অনুভবে - পর্ব ১৪ - নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা - ধারাবাহিক গল্প


ইনারার ঠোঁটের হাসি সাথে সাথেই মলিন হয়ে গেল। সে হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, "কী বলছো ফুপি? এটা কীভাবে হতে পারে? আমি গতবছর যখন এত করে বলেছিলাম আমি কলেজের থিয়েটারে অভিনয় করতে চাই আব্বু কত খারাপ কথা বলেছিলো আমায়। কত বকেছিলো। বলেছিলো এই বাড়ির মেয়েদের এসব করা মানা। আর আইজা আপুকে ফিল্মে চান্স বাবা নিজে দিচ্ছে? আমার মানা হলে আইজা আপুর কেন নয়?" 

ইনারার কথায় তার ফুপি কপাল কুঁচকে নেয়, "তোর বোন চান্স পেয়েছে এতে তুই খুশি না। এখনো নিজের কথা চিন্তা করছিস? তুই এতটা স্বার্থপর আমি তো জানতাম না।"
"স্বার্থপর? আমি কেবল সঠিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছি। এমন বৈষম্য কেন? আমি যখন বলেছিলাম আমি মা'য়ের মতো বড় এক অভিনেত্রী হবো তখন আব্বু বলেছিলো মিডিয়া জগৎ আমার জন্য অনেক খারাপ। তাহলে তা আইজা আপুর জন্য নয়?"
"তোর আইজা আপু তোর থেকে বড়।"
"মানে আমি আপুর সমান হলে আমিও ফিল্মে যেতে পারবো। তাইতো?"
প্রশ্নে থতমত খেয়ে যায় ইনারার ফুপি। সে আমতা-আমতা করে বলে, "না মানে...এটা তো তোর বাবা বলতে পারবে। এছাড়া আমরা যদি মানা করি তোর ভালোর জন্যই করছি। আইজা তোর থেকে বেশি ম্যাচিউর। সিনেমা বাছাই, কোথায় কি বলতে হয়, কীভাবে চলতে হবে তা সব ও বুঝবে। ও এই জগৎ সামলাতে পারবে কিন্তু তুই..."
ইনারা ঠোঁটের কোণে বড় হাসি এঁকে বলে, "সে হিসেবে তো আমি আরও বেশি সামলাতে পারবো ফুপি। দেখো এসবের জন্য নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে হয়। তাও ছটফট করে। দেখো আপুর জীবনের সব সিদ্ধান্ত তো তুমি নেও। এই'যে আমি ছোট থেকে শুনে আসছি যে আপুর টিচার হবার এত শখ। আজ পর্যন্ত আপুর মুখে অভিনেত্রী হবার কথা শুনি নি। সে নিশ্চয়ই তোমার কথায় নিজের শখ মিটিয়ে এই পথ বাছাই করল। কিন্তু আমি তো এমন না। আমার যা করতে মন চাইবে আমি তাই করবো। ওয়েট ফুপি, তুমি এসব বলছো যেন আমি আব্বুর কথা না শুনে আমার মনের কথা শুনি। এই জন্যই তো মিডিয়া জগতে কি কি প্রয়োজন তা আমাকে বলে রাখছো। বাবা যেন রাগ না হয় এ-কারণে পরোক্ষভাবে বলছ তাই না? ওহ ফুপি তুমি কত সুইট!"
"না আমি এসব..."
"নেও এ খুশিতে তুমিও মিষ্টি খাও।"
ইনারা তার ফুপির মুখে মিষ্টি ভরে তার রুমের দিকে রওনা দিলো। হাসিমুখে ফুপিকে কথাগুলো বলে আসলেও রাগে তার শরীর জ্বলছে। 

ইনারার মা ছোটবেলা থেকেই তার জন্য আদর্শ। তার সিনেমা দেখেই বড় হয়েছিল সে। তখন সে ভাবত বড় হয়ে একদিন নিশ্চয়ই তার মা'য়ের মতো হবে সে। সকলে তাকে ভালোবাসবে। অভিনয়ের শখও ছিলো তার। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সিনেমার দৃশ্যের চর্চা করতো। কলেজের থিয়েটারে প্রথম অভিনয় প্রদর্শনেই প্রধান চরিত্র দেওয়া হয়। স্যার ম্যাডামরা তার প্রশংসা করতে শুরু করে। সবাই উৎসুক থাকে তার অভিনয় দেখার জন্য। কিন্তু তা আর হয় না। সে থিয়েটারেই আর যায় না। তার এই থিয়েটারের জন্য মুশতাক সাহেব অনেক বাজে কথা বলেছিলেন। জঘন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো বাড়িতে। এমনকি ইনারা নিজেকে এক সাপ্তাহ ধরে রুমে আটকেও রেখেছিলো। সে কেবল তার মা'য়ের মতো হতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার সুযোগ আর পায় নি। তবে যদি তার অভিনয়ের অনুমতি না থাকে তবে আইজা আপুরও থাকার কথা নয়। তাকে বাবা নিজে সুযোগ দিচ্ছে সিনেমায় আসার। কিন্তু কেন? এই বৈষম্য কেন!
.
.
জোহান এসেছে তিন দিন হলো। ইনারা সারাদিনের ঘুরাঘুরি তার আশেপাশেই। প্রাক্টিস থেকে বের হবার পরও জোহান বেশিরভাগই সামির সাথে সময় কাটায়। সামির জন্য ইনারাও জোহানের সাথে সময় কাটাতে পারে। তাদের যে অনেক খাতির। কিন্তু জোহানের ইনারাকে সহ্যই হয়না। সারাক্ষণ বকবক করতে থাকে। তার পোশাক পরার ধরণ মার্জিত মেয়েদের মতো নয়। ছেলেদের মতো পোশাক-আশাকে ঘুরে বেড়ায়। আচরণও কেমন যেন! কোনো মেয়ে এমনভাবে আচরণ করতে পারে তার জানা ছিলো না। তবুও তার ইনারাকে সহ্য করতে হয়। কিন্তু তার সাথে কথা বলে না। তবে আজ কি মনে করে নিজ থেকে সে জিজ্ঞেস করল, "আচ্ছা তোমার কি কোনো বড় বোন আছে?" 

তারা ক্যান্টিনে বসা। সামি, ইনারা এবং সে। তার হঠাৎ এমন প্রশ্নে ইনারা একটু অবাক হলো। সে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাচ্ছিল। জলদি জোহানের প্রশ্নের উওর দেবার জন্য মুখে খাবার রেখেই বলল, "আপনি কীভাবে জানেন?" 

জোহান মেজাজ আরো খারাপ হলো। ইনারার এসব বদভ্যাসের কারণে তাকে আরও অপছন্দ করতে শুরু করল সে। কিন্তু তা প্রকাশ করল না। তার ফ্যানদের সাথে বাজে ব্যবহার করার অনুমতি নেই। সে ইনারাকে বলল, "তোমার সাথে একজনের মিল পাই। কিছু মুহূর্তের জন্য দেখেছিলাম মাত্র। তার চেহেরাটা স্পষ্ট মনে আসে না। তবে কিছুটা তোমার মতো দেখতে।" 

জোহানের ক'দিন ধরে চিন্তা করছে কনসার্টে দেখা মেয়েটাকে কিছুটা ইনারার মতো দেখায়। কিন্তু তা কীভাবে হতে পারে! কোথায় সে মার্জিত, সুন্দরী মেয়ে। আর কোথায় ছেলেদের মতো পরিধান করা, শত বদভ্যাসে ভরা ইনারা। দু'জনের মাঝে আকাশ-পাতাল তফাৎ। যে কাওকে দেখে তো মুহূর্তের জন্য তার হৃদয়ের স্পন্দন থেমে যাবে না। 

তারপর হঠাৎ গতকাল তার মাথায় আসে ইনারার কোনো বোন থাকতে পারে। যার চেহেরার মিল আছে ইনারার সাথে। কাকতালীয়ভাবে তার বোন সে মেয়েটা হতে পারে। কিছুই অসম্ভব নয়। যে করেই হোক, তার সে মেয়েটাকে খুঁজতেই হবে। যেদিন থেকে সে মেয়েটাকে দেখেছে তাকে ছাড়া অন্যকিছু ভাবতেই পারে না। 

ইনারা আগ্রহ নিয়ে উওর দিলো,"আইজা আপুর কথা বলছেন? তার সাথে কোথায় দেখা হলো আপনার? সাইদ ভাইয়া দেখা করিয়েছে?"
ইনারার উওরে জোহানের ঠোঁটের কোণে হাসি এঁকে উঠে। সে উৎসুক গলায় জিজ্ঞেস করে, "সে কী দেখতে কিছুটা তোমার মতো?"
"আমার মতো? আমার থেকে অনেক সুন্দর। আইজা আপু বেস্ট। সব দিক দিয়ে বেস্ট।"
"সে কী তোমার মতো?"
"না, আমার একদম উল্টো সে। কিন্তু কেন?"
"তা পরে বলছি। তার ছবি আছে তোমার কাছে?"
"ছবি তো..." বলতে বলতেই ফোন বেজে উঠে তার। সভ্যের কল। সভ্যের কল দেখতেই ইনারা মুখ বানায়। বিড়বিড় করে বলে, "এই অসভ্যেরও শান্তি নেই। জোহানের সাথে একটু সময় কাটাচ্ছি তা ভাল্লাগে না তার।" 

ইনারা কল ধরে বিরক্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করে, "কী চাই?"
"কোথায় তুমি?"
"ক্যান্টিনে।"
"ক্যান্টিনে কি ফ্রী'র ইঁদুর নাচের প্রদর্শন চলে?"
"ব্যাঙের প্রোগ্রাম হবে। আপনাকে না'কি প্রধান অতিথি হিসেবে ডাকবে।"
"তাই না? ঘড়ির কাঁটায় পাঁচ মিনিটে উপরে আসো। নাহলে কি হতে পারে এতদিনে তোমার ধারণা হবার কথা।"
"আপনি এত অসভ্য কেন?"
তার কথা শোনার আগেই সভ্য কল কেটে দিল। ইনারা বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায়। বলে, "মিঃ অসভ্যের আমাকে না জ্বালিয়ে খাবার হজম হচ্ছে না। আমি আসি।"
বলেই এক প্রকার দৌড় দিলো সে। 

জোহান বিরক্ত হয়ে বলে, "এই মেয়েকে কি তার মা বাবা আদব কায়দা শিখায় নি। এভাবে কোনো মেয়ে চলাফেরা করে?"
সামি বলে, "ওর জীবন। তোর কী?"
"আমার তো দেখতে হচ্ছে। এর উপর সারাদিন পিছু পিছু ঘুরে। মাথা ধরিয়ে দেয়। বিরক্তিকর লাগে মেয়েটাকে। তার খাওয়া-দাওয়া, আচরণ, পোশাক সব কিছুতে বিরক্তিকর লাগে।"
"আমার পার্টনার লাগে। ওকে নিয়ে এভাবে বলবি না। ওর মনটা অনেক ভালো। তোকে অনেক পছন্দও করে। সারাদিন ওর মুখে কেবল তোর নামই শোনা যায়। তাও তুই ওর ব্যাপারে দুর্নাম করছিস।"
"এখন আমি তো পছন্দ করার মতো মানুষ। পছন্দ করবেই। কতজনই তো পছন্দ করে। কিন্তু ওকে দেখেছিস? মেয়েদের প্রথম নজর দেখেই আকর্ষণীয় লাগা উচিত। প্রথম নজরে চোখে না ভালো লাগলে মন দিয়ে কী করব? আর ওর উপর আকর্ষণবোধ করার কোনো কারণ পাই না।"
.
.
দুপুরের খাবার শেষে সামি এবং জোহান রিহার্সাল রুমে ফিরে আসে। এসে দেখে সভ্য, ইরফান এবং ঐশি কি যেন গানের চর্চা করছে। অন্যদিকে ইনারা সোফায় পা তুলে ডায়েরিতে কি যেন লিখছে। সামি যেয়েই ইনারার পাশে বসে গল্প করতে শুরু করে। জোহান আরও বিরক্ত হয়। তার দলের কারও সাথেই তেমন কথা হয় না, সামি ছাড়া। এখন ইনারাকে পেয়ে সামির কাছেও তার জন্য সময় হয় না। 

ফোন বেজে উঠে জোহানের। তার মা'য়ের কল। 
"হ্যালো মা, বলো।"
জোহানের মুখের থেকে মা শব্দটা শুনতেই ইনারা হাসিমুখে তাকায় তার দিকে। তার সৌমিতা আন্টি কল দিয়েছে? ইনারার তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা জাগল। সে উৎসুক হয়ে কিছু বলতে নেবে তখনই জোহানের অন্য একরকম রূপ দেখতে পায় সে। জোহান সৌমিতা আন্টির সাথে ধমক দিয়ে কথা বলে, "তোমাকে বলেছি আমাকে এই ছোট ছোট কাজের জন্য কল দিবে না। আমার কাছে এত অবসর নেই। তোমার সময় না কাটলে তুমি শপিং এ যাও, নাহয় বান্ধবীর বাসায় যাও। আমাকে কল দিও না তো। আমার যখন ইচ্ছা হবে আমি বাসায় আসব। তোমার বলতে হবে না।"
জোহান ফোনটা রেখে দেয়। 

ইনারা চোখ ঘুরিয়ে সকলের দিকে তাকায়। সকলে এমন ব্যবহার করছে যেন এটা খুবই স্বাভাবিক। এমনকি ঐশি আপুও কিছু বলছে না। ইনারার রাগ হলো। সে সামিকে জিজ্ঞেস করল, "উনি আন্টির সাথে এত বাজে বিহেভ করছে তাহলে কেউ কিছু বলছে না কেন? "
"জোহানকে দেখতে অনেক শান্ত, চুপচাপ মনে হয়। কিন্তু তার রাগ অনেক খারাপ। কেবল সভ্যই তাকে কিছু বলার সাহস রাখতো। কিন্তু তাদের ঝগড়া হবার পর কেউ কিছু বলতে পারে না। তুমিও কিছু বলো না। একতো তোমার সমস্যা করতে পারে। আবার তোমাকে চরম অপছন্দ করতে শুরু করবে।" 

ইনারার জন্য জোহান গুরুত্বপূর্ণ, তা ঠিক। কিন্তু এর কারণে সে এভাবে সৌমতা আন্টির অপমান হতে দেখতে পারে না। সে সোফার উপর দাঁড়িয়ে রাগান্বিত স্বরে বলে উঠে, "কেউ নিজের মা'য়ের সাথে এভাবে কথা বলে?"
জোহানের সাথে সাথে সকলে চমকে উঠে। সকলের দৃষ্টি যেয়ে আটকায় ইনারার উপর। 

জোহান হতভম্ব হয়ে যায়, "তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছ?"
"নাহয় কী আপনার পাশে মিস্টার ইন্ডিয়া আছে যাকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না কিন্তু আমি তার সাথে কথা বলতেছি। অবশ্যই আপনাকে বলতেছি। আপনার সাহস কিভাবে হয় আপনার মা'য়ের সাথে এভাবে কথা বলার?"
"তোমার সাহস কি করে আমার সাথে এভাবে কথা বলার?"
ইনারা দুই কোমরে হাত রেখে বলে, "আমার সাহস অনেক আছে। নমুনা দেখবেন? দেখালে কিন্তু এখানে কারও সামনে আপনার দুই পয়সার ইজ্জত থাকবে না।" 

এই কথায় জোহান প্রভাবিত হয়। সে একটু দেবে যায়। সে আমতা আমতা করে বলে, "তুমি এত বেয়াদবির সাথে আমার সাথে কথা বলতে পারো না।"
"আমি সব পারি। নমুনা দেখবেন?" 

ইনারা আবার বলে, "এখনই সৌমিতা আন্টিকে কল দিয়ে সরি বলেন।"
কপাল কুঁচকে নেয় জোহান, "তুমি আমাকে অর্ডার দিচ্ছ?"
"এরপর অর্ডার না। সোজা কান্ড করে দেখাবো। এরপর আমাকে বলতে পারবেন না যে আমি ওয়ার্নিং দেই নি।" 

জোহান একটু ভয় পেল। সবার দিকে একনজর বুলালো। আসলেই যদি মেয়েটা কোনো পাগলামি করে বসে তাহলে সবার সামনে তার ইজ্জত যাবে। তাই সে সত্যি সত্যি ফোন বের করে তার মা'কে কল দিলো। নম্রসুওরে বলল,
"হ্যালো মা। কল দিয়েছিলাম যে, তোমার সাথে সেভাবে কথা বলাটা উচিত হয় নি। সরি। আমি আজ রাত দশটার মধ্যে আসবো। আচ্ছা রাখি।" 

জোহানের মুখ থেকে এ কথা শোনার পর ইনারার প্রতিক্রিয়াই পরিবর্তন হয়ে যায়। সে একগাল হেসে জোহানের চুলে হাত বুলিয়ে বলে, "এইত্তো গুড বয়। এভাবেই আপনার আম্মুর সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। ওকে?"
জোহান বিরক্ত হয়ে তাকায় ইনারার দিকে। রাগান্বিত দৃষ্টি!
সে এক ঝটকায় ইনারার হাত সরিয়ে দিয়ে দ্রুত কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল। সে পরে যায় দ্বিধায়। অবুঝের মতো বলে উঠে, "উনার আবার কী হলো?"
সামি আর ঐশি তালি দিয়ে উঠে। ঐশি বলে, "এমন ভাবে না মা'ও কখনো বকার সাহস করে নি ভাইকে। ইনারা তুমি গ্রেট।" 

সামিও তাল মেলায়, "একদম। জোহান কারও কথা শুনে, তাও এক মেয়ের আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। ইনারা তুমি তো কামাল ধামাল করে দিসো।"
কথাগুলো শুনে ইনারা একগাল হাসে। নিজের প্রশংসা শোনাটা তার খুব পছন্দের। সে ভাব নিয়ে বলল, "ইনারা মানেই তো কামাল।" 

সভ্য তার কাজ করছিলো। এসবে তার ধ্যান নেই। সে তার কাজ করতে করতেই বলে, "মিস কামাল জোহান সবে গেছে আপনাকে কোম্পানি থেকে বের করার ব্যবস্থা করতে। এখন আপনি কী ধামাল করে চাকরিটা বাঁচান তা দেখার বিষয়।" 
.
.
.
চলবে..................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন