মানুষজনের চলাফেরা বাড়ছে। গলি দিয়ে আরো গাড়ি আসছে। আমানের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য ছোটোখাটো জ্যাম বেঁধে গেছে। গাড়ির বিরক্তিকরি হর্ণের শব্দ কানে আসতেই নিহি ভাবনা থেকে ছিটকে পড়ে। বড় বড় ঢোক গিলে। আমান তাকে একপাশে দাঁড় করিয়ে বলে,
"এখানে দাঁড়াও একটু। আমি গাড়ি সাইড করে আসি।"
উত্তরের অপেক্ষা না করে সে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে। নিহি কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না। চিঠিটা হুট করে দেখানো কী ঠিক হবে? নাকি লুকিয়ে ফেলবে? পরে যদি জিজ্ঞেস করে চিঠিটা কোথায় তখন কী বলবে? নিহির মাথা কাজ করছে না। এরমাঝেই গাড়ি সাইড করে আমান ফিরে আসে। কিছু না বলেই নিহির ডান হাতটা টেনে নিজের হাতের ওপর রাখে। কনুয়ের দু'আঙুল নিচে চোখের ইশারায় তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
"কাটলো কীভাবে?"
সঙ্গে সঙ্গে হাতের চিঠিটা মুঠোবন্দি করে ফেলে নিহি। তার মানে আমান তখন চিঠি নয় বরং কাটা জায়গার দিকে তাকিয়েছিল! আল্লাহ্! এদিকে নিহি ভয়ে জড়োসড়ো। কখন যে কেটেছে ঘোরে সেটা খেয়ালও নেই। হুট করেই তখন মনে হলো, ছেলেটার পেছনে দৌঁড়াতে গিয়ে রাস্তার পাশে তারকাঁটার বেড়ার সাথে শাড়ির আঁচল আটকে গেছিল। আঁচল টেনে ছুটাতে গিয়ে তারকাঁটার বেড়ার সাথে ডান হাতে টান লেগে হাত কেটে যায়। উত্তেজনায় নিহি সেটা খেয়ালও করেনি।
নিহিকে চুপ থাকতে দেখে আমান আবারও জিজ্ঞেস করে,
"কী করে কাটলো? কথা বলছো না কেন?"
কথাগুলো যেন একটু ধমকের স্বরেই বলল আমান। নিহি হকচকিয়ে যায়। মিথ্যে বলার এত ভালো অভ্যাসও নেই তার। নিহির উত্তরের প্রতিক্ষা করছে না আর আমান। নিহির হাত ধরে নিয়ে গাড়িতে বসায়। তারপর ডাক্তারের দোকান থেকে স্যাভলন, তুলা আর ব্যান্ডেজ নিয়ে আসে। পাশের সিটে বসে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। আমানের চোখে-মুখে রাগ। এদিকে নিহি গল্প সাজিয়ে নিয়েছে মনে মনে।
"দৌঁড়াচ্ছিলে কেন?" আমানের প্রশ্ন করার সাথে সাথে মুখস্ত বিদ্যার মতো নিহি বলল,
"হাওয়াই মিঠাইওয়ালাকে ধরার জন্য।"
আমান অবাক হয়ে তাকায় নিহির দিকে। নিহি হাসার ব্যর্থ চেষ্টা করে। মনে মনে ভয়ও হচ্ছে। যদি বিশ্বাস না করে উল্টো সন্দেহ করে? আমানের প্রখর দৃষ্টির সামনে নিহির আত্মা উড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। মিথ্যা বলাটা উচিত হয়নি। আমার স্বামী সে। এবং প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশিই ভালো। তাকে আমার সবটা জানানো উচিত। হতে পারে আমায় সাহায্যও করতে পারবে। নিহি সত্যটা বলার জন্য উদ্যত হতেই আমান বলে,
"তোমাকে আমার অনেককিছু বলার আছে নিহু!"
নিহি থেমে যায়। সে আবার বলে,
"অনেক কথাই তোমার অজানা আছে। আমি তোমায় সব বলতে চাই। তবে এখন নয়। যখন তুমি আমার সারাজীবনের জন্য আমার সঙ্গে থাকতে আসবে তখন।"
আমানের কথায় কেমন যেন রহস্য রহস্য গন্ধ! এমন কী কথা যেটা নিহি জানে না? এখন বললেই বা সমস্যাটা কোথায়? নিহি জিজ্ঞেস করে,
"এখন বলবেন না কেন?"
"সবসময় সব কথা বলা যায় না। কিছু কথা বলার জন্য উপযুক্ত সময় ও সুযোগ লাগে।"
মনের মধ্যে আকুপাকু শুরু হয়েছে। কবে আসবে সেই সময় আর সুযোগ তা নিহির জানা নেই। তবে এতটুকু জানে, চিঠির বিষয়ে এখন আমানকে কিছুই বলবে না। এই রহস্য সে একাই বের করবে। এমনও তো হতে পারে এই চিঠির সাথে আমানই ইনভলভ্!
"আমি জানি, আমার নিহুর ধৈর্য সম্পর্কে। সে পারবে অপেক্ষা করতে। কী পারবে না?"
"পারব।" মৃদু হেসে উত্তর দিল নিহি।
আমান ড্রাইভ করতে শুরু করে। মিনিট দশেক পর বাজারে গিয়ে হাওয়াই মিঠাই নিয়ে আসে। নিহি মুখ ফসকে বলে ফেলে,
"আবার হাওয়াই মিঠাই আনলেন কেন?"
"এই হাওয়াই মিঠাইর জন্যই হাত কেটে এতকিছু! না খাইয়ে ছাড়ব?"
নিহি হেসে ফেলে। হুট করেই চোখে-মুখে কাঠিন্য এনে আমান বলে,
"কিন্তু এভাবে দৌঁড়ানো উচিত হয়নি তোমার। কতখানি হাত কেটে গেছে দেখেছ? নিজের প্রতি যত্নশীল হও।"
"পারব না হুহ!"
"কেন পারবে না?"
"আমি নিজের যত্ন নিলে আপনি কী করবেন?"
"তুমি তো এখন আমার কাছে থাকো না। যখন থেকে আমার কাছে থাকবে তখন থেকে তোমার যত্নের কথা ভাবতে হবে না। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত একা থাকছো প্লিজ নিজের যত্ন নিও। সতর্ক থেকো।"
"আচ্ছা,আচ্ছা ঠিকাছে! কিন্তু এই সময়ে আপনি কোথা থেকে আসলেন?"
"অফিস থেকে। কাজ শেষ তাই বাড়ি ফিরছিলাম।"
নিহি মনে মনে আফসোস করে বলে,
"ধ্যাত! আজ যদি এত তাড়াতাড়ি আপনার কাজ শেষ না হতো তাহলে ঠিকই ছেলেটাকে ধরতো পারতাম। পোড়া কপাল!"
নিহিকে বাড়ির সামনে পৌঁছে দিয়ে আমান নিজের বাড়িতে চলে গেছে। নিহি এতবার করে বলার পরও ভেতরে আসেনি। তার একটাই কারণ! যেদিন নিহিকে একেবারে নিতে আসবে সেদিনই নাকি বাড়ির ভেতর যাবে। কী রকম অদ্ভুত জেদ! নিহি ভেতরে যেতেই তমা এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে,
"এতক্ষণ কোথায় ছিলে তুমি? ওভাবে দৌঁড় দিলে কেন?"
উত্তর না দিয়ে নিহি পানি চাইল।
"এক গ্লাস পানি দেবে ভাবি?"
তমা দ্রুত গিয়ে পানি নিয়ে আসলো। নিহি ঢকঢক করে পানিটুকু শেষ করে সোফায় গা এলিয়ে দেয়। ভাবি গিয়ে বসল পাশে। নিহির চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল,
"ক্লান্ত?"
"হু। দৌঁড়িয়েছি তো!"
"জানতে পারলে কিছু?"
"না। একটুর জন্য হাত ফসকে গেছে।"
নিহির হাতের দিকে খেয়াল করতেই তমা চমকে যায়। অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করে,
"হাত কাটলো কীভাবে?"
"শসস! আস্তে বলো। আব্বু-আম্মু শুনলে খবর আছে।"
তমা আশেপাশে একবার তাকিয়ে দেখল কেউ আছে নাকি। নিহিও তাকিয়ে শুরু থেকে সবটা বলতে শুরু করে। সব শুনে তমারও আফসোস হচ্ছে। আজ ছেলেটাকে ধরতে পারলেই কেল্লাফতে হয়ে যেত! আফসোস করে তো আর লাভও নেই। নিহিকে তাড়া দিয়ে বলল,
"যাও ফ্রেশ হয়ে নাও তুমি।"
নিহিও ঘরে চলে গেল। এই অবস্থায় অন্য কেউ দেখলে প্রশ্ন করতে করতে মেরে ফেলবে। ফুল হাতার একটা কামিজ আর প্লাজু নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় গোসল করতে। শাড়ি খুলতে গিয়ে কোমরে খেয়াল হয়। চিঠিটা লুকিয়ে কোমরে যে গুঁজে রেখেছিল সেটা মনেই নেই। চিঠিটা হাতে নিয়ে ভাঁজ খুলে পড়তে শুরু করল,
'এলোকেশী,
চন্দ্রাবতী! চন্দ্রের নয়, আমার চন্দ্রাবতী। চন্দ্রের দীপ্তিকিরণ তোমায় ছুঁয়ে দিলে আমার রাগ হয়। ভীষণ রাগ হয়। তোমায় ছোঁয়ার বাসনা, ইচ্ছে শুধু তো আমার! তুমি বুঝবে আমার ভালোবাসা? নাকি বোঝো? আমায় কি কখনো খোঁজো? দেখেও কি দেখোনি আমায়? আমি তোমায় দেখি! মনের তৃপ্তি মেটাই তোমার হাস্যজ্জ্বল মায়াময়ী মুখখানা দেখে।'
নিহি স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল চিঠি হাতে। এত ঘোর, এত মায়া এই চিঠিতে। চিঠির লেখাতে! পড়লে মুগ্ধ হতে হয়। কে সে? ভাবনা-চিন্তা করতে ভালো লাগছে না তার। তাই চিঠিটা আবার ভাঁজ করে থ্রি-পিছের ওড়নার সঙ্গে গিঁট দিয়ে রাখে। শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে মাথায় পানি দেয়। মাথা ঠান্ডা করা দরকার আগে।
গোসল করে বেরিয়ে এসে দেখে তিতির আর তরু শুয়ে শুয়ে কার্টুন দেখছে। তরুর মুখের ভাব দেখে মনে হচ্ছে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে তিতির ওকে কার্টুন দেখাচ্ছে। নিহি হেসে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বারান্দায় চলে যায়। দুপুরে সূর্যের দীপ্তিময় আলো বারান্দায় জেঁকে সাজিয়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রুমে চলে আসে। তরু অসহায় ভঙ্গিতে বলে,
"ওর সঙ্গে একটু কার্টুন দেখ না রে নিহি! শিশির ফোন দিতে দিতে পাগল বানিয়ে ফেলতেছে।"
"কপাল করে পেয়েছিস একটা বয়ফ্রেন্ড। এত চোখে হারায়?"
"হুহ! তোর জাম.."
পুরো কথা বলার আগে নিহি তরুর মুখ চেপে ধরে বলে, 'চুপ। তিতির আছে।'
এরপর তিতিরকে কোলে নিয়ে বলে,
"আসো আম্মু আমরা কার্টুন দেখি।"
তরু ফোন নিয়ে বারান্দায় চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘরে আসে সালেহা বেগম। এসেই জিজ্ঞেস করেন,
"সকাল থেকে তোর কোনো খোঁজখবর নেই দেখি! সিলেট গিয়ে আমাদের একদম ভুলেই গেছিস? নিজের বাড়ি এসেও মনে হয় আমরা নেই তাই না!"
নিহি তাকালো না। মটু-পাতলু দেখতে দেখতে বলল,
"এমন কিছুই না মা।"
"বুঝি তো কেমনকিছু! একবার মায়ের মুখের দিকেও তাকাতে ইচ্ছে করে না এখন।"
মায়ের কণ্ঠে অভিমান স্পষ্ট। নিহি মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। তিতিরকে শোয়ায় নিজের হাতের ওপর। মায়ের এক হাত নিজের গায়ের ওপর রেখে বলে,
"তুমি এখনো আগের মতোই আছো!"
তিনি পরম আদরে নিহির গায়ে, মুখে, চুলে হাত বুলিয়ে দেন। আবেগমিশ্রিতস্বরে বলেন,
"তোরে ছাড়া ভালো লাগে না রে মা। বাড়িটা আমার ফাঁকা হয়ে থাকে। কবে যে তোর পড়া শেষ হবে! আমার তো সময়ই কাটে না।"
নিহির বুকটা ধক করে ওঠে। মায়ের কোমর জড়িয়ে ধরে বলে,
"আমি নিজেও ভালো নেই মা। ওখানে মামা-মামি,লিমন ভাইয়া,তরু সবাই আমায় খুব আদর করে। ভালোবাসে। তবুও নিজ পরিবারকে তো আর ভুলে থাকা যায় না। আমি নিজেও সময় গুনি কবে পরীক্ষা দেবো আর কবে আসব!"
"এইতো আর একটা বছর মা! এখন চল খাবি। তরু কোথায়?"
"বারান্দায় আছে। আব্বু বাসায় না?"
"আসছে একটু আগে। গোসল করে। তরুকে নিয়ে তাড়াতাড়ি আয়।"
"তুমি খাবার রেডি করো। আমরা আসছি।"
"আচ্ছা।"
তিনি তিতিরের চুলে হাত বু্লিয়ে বলেন,
"দাদুভাই! খেতে হবে না? চলো।"
তিতির আর কার্টুন দেখল না। সালেহা বেগমের কোলে চড়ে ডাইনিং রুমে চলে গেল। নিহি গেল বারান্দায়। তরু শিশিরের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলছে। নিহি বারান্দার গ্রিল ধরে পেছনদিকে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে বলে,
"এই গরু খেতে চল।"
তরু চোখ পাকিয়ে তাকায়। জিজ্ঞেস করে,
"কী বললি?"
"বললাম তরু খেতে চল।" হাসি চাপিয়ে বলে নিহি।
তার চাপা হাসি তরুর দৃষ্টি এড়িয়ে যায় না। ফোন কেটে কোমরে হাত রেখে বলে,
"মিথ্যা বলবি না। তুই আমায় গরু বলছিস।"
"গরু বললাম নাকি? তাহলে হয়তো মিস্টেক করে বলে ফেলছি। মানে 'ত' এর জায়গায় 'গ' বলে ফেলছি।"
"তুই ইচ্ছে করেই বলছিস।"
"বললে বলেছি। তাতে কী? তুই তো গরুর চেয়ে কম না। সারাক্ষণ ফোনটা কানে নিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে হাম্বা হাম্বা করতেই থাকিস।"
"তবে রে...."
নিহি দৌঁড়ে পালায়। পেছন পেছন আসে তরুও। ডাইনিং রুমে গিয়ে নিহি নিজাম ইসলামের পিছনে লুকায়। এই দুটোকে থামাতে থামাতে তার নিজের অবস্থাই দফারফা। এই দৃশ্য নয়নভরে দেখেন সাহেলা বেগম। চঞ্চল মেয়েটার দুষ্টুমিতে বাড়িটা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
_________________
সকাল তখন দশটা। নীলম বাদে বাড়ির সবাই তৈরি হয়ে নিয়েছে। আজ মিহির বাসায় সবার দাওয়াত। উপলক্ষটা অবশ্য নিহি। এতদিন পর বোন বাড়িতে এসেছে। একটু আদরযত্ন করার জন্য মন ছুটে গেছে। নীলমের অফিস আছে তাই ওদের সাথে যেতে পারবে না। সকাল সকাল অফিসে চলে গেছে। তবে লাঞ্চ টাইমে বাসায় পৌঁছে যাবে বলে মিহিকে কথা দিয়েছে। নিহি তো খুশিতে বাকবাকুম! মিহির বাসায় যাওয়া মানেই আমানের সঙ্গে দেখা করার সূবর্ণ সুযোগ। সৈকত ফোন করে জানিয়েছে, আমানকেও দাওয়াত করা হয়েছে। তখনও দেখা হবে। পরেও লুকিয়ে দেখা হবে। আহা! ভাবতেই আনন্দে পেটের মধ্যে দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। নিহি আজ কালো একটা থ্রি পিছ পরেছে। সঙ্গে হিজাব। চোখে গাঢ় কালো কাজল। হাতে আমানের কিনে দেওয়া কালো চুড়ি। তরু মেকি কাঁশি দিয়ে বলে,
"এহেম! এহেম! এত সাজগোজ কার জন্য?"
চুড়িগুলোর ওপর হাত বুলিয়ে দিতে দিতে নিহি হেসে বলে,
"তোর জামাইর জন্য।"
"ফাজিল!"
দুজনে একসঙ্গে হেসে ফেলে। তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে বের হয়। বাড়ি থেকে রিক্সায় করে বাস-স্ট্যান্ডে যায় আগে। সেখান থেকে বাসে ওঠে। তরু আর নিহি বসেছে পাশাপাশি সিটে। দুজনে গল্প করছে। গল্পের টপিক দুজনেরই প্রিয় মানুষ। কথা বলতে বলতে জানালার দিকে তাকাতেই নিহি থমকে যায়। একটু নড়েচড়ে জানালার আরো ধারে ঘেঁষে বসে বাইরে তাকায়। অনলকে দেখতে পায়। বাইকে করে যাচ্ছে। আর পেছন সেই পিচ্চি ছেলেটা যে চিঠি নিয়ে আসে। এই পিচ্চির সঙ্গে অনলের সম্পর্ক কী? তবে কি চিঠিগুলো অনল দেয়?
.
.
.
চলবে......................................