সভ্য স্তব্ধ হয়ে যায়। তার হৃদয়ের স্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। এতবছর পর তার হৃদয়ে অদ্ভুত এক শান্তি ছড়ায়। আচ্ছা এই মুহূর্তটা কি স্বপ্ন বা বাস্তব? আচ্ছা এই মুহূর্তটা বাস্তব
হলে কি ইনারা তার হৃদয়ের এমন করুণ অবস্থা অনুভব করতে পারছে?
সভ্যের যেন এই মুহূর্তটা অবিশ্বাস্য লাগছে। সে নিজের হাত ইনারার পিঠে রেখে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলো। নিজের বুকের ভেতর মিশিয়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু এর পূর্বেই ইনারা সরে গেল। তাকে অস্থির দেখালো। সে এদিক ওদিক অশান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, "সরি, আসলে একটু আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম। তাই অজান্তেই.... কিছু মনে করবেন না।"
"মনে করব না? এত বছরের অশান্ত মনকে মুহূর্তখানিকের জন্য শান্তি দিয়ে আবারও অশান্ত করার অপরাধে তোমাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। শাস্তিটা হওয়া উচিত সারাজীবন আমার হয়ে থাকাটা।" মনে মনে বলল সভ্য। কিন্তু কথাটা মুখে আনলো না। তবে একটি দুষ্ট বুদ্ধি তার মাথায় এসে ভার করল। সে মিটিমিটি হেসে নাটকীয় ভঙ্গিতে ইনারাকে বলল, "তুমি কি করেছ তুমি জানো? তোমার সাথে তো দুই বছর পর আমার ডিভোর্স হয়ে যাবে। কিন্তু পরবর্তীতে কার সাথে বিয়ে করব আমি? কী জবাব দিব ওকে? দেখ ইনারা তোমার জন্য যদি আমার ভবিষ্যতে বিয়ে না হয় তোমার জন্য ভারী সমস্যা হবে দেখে নিও।"
ইনারা হতভম্ব হয়ে গেল। খুশির চোটে সে সভ্যকে ছুটে যেয়ে জড়িয়ে ধরেছিল। কিন্তু পরে যখন তার ধ্যান এলো তখন নিজেকে সামলে নিয়ে মুখ তুলে নিলো। আজ আইজাকে ছোট করে যেমন খুশি হলো সে, তার থেকে বেশি স্যারপ্রাইজটা পেয়ে খুশি হয়। বিশেষ করে সভ্যের উপর তার রাগের কথাটা আর মনেই ছিলো না। কিন্তু সভ্যের শেষ কথা শুনে তার খুশিটাই হাওয়া হয়ে যায়। রাগ উঠে যায় তার। শখ কী লোকটার! সবে বিয়ের একমাস হলো এখনই অন্যকাওকে বিয়ে করার চিন্তায় আছে। এই মুহূর্তে তার মন চাইছে সভ্যের মাথাটা ফাটিয়ে দিতে।
ইনারা আবারও দোলনায় বসে বলে, "আমার কি সমস্যা হবে শুনি।"
সভ্যও তার পিছু পিছু যাচ্ছিল। সে বসতে না বসতেই দেখতে সভ্য তার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। তার দিকে ঝুঁকে বলে, "পরে যদি অন্যকেউ আমাকে বিয়ে না করে তাহলে তোমাকে সারাজীবনের জন্য আমার হয়ে থাকতে হবে।"
সভ্য এতটা কাছে আসায় ইনারা এক মুহূর্তের জন্য থমকে যায়। সভ্যের চোখে চোখ পড়তেই দৃষ্টি আটকে যায় তার দৃষ্টির মাঝে। তার মনে হলো তার হৃদয়ের অবস্থা করুণ হয়ে যাচ্ছে। তার চক্ষু লজ্জায় ঝুঁকে গেল। সাথে সাথে এক তীব্র হাওয়ায় তার চুল বাতাসে উড়ে গেল। কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে ঝরে তাদের এই মুহূর্তটা আরও মাতোয়ারা করল। বর্ষণ হলো তাদের উপর।
ইনারার থলথলে চুলগুলোর দিকে তাকায় সভ্য। হাত বুলিয়ে দিলো। কিছু কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে তার চুলে লাগিয়ে বলল। আবারও তার চোখের দিকে তাকাল। ইনারার নীল গভীর সাগরের মতো চোখ যেন তার হৃদয়টাকে ছিন্নভিন্ন করতে যথেষ্ট। ইনারার স্বর্ণোজ্জ্বল চুলে যে সারাজীবনের জন্য বন্দী হতে পারে। তার মাঝে বিলিন হতে পারে। হঠাৎ তার চোখ পরে ইনারার লালচে রঙের ঠোঁটে। কী নিঁখুত গড়ন! ইনারা আগে লিপ্সটিক দিতো না। দিলেও হাল্কা রঙের। আজ তাকে লাল রঙের লিপ্সটিক দেওয়ায় ঠোঁটের দিকে আকর্ষণ যাচ্ছে। তার হৃদয়টা লালায়িত হয়ে গেল। সে এক ঢোক গিলে।
ইনারা সভ্যকে এমন বেহায়ার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে তার কাঁধে মেরে বলে, "এভাবে কি দেখছেন? চোখ সরান।"
সভ্য খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। কিন্তু সে আত্নরক্ষার সুরে বলল, "বাহ তুমি এসে জড়িয়ে ধরতে পারো। আমি তাকিয়ে থাকলে সমস্যা?"
"বললাম না ভুলে করেছি। আর করব না, যান।"
"নিজের বেলায় ষোল আনা। কয়েক বছর আগেও এভাবে আমাকে কিস করে কেটে পড়েছিলে। এখন আবার এ ব্যাপারেও? তুমি না বলেছিলে ঋণ রাখতে নেই। তাহলে তুমি আমার কী ফিরিয়ে দিবে শুনি?"
সভ্য দোলনায় বসতে নেয় কিন্তু ইনারা দেয় না, "খবরদার বসবেন না।"
"আহা কি অবস্থা! আমার ঘরে আমি বসতে পারব না?"
"এটা আমার দোলনা। আমি ছাড়া কেউ বসতে পারবে না।"
"একদম টিপিক্যাল বউদের ধমকানো ছাড়া আর কি পারো?"
ইনারা উঠে দাঁড়ায়। রাগান্বিত সুরে বলে, "আমি টিপিক্যাল বউদের মতো ধমকাই? তাহলে আপনি কী করেন? নিজেও তো আসল স্বামীর মতো ব্যাবহার করেন।"
"আমি কি করলাম শুনি?"
"এই'যে কথায় কথায় কাছে এসে পরেন, রাগ দেখান, বেহায়ামি করেন।"
"কথাটা ফেরত নেও। আমি বিনা দোষের আরোপ নেই না। ফেরত না নিলে আসলে করব এবার।"
"নিব না কি করবেন করেন।"
সভ্য হুট করেই ঝুঁকে ইনারার কাঁধে চুমু খেয়ে বসে। চুমুটা খেতেই দৌড়ে পায়লায় সে।
ইনারা স্তব্ধ হয়ে যায়। শিউরে ওঠে সে। সে নিজের কাঁধে হাত রেখে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সভ্যের যাবার দিকে। তার চোখ দুটো এখনো সভ্যের যাবার দিকে আটকানো। হৃদয়ের অবস্থা করুণ। আর হঠাৎ ঠোঁটের কোণে হাসি এসে হাজির।
.
.
"তুমি আমাকে বলেছিলে এসবের পিছনে কেবল তোমার মামা এবং আম্মু ছিলো। তাহলে সে ভিডিওটা কীসের আইজা?" প্রশ্ন করে সাইদ। আইজা মাথায় হাত ধরে বসে ছিলো। ভিডিওটা কীভাবে ইনারা পেল তাই মাথায় ঢুকছে না। এই ভিডিও একবার বাহির হলে তার কেবল ক্যারিয়ার নষ্ট হবে না তার জীবনও নষ্ট হবে। না, এ ভিডিও কারও সামনে আসতে পারে না। তার যে করেই হোক প্রডিউসারের সাথে কথা বলতেই হবে। সে মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করে। মাথা তুলে সাইদকে রাগান্বিত সুরে বলে, "তুমি আমাকে চিনো না? না চিনলে ভালোবাসো বলে দাবি করো কেন? আমি তোমাকে বলেছি ইনারার সাথে এসব হবার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম বলে ওর মনে হচ্ছে আমি এসবে জড়িত। কিন্তু আমার কি করার আছে? সাইদ তুমি ভুলো না আমার কথাতেই মামা সুরভিকে কিছু করে নি। তার পরিবর্তে আমারও অনেক সমস্যা সহ্য করতে হয়েছে।
মামার বিরুদ্ধে গেলে উনি আমাদেরও ছাড়বে না। আমাদেরও শেষ করে ফেলবে। তুমি যেমন তোমার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য চুপ করে আছো, তেমন আমিও। তুমি কেবল নিজেরটা বুঝো।"
"আর সে ভিডিওর কী?"
"মামা আমাকে বলেছিল ইনারাকে সেখানে ডাকার কথা। হয়তো এজন্যই ভিডিওতে আমার নাম নেওয়া হয়েছে। আমি কি জানতাম যে ওকে সেখানে.... বাদ দেও। আমার আর সাফাই দেবার ইচ্ছা নেই। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তোমার প্রশ্নের উওর দিতে দিতে। আমার ইচ্ছা নেই আর তোমার সাথে কথা বলার। আমি গেলাম।"
আইজা আর এক মুহূর্তও সেখানে থাকে না বেরিয়ে পরে। বেরিয়েই দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সাইদ এবার তার কথা মেনে নিলেই হলো। তার কথাগুলো সম্পূর্ণ সত্য না হলেও মিথ্যাও নয়।
সে সোজা বাসায় যায়। রুমে যেয়ে কল দেয় 'রহস্য ঘর' এর প্রডিউসার মিঃ আনসারিকে। তাকে ইনারার শর্তের ব্যাপারে সব জানায়। সব শুনে মিঃ আনসারি বলে, "কিন্তু আমি তোমার কথা নিজের এত বড় ক্ষতি কেন করব?"
"ইনারা না আসলে আপনার ইনভেস্ট করা সিনেমাও লোকসানে যাবে।"
"কিন্তু পঞ্চাশ লক্ষ টাকা তো কম না। ইনারা আসলে আমার লাভ হবে ঠিক আছে কিন্তু এতটুকুতেই তো চলবে না।"
"তাহলে কি চাই আপনার?"
"আমার ওয়াইফ কিছু দিনের জন্য বাসায় নেই। তুমি আজ রাতে আসতে পারো।"
কথাটা শুনে আইজা চুপ হয়ে গেল। কিছু বলতে পারলো না। তার উওর না পেয়ে আনসারি সাহেব শব্দ করে হাসেন, "এমন ভাব করছ কেন যেন আগে আমার কাছে আসো নি। এত বড় বড় প্রজেক্ট তো আর এমনিতেই পাও নি। এত টেলেন্ট নেই তোমার। আজ রাতে আসবে না'কি তোমাকেই সিনেমা থেকে বের করে দিব তা বলো।"
"আসবো।"
.
.
ইনারা বসে আছে স্টুডিওতে। ফিল্মের রাইটার ও এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এর সাথে। তারা সিনেমার কাহিনী ছোট করে শুনাচ্ছিল তাকে,
"রহস্য ঘর হলো এমন একটি সিনেমা যা জাদুই ঘর হিসেবে মানা যায়। এখানে প্রধান চরিত্রে রিধি এবং রোহান থাকবে। আপনার চরিত্র হলো রিধির বেস্ট ফ্রেন্ড এর। অর্থাৎ মিস আইজার। আপনার চরিত্রের নাম মিথিলা। আপনি রিধিকে সবসময় সাহায্য করেন। গল্পের শুরুতেই সে ভেঙে পড়ে রুহানের সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায়। তখন আপনি রিধিকে সামলান। রিধি ও রুহানের আবার দেখা হয় দুইবছর পর। রুহানের দাদীর বাড়িতে। কিন্তু ঘরটা অদ্ভুত। সেখানে প্রতিদিন রহস্যময় ঘটনা ঘটতে থাকে। সে ঘটনার রহস্য উদ্ভবন করতে শুরু করেন আপনি ও রিধি। কিন্তু দিন দিন ঘটনা বিগড়াতে থাকে। এরই মাঝে রুহানের মনে রিধির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায় আবারও এবং তাদের আলাদা হবার কারণ এবং আলাদা হবার পিছনের কারণও প্রকাশ পায়। কিন্তু তারা আবার এক হতে পারে না কারণ এখন রুহানের সাথে চৈতীর সম্পর্ক আছে। চৈতীর কারণে তারা এক হতে পারছে না। আর তাদের সকলের সে ঘরে আসাটাও কোনো নিয়তি ছিলো না। যারা সেখানে ছিলো সেখানের সবারই বিশেষ এক কারণ ছিলো সেখানে থাকার। যেন এসব এক পরিকল্পনা ছিলো। মিথিলার, রিধির, রুহানের, চৈতীর সাথে আরও তিনজনের।"
"সে পরিকল্পনার পিছনেও চৈতী ছিলো তাইতো?"
লেখক অবাক হয়ে তাকায় ইনারার দিকে, "আপনি কীভাবে বুঝলেন?"
ইনারা তাচ্ছিল্য হাসে, "আপনার বলার ধরণে। আমার চরিত্র বুঝাতে মিথিলার নাম নিচ্ছেন বুঝা যায়। প্রধান চরিত্রের নাম নেওয়াও স্বাভাবিক কিন্তু বারবার চৈতীর নাম নিচ্ছেন এটাই কি স্বাভাবিক নয়? একটা উওর দিন, এইসব রহস্যের পিছনেও চৈতীর হাত আছে?"
"কিছুটা।"
"এটা নেগেটিভ চরিত্র?"
"একদম ঠিক ধরেছেন।"
"আমি ওর চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।"
তখনই সহায়ক পরিচালক বলে উঠে, "কিন্তু এটা তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এর জন্য নিখুঁত অভিনয় প্রয়োজন।"
"প্রধান চরিত্রদেরও ভালো অভিনয় আসা প্রয়োজন। তাদের অভিনয়ও তো এভারেজ। এছাড়া আপনাকে কে বলেছে আমাকে অডিশন ছাড়া নিতে? আমি অডিশন দিব। কারও অভিনয় না দেখে আপনি কীভাবে বলতে পারেন তার অভিনয় নিখুঁত কি-না!"
"আমি...আসলে..."
ইনারার জোর গলায় কথাগুলো শুনে সহায়ক পরিচালক কি বলবেন ভেবে কূল পাচ্ছে না। তাই ইনারা আবার বলল, "পরিচালক আলতাফ আমার অভিনয় দেখে আমাকে তার চলচ্চিত্রের চরিত্র হিসেবে বাছাই করেছিলেন তিনবছর আগে। আপনি নিশ্চয়ই উনার চরিত্র বাছাইয়ের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে সন্দেহ করবেন না। আপনার প্রধান চরিত্ররাও তার চলচ্চিত্রে এক ঝলক আসার সুযোগ পায় নি।"
কথাটা শুনে লোকটাকে একটু অবাক মনে হলো। কিন্তু সে তা প্রকাশ না করে আবার ইনারাকে বলে,
"ম্যাম কথার ধরণটা একটু রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে না?"
"সত্য বলছি। রুক্ষ মনে হলে আমার কি করার?"
"ম্যাম এক কাজ করুন আপনি স্ক্রিপ্টটা নিন। ভালো করে পড়ে সিদ্ধান্ত নিন। ভালো একটা উপদেশ দিচ্ছি। আপনার প্রথম চলচ্চিত্রে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করলে পরবর্তীতেও এমন চরিত্রের অফার পাবেন। তাই আপনার জন্য ভালো..."
"আমার ভালো খারাপ আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। এই চরিত্রের অডিশন কবে তা আমাকে জানিয়েন। আমি এসে অডিশন দিব। বিনা পরিশ্রমে অন্যের কাজ ছিনিয়ে নেবার মতো মানুষ আমি নই। এবার উঠি তাহলে?"
তার সামনে বসা দুটো লোকও উঠে দাঁড়ায় তাকে বিদায় দিতে। ইনারা স্ক্রিপ্ট নিয়ে বিদায় হতেই লেখক বলে উঠে, "আমার তো মনে হয় মিস ইনারাই চৈতী চরিত্রের জন্য পার্ফেক্ট।"
"এমন কেন মনে হলো?"
"তার এটাটিউড দেখেছ? নির্ভয়, এবং সোজাসোজি কথা বলতে পছন্দ করে। তার চোখে তাকাতেই আমার চৈতীর কথা মনে পড়ল। যেন দৃষ্টি দিয়েই শত্রুদের খুন করে দিবে। আমার মনে হয় ওই চৈতীর চরিত্র পাবে।"
"কিন্তু ওর চরিত্রে ভালোই স্ক্রিনটাইম আছে এবং স্যার বলেছে কোনো অপ্রধান চরিত্রই দিবে মিস ইনারাকে। এছাড়া ভাবুন যদি মিস ইনারা আসলেই ভালো অভিনেত্রী হয় তাহলে আসল নায়ক নায়িকাকে দেখবেটা কে? এই ভয়ও তো তাদের আছে।"
লেখক হেসে বললেন, "তা যা বলেছেন।"
.
.
বাহিরে ইনারার জন্য গাড়ি অপেক্ষা করছিল। গাড়িতে উঠে সে রহমানকে দেখে অবাক হয়। জিজ্ঞেস করে, "রহমান ভাই আপনি কখন এলেন?"
"একটু আগেই। ড্রাইভারক ফোন দিলাম, জিজ্ঞেস করলাম সে কোথায়, তারপর এলাম। ছোট স্যার পাঠিয়েছে আপনাকে নিয়ে যেতে।"
"নিয়ে যেতে? কোথায় নিয়ে যেতে?"
"কোম্পানিতে। ছোট স্যার বলল এখন তার সম্পর্কে জানার সময় এসে পড়েছে। আপনার তার সম্পর্কে এবং তার পরিবার সম্পর্কে সবকিছু জানা উচিত।"
.
.
.
চলবে.................................