অনুভবে - পর্ব ১৩ - নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা - ধারাবাহিক গল্প


"সারাক্ষণ জোহান জোহান করার পর আজ যখন জোহান এলো তখন প্রতিঘন্টায় তোমার আমার কথা মনে পরছে কেন? সত্যি বলো তো, জোহানকে ছেড়ে আমার প্রেমে পড়ে যাও নি তো তুমি?" 

ইনারা চমকে উঠে। সে কী ভেবে একথাটা বলল তা বুঝতে পারছে না৷ সে এমন কোনো ইঙ্গিত দেয় নি তাকে। তবে তার প্রতি অন্যরকম এক সম্মানের অনুভূতি আছে তার মনে। সভ্য যেভাবে তাকে দু'দিন আগে বাঁচালো এতে প্রমাণ হয় সে আসলেই ভালো। কিন্তু কথাটা মুখে প্রকাশ করতে পারে না সে। কেমন অস্বস্তি লাগে তার। এমন কোনো পরিস্থিতিতে সে আগে পড়ে নি। ছেলে বন্ধু কয়েকটা আছে তার। কিন্তু কখনো কেউ এত কাছে আসে নি তার। সভ্যের হঠাৎ এমন করে কাছে আসাটা সম্ভবত তার মাঝে লাজুক ভাব সৃষ্টি করার কারণ। 

সে কিছু বলতে পারে না। নম্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সভ্যের দিকে। হঠাৎ করে দরজা থেকে কিছু শব্দ শোনা যায়। কাশির শব্দ। ইনারা দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে জোহান দাঁড়ানো। তাকে দেখে ইনারা ঘাবড়ে যায়। সাথে সাথে সে সভ্যকে সরিয়ে দাঁড়ায়। জোহানকে কৈফিয়ত দেবার চেষ্টা করে সে, "আপনি যেমন ভাবছেন তেমন কিছুই না। আমি তো কেবল খাবার নিয়ে এসেছিলাম।" 

সভ্য ইনারার কাঁধে হাত রেখে দুষ্টুমি করে জিজ্ঞেস করে, "ও আমাদের দেখে কী ভাবতে পারে ইনু?"
ইনারা চোখ রাঙিয়ে তাকায় তার দিকে। তাহলে সভ্য এসব ইচ্ছা করে করছিলো? জোহানের সামতে তাকে লজ্জিত করার জন্য? ভাবতেই রাগে শরীর জ্বলে উঠে তার। 

জোহান বলে, "তুমি উঠে যাবার পরপরই ফোন বেজে উঠে তোমার। সামি বলল তোমার কাছে যেন নিয়ে আসি।"
ইনারা বিড়বিড় করে সভ্যকে কতগুলো গালি দিয়ে জোহানের কাছে যায়। কিন্তু তার সাথে চোখ মেলাতে পারে না। ফোনটা দিয়ে বেরিয়ে যায়। 

জোহান সভ্যের সামনে যেয়ে দাঁড়ায়। বলে, "আমাকে দরজায় দেখে ওর সাথে এমনভাবে কথা বলছিলি তাই না? তোর কি মনে হয় আমি ওকে পছন্দ করি যে তোর এমন ঘনিষ্ঠ হওয়াতে আমার কিছু আসবে যাবে?"
"আমি তো দেখছিলাম আসলেই ইফেক্ট করেছে, নাহয় ওকে ফোনটা হাতে দিয়েই সোজা আমার কাছে এলি কেন? আজ সারাক্ষণ আমাকে দেখানোর জন্যই তো ওর সাথে কথা বলছিলি। যেন আমার তোর ফ্যান-ফলোয়ার সম্পর্কে ধারণা হয়। ইউ নো হোয়াট জোহান, তোকে অন্য কেউ না তোর ইনসিকিউরিটি ইফেক্ট করে। বিশেষ করে আমার থেকে।"
"নিজেকে এতটা গুরুত্ব দিস না।"
"আমার দিতে হয় না। তুই আর তোর বাবাই দেস। একারণেই সেদিনের সামান্য এক পোস্ট এতটা বড় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো তোর বাবা।"
সভ্যের কথাটা শুনে জোহান কপাল কুঁচকে নেয়। তার এমন প্রতিক্রিয়ায় হাসে সভ্য, "মানে তুই জানিসই না তোর বাবা এত বড় কান্ড ঘটালো। সে তোকে জানানোর প্রয়োজনবোধটাও করল না? আহারে!"
"এই ঘটনার সাথে আব্বুর কোনো সম্পর্ক নেই।" 

সভ্য তীক্ষ্ণ হেসে আবার পিয়ানোর সামনের চেয়ারে বসে। উওর দেয়, "খোঁজ বের করিয়েছি আমি। পোস্টটা অন্যান্য গ্রুপে যে বাড়িয়ে ছড়িয়েছে সে মিঃ হকের আন্ডারে কাজ করে। তার নাম বলতে চাচ্ছি না। আর না অন্যকাওকে মিঃ হকের এই জঘন্য কাজ সম্পর্কে জানাচ্ছি। কিন্তু একটা কথা বলে দেই আমার ধৈর্য্যর সীমানা পেরিয়ে গেলে অনেক খারাপ হবে।"
"আচ্ছা মানলাম আমার বাবা করিয়েছে এমন। তো কী? তুই এমন কী করবি শুনি?"
সভ্য পিয়ানো কনুই রেখে গালে হাত দিয়ে তাকায় জোহানের দিকে, "তাহলে আমি এবছর কন্টাক্ট রি-নিউ করব না।"
কথাটা শুনতেই জোহান ভয় পেয়ে গেল। কোম্পানির দুই-তৃতীয়াংশ মুনাফা আসে তাদের দল থেকে। কিন্তু দলের কারও সভ্যের মতো বড় ফ্যানবেস নেই। এমনকি সকলের ফ্যানবেস মিলিয়েও সভ্যের সমান হয় না। জোহানের না চাইতেও তা মানতে হবে। তাই তাদের সভ্যকে যে করেই হোক দরকার। 

সভ্য শীতল বলায় বল, "নাউ ইউ ক্যান গেট আউট।"
"তোর মনে হয় না অতিরিক্ত এটাটিউড দেখানো হচ্ছে?"
"এখন কি করবো ব্রো আমি এটাটিউড নিয়েই জন্ম নিয়েছিলাম।"
জোহান বিরক্ত হয়। কিন্তু কথা বাড়ানোটা উচিত মনে হলো না তার। তাই সে সেখান থেকে চলে গেল। 

লিফটে যাবার সময় সে পথে দেখলো ইনারা ফোনে কথা বলছে। ইনারাকে দেখে তার হঠাৎ করে চোখের সামনে আবছা কিছু দৃশ্য ভাসে। এর উপর 'ইনারা' এবং 'ইনু' দুটো শব্দই চেনা চেনা লাগে তার কাছে। জোহানের হঠাৎ করে মনে পড়ে দুইবছর আগের কথা। তার দল তৈরি হবার পূর্বে সে সর্বপ্রথম মা'য়ের সাথে বাংলাদেশে এসে শ্রীমঙ্গল যায়। সেখানে সে দেখা করে সারু আন্টির মেয়ের সাথে। তার নামও ছিলো ইনারা। মা তাকে ডেকেছিলো ইনু। চেহেরাটাও মনে পড়ে জোহানের। কান্না করার কারণে সারারাত মেয়েটিকে গান শুনিয়েছিলো সে। পরেরদিন তার সাথে ঘুরেছিলো। তাহলে এই সে ইনারা? 

জোহান নিজের উপর চরম বিরক্ত হয়। সে আগে কেমন আজেবাজে মানুষদের সাথে কথা বলতো! যেখানে আজকাল তার একটা গান শুনতে মানুষরা পাগল হয়ে যায়, লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে, সেখানে এমন অমার্জনীয় মেয়েকে সে সেধে যেয়ে গান শোনাচ্ছিল? 
আগে কী এতটাই বোকা ছিলো সে?
আর তার মা'য়েরই বা কেমন মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব ছিলো। কেউ যদি জানে তাদের জন্য কাজ করা এসিস্ট্যান্ট তার মা'য়ের বান্ধবীর মেয়ে তাহলে তার জন্য কত লজ্জাজনক ব্যাপার হয়ে যাবে। আর এই ব্যাপার যদি জনগণের মাঝে ছড়ায়? না, এ কথা কাওকে জানতে দেওয়া যাবে না। মেয়েটার সাথে কেবল দলের সবাইকে দেখানোর জন্য কথা বলতে হবে। বিশেষ করে সভ্যকে দেখানোর জন্য। 

এতটুকু ভেবে জোহান সেখান থেকে চলে যায়।
.
.
"তুই সে একদিনের চক্করে জোহানের পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছিস আর জোহান তোকে মনেও রাখে নি।" সুরভি বলল। ফোনের ওপাড় থেকে। ইনারা কথাটা শুনে মুখ বানায়। একটু আগের সভ্যের কান্ড এখনো সে ভুলে নি। এর উপর সুরভীর এই কথা। সে খিটখিটে মেজাজে বলল, "ভাই সে আমার সাথে একদিন মাত্র সময় কাটালো। এরপর সে এত ফেমাস হবার পর কত মানুষের সাথে দেখা হলো। আমায় কীভাবে মনে রাখবে? আমি যে স্কুলে এতজনের সাথে এত বছর ধরে পড়লাম আমার তো কতগুলোর চেহেরাও মনে নেই।"
"তো তুই তাকে মনে করিয়ে দে।"
"কোন দুঃখে আমি যেয়ে সেধে মনে করাব? যদিও সৌমিতা আন্টি তাকে আমার আসল পরিচয় দেয় নি, তবুও প্রথমে সে আমাকে ভালোবাসবে তারপর তাকে আমার আসল পরিচয় দিব। আমি চাই আমি ঠিক যেমন সে আমাকে তেমনভাবেই ভালোবাসুক।"
"তোর ভালোবাসা এবার সাইডে রেখে বল তো সভ্য কোথায়? একটু কথা বলিয়ে দে।" 

ইনারার মনে পড়ে একটু আগের ঘটনা। সভ্যের উপর প্রচন্ড রাগ উঠে তার। আচ্ছা সভ্য কী এমনটা তার থেকে প্রতিশোধ নিতে করেছিলো? জোহানের সামনে তাকে লজ্জা দেবার জন্য করেছিলো? রাগে শরীর জ্বলে তার। সে ঝাঁজালো গলায় বলে, "ওই অসভ্য, বেয়াদব, বান্দরের দলের রাজা, ওই বেহায়া ভূতের নাম আমার সামনে নিবি না। নিজেকে কি মনে করে আল্লাহ জানে! যেমন ভাব করে যেন কোনো দেশের নবাব। আর বেহায়াপনার কথা তো নাই বললাম। আমি যদি পারতাম তাহলে ময়লা নালায় ডোবাতাম শুধু।" 

"তাই না'কি?" ইনারার পিছন থেকে প্রশ্নটা আসে।
"তো আর কি?" সে আনমনেই উত্তর দিয়ে চমকে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায়। ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখতে পায় সভ্যকে। মুহূর্তে কাঁদোকাঁদো চেহারা হয়েছে তার। ফোনের ওপাশ থেকে সুরভী জিজ্ঞেস করে, "এটা কী সভ্যের কন্ঠ? আমি কি আসলে সভ্যের কন্ঠ শুনছি?"
ইনারা সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। আমতা-আমতা করে সভ্যকে বলেন, "আ-আপনি কখন এলেন?"
"সময় মতোই এসেছি। আচ্ছা একটা সত্যি কথা বলতো, তোমাকে কি আমার বদনাম করার জন্য কেউ চাকরিতে রেখেছে?"
"ওটা তো আমি ফ্রীতেই মজার সাথে করতে পারি।" বলেই জিহ্বায় কামড় দিল সে, "না মানে কে আপনার বদনামের জন্য আমাকে চাকরিতে রাখবে?"
"আমি বেহায়া তা বলছিলে না?"
"দেখুন আপনি একটু আমার সাথে বেহায়াপনা করেছেন। এটা বলার আমার অধিকার আছে।" 

আচমকায় সভ্য ইনারার দিকে এগিয়ে আসে। তার বুঝে উঠার পূর্বেই ঠোঁটের কাছে ঠোঁট এনে থেমে যায়। ইনারা থমকে যায়। কি হলো বুঝতে পারেনা। ভয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। বুকের ভেতরটা ধক করে উঠে। হৃদয়ে এক স্পন্দন যেন স্কিপ হয়ে যায়। এক ঢোক গিলে সে। 

সভ্য ইনারার কাছে এসে থেমে যায়। ঠোঁটের কোণায় মৃদু হাসি এঁকে বলে, "বেহায়াপনা করতেন অনেক ভালোমতো করতে পারি। কিন্তু তোমার উপর আমার বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট নেই।"
ইনারা দ্বিধায় পড়ে যায়। সে সভ্যের কথায় ক্রোধিত হবে না'কি লজ্জিত হবে তার এই কান্ডে। সে মুখ বানিয়ে বলে, "আপনার কি লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই?"
"আছে কিন্তু তোমায় দেখলে আসে না।"
ইনারা রাগে সভ্যের পা'য়ে লাথি মেরে সেখানে থেকে চলে যায়। সভ্য ব্যাথায় কুঁচড়ে উঠে। কিন্তু শব্দও করতে পারে না সে। ইনারাকে যেতে দেখে বলে, "কি মনে করেছ তুমি বেঁচে যাবে? তোমার খবর আছে ইন্দুরনী।"
ইনারা পিছন দিকে ফিরে ভেঙিয়ে বলে, "দেখি নিব আপনি কি খবর করে উঠিয়ে ফেলেন, মিঃ অসভ্য।"
.
.
"এক সাপ্তাহ হয়ে গেল। মেয়েটার কোনো খোঁজ তুমি পাও নি? এ কেমন কথা?" জোহান সাইদকে কথাটা জিজ্ঞেস করে। সামনে সাথে বসা সামি এবং সামনে দাঁড়ানো সাঈদ। এই মুহূর্তে তারা জোহানদের বাড়ির ছাদে বসা। জোহানের সিগারেটের সাদা ধোঁয়া মিশিয়ে দিলো রাতের শীতল বাতাসে। 

সাইদ জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজকাল জোহান থেকে অনেক ভয় লাগে। জোহান কখন কি করে সে বুঝতে পারে না। যত বছর পাড় হয় ততই সে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আগের মত নম্র, হাসিখুশি, যত্নশীল মানুষ আর সে নয়। যখন সে যাত্রা শুরু করে তখন জোহান এমন ছিলো না। খুবই মিশুক ছিলো। নতুন চাকরিতে জয়েন করায় সাইদ ভীষণ ভয়ে ছিলো কিন্তু জোহানের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে তার ভয় মুহূর্তে চলে গেল। কিন্তু আজ এই জোহান তার কতটা অচেনা! যত দিন যাচ্ছে জোহান ততটাই অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। 

উত্তর না পেয়ে জোহান আবার ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করল, "আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি। মেয়েটার খবর এখনও আমি পেলাম না কেন?"
"মেয়েটার চেহেরাটার বর্ণনাও তুমি ঠিকভাবে দিতে পারছ না। আমি কীভাবে খোঁজার চেষ্টা করব মেয়েটাকে? তুমিই তো মেয়েটাকে ঠিকভাবে দেখ নি। এছাড়া চেহেরা চিনলেও এতগুলো মানুষের মধ্যে একটি মেয়ের খোঁজ নেওয়া কীভাবে সম্ভব?"
"তা তোমার ব্যাপার। চাকরি তো হাতে হাত রেখে বসে থাকার জন্য দেই নি।" 

সামি জোহান এর পাশে বসেছিল। সে জোহানের কথা শুনে হেসে ওঠে, "ব্রো ওকে কোম্পানির কাজ করার জন্য রাখা হয়েছে। তোর ব্যক্তিগত পছন্দের মেয়ে খোঁজার জন্য না। সভ্য জানলে কিন্তু তোর কপালে শনি আছে।" কথাটা শুনতে জোহানের রাগ আরো বেড়ে গেল। বিশেষ করে সভ্যের কথা শুনে। সে গলা চড়িয়ে বলল,"আমি কি সভ্য কি ভয় পাই না'কি?"
"পাওয়া উচিত। তুই ভালভাবে জানিস সভ্য কেমন। ওর এমন আনপ্রফেশনাল কাজ একটুও পছন্দ না।"
"তুই আমার ভাই হয়ে ওর প্রশংসা কিভাবে নিতে পারিস?"
"আমি তো সত্যি তাই বলছি।"
জোহান রাগে কটমট করে উঠে যায়। যাওয়ার পূর্বে তার হাতের সিগারেট ঢেলে দেয় সামির জুসের গ্লাসে।
.
.
ইনারা বাড়িতে ফিরে দেখে উৎসব হচ্ছে। অন্তত উৎসবের মতোই। সে দরজায় ঢোকার সাথে সাথে তার ফুপি মুখে মিষ্টি ভরে নিলো। সে আজ মহাখুশি। এতটা খুশি তাকে সাধারণত দেখা যায় না। তাই আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল, "কী খবর ফুপি এত খুশি কেন আজ?"
"খুশির ব্যাপারই। আইজা একটা ফিল্মে চান্স পাইসে বুঝলি? তাও তোর বাবার সিনেমায়। তোর বোন ফিল্মস্টার হয়ে যাবে। অনেক বড় অভিনেত্রী হবে।" 

ইনারার ঠোঁটের হাসি সাথে সাথেই মলিন হয়ে গেল। সে হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, "কী বলছো ফুপি? এটা কীভাবে হতে পারে? আমি গতবছর যখন এত করে বলেছিলাম আমি কলেজের থিয়েটারে অভিনয় করতে চাই আব্বু কত খারাপ কথা বলেছিলো আমায়। কত বকেছিলো। বলেছিলো এই বাড়ির মেয়েদের এসব করা মানা। আর আইজা আপুকে ফিল্মে চান্স বাবা নিজে দিচ্ছে? আমার মানা হলে আইজা আপুর কেন নয়?"
.
.
.
চলবে.............................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন