প্রেয়সীর হৃদয় ব্যাকুল - পর্ব ২৬ - নাবিলা ইষ্ক - ধারাবাহিক গল্প


রাতের আঁধার কেটে ভোরের মিষ্টি স্নিগ্ধ আলো ফুটেছে। পাখিদের কিচিরমিচির শোনা যাচ্ছে। জানালার পর্দা ভেদ করে আসছে মৃদু বাতাস। দেয়াল ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে পাঁচটা পঞ্চান্ন'তে। মিনিট পাঁচেকের মাঝেই, পাশের এলার্ম-ক্লক বেজে উঠল। ছ'টায় স্যাট করা ছিল হয়তো। বা'হাতে ঘড়িটা বন্ধ করে দিল অরু। তার চোখ ফুলে কলাগাছ। সারারাত ঘুমাতে পারেনি। তন্ময় নেশায় বুদ হয়ে যেসব কান্ডকারখানা করেছে, সেগুলো হজম করতে রাত পেরিয়ে গেল। এখনো দাউদাউ করে জ্বলছে ভেতরটা। হৃদয় এখনো দুরুদুরু কাঁপছে। ফাঁকাফাঁকা লাগছে মস্তিষ্কের মধ্যে। ঠিক কি ভাববে বা করবে বুঝতে পারছেনা। 

রুবি ঘুমের নামে বেহুশ হয়ে গিয়েছে। হুটহাট পা তুলে দিচ্ছে অরুর শরীরে উপর, নাহলে সে নিজেই উঠে আসছে। তাদের পরিবারের প্রত্যেকজনই বলে অরু আর রুবির ঘুমের ধরণ এক! বিশ্রী ধরণ। হুশ জ্ঞান থাকেনা ঘুমিয়ে পড়লে। বিছানার একপ্রান্তে ঘুমালে, উঠে অন্যপ্রান্ত থেকে। ঘুম খারাপ তাদের দু'জনের। এবং তা আজ হাড়েহাড়ে উপলব্ধি করছে অরু।

উঠে বসলো। রুবিকে সরিয়ে হেলেদুলে উঠে দাঁড়ালো। এক্ষুনি রুমে যেতে হবে। তন্ময়কে তুলে তার রুমে পাঠাতে হবে। যদি বাড়ির কেউ দেখে ফেলে কেমন হবে? ভিষণ খারাপ দেখাবে! বেরিয়ে পড়লো নিজের রুমের উদ্দেশ্যে। মাঝপথে জবেদা বেগমকে পেয়ে বসেছে। সে এসেছে পশ্চিম দিক থেকে। সেদিকে তো অরুর রুম। তারমানে? অরু মুখটা কাঁচুমাচু করে ফেলেছে। জবেদা বেগমের চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি ধীর স্বরে শুধালেন, 
'তন্ময় মদ খেয়ে বাড়ি ফিরেছে?'

অরু মাথা নাড়াল। পরপর মাথা দোলাল। চিন্তাভাবনা করে একটি বানোয়াট মিথ্যে বললো, 'আমি জানি না। রাতে আমাকে এসে বললেন তার রুমে অনেক ইদুর। ঘুমাতে অসুবিধা হচ্ছে। আমাকে অন্য রুমে ঘুমাতে যেতে। তো আমি রুবি আপুর রুমে চলে গিয়েছিলাম।'

জবেদা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তার চিন্তিত মুখশ্রী দেখে অরু প্রশ্ন করলো,'কী হয়েছে বড়ো মা?'
'তোর চাচ্চুর কাছে বিচার এসেছে। এভাবে মদ খেয়ে রাতবিরেত হট্টগোল করে এসেছে, বিচার তো আসবেই। তবে এমনটা তো এই প্রথম! ছেলেটা আমার এসব আগে কখনো করেনি! তোর চাচ্চু ভীষণ রেগে।'

অরু মাথা নত করে রাখল। জবেদা বেগম যাবার পূর্বে বলে গেলেন, 'লেবু দিয়ে শরবত করে আনি। তুই তন্ময়কে একটু তুলে দে।'
'আচ্ছা।'

