প্রেয়সীর হৃদয় ব্যাকুল - পর্ব ৩৫ - নাবিলা ইষ্ক - ধারাবাহিক গল্প


চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। 
বন্দরনগরী নামে পরিচিত এই শহরটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত।বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পাহাড়, সমুদ্রে এবং উপত্যকায় ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও চিত্তাকর্ষক স্থানের জন্যও এ জেলা বিখ্যাত। দু হাজার সতেরো সালে শহরের জনসংখ্যা ছিল সাতাশি লক্ষের বেশি। ঢাকার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দর ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে কর্ণফুলী নদীর তীরে এই শহরটি অবস্থিত। মানবসভ্যতায় ঘেরা এই শহরের গুনের শেষ নেই। বলে কয়ে শেষ করা মুশকিল। পাহাড়ের চুড়া কিংবা গাছের মগডাল থেকে ধরে ব্রীজের সীমান্ত সবই চোখ ধাধানো সৌন্দর্যে ঘেরা। রাস্তাঘাট উন্নয়নের সীমানায় পৌঁছে এক অপরুপ দৃশ্য সৃষ্টি করেছে।

চট্টগ্রাম এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার সখ অরুর ক্লাস সেভেন থেকে। অনেকবারই আসতে চেয়েছে তবে তন্ময় মুখের উপর না করে দিয়েছে! যেহেতু তন্ময় না বলেছে তারমানে না! চাচ্চু, বড়ো মা কেউ তাকে আর রাজি করাতে পারেনি, অরুকে নিতে। এভাবে পরিবারের সঙ্গে যে ফ্যামিলি ট্যুরে যাবে, সেটাও সম্ভব হয়ে উঠেনি। সকলেই ব্যস্ত, ব্যস্ত এবং সর্বদাই ব্যস্ত। ছোটোখাটো ফ্যামিলি পিকনিক দু'বছরে একবার হয়ে থাকে। তাও অরু, দীপ্তর জোড়াজুড়িতে। সেখানে ফ্যামিলি ট্যুরে যাবার স্বপ্ন দেখাটা একপ্রকার বামুন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর মতো। 

তিন ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট গাড়ি চলেছে একটানে। তন্ময়ের সঙ্গে এতক্ষণ একা থাকা এই প্রথম অরুর। এবং সে হাড়েহাড়ে পস্তাচ্ছে। একটা মানুষ এতটা গম্ভীর কীভাবে হতে পারে? নিজ থেকে একটি কথাও বলছে না৷ অরু কথা বললে জবাব দিচ্ছে দু'এক শব্দে। চুপচাপ থাকার মেয়ে তো অরু নয়। সে জোরপূর্বক আজাইরা প্যাঁচাল পেড়ে যাচ্ছে। একসময় তন্ময় ধমকের সুরে চুপ থাকতে বলেছে। রেগে অরু এতক্ষণ যাবত চুপ রইলো। কিন্তু এখন আর পারছেনা। পেট গুলিয়ে আসছে কথার প্যাঁচ লেগে। ইনিয়েবিনিয়ে ডাকল, 'তন্ময় ভাই! এইযে.. '

তন্ময় মাথা না ঘুরিয়ে গভীর স্বরে বলল,'হু!'
'আর কতক্ষণ?'
'দু'এক ঘন্টা।'
'এখনো দু ঘন্টা। আমার কোমর ব্যথা করছে। একটু থামাবেন রেস্ট নেবার জন্য?'
'না।'
'একটু প্লিজ!'

তন্ময়ের জবাব এলো না। অরু হাত ঘড়িতে নজর দিল আটটা বেজে ত্রিশ। ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছে। অগোচরে পেট চেপে ধরলো। ক্ষুধায় পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে মনে হচ্ছে! লাঞ্চবক্স কি খুলবে? পাষাণ তন্ময় একটু জিজ্ঞেস ও করছে না। খিদে পেয়েছে নাকি, বোরিং লাগছে নাকি, খারাপ লাগছে নাকি! এতটা জার্নি একদফায় করিয়ে নিচ্ছে। মায়াদয়া কিছুই নেই লোকটাকে মধ্যে। হাত ব্যাগে কিছু শুকনো খাবার নিয়ে এসেছে অরু। এগুলো তাকেই দিয়েছে শাবিহা। সেগুলোর মধ্যে যেটা হাতে উঠেছে সেটাই বের করল। চিপস। চিকন বোতলের মতো বয়ামের ঢাকনা খুলল৷ চিপস খসখস আওয়াজে খেতে লাগলো। আঁড়চোখে তন্ময়কে দেখল। মায়াবতী অরুর মন বিশাল বড়ো। সে একা খেতে দ্বিধাবোধ করছে। তাই বয়াম এগিয়ে ধরলো। তন্ময় তাকাল অবদি না। অন্ধকার মুখে নিজের চিপস নিজেই খেল। একপর্যায়ে অরুর আবারো মায়া জন্মাল। সে দু আঙুলে এটি চিপস নিয়ে তন্ময়ের মুখের সামনে ধরলো। একটু লজ্জা অবশ্য লাগছে। তাতে কী? এভাবেও তন্ময় কখনোই খাবেনা এভাবে। অরু তো তাকে বিরক্ত করার জন্যই এসব করছে। অরুকে আশ্চর্যের শেষে পৌঁছে তন্ময় চিপস খেয়ে নিল। নেবার সময় আঙুলে শক্ত একটা কামড় ও বসিয়েছে। স্তব্দ অরু আঙুল বুকে জড়িয়ে কেঁদে উঠলো। চিনিচিন ব্যথায় তার রুহ চলে যাবার যোগাড়। অরুর কান্নার শব্দ যেমন তন্ময় শুনছে না। সে মুখের চিপসে দু'একটা কামড় মেরে গিলে ফেলেছে। 

দেখা গেল তন্ময় গাড়ি মাঝপথে থামাতে রাজি হয়নি। আরও দু'ঘন্টা টানা জার্নি করে চট্টগ্রাম বর্ডার ক্রোস করেছে। ইতোমধ্যে তন্ময়ের ম্যানেজার কল করে জানিয়েছে সে চট্টগ্রাম পৌঁছে গিয়েছে। গতকাল হোটেল বুক করে রেখেছিল সে। গাড়ি থেমেছে লালবাজার রেডিসন ব্লু'তে। বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল। যার অবস্থান লালখান বাজার । এই রেডিসন ব্লু চিটাগং বে ভিউ নামেও পরিচিত। এটি চিটাগং বন্দর শহরের অন্যতম পাঁচ তারকা হোটেল। এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় পাঁচ তারকা হোটেল। সর্বমোট ৪.১৮ একর স্থানে এই হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ২১০০ বর্গ মিটারের একটি বলরুম রয়েছে যা অফিসিয়াল সভাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এতে একটি মেজবান হল রয়েছে। এতে ২৪১ টি কক্ষের পাশাপাশি ১৩টি জুনিয়র স্যুট ও ৪টি এক্সক্লুসিভ স্যুট রয়েছে। অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে, 
সুইমিংপুল
ড্রিনক বার
রেস্তোরা'র সুবিধা বিদ্যমান। জনপ্রিয় এই হোটেল নামের দিকে বেশ বিখ্যাত। 

গাড়ি পার্কিং করতেই ম্যানেজার সুমনকে দেখা গেল। তিনি ব্যস্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে। গাড়ির নাম্বার চিনেই ছুটে এলেন৷ তার পাশে একজন গার্ড। ইশারা করলেন ল্যাগেজ নিতে। গাড়ির ব্যাক খুলে ল্যাগেজ বের করে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। তন্ময় সময় নিয়ে বেরিয়েছে। পরপর অরুও বেরোলো। তার প্রিয় ল্যাগেজ গার্ডের হাতে দেখে ছুটে গেল। ছোট পুতুলের ল্যাগেজ টেনে নিজের হাতে রাখল। বাকি দুটো ল্যাগেজ নিয়ে দাঁড়ানো গম্ভীর গার্ড নড়েচড়ে সুমনের দিক তাকাল। সুমন মুচকি হেসে স্যুটের চাবি দেখাল। সেখানে ছোট অক্ষরে স্যুটের নাম্বার লেখা। সে অনুযায়ী গার্ড ল্যাগেজ হাতে চলে গেল। ম্যানেজার সুমন চাবি তন্ময়কে দিয়ে বলল,'স্যার মিটিং কাল সন্ধ্যা সাতটায় স্যাট করেছি। ইজ দ্যাট ওকে স্যার?'
'গুড।'
'তাহলে স্যার আমি কি চলে যাবো? নাকি খাওয়ার ব্যবস্থাটা করে দিব!'
'সমস্যা নেই। আপনি যান আই'ল হ্যান্ডেল।'
'তাহলে আসি। আসি অরু মামনী!'

অরু হেসে মাথা দোলাল। খিদে'তে যে পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে, তা সে কাউকে বুঝতে দিবেনা। অরু তন্ময়ের পেছনে পেছনে যাবে ভেবে রেখেছে। কিন্তু তাকে অবাক করে সে, সেদিনের মতো পুনরায় পিঠের পেছন হাত নিয়ে তার কাঁধ ধরেছে। এবং নিজের সাথে সমান তালে নিয়ে চলেছে। এ'তে তাদের পাশাপাশি হয়ে ঘনিষ্ঠ হতে হলো। অরু স্পষ্ট তন্ময়ের পারফিউমের ঘ্রাণ শুঁকতে পারছে। মাতাল করা ঘ্রাণ। পিঠে অনুভব করছে তন্ময়ের দানবীয় হাতের স্পর্শ। ছোট ল্যাগেজ টেনে অরু তন্ময়ের বড়ো পায়ের ধাপে পা মেলাতে পারছেনা। এতো দ্রুত হাটে কেন! এদিকে বিরক্ত হয়ে তন্ময় অরুর হাত থেকে টেনে ল্যাগেজ নিজে নিল। অরু সঙ্গে সঙ্গে মুখ অন্ধকার করে রাখল। এমন মুড দেখানোর কি আছে!

লিফট ব্যবহার করে তারা নিজেদের স্যুটে চলে এলো। গার্ড দাঁড়িয়ে ল্যাগেজ নিয়ে। তন্ময় চাবি দিয়ে স্যুট খুলে দিতেই ল্যাগেজ ভেতরে নেওয়া হলো। পকেট থেকে কিছু টাকা এগিয়ে দিল গার্ডকে। গার্ড টাকা নিয়ে চলে যাবার জন্য পা বাড়ালো। পুনরায় ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলো,'স্যার খাবারের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করব? ম্যামকে দেখে মনে হচ্ছে তিনিই বেশ ক্ষুদার্ত।'

অরু দ্রুত পেট থেকে হাত সরাল৷ হতচ্ছাড়া লোক! একদিক নজর যায় কেন! অরু পেট ধরলেই বুঝে নিবে ক্ষুদা পেয়েছে? আশ্চর্য! তন্ময় কিছুক্ষণ অরুকে দেখে নিল। হতাশ গলায় বলল,'কল সার্ভিস আছে না? কল করে অর্ডার করে নিব।'
'জি স্যার।'

গার্ড যেতেই দরজা লাগাল তন্ময়। অরু ঘুরেফিরে স্যুটের ভেতর দেখছে। বড়ো একটা ফ্ল্যাট বলা যায়। পরিপাটি করে রাখা। সবই রয়েছে চারিপাশে। রান্নাঘর দেওয়া। তারমানে নিজ থেকে রান্নাবান্না করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে৷ দুটো মাস্টার বেডরুম আছে। ড্রয়িংরুম রয়েছে। টিভি স্যাট করা প্রত্যেকটা বেডরুমে। সাথে অ্যাটাচড বাথরুম তো আছেই। অরু আঁড়চোখে তন্ময়ের দিক তাকাল। তন্ময় হাত ঘড়ি খুলছে। যতটুকু তার মনে আছে! বড়ো চাচ্চু পইপই করে বলেছে দুটো রুম নিতে। এসে দেখছে স্যুট। বড়ো স্যুট। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে, অন্যদিকে খারাপ। ভালো এরজন্য যে অরু একা-একা ভীষন ভয় পায়৷ খারাপ কারণ তার এখনই কেমন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে! মগজে পরিষ্কার গলায় জানান দিচ্ছে, তন্ময় আর সে একই ফ্ল্যাটে আছে। এবং সম্পুর্ন একা। কেউ নেই তাদের মধ্যে। বিষয়টি ভাবতেই তার রক্ত চলাচল বন্ধ হবার যোগাড়। সেদিকে যেমন তন্ময়ের ধ্যান নেই। সে নিজের ল্যাগেজ টেনে একটা বেডরুমে ঢুকে গেল। অরু ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে। পাশের বেডরুমে সে চলে যাবে নাকি? অরু নিজের ছোট ল্যাগেজ টেনে পাশের রুমে ঢুকলো। দরজা লাগিয়ে বড়ো শ্বাস নিল। জামাকাপড় খুলে ওয়াশরুম ছুটলো। শরীর ক্লান্ত৷ একটা গোসল নিলে ভালো লাগবে। গোসল শেষ করে সেলফোন হাতে নিল। পরিবারের অনেকে কল করেছে। অথচ সে দেখেনি। সেলফোন সাইলেন্ট হলো কীভাবে? নাম্বার চেক করতে গিয়ে একটি আননোন নাম্বারে কল পেল৷ ধরলো না। ফোন পুনরায় সাইলেন্ট করে রুমের দরজা খুলে মাথা বের করলো। তন্ময় ড্রয়িংরুমে দাঁড়িয়ে। উদোম শরীর। শুধু একটা প্যান্ট লুজ করে পরে আছে। গলায় তাওয়াল ঝুলানো। একহাতে চুল মুছতে ব্যস্ত। দ্বিতীয় হাতে কথা বলছে। কথা শুনে বোঝা গেল রাতের খাবার অর্ডার করছে। অরু ফটফট চোখে চেয়ে রইলো। তন্ময়ের পিঠ বেয়ে জল গড়িয়ে প্যান্ট ভেদে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ফর্সা, পেশিবহুল পিঠ। চওড়া এবং দীর্ঘ কাঁধ। অরু চোখ ফেরাতে পারছেনা। তন্ময় ঘুরতেই চোখাচোখি হলো। অরুর বুক কেঁপে উঠলো। দ্রুত দরজা লাগিয়ে ফেললো। এভাবে কাঁপছে কেন বুক? হার্টএট্যাক করে বসবে নাকি? 

অরু ভয়ে আর বেরোলো না। ঘন্টা খানেক বাদ তন্ময়ের আওয়াজ শোনা গেল। অরুকে ডাকছে। পেট চেপে ধরে থাকা অরু দ্রুত বেরোলো। নিশ্চয়ই খাবার এসেছে? ডাইনিং টেবিলে খাবার রাখা। তন্ময় দাঁড়িয়ে। ফোনে কথা বলছে। কথার ভঙ্গিমায় বুঝতে পারলো, তন্ময় বড়ো চাচ্চুর সঙ্গে কথা বলছে! গম্ভীর তার স্বর। চুপচাপ গিয়ে চেয়ার টেনে বসল অরু। প্লেট টেনে দেখল তার পছন্দের খাবার। ঘ্রাণে পেট ফুলে উঠল তৎক্ষণাৎ। কিছুটা খাবার চামিচে নিয়ে মুখে দিল৷ তখন এক অদ্ভুত বাক্য সে তন্ময়ের মুখ থেকে শুনল, 'আমি হানিমুনে আসিনি। কাজে এসেছি। এভাবে প্রেসারাইজড করলে ওকে ছুঁড়ে ঢাকা পাঠিয়ে দিব।'
অরু বিষম খেল। গলায় খাবার নিয়ে কেশে উঠল। এক গ্লাস জল ঢকঢক করে খেয়ে নিল। তন্ময় তখন কল কেটে অপর পাশের চেয়ার টেনে বসেছে। চুপচাপ নিজের মতো খেতে শুরু করেছে। অরু আঁড়চোখে কয়েকবার তাকাল। জিজ্ঞেস কি করবে কার সাথে কথা বলছিল? কি নিয়ে বলছিল! খাওয়ার একফাঁকে ইনিয়েবিনিয়ে শুধালো, 'আপনি সকালে কই যাবেন?'
'জবাবদিহি করতে হবে তোর কাছে!'
'তা নয়। মানে... '

অরু হাসফাস করল কিছুক্ষণ। সময় নিয়ে বলল,'এমনেই।'

নিস্তব্ধতা চারপাশে। অরু একটুপর আবারো কথা তুলল,'এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে তাই না?'

তন্ময়ের জবাব নেই। অরু মুখ বাঁকাল। লোকটা কী পাথর! নাকি গরু। সে কি বুঝতে পারছেনা অরু কি বলতে চাইছে? এতো বুদ্ধিমান লোক এতটুকু ইঙ্গিত বুঝতে পারছেনা। অদ্ভুত! 

পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি বলে কথা আছে। কথাটি যে সত্য আজ তা আবারো প্রমানিত। পেট ভরে খেয়ে অরু আরাম করে চেয়ারে বসে থাকল। তন্ময় ইতোমধ্যে নিজের রুমে চলে গেছে। তন্ময়ের রুম কেমন? দেখার বেশ কৌতুহল জাগল অরুর মনে। সে গুটিগুটি পায়ের দরজার সামনে এলো। দরজা আধখোলা। উঁকি দিল। তন্ময় শার্ট খুলছে। আচমকা অরু শুনতে পেল তন্ময়ের গলা,'কি এখানে ঘুমাবি?'

আতঙ্কে অরু ছুটে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল। ভয়ে বুকের ভেতর ধুকপুক করছে। আরেকটু হলে তো সে মরেই যেতো। মাথা না ঘুরিয়ে কীভাবে দেখল দরজায় অরু? মানুষটা কী চার চোখের অধিকারী? মাথার পেছনে লুকানো চোখ আছে নাকি? 
.
.
.
চলবে.................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন