সারল্য'র সাথে চোখাচোখি হল জাহ্নবী'র। দুজনেই মিষ্টি করে হাসলো। তখনও একটা বাচ্চা সারল্য'র ঘাড়ে। দুই হাতে বাচ্চাটা সারল্য'র চুল খামচে ধরে রেখেছে। পরম আদরের সঙ্গে ওকে ঘাড় থেকে নামিয়ে দিয়ে সারল্য ওর নানীর পাশে এসে বসলো।
নানীর মাথার সব চুল পেকে গেছে। টকটকে গায়ের রং, সাদা চুল আর ঝুলে যাওয়া চামড়ায় ওনাকে ভীষণ পবিত্র দেখাচ্ছে। বয়সটা মানিয়েছে ওনাকে। সারল্য বলল, 'নানু, আজ রাতে কিন্তু গল্প শোনাতে হবে।'
'এখন তো গল্প বলতে পারিনা নানুভাই। সব ভুলে যাই।'
'ভুলভাল গল্পই শুনবো। মামী, খিদে পেয়েছে, খানাদানা দিন তারাতাড়ি।'
সারল্য'র মেজো মামী ব্যস্ততার সঙ্গে উঠে পড়লেন। লজ্জা পেয়েছেন তিনি। সারল্য বলল, 'ঘরে খাবো না মামী, বারান্দার টেবিলে দিন।'
সারল্য'র তিন মামা। বড় মামা তার পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে থাকেন। বাড়িতে মেজো ও ছোট মামার পরিবার। একান্নবর্তী বলা না গেলেও সবাই একই বাড়িতে থাকার দরুন বেশ যৌথ পরিবারের রেশ বিরাজ করে।
মেজো মামী টেবিলে খাবার সাজিয়ে ডাকছেন। গরম গরম খাবারে ভর্তি টেবিল দেখে সারল্য বলল, 'মামী আমাকে একবেলা খাইয়েই বিদায় দিতে চাচ্ছেন নাকি?'
'তা কেন হবে? তোমাকে প্রত্যেক বেলাই এমন হরেক রকম খাবার সাজিয়ে দিলেও তোমার মামীর রেসিপি শেষ হবে না।'
কথাটা বলেই মামী হাসলেন। রাঁধতে ভীষণ ভালোবাসেন তিনি। সংকোচের কারণে জাহ্নবী খেতে পারছে না। সারল্য'র সাথে তার সম্পর্কটা ঘনিষ্ঠ না হলেও দুজনে সহজেই গল্প গুজব করতে পারে। কিন্তু এখানে এসে জাহ্নবী বেশ বুঝতে পারল, তার ভেতর থেকে জড়তা কাটেনি আজো। এখনও কারো সাথে স্বাভাবিক ভাবে মিশতে কষ্ট হয়। কীভাবে এই জড়তা কাটিয়ে উঠবে সে? আনমনে সে কথাই ভাবছিল জাহ্নবী।
নানু একটা বড় মাছের মাথা জাহ্নবী'র পাতে তুলে দিলেন। লজ্জায় কিছু বলতে পারল না সে। শুধু ফ্যালফ্যাল করে নানীর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
নানী বললেন, 'খাও নানুভাই।'
জাহ্নবী মাথা নিচু করে ফেলল। বাড়িভর্তি অচেনা সব লোকজনের সামনে খাবার খেতে তার বিব্রত লাগছে। সকলেই কথা বলতে ব্যস্ত। কত রকমের গল্প সবার। অথচ তার মনে হচ্ছে সবাই যেন তার দিকেই তাকিয়ে আছে। খুব অস্বস্তি নিয়ে খাওয়া শেষ করলো জাহ্নবী। তারপর ঘরে এলো বিশ্রাম নিতে।
বিছানায় শুয়েই বিশাল জানালার ওপাশে সবুজ গাছের দোল খাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। বাতাসে গাছের পাতারা নাচছে। আকাশটা ভীষণ স্বচ্ছ, নীলাম্বরীর নীল শাড়ির মতো। জাহ্নবীর মনের মেঘ আস্তে আস্তে কেটে যেতে শুরু করেছে। এত সুন্দর আকাশ বহুদিন দেখেনি সে। শহরের আকাশ আর গ্রামের শান্ত শিষ্ট স্বচ্ছ আকাশের মাঝে যেন আকাশ পাতালের মতোই ব্যবধান।
সারল্য দরজায় ঠকঠক করে জানতে চাইলো, 'বাইরে যাবেন?'
জাহ্নবী চমকে ওঠে। খোলা দরজার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে সারল্য। পরনে একটা অফ হোয়াইট রঙের শার্ট। চোখে চশমা নেই। নেই কোনো ক্লান্তি। জাহ্নবীকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে আবারও জানতে চাইলো, 'রেস্ট নেবেন? না বাইরে যাবেন?'
'বাইরে যাবো।'
জাহ্নবী উঠে পড়ল। যদিও বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই তার ক্লান্তিতে ঘুম চলে আসছিল। তবে সারল্য'র প্রাণবন্ত আমন্ত্রণ কিছুতেই নাকচ করতে পারবে না সে। বাইরের সুনীল আকাশটা যেন হাত বাড়িয়ে ডাকছে তাকে।
এতক্ষণে স্বস্তি পেল জাহ্নবী। সারল্য'র সঙ্গে একাকী পথ চলতে তার কোনো অস্বস্তি হয় না।
বাড়ির চারপাশেই অসংখ্য বৃক্ষলতা। পেছন দিকে বিভিন্ন মৌসুমি ফলের বাগান। ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাগানের শেষ মাথায় এসে দাঁড়াল ওরা। সামনে দিগন্তবিস্তৃত ধানের ক্ষেত। সবুজ ধানের শিষে বাতাসে দোল খেয়ে ঢেউ উঠছে। শিরশির করে গায়ে লাগছে হাওয়া। জাহ্নবী'র মনে হলো, বুক ভরে শ্বাস নেয়ার জন্য গ্রামই সবচেয়ে শান্তির জায়গা। মানুষ অযথা শহরে পড়ে থাকে।
সারল্য বলল, 'ধান কাটা দেখেছেন কখনো?'
'না।'
'আহা, পৃথিবীর অসংখ্য মনোরম দৃশ্যের একটা হচ্ছে ধান কাটার দৃশ্য। শুধু কাটা নয়, ধান কেটে কৃষকের বাড়ির উঠোনে জমিয়ে রাখা, মাড়াই করা, বাড়ির বউরা ঘামে ভিজে সেসব ধান সেদ্ধ করে রোদে শুকান। সবকিছুই বড় মায়ায় ভরা। কখনো সুযোগ পেলে দেখতে আসবেন।'
জাহ্নবী একটা ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে বলল, 'সেই সুযোগ আমি পাবোই না। আপনি না নিয়ে এলে এইযে সবুজ ধানক্ষেত দেখছি, এটাও দেখতে পেতাম না।'
'মাঝেমাঝে নিজেকে ছুটি দেবেন। জীবনের সব জটিলতা থেকে। তখন চলে যাবেন কোনো গ্রামে। আমি যখন জীবনের মানে খুঁজে পাইনা, তখন গ্রামে যাই। গ্রাম আমাকে নতুন করে জেগে উঠতে শেখায়।'
জাহ্নবী মুগ্ধ হয়ে পান্নাবাহারের কথা শোনে। আর মুগ্ধ চোখে দেখে সবুজ ধানের ক্ষেত, সবুজ গাছের পাতা, নীল আকাশ আর ফুরফুরে সাদা মেঘ।
সারল্য গাছ থেকে ডাব পেরে খাওয়ায় জাহ্নবীকে। আনন্দে জাহ্নবীর চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে। খুশিমনে বাগানে হাঁটাহাঁটি করে সে। পুরো বাড়িটা তাকে ঘুরে দেখায় সারল্য। বহুদিন পর নিজের চেনা গণ্ডির বাইরে এসে জাহ্নবী যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করেছে।
সন্ধ্যাবেলা মেজো মামার মেয়ে উনাইসা জাহ্নবীর সঙ্গে গল্প জমানোর চেষ্টা করে। উনাইসার কলেজে পড়ে। তবে ভীষণ চনমনে স্বভাবের মেয়ে। জাহ্নবী'র সঙ্গে কথায় কথায় এমন ভাব হয়ে গেল যে, নিজের সব জড়তা কখন মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে খেয়ালই করেনি সে। উনাইসার সঙ্গে রান্নাঘরে এসে মেজো মামীর পাশে দাঁড়িয়ে সে রান্না করা দেখছিল। মামী সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সাতকড়া চিনিয়ে দিলো ওকে।
এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'জাহ্নবী তোমার বিয়ে হয়নি?'
'বিয়ে করিনি এখনো মামী।'
মামী খানিকক্ষণ ওর দিকে চেয়ে রইলেন। কড়াইতে গরম তেলে পেয়াজ ছেড়ে দিয়ে বললেন, 'মনের মানুষ চলে গেছে বলে বিয়ে করোনি নাকি?'
'পাই ই নি।'
'মনের মানুষ পাওনি বলে বিয়ে করোনি?'
জাহ্নবী লাজুক হেসে বলল, 'হুম। জীবনে খুব একটা পুরুষ মানুষের সঙ্গে আমার আলাপ পরিচয়ই হয়নি। খুঁজে পাবো কোথায়?'
'তা আমার ভাগ্নের সঙ্গে পরিচয় হল কীভাবে?'
'কাজের সূত্রে।'
কড়াইতে পেয়াজের রংটা বাদামী হয়ে এসেছে। মামী সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কথা বলছেন জাহ্নবীর সঙ্গে। মশলা বাটা কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে নাড়তে নাড়তে বললেন, 'ও কি তোমার বন্ধু?'
'হ্যাঁ মামী।'
'তোমার জন্য ছেলে দেখবো? হাতে ছেলে আছে।'
এতক্ষণে মামী জাহ্নবী'র দিকে তাকালেন। ওর অস্বস্তি হচ্ছে। লাজুক হেসে বলল, 'এত বছর যখন পার করে এসেছি, এখন আর দেখতে হবেনা মামী। আর কিছুদিন অপেক্ষা করি।'
মামী আর কিছু বললেন না। কষানো মশলায় মাংস ছেড়ে দিলেন। মশলা ও কাঁচা মাংস কষানোর ঘ্রাণে পুরো রান্নাঘর ভরে উঠল। উনাইসা বলল, 'আন্টি চলো বাইরে যাই।'
বাড়ির উঠোনে বাচ্চাকাচ্চারা খেলায় মেতে উঠেছে। জাহ্নবী উঠোনে এসে বসলো। শার্লিন বাটিতে খাবার নিয়ে মেয়ের পিছুপিছু ছুটছে। তার বাচ্চাটা একদমই খেতে চায় না। সব দৃশ্য দেখতে দেখতে জাহ্নবী অন্যমনস্ক হয়ে পড়ল। দুটো বাচ্চা এসে তার হাত ধরে বলল, 'আন্টি চলো খেলবে।'
ইতস্তত করতে করতে উঠে এলো জাহ্নবী। ওদের সঙ্গে খেলায় যোগ দিলো। হাসি, আনন্দ আর হৈ হুল্লোড়ের মাঝখানে কখন যে নিজের চেনা সংকোচে ঘেরা চরিত্রটা থেকে বেরিয়ে এসেছে বুঝতেই পারল না। নিজেকে মনে হচ্ছে নতুন জন্ম নেয়া শিশু। উচ্ছল কিশোরীর মতো তার খলখল করে হাসতে ইচ্ছে করছে।
রাতের খাবার খেয়ে সবাই খানিকক্ষণ আড্ডা দিচ্ছিল। জাহ্নবীকে ডেকে বাইরে গিয়ে বসলো সারল্য। সেদিকে তাকিয়ে মেজো মামী সারল্য'র মাকে বললেন, 'মেয়েটার সঙ্গে ওর কোনো সম্পর্ক নেই তো?'
'না। সেটা মনে হয় না।' উত্তর দিলেন সারল্য'র মা।
মেজো মামী বললেন, 'হুম। মেয়েটা ভালোই। সাদামাটা। অনেক সহজ সরল আচরণ, কথাবার্তা। আজকালকার মেয়েদের মতো অত প্যাচঘোচ নেই।'
কথাটাতে সায় দিয়ে সারল্য'র মা বললেন, 'হ্যাঁ। আমাকে খালা বলে ডাকে। আত্মাটা জুড়িয়ে যায়। লক্ষী একটা মেয়ে।'
'আপা, ওর সঙ্গে আমাদের সারল্য'র বিয়ে দিয়ে দিন না। ওর মতো একটা ছেলে একা একা জীবন পার করবে কেন?'
শার্লিন উত্তর দিলো, 'কী বলছেন মামী? ওনার সঙ্গে যায়? বা ভাইয়ার সঙ্গে ওনাকে মানায়?'
'যার সঙ্গে মানায়, সে তো লাত্থি দিয়ে চলে গেল। অত মানামানি দিয়ে কাজ কি শার্লিন? চেহারা আর কয়দিন থাকবে? সারল্য'র বয়স হচ্ছে। এই বয়সে একা থাকা কঠিন। তার ওপর যে একবার নারীসঙ্গ পেয়েছিল, সে একা থাকতে পারে না।'
শার্লিন উত্তর দিলো, 'ভাইয়া তার মতো আছে। থাকুক না। সে নিজে থেকে বিয়ে করতে চাইলে আলাদা কথা।'
মামী জোর দিয়ে বললেন, 'ও নিজে থেকে চাইবে না। ওর এখন মনটা ভঙ্গুর। কাউকে ভালো লাগার বিষয় গুলো ওর মাথাতেই আসবে না। ছেলেটা আর সব ছেলের মতো না। এখন যদি আপা ওকে বিয়ের কথা বলেন, আপা বিয়ে দিলে সে বিয়ে করতেও পারে। আর বিয়ে করলে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।'
শার্লিন তার মায়ের মুখের দিকে এক পলক তাকিয়ে বলল, 'ভাইয়া কী ধরনের মেয়ে পছন্দ করে, মা তো সেটা জানে। মা তুমিই বলো না।'
মা খানিকক্ষণ চুপ থেকে বললেন, 'আমার মনে হয় মেজো ঠিকই বলেছে। একটা পরিণত বয়সে এসে ছেলেরা আর উচ্ছলতা, পাগলামি, কেয়ারনেস এসব খোঁজে না। এই সময়ে এসে ওদের দরকার হয় একজন ভালো সঙ্গী, একজন বন্ধু। যে ওকে বুঝবে। ওর কথাগুলো শুনবে। ওর একাকীত্বের সময়টাতে ওর পাশে থাকবে। একটা মেয়ের ক্ষেত্রেও তাই। মেয়েরা অল্প বয়সে জীবনে প্রেম খোঁজে, কেয়ারনেস, পাগলামি, রোমান্টিকতা, সারপ্রাইজ এসব চায়। কিন্তু একটা পরিণত বয়সে এসে ওরা চায় এমন একজন মানুষ ওর জীবনে আসুক, যে ওকে বুঝবে। যে দায়িত্বশীল, ভালো মনের মানুষ হবে। আমি এই জিনিসটা খুব ভালো বুঝি।'
শার্লিন আর উত্তর দিতে পারলো না। মায়ের কথাটা পুরোপুরি যোক্তিক সেটা সেও জানে। তার স্বামী ইতালিতে আছে, মেয়েটা ছোট বলে তাকে নিয়ে যাচ্ছে না এখনও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও শার্লিন কোথায় একটা শূন্যতা খুঁজে পায়। সে হাতড়ে বেড়ায় সেই অমোঘ জিনিসটাকে, যার জন্য তার মন পোড়ে। এখন মায়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তার একজন বন্ধুর ভীষণ অভাব। তার স্বামী মানুষ হিসেবে যথেষ্ট ভালো হলেও বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি তার। তাকে বুঝতে চায় না মানুষটা। মন খারাপ হলেও সে বোঝেনা, মনে অনেক আনন্দ নিয়ে তার কাছে গেলেও সে গুরুত্ব দেয় না। প্রত্যেকটা অনুভূতির যে কী মূল্য, যারা অনুভূতিপ্রবণ, কেবল তারাই জানে। শার্লিন মায়েদের আড্ডা থেকে উঠে আসে। একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ভেতরে চাপ দিচ্ছে। নিশ্বাসটাকে ঠেলে বের করে দেয়ার জন্য তার একটু জায়গা দরকার।
বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়ায় শার্লিন। ফিরে এসে মাকে বলল, 'জাহ্নবী আপুর মনটা ভাল। তোমার ছেলেকে বুঝবে সে।'
মা হতভম্ব হয়ে শার্লিনের দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরইমধ্যে মেয়ের মতামত বদলে গেল কী করে সেটা ভাবছেন। ওনার চোখের পলক পড়ছে না। শার্লিন সেখান থেকে চলে গেলে তিনি বললেন, ' ছেলেমেয়ে গুলো আজকাল খুব জটিল হয়ে গেছে। ঠিকঠাক বোঝা যায় না ওদের।'
মেজো মামী আবারও বললেন, 'আপা, আপনি সারল্য'র সঙ্গে কথা বলেন। ওর জীবনে আর নতুন করে প্রেম ভালবাসা হবে না। আপনি ওকে বিয়ে দেন। সব ঠিক হয়ে যাবে।'
মা কোনো কথা বললেন না। স্থির চোখে তাকিয়ে রইলেন। তার ছোট্ট ছেলে সারল্য'র সরল মুখখানা ভেসে উঠছে চোখের সামনে। ছেলেটা কী মেধাবী ছিল, আর কতই না ভালো মনের। একটা মেয়েকে ভালবেসে জীবনের সবকিছু উৎসর্গ করে দিলো ছেলেটা। অথচ প্রাপ্তির খাতায় জুটল শুধুই রিক্ততা!
.
.
.
চলবে.........................................................................