অনুভবে - পর্ব ৩২ - নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা - ধারাবাহিক গল্প


সভ্য ইনারার এমন লজ্জামাখা মুখ দেখে ফিক করে হেসে দিলো, "তোমার নাক মুখ দেখি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। গতরাতের সব কথা ভুলে গেলে না'কি?"
ইনারা চমকে মুখ তুলে তাকায়। তার হঠাৎ করে পার্টিতে ব্যালকনি দৃশ্যটা মনে পড়ে। সে সভ্যের গালে একখানা চুমু দিয়ে তার কাছে চুমুর আবদার করছিলো। মনে পড়তেই চোখদুটো ছানাবড়া হয়ে যায় তার। লজ্জায় গলা দিয়ে কোনো শব্দও বের হচ্ছিল না তার। আর চোখ মিলিয়ে রাখতে পারে না সে সভ্যের সাথে। সে মুখ নামিয়ে নেয়। 

সভ্য বাঁকা হাসে। তার কেন যেন ইনারার এমন লজ্জামাখা ভাবটা অসম্ভব ভালো লাগে। তার ব্যক্তিত্ত্বের প্রতিটি রূপই ভিন্ন। আর তার প্রতিটি রূপেরই প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে। তার লজ্জা আরেকটু বাড়ানোর ইচ্ছে হলো সভ্যের। গতকাল মেয়েটা অনেক জ্বালিয়েছে। আজ একটু মজা নিতে দোষ কীসের? 

সভ্য ইনারার দিকে ঝুঁকে দুষ্টুমি করে বলল, "তো গতকাল কীসের এত আবদার করেছিলে ভুলে গেছ? আবদারটা পূরণ করব?"
ইনারা চক্ষু দুটো কপালে তুলে তাকায় সভ্যের দিকে। সাথে সাথে পিছিয়ে যেতে নিলেই তার গাউনে পা লেগে পড়ে যেতে নেয়। সভ্য আবারও তাকে ধরে নেয়। কোমরে হাত রেখে তাকে নিচে পরে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আবার এক টানে তাকে কাছে টেনে নেয়। দৃষ্টিমিলন ঘটে। 

সভ্য ইনারার কপালে আসা চুলগুলো আলতো আঙুলে সরিয়ে নেয়। চুলগুলো যে তার এত সুন্দর দৃশ্যের মাঝে আসছিলো। এই অপরূপ দৃশ্যটি হলো ইনারার লজ্জামাখা মুখ। তার ভিজে যাওয়া কপাল, চোখের পলক, গাল, ঠোঁট সবটা। ঝর্ণার পানি যখন গড়িয়ে পরছিলো ইনারার মুখে তার ইচ্ছা হচ্ছিল এই জল হয়ে একবার ছুঁয়ে দিতে তাকে। কিন্তু গতরাত কেটে গেছে। ইনারাও আর নেশায় মাতাল নেই, যে গতকালের মতো বাচ্চামো গুলো করবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সে ইনারার এই লজ্জামাখা মুখ দেখে মাতোয়ারা হয়ে যাচ্ছে। আকর্ষিত অনুভব করছে সে। এর উপর তার স্বর্ণোজ্জ্বল কেশের উপর আলাদা এক দুর্বলতা আছে তার। ঝর্ণার জলে ভিজে সে কেশগুলোর সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। 

সে ইনারার লম্বা কেশ নিয়ে খেলা করছিলো। কেমন অদ্ভুত ব্যাপার! যে দুটো মানুষ সারাক্ষণ ঝগড়া করে কাটায়। এই মুহূর্তে দুইজন একে অপরের চোখে ডুবে আছে। দুইজনের মুখে কোনো কথা নেই। চারপাশে কেবল ঝর্ণার জলের শব্দ। 

সভ্য হঠাৎ বলল, "আই এম সরি। গতকাল না বুঝে তোমাকে সে কথাটা বলা উচিত হয় নি।"
ইনারা খানিকটা অবাক হয়, "কোন কথা?"
"যে তোমাকে আঘাত করেছে সে তোমাকে ভালোবাসে না একথা।"
ইনারার সে কথা মনে পড়ে। সাথে সাথে সে সভ্যের থেকে দূরে সরে ঝর্ণাটা বন্ধ করে দেয় এবং বলে, "আমি এ ব্যাপারে কথা বলতে চাই না।"
বলে সে যেতে নেয়। কিন্তু সভ্য তাকে যেতে দেয় না। সে তার হাত ধরে নেয় এবং বলে, "কিন্তু আমি বলতে চাই। আমার একটা বাজে অভ্যাস আছে। মাঝেমধ্যে না ভেবেই কথা বলে ফেলি। সে কথাটা সামনেরজন কিভাবে নিবে তাও ভাবি না। মাথাতেই আসে নি তোমার কথাটা খারাপ লাগতে পারে। হতে পারে যে তোমাকে আঘাত করেছে সে তা খেয়ালই করে নি। এ কথা পরে মাথায় এলো। আমি মন থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি কিন্তু সহজে কাওকে সরি বলি না। যেহেতু তোমাকে বলছি সেহেতু আমি তা মিন করেই বলছি। এখন তুমি রাগ ছাড়বে না'কি গতকাল রাতের কথাগুলো আবার মনে করাব?"
"না না, কোনো দরকার নেই। একদম গতরাতের কথা তুলবেন না।"
ফিক করে হেসে দিলো সভ্য। শব্দ করে। 
ইনারা বিরক্তির সুরে জিজ্ঞেস করে, "এত হাসির কি বলেছি?"
"গতরাতের কথাগুলো মনে পড়ছে।"
"দেখুন একদম হাসবেন না।" 
ইনারা মুখে কথাটা বললেও সভ্যের হাসি দেখে ইনারা চোখ ফেরাতে পারে না। কী সুন্দর হাসি! তাকে এভাবে আর কখনো হাসতে দেখে নি ইনারা। বাস্তব জীবনে তো না-ই, টিভিতেও কখনো বিশেষ হাসে না সভ্য। হাসাও উচিত না। এত সুন্দর হাসিটা সবার দেখা উচিত না। এই হাসির সাক্ষী কেবল সে থাকলেই হবে। সব রাগ, অভিমান ভুলে যায় ইনারা। সভ্যের হাসি দেখে তার ঠোঁটেও হাসি এঁকে উঠে। 

সভ্য হাসতে হাসতে চোখ পড়ে ইনারার ঠোঁটের মিষ্টি হাসির উপর। তার হাসির শব্দটা কমে আসে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায় সে ইনারার দিকে। তার মনে পড়ে গতকালের ইনারার কান্না। সাথে সাথে তার বুকের ভেতর চিনচিন ব্যাথা উঠে। সে মুগ্ধ গলায় ইনারাকে বলে, "জানো তোমাকে হাসলে খুব সুন্দর দেখায়। সবসময় হাসতে থাকবে।"
সে ইনারাকে গতরাতের কান্নার কথা জানায় না। হয়তো ইনারা সেসব কথা কাওকে জানাতে চায় না। তাকে নেশায় বলে ফেলেছে। জানলে হয়তো সে লজ্জিত হবে, অস্বস্তিবোধ করবে। তাই কথাগুলো তার মধ্যেই থাক। কেবল তার মনের খাঁচায় বন্দী থাক গতরাতের সুন্দর স্মৃতির পাখিগুলো। সে মনে মনে বলল, "আমি তোমার ঠোঁটের হাসির জন্য সব সহ্য করতে পারি, কিন্তু তোমার কান্নাটা কেন যেন আমার সহ্য হয় না।" 

"আপনি হঠাৎ এ কথা বললেন কেন?" প্রশ্ন করে ইনারা। সভ্যের ভাবনার পরিসমাপ্তি ঘটে। সে বলে, "এমনিতেই। আমি তোমার জন্য কাপড় দিচ্ছি। চেঞ্জ করে নেও। নাহলে ঠান্ডা লেগে যাবে।"
ইনারা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। 

সভ্য বের হয়ে আলমারি থেকে তার কিছু জামা বের করে দেয়। তারপর সে-ও অন্যরুমে যেয়ে চেঞ্জ করে নেয়। চেঞ্জ করা শেষে রান্নাঘরে যেয়ে ইনারার জন্য লেবুপানি বানায় এবং তার জন্য নাস্তা তৈরি করতে শুরু করে। এর মাঝে হঠাৎ করে তার আবারও মনে পড়ে ইনারার বলা গতরাতের কথাগুলো। কথাগুলো কিছুতেই তার মাথা থেকে যাচ্ছে না। তাই সে নিজের ফোন বের করে কাওকে কল দিলো। এবং খুবই গম্ভীর গলায় বলল, "হ্যালো আমি সভ্য। আমি তোমাকে একটি মেয়ের নাম দিচ্ছি। আমার কোম্পানিতে কাজ করে। তার এবং তার পরিবারের সব তথ্য আমি আজই চাই। আর এ কথা দাদুভাই বা অভ্র ভাইয়া না জানে। কিছুতেই না। আমি তার নাম এবং কোম্পানিতে যে ডিটেইলস আছে তা দুইঘন্টার মধ্যে পাঠাচ্ছি।"
.
.
ইনারা গাউন চেঞ্জ করে সভ্যের গেঞ্জি এবং টাউজার পরেছে। দুটোই তার জন্য অনেক বড়। সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাকিয়ে দেখছে নিজেকে। সে তো সবসময়ই এমন গেঞ্জি এবং টাউজার পরে। তাহলে আজ নিজের কাছে নিজেকে আলাদা লাগছে কেন তার? সভ্যের পরা গেঞ্জি পরায়? সে কী লজ্জা পাচ্ছে? সে নিজেই আয়নার দিকে তাকিয়ে বলল, "ইনুর বাচ্চা নিজেকে সামলা তো লজ্জায় যেন গাল দুইটা টমেটোর মতো লাল হয়ে গেছে। কী অবস্থা!" 

কথাটা বলেও হঠাৎ তার মাথায় কি এলো সে তার পরা গেঞ্জিটা নাকের কাছে নিয়ে চোখ বন্ধ করে গভীর নিশ্বাস ফেলল। সভ্যের ঘ্রাণ নেবার ব্যর্থ চেষ্টা। কিন্তু তার ঘ্রাণ না পাওয়ায় নিরাশ হয় সে। বিরক্তও হয়। আবার আয়নার দিকে নিজেকে দেখে অবাকও হয়। সে সভ্যের ঘ্রাণ না পাবায় এমন নিরাশ হচ্ছে কেন? 

কথাগুলো মাথা থেকে ঝেড়ে দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয় সে। ডাইনিং রুমে যেয়ে দেখে সভ্য টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে রেখেছে। সভ্য রান্নাঘর থেকে আরো দু প্লেট খাবার নিয়ে আসতে আসতে তার দিকে তাকাল। বলল, "তোমার ড্রেস চেঞ্জ করতে করতে আমার রান্না শেষ হয়ে গেল। এত সময় লাগে!"
"উফফ আপনিও না খালাজানের মত সারাক্ষন ভুল ধরতে থাকেন।" 
ইনারা এসে টেবিলে বসে। সভ্য তার সামনে একটি লেবুর শরবতের গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলে, "এই নেন ম্যাম, এটা খেলে আপনার গতরাতের কোকাকোলার নেশা কেটে যাবে।"
ইনারা রাগী দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকে, "মশকরা করছেন?"
"আমি মশকরা করব? এত সাহস আছে আমার? পরে তো রাগ করে আবার চুমুর আবদার করে বসবে। বলবে তোমার প্রথম চুমুটা ফেরত দিতে।" 

কথাটা শুনে ইনারার চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলো। সভ্য গালে হাত দিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। সে একপলক সভ্যের দিকে তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিলো। জলদি করে খেতে শুরু করলো। তার আবারও মনে পড়লো গতরাতের ব্যালকনির কথা। কেমন বেহায়ার মতো সে সভ্যের কাছ থেকে চুমুর আবদার করছিলো। ভাবতেই তার জান চলে যাচ্ছে। এর উপর না-কি সে তার ফার্স্ট কিস দিয়ে তা ফেরতও চাচ্ছিল! ইশশ কি লজ্জাজনক ফাঁদে-ই না পড়লো সে। সে হঠাৎ করে টেবিলে ঘুষি মেরে বলল, "ওই ওয়েটারকে পাইলে কাঁটা চামচ দিয়ে খুন করব আমি। কোল্ড ড্রিংক এর নামে কি খাওয়ালো কে জানে!"
"আহা এখনো জানো না? এলকাহোল খাইয়েছিলো। যা খেয়ে তুমি তোমার ফার্স্ট কিস ফিরিয়ে দেবার আব..." 

ইনারা দ্রুত উঠে এসে সভ্যের সামনে দাঁড়িয়ে আঙুল তুলে বলল, "দেখুন আর একবার গতরাতের কথা তুললে কিন্তু... কিন্তু আমি কাঁটা চামচ দিয়ে আপনারও খুন করব।"
ইনারার হঠাৎ মনে পড়লো তার ব্যালকনির কথাটা বাদে আর কিছুই মনে নেই। সভ্য আসলে তাকে কিস করে নি তো? চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল তার। সে সভ্যের দিকে তাকাল। কিন্তু সরাসরি জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছিল না সে। তাই বলল, "আপনি আসলে ওটা করেন নি তো?"
সভ্য উঠে দাঁড়ায়, "কোনটা?"
"ওটা...মানে আমি যা ফিরিয়ে দেবার কথা বলছিলাম।"
সভ্য এক পা এগোয়। বুঝেও অবুঝের মতো জিজ্ঞেস করে, "সরাসরি বলো তো। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।" 

ইনারা রাগে বিড়বিড় করে বলে, "হনুমানের নাতি সব বুঝতে পারছো তুমি। আমাকে লজ্জা দেবার ধান্দা সব।" 

"যা বলছ একটু শব্দ করেই বলো। আমিও শুনি।" সভ্য বলল।
ইনারা একটু কেশে নিয়ে বলে, "কিছু না থাক।"
বলে সে যেতে নিলেই সভ্য তার রাস্তা আটকায়। তার পিছনে টেবিল ছিলো। তার দুইপাশে হাত রেখে তার পথ আটকে সে বলে, "এবার বুঝেছি। গতকালের কিসের কথা বলছ তো? আসলে গতরাতে তেমন কিছু করি নি। আমি আবার ড্রাঙ্ক মেয়েদের ফায়েদা উঠাই না। কিন্তু তুমি যেহেতু এখন হুঁশে আছো তোমার আবদার পূরণ করতেই পারি। আমি আবার কারও ঋণ রাখি না।"
সভ্য ঝুঁকে ইনারার দিকে এগোতে নেয়। ইনারা জড়োসড়ো হয়ে যায়। সেও টেবিলে হাত রেখে ধীরে-ধীরে পিছনে ঝুঁকতে থাকে। দুইজনের দৃষ্টি একে অপরের সাথে আটকে আছে। ইনারার হৃদয়ের স্পন্দন দ্রুত হয়ে গেছে। তার নিশ্বাস গভীর। তার দৃষ্টি লজ্জাময়। 

হঠাৎ করে কলিংবেল বাজে। দুইজনেই চমকে উঠে। সভ্য দরজার দিকে তাকিয়ে বলে, "নাস্তার সময় হয়েছে। তাই সম্ভবত ইরফান আর সামি এসেছে।"
"কী!" ইনারা চমকে উঠে। সজোরে ধাক্কা দেয় সভ্যকে। সে পরে যেতে নিলেই আবার কলার ধরে নিজের দিকে টান দেয়। সভ্য হাফ ছেড়ে বলে, "এখনই তো হাড্ডি ভাঙতো।"
"হাড্ডি পরে ভাঙেন। এখন লুকানোর ব্যবস্থা করেন।"
"আমার বাসায় আমি লুকাবো কেন?"
"আরে গদ্ধবের সহপাঠী আমারে লুকানোর ব্যবস্থা করেন।"
"কেন?"
"কেন মানে? কেউ যদি দেখে আমি সারারাত আপনার বাসায় ছিলাম কী ভাববে?"
"কি ভাববে?"
"আপনার এত ভাবাভাবির দরকার নেই। আমি লুকাতে গেলাম।"
"আরে তুমি কি গতকালের ড্রেস পরা আছো না'কি যে বুঝবে?"
"কিন্তু আপনার জামা পরা দেখলেই তো বুঝবে।"
"ওহ তা তো ভাবি নি।"
"ভাববেন কেন? সকাল থেকেই আমাকে জ্বালানোর পরিকল্পনাই তো মাথায় চলছে। আমি গেলাম। আপনি এদিকে সামলান।"
বলে এক দৌড়ে পালালো ইনারা। 

সভ্য দরজা খুলে দেখে ইরফান এবং সামির সাথে ঐশিও আছে। সে তাদের তিনজনকে নাস্তা দিয়ে বেডরুমে এলো ইনারাকে খুঁজতে। সে বাথরুমে দেখে ইনারা সেখানে নেই। আলমারিতেও চেক করে সেখানেও পায় না। 

ইনারা ছিলো বারান্দায়। সে সভ্যকে খুঁজতে দেখে সেখান থেকে বের হতে নিলেই দেখল ঐশি দরজা দিয়ে ঢুকছে। সাথে সাথে সে আবারও লুকিয়ে পরলো। 

সভ্য ঐশিকে জিজ্ঞেস করল, "আরে তুই এখানে? নাস্তা কি ভালো লাগে নি? নতুন কিছু বানিয়ে দিব?"
ঐশির চোখেমুখে হঠাৎ কাঁদোকাঁদো ভাব ছড়িয়ে গেল। সে দরজা থেকে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলো সভ্যকে। সাথে সাথে ইনারার বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠে। সে স্তব্ধ হয়ে কিছু মুহূর্ত তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে। দম বন্ধ আসছিলো তার। সে সাথে সাথে সরে যায়। বারান্দার জানালা থেকে সরে তার দেয়ালে হেলান নেয়। তার গালটা হঠাৎ ভেজা ভেজা লাগছে। তার গালে হাত রেখে দেখে এক বিন্দু জল। সে কী কাঁদছে? সভ্য এবং ঐশিকে একত্রে দেখে তার এমন কষ্ট লাগছে কেন?
.
.
.
চলবে.................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন