খুনী - পর্ব ০২ - সুলতানা পারভীন - ধারাবাহিক গল্প


০৩!!

মোবাইলটা কানে লাগিয়ে চুপ করে বসে আছে সারিকা। অপর পাশ থেকে ঘুম জড়ানো একটা কণ্ঠ ভেসে এলো। সারিকা মুগ্ধ হয়েই যেন কথা বলতে পারলো না এবারে। ওর শব্দগুলোই যেন গলার ভিতরে আটকে গেছে।

-হ্যালো? কি সমস্যা? কল দিয়ে কথা বলেন না কেন?

-জি? অয়ন বলছেন?

-এতো রাতে আমি অয়ন কিনা জানার জন্য কল করেছেন? আজব তো?

-না মানে!

-হ্যালো?

-জি মানে---৷ আমি------।

-সারিকা বলছেন?

-জি? জি আমি সারিকা--। কি করে বুঝলেন-?

-জি বলুন কি বলবেন?

-না মানে আসলে-----। 

-হুম--হুম---। বলুন। ভেবে চিন্তে বলুন --। সমস্যা নেই--।

-জি?

-না না--। কিছু না---। বলুন।

-না মানে--। আমার অফিসে একটা কথা---- কথা জিজ্ঞেস করার ছিল---। নাম্বারটার জন্য এতো রাতে আপনাকে কল করলাম----।

-হুম--হুম---। জানি তো---। নাম্বারটা মেসেজ করে দিচ্ছি--। ওকে? রাখছি?

-------------------------------

-হ্যালো ম্যাডাম? শুনছেন? নাম্বারটা কিন্তু আপনার আইডি কার্ডের ওখানেও আছে--।

-না মানে---৷ আসলে?

-আসলে কি?

-গত চারটা ক্লাস নিলেন না কেন?

-অফিসের নাম্বারটা কি এটা জিজ্ঞেস করার জন্য চাইছিলেন? হা হা হা-----।

------------------------------

-আচ্ছা সরি---। গত ৭-৮ দিন ধরে অসুস্থ--। তাই গত সপ্তাহের তিনটা ক্লাস আর এই সপ্তাহের আজকের ক্লাসটা মিস হয়েছে----। 

-ওহ! কি হয়েছে আপনার?

-এই একটু জ্বর আর ঠান্ডা লেগেছে।

-ওহ--। ওষুধ খেয়েছেন?

-হুম------। ক্লাস কি বেশি মিস করছেন?

-নাহ---। ক্লাসের চেয়ে মানুষটাকে বেশি মিস করছি----। ------না মানে আসলে---!

-ও আচ্ছা? তাই?

-না আসলে--। তেমন কিছু না--।

-অফিসের নাম্বারটা কি সেন্ড করবো ম্যাডাম?

-রাখছি। আপনি ঘুমান--। বায়।

সারিকা লজ্জা পেয়ে কলটা তাড়াতাড়ি কেটে দিল৷ কি বলতে কি বলছে! লজ্জার ব্যাপার। একটু পরে টুং করে একটা মেসেজ এলো।

"আমার ব্যাপারে কিছু জানতে হলে এই নাম্বারে কল দিলেই হবে। অফিসের নাম্বারে কল দেয়া লাগবে না আশা করি--।"

এভাবে দিন কাটতে লাগলো সারিকা আর অয়নের। সারাদিনের ক্লাস, কোচিং এসব শেষে রাতে দুজনে অনেকক্ষণ কথা বলে। সিরিয়াস কথা না। এই কে কি করলো, কি খেল, কোথায় গেল এসব। দেখতে দেখতেই সারিকার কোচিংয়ের চারটা মাসও কেটে গেল। 

ওদের এ্যাডমিশন কোচিং সেন্টার থেকে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেদিন। সারিকা অনুষ্ঠানের জন্য বেশ যত্ন করে সাজলো। জর্জেট শিপনের একটা কালো পাড় দেয়া লাল শাড়ি পড়েছে। সাথে ম্যাচিং কানের দুল, চুড়ি, গলায় লকেট,জুতো। চোখে কালো আইলাইনারের সাথে মোটা করে কাজল। মুখে গোলাপি আভা দিয়ে মেকাপ করেছে সারিকা। আজকের দিনের পর অয়নের সাথে আর কবে সামনে থেকে দেখা হবে কে জানে! তাই এতো যত্ন করে সাজটা। 

কোচিংয়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গেছে। সারিকার চোখ দুটো চারদিকে তাকিয়ে অয়নকে খুঁজছে। মানুষটা কোথায় কে জানে! এর মধ্যে সবাই সারিকাকে জোর করছে একটা গান শুনানোর জন্য। সারিকাও কিছু একটা ভেবপ স্টেজে গিয়ে হালকা গলায় গান ধরলো।

-"দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে--

আমার  সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে

  বাতাস বহে মরি মরি,  আর বেঁধে রেখো না তরী

         এসো এসো পার হয়ে মোর হৃদয়মাঝারে ॥

         তোমার সাথে গানের খেলা দূরের খেলা যে,

         বেদনাতে বাঁশি বাজায় সকল বেলা যে।

     কবে নিয়ে আমার বাঁশি বাজাবে গো আপনি     আসি

         আনন্দময় নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে।।"

গান শেষ হতেই সবাই জোরে হাততালি দিয়ে উঠলো। সারিকাও লাজুক হেসে স্টেজ থেকে নেমে নিচে আসতেই অয়নকে দেখতে পেল। অয়ন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সারিকার দিকে। ঠিক প্রথম দিনের মতো। সারিকা লাজুক হেসে চোখের ইশারা করলো। অয়ন হেসে মাথা নাড়িয়ে জানালো কিছু না।

অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে এলো৷ সবাই টুকটাক এসে সারিকার সাথে কথা বলছে। বেশিরভাগই কোচিংয়ের বড় ভাইয়াগুলো। যারা কোচিংয়ে ক্লাস করায়। সারিকাও হেসে জবাবও দিচ্ছিলো। একটা ভাইয়ার সাথে কথা বলতে বলতেই সামনের দিকে চোখ পড়তেই অয়নের সাথে চোখাচোখি হলো সারিকার। চোখ গরম করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে অয়ন। দেখামাত্রই কথার মাঝেই খেঁই হারিয়ে ফেললো বেচারি। মানুষটা হঠাৎ রেগে গেল কেন কিছুই বুঝতে পারছে না।

অয়ন ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে সারিকার পাশে এসে দাঁড়ায়। আর তাতেই সারিকার বুকের ঢিপঢিপ বেড়ে যাচ্ছে হুট করেই। মানুষটা এভাবে সবার সামনে এসে কথা বলবে নাকি! ভাবতে ভাবতেই অয়ন পাশে দাঁড়ানো ভাইয়াটার দিকে তাকিয়ে কথা বলা শুরু করায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল সারিকা।

-জাবির ভাই? আমি আসছি--। বৃষ্টি শুরু হচ্ছে---। শরীরটাও ভালো লাগছে না। বাইকটা আজকে এখানেই থাক না হয়--। আমি কাল নিয়ে যাব---।

-যাবি কিসে?

-এই তো ভাই রিকশায় চলে যাব।।

-আচ্ছা যা---। বাইক তাহলে আজকে আমি নিয়ে যাচ্ছি--?

-নিন ভাই--। চাবিটা-----?

অয়ন চাবি দিয়ে বেরিয়ে যেতেই সারিকাও জাবির ভাইয়ার দিকে ফিরে একটু হাসলো।

-আচ্ছা ভাইয়া---। আমিও আসছি--।

-চলো তোমাকে ড্রপ করে দিসে আসি---। বাইক আছে সাথে---।

-না না না--। ভাইয়া---। বৃষ্টি হচ্ছে তো--। আমি রিকশায় চলে যাব--। আপনার কষ্ট করতে হবে না।

-সিউর?

-জি-----। বায়-----।

সারিকা কোনমতে ছুটে কোচিং থেকে বেরিয়ে এসে দেখলো অয়ন রিকশায় বসে আছে৷ সারিকা আসতেই সরে বসে জায়গা দিল। সারিকা উঠে বসতেই রিকশাও চলতে শুরু করলো। অয়ন একটাও কথা বলছে না। সারিকার দিকে একবারও তাকিয়েও দেখছে না। এদিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি এসে দুজনের চোখ মুখ ভিজিয়ে দিচ্ছে। সেদিকেও পাত্তা নেই অয়নের। বেশ অনেকক্ষণ অয়নকে এভাবে গুম মেরে থাকতে দেখে সারিকা নিজে থেকেই অয়নের একটা হাতে হাত রাখলো আলতো করে। অয়নের আঙুলের মাঝে আঙুল ডুবিয়ে অয়নের মুখের দিকে তাকালো।

-এমন করছেন কেন?

০৪!!

সারিকা কিছু বুঝে ওঠার আগেই অয়ন সারিকাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে বুকের ভেতরে টেনে নিলো। অয়নের এমন কাজে বেচারি থতমত খেয়ে গেলেও কিছু না বলে চুপ করে রইলো। মানুষটার বুকের ভেতরের হাতুড়ি পেটানোর শব্দ কানে এসে লাগছে। শব্দটা একেবারে সারিকার বুকের ধুকপুকানি বাড়িয়ে দিচ্ছে। অয়ন কোন মতে কথা বলা শুরু করলো।

-ওরা তোর দিকে তাকাবে কেন? তোর দিকে তাকিয়ে হাসবে কেন? কথা বলতে আসবে কেন? তুই শুধু আমার--। শুধু আমার----।

-------------------------------

-তুই কারো সাথে হেসে কথা বলবি না। কক্খনো না---। আমার যে কষ্ট হয় অন্য কেউ তোর এই নেশা ধরা হাসিটা দেখলে। 

-------------------------------

-আর কারো জন্য এভাবে সাজবি না তুই--। আমার জন্য সাজবি--। আমি সারা দিন রাত গালে হাত দিয়ে বসে থেকে তোকে দেখবো--। আর কাউকেই দেখতে দিব না--। কেউ দেখতে পারবে না---। খুন করে ফেলবো তোর দিকে তাকালে---।

সারিকার মুখটা দু হাতে তুলে ধরে একদম কাছে এসে ফিসফিস করে কিছু বললো অয়ন। বৃষ্টি শব্দ ছাপিয়েও সেই শব্দ সারিকার কানে এলো।

-তুই শুধু আমার--। তোকে আর কাউকে দিব না আমি-----।

-আমি তো আপনার জন্যই সেজেছিলাম আজ--। ভেবেছিলাম হয়তো আজকের পর কোচিংও শেষ--। আর দেখতেও পাব না। তাই একটা কথা শোনার অপেক্ষা করছিলাম-----।

সারিকার বৃষ্টি ভেজা কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে চোখ পড়তে অয়ন সারিকার কোমড় পেঁচিয়ে কাছে টেনে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। সারিকাও চোখ বুজে অয়নের ঠোঁটের মাঝে হারিয়ে গেল। একটু পরেই সারিকার থেকে সরে এসে অয়ন চুপ করে মাথা চেপে বসে রইলো। আর সারিকা চোখ বুজেই বুকের ঢিপঢিপ সামলানোর চেষ্টা করলো। হার্টবিট স্বাভাবিক হতে সারিকা চোখ খুলে অয়নকে দেখলো। অয়নের হাতের বাহু জড়িয়ে ধরে মাথা ঠেকাতেই অয়ন মুখ তুলতেই চোখাচোখি হল দুজনের। অয়ন সারিকার গালে হাত রাখলো।

-সরি সারু--। তোমার টুকটুকে রাঙা ঠোঁটটা দেখে কন্ট্রোল করতে পারি নি নিজেকে। সরি--। 

সারিকা লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নিতে চাইলেও অয়ন চোখে চোখ স্থির করলো আলতো মুখটা টেনে।

-আই লাভ ইউ সারিকা---। সত্যিই তোমাকে ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছি না--। তুমি যা ইচ্ছে করো--। শুধু আমার জীবনে এসে আমার ছোট্ট সংসারটার আলো হয়ে থেকো--। প্লিজ?

-হুম---। আপনাকে ভিষণ ভালোবাসি----।

-একটা চাকরি জোগাড় হতে দাও--। টুপ করে এসে বউ সাজিয়ে নিয়ে যাব---। তোর যত স্বপ্ন আছে সব পূরণ করিস--। সাথে থাকবো সবসময়। তুই শুধু আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসিস-------। আর কিচ্ছু চাই না--।

এভাবে দেখতে দেখতে সারিকা অয়নের ভালোবাসার গাড়িটা চলতে শুরু করলো। সারিকা এ্যাডমিশন টেস্টে ভালো মতো পাশ করেই ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে। আর অয়নও কয়েকমাস পরেই একটা ভালো চাকরিও জোগাড় করে ফেলেছে। বাসায় শুধু সারিকার কথাটা জানানোর অপেক্ষা।

দেখতে দেখতেই যেন একটা বছর পার হয়ে গেছে। সারাদিন দুজনেই কাজ আর পড়ার চাপে সময় করে উঠতে পারে না। তবুও দিনশেষে সমস্ত ক্লান্তি ছাপিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বক বক করে যায়। অবশ্য বকবক করে সারিকা। অয়ন মুগ্ধ হয়ে শোনে ওর প্রতিটা কথা। ভালোই কাটছিল দুজনের প্রেম প্রেম ভালোবাসার ছোট্ট গল্পটা। ঝামেলা বাঁধলো বাসায় জানানোর পর। অয়নের মা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলেও সারিকার বাবা মা কিছুতেই রাজি হলো না। কি কারণে রাজি না সেটাও কিছু বললো না। তবে বিয়ে তারা কিছুতেই দিবে না। সোজা কথা।

এক মাস পর। সারিকার ঘর ছেড়ে বের হওয়ার জো নেই। বহু কান্নাকাটি করে শুধু মোবাইলটা রাখতে পেরেছে বেচারি। রাতে অফিস থেকে ফিরে সারিকার নাম্বারে কল করলো অয়ন। 

-সারু? বাসায় কি এখনো মানছে না আমাদের ব্যাপারটা?

-উহু---। আই এম সরি অয়ন--।

-তোমার তো দোষ নেই এখানে পাগলি---। কেন বাসায় মানছে না এখনো জানতে পারো নি কিছু?

-বলছেও না----।

-কাঁদে না পাগলিটা---। এই? আজ আমার পাগলিটা সারাদিন কি কি করলো শুনি?

-আজ না জানো অন্নেক মজা হয়েছে?

-মানে! কি মজা হলো!

-আজ একটা আন্টি বাসায় এসেছিল--। অন্নেকগুলো সালামি দিয়ে গেছে--। হি হি---।

-কে আন্টি? কোথায় থাকে?

-আরে? আমি কি জানি!

-কেন এসেছে!

-আন্টি আর আন্টির ছেলে আমাকে দেখতে এসেছে---।

-দেখতে এসেছে মানে?

-ওমা! দেখতে আসে না? ভাইয়াটা সারাক্ষণ আমার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল--। আন্টিটা একবার এটা জিজ্ঞেস করে তো একবার ওইটা--। মনে হচ্ছে ভাইবা দিতে বসছি----।

-কেমন আন্টি তোমার?

-কি জানি! আগে তো কখনো দেখি নি----।

-শাড়ি পড়েছিলে?

-হুম---। আম্মু পড়িয়ে দিয়েছে--। তুমি কি করে জানলে?

------------------------------

-এই? বলো না?

-তুমিও নেচে নেচে দেখা করতে চলে গেলে?

-ওমা! বাসায় মেহমান আসলে দেখা করবো না? বেয়াদব ভাববে না নইলে?

-------------------------------

-এই? তুমি এভাবে রেগে যাচ্ছো কেন? আমি সত্যিই ভাইয়াটার সাথে একটাও কথা বলি নি--। আন্টিটা কত জোর করছিল--। তাও বলি নি--। সত্যিই-----।

-উদ্ধার করেছেন একেবারে----।

-তুমি এভাবে কথা বলছো কেন?

-তো কি করবো? উনার ফ্যামেলি আমার সাথে বিয়ে দিবে না বলে অন্য কারো সাথে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছে---। আর উনি আমাকে কাহিনী শুনাচ্ছে-----!

-বিয়ে! কার সাথে?

-এই মেয়ে? ন্যাকামি করো আমার সাথে? তোমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে এসেছে সেটা বুঝতে পারছো না সেটা বুঝাতে চাইছো তুমি? গাধা মনে হয় আমাকে তোমার?

-এই? আমি সত্যিই বুঝতে পারি নি---।

-তুমি ফোন রাখো---। বুঝতে পারি নি শুনাতে আসছে সে আমাকে!

ধমক দিয়ে নিজেই কলটা কেটে দিল অয়ন। আর সারিকাও উপুড় হয়ে পড়ে কাঁদতে লাগলো৷ বাসার সবাই এসব করবে সেটা ও কল্পনাতেও ভাবতে পারে নি। কেন করছে এমন সেটাও বলছে না। অয়ন কি দেখতে খারাপ! যথেষ্ট স্মার্ট আর হ্যান্ডসাম একটা ছেলে। দেখলেই হা করে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে সারিকার। ওরা দুজনে বের হলেই হা করে মেয়েগুলো অয়নের দিকে তাকিয়ে থাকে। ওর ভালো একটা জবও করছে। সব কিছু সাজানো গোছানো। তবুও রাজি না হওয়ার কারণ কিছুতেই মাথায় আসছে না সারিকার। আর এদিকে এই নতুন ঝামেলা। বিয়ে! অয়নটাও কতো পচা কথা বললো! সব মিলিয়ে পাগল পাগল লাগছে সারিকার। কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে গেল একসময়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন