আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

প্রেমাতাল - পর্ব ২১ - মৌরি মরিয়ম - ধারাবাহিক গল্প


৪১!!

গোয়াইনঘাটে নৌকার ঘাট থেকে কিছুটা আগে গাড়ি রেখেছিল মুগ্ধ। সাঁতরে সাঁতরে শরীর ক্লান্ত দুজনেরই। যা খেয়েছিল তা সব শেষ। এটুকু হেটে গাড়ির কাছে আসতেও খুব কষ্ট হলো। এসে মুগ্ধ বলল,
-"তুমি গাড়িতে ঢুকে চেঞ্জ করে নাও। তোমার হয়ে গেলে আমি ঢুকবো।"
-"এখানে আমি চেঞ্জ করবো?"
-"হ্যা কে আছে দেখবার জন্য? আশেপাশে তো কেউ নেই।"
-"তা ঠিক, তবুও।"
-"আরে মানুষ গাড়িতে সেক্স করতে পারলে তুমি চেঞ্জ করতে পারবে না?"
-"ছিঃ তুমি অলওয়েজ নোংরা কথা বলতে পছন্দ কেন করো?"
মুগ্ধ হেসে বলল,
-"আমি একটা নোংরা লোক যে তাই।"
তিতির গাড়ির মধ্যে ঢুকে গেল। মুগ্ধ বলল,
-"নিচু হয়ে চেঞ্জ করে নাও। চিন্তা করোনা কেউ আসতে নিলে আমি তোমাকে বলবো। আর আমিও তাকাবোনা।"
তিতির চেঞ্জ করে সামনে চলে গেল। তারপর মুগ্ধ ঢুকে চেঞ্জ করে গাড়ি স্টার্ট দিল। তখনও বাইরে তুমুল বৃষ্টি।
হাদারপাড় পৌঁছতেই মুগ্ধ বলল,
-"তিতির চলো ভাত খেয়ে নিই, এখানে ভাতের হোটেল আছে।"
-"এখন আবার নামতে ইচ্ছে করছে না। একেবারে রিসোর্টে গিয়ে খাই।"
-"ক্ষিদে পেয়েছে খুব।"
-"ও, আচ্ছা চলো তাহলে।
কয়েক কদম হেটেই ওরা একটা হোটেলে ঢুকলো। খেতে খেতে তিতির বলল,
-"এই ভাতগুলো এমন কেন?"
-"আতপ চালের ভাত যে!"
-"আমরা কোন চালের ভাত খাই তাহলে?"
-"সিদ্ধ চালের।"
-"ও। ধুর এগুলো আমার গলায় আটকাচ্ছে।"
-"আহারে আমার তিতিরপাখিটা রে। এইবেলাটা একটু কষ্ট করে খেয়ে নাও। রাতে রিসোর্টে খাব।"
-"অন্য কোনো হোটেলে খেতাম।"
-"লাভ নেই পুরো সিলেটে আতপ চালের ভাত হয়। রিসোর্টে আছি বলে যা চাচ্ছি তাই পাচ্ছি। ইভেন সিদ্ধ চালের ভাতও।"
-"ও।"
মুগ্ধ গপাগপ পেটপুরে খেয়ে নিল। কিন্তু তিতির কোনরকমে অর্ধেকটা ভাত খেল। তারপর বাইরে আসতেই দেখলো সন্ধ্যা নেমে গেছে। মুগ্ধ বলল,
-"এখানে মেলা হচ্ছে দেখলাম, যাবে?"
তিতির অবাক হয়ে বলল,
-"এই বৃষ্টিতে মেলা হচ্ছে?"
-"সিলেটে তো ডেইলিই বৃষ্টি হয়। তার জন্য কিছু থেমে থাকে না। আর স্টল আছে তাই কোন প্রব্লেমও নেই। ঢাকার বাইরের মেলাগুলো কিন্তু অনেক উপভোগ্য হয়।"
-"ও, আচ্ছা চলো যাই ঘুরে আসি।"
-"চলো। ভিজে যাব কিন্তু যেতে যেতে।"
-"ভিজলে ভিজবো। একেবারে রিসোর্টে গিয়ে চেঞ্জ করে নেব।"
-"আচ্ছা, চলো তাহলে।"
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে তিতির বুঝলো মুগ্ধর কথা ঠিক, ঢাকা শহরের মেলার থেকে এখানকার মেলা বেশি সুন্দর। খুব ভাল লাগলো ওর। একটা দোকানে ঘুরতে ঘুরতেই মুগ্ধ ডাক দিয়ে বলল,
-"এই এদিকে এসো।"
তিতির মুগ্ধর কাছে গিয়ে বলল,
-"কি?"
মুগ্ধ ওকে একটা লাল মনিপুরী শাড়ি দেখিয়ে বলল,
-"দেখো, শাড়িটা সুন্দর না?"
-"হ্যা সুন্দর।"
-"তোমার জন্য নিই।"
-"এই না। এমনিতেই যেটা কাল কিনেছো ওটা বাসায় নিতে পারবো না। আরেকটা নিয়ে কি হবে?"
-"আজকে রাতে পড়বে। আমি হা করে দেখবো। দেখোনা শাড়িটা কত্ত সুন্দর লাল। তোমাকে খুব ভাল দেখাবে এটাতে।"
-"লাল শাড়িতে তো কত্ত দেখেছো! আচ্ছা কালকের শাড়িটাও তো অর্ধেকটা লাল। রিসোর্টে গিয়ে ওই শাড়িটা পড়বোনে তখন দেখো। এটা কিনে শুধু শুধু টাকা নষ্ট করোনা।"
-"টাকা নষ্ট বলছো কেন? এসব শাড়ির দাম বেশি না। তাছাড়া, আমি দেখবো। সেটার কি দাম নেই? এজন্যই আমি কোনকিছু কেনার আগে বলিনা। বলে কিনতে গেলেই তুমি এরকম উল্টাপাল্টা কথা বলে মুড নষ্ট করে দাও। এরকম করলে তোমার সংসার ভেসে যাবে কিন্তু।"
-"আচ্ছা আচ্ছা, সরি খুব ভুল হয়েছে আমার। যাও কেনো।"
মুগ্ধ শাড়িটা কিনে নিল। তারপর বলল,
-"তিতির, আমি একটু ওয়াশরুমে যাব। ৫ মিনিটে আসছি, তুমি এই দোকানটাতেই দাঁড়াও। অন্য কোথাও যেও না। ফোন কিন্তু গাড়িতে। পরে হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবনা।"
-"তুমি চিন্তা করোনা, আমি এখানেই থাকবো।"
তিতির শাড়ির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ চোখে পড়লো পাশেই একটা লোক কিছু একটা বিক্রি করছে। মানুষ খুব খাচ্ছে। তিতির লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো,
-"মামা, এগুলো কি?"
লোকটা উত্তর দিল,
-"ভাং এর শরবত।"
তিতিরের মনের ভেতরটা নেচে উঠলো.. ভাং এর শরবত! শুধু শুনেই এসেছে, জীবনে খায়নি। এখন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু মুগ্ধ এলে কিছুতেই খেতে দেবে না। বলবে, 'নেশা হয়ে যাবে।' আরে বাবা হোক না, একটু আধটু নেশা হলে কি হয়!
সাতপাঁচ ভেবে মুগ্ধ আসার আগেই এক গ্লাস খেয়ে ফেলল তিতির। পরে আরেক গ্লাস দিতেই মুগ্ধ চলে এল। ওকে দেখতে পেয়ে বলল,
-"তিতির, কি খাচ্ছো এগুলো?"
-"ও তুমি চলে এসেছো? অনেক মজার জিনিস, খাওনা।"
একথা বলেই গ্লাস টা মুগ্ধর দিকে ধরলো।
-"আগে বলবে তো কি এটা?"
-"সারপ্রাইজ! খাও না।"
মুগ্ধ খেয়ে বলল,
-"এটা তো ভাং, তুমি এটার আগেও খেয়েছো?"
-"এক গ্লাস মাত্র।"
-"সর্বনাশ করেছো।"
তারপর ভাং এর দাম মিটিয়ে তিতিরকে টানতে টানতে নিয়ে গেল। গাড়িতে উঠেই তিতির বলল,
-"এই তুমি রাগ করেছো?"
মুগ্ধ ঝারি দিয়ে বলল,
-"নাহ, আনন্দে নাচছি।"
-"এত রাগ কেন করছো? ভাং তো অনেক মজা।"
-"কিছুক্ষণের মধ্যেই নেশা হয়ে যাবে, তখনকার পাগলামিগুলো কে সামলাবে?"
তিতির দুষ্টু দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,
-"কেন তুমি।"
-"একটা কথাও বলবেনা আমার সাথে।"
মুগ্ধ এমন ব্যবহারে তিতিরও রাগ করলো। কি এমন করেছে ও! এক গ্লাস ভাং ই তো খেয়েছে। তার জন্য এমন ব্যবহার? তিতির সত্যিই আর একটা কথাও বলল না।
রিসোর্টে ফিরে তিতিরের দিকে তাকাতেই মুগ্ধ দেখতে পেল তিতির ঘুমাচ্ছে। ওর গায়ের কাপড় খানিকটা শুকিয়ে গেছে। ওর নিজের গায়ের কাপড়েরও পানি ঝরে গেছে। কখন ঘুমিয়ে পড়লো মেয়েটা? ইশ এভাবে বকাটা উচিৎ হয়নি। কিন্তু মাঝেমাঝে এমন বোকামি করে মেয়েটা!
পাড়ি পার্ক করে তিতিরকে কোলে নিয়ে রুমে চলে গেল। ভেতরে ঢুকে ওকে কোলে নিয়েই দরজাটা লক করে দিল। তারপর ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে উঠে যাচ্ছিল এমন সময় তিতির ওর কলার টেনে ধরে মিষ্টি একটা হাসি দিল। মুগ্ধ হেসে বলল,
-"ঘুমের ভান করা হচ্ছিল?"
-"এত বকলে কি করবো তাহলে?"
তিতিরের গলা শুনেই মুগ্ধর বুঝতে বাকী রইলো না যে ওর নেশা হয়ে গেছে। আর হবেই বা না কেন ওরই তো মাথাটা ঝিমঝিম করছে। বলল,
-"এত বকলাম কোথায়? কিন্তু এত বকার মতই কাজ করেছো তুমি।"
-"একটু ভাং ই তো খেয়েছি। খেলে কি কয়?"
-"নেশা হয়রে বাবা।"
তিতির মুগ্ধর কলার ধরে টেনে আনলো নিজের কাছে, একদম কাছে। তারপর বলল,
-"নেশা হলেই তো ভাল। নিজেকে কেমন হালকা হালকা লাগে। দুনিয়াটা ঘুরতে থাকে বেশ লাগে আমার।"
মুগ্ধ মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। তিতির আচমকা ওর ঘাড়ে হাত রেখে আরো কাছে এনে ওর ঠোঁটে উথাল পাথাল চুমু দিতে লাগলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্টারকমে ফোন এল। মুগ্ধ উঠে যেতেই তিতির চিৎকার করে বলল,
-"কে ফোন করেছে? আমি ওর চাকরি খাব।"
মুগ্ধ একথায় হেসে দিল। তারপর ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে ম্যানেজার বলল,
-"স্যার আপনার ওয়ালেট টা পড়ে গিয়েছিল রিসিপশানে। আমি কি এটা এখন পাঠিয়ে দেব? নাকি পরে?"
-"ওহ! থ্যাংকস আ লট। প্লিজ পাঠিয়ে দিন।"
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই কেয়ারটেকার ছেলেটি ওয়ালেট নিয়ে এল। মুগ্ধ সেটা কালেক্ট করে ভেতরে আসতেই তিতির ওর গলাটা জড়িয়ে ধরে বলল,
-"আমি ওই শাড়িটা পড়বো।"
-"ওহ হো। ওটা তো গাড়িতে। তোমাকে কোলে করে নিয়ে এলাম না? ওগুলো তো আনা হয়নি। দাঁড়াও নিয়ে আসছি।"
তিতির মুগ্ধকে আরো শক্ত করে ধরে বলল,
-"না তুমি যেতে পারবে না, ওই বদ ছেলেটাকে বলো দিয়ে যেতে। তাহলে মাফ করে দেব একটু আগে যে ডিস্টার্ব করেছে সেজন্য।"
মুগ্ধ তিতিরের কোমর জড়িয়ে ধরে হেসে বলল,
-"ওর কাছে কি গাড়ির চাবি আছে? পাগলী! তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি নিয়ে আসছি।"
মুগ্ধ শাড়ি, ভেজা কাপড় সব নিয়ে এসে ঘরে ঢুকে বলল,
-"আমি ভেজা কাপড়গুলো বারান্দায় মেলে দিয়ে আসি। তুমি শাড়িটা পড়ে নাও।"
তিতির শাড়ি পড়ে বারান্দায় গিয়ে দেখলো মুগ্ধ ডিভানে বসে আছে। তিতির মুগ্ধর সামনে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখালো আর বলল,
-"কেমন লাগছে আমাকে?"
মুগ্ধ তিতিরের সামনে দাঁড়িয়ে কোমর জড়িয়ে বলল,
-"পরী, আমার পরী।"
তিতির তার সেই মিষ্টি হাসিটা দিল। মুগ্ধ বলল,
-"চোখ বন্ধ করো।"
তিতির চোখ বন্ধ করলো। মুগ্ধ মেলা থেকে কেনা একপাতা টিপ বের করলো পকেট থেকে। তারপর একটা লাল টিপ পড়িয়ে দিল তিতিরের কপালে। তিতির চোখ খুলতেই বলল,
-"শাড়ির সাথে টিপ না হলে চলেই না।"
তিতির মুগ্ধর গলাটা ধরে পায়ের বৃদ্ধাঙুলের উপর ভর দিয়ে উঁচু হয়ে মুগ্ধর একদম কাছে চলে গেল। ও চাইছে মুগ্ধ ওকে আদর করুক। মুগ্ধও বুঝতে পারলো। তিতিরের কোমরটা আরো শক্ত করে ধরে চুমু খেল ওর ঠোঁটে। অনেকক্ষণ ধরে। তারপর হঠাৎ ই বিদ্যুৎ চমকালো। বৃষ্টি নামলো। তারপর আচমকাই তিতিরকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরে ঢুকলো মুগ্ধ। তিতির বলল,
-"চলোনা, ভিজি।"
-"ভিজবো। সারাদিন তো প্রাকৃতিক বৃষ্টিতে ভিজেছিই। এবার অন্য বৃষ্টিতে ভিজবো।"
-"কোন বৃষ্টি?"
-"দেখাচ্ছি।"
মুগ্ধ তিতিরকে কোলে করে হেটে হেটে নিয়ে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিল। যতক্ষণ কোলে ছিল তিতির ততক্ষণই মুগ্ধর গলাটা জড়িয়ে ধরে মোহময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল ওর দিকে। তেমনি মুগ্ধও তাকিয়ে ছিল তিতিরের ঠিক চোখের দিকে।
তিতিরকে বিছানায় শুইয়ে দিতেই ওর আঁচলটা পেটের উপর থেকে সরে গেল। এই দৃশ্য দেখামাত্রই মুগ্ধ যেন সব কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলল। নাভিতে নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিল কতক্ষণ। তারপর ঠোঁট না সরাসরি জিহ্বা দিয়ে আদর করতে লাগলো ওর নাভিতে। তিতির মুগ্ধর চুলগুলো খামচে ধরে সাপের মত মোড়ামুড়ি করতে লাগলো। উফফ কি করছে মুগ্ধ! ও তো সুখে মরেই যাবে! কিছু বলতে গিয়েও তিতির একটা কথাও বের করতে পারলো না। হঠাৎ মুগ্ধ ওর খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলো ঘষে দিল তিতিরের পেটে। তিতির ব্যাথায় একটা চিৎকার দিল। মুগ্ধ ওর ঠোটে চুমু দিয়ে চিৎকার থামালো। তারপর তাকিয়ে রইলো তিতিরের দিকে। কি মায়া! আল্লাহ কি পৃথিবীর সব মায়া ওর মুখটাতে দিয়ে রেখেছে? তিতির চোখ খুললো। মুগ্ধর চোখে চোখ পড়তেই লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নিল। মুগ্ধ তিতিরের মুখটা ধরে কপালে একটা চুমু দিল। তিতির আবেশে চোখদুটো বন্ধ করে ফেলল। মুগ্ধ বোঁজা চোখদুটিতেও চুমু দিল। তারপর গালে চুমু দিল, তারপর ঠোঁটের আশেপাশে। তারপর আবার ঠোঁটে চুমু খেল। এরপর নেমে গেল গলায়। অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দিল। তিতির ততক্ষণে মুগ্ধর কান কামড়াতে শুরু করে দিল।
তারপর মুগ্ধ উঠে বসলো। তিতিরের কোমরটা ধরে ওকেও উঠিয়ে বসিয়ে আঁচলটা ফেলে দিল। আবার চুমু দিতে যাচ্ছিল এমন সময় তিতির ওকে বাধা দিল, টি-শার্টটা খুলতে বলতে চাইলো। কিন্তু সমস্ত আবেগ যেন গলার মধ্যে আটকে গেছে। বলতে না পেরে নিজেই খুলে ফেললো, মুগ্ধও হেল্প করলো। তারপর তিতির পাগলের মত কামড় দিতে লাগলো মুগ্ধর বুকে। মুগ্ধর খুব ব্যথা লাগছিল কিন্তু বাধা দেয়নি কারন একই সাথে ওর ভালও লাগছিল। আস্তে আস্তে তিতির কামড়ানো থামালো। এবার চুমু দিতে শুরু করলো। বুক থেকে চুমু দিতে দিতে উপরে উঠতে লাগলো। গলায় চুমু দিল তারপর গালে চুমু দিতেই মুগ্ধ তিতিরের ঠোঁট কামড়ে ধরলো। তারপর চুমু দিল। তিতিরও চুমু দিল। যেন প্রতিযোগিতা লেগেছে কে কার থেকে বেশি আর নিবিড়ভাবে চুমু দিতে পারে! ততক্ষণে মুগ্ধর হাত চলে গেল তিতিরের কোমরে। শাড়ির কুচিগুলো ধরে কোমর থেকে খুলে পুরো শাড়িটাই ছুড়ে ফেলে দিল ফ্লোরে। তারপর মুগ্ধ তিতিরকে উলটো ঘুড়িয়ে ভেজা চুলগুলো সরিয়ে ঘাড়ে চুমু দিল। একটা, দুটো, অসংখ্য। প্রত্যেকটা চুমুতে তিতির কেপে কেপে উঠছিল। ওর ব্লাউজের ফিতাটা মুগ্ধ একটা টান দিয়ে খুলে ফেলল। ব্লাউজের পিছনের হুকগুলো খুলে পিঠে চুমু দিল। তারপর ব্লাউজটা টেনে খুলবার সময় বাধা দিল তিতির। কোনরকমে ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,
-"লাইট টা বন্ধ করে নাও প্লিজ।"
অস্থির মুগ্ধ বলল,
-"না, কেন?"
-"আমার লজ্জা লাগবে নাহলে।"
-"হুম, লাগুক। আমি তো তোমার লজ্জাটাই দেখতে চাই। আই লাভ ইট।"
-"না প্লিজ, আমি তাহলে মরে যাব।"
-"আমি তো তাহলে কিচ্ছু দেখতে পারবো না।"
-"দেখা লাগবে না। আরেকদিন দেখো। আজ লাইটটা বন্ধ করো। পায়ে পড়ি তোমার।"
বাইরে তখন তুমুল বর্ষন। বাতাস আর বৃষ্টির তোড়ে বারান্দার দরজার পর্দা ভেতরে এসে উড়ছে। মুগ্ধ গিয়ে লাইট টা বন্ধ করে ফিরে এল। তবু বাগানের লাইটের যতটুকু আলো আসছে তাতে সব স্পষ্ট না হলেও আবছা দেখা যাচ্ছে সবই। তারপর ব্লাউজটা খুলে ফেললো। তিতির লজ্জায় উপুর হয়ে শুয়ে পড়লো। কি করবে ও? একদিকে মুগ্ধ কাছে আসতেই লজ্জায় মরে যায় অপরদিকে নিজের সর্বস্ব তুলে দিতে ইচ্ছে করে ওর জিম্মায়। মরতে ইচ্ছে করে মুগ্ধর হাতে। মুগ্ধ উপুর হয়ে শুয়ে থাকা তিতিরের সারা পিঠে চুমু দিতে লাগলো। তারপর তিতিরকে নিজের দিকে ফেরাতেই তিতির মুগ্ধকে জড়িয়ে ধরলো। মুগ্ধও ধরলো। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর মুগ্ধ তিতিরকে আবার শুইয়ে দিল। ঠোঁটে চুমু খেল। তারপর চুমু খেল গলায়, বুকে, পেটে। তিতিরের কাঁপতে কাঁপতে বেহুশ হয়ে যাবার অবস্থা। কিছু ভাললাগা থাকে না অসহ্যকর? সেরকমই কিছু ছিল।
তিতির চোখ বন্ধ করে ছিল। হঠাৎই মুগ্ধর ঠোঁটের স্পর্শ পেল পায়ে। লাফিয়ে উঠে নেশাভরা কন্ঠে বলল,
-"ছিঃ ছিঃ কি করছো?"
-"ছিঃ বলছো কেন?"
-"আমার পায়ে মুখ দিচ্ছো কেন?"
-"তো কি হয়েছে?"
-"আমার পাপ হবে।"
-"কিচ্ছু হবেনা। তোমার পায়ের উপর লোভ আমার কতদিনের জানো? একটু আদর করতে দাও।"
তিতির আর কিছু বলল না। জানে আর কিছু বলেও লাভ নেই, মুগ্ধ শুনবে না। দুইপায়ে মন ভরে চুমু খেয়ে মুগ্ধ উঠে এল। তিতিরের নাভির দু'ইঞ্চি নিচে চুমু খেতে খেতে মনে হলো কি করছে ও! আর তিতিরও আজ কিছুতেই বাধা দিচ্ছে না। ও তো ভাং খেয়ে আউট অফ মাইন্ড হয়ে গিয়েছে। কাল ঘুম থেকে উঠে যদি এসবের জন্যই আফসোস করতে থাকে? তাহলে মুগ্ধ নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবে না। মুগ্ধ সরে গিয়ে শুয়ে পড়লো তিতিরের পাশে। তিতির মুগ্ধর হাতটা সরিয়ে বাহুতে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরলো ওকে। মুগ্ধও ওকে একহাতে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো। কিচ্ছুক্ষণ পর তিতির ওর উপড়ে উঠে শুয়ে ওর বুকে মাথা রাখলো। মুগ্ধ বুঝতে পারছে তিতির আরো আদর চাইছে। ওরও যে ইচ্ছে করছে। কি করবে? তিতিরের চুলে হাত বুলিয়ে বলল,
-"তিতিরপাখি?"
-"হুম।"
-"আমাদের এখানেই থেমে যাওয়া উচিৎ না?"
তিতিরের বলতে ইচ্ছে করলো, 'না থামা উচিৎ না' কিন্তু পারলো না। বলল,
-"জানিনা।"
-"উচিৎ, কারন এটা পাপ।"
তিতির মুগ্ধর বুকের উপর থেকে মাথা না তুলেই বলল,
-"পাপ কেন হবে? আমরা তো দুজন দুজনকে ট্রু লাভ করি। প্রায় গত ৬ বছর ধরে তো তোমাকে আমি আমার বর বলেই মেনে এসেছি। আর তুমিও তো আমাকে বউই ভাব।"
-"শুধু ভাবিই না। মনেপ্রাণে মানিও সেটা। কিন্তু আমাদের বিয়ে তো হয়নি না?"
-"আমার ফ্যামিলির জন্য হয়নি। আমার বাবা মা রাজী হলে অন্তত দু'বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়ে যেত।"
-"হ্যা, কিন্তু হয়নি তো বাবা। আর এর থেকেও ইম্পরট্যান্ট কথা হলো তোমার আমার বিয়ে কখনোই হবে না তাই তোমার ভার্জিনিটি নষ্ট করার কোনো রাইট আমার নেই। যখন অন্যকারো সাথে তোমার বিয়ে হয়ে যাবে, আজকের ভুল টাই তোমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে সেদিন। তাই কোন ভুল করতে চাচ্ছি না।"
তিতির আর কিছু বলল না। মনে মনে বলল, 'মুগ্ধ তুমি এতটা ভাল না হলেও পারতে।' কখন ওর চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল তা ও টের না পেলেও মুগ্ধ পেল। কিন্তু কিছু বলল না। শুধু জড়িয়ে ধরে রইলো। মনে মনে বলল, 'তিতির, জানি আমাদের বিয়ে অসম্ভব। তবু যদি কখনো কোনভাবে এই অসম্ভবটা সম্ভব হয় তাহলে এই মুহূর্তে যতটা কষ্ট তোমাকে দিলাম তার হাজার গুন সুখ তোমার পায়ের কাছে এনে দেব।'

৪২!!

তিতির কখন যেন কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে। মুগ্ধ ওকে বুকের উপর থেকে নামিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল। তারপর উঠে দাঁড়াতেই বুঝতে পারলো শরীরটা ভার হয়ে আছে। বুকের ভেতর ব্যাথা করে উঠলো। বুকে হাত দিতেই দেখতে পেল বুকের লোমগুলো ভিজে গেছে তিতিরের চোখের জলে। বুকের ভেতরটায় হাহাকার করে উঠলো। ও জানেনা একটা মেয়েকে আদর করে তারপর চূড়ান্ত আদরের সময় ছেড়ে দিলে কেমন লাগে কিন্তু নিজেকে দিয়ে এটা বুঝতে পারছে একটা ছেলের কেমন লাগে! তিতির যেমন হাজার ফোঁটা চোখের জল ফেলেছে ওর বুকের উপর তেমনি ওর নিজেরও হাজার ফোঁটা চোখের জল বুকের ভেতর জন্ম নিয়ে বুকের ভেতরই ঝরে গেছে। তিতিরের গায়ে চাদর টেনে দিয়ে বারান্দায় চলে গেল মুগ্ধ।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দূরের আবছা অন্ধকারে থাকা পাহাড়গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মুগ্ধ বুঝতে পারছিল ওর চোখ জ্বলছে। কাঁদলে নাকি হালকা লাগে? বুকের ভেতর এত কান্না অথচ কাঁদতে পারছে না কেন ও? কান্নার কি কোন মন্ত্র আছে? যেটা পড়ে মেয়েরা এত কাঁদে? নিশ্চই আছে যেটা ও জানেনা আর জানেনা বলেই কাঁদতে পারেনা। সারা শরীরের রক্ত যেন ফুটছে। আবার যেতে ইচ্ছে করছে তিতিরের কাছে, কিন্তু না ও যাবে না। তিতির কষ্ট পেয়েছে, আবার কষ্ট দেয়ার মানে হয়না। আর ওরও উচিৎ কন্ট্রোলে থাকা। কিন্তু সারাটা রাত কিভাবে কাটাবে ও? বারান্দার মধ্যে পায়চারী করলো কিছুক্ষণ। নিজের শরীরটাকে ব্লেড দিয়ে কেটে কুচিকুচি করতে পারলে বোধহয় এ অস্থিরতা কমতো। আরো কিছুক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থেকে ঘরে ফিরে গেল মুগ্ধ। ওর টি-শার্ট, তিতিরের শাড়ি সব ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ওগুলো তুলে রাখলো। তারপর খেয়াল হলো ও এখনো সেই আধাভেজা হাফপ্যান্ট টা পড়ে আছে। চেঞ্জ করে নিল। তারপর শুয়ে পড়লো। তিতির ওর দিকে ফিরে ঘুমাচ্ছে। এলোমেলো চুলগুলো চোখের উপর এসে পড়েছে। চুলগুলো চোখের উপর থেকে সরিয়ে দিল মুগ্ধ। তিতির ওর ছোঁয়া পেয়ে ঘুমের ঘোরেই ওকে জড়িয়ে ধরলো। মুগ্ধর একটু শান্তি লাগলো। তিতিরকে আবার বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো। একফোঁটা না ঘুমিয়ে কাটলো মুগ্ধর রাতটা। সারাটা রাত ধরে যত আজগুবি চিন্তা করছিল। তার মধ্যে একবার তান্নাকে খুন করার প্ল্যানও করে ফেলেছিল।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওরা ঢাকা রওনা দিল। দুপুরের মধ্যে ঢাকা পৌঁছে গেল। তিতির ওদের বাসার গলির মোড়েই নেমে গেল। নামার আগে মুগ্ধ বলল,
-"থ্যাংকস ফর লাস্ট টু ডেস।"
তিতির হাসলো। মুগ্ধ আবার বলল,
-"সেদিন অফিসের জন্য যখন বাসা থেকে বের হয়েছিলাম, তখন ভাবিওনি এরকম কিছু হতে পারে। দুদিন, দুরাত যেন স্বপ্ন দেখলাম।"
-"থ্যাংক ইউ টু গত দুটো দিন আমাকে দেয়ার জন্য। আমার কাছেও স্বপ্নই ছিল।"
তিতির গাড়ি থেকে নেমে জানালা দিয়ে তাকিয়ে বলল,
-"কাল তোমার একটা কথার রিপ্লাই দিতে পারিনি। আজ দেই?"
-"সিওর। কোন কথাটা?"
-"কাল বলছিলে না আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করার রাইট তোমার নেই? কিন্তু তুমি কি এটা জানো আমার মনের ভার্জিনিটি তুমি অনেক আগেই নষ্ট করে দিয়েছো।"
মুগ্ধ হা করে চেয়ে রইলো। তিতির বলল,
-"আসি তাহলে। ভাল থেকো, নিজের যত্ন নিও।"
তিতির হাটা শুরু করতেই মুগ্ধ গাড়ি থেকে নেমে এক দৌড়ে চলে গেল তিতিরের কাছে। বলল,
-"তুমি রাগ করেছো কালকের জন্য? আই এম রিয়েলি সরি।"
-"রাগ করিনি। এটা বলার ছিল কিন্তু কাল বলতে পারিনি তাই আজ বললাম। সত্যিই রাগ করিনি। রাগ করলে কথা বলতাম? যাই হোক, তুমি এখন যাও। তোমাকে এখানে আমার সাথে কেউ দেখলে কি হবে জানোই তো।"
-"ওকে। আর সবসময় তো ফোন দেইনা, মাঝে মাঝে দিলে ধরো প্লিজ।"
তিতির হেসে বলল,
-"আচ্ছা, যাও এখন.. টাটা।"
বাসায় ফিরে তিতির গতকাল রাতের ঘটনাগুলো নিয়েই ভাবছিল। ইশ কি সুন্দর করে আদর করে মুগ্ধ! আচ্ছা ওর যখন অন্য কোন মেয়ের সাথে বিয়ে হবে তখন কি তাকেও মুগ্ধ এভাবেই আদর করবে? না! মরেই যাবে ও তাহলে! মুগ্ধ শুধু ওর। সেই মুগ্ধ অন্য কোন মেয়েকে ওর মত করে আদর করবে, অন্য কোন মেয়ে ওর মুগ্ধকে স্পর্শ করবে এটা ও কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না। আগুন জ্বালিয়ে দেবে, প্রয়োজনে খুন করবে। তবু ওর মুগ্ধকে ও অন্য কারো হতে দেবে না। আচ্ছা এমন কিছুই কি করা যায়না যাতে বাবা-মা রাজি হয়ে যায় মুগ্ধর সাথে বিয়ে দিতে? আর কিছুই কি করার নেই? তিতির কাগজ পেন্সিল নিয়ে বসলো। উল্টোপাল্টা আঁকিবুকি করলে তিতিরের মাথায় ভাল ভাল আইডিয়া আসে। তাই করলো। কিন্তু কোন আইডিয়া এল না। সন্ধ্যাবেলা বাসার সবাই সিরিয়াল দেখতে বসেছে। এমন সময় তিতির চা বানাতে গিয়ে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল শুনতে পেল। সাথে সাথে ওর মাথায় একটা আইডিয়া এল। আইডিয়াটা নিয়ে সারারাত ভাবলো। ইয়েস, এর চেয়ে ভাল আইডিয়া হতেই পারেনা। বাবা-মা রাজী হতে বাধ্য।
খুশিতে ঘুমই আসছিল না তিতিরের। মুগ্ধকে ফোন করলো কিন্তু কিছু বলল না। একবারে সারপ্রাইজ দেবে।
মুগ্ধর মনটা বোধহয় খারাপ। সব কথাতে শুধু হু হা করছে। তিতির জিজ্ঞেস করলো,
-"তোমার মনটা কি খারাপ?"
-"হ্যা তিতির, আমি কালকের জন্য লজ্জিত।"
-"কেন?"
-"অতটা উচিৎ হয়নি। আমার মাথা ঠিক ছিলনা।"
তিতির হেসে বলল,
-"কেন ভাং এ ধরেছিল তোমাকে?"
-"জানিনা, হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। আমার কোন কিছুতে নেশা হয়না। কিন্তু ভাং টাতে আমি অভ্যস্থ নই।"
-"বাদ দাও না। কাল যা গেছে গেছে। ওটা নিয়ে আর ভেবোনা। সামনের দিনের কথা ভাবো।"
-"আমি তো কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।"
এসব কথায় তিতিরের খারাপ লাগছিল। তাই ও প্রসঙ্গ পালটে বলল,
-"তোমাকে অনেক অনেক থ্যাংকস কাল রাতের জন্য। তুমি আমাকে দেখিয়ে দিয়েছো ভালবাসার বৃষ্টি কাকে বলে। তুমি আমাকে ফিল করিয়েছো সুখ কতটা সুখের হতে পারে!"
মুগ্ধর বুকের ভার হালকা হলো এটা ভেবে যে, যাক ঘুরে এসে তিতিরের মনটা তো ফ্রেশ হয়েছে। একটু হলেও ভাল আছে আগের চেয়ে। কিন্তু তখনও মুগ্ধ জানেনা কি চলছিল ওর মনের মধ্যে।
পরদিন দুপুর ১১/১২ টার দিকে তিতির হুট করে রান্নাঘরে গিয়ে বলল,
-"মা তোমার সাথে আমার কথা আছে।"
-"এখন রান্না করছি, পরে বলিস।"
-"ইটস আর্জেন্ট।"
মা ওর দিকে ফিরে বলল,
-"কি বল?"
-"আমি প্রেগন্যান্ট।"
মায়ের হাত থেকে খুন্তিটা পরে কয়েকবার উল্টিপাল্টি খেয়ে একসময় থেমে গেল। তিতিরের একফোঁটা ভয় করলো না। বরং কথাটা বলতে পেরে বেশ হালকা লাগলো।
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।