অরু রুমের রুমের দিক অগ্রসর হলো। দরজা ভিড়িয়ে রাখা। প্রথমে মাথা ঢুকালো। তন্ময় ঘুমিয়ে। আলগোছে দরজা সম্পুর্ন খুলে ঢুকলো। তার পরিপাটি রুমের যা'তা অবস্থা। মেঝেতে পড়ে থাকা তন্ময়ের শার্ট তুলে নিলো। তারপর বিছানায় নজর দিলো। পরপর নজর ঘোরালো। উদোম শরীরে শুয়ে। এই লোক শার্ট খুলেছে কেন? ভাগ্যিস প্যান্ট খোলেনি। দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বিছানার সামনে দাঁড়ালো। না চাইতেও চোখজোড়া চলে যাচ্ছে তন্ময়ের উদোম দেহ খানার দিক। উঠানামা করা প্রশস্ত বুক, পেশিবহুল হাত, স্লিম পেট ডুবে আছ।৷ আকর্ষণীয় ফিগার! অরু অবশ্য আগেও দেখেছে উদোম শরীরের তন্ময়কে। তবে এই প্রথম কাছ থেকে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারছে। গম্ভীর মুখশ্রী এখন মায়ার রাজ্যে পরিনত হয়েছে। ভুরু দু'য়ের মাঝে সূক্ষ্ম ভাজ পড়েছে। যেন ঘুমের ঘোরে ভালো কিছু দেখছে না। নাকের ডগা এখনো লাল। গতরাতে যাবার পূর্বে অরু কামড়ে দিয়েছিল। ঠোঁটের দিক নজর যেতেই ঘুরে গেল। গলাটা শুকিয়ে কাঠকাঠ। দৃশ্যটি চোখে ভাসতেই বুক দুরুদুরু কাঁপতে লাগলো। তন্ময়কে উঠানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। আপাতত চোখেচোখ রেখে সামনে দাঁড়ানোর মতো হিম্মত নেই। সামনে একদম যেতে পারবে না! অরু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে শাবিহার রুমের দিক ছুটলো। 

শাবিহা ঘুম থেকে উঠেছে। গোসল নিয়ে মাত্রই বেরিয়েছে। অরুকে দেখে প্রশ্ন করলো, 'কি হয়েছে?'
'কিছুনা। ওয়াশরুম যাই?'
'যা।'

যেতে নিয়ে অরু ফিরে দাঁড়ালো। সংকোচবোধ করছে। সেটা লক্ষ্য করে শাবিহা বলল,'কি বলবি বল?'
'উম..মাতাল কেউ যদি কিছু বলে সেটা কি সত্যি মেনে নেওয়া যায়? মানে সেটায় কতটুকু সত্যতা থাকতে পারে?'
'সাধারণত ওদের প্রত্যেকটা শব্দই সত্য হয় তখন। মাতাল হয়ে তারা শুধু মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা কথাগুলো বলে, যা সে কখনো বলতে চায়না। ধ্যান জ্ঞান থাকেনা তো, যা মনে আসে বলে দেয়৷ বলা যেতে পারে, মানুষ মাতাল হলে একটি সাদা কাগজের ন্যায়ে রূপান্তরিত হয়ে যায়। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। অনেকে মাতাল হলে নিশ্চুপ প্রকৃতির হয়। কেউবা আবার উদোম পাগল হয়ে পড়ে। যে যেমনটা বাস্তবে হতে পারেনা, মাতাল হলে তারা সেটাই হয়। বোঝা গেল?'
'হু।'

অরু ওয়াশরুম ঢুকে গেল। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বিছানার কোণে বসে রইলো। দীপ্ত ছুটে এসেছে। চোখমুখে অবিশ্বাসের ছাপ। দ্রুততম গতিতে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে নিয়ে বললো,'তোমরা কিছু জানো?'
'কি হয়েছে?'
'কি হয়নি বলো।'
'সেটাই বল যেটা হয়নি।'
'শাবিহা আপু মজা না কিন্তু। ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় বলতে যাচ্ছি।'
'শুনছি আমার বাপ বল।'
'তন্ময় ভাইয়া কাল মদ খেয়ে বাড়ি এসেছিল।'

শাবিহার হাতের চিরুনি পড়ে গেল। হতভম্ব হয় গেল কিছুক্ষণের জন্য। নিজেকে সামলে চিরুনি তুলে আঁড়চোখে অরুর দিক তাকাল। অরু চুপচাপ বসে জানালার বাইরে তাকিয়ে। দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে মাথা নাড়াল শাবিহা। কি যে শুরু করেছে এই দুইজন আল্লাহ জানেন! যেসব কখনো হয়নি এখন সেগুলো হচ্ছে। শাবিহা কি এ'বিষয়ে অরুর সঙ্গে কথা বলবে? ভালো দেখাবে? নাকি দুজনের মধ্যে না ঢোকা শ্রেয় হবে? পুনরায় চুল আঁচড়াতে মনোযোগী হলো। দীপ্ত হতভম্ব হয়ে গেল। এতবড় একটা সংবাদ জানাল, তাতে কারোই কোনো মাথা ব্যথা নেই? আশ্চর্য! দীপ্ত সন্দেহ সুরে বলল, 'তোমরা কি ইতোমধ্যে জেনে গেছ?'

শাবিহা ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে বললো, 'জেনে গেছি। তুই যা ভাগ। ডিস্টার্ব করিস না।'
'অ্যাহ! ডিস্টার্ব করিস না। আমার হাতে ওতোপ্রোতো সময় নেই।'

দীপ্ত যেভাবে এসেছে সেভাবে চলে গেল। এবার শাবিহা অরুর দিক ঘুরলো। ভালোভাবে মেয়েটিকে পর্যবেক্ষণ করে বলল,'ঠিক আছিস?'
'ছিলাম না। তবে এখন দিব্বি আছি।'

বলেই অরু উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়ালো। জানালার সামনে পৌঁছে দূর প্রান্তে, আকাশ পানে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো গাছটির দিক নজর দিল। গাছের উপর দুটো পাখি। কপোত-কপোতী হয়তো? এক পাখি আরেক পাখির পিছু ঘুরছে। অরুর মন বললো, পিছু ঘুরতে থাকা পাখিটি সে আর সামনে অগ্রসর হতে থাকা পাখিটি তন্ময়। ঠিক এমনটাই হয়ে এসেছিলো এতদিন। সে তন্ময়ের পিছু ঘুরত, তন্ময় তাকে এভোয়েড করতো।তবে এখন আর এমনটা হবেনা! এখন অরু তন্ময়কে জেনেছে। বুঝেছে কিছুটা! এখনো তন্ময়ের ধীর স্বরে বলা কথাগুলো কানে বাজে!

অরুর এই বোকার মতো হাসার কারণ জানা নেই শাবিহার। তবে সে নিজেও মুচকি হাসলো। প্রাণবন্ত অরু তার পছন্দের। এভাবেই থাকুক মেয়েটা। দেখলেও পরাণ জুড়িয়ে যায়। মন ভালো থাকে। 
________
ব্রেকফাস্ট টেবিলে সর্বপ্রথম আজ ফুরফুরে মেজাজে অরু বসেছে। দিব্বি নিজের পছন্দের ব্রেড নিয়ে তাতে ধীরেসুস্থে চকলেট ক্রিম মাখছে। সময় নিয়ে সকলেই এসে নিজেদের সিটে বসেছে। তন্ময়কে দেখা গেল সবার শেষে। কপাল চেপে এসেছে ডাইনিংয়ে। ছেলেকে দেখে মোস্তফা সাহেব শব্দ করে কাঁটা চামচ ফেললেন প্লেটে। যেন তন্ময়ের মনোযোগ তার দিক চাচ্ছেন। তবে সেটা পেলেন না।ওহী সাহেব বললেন, 'ভাই থাক বাদ দিন না। খেতে বসে..'
'আস্কারা দিস না। আজ প্রথম করেছে, লাই পেয়ে মাথায় চড়ে আরও করবে।'
তন্ময় যেন শুনেও শুনল না। চুপচাপ বসে পড়লো খেতে। জবেদা বেগম দু'একবার ছেলের কপালে হাত ছুয়ে গেলেন। 

অরুকে আগের মতো চঞ্চল স্বভাবে দেখে বাড়ির সবাই বিমোহিত। খুশিতে আটখানা হয়ে পড়েছেন।
মোস্তফা সাহেব বেরোনোর পূর্বে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে গেছেন। ওহী সাহেব পাঁচশো টাকা হাতে দিয়ে বলেছেন, ঘুরে আসতে। আনোয়ার সাহেব মেয়েকে জিজ্ঞেস করে গিয়েছেন, ফিরবার সময় কি আনবে। অরু হালিম, ফুচকা, চটপটি, স্যুপ আনতে বলেছে। 

ড্রয়িংরুমে যখন অরু সোফায় বসেছিলো, তার দু'পাশে ছিলো দীপ্ত এবং রুবি। ওপরপানে কলি বসে। তন্ময় অফিস ব্যাগ নিয়ে এসেছে। তাদের সামনে দিয়ে যখন যেতে নিবে, অরু উচ্চস্বরে বললো, 'হানিফ ভাইয়া দেখতে ভালোই তাই না? স্মার্ট আছে হালকাপাতলা।'

তন্ময়কে থেমে যেতে দেখা গেল। গম্ভীর মুখশ্রী আরও গম্ভীর হয়ে উঠলো। ফিরে কিছু একটা বলতে নিয়েও বলল না। অরুকে চোখ রাঙিয়ে বেরিয়ে গেল। সে যেতেই অরু হো হো করে হাসছে। রুবি চোখমুখ কুঁচকে বলল, 'ওই ছেলেটাকে ভালো দেখায়? তোর চোখে ছানা পড়েছে। আবার স্মার্ট? ছিঃ!'
'আসলেই ছিঃ!'
বলেই অরু গুনগুন শব্দ করে চলে গেল। 

শুক্রবার দিন কলি চলে যাবে। আজ বুধবার। জয়া বেগম এখন থেকেই কেনাকাটা করছেন কলির সঙ্গে পাঠানোর জন্য। বাড়ির বাচ্চাদের জন্য, মা-বাবার জন্য সামান্য কেনাকাটা পাঠাবেন এই'যা। এখন কলিকে দিয়ে আসবে কে, এটা নিয়ে বড়ো সমস্যা। চিন্তিত তাকে কলি নরম সুরে বলল, 'তন্ময় ভাইয়ের সময় নেই?'

জয়া বেগম মৃদু হাসলেন। বললেন, 'না। ও বিজনেস ট্যুরে যাবে। চিন্তা করিস না, ড্রাইভার আছে। নয়তো আকাশ ফ্রি থাকলে সেও যেতে পারে। দেখা যাক!'

কলি বিরক্ত হলো। তন্ময় একদিন সময় করে যেতে পারবেনা? হবু বউ সে তার। আজ বাদে কয়েকদিন পর দুজন এক হবে।এতটুকু করার জন্য এগিয়ে আসার কথা নিজ থেকেই। উল্টো তার বলতে হচ্ছে। বলেও তো কোনো লাভ দেখছে না। কলি বাড়িতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা বলবে! তার এই অরুকে একদম ভালো লাগেনা। নির্লজ্জের মতো কেমন না কেমন করে!
________
শাবিহার সঙ্গে হঠাৎ পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। হঠাৎ সাক্ষাৎকারে খুশিতে আটখানা তারা৷ সামনের কফি শপে একসঙ্গে ঢুকলো। আশ্চর্যজনক ভাবে অয়ন ভার্সিটি ড্রেসে, বন্ধুদের সঙ্গে সেখানটায় আড্ডা দিচ্ছে। পৃথিবী এতটাই ছোট কী? শাবিহার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো। অয়ন তাকে এখনো খেয়াল করেনি। মাথা নিচু করে বন্ধুদের বলল,'চল অন্যটি'তে যাই।'

বন্ধু সাইফুল হেসে বললো,'দোস্ত এই কফি শপের কফি মারাত্মক। খেয়ে দেখ।'

শব্দ শুনে অয়ন এবার মাথা তুলে তাকাল। শাবিহা ও তাকিয়েছে।দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল। অয়ন চমকে দাঁড়াতে নিয়ে ও বসে পড়ল। শাবিহা নিশ্চয়ই চাইবে না, সে যাক তার বন্ধুদের সামনে। 

পাশের সিট গুলোতে জড়সড় হয়ে বসেছে শাবিহার বন্ধুবান্ধব। শাবিহাও বসলো। এখান থেকে অয়নকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সে ধীরে কথা বললেও ছেলেটা শুনতে পাবে৷ অদ্ভুত! সাইফুল মেনু দেখছে। সকলকে অর্ডার করতে বলে, শাবিহার দিক তাকাল। বলল, 'দোস্ত তোর ব্যাপারস্যাপার কি? কেউ আছে জীবনে? আমি কিন্তু ভাই সেই কলেজ লাইফ থেকে লাইন মেরে আছি তোর পেছনে।পাত্তাই দেস না৷ '

শাবিহার গলাটা শুকিয়ে গেল। হাসার চেষ্টা করে বললো,' এগুলো বাদ দে না।'
'সবসময় এই টপিক এভোয়েড করিস। হুয়াই? ডোন্ট ইউ ওয়ান্ট অ্যা লাইফ পার্টনার?'
বান্ধবী মল্লিকা বললো,'দেখ অলরেডি আছে, আমাদের বলছে না।'
সাইফুল বললো,'এই দোস্ত। আমাকে দেখোস না?
আমরাও ট্রায় করতে পারি। বেস্ট কাপল হলেও হতে পারি। এভবেও ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাই বলে উই লুক গুড টুগেদার। আমারও তাই মনে হয়। ভালো ম্যাচ হবে দুজনের, তাই না মল্লিকা?'
'শাবিহা ভেবে দেখ।'

অয়ন হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ালো। ব্যাগ কাঁধে চেপে বেরিয়ে গেল। পেছনে অয়নের বন্ধুবান্ধব ও ছুটেছে। শাবিহা হাত খানা শক্ত করে মুঠো করে রাখল। পেছনে দৌড় দিবে? অয়নকে কি একটু বোঝাবে? কি বা বলবে! ওদের রেখে যাওয়া তো সম্ভব নয়!সাথে অয়নের বন্ধুবান্ধব আছে। কি পরিচয়ে যাবে? নিশ্চয়ই অয়ন লজ্জায় পড়বে! 
.
.
.
চলবে..............................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন