্য ভালোবাসা কী?"
উওর দেবার পূর্বে কিছুক্ষণ ভাবে ইনারা। সে তার বারান্দার দোলনায় বসে তার চকোলেট খেতে খেতে বলে, "ভালোবাসা অর্থই আমার জোহান।"
ফোনের ওপারে বসেছিলো সভ্য। ইনারার সাথে কথা বলতে বলতে সে রান্নাঘর থেকে কফি বানিয়ে নিয়ে এলো রুমে। ইনারার শেষ শুনে সে হাসে। বারান্দায় বসে সে প্রশ্ন করে, "আর কেন ভালোবাসো ওকে? মোবাইলে দেখে? গান শুনে? ও হ্যান্ডসাম এজন্য?"
ইনারা চিন্তায় পড়ে যায়। কি উত্তর দিবে সে? সে তো আর সভ্যকে বলতে পারেনা যে তার এবং জোহানের আগে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তারা একসাথে সময় কাটিয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, মা তার জন্য জোহানকে বাছাই করেছে।
"আমি জোহানকে যে কারণেই পছন্দ করি না কেন, আপনার কি?" সত্যটা না বলতে পারায় এতটুকুই বলতে পারে সে। সভ্য তার কোলে গিটার রেখে তারে আঙুল বুলায় এবং বলে, "এমন না আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু আজকালকার ভালোবাসার ধরন আমার পছন্দের না। কাওকে দূর থেকে ভালোবাসা যায়, কিন্তু দূর থেকে একনজর দেখে তাকে ভালোবাসা যায় না। লাভ এট ফার্স্ট সাইট বলতে কিছু নেই। এটা কেবল চোখের ভালোলাগা। কারও রুপে মোহিত হওয়া। কারও গান শুনে যদি তুমি তাকে ভালোবাসো তাহলে তার কন্ঠে আকর্ষিত হওয়া। আর তুমি যদি তার আচরণে আকর্ষিত হও, তার প্রতি তাহলে তার প্রতি তোমার সম্মান বাড়ার কথা।"
"আচ্ছা? তাহলে কোনো কিছু প্রতি ভালোলাগা যদি ভালোবাসা না হয়। তাহলে আপনার মতে ভালোবাসা কী?" বিরক্তির গলায় জিজ্ঞেস করে ইনারা।
সভ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কফিতে এক চুমুক দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে বলে, "ভালোবাসা হলো অনুভূতি। এর কোনো কারণ হয় না। ভালোবাসা অকারণে হয়। তার রূপ অথবা গুণকে নয়, তার আত্মাকে ভালোবাসতে হয়। তাকে তুমি ভালোবাসলে তার সবকিছু এমনিতেই ভালোবেসে ফেলবে তুমি। তার ভালো, খারাপ সবটাই ভালোবাসবে। এখন কী তুমি ভালোবাসার ব্যাখা দিতে বলবে? আমি তা দিতে পারবো না। ভালোবাসা তো কেবল অনুভূতি, তা শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব না। ভালোবাসা তো কেবল থাকে অনুভবে...."
.
.
.
চলবে.................................