অনুভবে - পর্ব ২০ - নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা - ধারাবাহিক গল্প


ইনারা সভ্যের বুকে হাত রেখে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে নিলেই সভ্য তার কোমরে হাত রেখে টান দেয়। চমকে উঠে ইনারা। শিউরে ওঠে সে। এক মুহূর্তের জন্য যেন নিশ্বাস ফেলতে ভুলে যায়। 

সভ্য বিরক্ত হয়ে বলে, "উফফ তোমার মত জেদি মেয়ে আমি জীবনে দেখিনি। এত জেদ কেন তোমার? কিছু সময়ের জন্য চুপ থাকতে পারো না?" 

ইনারার গাল দুটো ভারী হয়ে আসে। লজ্জায় মাখা মাখা হয়ে যায় সে। স্থির হয়ে বসে থাকে সে। চোখ নামিয়ে নেয়। জড়োসড়ো হয়ে বলে, "ঠিকাছে, আমি নড়বো না। এইবার ছাড়ুন।" 

সভ্য ইনারাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার বিশ্বাস হয় না যে ইনারা তার কথা মানবে। অদ্ভুতভাবে ইনারা মেনে যায়। চুপচাপ বসে থাকে। কীভাবে হলো এই চমৎকার? যে মেয়েটা এতক্ষণ ধরে যুদ্ধ করছিলো সে এখন জলের মতো শান্ত? ব্যাপারটা সভ্যের মাথায় ঢুকে না, এ মেয়ে এত শান্ত! ব্যাপারটা মানতে কষ্ট হচ্ছিল তার। 

সারারাস্তা ইনারা টু শব্দও করে নি। চুপচাপ বসে ছিলো। এ মেয়ে কখনো এমন শান্ত থাকতে পারে তা মোটেও জানা ছিলো না। প্রায় এক ঘন্টা ট্রাভেল করে তারা পৌঁছায় শুটিং লোকেশনে। প্রথমে হবে গ্রুপ ফটো। সকলে প্রায় তৈরি কেবল সভ্যে এবং জোহানের খবর নেই। সাইদ ইভেন্ট ইসপোন্সারের সাথে কথা বলছিলো। তাদের দেরি হওয়ায় সে বলে, "ইনু যেয়ে জোহান এবং সভ্যকে ডেকে আনো তো।" 

ইনারা সামি এবং ঐশির সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো। সাইদের কথা শুনে সে চমকে তাকায়, "আমি?"
"হ্যাঁ, তুমি। জলদি যাও।"
"কিন্তু... "
"কোনো কিন্তু না, জলদি যাও।" 

ইনারার না চাওয়া সত্ত্বেও উঠতে হলো। সে চেঞ্জিং রুমের দিকে এগিয়ে থেমে যায়। এ দুইজনের সাথে তার ঝামেলা লেগেছে আর এই দুজনের আশেপাশেই তাকে ঘুরতে হচ্ছে। অথচ তার একজনের চেহেরা দেখারও ইচ্ছা নেই। কী বাজে এক অবস্থা! কাকে দেখে আগে মুড নষ্ট করবে তাই ভাবতে শুরু করে সে। জোহানের কথা ভাবতেই তার সাথে দীপার দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠে এবং সভ্যের কথা ভাবতেই একটু আগের কান্ড আবার সেদিন তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা। 

দুই দিকেই জ্বালায় ইনারা নিজেই নিজেকে বলল, "ইনু দেখ, জোহানের কাছে গেলে তোকে ঘুরে আবার আসতে হবে। এতে তোর আইলসামি ঠাডা খারাপ মনে করবো। হুদাই না যেয়ে আগে ওই অসভ্যের মুখ দেখেই মুডের বারোটা বাজিয়ে আয়।" 

যেই কথা, সেই কাজ। ইনারা সভ্যের রুমের সামনে যেয়ে দরজা খুলে বলে, "মিঃ অসভ্য আপনাকে সাইদ ভাই..."
দরজা খুলে না তাকিয়েই কথাগুলো বলতে বলতে ঢুকে ইনারা। সাথে সাথে থেমে যায়। সভ্য শার্ট চেঞ্জ করছে। হতভম্ব হয়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে সে সভ্যের দিকে৷ তারপর লজ্জা পেয়ে পিছনের দিকে ফিরে যায়। হড়বড়ে বলে, "সরি সরি সরি...ভুলে এসে পড়েছি। আমি যায়।"
"সেখানেই দাঁড়াও। এমন নাটক করছ যেন আগে শার্টলেস দেখ নি।" 

ইনারার মনে পড়ে যায় প্রথম দিনের কথা। তখন তার কত অচেনা ছিলো সভ্য। আজও অনেক চেনা এমনও না। তবে কে জানতো এই লোকটাকে দিনরাত সহ্য করতে পারবে সে। আর মিডিয়ার সামনে রুষ্ট সেজে থাকা এই লোকটার এত রূপ দেখতে পারবে সে। সে মন খারাপ করলে এসে সান্ত্বনা দেওয়া, তার সাথে খুনসুটিতে বেঁধে থাকা, তার ব্যান্ডমেটদের প্রতি এতটা কেয়ার করা, সবার সাথে কঠিন ব্যবহার করেও তার খেয়াল রাখা যায় এটাও কেবল সভ্যের মাঝেই দেখেছে সে। কে জানতো, সারাদিন নাকের ডগায় রাগ নিয়ে থাকা এই লোকটার জীবনের কতখানি অধ্যায় একা কেটেছে। আর একাকিত্বতা মানেই তো অসম্পূর্ণতা। 

"এই মেয়ে কোথায় হারিয়ে গেলে? এদিকে আসো তো।" সভ্যের কথায় ঘোর ভাঙে তার। সে তার ভাবনার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। একটু আগে তার কোমরে সভ্যের হাত রাখার কথা মনে পড়তেই সে বলে উঠে, "এহ, আপ...আপনাকে খালি গায়ে দেখার আমার কোনো শখ নেই। আর আপনি শার্ট না পরে আমাকে কা...কাছে ডাকছেন কেন?
"এই'যে মিস খামখেয়ালী পিছনে তাকান। আমি শার্ট পরেছি। একটু টাই'টা লাগিয়ে দেও।" 

ইনারা পিছনে তাকায়। সভ্যকে শার্ট পরা দেখে সে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। আর বলে, "আমি অন্যকাওকে ডেকে আনছি।"
"কেন তোমার হাতে মেহেদী লাগা? এদিকে আসো।" 

ইনারা বিরক্ত হয়ে যায় সেদিকে। সভ্যের হাত থেকে টাই নিয়ে বলে, "আপনাকে নিয়ে কিছু ভালো ভাবাটাও ভুল, বুঝলেন?"
"তুমি আমার আমাকে ব্যাপারে ভালোও ভাবো?"
"ভুলে ভেবে ফেলেছিলাম।" 

ইনারা পা'য়ের পাতা উঁচু করে সভ্যের গলায় টাই বাঁধার জন্য। সে এতটা কাছে আসায় সভ্য ভালো করে যাচাই করে নেয় তাকে। সে চোখ নামিয়ে রেখেছে, একারণে তার নীলাভ চোখের দর্শন পাওয়াটা দুষ্কর। তাই তার ঘন পলকগুলোর দিকেই তাকিয়ে রইলো সে। এরপর তার নরম তুলতুলে গালের দিকে চোখ আটকাল তার। একটু ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা হলো কিন্তু সে ছুঁতে পারে না। আরেকটু চোখ নামায় সে। ইনারার গোলাপি ঠোঁটের দিকে তাকাতেই তার দম বন্ধ হয়ে এলো । কী নিখুঁত গোলাপি ঠোঁট! ঠোঁটজোড়া খুব করে আকর্ষণ করে তাকে। হঠাৎ তার খুব করে চুমু খেতে ইচ্ছা হলো। আচ্ছা এই মুহূর্তে ইনারার গালে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে তার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াতে পারলে কেমন হতো? সাথে সাথে চোখ ঘুরিয়ে নেয় সভ্য। নিজের ভাবনাতে নিজেই লজ্জা পায়। এ কী ভাবছে সে! আগে কখনো এমন ভাবনা তাকে কাবু করে নি। তবে আজ কেন? 

আবারও বেহায়ার মতো তাকায় সে ইনারার দিকে। কেন যেন এতটা কাছ থেকে ইনারার নিঁখুত চেহেরার গঠনটা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। তার সৌন্দর্য হাজারোগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু এখনো কিছুটা মিসিং লাগে তার। সভ্য ইনারার চুলে থাকা ক্লিপ এক ঝটকায় খুলে দেয়। সাথে সাথে তার স্বর্ণজ্জ্বল চুলগুলো ঝরঝরে হয়ে পিঠ ছড়ায়। সাথে সাথে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকায় ইনারার তার দিকে। মিলে তার নীলাভ দৃষ্টির দর্শন। এক মুহূর্তের জন্য বুক কেঁপে উঠে তার। আচ্ছা এতটা কাছ থেকে কেউ ইনারার এই নিখুঁত সৌন্দর্যের দর্শন করেছে? 

"কী হলো এটা?" ইনারা প্রশ্ন করে। বিরক্তির সুরে।
"কী?"
"চুল খুললেন কেন?"
"আমার ইচ্ছা হলো তাই।"
"আপনার যখন যা ইচ্ছা হবে তাই করবেন? চুলগুলো বাঁধতে কত কষ্ট জানেন? এক জ্বলায় থাকি। আমার মা'য়ের পছন্দ ছিলো বলে কাঁটতেও পারি না, নাহলে একদম কাঁধ পর্যন্ত কেটে ফেলতাম।"
"আমারও খুব পছন্দ।" মিনমিনিয়ে বলে সভ্য। ইনারা তা শুনতে পায় না। সে জিজ্ঞেস করে, "কী বললেন?"
"কোথায়? কিছু না।" 

ইনারা বিরক্ত হয়ে আবারও কাজ শুরু করে। তার চুলগুলো মুখে এসে খেলতে শুরু করে। জ্বালাতে শুরু করে তাকে। অথচ সভ্যের কেন যেন এই দৃশ্যটা সুন্দর লাগে। সে হঠাৎ বলে বসে, "আমি সহজে কাওকে আমার কাছে আসতে দেই না। বিশেষ করে মেয়েদের। তাই তোমাকে টাই পড়াতে বললাম।" 

অবাক হয়ে তাকায় ইনারা, "কারও কাছে আসা পছন্দ না হলে আমায় বললেন কেন? আমার উপর তো আপনার সবচেয়ে বেশি বিরক্তি!"
অদ্ভুত ব্যাপার! কথাটা সভ্য কেন ইনারাকে বলতে গেল সে নিজেও বুঝলো না। এ কথাটা তো ইনারার জানার প্রয়োজন ছিলো না। হঠাৎ করে সে পিছিয়ে যেয়ে টাই নিজে ঠিক করতে করতে বলল, "হয়েছে আর প্রয়োজন নেই। দেরি হয়ে যাচ্ছে।"
"মানে নিজেই দেরি করেছেন, এখন আমাকে শুনাচ্ছেন?"
"কিছু শুনাচ্ছি না। চলো, বাকিটা রাস্তায় ঠিক করে নিব।" বলেই সভ্য দরজার দিকে এগোয়।
"এখন জোহানকে ডাকা বাকি।"
জোহানের নাম শুনতেই সভ্যের মুখ কালো হয়ে গেল। তবুও সে মানা করল না। শুধু বলল, "চুল বেঁধে যেও।"
"পারবো না। এতগুলো চুল বাঁধা অনেক কষ্টের।" 

কথাটা শুনতেই সভ্য দরজা খুলতে যেয়েও থেমে যায়। সে ফিরে আসে। ইনারার কাছে এসে তার দুই কাঁধের উপর দিয়ে হাত তুলে চুলে খোঁপা বাঁধতে শুধু করে। সে চোখ নামিয়ে দেখে ইনারার দিকে। ইনারা তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো। তার চোখ দুটো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। তবুও সভ্য চোখ সরায় না। তাকিয়ে রয়। আরেকটু কাছে যায়। সে অনুভব করতে পারে তার গলায় এসে লাগা ইনারার উষ্ণ নিশ্বাস। 

ইনারা চমকে উঠে। এতটা কাছে সভ্যকে দেখে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে যায় সে। সে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়। সভ্যও দৃষ্টি সরায় না। হয় দৃষ্টিমিলন। মধুর কিছু মুহূর্তের দর্শন। হঠাৎ সভ্য বলে উঠে, "তুমি কিছু জিনিসের যত্ন করতে পারো না? এত সুন্দর চুল কেউ এভাবে রাখে? আর কোথায় এত সময় লাগলো। এই'যে আমি এক মিনিটে করে ফেললাম। ভারী অধৈর্য্য তুমি। " 

ইনারা বলতে চেয়েছিলো, "তো আপনার কী? নিজে রঙ ঢঙ করে এসে চুল খুলে দিলেন, এখন আবার কথা শুনাচ্ছেন? অসভ্য একটা।"
কিন্তু পারলো না। কোনো পুরুষ তার এতটা কাছে ভেবেই তার কেমন যেন লাগতে থাকে। চেয়েও তার গলা দিয়ে শব্দ বের হয় না। 

সভ্য যত্ন করে ইনারার চুল বেঁধে দিয়ে তার দিকে তাকায়। ইনারার এমন লজ্জা এবং অস্বস্তি মাখা মুখ দেখে বাঁকা হাসে সে। কেন যেন তাকে এভাবে দেখতে মজাই লাগে তার। তার চোখে চোখ মেলতেই ইনারা চোখ নামিয়ে নেয়। সভ্য হেসে বলে, "আমি যাচ্ছি, তুমি তোমার কাজ সেরে আসো।"
.
.
ইনারার একটুখানি আগের ঘটনা থেকে বের হতে সময় লাগে। সে নিজেকে সামলে যায় জোহানের কক্ষে। দরজা খুলে বলে, "আপনাকে ফটোশুটের জন্য ডাকছে।"
দ্বিতীয়বারের মতো ঝটকা খায় সে। জোহানের সাথে দীপাকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে নেয়। আবারও। দীপা জোহানের কোলে বসা ছিলো। দুইজনে কিস করছিলো। সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। ইনারার এবার রাগের থেকে বেশি বিরক্ত লাগে। যেখানে সেখানে কে এমন কিস করতে শুরু করে? 

তাকে ডাকা হয়। রুমে ঢুকতেই জোহান তাকে ধমক দিয়ে বলে, "তোমার জ্ঞান বুদ্ধি নেই? এভাবে কে না নক করে ভেতরে ঢুকে?"
ইনারা মনে মনে ভাবে, "আসলেই নেই। নাহলে সভ্যের সাথে হওয়া ঘটনার পর আবার না নক করে ঢুকতে যায় কে? এই সেলিব্রিটি লোকেরা আরেক জিনিস ভাই। দরজা লক কীভাবে করে তাও মনে হয় হাতে-কলমে শিখাতে হবে তাদের।" 
কিন্তু মুখে নিজের দোষ স্বীকার করলো না। নিজের দোষ স্বীকার করার মানুষ তো সে নয়। তাই সে উল্টো গলা চড়িয়ে বলে, "তো এটা কী এসব করার জিনিস? এসব কিচুমিচু হলে রুমে করেন। পাবলিক প্লেসে কী? আজাইরা যতসব।"
ইনারার ভেংচি কেটে যেতে নিলেই জোহান আবার তাকে ডাক দেয়, "আচ্ছা দাঁড়াও," গলা পরিষ্কার করে নেয় জোহান। বলে, "এ কথা কাওকে জানিও না।"
"জানাব না? অফিসের করিডরে যখন করছিলেন তখন মানুষ দেখে নি?"
"তুমি দেখেছ?"
"না দেখলে কীভাবে বলি? এ-সব কিচুমিচু করার জায়গা এটা?"
"কিচুমিচুটা কী?"
"আপনারা যা করছিলেন তা তো আমি খোলামেলা বলতে পারি না তাই নাম দিসি।" 

এর মধ্যে দীপা উঠে দাঁড়ায়। সে ইনারার সামনে এসে হাত আড়া-আড়ি ভাঁজ করে দাঁড়াই। ভ্রু কপালে তুলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ইনারাকে যাচাই করে তাচ্ছিল্য হেসে বলে, "একথা একারণে বলছ তুমি কারণ তুমি আসলেই জোহানকে পছন্দ করতে তাই তো? তোমার মতো কিছু মানুষ এমনই হয়। পছন্দ করার আগে নিজের যোগ্যতাও দেখ না? নিজেকে কখনো আয়নায় দেখেছ ওকে পছন্দ করার পূর্বে?" 

ইনারা থতমত খেয়ে যায়। সে এতবছর টিভিতে দীপার মিষ্টি কথা দেখে আসছে। সে কখনো এমন কোনো কথা বলতে পারে ধারণা ছিলো না তার। সে একবার তাকায় জোহানের দিকে। জোহানও দীপার এমন কথায় কিছু বলছে না? 

ইনারার মাথায় রক্ত উঠে যায়৷ সে-ও দীপার মতো হাত আড়া-আড়ি ভাঁজ করে একই সুরে বলে, "আয়নায় তো আমি নিজেকে দেখেছি। এজন্যই আমি আমার ফেভারিট। এত্ত কিউট আমি! এখন কী করব সবাই ন্যাচারালি এত সুন্দর হয় না। তাই অন্যকারো প্রেমে পড়ার আগে আমিই নিজের প্রেমে পড়ে যাই। আচ্ছা দীপা আপু আপনার নামে অনেক গুজব আছে আপনি না'কি প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন? এখন আপনার এমন নিচু চিন্তার জন্যই কী আপনার নিজেকে পছন্দ হয় নি?"
"ইউ....তোমার সাহস কত বড় আমার সাথে এভাবে কথা বলার? তুমি জানো আমি কে?"
"আহারে! আপনি নিজে জানেন না?"
"তুমি... "
"আমি?"
দীপা দাঁতে দাঁত চেপে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে চিৎকার করে উঠে। সাথে সাথে জোহান তার হাত ধরে চিন্তিত সুরে বলে, "কুল ডাউন বেবি, রাগ করো না।" সে ইনারার দিকে তাকিয়ে বলে, "তুমি যাও তো এখন তোমাকে পরে দেখব আমি।" 

ইনারা ভাব দেখিয়ে দরজায় যেয়ে আবার ফিরে তাকিয়ে দুষ্টুমির সুরে দীপাকে বলে, "আপনার নাকে কী যেন বসে আছে।"
দীপা মেজাজ ঠান্ডা করার চেষ্টার সাথেই নাকে হাত দেয়। মুছতে থাকে। কিন্তু কিছু পায় না। ইনারা আবার বলে, "ও আচ্ছা আপনার নাক বেশি বড় তো তাই আমি ভাবছি কিছু বসা। পরে বুঝলাম ত্তো বড় অহংকার ঝুলে আসে।"
"তোমাকে আমি..." 

জোহান ফিক করে হেসে দেয় ইনারার কথা বলার ধরণে। দীপা রাগে তাকায় তার দিকে। আর অন্যদিকে ইনারা ভেঙিয়ে এক দৌড়ে পালায়।
.
.
.
চলবে.................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন